তারে জামিন পার

রায়হান আবীর এর ছবি
লিখেছেন রায়হান আবীর (তারিখ: শুক্র, ২৪/১০/২০০৮ - ১০:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হিন্দি সিনেমা আমি দেখিনা। শুধু তাই না যারা দেখে তাদেরও আমার বিশেষ পছন্দ হয় না। কয়েকদিন আগে আমার এক বন্ধু আমাকে হিন্দি সিনেমার কথা জানালো। তার পছন্দ- অপছন্দের উপর আমার আস্থা আছে। তাই ভাবলাম দেখে ফেলি "তারে জামিন পার"। হলে হিন্দি প্রেমিকের অভাব নেই। তাই ডিভিডি পেতে খুব একটা বেগ পেতে হলোনা। সিনেমা দেখে কেমন জানি ভালো লাগলো। তাই ভাবলাম ভাল লাগাটা সবার সাথে ভাগ করে নেই।

সিনেমার কাহিনী ডিস্‌লেক্সিক (dyslexic) রোগে আক্রান্ত ৮-৯ বছরের এক বালককে নিয়ে। পরিচালনা ও প্রযোজনায় করেছেন আমির খান। এছাড়া ছবিতে তিনি স্কুল শিক্ষকের চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন। সিনামার দৃশ্যায়ন এবং কাহিনী মুগ্ধ করার মতো।
ছবিটির কাহিনী প্যাট্রিসিয়া পোলাক্কোর বই "Thank You, Mr. Falker" থেকে অনুপ্রাণিত। ৮ বছরের ছেলে ঈষান আয়াস্তি। ডিস্‌লেক্সিক রোগের কারণে সে কোন কিছু পড়তে কিংবা বানান করতে পারেনা। অক্ষরগুলো তার চোখের সামনে নেচে বেড়ায়। মাছ, ঘুরি, কুকুর হয়ে ঘুরে বেড়ানো সেই শব্দগুলো বালক মনের আনন্দের খোরাক হলেও তা বড়দের কাছে বিরক্তিকর ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই বড়ভাই উহান যখন ক্লাসের সব বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে মায়ের কাছে ছুটে আসে তখন ঈষানের রেজাল্টকার্ড তার পোষা কুকুরদের মুখে মুখে ঘুরে বেড়ায়। তার উপর সবাই বিরক্ত। শিক্ষক থেকে শুরু করে বন্ধু-বান্ধব বাবা সবাই তার উপর বিরক্ত। এভাবে আর কতো? এভাবে করলে সে তো আর বড় হয়ে আর চাকরি বাকরি পাবেনা। স্কুলে থেকে অভিযোগের পর অভিযোগের করণে তার বাবা তাকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠাতে বাধ্য হয়। সেখানেই তার সাথে পরিচয় হয় চারু ও কারু কলার শিক্ষক রাম শংকর (আমির খান) এর সাথে। এরপর থেকেই মূল কাহিনী শুরু হয়।

সিনামাটিতে যথারীতি হিন্দি সিনেমার মতো বেশ কিছু গান ব্যবহার করা হয়েছে। যার বেশ কয়েকটি অপ্রাসঙ্গিক। বিশেষ করে পার্ট টাইম শিক্ষক হিসাবে আমির খানের প্রথম ক্লাসে নেচে, গেয়ে আগমন অনেক দর্শকেই আনন্দ করার পরিবর্তে বিরক্ত করেছে। চলচ্চিত্রটি দেখে বেশ কিছু বিখ্যাত মানুষের যে এই একই রোগ ছিল তা জানতে পারলাম। আইনস্টাইন, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি এদের মতো আরো অনেকজনের অক্ষর দেখাঘটিত এই সমস্যাটি ছিল।

ছবিটির ক্যামেরাম্যান কে ছিলেন তা মনে নেই। তবে তিনি ভালোই খেল দেখিয়েছেন। প্রথম দৃশ্যে দেখা যায় ঈশান ড্রেন থেকে কাচেঁর বোতলে করে ছোট ছোট পোনা ধরছে। খুব সুন্দর করে তা চিত্রায়িত করা হয়েছে তা। পুরো সিনেমাটি দেখার পর কেমন যেনো ভালো লাগা কাজ করে। ছেলেটির অভিনয়, আমির খানের বক্তব্য সব কিছুই প্রাঞ্জল। তবে একটা কথা সত্যি, আমির খান হিন্দি সিনামার চলিত রাস্তা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেননি। সেই ধারাতে থেকেই তিনি নতুন যুগের সূচনা করেছেন। এই সিনামার দর্শক জনপ্রিয়তা হয়তো তাকে ভবিষ্যতে আরও সাহসী হবার প্রেরণা যোগাবে।

শেষ পর্যন্ত ইন্ডিয়াও শুরু করে দিলো ভিন্ন ধারার সিনেমা। আমরা এখনো বসে আছি কেন? বাংলাদেশে এর আগে কিছু আর্টফিল্ম তৈরি হয়েছে বটে। কিন্তু এর বেশীর ভাগ মুক্তিযুদ্ধ কেন্দ্রিক (যদিও প্রায় সবগুলোই কোন ক্ষূদ্র পটভূমি নিয়ে রচিত। সম্পূর্ণ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমরা এখনও কোন চলচ্চিত্র তৈরি করতে পারিনি।)। আমাদেরও ভিন্নধারার ছবি বানাতে হবে। তেমন কিছুনা ক্ষুদ্র পরিসরেও তা করা যেতে পারে। চিন্তা ভাবনা, মন প্রস্তুত করাটাই আসল কথা। এর জন্য প্রচুর ভালো ভালো সিমেনা দেখা যেতে পারে। সত্যজিত, হিচকক, আকিরা কুরোসাভা, স্পিলবার্গ।

রায়হান আবীর

গড় রেটিং

(২ ভোট)

Trackback URL for this post:
http://www.sachalayatan.com/trackback/11903

লিখেছেন রায়হান আবীর (তারিখ: বুধ, ২০০৮-০১-২৩ ১৩:০০)
উদ্ধৃতি | রায়হান আবীর এর ব্লগ | ১৮টি মন্তব্য | পছন্দের পোস্টে যুক্ত | আপত্তি জানান | ২৯৮বার পঠিত

Views or opinions expressed in this post solely belong to the writer, রায়হান আবীর. Sachalayatan.com can not be held responsible.


১ | বিপ্রতীপ | বুধ, ২০০৮-০১-২৩ ১৩:০৮

ছবিটা দেখেছি... আসলেই অসাধারন লেগেছে!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান…

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ


২ | আরিফ জেবতিক | বুধ, ২০০৮-০১-২৩ ১৫:১৬

হিন্দী সিনেমা তো দেখি না । তবে এটা দেখে ফেলবো ।।
মাঝখানে শাহরুখের কী একটা সিনেমা দেখলাম বাধ্য হয়ে । তারপর আগামী পাঁচ বছর শাহরুখ খানের কোন সিনেমা দেখব না বলে কিরে কেটেছি ।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ


৩ | লুৎফুল আরেফীন | বুধ, ২০০৮-০১-২৩ ১৫:২৪

ছবিটা দেখা হয় নাই। আমার দেখা হিন্দি ছবির লিস্টিও খুউব বড় হবে না। তথাপি মনে রাখার মতোন বেশ কিছু ছবি সেই লিস্টে আছে।

গান জিনিসটার ব্যাপারে আমার বড়ই আপত্তি। কথা নাই বার্তা নাই -- নায়ক নায়িকা পাহাড়-পর্বত করে বেড়ান। এগুলোর তো মানে নাই। আমার এক হিন্দি বন্ধু অবশ্য বলে যে, এগুলো হচ্ছে মেটাফর। আমি এইসব মেটাফর পছন্দ করি না। কারণ আমার বুনোতম স্বপ্নেও আমি কখনো আমার প্রেমিকার সাথে এভারেস্টে চড়ে নাচার কথা ভাববো না।

আর আমাদের কথা বলছেন? আমাদের ঘাটতিটা কোথায় সেটাই তো বুঝি না। ভালো ছবির দর্শক তো কম নেই একেবারে। আসলে হয়তো আপনার কথাটাই ঠিক। সেরকম ভাবনার লোক হয়তো নেই। থাকলেও তারা পদদলিত। আপনার মতোন আমিও আশা করি একদিন তারা বেড়িয়ে আসবেন মুক্তাঙ্গনে।

বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

৩.১ | সংসারে এক সন্ন্যাসী | বিষ্যুদ, ২০০৮-০১-২৪ ০১:০৪

উদ্ধৃতি
কথা নাই বার্তা নাই -- নায়ক নায়িকা পাহাড়-পর্বত করে বেড়ান।

আমি হিন্দি ছবি দেখি না। ইচ্ছেই করে না। আর তাছাড়া হিন্দি বুঝিও না (গুটিকয়েক শব্দ হিসেবে না আনলে)।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ


৪ | অতিথি লেখক [অতিথি] | বুধ, ২০০৮-০১-২৩ ১৫:৪৪

সিনেমা বানানোর জন্য যে নাচ গান আবশ্যক তা কিন্তু নয়। নাচানাচি কুদোকুদি দিয়ে সিনেমা বানানোর প্রতি ভারতীয় ঝোঁক লক্ষণীয়। এসকল সিনেমা দর্শকদের রুচি কুৎসিত করে দেয়। ভালো কিছু তখন মাথায় ঢোকেনা, তাই ভালো চিন্তাও বের হয় না। উদাহরণ হিসাবে দেয়া যায় স্পিলবার্গ এর ৮০ এর দশকের সেরা ছবি (Extra Terrestrial) এর কথা। এই সিনেমা থেকে পরবর্তীতে বলিউড বানালো (কয়ি মিল গায়া)। কমপক্ষে ৫ টি গান ছিল সেই সিনেমাটিতে। কাহিনীতেও এসেছে ব্যপক পরিবর্তন। মহাজাগতিক প্রাণী রিত্বিককে দিয়েছিল অসীম ক্ষমতা। নাচ- গান, খেলাধূলো, মেধা সব। ফলে সবকিছু মনে হয়েছে হাস্যকর। অথচ স্পিলবার্গ ছিলেন বাস্তবের কাছাকাছি। এইটার পশ্চিমাদের সাথে আমাদের পার্থক্য। তারা দেখে ET। আর আমরা দেখি রিত্বিকের নাচ।

রায়হান আবীর

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

৫ | রেজওয়ান | বুধ, ২০০৮-০১-২৩ ২৩:২১

ছবিটি দেখেছি। বিষয়বস্তুর জন্যেই এটি দেখার মতো একটি ছবি। আর ছবির নায়ক ছোট্ট দারশীলের অভিনয় তো অসাধারন আর আমীর খানও ছিলেন পরিমিত।

ভারতীয় চলচ্চিত্র সমালোচক ও ব্লগার সাক্ষী জুনেজার রিভিউটা পড়ে দেখতে পারেন।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

৬ | কারুবাসনা | বুধ, ২০০৮-০১-২৩ ২৩:৩১

দেখেছি। ভাল লাগেনি।

----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

৭ | অলৌকিক হাসান | বিষ্যুদ, ২০০৮-০১-২৪ ১০:০৯

খুবই ভালো ছবি। আমির ইজ গ্রেট

To Make God Laugh, Tell Him Your Plans

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

৮ | ধ্রুব হাসান | শুক্র, ২০০৮-০১-২৫ ০৭:৩৭

অনেকদিন পর আবারো একটা ভালো হিন্দি ছবি দেখলাম। দেখে এতোটাই ভালো লাগা কাজ করলো যে বিশাল এক রিভিউ লিখে ফেললাম(যদিও শেষ করিনি)! কিন্তু আপনার একই বিষয়ে পোষ্ট দেখে পোষ্টানো থেকে বিরত থাকলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এই বিষয়ে লেখার জন্য, তবে আপনার কিছু কিছু বিষয়ের সাথে দ্বিমত পোষন করি, থাক সে কথা। লিখে যান......তবে আমার মনে হচ্ছে পরিচালক হিসেবে আমীরের জন্য এই ছবি একটা বিরাট টার্নিং পয়েন্ট, সহসাই ওর কাছ থেকে আরো চমকপ্রদ ডিরেকশনের ছবি পাবো বলে আশা রাখি!

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১০

৯ | কনফুসিয়াস | শুক্র, ২০০৮-০১-২৫ ০৮:১০

নাচানাচির জন্যে শুধু হিন্দী মুভিরে দোষ দেয়া ঠিক হবে না। সম্প্রতি কিছু ফ্রেঞ্চ আর স্প্যানিশ মুভি দেখলাম, ওখানেও একই অবস্থা। নায়ক নায়িকা একদম হুট করে নাচানাচি শুরু করে, গাইতে গাইতে তারা ঘর ছেড়ে রাস্তায় বের হয়ে আসে, ওখানে পথচারীরাও ওদের সাথে মিলে নাচানাচি শুরু করে দেয়।
*
তারে জামিন পর- বেশ ভাল লেগেছে। আমির খানের এন্ট্রিটা এইরকম নাটকীয় না হলেও চলত- সিনেমাটার সবচেয়ে বড় মাইনাস পয়েন্ট এটাই।
আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে ঈশানের চোখ দিয়ে দুনিয়া দেখার দৃশ্যগুলো, যেমন- নালা থেকে মাছ ধরা, দোতলা বাস অথবা ওপর থেকে গালের ওপরে পড়া রঙের ফোঁটা- এইসব।
*
ধ্রুব হাসান,
আপনার রিভিউটাও দিয়ে দিন এখানে। এক সিনেমা নিয়ে একটাই রিভিউ- এরকম কোন বাধ্যবাধকতা নেই এখানে। তাছাড়া, আপনার রিভিউটাও পড়তে খুব ইচ্ছুক আমি।

-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১১
১০ | অতিথি লেখক [অতিথি] | শুক্র, ২০০৮-০১-২৫ ১৭:৩৬

ধ্রুব হাসান,
আসলে এটা তো রিভিউ হয়নি। তাছাড়া আমি আসলে সিনেমা খুব একটা বুঝিও না। আপনারটা দিয়ে দিন। পড়ে শিখি। আর দ্বিমতগুলোও জানাবেন।

রায়হান আবীর

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

১২

১১ | কিংকর্তব্যবিমূঢ় | সোম, ২০০৮-০১-২৮ ০২:৩৪

ভাইয়া, তোমার রিভিউটা খুব ভাল্লাগছে, কারণ তুমি তোমার ভাল লাগাটা জানাইছ ঠিকই, কিন্তু ছবির কাহিনী ফাঁস কর নাই ...

এখানে অনেকেই এই ভুলটা করে, রিভিউ লিখতে গিয়া টুইস্ট এন্ড টার্ন সব বইলা দেয় ...

ছবিটা দেখার খুব ইচ্ছা ছিল, কিন্তু রিলিজ হইল আর দেশ ছাড়লাম ... এখন কেম্নে যে দেখি ...

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১৩

১২ | রাগিব | সোম, ২০০৮-০১-২৮ ০২:৪০

"নাচানাচি", "গান", এগুলো কিন্তু ইংরেজি সিনেমাতেও আছে অনেক। Musical নামে খ্যাত এসব সিনেমাতে হঠাৎ করেই গান টান শুরু হয়, অনেক এক্সট্রা সহ নায়ক নায়িকা নাচানাচি করে।

উদাহরণ হিসাবে জন ট্রাভোল্টার Grease এর কথা বলা যায়। বিপুল পরিমাণ এক্সট্রা সহ নাচানাচি ও গান।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১৪

১২.১ | কিংকর্তব্যবিমূঢ় | সোম, ২০০৮-০১-২৮ ০২:৫৫

অথবা সাউন্ড অফ মিউজিক

হিন্দি ছবিতে আজকাল কিন্তু গান অনেক বাস্তবসম্মতভাবে আসে ... যেমন রং দে বাসন্তী ... বেশ অনেকগুলি দারূণ দারূণ গান আছে, বাট সবগুলি আসছে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসাবে ... নায়ক নায়িকা কোমর দোলায়ে ঠোট মিলায় নাই একটাতেও ...

ব্ল্যাক, সরকার এগুলিতে তো গান একেবারেই নাই ...

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১৫

১৩ | অলৌকিক হাসান | সোম, ২০০৮-০১-২৮ ০৮:৫১

উপমহাদেশের ছবিতে নাচ-গানের প্রভাব অনেক আগে থেকেই। এটা এ অঞ্চলের ছবির একটা বৈশিষ্ট্য ধরা যেতে পারে। এটাকে এতো নাক উঁচু ভাব নিয়ে দেখার কোনো কারণ নাই। সেটা সখী পরিবেষ্টিতই হোক কিংবা বনে বাদাড়ে ঘুরে ঘুরে হোক।

পশ্চিমের অনেক ছবিতেই নাচ গানের সন্নিবেশ আছে। আমি যদি বলি টাইটানিক ছবি ইংরেজি ভাষায় নির্মিত একটি চমৎকার হিন্দি রোমান্টিক ছবি - খুব কি ভুল বলা হবে?

To Make God Laugh, Tell Him Your Plans

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

১৬
১৪ | অতিথি লেখক [অতিথি] | মঙ্গল, ২০০৮-০১-২৯ ১৩:২১

ইংরেজি মিউজিকেল চলচ্চিত্র যেমন "সাউন্ড অফ মিউজিক" একেবারে ভিন্ন ঘরানার চলচ্চিত্র। সঙ্গীত সেখানে ছবির প্রাণ। চলচ্চিত্র এমন ধারা তৈরী হতে পারে মঞ্চনাটককে ঘিরেও। যেমন সত্যজিৎ রায় তার "হীরক রাজার দেশে" ছবিটি করেছেন একেবারে মঞ্চের মত করে। অভিনেতারা অনেক সময় সরাসরি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে কথা বলে সেখানে, মঞ্চের অভিনেতারা যেমন সহসাই দর্শকদের দিকে তাকিয়ে বলেন। শিল্পীর সাথে দর্শকের সরাসরি যোগাযোগের মধ্যেই এ ধারার আবেদন নিহিত।

সাউন্ড অফ মিউজিক তো ইতিহাসের সেরা চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে স্থান পায়। কারণ সঙ্গীতের মাধ্যমে তাকে যে প্রাণ দেয়া হয়েছে, তাতে ধ্রুপদী সাহিত্য উঠে এসেছে। হিন্দি ভাঙ্গা নৃত্যের সাথে ধ্রুপদী ধারার একটি সুস্পষ্ট পার্থক্য তাই টেনে নেয়া চাই। হিন্দি ছবির মূল সমস্যা নাচ-গান না। মূল সমস্যা কি তা সত্যজিৎ রায় নিজেই বলে গেছেন, তা হল রঙের আধিক্য এবং অপব্যবহার। এর সাথে আছে চিত্র ও কথার অপপ্রয়োগ। রঙীনের যুগ যখন শুরু হয়, তখন তা ব্যবহার করতো এরকম হিন্দি ছবির পরিচালকদের মত ব্যক্তিত্বরাই। সাহিত্যিক ছবি নির্মিত হত সাদা-কালোতে। কিন্তু অবস্থা পরিবর্তীত হয়েছে। মানুষ চলচ্চিত্রে রঙের ব্যবহার শিখছে। হিন্দি ছবি এবং এ ধরণের ভিনদেশীয় ছবির পরিচালকরাই কেবল শিখেননি। তারে জামিন পারে রঙ, কথা আর বাণীর ব্যবহার অনেকটাই ভাল লেগেছে; কিন্তু পুরোপুরি অবশ্যই নয়। হিন্দি জনপ্রিয় ধারার অনেক ছাপ পাওয়া যায় ক্ষণে ক্ষণে।

মুহাম্মদ২০১৭

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

১৭
১৫ | অতিথি লেখক [অতিথি] | মঙ্গল, ২০০৮-০১-২৯ ১৪:১৪

শুধু টাইটানিক না। Under world, B-13 এরকম আরও অনেক সিনেমা আছে যা, বিদেশী ভাষায় রচিত হিন্দি চলচ্চিত্র। তবে তাদের এরকম সিনেমা বানানোর রেট কম। হিন্দি ভাল সিনেমার রেটের সমান।

রায়হান আবীর

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

১৮
১৬ | অতিথি লেখক [অতিথি] | মঙ্গল, ২০০৮-০১-২৯ ১৫:৫০

ছবির সাথে সাথে "মা" গানটা সিরিয়াস লেগেছে

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান


মন্তব্য

মাহমুদ এর ছবি

ভালো লাগলো

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।