(১)
বাংলাদেশের সবাই কি এক সময় জমিদার ছিলো?
প্রবাসে বাংলাদেশী যার সাথেই কথা হয়, এক সময় শুনতে পাই তার দাদা বা নানা জমিদার ছিলো। শুনে কৃষক দাদার নাতি আমি মাথা চুলকাই, গাদায় গাদায় জমিদার কোথায় জমিদারী করতো, সেই হিসাব মিলে না।
(২)
আমরা বাঙালিরা সব কিছুই "খাই" কেনো?
খাবার নাহলে খেলাম, কিন্তু তরল পানীয়ও কেনো খাই? পাশ্চাত্যের ভাষাতে, যেমন ইংরেজিতে, তরল পানীয় গ্রহণের জন্য আলাদা ক্রিয়াপদই আছে, হিন্দিভাষীরাও "পানি পিয়ে", কিন্তু সেখানে বাঙালিরা কেনো সব খেতে শুরু করলাম? অবশ্য বাংলাতে পানি পান করার কথা বলা চলে, কিন্তু বাস্তবে কি কেউ সেটা বলে - "পানি পান করবেন?" মনে হয় না -- আমরা সব কিছুই "খাই", পানি থেকে শুরু করে ওষুধ পর্যন্ত!!
প্রাচীন বাংলাতেও কি এমন ছিলো? সাহিত্যে কী ছিলো তা না হয় মঙ্গলকাব্য বা অন্য কিছু পড়ে জানা যাবে, কিন্তু সে আমলের আম জনতাও কি পানি "খেয়ে" চলতো, পান করার বদলে?
(৩)
আমরা কি স্বভাবগত ভাবেই কান-পাতলা?
প্রশ্নটা মাথায় এলো, পত্রপত্রিকা কিংবা নানাজনের মুখে নানা কথা শুনে। সেদিন পত্রিকায় পড়লাম, "জলমানব" নওশের আলীর কথা, যিনি পানির নিচে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতে পারেন বলে দাবি করেন, আর আবেগাপ্লুত সাংবাদিকের কাছে সেটা গিনেস রেকর্ডে ওঠাবার স্বপ্নের কথা বলেছেন। ৭২ ঘণ্টা পানির তলায় ডুবে থেকে, সেখানেই খাবার/পানীয় খেয়ে নাকি নওশের তার এই "ক্ষমতা"র "ডেমো" দিয়েছেন ও আরো দিবেন।
মনে পড়ে গেলো ৯০ এর দশকের কথা। এই একই নওশের আলী তখনও এরকম পানির তলায় ডুবে থাকার প্রদর্শনী করতেন, আর দাবী করে বেড়াতেন অলৌকিক ক্ষমতার। নানা পত্রিকার গালভরা রিপোর্টে ব্যাখ্যাও করা হতো, নওশের কীভাবে এই "ক্ষমতা" পেলেন। কিন্তু একদিন হাতে নাতে ধরা পড়েন নওশের, প্রকাশ পেয়ে যায় খাবার/পানীয়ের নলের মাধ্যমে পানির তলায় শ্বাস নিতেন এই প্রতারক। সে রিপোর্ট বেরুবার পর নওশেরের নাম আর সে দশকে পত্রিকায় দেখা যায়নি।
৯০ এর দশক খুব আগের কথা না, সেই প্রতারকের কথা এতো তাড়াতাড়ি মানুষ ভুলে যাবে, তা বিশ্বাস হতে কষ্ট হয়। তাই পত্রিকায় যখন ফলাও করে "জলমানব" নওশেরের গালগল্প ছাপা হতে দেখি, মনে হয় কেবল, আমরা আসলে জন্মগতভাবেই কান-পাতলা, যেখানে যা বলা হয়, সবই হয়তো বিশ্বাস করে বসি। আর এই কান-পাতলাগিরির দোষটা কেবল বাঙালির নয়, পুরো বিশ্বের সব খানেই একই দশা। হয়তো এটা মানবজাতিরই আজন্ম বৈশিষ্ট্য -- যুগ যুগান্তর ধরে পাতলা কান নিয়েই ঘুরছি আমরা। কেনো???
(এলোমেলো প্রশ্নের অগোছালো পোস্ট। গুরুতর কিছু নয়। সিরিজ হতেও পারে কি না, সে আরেক এলোপ্রশ্ন।)
মন্তব্য
কিছু জিনিস বাদ গেছে।
১.
সবাই জমিদার ছিলো না। কিছু ছিলো জমিদার, বাকিদের পূর্বপুরুষ আরব মুলুক থেকে আসা।
২.
বাঙালির খাবার লিস্টিতে আরো একটা জিনিস আছে। সেটা হলো বিয়ে খাওয়া। অনেকেই বলে, বিয়ে খেয়ে এলাম।
৩.
এই তালিকায় আরো ঘটনা আসতে পারে। পঞ্জি স্কিমে কদিন পরপরই মানুষজন ধরা খায়। পত্রিকায় আসে, তারপও মানুষ আবারো সেইসব জায়গাতেই যায়।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
১.
"মাছের পিঠে সওয়ার হয়ে আসছে" কথাটা বাদ পড়ে গেছে।
কাকস্য পরিবেদনা
১. বাঘের পিঠেও আছে মেম্বর!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
টাইম ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং করত মনে হয়। আজকে আমি জমিদার, কালকে তুমি, পরশুদিন আবার আমি...।
সজল
হা হা হা। দারুণ।
কোন ভার্সিটি সজল ভাইয়া ?
সাত্যকি
১। পশ্চিমবঙ্গেও বাঙালদের ( আমরা যারা বাঙাল তারা খুব গর্ব করেই নিজেদের বাঙাল বলে পরিচয় দি) নিয়ে এই জোকটা চালু আছে। ছোটবেলায় আমার খুব দুঃখ ছিল এই নিয়ে। একে তো আম-জাম-লিচু খেতে যাওয়ার "দ্যাশের বাড়ি" নেই, আবার থাকলেও নাকি তা পদ্মার ভাঙনে তলিয়ে গেছিল। যাহ বাবা!
২। সাধু বাংলায় পান লেখা হত। কিন্তু ভেবে দেখুন এখন আমরা ছাড়া আর কেউই খাদ্য, পানীয়, ধোঁয়া বা চুমু "খেতে" পারেনা। এই পারাটা দারুন না?
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
ভাগ্যিস পোলাপাইন কেন বলা শেখার পর এইসব প্রশ্ন করতে পারবে না ... ... নাইলে মেয়ের জন্য এগুলোর উত্তর মুখস্থ করা লাগতো ... ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
(১)
আমরা সবাই জমিদার ছিলাম। আলাদা আলাদা টাইম-স্পেসে।
(২)
হরফের সঙ্গে একমত। নইলে কি করে 'বালিকা তোমায় চুমু' খেতে পার্তেম? মানে, থিয়োরেটিকালি পার্তেম? (হায়, প্র্যাকটিকালের মুরোদ নেই এখনও)
(৩)
কি আর বলি...
হা হা হা।
জমিদার আর আরব দেশ থেকে আসা- এর বাইরে বোধহয় আর কিছু নাই। যাদের নামে চৌধুরি বা সৈয়দ বা রাশভারী কিছু টাইটেল আছে তারা তো আরো এক কাঠি সরেস। এরা নাকি জমিদারও ছিলো, পূর্বপুরুষও নাকি আরবের সম্ভ্রান্ত বংশীয়। চৌধুরি, রায় বাহাদুর, খান বাহাদুর হাবিজাবি টাইটেল তো ব্রিটিশরা তাদের ভৃত্যদের গোলামি করার জন্য দিয়েছিল। জমিদাররাও মোটামুটি সবাই বিশ্বাসঘাতক গোলাম ছিল। যারা এগুলো নিয়ে বেশি বড়াই করে তাদেরকে বরং 'বিশ্বাসঘাতকদের বংশধর' হিসেবে ডাকা যেতে পারে। আর আরব দেশ থেকে যারা আসছে দাবী করে তারা অনুগ্রহ করে আবার আরবে হিজরত করলে দেশের জনসংখ্যাও কমে। এত খান্দানি লোক কষ্ট করে চাষাভুষার মাঝে থাকার প্রয়োজন কী?
পানি 'খাওয়া'র মতো আরেকটা বিষয় হলো চুল 'কাটতে' যাওয়া।
এই যে একটা পারফেক্ট বোকাচো এইখানে
From Adam to Aaron Ahmed Siddiky
হে হে হে, জটিল!! এটাতো দেখি নাই আগে।
এরে তো জাদুঘরে বাইন্ধা রাখার দরকার।
অনন্ত
বাবা আদমের পরে মাত্র ঊননব্বই পুরুষ গেলো?
মাঝখানে লাইন ব্রেক আছে তো, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আর আবু বকর সিদ্দিকীর মাঝে খেয়াল করেন।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
এইটা একটা ক্লাসিক মাস্টার পিস। আসলেই বান্ধাইয়া রাখার মত।
Please checkout the official records in Banglapedia (the official Bengali encyclopedia on Bangladesh) on the source of the geneology of the Zamindars of Baliadi from Adam to Aaron before engaging in defamatory slander in Bangla in Bangladesh's most respectful historic, feudal landholding estate. The Zamindars of baliadi are not your Falu, Malu, Alo, Patol etc. Thank you.
আতংকে আমার হাত-পা......
ওরে কে আছিস...এখানে জমিদার সাহেবের পদধুলি পড়েছে...ওনাকে ঠিকমতো যত্ন-আত্তি কর, খাজনা-পানি দেও। স্যার আমরা অজ্ঞাতকুলশীল, গণ্ডমূর্খ। কী বলতে কী বলে ফেলেছি। স্যার আমাদের ধনে-প্রাণে মারবেন না। দয়া করুন স্যার। পিলিজ।
তো কী?
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
এই যে কথাগুলি বললেন, সেই সংবাদ সম্মেলনের মতো আপনার পিতৃদেব আবার বিব্রত হবেন না তো? তাকে জিজ্ঞেস করে নিয়েছিলেন তো ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ঐ ব্যাটা, তুই ক্যারারে? জমিনদারী থুইয়া এইহানে কি করস? কামলারা কাম বাদ দিয়া বদামী করবো তো, যা যা, তাড়াতাড়ি ক্ষেতের কাম দেখ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
পানি তো পানি, বাঙালি গুলি পর্যন্ত খেয়ে ফেলে! আরো অনেক কিছু মাথায় আসছে, সার্চ দেয়ায় এখানে অনেকগুলো পাওয়া গেল।
খাওয়া ক্রিয়াপদটার এত রকম ব্যবহারে কোন সমস্যা দেখি না। প্রতিটি ভাষারই নিজস্ব কিছু ব্যাখ্যাতীত ব্যাপার আছে, বাংলাও তার ব্যতিক্রম না।
________________________________
মা তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো...
"পানি তো পানি, বাঙালি গুলি পর্যন্ত খেয়ে ফেলে"- এটা একটু ভুল হল যে! শুধু বাঙালি না অ-বাঙালিরাও গুলি বা গোলি খায়। শোলে ছবিতে আমজাদ খানের সেই সেই বিখ্যাত ডায়ালগ মনে করুন "অব গোলি খা"
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
আমিও মাথা চুলকাই - জানা অজানা আশেপাশের সবাই দেখি ৫০, ৬০ বা সত্তর দশকে বিদ্যালয়ে/ক্লাসে প্রথম হত। দ্বিতীয়/তৃতীয় কারা হত, অথবা আদৌ হত কিনা কে জানে।
আহা নৈষাদ অবাক হন কেন?
তারা জীবনে দ্বিতীয় হন নি কিন্তু তৃতীয় হন নি বা চতুর্থ হন নি বা দশম হন নি চতুর্বিংশ হন নি তা তো আইনে বলে না!
----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ছাত্র মোটে একজন। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ হতে চাইলেও সে সুযোগ নেই।
কাকস্য পরিবেদনা
আহ্! আমি কেবলই বলতে এলুম, যে সবার বাবারাই যদি ফার্স্ট হতো, তবে সেকেন্ড হতো কাদের বাবারা?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আহা সুকুমার কইয়া গেছেন। বাঙালি সব কিছু "খায়"।
" টোল খায় ঘটিবাটি দোল খায় খোকারা
ঘাবড়িয়ে ঘোল খায় পদে পদে বোকারা।
..............................
..............................
"
লিখে দিন না কারুর মনে থাকলে।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আহা গুগল চৌধুরি থাক্তে মন থেকে নেখতে হবে কেনু? এই নিন-
খাই খাই করো কেন, এসো বসো আহারে—
খাওয়াব আজব খাওয়া, ভোজ কয় যাহারে।
যত কিছু খাওয়া লেখে বাঙালির ভাষাতে,
জড় করে আনি সব— থাক সেই আশাতে।
ডাল ভাত তরকারি ফল‐মূল শস্য,
আমিষ ও নিরামিষ, চর্ব্য ও চোষ্য,
রুটি লুচি, ভাজাভুজি, টক ঝাল মিষ্টি,
ময়রা ও পাচকের যত কিছু সৃষ্টি,
আর যাহা খায় লোকে স্বদেশে ও বিদেশে—
খুঁজে পেতে আনি খেতে— নয় বড়ো সিধে সে!
জল খায়, দুধ খায়, খায় যত পানীয়,
জ্যাঠাছেলে বিড়ি খায়, কান ধরে টানিয়ো।
ফল বিনা চিঁড়ে দৈ, ফলাহার হয় তা,
জলযোগে জল খাওয়া শুধু জল নয় তা।
ব্যাঙ খায় ফরাসিরা (খেতে নয় মন্দ),
বার্মার ‘ঙাপ্পি’তে বাপ্ রে কি গন্ধ!
মান্দ্রাজী ঝাল খেলে জ্বলে যায় কণ্ঠ,
জাপানেতে খায় নাকি ফড়িঙের ঘণ্ট!
আরশুলা মুখে দিয়ে সুখে খায় চীনারা,
কত কি যে খায় লোকে নাহি তার কিনারা।
দেখে শুনে চেয়ে খাও, যেটা চায় রসনা;
তা না হলে কলা খাও— চটো কেন? বসো না—
সবে হল খাওয়া শুরু, শোনো শোনো আরো খায়—
সুদ খায় মহাজনে, ঘুষ খায় দারোগায়।
বাবু যান হাওয়া খেতে চড়ে জুড়ি‐গাড়িতে,
খাসা দেখ ‘খাপ্ খায়’ চাপ্কানে দাড়িতে।
তেলে জলে ‘মিশ খায়’, শুনেছ তা কেও কি?
যুদ্ধে যে গুলি খায় গুলিখোর সেও কি?
ডিঙি চড়ে স্রোতে প’ড়ে পাক খায় জেলেরা,
ভয় পেয়ে খাবি খায় পাঠশালে ছেলেরা;
বেত খেয়ে কাঁদে কেউ, কেউ শুধু গালি খায়,
কেউ খায় থতমত— তাও লিখি তালিকায়।
ভিখারিটা তাড়া খায়, ভিখ্ নাহি পায় রে—
‘দিন আনে দিন খায়’ কত লোক হায় রে।
হোঁচটের চোট্ খেয়ে খোকা ধরে কান্না
মা বলেন চুমু খেয়ে, ‘সেরে গেছে, আর না।’
ধমক বকুনি খেয়ে নয় যারা বাধ্য
কিলচড় লাথি ঘুঁষি হয় তার খাদ্য।
জুতো খায় গুঁতো খায়, চাবুক যে খায় রে,
তবু যদি নুন খায় সেও গুণ গায় রে।
গরমে বাতাস খাই, শীতে খাই হিম্সিম্,
পিছলে আছাড় খেয়ে মাথা করে ঝিম্ঝিম্।
কত যে মোচড় খায় বেহালার কানটা,
কানমলা খেলে তবে খোলে তার গানটা।
টোল খায় ঘটি বাটি, দোল খায় খোকারা,
ঘাব্ড়িয়ে ঘোল খায় পদে পদে বোকারা।
আকাশেতে কাৎ হ’য়ে গোঁৎ খায় ঘুড়িটা,
পালোয়ান খায় দেখ ডিগ্বাজি কুড়িটা।
ফুটবলে ঠেলা খাই, ভিড়ে খাই ধাক্কা,
কাশীতে প্রসাদ খেয়ে সাধু হই পাক্কা।
কথা শোনো, মাথা খাও, রোদ্দুরে যেও না—
আর যাহা খাও বাপু বিষমটি খেয়ো না।
‘ফেল্’ ক’রে মুখ খেয়ে কেঁদেছিলে সেবারে,
আদা‐নুন খেয়ে লাগো পাশ করো এবারে।
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ো নাকো; যেয়ো নাকো ভড়্কে,
খাওয়াদাওয়া শেষ হলে বসে খাও খড়্কে।
এত খেয়ে তবু যদি নাহি ওঠে মনটা—
খাও তবে কচুপোড়া খাও তবে ঘণ্টা।
অনেক অনেক ধইন্যাপাতা।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এখন তো প্রশ্ন করলেই বরং ভাবে দুটাকার ব্লগার প্রশ্ন করে কোন সাহসে! 'আমি বলছি বিশ্বাস করেন', বলেই চুপ করাতে চায় কেউ কেউ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমার আম্মার ফ্যামিলির পূর্বপুরুষেরা ইরান না কোত্থেকে জানি আসছে। আমি মাঝে মাঝে ভাবি বেকুবগুলা পশ্চিম দিকে না গিয়া পুবদিকে হাঁটা ধরসিলো কোন দুঃখে? একটু আকল্মন্দি করে উল্টাটা করলেই তো আমার আর জিয়ারিটিয়ারির হেজেমনির মধ্য দিয়ে যাওয়া লাগতো না
দুদিনের ছেলে, নাক টিপলে এখনও দুধ বের হবে, আর এসব সিরিয়াস ব্যাপার নিয়ে ফাজলামো হচ্ছে? বলি তোমাদের কলম্বাস যখন চতুর্দশ শতাব্দিতে বৈঠা নিয়ে আম্রিকা খোঁজে, তখন এদিকে গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু, পুকুর ভরা মাছ, শৌর্যেবীর্জে, সহস্র বছরের সংস্কৃতিতে...
আল্টিমেটলী আমরা সবাইতো আসলে আফ্রিকা থেকে আসছি [১,২]। তখন অবশ্য আমরা সবাই বাঁদর ছিলাম।
[১] http://www.reuters.com/article/idUSL1885586220070718
[২] http://en.wikipedia.org/wiki/Mitochondrial_Eve
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমার দাদার বাবা ডাকাইত্ ছিলো!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
এইবার বুঝলাম, কাহিনি ঠিক "কুঞ্জায়গায়" গিয়া প্যাচটা খাইলো!
বাধাই হো সুজন্দা, এমনে না হোক, অন্তত ওমনে হৈলেও একজন মেয়র পাইতাছেন নিজেগো মইধ্যে! আপনের দাদার বাপে একটা ব্যাডাই আছিলো।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
১) আমার এক বন্ধু খুব গর্ব করে বললো, "....-তে মেয়েরা বাংলাদেশি ছেলে দেখলেই হুমড়ি খায়া পড়ে, মনে করে নবাবের বংশধর।" (এখান ইমো কী দিবো বুঝি না, হায়, সন্ন্যাসীদা যদি থাকতেন!) অনেক প্রবাসীরও দেশে এসে আমি কী হনুরে দেখানোর অভিজ্ঞতাও আছে কিন্তু, খিয়াল কৈরা!
২) 'Eat hot lead' তো ডায়মন্ড কমিক্সের নানা সিরিজের নিয়মিত উক্তি ছিলো মনে পড়ে। তসলিমার একটা লাইন মনে পড়ে গেলো, স্পষ্ট মনে নেই বিধায় লিখছি না, আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আমাদের সাথের এক নেপালি বন্ধু ক্যারম খেলতে গেলে বলতো, "ওই গুটিটা খাই দে।" সাধে তার মাঝে মাঝে পেট খারাপ হতো!
৩) হুম। তাই, এবং বাঙালি বিস্মৃতিপ্রবণও বটে। নাকি দুটোই মিউচুয়ালি ইন্ক্লুসিভ? এব্যাপারে সিরাত কিছুটা আলোকপাত করতে পারেন কি?
বিস্মৃতির কথা বলতে গিয়ে মনে পড়ে গেল: চার বছর আগের ঠিক এই তারিখে (২৮ নবেম্বর) হৃদয়বিদারক কালো দিনের, রক্তাক্ত পৈশাচিক, পাশবিক কাহিনির কথা এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে ভুলে গেলেন? ছাগলদের মর্মান্তিক আর্তনাদ কি আপনাদের কানে পৌঁছায় না? এসব দানবতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ইচ্ছে জাগে না?
৪) আমি মাধ্যমিক পরীক্ষা দেই ১৩ বছর ৭ মাসে, ল্যাপিকিবোর্ডদুর্বলইন্টার্নেটলাইনের কসম। বয়েস ১ বছর ৩ মাস বাড়াতে হয়। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার রেকর্ড করে সব সুবিধে সেদিকেই শেষ। আমার পিতা এবং মাতামহ (পিতামহ অতোটা নেকাপড়ার ধারেপাশে ছিলেন না, তবে সাক্ষর ছিলেন এবং কোর্টের চাকুরে ছিলেন) আমার চাইতে আরো অনেক বেশি বয়েসেই মাতৃকোলনাশ করেন।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
১)
কলকাতায় একটা গল্প প্রচলিত আছে, দেশভাগের পর এখান থেকে যারাই ওখানে গেছে, তাদের প্রত্যেকেরই দাবী পূর্ববঙ্গে তাদের নাকি জমিদারী ছিলো। তো এমন একজনকে জিজ্ঞেস করছে এক কলকাতার লোক...
: আচ্ছা তোমাদের কি ঘোড়া ছিলো?
: ছিলো মানে? গণ্ডায় গণ্ডায় ছিলো...
: আর হাতী?
: হাতীশাল ভর্তি ছিলো হাতি...
: আচ্ছা, তোমাদের কি সোনাগাছী ছিলো?
: আরে সে তো ঘরে ঘরে ছিলো...
আমার দাদাও কৃষক, চাচারাও এখনো কৃষক।
২)
খাওয়া নিয়ে খোঁটা দিয়েন না, আমরা একটু খেতে ভালুবাসি। সবকিছুই খাই। সাহিত্য লিখতে গেলে মাথায় রাখতে হয় পাঠক খাবে কী না, সিনেমা বানাতে গেলেও ভাবতে হয় দর্শক খাবে কী না। ঢাকার উত্তরোত্তরাধুনিক প্রেমিকেরা এখন প্রেম করে না, খালি খায়...
৩)
নওশের আলীর অলৌকিক ক্ষমতা নিয়ে চাপাবাজী বাদ দিলে যা থাকে তা কীরকম?
ব্যাপারটাকে যদি ম্যাজিশিয়ানের সঙ্গে তুলনা করি? কৌশল তো একটা থাকবেই, কৌশলটা যে আয়ত্ত্ব করতে পারে তাকে কি আমরা ক্রেডিট দিবো?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
রাগিব ভাই,
নওশের ভাইজান নাকি, পানির তলায় বইসে বিড়িও ফুঁকেন...দেখার বড় সাধ ছিল...এইডা কী ওয়ারটার প্রুফ বিড়ি ??
-হুতোম প্যাঁচা।
আরেকটা ব্যাপার বাদ পড়ছে...
৭১ সালে যারাই সাবালক ছিলো তাদের সবাই বিরাট মুক্তিযোদ্ধা ছিলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার কমেন্ট করছেন।
এইটা দারুন মজার ব্যাপার। আমার এক বড় ভাই আছেন (দূর সম্পর্কের খালাতো ভাই) যাকে আমি একজন ছদ্মবেশী জামাতী বা পাকিস্তানপন্থী এবং কট্টর সাম্প্রদায়িক হিসাবেই জানি। যদিও উনি মুখে তা স্বীকার করেন না। তো ইনি একদিন উত্তপ্ত তর্কের মাঝখানে চেতেমেতে লাফাতে লাফাতে বলে উঠলেন, "ঐ রকম কত মুক্তিযোদ্ধা আমি ....লে বুড়িগঙ্গায় ভেসে যাবে !! আমি একাত্তরে যা ভূমিকা পালন করসি তাতে সারা জাতি, বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষের, আমার কাসে অনন্তকাল কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। নেহাত নিঃস্বার্থ নির্লোভ মহানুভবতার কারনে কোন মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নেই নাই...নাইলে ঘর ভরে যেত সার্টিফিকেটে।"
একথা শুনে আমার খুব অবাক লাগ্লো, কারন উনি ৭১-এর আগে জন্মালেও ৭১-এ যুদ্ধ করা দূরে থাকুক, এমনকি বন্দুক উঠানোর মত বয়সও উনার হয় নাই বলেই আমি নিশ্চিত। এই নিয়ে আমি চেপে ধরতে (এমন বেয়াদবি যে আমি করবো তা উনি ছোট ভাইয়ের কাছে আশা করেন নাই। করলে মনে হয় মুখ ফস্কে কথাটা বলতেন না! ) উনার মুখ থেকে শেষমেষ যা বেরোলো, তা হলো ৭১-এ সিলেটে ওনাদের গ্রামের বাড়িতে নাকি একবার কিছু মুক্তিযোদ্ধা এসেছিল রাতের বেলা হাগু করতে - যাদেরকে উনি বদনা এগিয়ে দিয়েছিলেন। হ্যাঁ, এই হলো আমার এক মহান বীর-শ্রেষ্ঠ আনরেকগনাইজড আত্ন-অবলোপী মুক্তিযোদ্ধা বড়ভাইর যুগান্তকারী কীর্তি , যার এহেন মুক্তিযুদ্ধকালীন দুর্ধর্ষ বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষের তার কাছে অনন্তকাল কৃতজ্ঞ থাকা উচিত !! ওনার সার্টিফিকেট না থাকতে পারে, কিন্তু অমন কত সার্টিফিকেটওয়ালা মুক্তিযোদ্ধা ওনার পা-ধোয়া জল খাওয়ারও যোগ্যতা রাখে না !
এমন কাছাকাছি গল্প আমি আরো শুনেছি। শুধু কায়দা মত চেপে ধরতে পারলেই হলো !
পইড়া মজা পাইলাম, চলতে থাকুক।
আর কারো আছে পূর্বপুরুষ 'রাওয়াল্পিন্ডি/লখ্নৌ/আগ্রা সে আয়া থা'। এদের দাদা বা দাদা'র বাপ সাধারণত পীর বংশ হয় এবং ঘরে 'উর্দু মে বাতচিত' হয়ে থাকে।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
১। দাদা পরদাদা সবাই কৃষক। বাপে কিছু পড়ালেখা করে সেই চেইন ভেংগে ফেলসে।
২। আহা খাবারের কথা বলে তো শেষ করা যাবেনা। কত কিছুই তো খেলাম জীবনে মায় মশার কামড় পর্যন্ত!
৩। কান পাতলামি করার জন্যই আমাদের দেশের এক সময়ের টিএন্ডটি আর এখন অন্য টেলিফোন কম্পানিগুলো বেচেবর্তে আছে। গুজব অন্যের কানে ছড়িয়ে দেবার মজাটা আমাদের মত আর কে বোঝে!
প্রবাসীদের সিংহভাগই স্বচ্ছল পরিবার থেকে আসে। স্বচ্ছলতার সাথে পূর্বপুরুষ ও উত্তরপুরুষের সম্পর্ক নিবিড়। এখন থেকে ২ বা ৩ পুরুষ আগেও বাংলাদেশে স্বচ্ছলতার মাপকাঠি ছিলো তার জমির পরিমাণ।
কারণ, খাওয়া ভালো, পান করা খারাপ। মদ্যপান, ধুমপান এগুলা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, যদিও হালকা মদ খেলে শইলে বল আসে, সিগারেট খেলে মাথা খোলে আর গাঞ্জা খেলে চিন্তার আকাশ চিচিংফাক হয়ে যায়।
কান দেহের সেনসিটিভ অঙ্গ (নাকি প্রত্যঙ্গ?)গুলোর একটি। সুতরাং এটা একটা জেনেটিক বৈশিষ্ট্য। তাছাড়া আমরা জানি, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বাস্তুহারা। সুতরাং আমরা মিরাকলে বিশ্বাসী, আমরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে ভালোবাসি। রূপকথার রাজপুত্ররা এসে আমাদের উদ্ধার করে দিয়ে যায়। তবে আমরা জাতি হিসেবে অন্যের ভালো দেখতে পারি না। তাই পোস্টে নওশের আলীর বিশাল অর্জন নিয়ে সন্দেহ করে আমাদের জাতিগত দৈন্য প্রকাশ পেয়েছে।
প্রথম-আলোর সার্টিফিকেটের পরেও প্রধানমন্ত্রী এখনও তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয় নি, এজন্য প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা জানাই। নওশের আলীর নাম 'গ্রীনিচ' / 'গ্রীনেচ' / 'গ্রীনেক' (আলুতে একজনের মন্তব্য অনুসারে) বুকে উঠানোর জন্য আন্দোলন করা হোক এবং মুসা ইব্রাহীম একা সামলে উঠতে না পারলে তার অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নওশের আলীকেও অনুপ্রেরণাদাতা বক্তা হিসেবে গ্রামে-গঞ্জে পাঠানো হোক। ২০১১ মুসার জন্য বরাদ্দ; কিন্তু ২০১২ তে নওশের আলীর নাম পাঠ্যবইয়ে দেখতে চাই।
কারণ, সেই সময়ে আসল জন্মতারিখ লিখে রাখার প্রচলন ছিলো না, বয়সের হিসেব রাখা হতো, অমুক দুর্ভিক্ষের সময় জন্ম বা তমুক ঘূর্ণিঝড়ের সময়। যেহেতু, এসব ঘটনা মোটামুটিভাবে নিয়মিত বিরতিতেই ২/১ বছর বাদেই ঘটতো, সেহেতু মুরুব্বিদের বয়স আর বাড়তো না। যেমন, একজন মুরুব্বি ১৯৬০ সালে মেট্রিক দিবেন, তার জন্ম উড়ির চরের ঘূর্ণিঝড়ের সময়। উড়ির চরে ১৯৪৮ সালেও বড়োসড়ো ঝড় হয়, ১৯৩৬ সালেও। এক হিসেবে মুরুব্বির বয়স ২৪, অন্য হিসেবে ১২। ২৪ বছরে মেট্রিক দেওয়া শরমের কথা, ১২ বছরও অ্যালাউড না, সুতরাং কি আর করা, ১৯৪৬ সালে জন্ম দেখিয়ে কচি মুরুব্বির বয়স ২ বছর বাড়িয়ে দেয়ার হুজ্জোত পোহাতে হয়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
উত্তরগুলো ব্যাপকভাবে লাইখাইলাম ... ....
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
কারণ, খাওয়া ভালো, পান করা খারাপ। মদ্যপান, ধুমপান এগুলা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, যদিও হালকা মদ খেলে শইলে বল আসে, সিগারেট খেলে মাথা খোলে আর গাঞ্জা খেলে চিন্তার আকাশ চিচিংফাক হয়ে যায়।
টাশকি খাইলাম।
জটিল কমেন্ট হইছে। ভার্চুয়ালি লাইকাইলাম।
অনন্ত
১. নম্বর পয়েন্টের বেলায় আমি শুনি অন্যকিছু। সবাইকেই বলতে শুনি, "আছিলাম মুক্তিযোদ্ধা..."। যার সঙ্গেই পরিচয় হয়েছে, কোনো না কোনো ভাবে বলে দিয়েছেন তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমার মাথা তো মহাশূন্য। হিসাব কিতাব করে বুঝে পাই না একাত্তরে যাদের বয়স পাঁচ পেরোনোর কথা, তারা ঠিক কীভাবে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন! এখন থেকে ঠিক করেছি আমি নিজেও সবার কাছে পরিচয় দিবো 'ভাই, মুক্তিযোদ্ধা আছিলাম' বলে। ইয়া হাবিবি।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি ডাগদর, বাপেও, কিন্তু দাদা আছিল ফুলটাইম স্কুল মাস্টার, পার্ট টাইম কৃষক, রিটায়ার করার পর ফুল টাইম কৃষক। বাপে ডাগদর হইলে কি হইব সময়ের অভাবে হালচাষ করতে পারে না, কিন্তু প্রবল আগ্রহ নিয়া ফসল দেখভাল করেন। আমার নানা আছিল ফরেস্ট অফিসার। মজার জিনিস লক্ষ করলাম, উপরে একজনও মায়ের পাশের কথা বললেন না। এটা কি আমাদের মজ্জাগত?
নজু ভাইয়ের লগে একমত। খাওনেরই তো দুনিয়া, সবকিছু তো খাওয়ার উদ্দেশ্যেই
বাটপার নওশের আবার ব্যাক
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
পোস্ট পইরা টাসকি খাইলাম............
চলুক।
মায়ের দিকের বাপের দিকের সবাই কৃষক। তবে রাগিব ভাইয়ের কথা ঠিক। আমাদের পরিবারে এমন না শুনলেও প্রতিবেশি অনেকের কাছে থেকে শুনছি তারা সবাই জমিদারি খান্দান-এর লোক। প্রশ্ন জাগে তাহলে এত গরীব কেন আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ??
১ নম্বর প্রশ্নটা দেখে জাফর ইকবালের এক ছোট কাহিনীর কথা মনে পড়ে গেল:
জাফর ইকবালের এক মার্কিন শিক্ষক একবার খুব অবাক হয়ে খেয়াল করেছিলেন, যে, বিদেশে যত বাঙালী ছাত্রের সাথে তার (শিক্ষক) দেখা হয়েছিল, তারা সবাই জাফর ইকবালকে চেনে, তা সেই ছাত্র আমেরিকাতেই থাকুক, বা লন্ডনে বা ইটালিতে।
জাফর ইকবাল এর জবাবে "হেঁহেঁ" টাইপের কোন জবাব দিয়েছিলেন, তবে, তার ভাষ্যমতে, আসল সত্যটা ছিল করুণ। তখন বাংলাদেশে মেট্রিকের গন্ডি পেরোত বেশ কমই, কলেজে যেত আরো কম, বিশ্ববিদ্যালয়ে কমতো আরো, আর বিদেশগামীর সংখ্যা ছিল হাতেগোনা, ফলে তারা একজন আরেকজন চিনবে এটার প্রবাববিলিটি স্বভাবতই অনেক বেশী।
এই বাস্তবতাটা আমরা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারিনি, আপনার প্রশ্নের জবাবও কিছুটা এই কাহিনীর মধ্যেই নিহিত।
আপনার কাহিনিটা পড়ে আমারও একটা শোনা গল্পের কথা মনে পড়ে গেলো। যদিও দুটো কাহিনির প্লট ভিন্ন, কিন্তু মাজেজা একই।
এক ভদ্রলোক গল্পের ছলে একদিন বলছিলেন যেটা আবার আমার খুব মনে ধরেছিলো, "বিদেশে যারাই আসে, তারা সবাই দেশে একটা কইরা হত্তি বাইন্ধা থুইয়া আসে। আর এইখানে আইসা কাইজ্যা লাগে কার হাত্তিটা বড়, এই নিয়া!"
বড় হগাত্তির মালিক আর ছোট হাত্তির মালিকের মতো যদি বড় জমিদার-ছোট জমিদার, ছোট মুক্তিযোদ্ধা-বড় মুক্তিযোদ্ধা কিংবা বড় কামেল- ছোট কামেল কাইজ্যা লাগতো তাইলে কী হইতো এই বিদের বিভূঁইয়ে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমার মনে হয় না সেটা আসল কারন। কারন তখনো লক্ষ লক্ষ ছেলে ম্যাট্রিক পাশ করত। উনি যখন আম্রিকা যান তখনো কে কোথায় কবে আম্রিকা যাচ্ছে সেটা জানা অত সোজা ছিল না। আসল কথা হলো জাফর ইকবাল আম্রিকা যাওয়ার আগে থেকেই কিশোর-তরুনদের মধ্যে লেখক হিসাবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তাছাড়া সেসময় সেবা প্রকাশনী এখনকার সময়ের চেয়ে অনেক বেশী জনপ্রিয় ও অবিকল্প ছিল কিশোর-তরুনদের মধ্যে - আর উনিও ছিলেন সেবার একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখক। বাংলাদেশে সাইন্স-ফিকশন ও হরর-কাহিনীর দু'টো মাইলফলক ও অত্যন্ত জনপ্রিয় দু'টো বই ওনার হাত দিয়ে আম্রিকা যাওয়ার আগেই, ঐ ছাত্রাবস্থাতেই বেরিয়ে গেছে : "কপোট্রনিক সুখ দুঃখ" আর "প্রেত" (সেবা প্রকাশিত হরর উপন্যাস)। আরো বই নিশ্চয়ই ছিল, আমি জানি না। মোদ্দা কথা, উনি তখন অলরেডি বিখ্যাত। এজন্যেই মনে হয় সবাই ওনাকে চিনত - উনি বিনয় করে হয়তো এই কারনটা উল্লেখ না করে অন্য কারন দেখিয়েছেন।
আরেক জিনিস বাদ পড়ছে।
বিদেশে এক শ্রেনীর বাঙালি দেখছি, যাদের খালাতো বোনের ভাসুর সবসময়ই পুলিশের ডিআইজি হয়, অথবা ভূমি মন্ত্রনালয়ের সচিব।
সবাই একই বাড়িতে খালাতো বোন বিয়া দেয় কেন, সেটা অবশ্য বুঝি নাই।
কয়েকবছর আগে আমার এক সহকর্মী আমার কাছে জানতে চাইলেন আমার নানাবাড়ির গ্রামের এক জমিদারপুত্রের বিষয়ে। আমি তাকে জানালাম যে আমার নানাবাড়ির এলাকায় কোনও জমিদার নেই। পরে জানলাম ইনডিয়া থেকে আসা ডাক্তার মামার ছেলে মামুন হচ্ছে সেই জমিদারনন্দন। মামুন বর্তমানে বোনাফাইড ইনস্যুরেন্স টাউট।
আমার পরদাদা, দাদা এবং বড়চাচা অশিক্ষিত এবং অত্যাচারী তালুকদার ছিলেন। ফলে যা হওয়ার তাই। তাদের সবারই অকাল এবং অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। আমার পিতা স্কুলজীবন থেকেই বাম রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় তিনি তার উত্তরাধিকার সূত্রে অর্জিত সম্পত্তি কেবল ধ্বংসই করে গেছেন। তিনি এখনও তার পেশা লেখেন কৃষক।
আমার নানাকূলের মধ্যে মায়ের দাদা ছিলেন পোষ্টমাষ্টার, নানা ছিলেন হাইস্কুলের হেডমাষ্টার, আমার নানা ছিলেন হাইস্কুলের হেডমাষ্টার এবং ছোটনানাভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শণ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। নানাজানের ছাত্রদের মধ্যে ফখরুদ্দিন আহমদ, জাকারিয়া পিন্টু, এরা পরিচিতমুখ।
তবে গৌরবের সাথে বলতে হয় যে আমার উভয়কূলে কেউ স্বাধীনতা বিরোধী নেই। আমার দুই চাচা মুক্তিযুদ্ধ না করলেও তাদের সহায়তা করেছেন এবং রাজাকার ছিলেননা। আমার পিতার বড়ভাই হওয়ার অপরাধে পাক বাহিনী এবং রাজাকার তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে ছাই করে দিয়েছিলো। বড়মামা পাকিস্তান আর্মি থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধ করেন। মেঝমামা মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধকালে আমার নানু মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে লুকিয়ে খাবার রান্না করতেন আর কিশোর সেঝমামা-ছোটমামা মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার-পানি এগিয়ে দিতো।
আমাদের জমিদারী বা এ্যারাবিয়ান হেরিটেজের প্রয়োজন নেই।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
চৌধুরি সাহেবের মন্তব্যধন্য এই পোস্টটি সচলায়তনের হোমপেজে ডান দিকে স্থায়ীভাবে লটকিয়ে রাখার দাবি জানাই।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
চোদুরী সাহেবের জন্য একটা গান - ১:৫০ এর দিকে মনোযোগ দাবি করছি।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
চোদ্রি সায়েবের গানে ব্যাপক "লাইক্স দিস"।
কাকস্য পরিবেদনা
দুঃখের খবর।
adam to aaron ahmed siddiqui বিষয়ক যাবতীয় লিংক গায়েব হয়ে গেছে।
আমার ধারণা আদমের ভাল নাম ছিল "অ্যাডাম আহমেদ সিদ্দিকী"।
কাকস্য পরিবেদনা
হায়, হায়। ওটার কোন কপি কি রাখা হয়নি ?
আয় হায়
গুগল ক্যাশে কিন্তু এখনো পাওয়া যায়
লগে খোমাটাও আমার ফটুক কালেকশনে ঝুলাই থুইসি, এইটা এমন এক পিস, ওয়ান পিস মেড, কারিগর ডেড!
আর এইটাতো আছে দেখি।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভাইরে ভাই... ভাবছিলাম শুধু ব্লগটা পড়বো। কিন্তু এই চোরধরীর কাজকারবার দেইখা পুরাই পাংখা হয়া গেলাম। ইংরাজীতে বোধহয় এইডারেই বলে যে - হি মেকস মাই ডে... আহা, কত্তদিন এমন হাসি দেই নাই। আর ভাই আপনাদের বলছি.. আপনারা কি ছোটবেলায় শেখেন নাই যে ল্যাংড়াকে ল্যাংড়া, অন্ধকে অন্ধ বলিও না? তাও আবার আপনারা বলদ এর মতো একটা নিরীহ গোবেচারা প্রাণীকে এহেন অপমান করছেন.. ধিক আপনাদের..
চোদরী সাব.. চালায় যান.. এমুন মজা পয়সা দিয়াও পাওয়া যায় না... আহারে.. কি তার ব্লগ.... সে যে নিজের নামের পর হযরত লাগায় নাই এইটাই কি আমাদের মতো ম্লেচ্ছদের জন্য অনেক পাওয়া না। ওহ হো হো হো হো হো.. কেউ আমারে থামারে..
অনেক দিন পর প্রাণ খুলে হাসলাম।
আমার পিতামহ কয়লাখনির শ্রমিক ছিলেন। এখন আমার কি হবে!!!
এই ভদ্রলোক কি Chowdhury Irad Ahmed Siddiky পরিবারের সুযোগ্য বংশধর কেউ?
নওশের আলীকে কি প্রতারক বলা ঠিক হবে? জীবিকার সন্ধ্যানে তে অনেকেই অনেক কিছু করে থাকে। যাদু শিল্পিরাও তো তাহলে প্রতারণা করে থাকে, নওশের আলী একটা প্রতরণার সুযোগ নিয়ে কিছু মানুষকে আনন্দ দিয়েছে। প্রত্রিকায় তো কত মজার তথ্যই থাকে।
উরে নারে, ইকি পড়লাম। এই মোগল সুবাদারের বংশধর চৌদারিরাদাহমেদসিদ্দিকির ঐতিহাসিক চাকর ক্লাস জমিদার ক্লাস ফালাফালি এতদিন দেখিনাই কিল্লাই?
"The Zamindar class do not speak in the Bangla of the Chakor class. The Bangla of the Zamindars is the Bangla of Rabindranath Tagore while the Bangla of Bangladesh's vast majority of the 'Chakor' class is the Bangla of the paan-biri-wala Jashimuddin."
হালার্পুত কয় কি?
..................................................................
#Banshibir.
এই পোস্টের কমেন্টগুলা না পড়লে বিরাট মিছ।
ঠা ঠা ঠা ঠা ঠা ঠা ঠা.........................................................
এই গিবনে কতকিছুর দেখার বাকি রইয়া গেলরে
আমাদের গমিদার সাবের জন্য সুভকামনা(আমার জ আবার গ হইয়া যায় মাঝেমধ্যে)
কমেন্টগুলা পুরাই
বেশ কিছু কমেন্ট বান্ধায়ে রাখা দরকার
facebook
নতুন মন্তব্য করুন