ভ্যান্টেজ পয়েন্ট

রাহিন হায়দার এর ছবি
লিখেছেন রাহিন হায়দার [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৮/১১/২০০৯ - ৯:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আইভরি কোস্টে তখন সন্ধ্যা ৭টার একটু বেশি বাজে। আবিদজান শহরের এক প্রান্তে, বিমানবন্দরগামী রাস্তার আলোগুলো জ্বলে উঠেছে। কালো রঙের বিএমডব্লিউটার চালক বুঝতে পারেন তিনি ভুল পথে চলে এসেছেন। ঠিক রাস্তায় উঠতে হলে তাকে এখন যেতে হবে উলটো দিকে। তবে কথা হল এ সড়কে গাড়িঘোড়ার গড় গতি ঘণ্টায় ৭০ কিমি। সাতপাঁচ ভেবে তিনি সামনে তাকান। না, বিপরীত দিক থেকে কোন গাড়ি আসছে না। রিয়ার ভিউ আয়নাতেও তেমন নিকটবর্তী কাউকে চোখে পড়ল না। বিভাজকের উচ্চতা মাত্র এক ইট, প্রস্থটাও বেশ সুবিধাজনক। এই ফাঁকেই ঘুরিয়ে ফেলা যাক। নিয়ম মেনে ফেরত আসতে গেলে খামোখা অনেক সময় নষ্ট হবে। তিনি গতি কমাতে থাকেন।

পাকিস্তানি এক সেনা কর্মকর্তা একই রাস্তা ধরে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ধরা যাক তার নাম ইমরান, মেজর ইমরান। বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন। ইউএন লেখা সাদা প্রাডোটার গতি যতই বাড়ান ততই তার মজা লাগে। কী চমৎকার গাড়ি, মনে হচ্ছে যেন হাওয়ায় ভাসছে! তর্জনী হেলনে লেন পরিবর্তন করলেন, নিজেকে কেন যেন জেনারেল মনে হল তার। অবশ্য পরক্ষণেই ভাবলেন, জেনারেলরা তো আর গাড়ি নিজে চালাবেন না।

ঠিক তার পেছনে যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে একই গতিতে প্রায় নিঃশব্দে আসছিল নীল নিসান জিপটা। চালক ফরাসী-লেবানিয এক প্রকৌশলী। হঠাৎ তিনি দেখলেন সামনের সাদা প্রাডোটার সাথে তার দূরত্ব আশংকাজনক হারে কমতে শুরু করেছে। ব্যাপারটা কী হচ্ছে আন্দাজ করতে পেরে তিনি স্টিয়ারিংটা চকিতে ডানে ঘুরিয়ে দিলেন। প্রায় একই সাথে দু'টি শব্দ শুনলেন তিনি, তারপর আরেকটি, তারপর শুধু একটা বিরতিহীন হর্ণের শব্দ। প্রথম ধাক্কাটা যে নিজেই দিয়েছেন প্রাডোটার পিছনের ডান কোনায়, বেশ বুঝতে পারলেন। অক্ষতই আছেন বলে বোধ হল তার। গাড়ি থামিয়ে নেমে ভালো মত খেয়াল করে দেখলেন তার গাড়ির বাম দিকে বড়সড় একটা আঘাতের চিহ্ন। হর্ণের শব্দের উৎস রাস্তার পাশের নিচু মত জায়গায় মুখ থুবড়ে পড়া এক ট্যাক্সি।

আজ তার ট্যাক্সিতে উঠেছিল দুই সেনেগালিয। তাদের গন্তব্যও, অবশ্যই, বিমানবন্দর। কিছুটা তাড়া দিচ্ছিল যাত্রীরা, সেও সাড়া দিচ্ছিল সাধ্যমত। বিপত্তিটা হল ওখানেই। তাকে পরে জিজ্ঞেস করা হলে ট্যাক্সিচালক অবশ্য তাড়াকে বিপত্তির কারণ বলতে রাজি হয়নি। তার মতে, নীল জিপটা আচমকা বাঁক খেয়ে ঘাড়ের ওপর এসে না পড়লে তো এতকিছু ঘটে না। জিপটির সাথে বাড়ি খেয়ে তার ট্যাক্সি রাস্তা ছেড়ে ডানপাশের খানাখন্দের দিকে ছুটল এবং একটা মোটা গুড়ির গাছের সাথে দ্বিতীয় বাড়িটি খেয়ে থেমে গেল। ইঞ্জিন ততক্ষণে একরাশ লোহালক্কর। হাসপাতালের বিছানায় হেলান দিয়ে সে মৃদু গলায় আমাকে শোনাল তার এ বয়ান। বাকি ঘটনা আগেই জেনেছি অন্যান্য কুশীলবদের কাছ থেকে। তাদের সবাই অক্ষত, এমনকি ট্যাক্সির যাত্রীরা সহ। এত কিছু যার জন্য সেই বিএমডব্লিউটির গায়ে আঁচড়ও লাগেনি, ঘটনার আকস্মিকতায় সেই চালক হতভম্ব। মেজর ইমরান সে গাড়িটি এড়াতে আচমকা ব্রেক করেছেন, তবে অন্যভাবে এড়াতে পারতেন সম্ভবত। স্বপক্ষে অনেক যুক্তি দিয়ে মুখে ফেনা তুলে ফেলছিলেন। প্রকৌশলী ছিলেন নির্লিপ্ত। বোঝা গেল তিনি গাড়ি বদলান জামাকাপড়ের মত। দূর্ঘটনার তুলনায় ট্যাক্সিচালকের আঘাতও আপাতদৃষ্টিতে তেমন কিছু নয়, মারা যায়নি এটাই সৌভাগ্য এবং সে নিজেও সেটা জানে। সে চিন্তিত তার চাকরি নিয়ে। আমি তার বক্তব্য ফরাসী থেকে বাংলায় অনুবাদ করে দিলাম দূর্ঘটনা তদন্ত করতে আসা স্বদেশী কর্মকর্তাকে। ফেরত আসার আগে ট্যাক্সিচালক আইডি দেখে আমার নাম জেনে নিল। আমার জন্য ঘটনার ওখানেই ইতি হওয়ার কথা। অতএব ঘরে ফিরে আসতে আসতে র‌্যাম থেকে সব মুছে ফেলে দিলাম।

ঘটনার পর সপ্তাহখানেক পেরিয়ে গেছে। এক দুপুরে জম্পেশ ভাতঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছি। মারফি'র সূত্রানুসারে তখনই জাতিসঙ্ঘ সদরদপ্তরের নিরাপত্তা ইউনিট থেকে মারফতি তলব আসলো, এই মুহূর্তেই আমাকে চাই। কি যন্ত্রণা! ভাবলাম কোথাও কোন ভুল হচ্ছে নিশ্চয়ই, এই ভরদুপুরে আমার সেখানে কোন কাজই থাকার কথা না। ফোনে কথা বলে নিশ্চিত হলাম, আমিই সেই মানুষ যাকে তারা খুঁজছেন। কী আর করা, গেলাম গজগজ করতে করতে। ক্যাম্প থেকে হাঁটার দূরত্বে সদরদপ্তর। নির্ধারিত অফিসে গিয়ে দেখি সেই ট্যাক্সিচালকটি বাম হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে সেখানে বসে আছে। উক্ত ইউনিটে কর্মরত এক আইভরিয়ান ভদ্রমহিলা আমাকে বললেন ট্যাক্সিচালকটি এসেছে তদন্তের অগ্রগতি জানার জন্য, এবং এসে সে নাকি আমার নামই বলেছে, যেহেতু আমিই সরাসরি কথা বলেছিলাম তার সাথে। খটকা লাগলো, সাথে কিছুটা বিরক্তি, কারণ তদন্ত করা আমার কাজ না। কিন্তু এসেছি যখন সুরাহা করতে হবে আমারই। বুঝলাম মহিলা পুরো ঘটনাটি জানেন না। ট্যাক্সিচালকটিকে নিয়ে জাতিসঙ্ঘের মাথা ঘামানোর কথা নয় কারণ তার গাড়ির সাথে প্রকৌশলীর জিপটির ধাক্কা লেগেছে, জাতিসঙ্ঘের গাড়িটির নয়। তবে যেহেতু সে পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত, তার বক্তব্য নেয়া হয়েছিল আনুষ্ঠানিকতার খাতিরে, অনেকটা সাক্ষী হিসেবে। ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতরও বটে, কারণ অন্যথা প্রমাণিত হলে সে জাতিসঙ্ঘের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ পাবে। বুঝিয়ে বলার পর মহিলা উলটো আমার উপরই রীতিমত ক্ষেপে উঠলেন। তার ধারণা বয়ান নিতে গিয়ে আহত চালকটিকে নাকি সাহায্যের ব্যাপারে মিথ্যা আশা ভরসা দেয়া হয়েছে। আমি আকাশ থেকে পড়লাম, আশা ভরসা দেবার আমি কে এবং তা করলামই বা কখন? আর কেউ অযৌক্তিক কারণে আশান্বিত হলে আমি কী করতে পারি? আরো কিছুক্ষণ অর্থহীন কথা কাটাকাটির পর উনি হাল ছেড়ে দিলেন। এ ব্যাপারে জাতিসঙ্ঘের আর কোন দায়-দায়িত্ব না থাকার কারণটি নরম গলায় ব্যাখ্যা করলেন বেচারাকে, মুফতে কিছু পরামর্শসহ - তার কোথায় যাওয়া উচিৎ, কী করা উচিৎ ইত্যাদি। মোট কথা ভদ্র ভাষায় বলা হল, 'আপনি এখন আসতে পারেন'।

সিঁড়ি দিয়ে খুঁড়িয়ে নামতে নামতে সে আমাকে আগের মতই মৃদু গলায় বলল, 'তুমি কি আমাকে কোনভাবে সাহায্য করতে পার? মালিক আমাকে আর রাখেননি। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না। ওটা না হয় বাদ দিলাম। খেয়ে তো বাঁচতে হবে। আর্থিক সাহায্যের জন্য এখানে আসিনি। যেনতেন একটা চাকরি হলেই হবে।'

নিজেকে মনে হল ডুবন্ত মানুষটির খড়কুটো, কখনও কোন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে এত অসহায় লাগেনি।


মন্তব্য

মুস্তাফিজ এর ছবি

একটু খাপছাড়া মতন লাগলো, অথবা আমার বোঝার ভুল।
আপনি চারটা গাড়ীর কথা লিখেছেন বিএমডব্লু, প্রাডো, নিসান আর একটা টেক্সী। প্রাডো টার্ণ নেয়াতে নিসান তাকে ধাক্কা দেয় আর সম্ভাব্য দূর্ঘটনা এড়াতে টেক্সী নুতন করে দূর্ঘটনায় পড়ে। তবে বিএমডব্লুর ভূমিকা কী?

.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.

...........................
Every Picture Tells a Story

রাহিন হায়দার এর ছবি

আমারই অক্ষমতা। মন খারাপ

বিএমডব্লিউটি ৭০ কিমি গড় গতির রাস্তায় ইউ-টার্ণ নেয়ার জন্য গতি কমিয়ে আনে। ওদিকে প্রাডোর চালক গতি ক্রমশ বাড়াচ্ছিলেন, তিনি বিএমডব্লিউটিকে এড়াতে আচমকা ব্রেক করেছেন। পরিষ্কার হল কি?

.............................................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি

মুস্তাফিজ এর ছবি

তারমানে আপনি বিএমডব্লিউতে ছিলেন এবং ভুল রাস্তায় ছিলেন

.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.

...........................
Every Picture Tells a Story

রাহিন হায়দার এর ছবি

সংক্ষেপ করতে গিয়ে বক্তব্য যে এতটা দূর্বোধ্য হয়ে যাবে ভাবিনি। দূর্বলতা মাফ করবেন।

পাকিস্তানি এক সেনা কর্মকর্তা একই রাস্তা ধরে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

বাকি ঘটনা আগেই জেনেছি অন্যান্য কুশীলবদের কাছ থেকে।

আমি তার বক্তব্য ফরাসী থেকে বাংলায় অনুবাদ করে দিলাম দূর্ঘটনা তদন্ত করতে আসা স্বদেশী কর্মকর্তাকে।

বিএমডব্লিউটি ইউটার্ন নেয়ার আগেই ঘটনাটি ঘটে। চারটি গাড়িই একই দিকে যাচ্ছিল। সম্পৃক্ত কোন গাড়িতেই ছিলাম না, দূর্ঘটনার পর আমি তদন্তকারী দলের সাথে দোভাষী হিসেবে গিয়েছিলাম।

লেখার দূর্বলতা গুলো ধরিয়ে দেবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি

মুস্তাফিজ এর ছবি

ধন্যবাদ, এখন বুঝতে পারলাম, এরকম ছোট ছোট ঘটনা আরো লিখুন।

.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.

...........................
Every Picture Tells a Story

আনন্দ [অতিথি] এর ছবি

একটা অ্যাকসিডেন্ট ঘটতে কয় সেকেন্ড লাগে? ভিন্ন জগতের, ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কতগুলো মানুষের জীবন হঠাৎ করেই কোন কথাবার্তা ছাড়াই হ্যাং হয়ে যায়। কারও অল্টার + কন্ট্রোল + ডিলিট মারতে হয়, কারও বা রিস্টার্ট, আর কারও দেখতে হয় ব্লু স্ক্রীণ অফ ডেথ। কোনই যুক্তি নাই! আবার মুক্তিও নাই। [ আজাইরা ইয়ে, মানে... ]

এখন খড়কুটো মনে হলেও নিশ্চয়ই একদিন ভেলা, ডিঙি, নাও হবি। তারপরে জাহাজ হবি। হাসি সবে তো শুরু। সেনা উর্দি মানুষের উপকারে আসুক। হাল ছাড়িস না, কাপ্তান!

সাফি এর ছবি

নিয়ম ভেঙ্গেছে বি এম ডব্লিউ। তাকে এড়াতে প্রাডো ব্রেক কষেছে, বাকিটা ডমিনো , ঠিক বুঝলাম?

রাহিন হায়দার এর ছবি

১০০ ভাগ!

............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি

রায়হান আবীর এর ছবি

এতো বড় পৃথিবীতে আসলেই খুব ক্ষুদ্র আমরা। ট্যাক্সি চালকের জন্য দুঃখ হচ্ছে।

রাহিন ভাই লেখা খুব ভালো হয়েছে।


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

রাহিন হায়দার এর ছবি

দেঁতো হাসি

দিনকাল কেমন চলছে?

....................................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ট্যাক্সি চালকের জন্য কষ্ট হলো!
.........................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

**না এর ছবি

লেখা সুন্দর হয়েছে- তবে আরো বেশী ব্যাখ্যা থাকলে ভালো হতো!! লেখা এমন হওয়া উচিত যেটা পড়ে বোঝার জন্য ভ্রু কুঁচকে মাউসটা স্ক্রল না করতে হয়!!! B-)

সামনে আরো ভালো কিছু পাবো বলে আশা ব্যক্ত করছি ! চোখ টিপি)

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

পুরো নাম লিখতে লজ্জা লাগে নাকি তোর দেঁতো হাসি ??
--------------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

ভুতুম এর ছবি

মন খারাপ

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

অতিথি লেখক এর ছবি

ট্যাক্সি চালকের শেষ পর্যন্ত কি হল।

স্বপ্নদ্রোহ

রাহিন হায়দার এর ছবি

আবার কখনও দেখা হলে হয়তো জানা যাবে।

...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

বর্ণনার কাঠামোটা এক্সেলেন্ট ...

______________________________________________________

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

রাহিন হায়দার এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি

রেশনুভা এর ছবি

লেখা প্রথমবার পড়ে ভাবছিলাম বিএমডব্লিউ একদিকে আর বাকীগুলো অন্য দিকে যাচ্ছিল। যাই হোক, লেখা বরাবরের মতই চমৎকার। নিজেদের দিকে তাঁকালে সত্যিই খুব অসহায় মনে হয় মাঝেমাঝে।

রাহিন হায়দার এর ছবি

ধন্যবাদ রেজওয়ান ভাই :)। অল্প কথায় কাজ সারতে চেয়েছিলাম। আনাড়ি বলে বেড়াছেড়া হয়ে গেছে।
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি

শামীম এর ছবি

আমি অবশ্য প্রথমবার পড়েই মোটামুটিভাবে ঠিকঠাক বুঝতে পেরেছিলাম। যেটাতে খটকা লাগলো সেটা হল, সামনে পেছনে দেখে "নিকটবর্তী" কাউকে না পেয়েই গাড়ি ঘোরানোর জন্য স্পীড কমিয়েছিলো সামনের গাড়ি।

কিন্তু দেখা গেল ঘাড়ের উপরে এসে পড়েছে আরো ৩টা। নিশ্চয়ই বেটার চোখে বা রিয়ার ভিউ মিররে সমস্যা ছিল।

অবশ্য দূর্ঘটনাগুলো এভাবেই ঘটে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

আনন্দ [অতিথি] এর ছবি

ঠিক এই প্রশ্নটা আমার মাথায়ও এসেছিল।
শামীম ভাইয়া, দেখা হয়েই গেল আপনার সাথে! আমি সচল হলাম মাত্র। আমার প্রথম লেখাটার ওপর আপনার মূল্যবান মন্তব্য চাই। হাসি এই যে লিংক http://www.sachalay atan.com/ guest_writer/ 28491

ভণ্ড_মানব এর ছবি

ট্যাক্সি চালকের জন্য খারাপ লাগছে। আসলেই আমরা অনেক ক্ষুদ্র, আমরা অনেক অসহায়।
রাহিন ভাই, লেখা ভালৈছে। সচল হবার অভিনন্দন। হাসি

ভণ্ড_মানব এর ছবি

ট্যাক্সি চালকের জন্য খারাপ লাগছে। আসলেই আমরা অনেক ক্ষুদ্র, আমরা অনেক অসহায়।
রাহিন ভাই, লেখা ভালৈছে। সচল হবার অভিনন্দন। হাসি

অবাঞ্ছিত এর ছবি

নিজে এইভাবে কয়েকবার মরতে মরতে বেঁচে গেছি... এখনো অবশ্য গাড়ি ভাঙি নাই।

লেখার ভঙ্গি দারুন।
পরিসংখ্যান মতে উড়োজাহাজ গাড়ির তুলনায় অনেক অনেক গুন নিরাপদ। তবুও আমরা কেন যেন গাড়ির থেকে উড়োজাহাজে চড়তেই ভয় পাই বেশি।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

কাপ্তান সাহেবের কাজকামের সাথে হালকা-পাতলা পরিচিত হওয়া গেল। এমন কাহিনী থাকলে আরো লিখবা।
--------------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

রাহিন হায়দার এর ছবি

আপনি কে একটু খোলাসা কইরা বলেন না! দেঁতো হাসি
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।