চিলের হাতে বিপন্ন কান, আর বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং নিয়ে বিভ্রান্তি

রাগিব এর ছবি
লিখেছেন রাগিব (তারিখ: সোম, ০৬/০৯/২০১০ - ১:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

auto

চিলে কান নিয়েছে, এই শুনে চিলের পেছনে দৌড়ানোটা আমাদের অনেকের প্রিয় স্বভাব। আর সেই চিল যদি বিদেশী চিল হয়, তবে তো কথাই নেই। ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত বিদেশী চিল হলে তো সোনায় সোহাগা। সম্প্রতি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‌্যাংকিং নিয়ে বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে, এমনকি খোদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছেও কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ঐ তালিকায় অন্য কাউকে কাউকে পেছনে ফেলতে পেরে রয়েছে আত্মহারা হবার পথে। জ্ঞানগর্ভ নানা লেখা আসতে শুরু করেছে, বিশেষজ্ঞরা গবেষণা শুরু করেছেন, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার দুরবস্থা সম্পর্কে "চিন্তাশীলদের" চিন্তার আর কমতি নেই আজ।

(১)

ঘটনার শুরুতে যাওয়া যাক। স্পেনের একটি সংস্থা Consejo Superior de Investigaciones Científicas (CSIC), যা দেশটির বৃহত্তম সরকারী গবেষণা সংস্থা। এর একটি গবেষণাগার এর নাম সাইবারনেটিক্স ল্যাব। এখান থেকেই প্রতি বছর প্রকাশ করা হয় ওয়েবোমেট্রিক্স র‌্যাংকিং অফ ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিস। সম্প্রতি ২০১০ এর র‌্যাংকিং প্রকাশিত হয়েছে, আর তাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান এরকম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (২৯১৬), ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় (৪৫৭৭), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (৫৫৩১),আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ (৫৮৮২তম স্থান), ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (৬২১০), ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (৬৩৫৯), ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (৬৮৬০), নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (৭০৭৮), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (৭১৯৬), ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (৮৭৫৯), জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় (৮৭৮৯), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৯৪০৯), আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১০২০৩), ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (১০৪৭৪), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১০৫০৩), ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক বাংলাদেশ (১০৫১৮), চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১০৬৪৭), এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন (১০৬৬৭), ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (১১০৪৩), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (১১১৪২), ঢাকা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১১২৩৫), খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১১৪২২) এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (১১৬৪৩)। বিস্তারিত র‌্যাংকিং পাবেন এখানে

বলাই বাহুল্য, এই র‌্যাংকিং দেখে পত্রপত্রিকায় তুলকালাম কাণ্ড হয়ে চলেছে। ঢাবির এমন অবস্থা হবারই কথা, এরকম ইঙ্গিত গিয়ে ব্যাপারটাকে রাজনৈতিক রঙ দেয়ার চেষ্টা চলছে। আবার শিক্ষাখাতে ব্যয় বাড়ানো নিয়েও অনেকে কথা বলছেন। মানবজমিনের একটি রিপোর্টে ব্যঙ্গ করে লেখা হয়েছে,

র‌্যাংকিংয়ের দিক দিয়ে পাঁচ হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান হয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। এমনকি বাংলাদেশের একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নিচে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান।

(২)

এই র‌্যাংকিং দেখে শুরুতেই খটকা লাগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং করাটা বেশ কঠিন একটা কাজ। মার্কিন ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল গত চার বছর ধরে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং করার চেষ্টা করে এখনো তাদের রিপোর্ট বের করতে পারেনি, সেখানে CSIC কি না প্রতি বছর ১২০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং বের করে চলেছে! কৌতুহলবশত CSIC এর সাইটে গিয়ে তাদের র‌্যাংকিং এর কৌশল ঘাটতেই থলের বেড়াল বেরিয়ে এলো। এই র‌্যাংকিং আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের বিচার নয়, বরং তাদের ওয়েবসাইটের মানের বিচার!!

কীভাবে? দেখা যাক, CSIC এর র‌্যাংকিং এর ফরমুলা

প্যারামিটার

Size (S). Number of pages recovered from four engines: Google, Yahoo, Live Search and Exalead. For each engine, results are log-normalised to 1 for the highest value. Then for each domain, maximum and minimum results are excluded and every institution is assigned a rank according to the combined sum.

Visibility (V). The total number of unique external links received (inlinks) by a site can be only confidently obtained from Yahoo Search. Results are log-normalised to 1 for the highest value and then combined to generate the rank.

Rich Files (R). After evaluation of their relevance to academic and publication activities and considering the volume of the different file formats, the following were selected: Adobe Acrobat (.pdf), Adobe PostScript (.ps), Microsoft Word (.doc) and Microsoft Powerpoint (.ppt). These data were extracted using Google and merging the results for each filetype after log-normalising in the same way as described before.

Scholar (Sc). Google Scholar provides the number of papers and citations for each academic domain. These results from the Scholar database represent papers, reports and other academic items.

অর্থাৎ, চারটি প্যারামিটার হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইটে কতোটি ওয়েবপেইজ আছে, বাইরের অন্যান্য সাইট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে কতোটি লিংক এসেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইটে কতোটি পিডিএফ ফাইল রাখা আছে, আর গুগল স্কলারে বিভিন্ন একাডেমিক ডোমেইনের প্রতি কতোটি গবেষণাপত্র ও সাইটেশন পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে প্রথম তিনটিই হলো পুরোই ওয়েবসাইটের গুণাগুণ। এবার দেখা যাক, এই চারটি প্যারামিটারকে কীভাবে ফরমুলায় ব্যবহার করা হয়েছে,
Visibility (50%), size (20%), rich files (15%), scholar (15%).

অর্থাৎ, ফরমুলাতে মূল বিষয় হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইটে বাইরে থেকে কতোটি লিংক এসেছে। গবেষণার সাথে জড়িত একমাত্র প্যারামিটারটির গুরুত্ব মাত্র ১৫%।

এই ফরমুলাতে কী প্রকাশ পাচ্ছে তাহলে? এখানে প্রকাশ পাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির অনলাইন প্রেজেন্স, তথা ইন্টারনেটে উপস্থিতি কতটুকু। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট যথেষ্ট সমৃদ্ধ হলে, আর গাদায় গাদায় পিডিএফ বা ওয়ার্ড ফাইল দেয়া থাকলে, তাদের র‌্যাংকিং সামনের দিকে চলে আসবে এমনি এমনিই।

ওয়েবে উপস্থিতি কিংবা ওয়েবসাইটের অবস্থা মাপার এই ব্যাপারটিকে বলা হয় ওয়েবোমেট্রিক্স বা ওয়েব পরিমাপ। ফরমুলা থেকেই দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার মাপ আদৌ এই হিসাবে নেই, কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার পরিমাণ অল্পই গুরুত্ব পেয়েছে। CSIC নিজেই বলছে, এই র্যাংকিং এর উদ্দেশ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনলাইন উপস্থিতি বাড়ানো, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংক কম হলে যেনো তারা তাদের ওয়েবসাইটের মান বাড়ানোতে মনোযোগী হয়, সেটাতে উদ্বুদ্ধ করা, ইত্যাদি। কোনোভাবেই এটা দাবী করেনি CSIC নিজেও যে, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদীক্ষার মানের পরিমাপ, অথবা গবেষণামূলক তৎপরতার হিসাব।

(৪)

CSIC এর র‌্যাংকিং এ আগে যাওয়ার উপায় কী? খুব সহজ। অল্প পয়সা খরচ করে ভালো একজন ওয়েব ডিজাইনার লাগবে, যার কাজ হবে ওয়েবসাইটে পাতার সংখ্যা বাড়ানো, আর বিভিন্ন জায়গা থেকে ওয়েবসাইটে ইন-লিংক বাড়ানো। ধরাযাক, বাদুরতলা ইউনিভার্সিটি চাইছে, চৌকিরতলা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতে র‌্যাংকে আগাতে। যেহেতু ফরমুলাতে মূল গুরুত্ব (৫০+২০=৭০%) এসেছে ওয়েবসাইটের লিংক এবং পাতার সংখ্যা থেকে, বাদুরতলার ওয়েবসাইট ডিজাইনারের কাজ হবে ওয়েবসাইটে পেইজের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়া, আর সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে অন্য বিভিন্ন সাইটে বাদুরতলার সাইটের লিংক যোগ করা। (উল্লেখ্য, CSIC এর ফরমুলাতে কিন্তু কোথা থেকে লিংক এসেছে, তার বিচার করা হয়না, বরং কয়টা লিংক আছে, তাই বিবেচ্য, সুতরাং ব্লগে ব্লগে বাদুরতলার সাইটের অজস্র লিংক যোগ করলে তাদের র‌্যাংক বাড়বে)। বাদুরতলার ওয়েব ডিজাইনারের পরের কাজটা হবে তাদের সাইটে হাবিজাবি পিডিএফ, ওয়ার্ড এসব ফাইল রাখা, বিভিন্ন পাতায় ওয়েবপেইজের মধ্যে সেগুলোর লিংক রেখে দেয়া। সেটার গুরুত্ব আবার ১৫%। সব মিলে ওয়েব ডিজাইনারের হাতে আছে ৮৫%। বাকি মাত্র ১৫% হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের গবেষণাপত্র গুগল স্কলারে কতটুকু এসেছে সেটা। কাজেই অল্প একটু খেটেই বাদুরতলা ইউনি টেক্কা দিতে পারবে চৌকিরতলা ইউনিকে।

অথচ বাংলাদেশের বিভিন্ন মিডিয়াতে এটাকে তুলে ধরা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত মানের তুলনা হিসাবে। র‌্যাংকিং কেনো কম, এই নিয়ে ঢাবির শিক্ষকদের তলব করে কৈফিয়ত নেয়া হয়েছে, বিভিন্ন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি বিশাল গর্ব করেছে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরে আছে এই নিয়ে। কলামের পর কলাম লেখা হয়ে চলেছে এই নিয়ে। কিন্তু এতো সব লেখালেখি, এতো সব বিজ্ঞ ব্যক্তিরা, কেউই এটা কীসের র‌্যাংকিং, একবারও পড়ে দেখার প্রয়োজন অনুভব করেননি। কেউ খেয়ালও করেননি, এটা ওয়েবসাইটের র‌্যাংকিং, তা না করে সবাই বলে চলেছেন গেলো গেলো, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা রসাতলে গেলো!

(৫)

বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‌্যাংক CSIC এর ওয়েবোমেট্রিক্স র‌্যাংকিং এ কম কেনো, তা কিন্তু সহজেই বোঝা চলে। অধিকাংশ সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের বেশ দুরবস্থা। প্রতিনিয়ত হালনাগাদ করা হয় না, বিভাগওয়ারী ওয়েবপাতা থাকলেও তাতে অল্প কিছু তথ্য/পাতা তৈরী করেই শেষ। অবশ্য অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইটের বয়স খুব বেশি নয়, তাই অন্য সাইট থেকে তাদের প্রতি লিংকের সংখ্যাও কম। কাজেই ওয়েবোমেট্রিক্সের ফরমুলার মোটামুটি ৮৫% এ পিছিয়ে থাকার জন্য দায়ী হলো ওয়েবসাইট নির্মাণে অদক্ষতা – মোটেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা বা গবেষণার মান এখানে দায়ী নয়।

বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং খুব দরকার। কিন্তু সেটা হতে হবে একাডেমিক র‌্যাংকিং। ওয়েবসাইটের র‌্যাংকিং এর মতো ফালতু ব্যাপারকে নিয়ে মাতামাতি করার মাঝে এই একাডেমিক র‌্যাংকিং এর ব্যাপারটা সবার নজর এড়িয়ে যায়। আর এই একাডেমিক র‌্যাংকিং এর কাজটা করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন বা এদের মতো নিরপেক্ষ সরকারী কোনো সংস্থাকেই। একাডেমিক প্রকাশনার সংখ্যা, গবেষণাকর্মের ইম্প্যাক্ট, ছাত্রশিক্ষক অনুপাত, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা অবকাঠামো -- এসব কিছু বিবেচনা করে র‌্যাংক করতে হবে। US News and World Report নামের সংস্থাটি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংক প্রকাশ করে পড়াশোনার মান ও গবেষণার উৎকর্ষের ভিত্তিতেই। । সেটা না করে ওয়েবসাইটের পেইজের সংখ্যার ভিত্তিতে বানানো র‌্যাংককে নিয়ে মাথা ঘামানোটা অত্যন্ত দুঃখজনক।

উপসংহার

চিলে কান নিয়েছে শুনে ছুটেই চলেছি আমরা, আর স্পেনীয় চিল, ইন্টারনেট থেকে জানা গেছে শুনেই মাতম শুরু করেদিয়েছি, দেশের উচ্চ শিক্ষা রসাতলে গেছে বলে রায় দিয়ে চলেছি … অথচ আসলে কীসের র‌্যাংকিং, তা পড়ে দেখার ইচ্ছে কারো নেই। পরের মুখে ঝোল খেতেই সবাই ব্যস্ত। আসুন, স্পেনীয় ওয়েব চিলকে তার যথার্থ স্থানে রাখি, আর দৌড়ানো থামিয়ে একটু হাত দিয়ে দেখি কানটা আছে কি না, যথার্থ মাপকাঠিতেই মেপে দেখি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে। সোনালী ডানার চিল চলে যাক ওয়েবের নির্বাসনে …।

(চিলের ছবি, ফার্ডিনান্ড গ্রাসমান, উইকিমিডিয়া কমন্স থেকে নেয়া)


মন্তব্য

Mamun এর ছবি

রাগিব ভাইকে ধণ্যবাদ এত সুন্দর একটা ব্যাপার সবার সামনে তুলে ধরার জন্য ্

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হা হা হা হা
... রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করোনি

সাফি এর ছবি

এরকম কিছু একটা শুনেছিলাম, কিন্তু আমল দেইনি। বাংলাদেশে মার্কেটিং-এ 'বিদেশ সার্টিফায়েড' বেশ একটা লোভনীয় ব্যাপার মনে হয়

হিমু এর ছবি

আউফ দ্দীণূ!

যে সাংবাদিক এই ড়্যাংকিঙের ওপর ভিত্তি করে বড় বড় আর্টিকেল হেগেছেন, তিনিই নিশ্চয়ই ওনিয়ন ডট কম থেকে খবর চুরি করে ছাপান আর গুগলের কমোডে নেট কানেকশন দেয়া নিয়ে স্টোরি ছাপেন।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রাগিব ভাই। আমি যতদূর জানি একাডেমিক ড়্যাংকিংয়ে পার্কিং স্পেসের মত বিষয়কেও অর্ন্তভুক্ত হয়! সুতরাং এই ড়্যাংকিংই যেন একমাত্র মাপকাঠি না হয়।

ড়্যাংকিং একটা প্রতিযোগীতার সুযোগ তৈরী করলেও আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একটু বুঝে শুনে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করব।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনি অনেকের চোখ খুলে দিলেন। বিশেষত পত্রিকাওয়ালারা যদি কিছু শিখতে পারে। ডিপার্টমেন্টের ড়্যাঙ্ক হতে পারে, আমার কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড়্যাঙ্কিং ধারণাটা গ্রহণযোগ্য নয়।

রিজভী [অতিথি] এর ছবি

বিষয়টা ক্লীয়ার করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। দেশে থাকতে আমিও ওয়েবোমেট্রিক্স ঘেটে একটা আইডিয়া পাওয়ার চেষ্টা করতাম। তবে এখন বুঝি যে সমগ্র একটা ভার্সিটির সাথে আরেকটা ভার্সিটির এরকম তুলনা আসলে করা যায় না। মেজর ধরে ধরে সার্চ করতে হয়। তাই এখন ফলো করি US News Ranking কেই...

-------------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;

আরিফ জেবতিক এর ছবি

সাধারণত কম্পিউটারের কীবোর্ডে কম্পোজ করতে পারলেই তাঁকে কম্পিউটার বিজ্ঞানী ধরে নিয়ে পত্রিকায় তথ্যপ্রযুক্তির সব রিপোর্টের দায়িত্ব দেয়া হয়। হাসি

কনফুসিয়াস এর ছবি

এই গুগলের যুগে কেন যে লোকে চিলের পেছনে দৌড়ায়। অল্প কয় মিনিটের সার্চিং এর কষ্টটাও কেউ করতে রাজি না।
অনেক জরুরি পোস্ট রাগিব ভাই, ধন্যবাদ।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সাদাচোখ [অতিথি] এর ছবি

এই ভূয়া র‌্যাংকিং-এ ও আমাদের ইউনির নাম নাই।

কারন আর কিছুই না। নিচের লিংকে গেলেই বুঝবেন।

মন খারাপ

http://www.ruet.ac.bd/

বিটিসিএল থেকে ব্যাপক স্পিডের নেট লাইন নেওয়া হয়েছে। ওয়েব সাইট আপডেট রাখার জন্য মানুষও আছে, তবুও এই অবস্থা।

সিরাজুল করিম চৌধুরী (ভিসি) খুব সম্ভবত বনের রাজা হবার লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছেন।

===============
সাদাচোখ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সাইটটা লোড করার জন্য অনেক টানাটানি করলাম, লোড হলনা মন খারাপ
...............................
নিসর্গ

ভাঙ্গা পেন্সিল [অতিথি] এর ছবি

পত্রিকায় যাক এ লেখা।

হাসিব এর ছবি

সাংবাদিকরা পড়ালেখা করে না জানি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ণধারেরাও লেখাপড়ার ধার ধারেন না দেখে দুঃখ পাই।

র‍্যাংকিং <- এটা কপি করে জায়গামতো পেস্ট করে দিতে পারেন।

 ফাহাদ ভাই এর ছবি

আসলে ইংরেজী Ranking শব্দটির প্রকৃত উচ্চারণ হল য়্যংকিং । বলা বাহুল্য যে ইংরেজি ভাষায় 'R' অনুচ্চারিতই থাকে ।

তিথীডোর এর ছবি

কী আজব দুনিয়া!
খুবই দরকারি পোস্ট! চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

হাসান মোরশেদ এর ছবি

জাতীয় ভিত্তিতে কেপিটেষ্ট জরুরী হয়ে পড়েছে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আমাদের রিপোর্টার ভাইদের জ্ঞানের প্রশংসা না করে পারা যায় না। ইনারা কমোডের ফ্ল্যাশের সাথে দ্রুতগতির নেটের কানেকশন লাগিয়ে দেন। ইনারাই তো সুদূর স্পেন থেকে আগত ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটারাইজড বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাঙ্কিং নিয়ে রিপোর্ট লিখবেন পেপারে। আপ্সুস, পাবলিক ইনাদের কদর করতে শিখলো না!



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

জাহামজেদ এর ছবি

এই র‌্যাংকিং আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের বিচার নয়, বরং তাদের ওয়েবসাইটের মানের বিচার!!

ব্যাপক মজা পাইছি !

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। পাঁচতারা *****

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি রাগিব ভাইকে অনুরোধ করব যেন লেখাটা পত্রিকাতে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। তা না হলে ঔ ব্রাক ইউনিভার্সিটিকেই সবাই সেরা ধরে নিবে।

টুটুল

অমিত এর ছবি

দেশে উন্মাদ টাইপ পত্রিকা মার্কেট পাওয়ার কোন কারণ দেখি না হাসি

নৈষাদ এর ছবি

এই হল অবস্থা। সকাল সকাল খবরটা দেখে ভালই হল।

কাকন [অতিথি] এর ছবি

পত্রিকার রিপোর্টার হওয়ার জন্য একাডেমিক শিক্ষাকে গুরুত্ত দেয়া হয় না। যে কারনে মূর্খ গুলো না বুঝে রিপোর্ট লেখে ফেলে।

মেরুন এর ছবি

আমাদের কান এমনিতেই নেই। কাজেই, চিলের কান নেয়ার কোনো প্রশ্নও নেই। ওয়েবম্যাট্রিক্স র‌্যাঙ্কিং যা-ই হোক না কেন, একাডেমিক র‌্যাঙ্কিং করলেও ডিইউ এর উপরে উঠার কোনো চান্স দেখি না। ব্র্যাক অনেক ভাল ভাল গবেষণা করছে এখন। কাজেই তারা একটু লাফালাফি করলে দোষের কিছু দেখি না আমি।

অতিথি লেখক এর ছবি

শুনতে খারাপ লাগলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের প্রচারণা যেভাবে করে তার কিয়দংশও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো করে না।
খড়কুটো পেলেও সেটাকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেভাবে হাইলাইট করে, সেটা থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। অনেকক্ষেত্রে জেনেশুনে একটা ভুল ব্যাপারকে হাইলাইট করা হয় এবং অবশ্যই তাদের নিজেদের স্বার্থেই..

আর, সাংবাদিকদের সম্পর্কে বলার তো কিছু নাই। কিছু স্বল্পশিক্ষিত আর বুলিসর্বস্ব মানুষের আখড়া সেখানে। মন খারাপ

দরকারি পোস্টের জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

- মুক্ত বয়ান

অতিথি লেখক এর ছবি

খুবই জরুরি একতা বিষয়ে আলোকপাত করেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ

Neer [অতিথি] এর ছবি

To start jumping without knowing anything is our national problem. Thanks for revealing the original truth and it should be spread out everywhere.

guest write rajkonya এর ছবি

সোনালী ডানার চিল চলে যাক ওয়েবের নির্বাসনে …।

নুভান [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ ভাইয়া বিষয়টাকে বিশদভাবে ব্যক্ষ্যা করার জন্য।

আসলেই বিশ্ববিদ্যালয় সমুহের বিন্যাস নির্ণয় করাটা বেশ কঠিন। সেখানে অনেক ফ্যাক্টর চলে আসে, যেমনঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের অবকাঠামো, ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত, গবেষণার পরিধি, শিক্ষকদের পি.এইচ.ডি ডিগ্রী, আলামনাই দের অবস্থান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান, অধ্যাপকদের প্রজেক্টপ্রাপ্তি, ফান্ডিং, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত সুযগ সুবিধাদী সহ আরও অনেক কিছু যা যথেষ্ট জটিল বলে মনে হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে বিশেষ একটি ডিপার্টমেন্ট বা ল্যাবের গবেষণার পরিধি বা সুনাম সর্বত্র, তাই সেটাও সামগ্রিক ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে অপরাপর মানুষদের কাছে পরিচিত করে তোলে।
বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে যদি আমি স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে বুয়েটের কথা ধরে নেই তাহলে দেখতে পাব, গবেষণার পরিধি পার্শ্ববর্তী অনেক দেশের থেকে একটু হলেও পিছিয়ে আছি আমরা। কেন? কারন হয়ত শিক্ষকদের প্রজেক্টপ্রাপ্তি বা ফান্ডিং এর অভাব। দেশের ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন হলে সে সকল ইন্ডাস্ট্রি বা করপোরেশন থেকে রিসার্চ ফান্ডের ব্যাবস্থা করা হয়, যা দিয়ে শিক্ষকগন গবেষণার পরিধি বৃদ্ধি করতে পারেন। কিন্তু আমাদের দেশের বেশিরভাগ স্থানীয় কম্পানীগুলো হইয় চায়না বা ভারতের ওপর ইরেকশন ও মেইনটেনেন্স এর ওপর নির্ভরশীল। তাই প্রকৌশল বা ফলিত বিজ্ঞানের অনুষদ গুলোতে তাদের থেকে কোন প্রজেক্ট পাবার আশা নেই বললেই চলে। আর সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন এতই নগণ্য যে তাদের ইন্টার্নাল আয়ের-অ কোন উৎস নেই। সরকারের বরাদ্দের দিকে বসে থাকতে হয়, আর এজন্য হয়ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা বা সিদ্ধান্ত নেয়া বিলম্বিত হয়ে পড়ে। কিন্তু সামগ্রিক ভাবে চিন্তা করলে, আমাদের আন্ডারগ্র্যাডের পড়াশোনার মান হয়ত পাশ্চাত্যের নামকরা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো থেকে খুব একটা খারাপ বলা যাবেনা। এখন প্রশ্ন হল, এ সমস্যা থেকে উৎরানোর আদৌ কি কোন পন্থা আছে?
অগ্রীম ধন্যবাদ।

FZ এর ছবি

রাগিব ভাই, স্কলার স্কোরে কিন্তু বুয়েট থেকে ব্র্যাক এগিয়ে, আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তো অনেক পিছনে। এরকম হবার কি কারণ ?

osimsomoi এর ছবি

বেশকিছুদিন আগে বাংলাদেশেরই কোন একটা ওয়েবসাইড ভোটাভুটির মাধ্যমে র্যাংকিং শুরু করেছিল। আমি ভেবে পাইনা , র্যাংকিং এ ভোটাভুটি আসে কোথা থেকে

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লেখার জন্য।

র‌্যাংকিং'এ ব্র্যাক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরে- এটা শোনামাত্র "স্রেফ তাজ্জিব" হয়ে গিয়েছিলাম। পরিচিত একজন এ নিয়ে বেশ ঠাট্টাও করে... বিশ্বাস করছিলাম যে একটা না একটা গন্ডগোল তো আছেই... কিন্তু কি সেটা প্রমাণ করার মতো কোনো ডকুমেন্ট পাচ্ছিলাম না।

আপনাকে আবারো অনেক ধন্যবাদ...

"চৈত্রী"

অতিথি লেখক এর ছবি

একসময় এই বিষয়ে চরম কৌতূহল ছিল। লেখাটা ভালো লেগেছে, পড়ে অনেককিছু জানতে পারলাম।

অদ্রোহ এর ছবি

বেশ কবছর আগে একটা জরিপে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা হয়েছিল। এখন তো মনে হচ্ছে, ওটাও এরকম কোন শুভঙ্করের ফাঁকি ছিল।

-------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

তানভীর [অতিথি] এর ছবি

অসাধারন একটা লিখা। ধন্যবাদ রাগীব ভাই।

ইমরান [অতিথি] এর ছবি

বিশ্বের ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটিগুলোর মাঝে বুয়েটের অবস্থান দেখে প্রতিবারই তাজ্জব বনে গেছি...আসলে স্নাতক পর্যায়ে বুয়েট একজন ছাত্রকে যে পরিমাণ সুযোগ সুবিধা দেয় ও তার পড়াশুনা ও পরীক্ষাপদ্ধতির মান বিশ্বের সেরা ভার্সিটি হতে কোনভাবেই কম নয়...যদিও সেশন জটের মতন কিছু খারাপ ব্যাপারও রয়েছে...তবু এহেন Ranking মানা যায় না কোনভাবেই...ভাই ধন্যবাদ...

mef এর ছবি

আশির দশকে বুয়েটে পড়ার সময় আমরাও এমন ভাবতাম. পরে সুযোগ হয়েছে সত্যিকার বিশ্বের সেরা কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটির সুযোগ সুবিধা ,
পড়াশুনা ও পরীক্ষাপদ্ধতি দেখার ও জানার. আমি বলবো বুয়েটের শুধু ছাত্রদের মান মেধা বিশ্বমানের আর কিছু নয়.
প্রতিভার অপচয়ের অনন্য উদাহরণ বুয়েটের শিক্ষাব্যবস্থা . আকাশ ছোয়ার যাদের সামর্থ, তাদের অধিকাংশ পরিনত হয় ছোট ছোট মানুষে.
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বুয়েটের, প্রতিষ্ঠান হিসাবে সফল ও দরকারি ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন নেই ..স্নাতক পর্যায়ে বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা কি না সেই প্রশ্ন তুলছি !!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এইজন্যই আমি জার্মান সিস্টেমের ফ্যান। ইউনিভার্সিটির ranking নিয়া কোনো মাথাব্যথা নাই, যে ইউনিভার্সিটি থেকেই পাস করা হোক, চাকুরির ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য নাই। সর্বোপরি, জিপিএ নিয়ে টানা-হ্যাঁচড়াও নাই বললেই চলে। পাস করলেই এনাফ, যে জবের জন্য আবেদন করা হচ্ছে, তার ব্যাকগ্রাউন্ড (অভিজ্ঞতা আর পড়াশুনা) আছে কিনা, সেটাই প্রধান বিষয়। পিএইচডি পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক প্রফেসর হয়তো রেজাল্ট দেখেন; কিন্তু সেক্ষেত্রেও ব্যাকগ্রাউন্ডই মেইন, একটা মিনিমাম লেভেলের নিচে (যেমন, ৩; জার্মান গ্রেডিং 1.0, 1.3, 1.7, 2.0, 2.3, 2.7, 3.0, 3.3, 3.7, 4.0, যেখানে ১ হলো বেস্ট) রেজাল্ট না থাকলেই হলো।

ইন জেনারেল, ইউনিভার্সিটির গ্রেডিং নির্ভর করে তার গবেষণার ওপর, ক্লাসে কেমন পড়ানো হয়, সে বিষয়টার প্রভাব খুব কম। বাংলাদেশে যেহেতু গবেষণা হয় না বললেই চলে, সেহেতু ক্লাসে পড়ানো, শিক্ষক ও ছাত্রের কোয়ালিটি এগুলোই ইউনি চয়েস করতে প্রধান ভূমিকা রাখা উচিত। তাছাড়া ছাত্রের উদ্দেশ্য, আর্থিক অবস্থা, আত্মবিশ্বাস ও মেধা অনুযায়ী ইউনি পছন্দ করা উচিত। যেমন, বাপের অঢেল টাকা থাকলে, কম পরিশ্রমে ভালো গ্রেড পাওয়ার সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা পোষণ করলে এবং অল্প সময়ে পাস করে বিদেশগামী হতে চাইলে বুয়েট খুবই ব্যাড চয়েস।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

তুহিন [অতিথি] এর ছবি

হা কথা সত্তি। এখন থেকে বুয়েট বা ঢাকা ভার্সিটিতে ভর্তি না হয়ে মানুষ জন টাকা খরচ করে বেশি gpa, cgpa নিয়ে বাইরে যাবে দেখি।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কাহিনী তাইলে এই

দেবজ্যোতি দাস দেবু এর ছবি

খুবই জরুরী পোষ্ট । অনুরোধ থাকলো পত্রিকাতে ছাপানোর ব্যবস্থা করার । কারণ ভার্সিটির কথা বলবো না,আমি বলবো সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের কথা । তারা এই ফাঁদে পা দিয়ে অযথা নিজেদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করবে । ধন্যবাদ ।

নোবেল [অতিথি] এর ছবি

দারুন পোস্ট। ব্যাপারটা আমি খেয়াল করি গতবছর যখন আম্রিকাতে এপ্লাই করার জন্য ভারসিটি র‌্যাঙ্কিং সার্চ করছিলাম । এই "ওয়েবমেট্রিক্সের" গুছানো র‌্যাঙ্কিং দেখে ( কন্টিনেন্ট, সাব-কন্টিনেট,আম্রিকা,কানাডা---ইত্যদি বহুরকম আলাদা আলাদা পেজ) প্রথমে খুবই পুলকিত হই। আরে এত সহজে এতগুলা আলাদা আলাদা র‌্যাঙ্কিং ! পরে ভেতরের খবর (মানে র‌্যাঙ্কিং এর ভিত্তি) দেখতে গিয়ে হোঁচট খাই ! আরে ! আজিব !! ওয়েব প্রেসেন্স এর ওপর এই র‌্যঙ্কিং ! বেশ মজা পেয়েছিলাম এটা পড়ে।

যাহোক, ব্র্যাক ভারসিটির ;কর্তাব্যক্তিরা এত "গোবর গনেশ" না যে কিছু না বুঝেই নিজেদেরকে ২য় বলে দাবী করছেন। উনারা ভাল করে বুঝে-শুনেই এই কাজটা করছেন কোমলমতি শিক্ষার্থী এবং এইসব বিষয়ে অজ্ঞ অভিবাবকদের প্রতারিত করে বেশি করে ছাত্র ভর্তি করিয়ে ব্যবসাটাকে আরেকটু ফুলিয়ে-ফাপিয়ে তুলতে। কস্ট লাগে এইটা ভাবতে যে, শ্রদ্ধেয় জামিলুর রেজা স্যার অইটার ভিসি ছিলেন আর এখন আইনুন নিশাত স্যার অইখানে ভিসি !

মুসা আহমেদ এর ছবি

রাগিব ভাই,
লিখাটা পরে খুব ভাল লাগল।একটা কথা,'চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়' নয় ,হবে 'চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়'..................তেমনি ভাবে অন্য গু্লিও পরিবতিত হবে।সুন্দর লিখার জন্য ধন্যবাদ..........................................

Nazia Noor এর ছবি

Inspite of the problems related to student politics, session jam, every year every student waits for the admission test of the DU. After being rejected or get failed in admission test then they tried to get admitted in other universities. To explain the ranking of universities in Bangladesh this one situation or the aspiration of the students to get admitted in DU is worth enough

সাইদ এর ছবি

সম্ভবত every student কথাটি ঠিক নয়। অধিকাংশ বললেই যথোপযুক্ত হবে। কারণ প্রকৌশল পড়তে আগ্রহী অনেকেই ঢাবি তে ভর্তি পরীক্ষা দেয় না। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বললাম।
বুয়েট, কুয়েট, রুয়েট, চুয়েট,ডুয়েট -এগুলিতেই অনেকই জানতাম তারা ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষা দেয় নাই।

আতিক চৌধুরী এর ছবি

ফেল করার পরে পরীক্ষা দেয়নি দাবি করতেই পারে।(তবে যদি শুধু বুয়েটের পরীক্ষা আগে হয় তাহলে আলাদা কথা)।
btw, ঢাবিতেও engineering পড়ানো হয়।

arefin এর ছবি

ei beparta pura desh er manushder janano dorkar...newspaper e asha uchit

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভাই, অনুগ্রহ করে বাংলায় লিখুন। কিভাবে লিখবেন তা জানতে এখানে যান।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

দরকারী লেখা চলুক

রিম সাবরিনা [অতিথি] এর ছবি

"বাদুরতলা ইউনিভার্সিটি চাইছে, চৌকিরতলা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতে র‌্যাংকে আগাতে।" পড়ে হেসে বাঁচি না। আসলেই কি এই দু নামে কোন ইউনিভার্সিটি আছে? থাকলে আমাকে জানাবেন। আমি চৌকিরতলা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতে আগ্রহী!

তুহিন [অতিথি] এর ছবি

আমার মনে হয় আসলেই এখন buet, dhaka varsity বা এ রকম বাংলাদেশের বিভিন্ন public varsity এর র‌্যাংকিং আগের তুলনায় অনেক কম।
কারন অবশ্যয় research funding কম, স্যাররা বাইরের বিভিন্ন varsity তে ক্লাস নিতে যান (কারন অবশ্যয় টাকা ( যদিও স্যারদের বেতন বাংলাদেশের সাপেেক্ষ কম নয় ) ) , কিছুটা হলেও সেশন জট। এছারাও এখান থেকে স্নাতক করলেও phd টা কিন্তু বাইরের থেকেই সবাই করে থাকে। তারপরেও বাংলাদেশ এর যে কোন public varsity এর র‌্যাংকিং যে কোন private varsity এর থেকে আনেক কম হবে। আর র‌্যাংকিং এর সাথে ছাত্র রাজনীতির কোন সম্পর্ক আছে বলে আমার মনে হয় না।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

তুহিন অতিথি লিখেছেন:
তারপরেও বাংলাদেশ এর যে কোন public varsity এর র‌্যাংকিং যে কোন private varsity এর থেকে আনেক কম হবে।
হলে আমি হয়তো খুশী হতাম অন্তত এই ভেবে যে কেউ না কেউ ভাল/বেশী কাজ করে পুরনদের পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো আপনি কেন এমনটা ভাবছেন, এর পেছনে কোন যুক্তি আছে আপনার? কিসের ভিত্তিতে র‍্যাংক করলেন আপনি? ধন্যবাদ।

তুহিন [অতিথি] এর ছবি

আমি যদি কোন অফেন্সিভ কিছু মন্তব্য করে থাকি তবে আমি দুঃখিত। এটা অবশ্যই আমার নিজের তৈরি করা র‌্যংকিং।আসলে আমি র‌্যংকিং করেছি পরাশোনার মান, পরিক্ষা পদ্ধতি(এখানে কিছু নাই বললাম),ল্যাব এর মান,শিক্ষার্থিদের মান, সর্বপরি অবকাঠামো(অন্তত ১ টা মাঠ, কিছু গাছপালা থাকাটা জরুরি!) এই সব কিছুর উপরে। আপনার কি মত।

আর পুরানোরাই বা পিছিয়ে যাবে কেন। তারা কি আরো ভাল করে সামনেই থাকতে পারবে না।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এবার আমি কনফিউজড। বোধহয় আপনার মন্তব্য আমি ভুল ব্যাখ্যা করেছিলাম। র‍্যাংক বলতে আপনি হয়তো সংখ্যার কথা বলেছেন, আর আমি বুঝেছিলাম কোয়ালিটির কথা।

আপনি কোন অফেন্সিভ মন্তব্য করেন নি।

কাদামাটি [অতিথি] এর ছবি

পোস্ট টার জন্য গণক মিস্তিরি - কে লাল সালাম ।

কুঙ্গ থাঙ এর ছবি

onion/আর্মস্ট্রং কেলিংকারীর পর বাংলা সংবাদ মাধ্যমের জন্য আরো একটা দূর্জেয় সফলতা হাসি :)

খুবই দরকারী একটি লেখা। ফেসবুকে শেয়ার দিলাম।

সচল জাহিদ এর ছবি

রাগিব, দরকারী লেখা। ফেইসবুকে শেয়ার করলাম।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

D.J.Rony এর ছবি

ব্যাপারটা অনেকটা ডিজিটাল বাংলাদেশের মতো। আমরা কাজে নাই- অথচ কে আমাদের কেমন ভাবে তাই নিয়ে মেতে আছি। নি:সন্দেহে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের student রা অনেক বেশী মেধা এবং যোগ্যতা সম্পন্ন। ভাইরে ডিজিটালের দরক্র নাই আমার এনালগ বাংলাদেশ ই ভালো।

শুভ [অতিথি] এর ছবি

এইসব রাঙ্কিং দেখা মানে সময়ের অপচয় করা।

শিপলু এর ছবি

ভিতরের কথা তাহলে এই।
হায়রে বাঙ্গালী।

রানা মেহের এর ছবি

খুব গুরুত্বপূর্ণ লেখা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

থার্ড আই এর ছবি

আমাদের দেশী সাংবাদিকের একটা বড় প্রবণতা হলো তথ্য যাচাই না করা, আর সংবাদ লিখার আগে প্রয়োজনীয় গবেষণাটাও আমরা অনেকে করিনা। অধীকাংশ পত্র কিংবা টেলিভিশনে সেই গবেষণার পর্যাপ্ত সময় কিংবা সুযোগও থাকেনা । কারন, বার্তা বিভাগে তাদের একটা নির্দিষ্ট কাজের ছকে বেঁধে রাখা হয় অথবা সংবাদ যাচায়ে তাদের দূরদর্শীতা নেই। এই চক্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে। প্রত্যেকটা মিডিয়া হাউজে গবেষণা বিভাগকে আরো শক্তিশালী করা প্রয়োজন। নইলে আমাদের এধরণের আজগুবি সংবাদ পড়তে হবে।
রাগিব ভাইকে ধন্যবাদ।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

Md. Waliullah এর ছবি

vaia,

khub valo laglo lekhata pore. but dhil kintu chora hoye giase. desher sadharon manush kintu ei shuvongkor-er faki ta jante parbe na ebong looser hote pare until and unless the fact is being published in daily news paper with importance. i just want to request your to do sth to publish it in newspaper, any paper if you can.

wali

শামীম এর ছবি

বেশ কিছুদিন আগে এই ব্যাপারগুলো অনুসন্ধান করে জেনেছিলাম। কিন্তু পোস্ট করার মত সময় বা প্রেরণা (প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী বলে পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার চান্স) ছিল না।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

রিং এর ছবি

ভাই খুবই সুন্দর একটা পোষ্ট। যথার্থ মূল্যায়নই করছেন। দেশের বিশেষজ্ঞ (বিশেষ বিষয়ে অজ্ঞ) রা কবে যে সত্যিকারের বিশেষজ্ঞ (জ্ঞানে, বিশেষ যোগ্য) হয়ে উঠবেন?

সুস্মিতা শ্যামা [অতিথি] এর ছবি

নিজেদের খোঁজ নিজেরাই না রাখলে এমনই হয়। আপনাকে ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানোর জন্য।

Ridowan এর ছবি

DU er ranking ki ta janar jonno ei link ta dekhlei bujha jabe

http://en.wikipedia.org/wiki/University_of_Dhaka#Ranking

Jodio Ami bolbo na tader tao optimal kintu "Top World Universities" er ta ontoto aro besi relevant. Ar ASIAWeek er tao ase. 2009 er ranking ekhane http://www.topuniversities.com/university-rankings/world-university-rankings/2009/results/500plusYou

Mushfiq এর ছবি

দারুন পোস্ট! অনেক ধন্যবাদ হাসি

তায়েফ আহমাদ [অতিথি] এর ছবি

জানলাম।। ভাল লাগল। অজ্ঞতা দূর হলো।।।

Guest এর ছবি

IMHO, this is not really bad that the academic people in BD got a wake up call, even though for a wrong reason. It is still good if we have a good effect for a wrong cause হাসি

Certainly everybody will agree that, in today's world, it is important to have a good website for a university and almost all the universities here have continuously failed to have that.

Fact: There are near to zero presence of BD universities in the world ranking lists. DU is the almost only university, that managed to make its presence (within world's top 500, but gradually doing worse!). Again, DU is listed in the top as a research institute of BD followed by ICDDRB (read http://en.wikipedia.org/wiki/University_of_Dhaka#Ranking and http://en.wikipedia.org/wiki/University_of_Dhaka , not quite updated though).

And, no doubt BUET is the top technology university in BD. For a tech university, it is important to have sufficiently good budget so that it can buy lab equipments and train the faculties accordingly to compete with the rest of the world. We, as a nation, are also far far behind in technologies comparing to the world. Perhaps, this is one reason for not seeing BUET in the top lists of world's technology universities.

Pathetic that the academicians BD, even today, are unable to translate the meaning of the online data. Few years back I saw one article in the daily Prothom-Alo where the author used the webometrics ranking as a source of information (and he seemed to be little happy as his university was on the top of the list, of course narrowed down to BD universities only). The worst part was that he is one of the renowned IT professors in the country. For the rest of the country, we learned to believe what is printed (a book can never be wrong!). So, there is no reason to question something, specially when the printed article comes from a renowned professor of the country!

Oh yes! It is still long way for the private universities to compete with the public universities here. So, don't worry if BRAC university or other private universities brag a little. And, of course, I will give credits to BRAC university for having a better website than most universities. And BUET also should get some credits for being, as expectedly, the no. 1 here.

Well, I am happy that the public universities got a wake up call. And sshhhhhh! let them be in panic and improve their systems (not only the website, the overall systems. there are many things to do which are perhaps more important than competing with the private universities in the field of web presence). So, who understands the real meaning of this ranking, let's become silent and see if anything good happens হাসি

নাজনীন খলিল এর ছবি

পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটা কি আমার ফেইসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করতে পারি?

শুভকামনা।

দ্রোহী এর ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিংয়ে পায়খানার দরজা থেকে শুরু করে ঝাড়ুদারের সংখ্যা পর্যন্ত অনেক কিছুই হিসাব করা হয়।

বিষয়ভিত্তিক র‍্যাংকিং তবুও খানিকটা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানের প্রকৃত চিত্র সম্পর্কে একটা ধারণা দেয়। কিন্তু ঢালাও র‍্যাংকিংয়ের কোন গুরুত্ব নেই। ওয়েবোমেট্রিক্স র‍্যাংকিং এমনই জিনিস যেখানে বেশ খানিকটা অর্থ ও সময় ব্যয় করে "আবুল হোছেন ডিগ্রী কলেজ" ও ওয়ার্ল্ড র‍্যাংকিংয়ে ঢুকে পড়তে পারবে।

আফসোস, আমাদের দেশে কোন ঘটনার ধনাত্মক প্রভাব পড়ে না। ওয়েবোমেট্রিক্স র‍্যাংকিংয়ের মত ফালতু জিনিস নিয়েও ব্যবসা হয়।

Mahnaz Fariba এর ছবি

শেয়ার করতে চাই ফেসবুকে।ধন্যবাদ এমন জটিল একটি লেখার জন্য... দেঁতো হাসি

হাসিব এর ছবি

মডারেটরদের কাছে অনুরোধ করছি ইংরেজি বা রোমান হরফে বাংলা মন্তব্য নিরুৎসাহিত করতে। ফোনেটিকের যুগে বাংলা লিখতে না পারার কোন অজুহাত গ্রহণযোগ্য না।

________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি

রণদীপম বসু এর ছবি

সম্ভবত আমাদের লাফালাফি করার মতো জিনিসের অনেক টান পড়ে গেছে। রাগিব ভাই এই পোস্ট দিয়ে সেই সুযোগটাও বন্ধ করে দিলেন ! আপনি খুব খারাপ ! হা হা হা !
ভাবছিলাম বড় হইয়া সাংবাদিক হমু। যেইভাবে আপনেরা পিছু লাগছেন, এখন তো ডর লাগতেছে !

যে কোন কিছু যাচাই না করেই গিলে ফেলার অপস্বভাবটা আমাদের জাতীয় চরিত্র। নইলে আমাদের দেশে ফুলের মতো চরিত্রবান এতো নেতার জন্ম হতো না। তবে ওয়েবমেট্রিক্স র‍্যাংকিং এ চলমান বিষয়টার একটা ইতিবাচক দিকও আছে। বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তির যুগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটগুলোকেও যে মানসম্মত অবস্থায় উন্নীত করা দরকার, বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত গবেষণা রিপোর্টগুলো মুক্ত-ওয়েবে রাখা দরকার এ বিষয়টার গুরুত্বকে খাটো করে দেখার প্রবণতা যদি এবার একটু হ্রাস পায়। সোজা কথায় তথ্যভাণ্ডার সমৃদ্ধ করা তো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একান্তই জরুরি, শিক্ষার্থী-প্রজন্মের যথাযোগ্য শিক্ষা ও অনুপ্রেরণাদানের জন্যেও।

ধন্যবাদ রাগিব ভাই, অবশ্যই এই পোস্টটা একটা গুরুত্বপূর্ণ টপিক।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সাজেদুর রহমান এর ছবি

রাগিব ভাই,আপনার অনুসন্ধান ভাল লাগল। কিন্তুআপনার কথা যেমন সত্যআবার এ কথাও সত্য যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত প্রতিষ্ঠানগুোর কতৃপক্ষরাও তাদের দায়িত্বে বেশ যত্নসহকারে অবহেলা করছেন। ব্রিটেন তার সাথে অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুোর এমন এক চুক্তির চিন্তা করছে যে, যেই দেশে ব্রিটেনের যত ছাত্র ভর্ হবে সেই দেশ থেকে ব্রিটিশ সরকারও তত ছাত্রকে পড়া লেখার জন্য ব্রিটেনআসার সুযগ দেবে। একটা এক্সচেঞ্জের মত আরকি।এখন ভারতের মত দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালঢগুো তাদের সাব ধরেণের সাফল্য ফলা্ও করে ছাত্রআকৃষ্ষ্ট করার চেষ্টা করছে। ধরেই নিই ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশে কেউ পরতে যাবে না। কিন্তু তাই বলে চেষ্টা না করে চাপাবাজিআর তেলবাজি করাটা কি খুব প্রশংসাোগ্য ব্যাপার? ওয়েবসাইটের র‌্যাংকিংওআধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়গুোর জন্য অত্যন্ত জরুরী সেকথাআমাদেরআচাযর্ এবংউপাচাযকে ভুলে গেলে চলবে না। কেবল নেতৃর গবেষণাআর নিজ দলের ছাত্র সংগঠনের মাথায় হাত বুলালেই চলবে না।আমাদের পিতা মাতা পিঠে রক্তজবার ক্ষত নিয়ে তাদের তাদের কাঁধেআমাদের সুযে াগ করে দেওয়ার ভার তুলে দিয়েছেন। তার মরযাদা তারা যদি রাখতে না পারেন ো সরকারি চাকুরি করে ভুঁড়ি বাড়ান।স্বায়ত্বশাসনের সুযগ তাদের জন্য নয়।

ধীমান এর ছবি

অনেক দিন পর তোমার খোঁজ পেয়ে বেশ ভালো লাগলো । তুমি করে বললাম কারন আমরা দুজন একসাথেই উচ্চমাধ্যমিক দিয়েছিলাম । আশা করি মনে কিছু করনি ।বুয়েট ভর্তির সময় একসাথেই পরীক্ষা দিয়েছিলাম । আমি অবশ্য কম্পিউটার নিয়ে বুয়েটে পরিনি।বুয়েটে পরেছি পুরকৌশল নিয়ে। র‍্যাঙ্কিং নিয়ে তোমার লেখা সমসাময়িক হয়েছে- যদিও কেন জানি আমরা ছোটবেলা থেকেই নামের পাশে কত নম্বর সেটা খুব পছন্দ করি।বাংলাদেশ দুর্নীতিতে কত নম্বর, পাশের হার কত % , রোল নম্বর ৪ না ৫, কোন স্কুল বোর্ডে কত তম ।বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয় কত দূর এগিয়ে গেলো সেটা ভাবতে পারাটা হয়ত নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাবার চেয়ে ও গুরুত্বপূর্ণ। আশাকরি প্রতিযোগিতার চেয়ে
আত্মস্বকীয়তাকে মূল্যায়ন করার বোধোদয় একদিন বাংলাদেশীদের হবে।

সিফাত এর ছবি

যা কিছুই হোক, জাতীয়বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান মনে হয় ঠিকই আছে।আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের সাথে পড়ালেখার মানের যথেষ্ট মিল।

দেবাশীষ [অতিথি] এর ছবি

রাগীব ভাই,
লেখাটা কোন দৈনিকে ছাপালে ভাল হত। লোকজন আসল ব্যাপারটা জানত।

অরকো এর ছবি

আমাদের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর Website এর অবস্থা এ থেকে বোঝা যায় । অবশ্য ঠিকই আছে, এসব ছোটখাট ব্যাপার নিয়ে মাথা ঘামানর সময় কই আমাদের স্যারদের ? তাদের তো আরো গুরুতর ব্যাপার(রাজনীতি,private versity'র class) নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় । আমার নিজের versityর Website দেখলে নিজেরই লজ্জা লাগে ।

রেজা এর ছবি

সময়োপযোগী লেখাটির জন্য রাগিব সাহেবকে ধন্যবাদ। লেখাটি সর্বত্র প্রচারের আহবান জানাই, যেনো ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদেরকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বর্তমান র‍্যাংকিং বিষয়ক হতাশা মুক্ত ও শিক্ষা সম্পর্কে উত্সাহিত করে।

মুহাম্মাদ রবিউল ইসলাম এর ছবি

যাই হোক তাই হোক একটা র‍্যাংকিং কিন্ত প্রয়োজন............

Shuvo এর ছবি

রাগিব ভাইয়া

http://www.4icu.org/bd/

এই আজ্গুবি ranking নিয়ে কিছু লিখবেন কি please? এখানে BUET এর চেয়ে AIUB ranking higher. থলের বেড়াল টা বের করুন please.

সন্দিপন এর ছবি

লেখককে অনেক ধন্যবাদ।

মিশুক রাহমান এর ছবি

মরলাম না কেন?ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আগায় নাকি গোড়ায় তা প্রামানের লাগি মহাপন্ডিত রাগিবের লেখা পএিকায় টাঙ্গাইতে হইবে। ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কি হাত-পা নাই?ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়রে ডিঙ্গাইছে তো কি হইছে। নাকি ডিঙ্গানো যাবে না জাতীয় ফতোয়া কেউ দিয়েছে? মিয়া ভাই দেশে একটা মাএ প্রাচ্যের অক্সফোর্ড(কে উপাধি দিয়েছে মনে নাই)।কয়েক যুগ তো হলো এবার না হয় দেশের ভেতর প্রাচ্যের অক্সফোর্ডের সংখ্যা বাড়ুক। আর কি যেন ওয়েব কারসাজির ফতোয়া দিলেন তা শুনে আপন মনে হাসলাম।মনে হইল পুরা মানব জাতি মেধা চত্বরে মেধা দান করে আজ শুন্য রিক্ত। মনে হইল এখনি প্রিন্ট মাইরা বরারর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হেডমাষ্টারের কাছে পাঠাই দেই। মনে রেখ রাগিব গং যদি কোন দিন আরও রেংকিং হয় আর যদি ডিইউ এর নাম আগায় থাকে তবে আমিও ওয়েবপেইজ সংক্রান্ত ভাওতা ফতোয়া দিব। আমাদের মন মানসিকতা সবসময় অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়।এভাবেই চলে আমাদের অনন্ত প্রবাহ চক্র।।

মুক্তাদির  এর ছবি

মিশুক ভাই, আপনাদের এই ফালপাড়া স্বভাবটা আমার কাছে বড্ড হাস্যকর লাগে । রাগিব ভাই কোন ফতুয়া দেয় নাই । আপনারা যেই রাংকিং এর উপর ভিত্তি করে নিজেদের ওয়েবসাইটে নিজেদেরকে ২য় সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দাবি করে বসলেন, সেই র‌্যাংকিং এর মেথডলজিটা (আশা করি মেথডোলজি কি, তা বুঝেন ) উনি প্রমানসহ বর্ননা করেছেন মাত্র । পারলে নিজে একবার ওই সাইটে দেইখা আইসেন কিসের ভিত্তিতে র‌্যাংকিং হইছে ।
হুদা লাফাইয়েন না । কেউ বলে নাই যে আপনারা খারাপ । কিন্তু ওয়েব পাতার সংখা গুনে করা র‌্যংকিং এর উপর ভিত্তি করে নিজেদের সেরা ঘোষণা করে আপনারা নিজেরাই নিজেদেরকে হাস্যকর প্রমান করলেন ।
শেষে একটা কথা বলি, বিশ্ববিদ্যালয় কোন কোচিং সেন্টার নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং এর জন্য অনেকগুলো মানদন্ড (যেমনঃ গবেষণা, আকার, আয়তন, শিক্ষক সংখ্যা ও তাদের যোগ্যতা, শিক্ষার্থী সংখ্যা, সুযোগ সুবিধা, বাজেট, আর্থ সামাজিক অবদান, শিক্ষা শেষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাত্র ছাত্রীদের অবদান, ইত্যাদি ইত্যাদি ) একসাথে বিবেচনা করতে হয় । আপনাদের সেন্টারের পরিচালক নিশ্চয় একথা জানে । তার থেকে জেনে নিবেন ।
ধন্যবাদ ।

তনু এর ছবি

রাগিব ভাইয়া আমি আপনার মোটামুটি ভালো ফ্যান। আপনি সবকিছু নিরুপন করেই বলছেন।আমি একজন প্রাইভেটের স্টুডেন্ট হিসেবে ভালো কষ্টই পাইছি। আপনি একজন পূজনীয় মানুষ। এভাবে না রেগেও কমেন্ট করা যেত না ভাইয়া ?রাঙ্কিং দিয়ে তো আর কিছু হবে না।কারা সেরা সেটা পাবলিক জানে।কিন্তু আপনি যতোটা খারাপ ভেবেছেন অতটা খারাপ নাও হতে পারে। কিছু প্রাইভেটের মান ভালো। তাই বলে বুয়েট বা ডিইউ এর সাথে তুলনা চলে না।আর রাঙ্ককিং দিয়ে সব কিছুর বিচার হয় না।

শোয়েব এর ছবি

আমি ভাবতেছি লেখাটি আমাদের (শাবিপ্রবি) বর্তমান ভিসি স্যারকে পাঠাবো! আমি পুরাই হতবাক হইছি যখন শুনছি উনারা এই টাইপের র‌্যাংকিং দেখে আনন্দ মিশিল করছেন। লেখাটিতে খুটিনাটি বিষয়গুলি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।