প্রথম সিগারেটে টান দিয়েছিলাম ক্লাস ফাইভে থাকতে। লুকিয়ে না, অতো সাহস ছিল না। আগ্রহী দৃষ্টি দেখে একদিন বাবাই হাতেখড়ি করালেন। কাশতে কাশতে এক বিশ্রী অবস্থা হল। ছ্যা, এই জিনিস বড়রা এত মজা করে খায় কিভাবে? কখনই খাব না আর। এর চাইতে তো লাল হলুদ পানিও ভাল, ওটার হাতেখড়িও কিছুদিন আগে হয়েছিল কিনা। শিক্ষক অভিন্ন।
হাতেখড়ি নিজহাতে করালেও বাবার একটা শর্ত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার আগ পর্যন্ত সিগারেট ধরা যাবে না। এ প্রশ্রয়ের কারণ সম্ভবত তাঁর নিজের অতীত রেকর্ড। ততদিনে আরেকটু বড় হয়েছি। তবে প্রথম অভিজ্ঞতার রেশ কাটেনি। অতএব সেই শর্ত নিয়ে তখনও মাথা ঘামাচ্ছি না। কলেজে উঠলাম, জাতে ওঠা হল না। কলেজে আমার পাশে যে বন্ধুটি বসত, তার কাছে কারো 'খারাপ ছেলে' হওয়ার জন্য একটি অভ্যাসই যথেষ্ট ছিল- ধূমপান। একদিন ক্লাস বিরতিতে দু'জন হেঁটে ক্যান্টিনের দিকে যাচ্ছি। সে আমাকে কনুইয়ের গুতা দিয়ে দু'জনকে দেখাল, "শালাদের চিনে রাখ, স্মোক করে"। আমি চিনে রাখলাম। আমার চোখে খারাপ না হলেও আমার বন্ধুর চোখে তারা খারাপ। তাদের সাথে বেশি মেলামেশা করে পুরোনো বন্ধুত্ব নষ্ট করার দরকারটা কী?
যথাসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখলাম। হোস্টেল জীবনের প্রথম বছরটা কিভাবে যেন কেটে গেল। চারপাশে অনেক 'খারাপ ছেলে' অভ্যস্ত ভঙ্গিতে ধোঁয়া ছাড়ে। আমার কেমন যেন অস্বস্তি লাগে, ধোঁয়ার কারণে না, একটা কনুইয়ের গুতার অভাব তীব্রভাবে অনুভব করি। বন্ধুটির সাথে অনেক স্মৃতি, তবু কেন যেন শুধু এই কারণেই তাকে মনে পড়তে থাকে। দ্বিতীয় বছরে ওঠার পর হঠাৎ একদিন ক্লাস শেষে বাবার শর্তটা মনে পড়ে গেল। কাঁধের দুই পাশে ভাল দেবতা আর দুষ্টু দেবতা তুলকালাম ঝগড়া বাঁধালো এবং শেষ পর্যন্ত দুষ্টুজন জয়ী হল। কে যেন সেদিন বলছিল খাওয়ার পর নাকি সিগারেটটা ভাল জমে। শুভস্য শীঘ্রম। দুপুরে খাবার পর ক্যান্টিনে গিয়ে একটা সিগারেট নিলাম, বেনসন লাইট। আরো ক'জন নবিশকে এ দিয়ে শুরু করতে দেখেছি। অনভ্যস্ত হাতে সিগারেট ধরিয়ে দিলাম প্রথম টান, দ্বিতীয় টান, তৃতীয়...। প্রথম দু'একবার কাশির পর টানের ঠিক মাত্রাটা বোঝা গেল। যখন ধূমপানের মাজেজা বোঝার চেষ্টা করে হাল ছেড়ে দিয়েছি, তখনই হঠাৎ মাথায় একটা ধাক্কার মত লাগলো। সর্বনাশ! তাড়াতাড়ি সিগারেট ফেলে হাতমুখ ধুয়ে রুমে গিয়ে স্তব্ধ হয়ে বসে রইলাম, এ আমি কী করলাম!
রাতে খাওয়ার পর মনে হল এত সহজে হাল ছেড়ে দেয়া ঠিক হয়নি। এবার দুষ্টু দেবতা আরো সক্রিয়। বুদ্ধিমানের মত চার টাকা নষ্ট না করে এক বন্ধুর কাছ থেকে একটা বেনসন লাইট নিলাম। তারও ধূমপায়ী জীবন বেশি দিনের না। অর্ধেক খেয়ে বাকিটা তাকে দিতে হবে এই শর্তে সে রাজি হল। এবার মোটামুটি জোর করেই ব্যাপারটা ধরার চেষ্টা করলাম। বেশিদূর এগোল না। পরদিন ক্লাসের ফাঁকে আবার সাহস করে ধরিয়ে ফেললাম একটি শুভ্রশলাকা। নতুন ধূমপানেচ্ছুদের জন্য জীবন বেশ কঠিন। অধূমপায়ী আর ধূমপায়ী এই দু'দলের মাঝে বাদুরঝোলা একটা অবস্থা। সিগারেট ধরালেই সবার সমস্ত মনোযোগ আমার দিকে চলে আসে। আমিও জেদ ধরলাম, সিগারেট খেয়ে ফুসফুস ঝাঝরা বানিয়ে না ফেললে আমার নাম রাহিন না। বেশ কিছুদিন পর দেখি বেনসন লাইটটা ঠিক জমছে না, কেমন যেন কাগজ কাগজ লাগে, টানার পর ফুরফুরে ভাবটা বেশিক্ষণ থাকে না। অভিজ্ঞরা জানালো, আমার নাকি বেনসনে উন্নীত হবার সময় এসে গেছে। এমন চ্যালেঞ্জ তো আর অগ্রাহ্য করতে পারিনা। পূর্বাভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বেনসনও বাগে আনা হল। এরপর ভাবলাম গোল্ডলিফটাও চেখে দেখা যাক। কিন্তু ততদিনে ফ্লেভার জিনিসটা বুঝে গেছি। তাছাড়া গোল্ডলিফটা একটু বেয়াড়া মনে হল। সুতরাং বেনসনেই স্থিত হলাম। সপ্তাহ শেষে বাসায় গেলে সেখানেও বীরদর্পে খাওয়া শুরু করলাম। গোটা দশেক কিনলে তারমধ্যে তিনখানা বাবা আঙ্গুলদাবা করেন (সিগারেট কিন্তু অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছিলেন)। সান্ধ্যকালীন চা পর্বে দু'জনে এক কাঠি থেকে সিগারেট ধরাই। অপূর্ব দৃশ্য। হঠাৎ মনে হয় কত বড় হয়ে গেছি।
প্রাথমিক উত্তেজনা কেটে গেলে অবশ্য খুব বেশি সিগারেট হত না দিনে। শুধু পরীক্ষার সময় গ্রাফটা বেহিসাবি ভাবে উর্দ্ধমুখী থাকতো। শেষ পর্যন্ত আরো কমাতে পেরেছিলাম। এখন সিগারেট প্রায় খাই-ই না বলতে গেলে, খেলে হয়তো মাসে একটা। মনের জোর-টোর সব বাজে কথা। আসক্ত সম্ভবত কোনদিনই ছিলাম না।
কলেজ-বন্ধুটি প্রায় হারিয়েই গিয়েছিল। থার্ড ইয়ারে থাকতে হঠাৎ একদিন তার নাম্বার পেয়ে ফোন দিলাম। কথায় কথায় সে হঠাৎ গলা নামিয়ে বলল, "এই, তুই...ইয়ে, স্মোক করিস নাকি?" আমার সন্দেহ হল,
-"হ্যাঁ, কেন?"
-"মানে, কয়টা হয় দিনে?"
-"বেশি না, হবে সাত-আটটা। তুই?"
-"হ্যাঁ।"
-"কী?! সিরিয়াস?!"
-"হ্যাঁরে ভাই। দিনে এক প্যাকেট ছাড়িয়ে যায়। গোল্ডলিফ।"
মন্তব্য
বড় সরস লেখা। রাহিন, আপনি এই ফ্রিকোয়েন্সি ধরে রাখার চেষ্টা করুন।
ধন্যবাদ হিমু ভাই :D। চেষ্টা থাকবে।
...............................
প্রকৃত জল খুঁজে বেড়াই
মজা পেলাম পড়ে।
বিশেষ করে, শেষটুকু দারুন লাগলো
আমারও দারুণ লাগল আপনার মন্তব্য। ধন্যবাদ।
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি
ধুম্রশলা জীবন জ্বালায় জীবন পোড়ায়।
কোন সন্দেহ নেই।
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি
মজা লাগলো ...
বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও সিগারেটে সুবিধা করতে পারি নাই ... ভাবসিলাম প্রথম প্রথম খারাপ লাগে আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু কয়েকবারের পরেও যখন দেখলাম শিয়ালের গুর মতই লাগে তখন বাদ্দিলাম
তবে সিগারেট খারাপ লাগলেও বিড়িখোর গ্রুপের সাথে ধুমায়ে আড্ডা দিতে সমস্যা হইতো না ... অফিসে প্রতি ঘণ্টায় কয়েকজন বের হয়ে সিঁড়িতে চলে যাইতো বিড়ি খাইতে, আমিও সাথে যাইতাম আড্ডা মারার লোভে ... সমস্যা হইল নন-স্মোকার কেউ যখন সেই সিঁড়ি দিয়ে যাইতো তখন একটা কড়া দৃষ্টি দিয়ে যাইতো ... একবার সবাই বিড়িসহ আড্ডা মারতেসে, আমি জরূরী কল পেয়ে ডেস্কে চলে আসলাম, আর খাইলাম ধরা ... এক আপু ঘাউ ঘাউ করে বিশাল ঝাড়ি, আমরা নাকি বিড়ি খেয়ে পুরা অফিস গান্ধা করে দিচ্ছি, কেউ টিকতে পারতেসে না ইত্যাদি ... যতই বলি আমি খাই না, কে শুনে সেই কথা ... চার পাঁচ পরে বুঝলাম আপু প্রেগনেন্ট ছিল তাই এত খেপছিল :-|
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
এই আড্ডাবাজীর ঠেলায় পইড়াই কত বিড়িখোর জন্ম নিল! থ্যাঙ্কস বস, মন্তব্যের জন্য।
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি
আচ্ছা কিংকং শিয়ালের গুয়ের টেস্ট কেমন তা কেমন করে জানল?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
জব্বর মজারু পোস্ট। আমি নিজে বিড়ি খাইনা, কেউ দিলে ধরাই, মুখ দিয়া টাইনা মুখ দিয়া ছাইড়া দেই। পানিও ১-২ চুমুক। সাইধা দিলে না করা কি ঠিক? তবে বিড়ি না খাইয়াও খাইতে হইত, ইন্টার্নির সময় যে ঘরে ঘুমাইতাম, সে ঘরে সবসময় ৭-৮ জন থাকত, ৪-৫ জন ক্যান্সার-শলাকা ফুঁকত, তবে দুপুর বেলা সেটা ১০-১২ তে উন্নিত হইত, ফলে ঐ ঘরে একটা মেঘ থাকত ধুয়ার। ফলে বাসায় ঢোকার আগে সার্ট পর্যন্ত খুলে ফেলতাম, এমন গন্ধ বের হইত কাপড় থেকে। আর স্বাস্থ দেখে সবাই ধরে নিত, বিড়ি তো খাই ই, এর পর বিড়ির ফিল্টার টাও টানি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ধন্যবাদ সাইফ ভাই! প্যাসিভ স্মোকিং-ও বড় খারাপ জিনিস।
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি
আমি ক্লাসে ফোরে থাকতে প্রথম টান দেই সিগারেটে। এর আগে গ্রামে একবার বিড়ি খেয়ে দেখার চেষ্টা করে দেখেছিলাম, বমি টমি করে বিশ্রী অবস্থা। সিক্স থেকে মোটামুটি আয়ত্ত্বে চলে আসে, মানে সিগারেট খেতে গেলে কাশতাম না বা ফিল্টার ভিজিয়ে ফেলতাম না। তবে তখন বিশাল প্রস্তুতি ছিল ধুমপানের। কোনমতে ১ টাকা ২৫ পয়সা জোগাড় করে এক বন্ধুকে নিয়ে বগলা সিগারেট কিনে চলে জেতাম ঝিলের পারে। জনবসতি থেকে অনেক দূরে। খাওয়া শেষে মুখের গন্ধ দূর করার জন্য চকলেট কিনতাম পয়সা থাকলে, আর না হলে লেবু বা আমের পাতাই সই। এত সাবধানতার পরেও ধরা খেয়ে গেছিলাম মায়ের কাছে, মাইর খাইনাই, কিন্তু কষ্টে তার চোখে পানি চলে আসতে দেখে সিগারেটের ধারে কাছেও যাইনি অনেক দিন। মেট্রিক পরীক্ষার আগে পরে আবার শুরু হলো। কলেজে থাকতে বাবার হার্ট অ্যাটাক হওয়ায় সিগারেট ছেড়ে দিয়েছিলাম, ভয়ে। একটানা ৬ বছর অধূম্পায়ী ছিলাম। তারপর আবার কীভাবে কীভাবে যেন বদ সঙ্গে পড়ে নষ্ট হয়ে গেলাম। এখনও নষ্টই আছি ।
৬ বছরের বিরতি?! শুনে সাবধান হলাম মামুন ভাই! আমাকে অবশ্য চকলেটের ঝামেলায় কখনও যেতে হয়নি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি
"আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান!!" মজারু,বিশেষত শেষ প্যারাটা...*তিথীডোর
বিষ মানে, মহা বিষ! ধন্যবাদ তিথীডোর।
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি
খুব ভাল লাগল। এর চাইতে তো লাল হলুদ পানিও ভাল, ওটার হাতেখড়িও কিছুদিন আগে হয়েছিল কিনা। শিক্ষক অভিন্ন। - উল্টোটাই তো হয় সাধারনত। আপনি তো বেশ এগিয়ে ছিলেন...। এখন যারা বড় হচ্ছে তাদের কাছে মনে হয় নষ্ট হওয়ার জন্য শুধু ধূম্র এত আকর্ষণীয় না...।
এগিয়ে ছিলাম। তবে ভাগ্য ভালো রান রেট ধরে রাখতে পারি নাই।
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি
হাহা...দারুন মজা পেলাম
ভালো লাগলো, ভ্রম। ধন্যবাদ।
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি
জীবনে প্রথম যে সিগারেটে টান দিয়েছিলাম স্কুলে থাকতে সেটি ছিল Moor
ঠান্ডা সিগারেট। এক বন্ধু এনে দিয়েছিল। তখন শুনেছি ওটাতে ভিটামিনও আছে, খেলে মাথা ঠান্ডা থাকে.................
চমৎকার লিখেছেন আপনি!!!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে! উৎসাহিত হলাম।
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি
এইটাতো মাইয়াগো বিড়ি।
রাহিন ভাই, লেখা ভাল্লাগসে
আপনি তো ভাই বেড়ে লেখেন- ভ্যান্টেজ পয়েন্টের পর এটাও বেশ লেগেছে...।
বিড়ি-ফিড়ি খাইনে, ওতে যক্ষা হয়। এবাবদ সচলাড্ডায় আমার পেছনে খরচটাও কম হয়...
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি
খামাকা বিড়ি-সিগারেট খায়া কী লাভ? এই যেমন আমি খাই না, মাঝে মাঝে অবশ্য দু-একটা টান দিই। তবে সব দিন কি আর দিই! যেদিন একটু-আধটু ইয়ে-টিয়ে খাই, সেদিনই দিই আর কি!
লালপানি ছাড়া বিড়ি-সিগারেটের কোনোই মূল্য নাই।
সাবলীল লেখা। পড়তে ভালো লেগেছে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ধন্যবাদ আপনাকে। পানির যাও একটু মাজেজা আছে, ধোঁয়া ব্যাপারটাই খামাখা।
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি
প্রথম ধূমপান করি ক্লাস ৭ কি ৮ এ থাকতে। শুধুমাত্র প্রতি ঈদের দিন বাড়ি থেকে মেলা দূর গিয়ে সিগারেট টানতাম। সিগারেটের গন্ধ মিলানোর জন্য থাকতো সে কি বিশাল প্রস্তুতি। আপনি তো ভাই বিশাল ভাগ্যবান এদিক থেকে। ঈর্ষান্বিত হলাম।
লেখা মজার হইছে। চালায়া যান।
থেঙ্কু ভন্ড মিয়া। সৌভাগ্য কিনা জানিনা, লুকিয়ে টানার মজা নিশ্চয়ই অন্যরকম।
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি
পঁচা লেখা ! চোখ বন্ধ করে মাইনাস !!
( লেখাটা অন্য কারো জীবনের হলে সেই ক্ষেত্রে খুব সুন্দর লেখা হতো!! ( )
ভাইয়া,আপু নাম লেখে নাই কেন?
জোনায়েদ কায়সার
লিখি নি কে বললো?
একটু কায়দা করে লিখেছি, এই যা ! একটু মনযোগ দিলেই বোঝা যাবে!!
চোখ খুইলাই মাইনাস! [ লেখা ভালাইলেও মাইনাস বলবৎ থাকিবে!]
না হয় একটু মাইনাসই খেলাম!
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি
বাঁশিতেও মনে হয় হাত আছে?
আমার মনে আছে, প্রথম যখন স্মোকিং শুরু করলাম, একটা জিনিস খেয়াল করেছিলাম- বিড়িখোররা ৫ টাকায় বেন্সন কিনতে পারলেও ১ টাকায় ম্যাচ কিনেনা। তাই আমি একটা লাইটার কিনে নিয়েছিলাম। সবাই আমার কাছে আগুন চাইত, আমারো শর্ত ছিল- আগুন দিতেছি, কিন্তু আমার ফার্স্ট বুক!
ওরে...তুমি কিনসো আবার লাইটার?
পুরা ৪ বছর cit dept. এর বিড়ির আগুনের যোগান দিলাম...কেউ মনে রাখে না
ধূম্রময়!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
১৪ বছর পর এবার রোজার আগে ছেড়ে দিলাম ধোয়া টানা। অনেকদিনের বন্ধু ছিলো, বিদায় দিতে কষ্ট হয়েছে...
=======================
ছায়ার সাথে কুস্তি করে গাত্রে হলো ব্যাথা!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
যাই একটা বিড়ি খাইয়া আসি
রাহিন ভাই আমি ও সচল হয়ে গেলাম ।
লেখা অনেক মজার হইসে। আপনারে দিয়াই হবে
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
পান্খা, রাহিন......মজা পাইসি.
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীরকণঃ ধূমপান কর্লে সিউর মারা খাইবেন
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি
আমি প্যাসিভ স্মোকার- আমার আশেপাশের সবাই এত সিগারেট খায় যে আমার না খেলেও চলে-
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হাহাহা...প্যাসিভ স্মোকার
যাই বলিস, তোর বাবা একটা মহান জিনিস। আমার বাপের সাথে বিড়ি খেতে খেতে গপ্পো মারব, এই দৃশ্য আমি কল্পনাও করতে পারি না। বাবা ছেলে সম্পর্ক এমনই হওয়া উচিৎ। আমার ছেলে তো বিড়ি খেতে খেতে ওর গার্লফ্রেন্ডের গল্প করবে আমার সাথে!
...তার চেয়ে ভাল গত জন্মের ঘুম, শালিক কুড়িয়ে কাটে এই মৌসুম... হবে নাকি এইটা নিয়ে? মাইনাস নিয়ে ভাবিস না। এরা বিড়ির মর্ম বোঝে না। লেখারাম লিখে যা...
আর রাহিন এর মেয়ে রাহিন এর কোলে মাথা রেখে সিগ্রেট ফুকবে আর মেয়ের বয় ফ্রেন্ড মেয়ের কোলে মাথা রেখে সিগ্রেট ফুকবে!!! [ পুরো ঘটনা একই সময়ে সম্পন্ন হইবে ]
:D
খেয়েছি! ১৯৯৮ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত।
দিনে চল্লিশটা করে।
প্রথম দিকে এক প্যাকেটেই কয়েকদিন চলে যেতো। এক সময় এসে দেখি দিনে চল্লিশটা কিনলেও টান পড়ে।
লেখাটা সরস লেগেছে।
লেখা পড়ে ফুর্তি পেলাম, অনেক দেরিতে জানাতে এলাম, লেখকমশাই দেখবেন কি না কে জানে। আরো লেখার আশায় রইলাম।
মজা পাইলাম লেখাটা পড়ার পর রাহিন।
আচ্ছা তোমাদের ভার্সিটিতে কি সব পোলারাই সিগারেট টানে নাকি ?
তোমাগো ইউনির যতোগুলাকে চিনি সবগুলাই দুষ্ট পোলাপান, সিগারেট টানে আরকি !
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
নতুন মন্তব্য করুন