অপ্রসঙ্গঃ
বাচ্চু রাজাকারের নামটা প্রথম শুনি ২০০৩-এ, কলেজের রসায়ন স্যারের মুখে। স্যার ফরিদপুরের লোক। তবে ফরিদপুর বলতে পারতেন না, বলতেন ফ্রিদপুর।
ঠিক কী কারণে স্যার পড়ানো বাদ রেখে এতো কথা বলেছিলেন মনে নেই। ক্লাসের পুরো সময়টা জুড়ে তিনি এক এক করে বলে গেলেন একাত্তরে ফরিদপুরে বাচ্চু রাজাকারের কীর্তিকলাপের কথা। শুকনো পরিসংখ্যান নয়, বিবরণ। পুরো ক্লাস জুড়ে ছিল পিনপতন নীরবতা।
স্যারের নির্লিপ্ত ভাব দেখে আশ্চর্য হয়েছিলাম। চোখের পলক না ফেলে সেই নৃশংসতার বর্ণনা দিচ্ছিলেন তিনি। একাত্তরে বয়স কত ছিল স্যারের? ১০-১১ হবে হয়তো। চোখে অশ্রু দেখিনি তাঁর। পাথুরে চোখ নিয়ে বর্ণনা করেছিলেন বাচ্চু রাজাকারের নেতৃত্বে দলে দলে মেয়ে ধরে নিয়ে আসার কথা। তাদের ওপর নির্যাতনের বিশদ শুনে আমরা সবাই শিউরে শিউরে উঠছিলাম একটু পর পর। বিশ্বাস করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছিল যে, এ ধরণের ঘটনা বাস্তবে ঘটতে পারে।
শুনে বুঝেছিলাম, বাচ্চু রাজাকারের মূল কর্মকাণ্ড ছিল নারীকেন্দ্রিক। ১০ বছরের বালিকা থেকে শুরু করে অন্তঃসত্ত্বারাও রেহাই পাননি তার নির্যাতন থেকে। নিজের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ছেড়ে দেবার অনুরোধ করায় এক স্বামীকে পেটের কাছে ছুরি দিয়ে ফেঁড়ে ফেলে বাচ্চু রাজাকার। মৃত্যুর কোলে ঢলে যখন পড়ছিলেন সেই ব্যক্তি, তাঁর শরীরের কলকব্জাগুলো বের হয়ে আসছিল আস্তে আস্তে।
স্যারের স্কুলের এক হিন্দু ধর্মাবলবম্বী শিক্ষিকার উপর অবর্ণনীয় অত্যাচার করেছিল বাচ্চু রাজাকার ওরফে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, এনটিভির 'ইসলাম ও জিজ্ঞাসা' অনুষ্ঠানে প্রশ্নের উত্তরদাতা সেই লাল দাঁড়ি। স্বাধীনতার পর ফরিদপুরের বীরাঙ্গনাদের স্ত্রীর মর্যাদা দিতে এগিয়ে এসেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। তাঁদের প্রত্যাখ্যান করেছিলেন সেই শিক্ষিকা। মা হলে শিশুকে স্তন্যপান করাবেন কীভাবে? তিনি সবার সামনে স্তন অনাবৃত করলে দেখা গিয়েছিল, সেখানে কোন বৃন্তের অস্তিত্ব ছিল না, আক্ষরিক অর্থেই ছিঁড়ে ফেলেছিল বাচ্চু রাজাকার।
প্রসঙ্গঃ
বাচ্চু রাজাকারের কীর্তির কথা রাষ্ট্র করা এ পোস্টের মূল উদ্দেশ্য না। এগুলো কমবেশি সবই জানা। বিশদে আগ্রহীরা এখানে যেতে পারেন।
আজকে ফেসবুকে "যুদ্ধাপরাধের বিচার করে কী লাভ" এই বিষয়ে তর্ক করতে গিয়ে আমি ক্লান্ত। তর্কটা অপ্রয়োজনীয় হলেও একটা প্রশ্ন উঠে এসেছে।
দালাল আইনে যেসব রাঘব বোয়াল রাজাকাররা ধরা পড়ে নি তারা কোথায় পালিয়েছিল? শুনলাম নিজামী নাকি দালাল আইনে ধরা পড়েনি। হিমু ভাই জানালেন নিজামী ছিল পলাতক। কিন্তু কোথায়? শোনা কথা, পাকিস্তানে। তাই হবে হয়তো, কিন্তু নিশ্চিত কোন তথ্য খুঁজে পাচ্ছি না। দালাল আইনে ধরা না পড়া জামাতের বর্তমান কর্তাব্যক্তিরা স্বাধীনতার পর থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যা পর্যন্ত কে কোথায় ছিল?
মন্তব্যের ঘরে আলোকপাত আশা করছি।
মন্তব্য
আলবদরের নেতা আর সদস্যদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ এর ১৭ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৫ এর ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত তৎকালীন সরকার কী ব্যবস্থা কোন আইনে নিয়েছিলো, সেটা জানা দরকার। এদের ঔরসজাত বরাহশাবকদের কান্নাকাটিতে আশপাশ আঁশটে হয়ে গেলো।
প্রয়োজনীয় কোনো তথ্য দিতে পারলাম না।
পশুরও অধম সব বরাহদের প্রতি তীব্র ঘৃণা জানিয়ে গেলাম। বাংলার মাটিতে ওদের বিচার হতেই হবে।
----------------
তৌফিক হাসান
আর যাই হোক, এই পশুদের যেন স্বাভাবিক মৃত্যু না হয়।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
=========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
বিশদ লেখাটির জন্যে হয়রানবীরকে থাম্বস আপ!
এই পিশাচদের বিচার কবে হবে? কবে???
-------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বাচ্চু রাজাকার সম্পর্কে জালাল ভাইয়ের সংগৃহীত কিছু তথ্যের লিংক-
লিংক -১
লিংক -২
লিংক -৩
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে পারলামনা তবে এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানিয়ে গেলাম।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ঘৃণা জানিয়ে গেলাম ঐসব নরাধমদের প্রতি। খোজ খবর করছি, তথ্য পেলে জানাব
আমি এক জায়গায় তথ্য পেলাম-একাত্তরের পরে প্রায় সব রাজাকারই ধরা পড়ে। কিন্তু দেশে মাওলানা ভাসানী ও বিদেশে মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের চাপে বঙ্গবন্ধু ছিঁচকে রাজাকারদের 'সাধারণ ক্ষমা' ঘোষণা করে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। তবে রাঘব-বোয়ালরা জেলেই দালাল আইনে বিচারাধীন বা পলাতক ছিল, যারা পঁচাত্তর পরবর্তী পরিস্থিতিতে মুক্তি পায়।
ভাসানী বিষয়ক তথ্যটা নতুন পেলাম। মাওলানা ভাসানী রাজাকারদের ছেড়ে দিতে বঙ্গবন্ধুর ওপর চাপ প্রয়োগ করছেন- এ তথ্য আসলে কতটুকু সঠিক? এবং কেন? কেউ কি কিছু জানাতে পারেন?
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
যারা ছাড়া পায়নি তাদের সংখ্যাও কিন্তু সেই হিসেবে কম ছিল না। ১১ হাজারের মতো!
মাওলানা ভাসানীর ব্যাপারটা কেউ নিশ্চিত করতে পারেন?
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
১. একাত্তরের পরবর্তী সময়ে ডিসেম্বরের মধ্যে অনেক পাতি রাজাকারকে দন্ড দেয় মুক্তিবাহিনী।
২. স্থানীয় ধাড়ি রাজাকারদের অনেকেই তখন পালিয়ে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে লুকিয়ে ছিল। যুদ্ধোত্তোর বাংলাদেশে আমাদের পুলিশি ব্যবস্থা এতো সংহত ছিল না, তাছাড়া এই ইস্যুকে তখন প্রায়োরিটিও দেওয়া হয়নি। সুতরাং যাদেরকে হাতের কাছে পাওয়া যায়নি, তাদের ব্যাপারে তেমন কোনো উদ্যোগও নেওয়া হয়নি।
৩. বড় বড় রাজাকারদের প্রায় সবাই তখন বিদেশে পালিয়ে যায়। লন্ডনে মঈনুদ্দিন এখনও বহাল তবিয়তে, এই কুত্তার বাচ্চাই বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডের মূল হোতা। গোলাম পাকিস্তানে চলে যায়, চাকমা রাজা বোধহয় এখনও পাকিস্তানি রাষ্ট্রের পুরো সম্মান সহ সেখানে বহাল তবিয়তে বেঁচে আছে।
আমার জানামতে খান এ সবুর কিংবা সাকার বাপ ফখার মতো অনেক বড় পান্ডা রাজাকারকে তখন গ্রেফতার করা হয়েছিল।
নিজামী মুজাহিদ এরা পালিয়ে ছিল, দেশের মধ্যে ছিল নাকি বাইরে ছিল এই প্রশ্নের জবাব স্পেসিফিক এখন বলা সম্ভব না। কারন এর পরে এই চক্র দীর্ঘদিন ক্ষমতার আশেপাশে ছিল, প্রায় সব প্রমানই এরা হাপিস করে দিয়েছে।
৭১ সালের কোনো পেপার কাটিং আমাদের কোন সরকারী দফতরে পাওয়া যায় না বলে শুনলাম। কারো সন্দেহ থাকলে পাবলিক লাইব্রেরিতে গিয়ে ৭১ সালের সংগ্রাম পত্রিকার কপি চেয়ে দেখতে পারেন, ওখানে নেই। ( অন্তত ২বছর আগে ছিল না আমি নিশ্চিত )
সর্বনাশ !!
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
আরিফ ভাইকে অনেক ধন্যবাদ।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
চোখে পানি চলে এল।
কুটুমবাড়ি
আমি ঠিক বুঝতে পারছিনা ৭২-৭৫ নিজামী গংরা কোথায় ছিলো এটা গুরুত্বপূর্ণ কেন হবে?
অবশ্যই ঘাতক দাললাদের লিস্টে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা ১১ হাজার ঘাতক দালালের অনেকেই তখন পলাতক ছিলো
প্রশ্নটা হতে পারে, ঐ ১১ হাজারের মধ্যে বর্তমানে অভিযুক্ত সবগুলার নাম আছে কিনা। যদি থাকে, তবে সেটাই যথেষ্ট! তারা কে কোথায় লুকিয়ে ছিলো এটা খুঁজে বের করার দায় আমাদের না।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
এটা অতোটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও এ ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য থাকতে তো কোন অসুবিধা নেই। সেটার অভাবেই এই পোস্ট।
আমি শুনলাম যে নিজামী সেই অভিযুক্ত ১১ হাজারের মধ্যে ছিল না। ইদানিং যে কুযুক্তিটা দেয়া হয় তা হল, নিজামীর বিচারের আগে সেই তালিকাভুক্ত ১১ হাজারের বিচার কেন করা হচ্ছে না, এটা কি তাহলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয় ইত্যাদি ইত্যাদি। বিচারের ব্যাপারে অস্বস্তিতে থাকা লোকজনের মনোভাব হল, এসব ব্যাপারে একবার ভুল হয়ে গেলে যেন আর ওটাতে হাত দেয়া যাবে না। হাস্যকর!
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
বর্ণনা পড়ে ঠিক থাকা কষ্টকর।
কয়েকদিন আগেও এর অনুষ্ঠান এনটিভিতে প্রচার হইতে দেখলাম। মাঝখানে তো বন্ধ হয়ে গেসিল জানতাম। এর মুখ দেখলেই মুখ ভরে থু থু আসে।
গালি হিসেবে কুত্তার বাচ্চা-র চে বাচ্চুর বাচ্চা অধিকতর কার্যকর বলে মনে করি।
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
নীলক্ষেত এর ফুটপাত থেকে একবার ২৫ টাকা দিয়ে নিউজপ্রিন্টে একটা বই কিনেছিলাম- "৭১ এর ঘাতক-দালালেরা কে কোথায়"- বইটা সম্ভবত আশির দশকে প্রকাশিত। নাম ধরে সব শুয়োরদের (দুঃখিত,বরাহ শব্দটা অনেক কোমল) ঠিকুজি দেয়া ছিলো।
তথ্য নাইরে ভাই
এই লোকের সম্পর্কে শুনছিলাম কিছু তাই বলে এত ভয়াবহ!!! ৪০ বছর পার করে দিলো এই সব কাজ করে?
রেনেট wrote:
আর যাই হোক, এই পশুদের যেন স্বাভাবিক মৃত্যু না হয়।
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৩৭৪৭১ জন রাজাকার, আলবদরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিচার চলছিলো ২৮৪৮ জন অপরাধীর আর শাস্তি হয়েছিল ৭৫২ জনের। শহিদুল্লাহ কায়সারের হত্যাকারী জামাতের খালেক মজুমদারের দালাল আইনে প্রথমে ৭ বছর পরবর্তিতে আইন সংশোধন করে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছিলো, আর জামাতের এ, কে, এম ইউসুফের যাবজ্জিবন দন্ড দেয়া হয়। ফাঁসির আদেশ হয়েছিলো চিকন আলী, জুবায়ের, মকবুল হোসেন ও আইয়ুব আলীর। যে সব অপরাধী বিদেশে ছিলো এক আদেশে তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছিলো। প্রয়োজনীয় চার্জশীট আর সাক্ষীসাবুদের অভাবে বাকিরা কারাগারে ছিলো। ৩০শে নভেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষনার সাথে সাথে সংবিধানের ২৮ ধারায় স্বাধীনতার শত্রুদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক অধিকার ভোগের অযোগ্য ঘোষনা করা হয়, ৬৬ ধারায় সংসদ সদস্য হবার যোগ্যতাও হারায় তারা এবং ১১হাজার অপরাধীকে এ ক্ষমার আওতা বহির্ভূত ঘোষনা করা হয়।
যারা স্বাধীনতা সংগ্রাম দেখেনি, যুদ্ধ দেখেনি, নির্যাতন দেখেনি, পাকিস্তানিদের হিংস্র থাবা দেখেনি তারা যদি আজ জীবন্ত বর্বর এসব যুদ্ধপরাধীদের সাংবিধানিক অধিকার ভোগের অযোগ্য দেখতো কিংবা ঘৃণিত কীট হিসেবে জীবন ধারণ করছে দেখতে পেতো তাহলে এদের প্রতি তাদের ঘৃণা তীব্র হতো, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মন্তরে এ ঘৃণা অব্যাহত থাকতো আর আমাদের ফেসবুকে "যুদ্ধাপরাধের বিচার করে কী লাভ" একথা দেখতে হোতনা।
কিন্তু এর বিরোধিতা শুরু হয়েছিলো বঙ্গবন্ধুর আমলেই, চিকন আলীর ফাঁসীর আদেশ হবার পর বর্ষীয়ান মওলানা ভাসানী পল্টনে গলা ফাটিয়ে বলেছেন “শেখ মুজিব, বাংলাদেশ কি তোমার একার? এখানে সবাই দেশপ্রেমিক, কোন রাজাকার, আলবদর নেই” এবং ৩১শে জানুয়ারির ভেতর দালাল আইন বাতিলের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। এনায়েতুল্লাহ খানের কথাও আমরা ভুলে যাইনি, সাংবাদিক বুদ্ধিজিবী লেবাসে মিষ্ট ভাষায় প্রেস ক্লাবে বসে বলেছিলেন “জামাতের রাজনীতি বন্ধ করা উচিত হয়নি। তাদের মাঠে ছেড়ে দেয়া হোক, উই উইল ফেস দেম পলিটিক্যালি”।
তখন কোথায় ছিল আজকের তথাকথিত সচেতন নাগরিকেরা যারা কথায় কথায় তৎকালীন সরকারের এসংক্রান্ত দোষ খুঁজে বেড়ায়? আমরা জানি তারা কোথায় ছিল। অযোগ্য ঘোষিত যুদ্ধাপরাধীরা যখন পালিয়ে ছিল সেসময় জিয়া ক্ষমতায় এসে প্রথমেই সাজাপ্রাপ্ত নেতৃস্থানীয়দের অনেকেরই সাজা মওকুফ করল, সেসব পদলেহনকারী সচেতন নাগরিক আর দেশ বরেন্য নেতাদের পরামর্শে জিয়ার হাতে ‘কোলাবরেটর পিও ৭২’ বাতিল হল, সাজাপ্রাপ্তরা সংসদ সদস্য হবার অধিকার ফিরে পেল {প্রক্লামেশন আদেশ (২) ৩১শে ডিসেম্বর ৭৫}। অথচ সেদিন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রসঙ্গে জিয়ানুসারীদের সংবাদ সম্মেলনে তারা এটাই বলতে চাইছিল যে ঘাতকরা বিজয়ের দ্বিতীয় বার্ষিকীর আগেই সাধারণ নাগরিক হয়ে গেছে।
আরো শুনতে চান? এই এরাই সংবিধানের ৩৮ধারা সংশোধন করে ধর্মের নামে সংগঠণ করার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে {প্রক্লামেশন আদেশ (৩) ৪ঠা মে ৭৬}। আর যারা নাগরিকত্ব হারিয়েছিলো সে সব শয়তান কে সেসময়ই নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়া হয়। গোলাম আযম সহ কেউ কেউ বাঙ্গালী হিসাবে নাগরিকত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানালে সে সব সচেতন নাগরিকের পরামর্শে সামরিক ফরমান জারি করে (ফরমান-১-৭৬, ২২শে জানুয়ারী) বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ করে পায়ে ধরে সেসব শয়তান কে বাংলাদেশী হিসাবে নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়া হল।
সেসব বরাহদের ঔরসজাত ছানাদের একই সুরে কথা বলা আজ তাই বিচিত্র কিছুনা।
...........................
Every Picture Tells a Story
বিস্তারিতের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন মুস্তাফিজ ভাই!
এই পয়েন্টটা কিন্তু বরাহপ্রিয়দের খুব পছন্দের। সাক্ষীর অভাবের কথা বলে তারা ব্যাপারটার গুরুত্ব খাটো করতে চায়। আমার কমন সেন্স বলে দেশের যুদ্ধপরবর্তী অস্থিতিশীল পরিস্থিতিই সাক্ষীর অভাবের কারণ। এ ব্যাপারে আরো কিছু বলতে পারেন কি?
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
এটা নিয়ে আত্মতৃপ্তিতে ভোগার কোন কারণ দেখিনা। '৭১ পরবর্তি পরিস্থিতিতে নূতন প্রশাসনের পক্ষে বিশাল ষড়যন্ত্র এড়িয়ে এত তাড়াতাড়ি সব কিছু যোগাড় করাও সম্ভব ছিলোনা, তাই বলে কাজ থেমে ছিল সেটাও কিন্তু না। একটা কথা মনে রাখবেন ৪০ বছরের এখনকার বাংলাদেশে একটা মামলার চার্জশীটের জন্য আমাদের কতদিন অপেক্ষা করতে হয়।
...........................
Every Picture Tells a Story
মুস্তাফিজ ভাই, মূল্যবান তথ্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। এটা নিয়ে কি আলাদা একটা বিস্তারিত পোস্ট দেবেন? সবারই জানা দরকার।
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই।
মন্তব্যটার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আলাদা একটা পোস্ট চাই, যাতে এই কথাগুলো প্রচার করা সহজ হয়।
বিবাদমান অনেক জাতির মানুষ দেখেছি প্রবাসে এসে। বাঙালিদের মতো এমন মেরুদণ্ডহীন আর কোনো জাতি দেখিনি। ফিলিস্তিনের মানুষজন প্রয়োজনে প্রত্যেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, তবু দেশের মাটি ছাড়বে না এবং ইসরায়েলের সাথে আপোষ করবে না। গোঁয়ারের মতো জেদ ধরে থাকলেই বিচার এবং ক্ষমপ্রার্থনা মেলে। সার্বিয়ার ক্ষমা চাওয়া সেটাই দেখিয়ে দিলো। এই সামান্য ব্যাপারটা আমরা বাঙালিরা বুঝি না। এতটা বিস্মৃতিপরায়ণ ও মেরুদণ্ডহীন জাতি খুব বিরল।
সহমত।
মুস্তাফিজ ভাই থেকে এ বিষয়ে একটি পোষ্ট আশা করি।
সমস্যা হচ্ছে অনেক রাজাকার এখন বাংলাদেশের ছোট বড় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদে কর্মরত আছে। সেই সাথে আছে তাদের গুনমুগ্ধ হাজারো রাজাকার ছানাপোনা। বাচ্চু রাজাকার হয়তো মিডিয়ার কারনে সামনে চলে এসেছে, কিন্তু ঐসব বিখ্যাত নয় কিন্তু গুরুত্বপূর্ন রাজাকারেরও ঠিকুজি বের করা অত্যন্ত জরুরী।
সরকারি ভাবে আইন করে শাস্তির বাইরে, মুক্তিযুদ্ধ আব্যহতি পরে স্থানীয় ভাবে অনেক রাজাকারকে শাস্তি দিলেও অনেককেই আবার সহানুভূতি দেখানো হয়। তারা কিন্তু বহাল তবিয়তে রয়েছে এবং বীরদর্পে জামাতকে সমর্থন করে যাচ্ছে। এটা হয়তো যেকোন একটা জেলা/থানার জন্য তেমন গুরুত্ব বহন করে না। কিন্তু সারাদেশে সামষ্টিক দিক থেকে দেখলে এটা খুব গুরুত্বপূর্ন কারন তাদের দলে নিত্য নতুন নব্য রাজাকারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে গত বছরগুলোতে। এখন তাদের বিচার করার জন্য স্থানীয় লোকজন/মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে নিশ্চয়ই কাউকে পাওয়া যাবে যে/যারা ঐ সব কুখ্যাত রাজাকারদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে পারে। কিন্তু সেই সব মুক্তিযোদ্ধা বা বয়স্ক লোকদের (যাদের মধ্যে অনেকেই জীবন যুদ্ধে পরাজিত) সংগঠিত করাই একটা চ্যালেঞ্জ।
মুস্তাফিজ ভাই ও রাহিনকে ধন্যবাদ। এই পোস্ট এবং এই আলোচনা খুবই দরকার ছিলো।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
রাহিন, পোস্টটা পড়ে সহ্য করা কঠিন। নির্যাতিতারা কীভাবে সয়েছিলেন ভাবতে পারি না। এই শূয়োরগুলো এখনো বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ায়, গলা বাড়িয়ে কথা বলতে সাহস পায়। নিজেদের ব্যর্থতায় নিজেকেই ধিক্কার দিতে ইচ্ছে হয়।
মুস্তাফিজ ভাইকে ধন্যবাদ বিশদ মন্তব্যের জন্য। আমিও আলাদা একটা বিস্তারিত পোস্ট দিতে অনুরোধ করছি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অতি প্রয়োজনীয় পোস্ট, স্টিকি করা হউক। মডু দাদাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
শুধু ঘৃণা মোটেই যথেষ্ট নয়।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সকালে পড়তে পড়তে বিদ্যুৎ চলে যায়। তারপর অফিস। ফিরে এসে বিদ্যুৎ আসার পর পড়ে ফেলাম পুরোটাই মন্তব্য সহ। ধিক্কারের পারদ উঠছেই উপরে আর বরাহ ও বরাহপ্রেমীদের সাথে তথ্যে যুদ্ধ করার মতো অনেক রশদ পেলাম। আমি সেই সব চাটুকার বেশিষ্ট পরিবেশে চাকরী করি। তাই ধন্যবাদ তথ্য সংযোজন করা সবাইকে বিশেষ করে মুস্তাফিজভাই, জেবতিকভাই ও রাহিনভাইকে ধন্যবাদ।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
আসলে কিভাবে কি হচ্ছে কিছুই মাথায় ঢুকছেনা। উপরে পরলাম সেই ১৯৭৩ সালেই স্বাক্ষী সাবুদের অভাবে অনেকের বিচার হয়নি [মুস্তাফিজ এর কমেন্ট]। তাহলে এখন স্বাক্ষী পাওয়া তো আরো মুস্কিলের। শুধু দলিল দস্তাবেজ দিয়ে বিচার হয়না। আমার সাথে কথা হয়েছিল রুয়ান্ডা জেনোসাইডের বিচারে জড়িত ছিলেন এরকম এক ব্যাক্তির সাথে। তার সাথে ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলার পরে উনি যেটা বললেন সেটা আসলে হতাশাজনক [তার মতে কাউকে বলতে হবে আমি নিজে দেখেছি অপরাধীকে হত্যা করতে, অপরাধ করতে, নির্দেশ দিতে বা এই ধরনের]। এখন হেগের আদালতে অথবা অন্য ট্রাইবুনালে যে বিচারগুলোই হয় সেখানে প্রতক্ষদর্শীর সাক্ষ্য সবচেয়ে গুরুত্ত্বপুর্ন। এবং এটাই আন্তর্জাতিক মান। ণিরেট স্বাক্ষ্য প্রমান ব্যাতিরেকে সরকার কতটা কি করতে পারবে আল্লাহ্ মালুম।
কথাটা আবার পরিষ্কার করি, বিচার হয়নি কথাটা না বলে বলা যায় ঝুলে ছিলো, মানে তখন পর্যন্ত চুড়ান্ত অভিযোগ গঠনের সময় পাওয়া যায়নি।
...........................
Every Picture Tells a Story
রাজাকারদের তথ্য জানিয়ে সবাই পোস্ট করতে থাকুন।
রাহিনকে ধন্যবাদ।
পোস্ট এবং মুস্তাফিজ ভাইয়ের মন্তব্যে অনেক কিছুর হিসাব মিললো। মুস্তাফিজ ভাইকে অনুরোধ করবো বিষয়টা নিয়া একটা আলাদা পোস্ট দিতে।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আমি তানভির ভাই এবং মুস্তাফিজ ভাইয়ের সাথে পুরোপুরি একমত। আর মাওলানা ভাসানীকে সবাই মজলুম জননেতা বলেন, কিন্তু তিনি যে কেমন মজলুম ছিলেন তা প্রবীনদের অনেকেই জানেন। মাওলানা ভাসানীর সেই সময়কার ভূমিকা প্রমান করার কিছুই নেই, সচেতন মানুষ মাত্রই তা জানেন। যদি তারপরেও প্রমাণ করার দরকার হয় তাহলে অধুনালুপ্ত 'গণকন্ঠ' পত্রিকা যোগাড় করলেই সব বেরিয়ে আসবে। আর শেখ মুজিব সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করতে বাধ্য হয়েছিলেন ভাসানীর কারণে এটাও দিবালোকের মতো সত্যি।
আশা রাখি এ সম্পর্কিত একটি পোস্ট প্রকাশ করার।
--------মর্তুজা আশীষ আহমেদ (mortuzacse1982@yahoo.com)
আপনার পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম। মনে করে অবশ্যই দেবেন কিন্তু!
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
এই মুহূর্তে যোগ করার মতো কোনো তথ্য নেই
কিছু পেলে যোগ করে দেবো
বাচ্চু রাজাকার কী এখনো টিভিতে হাজির হয় ইসলামী জ্ঞান দিতে?
বাচ্চু রাজাকারদের নিরুপদ্রপ জীবনযাপনের ফলশ্রুতিতে সমাজে হরেক কিসিমের রাজাকারের জন্ম হয়েছে, বাচ্চা রাজাকার, 'ক্ষমা চাইনি মাফ পেয়েছি' রাজাকার, জাতীয় ঐক্যের প্রতীক রাজাকার, বিএনপি ছাতার রাজাকার, আওয়ামীলীগে যোগ দেয়া রাজাকার, ছানা রাজাকার, পোনা রাজাকার.........আরো কত কত রকমের রাজাকার দেশে।
আর যাই হোক, মরনোত্তর শাস্তি যেন না হয় বাচ্চু রাজাকারদের!!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
মন্তব্যকারী সবাইকে ধন্যবাদ। এ বিষয়ে তথ্যবহুল আলাদা পোস্ট দেখতে পেলে ভালো লাগবে।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
এই পোস্টটা পড়ে রায়হান আবীরের বিশদ লেখাটা খোমাখাতায় শেয়ার করেছিলাম,
সেখানে একজনের করা কমেন্ট তুলে ধরলাম। এইসব রাজাকারদের বানানো চাপাবাজি যে মানুষ খায় তার ছোট একটা প্রমান। এই পশুকে যে এখনও মহান ভাবতে পারে এটা দেখে রাগে হাসবো না কাদবো বুঝে উঠতে পারলাম না।
"the real truth is Mr Azad has a personal clash with Mr Mahfuzur rahman of ATN Bangla due to Eva rahman. This bloody Mahfuz forciblly married Eva where Mr Azad protested against thsi crime.
Huh...this is called media power"
তারপর আমার পরের প্রশ্নের উত্তরে তার কমেন্ট ছিল,
"we need some proof about the deeds in 1971. I can easily make a film by paying some money and make it very touchable for audience, I saw those VDO created by ATN,, hiring some Hindu people and blame against someone doesnt proved that. Surely i will hate mr Azad if i can get some real proof."
---------------------------------------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
এ নিরাময়ের অযোগ্য। প্রমাণ দিলেও সে ত্যানা প্যাঁচাতে থাকবে।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
রায়হান আবীরের পোস্টটা অনেক আগেই পড়েছিলাম।
পোস্টের জন্য রাহিনকে এবং দারুণ একটা বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য মুস্তাফিজ ভাইকে ধন্যবাদ।
লেখাতে
*************************************************************************
ভবিষ্যতে কি হবে তা ভেবে বর্তমানকে উপেক্ষা করবো কেনো?
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
অনেক দেরীতে হলেও পোষ্টটা পড়লাম। এটা যে সময়ের পোষ্ট আমি সেসময়ে সচলায়তনকে চিনতাম না। রাহিন হায়দারকে অনেক ধন্যবাদ। একটা ঘটনা শেয়ার করি (আগে সচলে করেছি কিনা তা মনে পড়ছেনা)।
মোহাম্মদপুর থানার সেকেন্ড অফিসার ছিলেন বড়ভাই মানুষ। ঢাকায় গেলে ওখানে দু'একবার ঢুঁ মারতাম। একদিন সন্ধ্যায় দেখি বাচ্চু রাজাকারের ছেলেকে এ্যারেষ্ট করে হাতকড়া পরিয়ে মোহাম্মদপুর থানায় আনা হয়েছে আরও দুই মক্কেল সহ। তারা গাড়ি ছিনতাই করে পালাচ্ছিলো। গাড়ির মালিক পুলিশ ডেকে জনতার সহায়তায় তাকে ধরে ফেলেছে। এরপর বাচ্চুর ছেলেকে ছাড়িয়ে নিতে মঞ্চে এসেছে যুবলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট। গাড়ির মালিককে সাজিয়েছে ধৃতের বন্ধু, গোটা ছিনতাইটাকে বানিয়েছে বন্ধুতে বন্ধুতে ফাজলামী। অবশেষে মুক্তির মাধ্যমে যবনিকাপাত। বসে বিড়ি খেতে খেতে পুরো নাটকটা দেখলাম। চেহারাটা অবিকল বাপের মতো। খালি চুলগুলো কালো আর মুখে দাড়ি নেই।
৭১এ আমার ফাদারের দুইজন হতদরিদ্র হিন্দু শিক্ষককে রাজাকাররা ধরে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিলো। প্রথমে তাদের চোখ উপড়ে নিয়েছিলো তার পরে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো। শিক্ষকদুজনকে ফাদার পিতৃতূল্য জ্ঞ্যান করতেন। এই সংবাদ শুনে তিনি এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন যে ওই রাজাকারদের ঘাটিতে আচমকা হামলা চালিয়ে তিনি মূল হত্যাকারী দুই রাজাকারকে তার স্বভাবসূলভ ভঙ্গিতে মেরে ফেলেছিলেন। সময়ের অভাবে জবাই করতে পারেননি তাই গুলি করে মেরেছিলেন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনার ফাদারকে
কুটুমবাড়ি
এনটিভিতে এই বাচ্চু রাজাকারের জিজ্ঞাসা অনুষ্ঠানটা হয়। একসময় খুব মন দিয়ে দেখতাম অনুষ্ঠানটা। যদিও জানতাম লোকটা একটা ভয়ংকর রাজাকার, তবুও ভাল লাগত, সুন্দর ব্যাখ্যাগুলোর জন্য। আমি মেলাতে পারতাম না কিছু। এই লোকটা রাজাকার? অনুষ্ঠান দেখে শ্রদ্ধা জন্মাতো। আজ আপনার এ লেখাটা পড়ে...
কত রকমের ভেলকি যে দেখাল রাজাকারগুলা! আর আমরাও সেগুলো দেখে যাচ্ছি!
নতুন মন্তব্য করুন