আজ থেকে নয় বছর আগে বাক্স প্যাটরা গুছিয়ে যখন প্রবাসে পাড়ি জমাই একাকী, তখন হাতে গুঁজে দেয়া হয়েছিলো একটা বই - রান্না খাদ্য পুষ্টি। বেশি ঝামেলা হয়নি পেতে -- বই এর দোকানে বাইরে যাচ্ছি, রান্নার বই দেন বলতেই এক গাল হেসে বের করে দিয়েছিলো বইটা। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বাধিক বিক্রি হওয়া রান্নার বই, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।
রান্নার বই বাংলাদেশে আরো অনেক বেরিয়েছে। তবু রান্নার বই বলতে আজো এই বইটার কথাই আসে। পরবর্তিতে টিভিতে সিদ্দিকা কবীরস রেসিপি অনুষ্ঠানেও অনেক রান্না দেখানো হয়েছে।
রাঁধুনি আমি হতে পারিনি, তবে বইটা যত্ন করে রেখেছি। একাকী প্রবাসে পাড়ি জমানো প্রায় সবার কাছেই বোধ হয় এই বইটা আছে। হাত পুড়ানো নানা দিনের স্মৃতি লেগে আছে বইটার পাতায় পাতায়।
কে ছিলেন এই সিদ্দিকা কবীর? "ছিলেন" কথাটা লিখতে খুব খারাপ লাগছে, কিন্তু আজকের খবরে এলো এই দুঃসংবাদ, হাজারো রান্নার রন্ধন পটিয়সী সিদ্দিকা কবীর চলে গেছেন। আজ থেকে ঠিক বছর পাঁচেক আগে, ২০০৭ এর জানুয়ারিতে পত্রিকায় সিদ্দিকার কবীরের আত্মকথা পড়ে বাংলা উইকিতে যোগ করেছিলাম তাঁর জীবনী কথা। আজ সেই লেখাটিই তুলে দিচ্ছি। সিদ্দিকা কবীরের হাতের রান্নার কৌশল আর দেখা হবে না টিভিতে, কিন্তু বইটা রয়ে যাবে, বহু মানুষের বহু স্মৃতির মাঝে।
রইলো শ্রদ্ধাঞ্জলি, সিদ্দিকা কবীরের জন্য।
----
সিদ্দিকা কবীর (জন্ম: মে ৭, ১৯৩৫, ঢাকা; মৃত্যু: জানুয়ারি ৩১, ২০১২, ঢাকা ) একজন বাংলাদেশী পুষ্টিবিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদ। তিনি তাঁর লেখা রন্ধনবিষয়ক বইগুলির জন্য বিখ্যাত।
ব্যক্তিগত জীবন
সিদ্দিকা কবীরের জন্ম পুরানো ঢাকার মকিম বাজারে, ১৯৩৫ সালের ৭ই মে। তাঁর পিতা মৌলভি আহমেদুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক ও পরবর্তীতে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন। সিদ্দিকা কবীরের মাতা সৈয়দা হাসিনা খাতুন ছিলেন গৃহিনী। ১৯৭২ সালের নভেম্বর মাসে সিদ্দিকা কবীর ব্যাংকার সৈয়দ আলী কবীরকে বিয়ে করেন।
শিক্ষা
সিদ্দিকা কবীর পড়াশোনা করেন প্রথমে ইডেন কলেজে। সেখান থেকে তিনি বিজ্ঞান বিষয়ে প্রথম বিভাগে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে ভর্তি হন ও সেখান থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এর পর তিনি ফোর্ড ফাউন্ডেশনের বৃত্তি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটি হতে ১৯৬৩ সালে খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি পান।
চাকরী জীবন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে পড়ার সময় সিদ্দিকা কবীর তৎকালীন পাকিস্তান রেডিওতে ঘোষক হিসাবে খন্ডকালীন চাকরীতে যোগ দেন। স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের পরে প্রথমে ভিকারুন্নেসা নুন স্কুলে শিক্ষিকা হিসাবে কাজ করেন। এর পর তিনি ইডেন কলেজে গণিতের প্রভাষক হিসাবে যোগ দেন।
যুক্তরাষ্ট্রে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভের পর দেশে ফিরে তিনি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে নিযুক্ত হন। এখান থেকে তিনি ১৯৯৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
রান্নার অনুষ্ঠান
১৯৬৫ সালে সরকারী প্রতিষ্ঠান হতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে রান্না শিখা শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি তদানিন্তন পাকিস্তান টেলিভিশনে "ঘরে বাইরে" নামে রান্নার অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করা শুরু করেন। সিদ্দিকা কবীর তাঁর "রান্না খাদ্য পুষ্টি" বইটির জন্য ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন। বাংলাদেশের সর্বাধিক বিক্রিত বইগুলির মধ্যে এখন পর্যন্ত বইটি অন্যতম। বইটি প্রথম প্রকাশের সময় মুক্তধারা, বাংলা একাডেমী সহ অন্যান্য প্রকাশনা সংস্থা এটি প্রকাশ করতে রাজী হয় নাই। পরে এটি নিজ খরচে প্রকাশ করা হয়। প্রকাশের পর এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। ১৯৮৪ সালে ইংরেজি ভাষায় একটি কারি রান্নার বই লিখেন। ১৯৮০ সালে লিখেন পাঠ্যবই খাদ্যপুষ্টি ও খাদ্য ব্যবস্থা, যা স্নাতক পর্যায়ে পড়ানো হয়। এছাড়া তিনি ১৯৯৭ সালে দৈনিক জনকণ্ঠে রসনা নামে কলাম লিখেন, যা পরবর্তীতে খাবার দাবারের কড়চা নামে প্রকাশিত হয়। প্রাইভেট টেলিভিশন এনটিভিতে তিনি সিদ্দিকা কবীরস্ রেসিপি নামের রান্নার অনুষ্ঠান নির্মানে জড়িত ছিলেন।
মৃত্যু
অধ্যাপিকা সিদ্দিকা কবীর ৩১শে জানুয়ারি ২০১২ তে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরন করেন।
মন্তব্য
শ্রদ্ধাঞ্জলী....
এই বইয়ের সাথে জড়িত অনেক স্মৃতি স্মৃতিকাতর করে তুললো ভীষন!
শ্রদ্ধাঞ্জলী....
****************************************
শ্রদ্ধাঞ্জলী....
শ্রদ্ধাঞ্জলি
আমার নিজেরই রান্নার প্রতি আগ্রহটা জন্মায় সিদ্দিকা কবীরের বই পড়ে। এতো সায়েন্টিফিক উপায়ে যে বাংলায় রেসিপি লেখা যায় সেইটা সিদ্দিকা কবীরের রান্না, খাদ্য ও পুষ্টি বইটা না পড়লে কখনো জানতাম না! মানুষের ভেতর থেকে রাঁধুনীস্বত্তা বের করে আনার ক্ষমতা আছে এই বইটার!! মনে আছে ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় প্রথম বইটা কিনি...
সিদ্দিকা কবীরের মৃত্যু সংবাদটা কেমন জানি চমকে দিলো... একটা মানুষ জীবনের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত কিভাবে এতো কর্মদীপ্ত ছিলো সেইটা ভাবলেও শ্রদ্ধা জাগে!
সিদ্দিকা কবীরের জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলী, আপনাকে লেখাটার জন্য ধন্যবাদ!
সেবার সাপ্তাহিক ২০০০ এর ঈদসংখ্যায় তার আত্মজীবনী প্রকাশ হবে। তিনি লেখা দিয়ে দিয়েছেন। আমি আর জব্বার ভাই তার ইস্কাটনের বাসায় গেলাম সেই লেখা দেখাতে। উনি, রুমে বসে সেটা দেখছেন। এদিকে আমি আর জব্বার ভাই দুজনে মিলে তার ফ্রিজ থেকে সব আইসক্রিম সাবাড় করে দিলাম। আচারও খেলাম বেশ কয়েক পদের। নষ্টও করলাম কিছু। সেদিন আমাদের এই বাদরিপণা তিনি বেশ স্নেহের সাথেই প্রশ্রয় দিয়েছিলেন।
সংবাদে কাজ করার সময় ওনার রান্নার কলাম ছাপা হত। একবার ফিচার বিভাগের সবাইকে দাওয়াত করে খাওয়ালেন। ওনার সঙ্গে সবার সম্পর্ক ছিল ওরকমই। একবার ওনার বাসায় গিয়েছিলাম আরেকটা কাজে, সেবারও বিশাল খাওয়া দাওয়া! শেষে ওনার বাসায় যাওয়ার কথা উঠলেই খুশী হয়ে উঠতাম
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এই দুঃসংবাদটা এই প্রথম জানলাম আপনার এই লেখা পড়ে । ভীষণ,ভীষণ খারাপ লাগছে আমার বুক শেল্ফে এই বইটি বহু বছর ধরে সযতনে আছে । উনি আমার কাছে অনেক শ্রদ্ধার একজন মানুষ ছিলেন (ছিলেন লিখতে কেমন জানি লাগছে), বিশেষ করে উনার অনারম্ভর জীবন যাপনের জন্য । কত শত রান্নার অনুষ্টান হচ্ছে এখন টিভিতে,ওসব দেখব কি রন্ধনশীল্পি এবং উপস্থাপিকাদের সাজগোজ দেখলেই ভিরমি জাগে মনে ।
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
সেই ছেলেবেলা থেকে উনার বইয়ের সাথে অনেক পারিবারিক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। প্রবাসী জীবনের শুরুতে রান্নার গুরুও ছিলেন এই মহান রন্ধন শিল্পী। বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই তাঁর কর্মময় জীবনের প্রতি।
ইন্নলিল্লাহি....
শ্রদ্ধা ...
কিছু কিছু বিদায় একদম বুকের ভেতরে গিয়ে আঘাত করে। উনার বিদায় সেইরকম একটা অনুভূতি দিয়ে গেল। বাংলার প্রতিটি পরিবার যেন একজন আপনজনকে হারাল। উনার কালজয়ী বই বহু ছন্নছাড়া প্রবাসীর নিত্য সহচর। উনার আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।
কর্মপ্রাণ মানুষের বিদায়।
অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শ্রদ্ধা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই অসাধারণ মানুষটির সাথে কখনও সামনাসামনি দেখা কিংবা কথা হয়নি। তারপরেও তার অমূল্য কর্ম (রান্নার বই + অনুষ্ঠানগুলো) ওনাকে শ্রদ্ধেয় করে তুলেছে। মনে আছে যে, ওনার বইয়ের ভেতরে ওনার শিক্ষা ও কর্মজীবন সম্পর্কে পড়ে রীতিমত চমকে উঠেছিলাম।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
শ্রদ্ধা অধ্যাপিকা সিদ্দিকা কবীরের জন্য। তাঁর বইটি আমি নিজে বহুবার ব্যাবহার করেছি। প্রবাসীরা তাঁর কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে এই বইয়ের জন্য।
খুব ব্যথিত হয়েছি
শ্রদ্ধা অধ্যাপিকা সিদ্দিকা কবীরের জন্য।
facebook
প্রয়াত সিদ্দিকা কবীরের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা...........
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
শ্রদ্ধাঞ্জলি এই মানুষটার জন্য।
প্রবাস জীবনের শুরুতে, যে সময়টাতে নিজের রান্না খেয়ে নিজেরই বমি করতে ইচ্ছে হত, সে সময়ে এঁনার বই ব্যবহার করেছি দু-চারটা ভালোমন্দ খেয়ে স্রেফ বেঁচে থাকতে শেখার জন্য।
তার অনেক পরের একটা সময়ে তাঁর বই ব্যবহার করেছি "নিজের" রান্না অন্যকে খাইয়ে বাহাদুরি দেখানোর জন্য।
প্রায় প্রতিবারই দেশ থেকে ফেরার সময় তাঁর বইটার একটা কপি লাগেজে থাকতোই। কখনো নিজেদের কপিটা পুরনো-ঝোল লাগা-মশলার দাগ লাগা হয়ে যাওয়াতে নিজের নতুন কপি, কখনো বা অন্য কারও জন্য, কখনো নতুন বিদেশে আসা মানুষদের জন্য উপহার হিসেবে।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ, রাগিব।
শ্রদ্ধা মোম)
_________________
[খোমাখাতা]
আমি বোধহয় ক্লাস সিক্সে বা সেভেনে থাকতে প্রথম উনার বই দেখে আইসক্রিম বানিয়েছিলাম বাসায়। এখনও মনে পড়ে সেটা খেয়ে সবার উচ্ছসিত প্রশংসা। যা আদপে উনারই প্রাপ্য ছিল। তারপরেও উনার অনেক সাহায্য নিয়েছি বিভিন্ন সময় নিজের রসনা তৃপ্ত করতে। সত্যি বলতে কি, রান্নার অন্যান্য যে বইগুলো আছে তার থেকেও দু'এক্টা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কেন জানিনা খাওয়ার মজাটা পেতাম না। শুধু মাত্র উনার বই থেকে রানলেই মন মতো স্বাদটা পেয়ে যেতাম।
শ্রদ্ধা জানাই উনার প্রতি।
সিদ্দিকা কবীরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি।
এই বিদেশে খেয়ে দেয়ে বেঁচে আছি, সবই উনার ক্রেডিট। রেসিপি মনে রাখার চেষ্টাও করি না, প্রতিবার বই খুলে রান্না করি আর উনার সুস্বাস্থ্যের জন্য দোয়া করি, এত মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর প্রার্থনা আর আর ক'জন বাংলাদেশি অর্জন করতে পেরেছেন?
রান্না, খাদ্য ও পুষ্টি শুধু রান্নার বই না, সব রকমের বই এর মধ্যে ধর্মগ্রন্থের পরে সবচে' বেশি বিক্রীত বই বলেই আমার বিশ্বাস। একদম বই বিমুখ পরিবারেও এর একটা কপি খুঁজে পাওয়া যাবে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
শ্রদ্ধাঞ্জলি
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
শ্রদ্ধা
শ্রদ্ধা
আমি রান্না-বান্নার কাজ করি। তাই কাজে সময় কথার ফাকে সিদ্দিকা কাবির চলে আসতেন ।
শ্রদ্ধা সিদ্দিকা কাবীরের জন্য।
বেদনা ও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
শ্রদ্ধা...
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
শ্রদ্ধাঞ্জলি
আমি যখন ছোট তখন থেকে আম্মুকে বইটা পড়তে দেখি। কিন্তু কখনও খেয়াল করি নি এটা সিদ্দিকা কবীরের লেখা। তাঁকে আমি চিনেছি টিভি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। কিন্তু এখন জানতে পারছি তাঁর অবদান আসলে অরো অনেক বিস্তৃত।
টুইটার
তাঁর জন্য রইল শ্রদ্ধা।
বিনম্র শ্রদ্ধা উনার জন্য
নতুন মন্তব্য করুন