আমার একটা নীল রঙের সাইকেল ছিল। কোম্পানীর নামটার আদ্যক্ষর ছিল এস্। এমটিবি লেখা ছিল কোথাও, অর্থাৎ মাউন্টেন বাইক। পাহাড়ী এলাকায় চালিয়ে নামের সার্থকতা যাচাই করা হয় নি।
আত্মবিশ্বাস শব্দটা আমার অভিধানে নেই, থাকলেও ভুল বানানে। তবু প্রাক্তন প্রাথমিক স্কুলের মাঠে আছাড় খেতে খেতে কিভাবে যেন শিখেই ফেললাম সাইকেল চালানোটা। ফাইভ কি সিক্সে পড়ি তখন। ভোরবেলা বাবা নিয়ে যেতেন সামনে বসিয়ে। আমি সারা মাঠ চক্কর দিতাম, গুনে রাখতাম ক'টা দিতে পারলাম আছাড় না খেয়ে। যতই দিন যাচ্ছিল, ফিরতে চাইতাম না মাঠ থেকে। প্রথমবার স্বাধীনভাবে চাকায় চলার আনন্দটা মনে রাখার মত। সাইকেলের চেনের শব্দটা কানে ছিল সঙ্গীত।
ঢাকায় থেকে আমার মত এতবার বাসা বদল কেউ করেছেন বলে মনে হয় না। সাইকেল শেখার পরপরই বাসাটা বদলে চলে গেল রামপুরা মহানগর প্রজেক্টে, সাইকেল চালানোর স্বর্গ। আনন্দ দেখে কে আমার? বিকাল হতে না হতেই বাসায় খুঁজে পাওয়া যেত না আমাকে। আবিষ্কার করলাম আমি একাই না, রীতিমত ত্যুর দ্য ফ্রঁস চলছে ইট বিছানো রাস্তাগুলোতে। কত হরেকরকমের সাইকেল একেবেঁকে ছুটে চলছে। নিজেদের মনে হত অত্র এলাকার বিকাল বেলার রাজা। একদিন রাণীও খুঁজে পাওয়া গেল। দেখি একটা বাচ্চা মেয়ে (তখন বাচ্চা মনে হয় নি!) হাত ছেড়ে দিয়ে সাইকেল চালাচ্ছে। আমি ব্রেক কষে থেমে যাই। আমারও শিখতে হবে অমন কায়দা। শিখেও গেলাম দ্রুত, অনুপ্রেরণায় কিনা হয়! প্রথমে সোজা রাস্তায় হস্তবিহীন, তারপর ডানে বামে ঘোরা। তারপর থেকে হ্যান্ডেল ধরতাম কেবল থামতে হলে।
একবার ঈদ করলাম মামাবাড়িতে। মামাতো ভাই বেশির ভাগ ব্যাপারেই আমার থেকে এককাঠি সরেস। এবার অবাক হওয়ার পালা তার দ্বিচক্রযানের কেরদানিতে। তুমুল গতিতে থেকে সে কিভাবে যেন ব্রেক কষে প্রথম চাকাটাকে কম্পাসের কেন্দ্র আর দ্বিতীয়টাকে পেন্সিল বানিয়ে একশ আশি ডিগ্রী ঘুরিয়ে ফেলত সাইকেলটা। দেখার মত দৃশ্য। তার সামনে চেষ্টা করলাম না লজ্জায়। ফিরে এসে লোকচক্ষুর অন্তরালে চেষ্টা করাতে কনুই হাঁটুর চামড়া বিসর্জন দিতে হল। মন্দের ভালোমত আয়ত্ত হল শেষ পর্যন্ত কিছু একটা। যারা মূলটা দেখে নি তাদের কাছে ওটাই দর্শনীয়, আমিই নায়ক, বা মূল স্টান্টম্যান।
দুর্ঘটনা ঘটে গেল একদিন। মা পাঠিয়েছিলেন বাজারে। অজ্ঞাত কারণে সাইকেলটা নিতে মানা করলেও শুনলাম না। মা এমন অর্থহীন কথা প্রায়ই বলেন যেগুলো মানার কোন যুক্তি খুঁজে পাইনা কিন্তু না মানার জন্য খেসারত দিতে হয়। ফিরতি পথে, প্রায় বাড়ির কাছে চলে এসেছি এমন সময় দেখি একটা গাড়ি বিপরীত দিক থেকে ধীর গতিতে আসছে। সন্দেহজনক কিছু মনে হয় নি। হঠাৎ দেখি গাড়ি আচমকা ক্ষেপে গিয়ে তার দিক ভুলে আমার দিকে ছুটে আসছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমি মাটিতে আর গাড়িটা রাস্তার বিপরীত দিকের দেয়ালে হুমড়ি খেয়ে পড়ল। চালাচ্ছিল গাড়ির মালিকের সাড়ে চার ফুটি ছোট ছেলেটা, চালকের কাছ থেকে চাবি সাফাই করে। উচ্চতার কারণে সে সম্ভবতঃ আমাকে দেখে শেষ মুহূর্তে। ভাগ্যিস স্টিয়ারিংটা বামে ঘুরিয়ে দিতে পেরেছিল। মারা যেতে পারতাম। অবশ্য সে সম্ভাবনার কথা মাথায় তখন আসেনি কারণ সাইকেলটার প্রথম চাকা চুরমারের দুঃখবোধ। মনে হত ওর এমন দশার জন্য আমিই অপরাধী। কেন ও রাস্তায় ঐ মুহূর্তে আমার থাকতে হল? কেন বাজার করার জন্য আমি ওকে নিয়ে গেলাম? কী হত একদিন হেঁটে বাজার করলে? তাছাড়া মা-ও তো বলেছিলেন সাইকেলটা নিয়ে না যেতে! মা কী করে সব বুঝতে পারেন আগে থেকে?
চাকা ঠিক করা হয়ে উঠে না। মা একথা সেকথা বলে ঠিক করতে দেন না। সাইকেলটা ভাঙা চাকা নিয়ে গ্যারেজের এক কোণায় কাত হয়ে পড়ে থাকে।
তারপর একদিন সাইকেলটা নিয়ে পুরান ঢাকায় যাই। সাইকেল ঠিক হয়। পরদিন রাস্তায় নামি, কিন্তু আগের সেই চঞ্চল সাইকেলটা কেমন যেন ম্রিয়মান, যেন সারাতে দেরী করায় আমার ওপর তার অনেক অভিমান হয়েছে। পুরোনো রাস্তাগুলো ধরে আগের মত ছুটে চলতে গিয়ে টের পাই, সাইকেলটা ঠিক সায় দিচ্ছে না আমার আরোপিত উৎসাহে। কোথায় যেন তাল কেটে গেছে।
সাইকেলের জায়গা নিয়ে নেয় পাড়াতো ক্রিকেট। সন্ধ্যাবেলা ঘর্মাক্ত দেহে বাসায় ফিরে আসি। বাসায় ঢুকতে ঢুকতে হয়তো সাইকেলটার দিকে দু'একবার চোখ যায়। একসময় সাইকেলটার কথা প্রায় ভুলেই যাই।
ছোট ভাই একদিন তার ছোট্ট সাইকেলটা ফেলে আমার সাইকেলটা কব্জা করে। আগে চালাবার চেষ্টা করেছিল, সুবিধা করতে পারেনি। এবার তার খুশি আর ধরে না। আমি অবাক হয়ে দেখি সাইকেলটাও নতুন মনিব পেয়ে খুশি হয়ে উঠেছে। জানি পুরোটাই আমার মনে হওয়া। জড়বস্তুদের খুশি হবার ক্ষমতা থাকে না।
তারপর একদিন ছোট ভাইটার মন খারাপ ক'রে দিয়ে আবার বাসাবদল হয়। নিরিবিলি পরিবেশ ছেড়ে আমরা চলে আসলাম চৌধুরীপাড়ার সামনের দিকটাতে। এখানে হর্ণ আর রিকশার টুংটাং-এর অষ্টপ্রহর যুগলবন্দী। বাসার সামনেই ওয়েল্ডিং-এর দোকানপাট। সেখানে আলোর ঝলকানি দেখতে দেখতে আমরা পুরোনো এলাকায় এক আত্মীয়ার হেফাজতে রেখে আসা নীল সাইকেলটার কথা বেমালুম ভুলেই যাই একসময়।
একদিন আত্মীয়া ফোন করেন। সাইকেলটা তিনি এলাকার কোন এক গরীব ছেলেকে দিয়ে দিয়েছেন। মা বলেন, "ভালোই করেছেন আপা"। আমি কিছুক্ষণ অচেনা এক বালকের পায়ে আমার সাইকেলের চেন ঘোরার শব্দ শুনতে পাই। তারপর কী একটা কাজে আবার ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কোথাও কোন একটা চেন অবশ্য ঘুরতেই থাকে, তবে নিঃশব্দে।
মন্তব্য
সেই রকম নেখা!
ধঁন্যঁবাঁদ।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
বেশ সুন্দর করে লিখছিলেন, তবে শেষটা অত ভাল লাগে নাই! একটু অন্যরকম কিছু হবে সেটা চিন্তা করছিলাম;)
আপনার ফিলিংসটা ধরতে পেরেছি অবশ্য! মজা পেয়েছি!
কাকুল কায়েশ
হুম, সাদামাটা কাহিনী ও ততধিক সাদামাটা লেখনী।
ধন্যবাদ কাকুল কায়েশ ভাই।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
না না ভাই, এইটা কি বললেন? স্মৃতি কি কখনো সাদামাটা হয়?
আর আমি কিন্তু কখনোই বলিনি এটা সাদামাটা লেখনী! আমি শুরু থেকে প্রচন্ড আগ্রহ নিয়ে পড়েছি! শেষে কি হবে, শেষে কি হবে, এটা চিন্তা করে খানিকটা উত্তেজিতও! বুঝেনই তো, ইয়ে দিল মাঙ্গে মোর!
এজন্যই হয়তো ফিনিশিংটাতে হালকা হতাশ হয়েছি! কিন্তু সাদামাটা হবার তো প্রশ্নই আসে না। মনে মনে আপনাকে তারাও দিয়ে দিয়েছি কিন্তু! (লোল)
কাকুল কায়েশ
তবে একটা কথা। ইংরেজীতে যেটা lol, বাংলায় তা হাহাপগে।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
হাহাপগে'র ইংরিজি সম্ভবত ROFL। না কী?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হাহাহহাহাহা......।আসলেই আমি হাহাপগে:))
ভাই, আমি প্রথম প্রথম ওই স্মাইলি সাইনগুলা ব্যবহার করতে পারছিলাম না!
কিন্তু এখন পারছি;)
কাকুল কায়েশ
উপ্স! হ্যাঁ।
তাইলে lol এর বাংলাটা যেন কী?
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
যেন আমার নিজের সাইকেল চালানো শেখার এবং পরবর্তী ঘটনাগুলো পড়লাম, একদম চোখের সামনে। স্ট্রিট-হক স্টান্ট করতে গিয়ে প্যান্ট আর পাছার ছাল যে কতবার যে বিসর্জন দিয়েছি, তার হিসাব নাই, এ ব্যাপারে এনকিদুর এক পোস্টে বলেছিলাম। আমার বড় ভাইও আমার সাইকেলটা চালাতো, একবার এক্সিডেন্ট করে সাইকেলের হরাইজন্টাল বারটা ভেঙ্গে ফেলেছিল, তারপর থেকে বাঁকা ফ্রেম নিয়ে সাইকেল চালাতাম।
রাজশাহীতে থাকতে সাইকেলটা ছিল আমার প্রাণ, সাইকেল হাতে পাবার পর আর কখনো রিক্সায় উঠিনি কারো সাথে কোথাও যেতে না হলে। ঢাকা আসার সময় সেই সাইকেলটা বিসর্জন দিয়ে দিতে হয়েছিল। ঢাকায় এসে আবার কিনি সাইকেল, রেসিং বাইক, কিন্তু কেন যেন পোষাতো না সাইকেল দিয়ে ঢাকায়, সম্ভবত মিনিবাস গুলোকে ভয় করত, তারপরে সাইকেলটা চুরি হয়ে যাবার পর আমার কেনা হয়নি। সাইকেলটা থাকতে সংসদ ভবনে প্রতিদিন যেতাম আর সামনের ঢাল দিয়ে উঠানামা করতাম। বড়ই আনন্দের দিন ছিল সেগুলো।
আমেরিকা এসে আবার পুরানো রোগ মাথাচাড়া দিয়েছিল, ৩ টা সাইকেল জোগাড় করি ফাউ ফাউ, তারপর ৩ টা থেকে ২টা সাইকেল বানিয়ে ফেলি, আবার হাত পাকাই স্ট্রিট-হক স্টান্টটায়, কিন্তু শীতকাল আসায় আবার উৎসাহে ভাটা পড়েছে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
জিনিসটার নাম তাহলে স্ট্রিট-হক স্টান্ট।
সাইকেল আবার চালাতে মঞ্চায়। দেশে গেলে আবার একটা কিনবো ভাবতেসি। সবদিক দিয়েই খুব ভালো বাহন।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
হুম্মম, মা-এর কথা শুনতে হয়!! (চোখ পাকালাম)
মা আবার বুঝবেনা? মা-দের কে তো সুপার-পাওয়ার দিয়ে বানিয়ে দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছে!!
আমরা ছোট তিন ভাইবোন একটা সাইকেল নিয়ে কাড়াকাড়ি করতাম। ঘরের সামনে পালা করে করে চালাতাম। রক্ষণশীল পরিবেশে বড় হয়েছি, মেয়ে হওয়াতে কখনও রাস্তায় নামতে পারিনি সাইকেল নিয়ে যেটা আমার ছোটভাই পেরেছিল।
আপনার লেখার ভেতর দিয়ে ছোটবেলা থেকে ঘুরে আসলাম। (দীর্ঘশ্বাস)
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।
মা'দের এই ব্যাপারগুলো আসলেই খুব রহস্যজনক! যতবার মা'র কথা শুনিনি কিছু না কিছু গড়বড় হয়েছেই।
আপনার সাথে তুলনা করলে আমার সাইকেল ভাগ্য দারুণ মনে হচ্ছে। সাইকেল নিয়ে রাস্তায় নামতে না পারার জন্য সমবেদনা । আর দীর্ঘশ্বাসটুকু যেন সবসময় ছোটবেলার জন্যই তোলা থাকে।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
(পুনরাবৃত্তি)
কতদিন সাইকেল চালিয়েছি কলোনীর মাঠে মাঠে, সাইকেল চালানোর শখ ছিল বড় রাস্তায়ও। কিন্তু বাবার অতি নিরাপত্তাসচেতনতায় কখনোই বড় রাস্তায় ওঠা হয়নি। বাবা সাইকেলটা কিনেই দেয়নি। আর আমি সাইকেল চালানোই ভুলে গেছি।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সাইকেল চালানোতো ভোলার কথা না। দু'একদিন চালালেই আবার ঠিক হয়ে যাবে, যদি চালান আদৌ।
ধন্যবাদ নীড় সন্ধানী ভাই।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
কদিন আগে নানুবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে অনেককগুলো বছর পরে দ্বিচক্রযানখানা পেট পুরে চালালাম...
লেখা ভাল্লেগেছে!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
পেট পুরে?! না মনে পুরে?
ধন্যবাদ তিথীডোর।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
মুড ভাল থাকলে এমনিতেই পেটপুরে যায়...
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
(দুবার এসে পড়ায় মুছে দিলাম)
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখাটা খুব-ই ভালো লাগছে।
আপনার প্রিয় সাইকেলের শেষ গন্তব্য জেনে ভাল লাগল।
লেখা ভাল লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
সাইকেল আমার ভীষণ প্রিয়। সাইকেল নিয়ে আমার স্মৃতিগুলোও খুব কোমল। আমার প্রথম সাইকেল ছিল কালো-হলুদ BMX। আমি যখন পাঁচ কি ছয়, তখন কেনা। আরেকটা সাইকেল কিনব ভাবছি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
চলেন একটা সাইকেল আন্দোলন শুরু করি।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
একটু বড় হয়ে পাওয়া দুইচাকার সাইকেলের চেয়ে ছোটবেলার তিনচাকার সাইকেলটার কথা বেশি মনে পরে...
খুব সুন্দর লেখা। ভালো লাগলো...
তিন চাকার সাইকেলগুলো এখন আর দেখা যায় কি তেমন?
ধন্যবাদ ভ্রম।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
চমত্কার লাগল পড়তে৷
আমি সাইকেল ঠিকই চালাতাম, কিন্তু রাস্তার ধারের নর্দমা, গাছপালা সব এঁকেবেঁকে আমার সামনে এসে বাধা সৃষ্টি করত৷ তারপরে একবার হুড়মুড়িয়ে গিয়ে একটা গরুর পালের মধ্যে ঢুকে গেলাম৷ একটা বাছুর নর্দমায় পড়ল, সাথে আমি ও আমার সাইকেল৷ তারপর থেকে গরুগুলো আমাকে দেখলেই কিরকম বিভ্রান্ত হয়ে এদিক ওদিক দৌড়াত৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ধন্যবাদ দময়ন্তী'দি।
অদ্ভূত অভিজ্ঞতা দেখছি আপনার সাইকেল নিয়ে!
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
তারায়ে গেলাম।
লেখা ভালো লেগেছে বুঝে ভালো লাগলো খুব।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
লেখা ভালো লাগলো... শিরোনামটিও....
-------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
চমৎকার লাগলো, রাহিন।
আমার টুকটুকে লাল সাইকেলটার কথা মনে করিয়ে দিলেন। সাইকেল থাকলে একা লাগে না। তাই না?
আমি দারুণ সব জায়গায় চালিয়েছি।
উঁচু বাঁধ থেকে দুরন্ত গতিতে নীচের দিকে নামা। নদীর ধার দিয়ে। সবচে মারাত্মক লাগতো, নদী ভাঙার সময়টাতে। এক মূহুর্ত আগে যে জায়গাটা পেরিয়ে এলাম, পরমূহুর্তেই সেটা চাপ ধরে ধপাস। ভয়ংকর!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
একদম ঠিক।
আপনার অভিজ্ঞতা দেখছি চরম ঈর্ষণীয়! আমারগুলো নিতান্তই শহুরে।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
আমার সাইকেল এইখানে...
হাহ্ সাইকেল!
স্মৃতির সাইকেলে বারবার ফিরে আসে।
লেখা চমতকার লেগেছে।
ধন্যবাদ বাউলিয়ানা।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
- সাইকেল চালাতে শিখেছিলাম থ্রীতে থাকতে। ভাইয়ের কল্যান আর দয়ায়। তার আগেই লাল রঙের রেসিং "এ্যাভন" উপহার পেয়েছিলাম যদিও। কোনো এক জনমলে শুক্কুরবারে বন্দর উপজেলা কমপ্লেক্সের মাঠে শিখে ফেললাম। সেদিনই বিকেল বেলা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বাসা থে স্কুলের জন্য বই খাতা নিয়ে ফিরে যাওয়া দুই শিক্ষককে করলাম ধরাশায়ী!
জীবনে প্রথম চাকার ওপর গতি নিয়ে চলাটা উপভোগ করেছি মোটর বাইক চালানো শেখার পর। সাইকেল চালাতে শেখার উত্তেজনায় সেই অনুভূতিটা ঠিকঠাক পেয়ে উঠিনি।
প্রবল গতিতে ধাবমান সাইকলে ব্রেক কষে ঘুরিয়েছি একটা সময়। কিন্তু এ জাতীয় কর্মে আসল মজাটা পেয়েছি এই দু'দিন আগে। তুষারে ঢাকা রাস্তায় চলন্ত গাড়ির হ্যান্ডব্রেক কষে! চরম মজা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
প্রথমদিকে আমি কাউকে ধরাশায়ী হওয়া থেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই আগে ধরাশায়ী হয়ে বসে থাকতাম।
আমার চাকার বাস্তব অভিজ্ঞতা সাইকেলেই সীমাবদ্ধ। যন্ত্রযান কিছুই সে অর্থে চালাতে পারি না।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
১. সাইকেল চালানোর সেই দুর্দান্ত দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিলেন!
২. সাইকেল চালাতে শেখার কয়েকদিন পর রাস্তায় উঠামাত্রই কয়েকজনকে আহত করে দুর্দান্ত চালাচ্ছিলাম। এমন সময় কয়েকজন বান্ধবীকে এদিকে আসতে দেখলাম- বেচারিরা প্রাইভেট পড়ে বইখাতা নিয়ে আসছিলো। তাদের দেখে কী হলো বুঝলাম না তবে চালানোর জোশ গেল বেড়ে! এরপরের ঘটনা ঠিক ঠিক মনে নেই, তবে একসময় আবিষ্কার করলাম দুই বান্ধবী আমার সাইকেলসহ আমাকে নিয়ে পাশের কাদাজলমাখাধানক্ষেতে পড়ে গেছে।
৩. ঢাকায় আসার পর বছর তিনেক বাবা-মার ঘ্যানঘ্যান সত্ত্বেও সাইকেলটা বিক্রি করতে দিই নি। মাঝেমাঝে বাড়িতে যাই, একটু একটু করে সাইকেল চালাই। একবার বাড়িতে গিয়ে হঠাৎ টের পেলাম কী যেন নেই! দীর্ঘদিন বাড়িতে থাকার পর আত্মীয় বিদায় নিলে যেমন খালি খালি লাগে, সাইকেলটার জন্যও তেমন লেগেছিলো বেশ কয়েকটা দিন।
৪. তারা দিলাম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
তারপর?
ধন্যবাদ গৌতম'দা।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
আরো মজা, তুলতুলে বান্ধবীকে সামনে বসিয়ে নীল সাইকেল চালানো। মনডা উদাস করায়া দিলেন।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
যাক, উদাস হয়েও যদি তোর লেখা-টেখা বের হয়।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
- গডস মাস্ট বি ক্রেজি-দুই এ এরকম একটা সিন আছে না?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমার পড়া আজকের সেরা লেখা...
_________________________________________
সেরিওজা
অনেক ধন্যবাদ সুহান।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
বেশ ভালো লাগলো....
আপনাকে/তোমাকে/তোকে চিনি কী?
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
সে অর্থে সাইকেল নিয়ে মাতামাতি ছিলোনা, গেছো আমার প্রথম পছন্দ ছিলো রোলার স্কেটস, নিজের ছিলোনা, প্যান প্যান করে সিনিয়র বড় ভাইয়ের থেকে ধার করতাম আর দুদিন পর পর ভয়াবহ দুর্ঘটনা [নিজের বা অন্যের... ]করে বসে থাকতাম... এরপরে সখ হলো গাছে উঠার, এরপরে কার্নিশ থেকে লাফ দেবার...
সাইকেলতো সবাই চালাতো, অ্য্যাটেনশন সিকার আমার সখ ছিলো অন্য কিছু করার, সবসময়েই!
বাসায় সাইকেল আছে, আমার ভাই চালায়, দেখলে কেমন জানি ভয় লাগে, বিশাল জিনিস, আমি আল্গাতে পারিনা... আর বাট্টু আমার পায়েও আসেনা...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
রোলার স্কেটস আমিও চড়েছি। তবে ভালো রাস্তা না পাওয়ায় বাসার গ্যারেজেই সীমাবদ্ধ ছিল।
কাহিনীগুলো শুনতে ইচ্ছা হচ্ছে। একটা পোস্ট দিয়ে ফেলো।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
------------------------------------------------------
আকাশে তোর তেমনি আছে ছুটি
অলস যেন না রয় ডানা দুটি
আম্রিকায় এসে এখন সাইকেলই সঙ্গি। মাঝে মাঝে যখন একা লাগে, বেড়িয়ে পড়ি সাইকেল নিয়ে। চলে যাই নদির ধারে। ছোট বেলায় খুব শখ ছিল সাইকেলের। মা কিনে দেয়নি, চালাতে গিয়ে ব্যাথা পাব বলে। এখন কি শান্তি ইচ্ছা মত চালাই সাইকেল।
আপনার লেখা সেই রকম হইসে। এত সুন্দর করে লিখলেন কিভাবে?
(অফটপিকঃ আমি আপনার গানের চরম ভক্ত...পরের গানটা কবে পাবো?)
অনেক ধন্যবাদ তৌফিক ভাই। তবে শান্তি মত সাইকেল চালাচ্ছেন দেখে হিংসা লাগছে।
(অ.টঃ খুবই লজ্জা পেলাম। আমি খুবই অনিয়মিত ও অলস। কালেভদ্রে দু'একটা কাজ করি। তাছাড়া মূলতঃ বাঁশিই বাজাই, গানটা পরে। খুব তাড়াতাড়ি কিছু আসবে এমন আশায় থাকলে ঠকার সম্ভাবনা আছে। আবারও আন্তরিক ধন্যবাদ।)
____________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
মা সাইকেল চালাতে দেন নি...আর বউ বাইক চালাতে দিবে না...হেহেহে...চ্রম দুর্ভাগ্য যাকে বলে...
লেখা সুন্দর, সব সময়কার মতন। আমি বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছি একটা সাইকেল কিনবো। টাকা নাই।
শেষ সাইকেল চালাই ছয় শ্রেনীতে থাকার সময়...
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
ভালো কথা বলেছেন। এবার বাইক কেনার পালা।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
খুউব ভাল্লাগলো লেখাটা
আন্তরিক ধন্যবাদ প্রহরী ভাই।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
কি আশ্চর্য! এই লেখা তো আমার লেখার কথা ছিলো।
আচ্ছা আপনার আত্মীয়স্বজনের মধ্যে কি হুইলচেয়ারনিবাসী টাকমাথা কোন ভদ্রলোক আছে? স্কুলে পড়ায়? প্রফেসর ওয়াই না কিউ কি জানি নাম??
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হুইলচেয়ারনিবাসী একজন আছেন। কিন্তু তিনি টাকমাথা নন, স্কুলেও পড়ান না। কিন্তু এ প্রশ্ন কেন?
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
লেখা চরম উমদা হয়েছে। গল্পের মতো।
এটা পড়ে আমার নিজের-ও সাইকেল-রিকশা বিষয়ক স্মৃতিকথা লিখতে ইচ্ছে করছে!
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
দারুন লাগলো।
নতুন মন্তব্য করুন