বাঘের কাছে বকরি আধি দেয়া, গ্রাম্য অঞ্চলের একটি প্রবাদ । ছাগল যেন বাঘে না খায় তাই বাঘের কাছে ছাগলের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব দেয় আর কি !!! আরো সহজ করে বলায় যায় শেয়াল পণ্ডিত-এর গল্প । আমাদের এই অনির্বাচিত সরকারের কাজ কর্ম অনেকটাই তেমন ঠেকছে । অনির্বাচিত বলে এতাই অর্বাচিন হবে ??? সেটাই প্রশ্ন নাকি আর কোতাও দস্তক্ষত দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে এরা ??
বর্তমান সরকারের উগ্রধর্মীয় মৌলবাদীদেরর কাছে শুরু থেকেই নত স্বিকারের প্রবণতা চোখে লাগে । কিছুদিন আগে একটি নিছক কার্টুন নিয়ে এই উগ্রবাদীদের তাণ্ডব আর তারপরে সরকারের একজন উপদেষ্টার বায়তুল মোকাররম এর একজন সরকারী চাকুরে খতিব-এর সামনে যে করোজড় প্রার্থনা ছবি দেখেছিলাম তাতেই এই সরকারের মৌলবাদদের তোষণের রুপ বোঝা যায় । এবার ঘটনাটি আরো মজার এবং হাস্যকর । দেশের সম্প্রতি ঘোষিত নারীনীতি নিয়ে কিছু ধর্মান্ধ মানুষের জরুরী অবস্থা ভংগ করে জাতীয় মসজিদ এলাকায় যে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে তাতেই সরকার কুপোকাত!!! অথচ দেশের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টানা তিনদিন বিক্ষোভ হলেও সরকার একচুল নড়ে না ।
এই একবিংশ শতাব্দিতে এসে গুটিকয়েক ধর্মীয় উগ্রবাদীদের কাছে মাথানত করে নারীনীতির পর্যালোচনার জন্য জাতীয় মসজিদ বায়তু্ল মোকাররমের খতিব মোহাম্মদ নুরুদ্দীন এর নেতৃত্বে সরকার কমিটি গঠন করে দিয়েই শুধু নারীদের অপমানই করিনি, সাথে সরকারের মেরুদণ্ডহীনতাই প্রকাশ পেয়েছে ।
সেই কমিটি বৃহষ্পতিবার তাদের সুপারিশ, ধর্ম উপদেষ্টার কাছে
সবক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টিসহ নীতিমালায় রয়েছে এমন কয়েকটি ধারা বাদ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে । এই কমিটি বলেছে , নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০০৮ এ এমন অনেক বিষয় আছে যা সরাসরি মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কুরআনের পরিপন্থী । তারা বলেছে যে এ নীতিমালাটি দিয়ে আসলে আইন করে, তাঁদের ভাষায়, শরীয়তের আইন ভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়েছে। নীতিমালায় জাতিসংঘ ঘোষিত নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডিও) বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে তাতে তাঁদের আপত্তি রয়েছে।
আরো যে বিষয়গুলোতে তাঁরা আপত্তি তুলেছেন সেগুলো হলো অর্জিত সম্পত্তি ও সমানাধিকার। এছাড়াও তাঁরা সুপারিশে উল্লেখ করেছেন যেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে বা জনশক্তি হিসেবে নারীদের বিদেশে না পাঠানো হয়।
কি চমৎকার চলছে আমার স্বদেশ !!
মন্তব্য
এ ব্যাপারে আপনি আমাকে একটা ইরেজ কাগজের লি্ক দিতে পারেন?
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
নতুন মন্তব্য করুন