১...
কিরে তোরে দিয়ে কি একটেল চা সার্ভ করায়?
আমি মুচকি হেসে মাথা নাড়ি। আরে নাহ!! চা সার্ভ করাবে কেন? কাজ করায়। এমপ্লোয়ীরা যেই ধরণের কাজ করে আমাকেও তাই করতে হয়। নিজের একটা ডেস্ক আছে। সেই ডেস্কে বসে বসে আমি কাজ করি। ভালো না লাগলে নেটে ঘুরাঘুরি করি। এই ধরণের আরও লাব লাব বলে আমি পোলাপানের মধ্যে হিংসা জাগানোর চেষ্টা করি। কেউ কেউ হয়তো তখন মনে মনে ভাবে, আহারে পোলাডা কি সুখে আছে। আমাদের মতো প্রতিদিন লেকচার শুনতে হয় না।
আসল ঘটনা একটু ভিন্ন। একটেলে আমাকে চা সার্ভ করতে হয় না, এইটা সত্যি। তবে সারাদিন এক্সেলে রিপোর্ট তৈরী করার সময় আমার মনে হয়, এরচেয়ে তো চা সার্ভ করাই ভালো। দিনে মাত্র দুইবার। আমাকে একটা ডেস্ক দেয়া হয়েছে। সেই ডেস্কে একটা পিসিও আছে। তবে সেটার র্যাম নাই। কাজ করার জন্য আমাকে বসতে হয় টার্মিনাল রুমে। সেখানেও শান্তি নাই। আনাচে কানাচে থেকে মানুষ সেই টার্মিনাল পিসিতে রিমোট লগিন করে। আমাকে বসে থাকতে হয়। তারপরও আমি হাসি মুখে মেনে নেই। মেনে না নিয়ে উপায়ও নাই। কারণ আগামী তিনমাস আমাকে এইভাবেই কাটাতে হবে। দুই দিনের মাথায় ভালো না লাগা শুরু করলে তো মুশকিল...
এইভাবে কেটে যায় সপ্তাহের চার দিন। বৃহস্পতিবার অফিসে এসে প্রথমবারের মতো আমার ভালো না লাগা শুরু হয়। সার্ভার থেকে ডাটা নামিয়ে আমি চুপচাপ বসে থাকি। সেগুলো এক্সেলে নিয়ে কাজ শুরু করতে ইচ্ছা হয় না। সুপারভাইজার ভাইয়ের সাথে আলাপ জুড়ে দেই। এগারোটার দিকে বলি, ভাইয়া আজকে যাইগা, ভালো লাগছে না। উনি তাল দেন। আরে যাও মিয়া। কি আর হইবো।
কি আর হইবো এই কথা শুনে আমি নিশ্চিন্ত হইনা। কারণ আমি জানি যে কিছু একটা হবেই। যে রিপোর্ট বানাতে দিয়েছে সে দিন শেষে রিপোর্ট দেখতে চাইবে। কিন্তু ওই যে বললাম ভালো লাগছিল না, আমি চলে আসলাম। পিছু পিছু আমার সুপারভাইজারও ফুট...
তারপরের কাহিনী মর্মান্তিক। চারটার দিকে তানভীর ভাই ফোন দিলেন, তার রিপোর্ট কই জানতে চাইলেন। জবাবে আমি বললাম, রিপোর্ট বানাই নাই। এবং এখন আমি বাসায়। উনি খুব শীতল গলায় আরও কিছু কথা বলে ফোন রেখে দিলেন। রবিবার থেকে শুরু হলো আমার এবং আমার সুপারভাইজার ভাইয়ের উপর বুলডোজার চালানো। কয়েকহাজার রিপোর্ট তৈরী করলাম সারাদিন ধরে। একটা শেষ করি তো আরেকটা দেয়, ওইটা করি তো আরেকটা দেয়...
সারাদিন এই কয়েকহাজার রিপোর্ট তৈরী করে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় তেতো মুখ নিয়ে বের হলাম অফিস থেকে। নজু ভাইয়ের বাসায় সেদিন দাওয়াত। আমার কোথাও যাওয়ার মুড নাই। বাসে উঠে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। পথিমধ্যে একটু পর পর নজু ভাইয়ের ফোন। গতকাল রাতে উনাকে কথা দিয়েছিলাম অবশ্যই যাবো। লজ্জায় ফোন ধরতে ইচ্ছা করলো না। মোবাইলটা হাত দিয়ে চেপে ধরে মনে মনে একটেলের ওই ভাইকে গালি দিতে থাকলাম...
পরেরদিন সকালে অফিসে যেতে আধা ঘন্টা দেরী হলো। যাওয়ার সাথে সাথে শুরু হলো লেকচার। আমি কোন কাজ করি না, দেরী করে অফিসে আসি, তাড়াতাড়ি চলে যাই...হেন তেন হাবিজাবি। এই জিনিসের সাথে আমি পরিচিত। কলেজে এডজুটেন্ট এই ধরণের কাজ করতেন। কাউরে পছন্দ না হইলে সত্যি-মিথ্যা মিলায়ে উঠতে বসতে হাজারটা কথা শুনাতেন...এই রকম পেইন খাইতে হবে চিন্তা করে আমি আর্মিতে পর্যন্ত পরীক্ষা দেই নাই। এখন এই ব্যাটা শুরু করছে।
লেকচার পর্ব শেষ হবার পর আমি সুন্দর মতো দরজা খুলে বের হয়ে গেলাম। অনেক হইছে, আর না। একটেলরে গুল্লি...
২...
কতদিন হলো ব্লগিং করছি, অথচ আমার নিজের একটা পিসি নাই। যখন যার পিসিতে জায়গা পাই বসে পড়ি। মাঝে মাঝে কনফু ভাইয়ের রাতের বেলা বুকের উপর ল্যাপি রেখে সচল দাবড়ানোর কথা পড়ে, কিংবা কিংকং এর সিনেমার নায়কদের মতো পেটের উপর ল্যাপি রেখে নেটবাজী করার স্বপ্ন পূরণের কথা শুনে আমার খুব হিংসা হতো...ইশ!!! আমার যদি একটা থাকতো।
বাসায় দীর্ঘস্থায়ী বসবাস শুরু করার পর এই স্বপ্ন পূরণের একটা উদ্যোগ নিতেই হলো। ব্লগিং নেশা খুবি খ্রাপ। বাসায় পিসি নাই, নেট নাই। ভাবলাম কিনে ফেলে একটা ল্যাপি। কিন্তু পয়সা? বাবা-মার কাছ থেকে পাওয়ার সম্ভাবনা নাই। তাই ভরসা ব্যাংক লোন। আম্মু কৃষি ব্যাংকে চাকরি করে। পঞ্চাশ হাজার টাকা লোনের ব্যবস্থা হলো। মাসে মাসে এক হাজার টাকা দিতে হবে। একহাজার টাকা দেওয়া কোন ব্যাপার না। ব্যাপার হলো, টাকাটা ওরা দিবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। এতো দিন আমি কি করি...
সেই সমস্যার সমাধান হলো খুবি সহজে। আগের ব্লগে বলেছিলাম না, মানুষ ক্যান জানি আমারে খুবি ভালো পায়। সেইরকম একজন মানুষ পিসি কেনার জন্য টাকা ধার দিলেন... ডিসেম্বরে ব্যাংকের কাছ থেকে ধার করে তার ধার শোধ করে দেওয়া হবে।
বিশাল আনন্দে দিন কাটছে। শ'য়ে শ'য়ে সিনেমা, সিরিয়াল নিয়ে বসে আছি। আর ব্লগিং তো আছেই...
৩...
চাকরি ছেড়ে দিলেও সেটা বাবা মাকে জানানো হয় নাই। জানালে উনারা হুদাই বেশী লোড নিয়ে হাজারো কাবজাব শুরু করবেন। তারচেয়ে না জানানোই ভালো...
প্রতিদিন সকালবেলা বের হয়ে যাই বাসা থেকে। ঢাকা ভার্সিটি যাই। সেখানে পোলাপাইনের সাথে আড্ডাবাজী করি, মাঝে মাঝে ক্লাসও করি, শহীদুল্লাহ হলের পুকুর পাড়ে বসে থাকি, কিংবা টিএসসিতে বসে একের পর এক চা-বিড়ি খেতে থাকি...
সেদিন এক প্রবাসী বড় ভাইয়া দুঃখ করে বলেছিলেন, তার এই ধরণের দিনগুলোতে কেউ বলে দেয়নি, যে এটা তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। তার মনে আক্ষেপ, কেউ যদি বলতো তাহলে তিনি আরেকটু মৌজ মাস্তি করে আসতেন...
এই ঝামেলা আমার নেই...জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কাটাচ্ছি এখন...
মন্তব্য
শাবাশ ! নিজের মেধা আর সময় ব্যায় করার মত আরো অনেক জায়গা আছে । একটেল দুইটেলে গিয়ে গোয়ামার খাওয়ার লোকের অভাব নাই, যারা যেতে চায় যাক । তুমি কোন দুঃখে গেছিলা ? যাই হোক এখন তো বেরিয়েই এসেছ, আবার বেল তলায় যেওনা ।
-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হ ঠিক কইছেন, আমি ভাবছিলাম ইন্টার্ন করলে কিছু শেখা যায়। পরে দেখলাম ইঞ্জিনিয়ার সংকট পূরণের জন্য ওরা ইন্টার্ন নেয়। এবং হারাদিন আকাম করায়। কোন দরকার এইসব করার।
আর যামুনা।
=============================
ইন্টার্ন করলে অবশ্যই অনেক কিছু শেখা যায়, এই জন্যই পৃথিবীতে ইন্টার্নশিপ বা শিক্ষানবীসি ব্যাপারটা আছে । কিন্তু কথা হল, তোমার দরকার প্রকৌশল শিক্ষানবীসি, কেরানি শিক্ষানবীসি (এম এস ওয়ার্ড আর এক্সেলে বাল ছাল) করে তোমার কোন লাভ নাই ।
-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এইদেশে প্রকৌশল শিক্ষানবীসি করার উপায় নাই মনে হয়। সবি কামলা শিক্ষানিবীসি।
=============================
আছে । জাননা । ঠিকমত খুঁজতে হবে ।
-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
জানি না
=============================
কিরে একটেলরে গুল্লি দিলি কবে?
যাহোক, শ্রেষ্ঠ সময়টার কোনো অংশ পান্থপথে কাটাইলে আওয়াজ দিস, নিজেও ওয়ান্স এগেইন শ্রেষ্ঠ সময় কাটাচ্ছি কিনা
পান্থপথেও কাটাইতেছি।
ছাড়ার পর প্রথম দিন আটটার সময় বাসা থেকে বের হইছি, আর ভাবতেছি, কই যাই। পান্থপথ নেমে কামরুল ভাইরে ফোন্দিলাম, উনি বাসায় নাই। পরিচালক মানুষ বুঝেনিই তো, অলওয়েজ একটু বিজি থাকে । পরে অবশ্য দুপুরে গেছিলাম ওনার বাসায়। দেখা হইবো নি আপনার সাথে আবার।
বস মন্তব্য পাইয়া উদ্বেলিত হলাম।
=============================
ঈর্ষা বর্ষণ করিলাম... আমি আছি সবচেয়ে ভেজাইল্যা সময়ে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দাওয়াতে না যাওয়েন কারন টা বুঝাইতে পারলাম তো?
কিয়ের ভেজাইল্লা সময় মিয়া? গত দুইদিন দেখলাম হারাদিন সচলের অনলাইনে।
=============================
সচলে সবসময় লগইন থাকার একটা টেকনিকাল সুবিধা আছে... তা হইলো বারে বারে লগইন করতে হয় না। প্রতিবারে ৫ মিনিট করে সময় বাঁচে।
আর দুইদিন সচলে একটানা থাকা মানে হইলো আমি এখন রাইত দিন চব্বিশ ঘন্টা লেখতেছি... আমারে নেটে যতোক্ষন পাইবেন ততক্ষন বুঝবেন আমার উপরে দিয়া লেখার ডলা যাইতেছে ভীষণ। পিসি চলতেছে চব্বিশ ঘন্টা। জীবনের সব বিনোদন তখন সচলে আইসা থামে। লেখার ফাঁকে ফাঁকে আপনাদের সাথে একটু বাতচিত করি... মনটা একটু আনন্দে থাকে... এই আরকি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ আমাগো যা নেটের যা স্পিড থাকে। তাতে এই কাম করনি ভালা।
লিখতে থাকেন। লিখতে লিখতে মারা যান।
=============================
এখন একটেলের বদলে কোথায় কাজ করতে হবে?
কোথাও না
=============================
বেশ মজার তো! পুরোপুরি সুখী মানুষ!
হুম হুম। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
=============================
আহারে সুখের দিনগুলা আর নাই!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আসব আবার। ব্যাপার না।
=============================
রায়হান ভাই, আপনাকে অভিনন্দন। সত্যি কথা বলতে কি, ২০ বছরের চাকুরী জীবনে (এইচ, এস, সি-র পর থেকে) আমার এ ধরণের দুঃসাহসিকতায় প্রতি বছরই বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন এক ধরণের আতঙ্কে থাকে। তবে আমি ঠিক বুঝতে পারছি না, এটা কি ক্যাডেট ছিট্? আমি আমার এই বিদ্রোহী চেতনার সাথে এবং পাশাপাশি এক ধরণের বিলাসী উপভোজ্ঞ মনের সাথে এই প্রথম অন্য কারও সাথে একাত্ম হতে পারলাম। আমিও নই একা------------------(বর্তমানে আমি এই রূপ বিলাসীতায় সুখ-জাগা----)
আমি তো কিছুই না ভাই। আপনি যেই ধরণের মানুষগুলার কথা বললেন সেই ধরণের মানুষ তো অনেক। আমি তাদের দেখে শেখার চেষ্টা করছি।
=============================
নবাব!
ব্যাপার না। তবে বাসায় এইটা নিয়ে আলাপ করা মনে হয় ভালো।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ঠিক্কইছেন।
কমুনি। একটা মাস যাক।
=============================
তারুণ্য উপভোগ্য যে-কোনও বয়সেই
সুখী মানুষদের খুব আপন মনে হয় সব সময়।
লেখা যথারীতি চমত্কার।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
যে-কোন বয়সে উপভোগের ব্যাপারটা আপনার কাছ থেকে শিখে নিতে হবে।
ধন্যবাদ।
=============================
Very Good. Well done.
চাকরি ছাড়তে পারার মতো বীরত্ব আর কিছুতে নেই।
তবে বাবা মা কে বোধহয় জানালে ভালো।
পরে অন্যভাবে শুনলে কষ্ট পাবেন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
চাকরি হলে ছাড়তে পারতাম কিনা সন্দেহ আছে। সামান্য ইন্টার্নশীপ। তারপরও আপনার বীর উপাধি পুরোটাই মাথা পেতে গ্রহন করলাম।
জানাবো জানাবো...
=============================
একটেলে কাজ করা আসলেই মুশকিল। আমার মতে সবচে খাইস্টা টেলিকম। আমি যে বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করি, তার অন্যতম ক্লায়েন্ট একটেল। সুতরাং খুব ভালোমতোই জানি। তবে এরকম বের হয়ে আইসেন না বস... জীবনে হয় সিদ্ধান্ত নেন চাকরি করবেন, আর নইলে স্বাধীন পেশা হিসেবে কী নেয়া যায়, তা চিন্তা করে শুরু করেন। আপনি একে স্টার্টার, তার মধ্যে ঢাকার নেটওয়ার্কে কমবেশি সবাই সবাইকে চেনে, সুতরাং এমন কিছু না করাই ভালো যেটা রেকর্ডে থাকে। আর তারও চেয়ে পচা ব্যাপার যেটা, চাকরি করতে কোনোদিন কোনো মানুষেরই ভালো লাগে না... কিন্তু এই যে ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারটা, এটা একবার মাথার মধ্যে ঢুকে গেলে বার বার কিন্তু মনে হবে ছেড়ে দেই শালার এই চাকরিটাও... কিন্তু চাকরি করতে হলে মন দিয়ে করাই ভালো, কারণ করবেনই যখন, ভালো করে শিখেও নেন পুরো কাজটা, নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ান, নিজের অধিকার ছিনিয়ে নেন (নইলে কিন্তু কোথাও চাকরি করতে পারবেন না), এরই মধ্যে আরেকটা ভালো সুযোগ চলে আসলে তখন চুপচাপ না বেরিয়ে সশব্দে লাথি দিয়ে দরজা ভেঙ্গে বের হওয়াটাই ভালো...
আর সাড়ে ছটায় বের হয়ে ফুটানি মারেন মিয়া... একটেলের ওপারেই গুলশান-১-এ আমার অফিস, সারাদিনের সব চ-বর্গীয় কাজ শেষ করে, আখতারুজ্জামানের মতো প্রাক্তন কবি এবং বর্তমান আঠালি এক্সিকিউটিভকে অফিস থেকে ছাড়িয়ে সন্ধে সাতটায় রওনা দিয়ে পথে কীর্তিনাশাকে তুলে, গ্যাসের লাইনে দাড়িয়ে গ্যাস ভরে, উত্তরার জ্যাম ঠেলে মাস্কট প্লাজায় পৌছে, নজরুলের বাসার ঠিকানা বের করে তারপর সেখানে পৌছেছি... আপনে আওয়াজ দিলে মিয়া আপনেরে হুদ্দাই রওনা দেয়া যেত...
একী রায়হান আবীর, আপনি কোথায়? আমার লেকচার শুনতে শুনতে চুপচাপ কোন দরজা দিয়ে কেটে পড়লেন?
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
আপনার সাথে লাঞ্চ করনের কথা ছিল। হইলো না। যাউগগা আপনি একাই খান। যখন সত্যিকার চাকরি করতে ঢুকবো তখন আপনার উপদেশ মতো চলার চেষ্টা করব। এইটা তো আর সত্যি সত্যি চাকরি না। তাই বেশী লোড নিলাম না। বিরাট মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
=============================
হুমমম এভাবে চাকরি ছেরে দেয়া শুনে খুশি হলাম না, তুমি এখন কষ্ট করে পরে এটার রেফারেনস দিয়ে অন্য ভাল জায়গায় চাকরি নিতে পারতা, যাইহোক, তুমি যা ভাল মনে করস, তাই করস, কিন্তু এখন যে লোন নিসো এটা চাকরি ছারা শোধ করবা কিভাবে? মাসে মাসে পে করতে হয়না? আমার আম্মুও কৃষি ব্যাংকের প্রিনসিপাল অফিসার ছিল, গাজিপুরে রানি বিলাশমনি স্কুলটার কাছের অফিসটায়, আম্মুর সাথে কয়েকবার অফিসে গিয়েছিলাম ছোটবেলায় সবাই গেলেই কত আদর করত। ভাল করস ল্যাপি কিনে, এখন নিয়মিত ব্লগিং কর, তোমার তো আর সময়ের অভাব নাই এখন। আহ! আসলেই কত সুখে আছো!
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আপনি কে, আপনারে তো চিনলাম না
=============================
জানি আমার এ কথা তোমার ভাল লাগবেনা তবুও বলছি, ক্যারিয়ারের শুরুতে এত ইগো থাকা নিজের জন্যই ভাল না। যত কম ইগো থাকবে তত দুর তুমি যেতে পারবা, তবে অবশ্যই সেল্ফ রেসপেক্ট রেখে। হাজার ভাল, এবাভ এভারেজ স্টুডেন্টই হও না কেন ইন্টার্নশিপ ইন্টার্নশিপই, আর প্রথম ইন্টার্নশিপ খুব লাকি না হলে সাধারনত কারো মধুর হয়না। নিজের স্বার্থেই সব মেনে কষ্ট করতে হয়। দেশের কথা জানিনা কিন্তু এখানে প্র্যাকটিকেল এক্সপেরিয়েন্সের অনেক দাম দেয়।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
- উরি, কোবিরাজী আইসা পড়ছে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কেন? আপনে কি একলাই কোবরাজি মনে করসেন নাকি? আপনে না আসলেতো কাউরে না কাউরে আসতেই হয়, আপনের পেটে এত হিংসা কেন?
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
মুমু আপু, সেইদিন fb তে আপনি নিজের পরিচয় দেবার পর আমি ফাইজলামি করে এখানেও জিজ্ঞেস করছি। ভুল বুইঝেন্না
=============================
হম ফেইসবুকের স্ট্যাটের মানে বুঝতে পারলাম ! চাকরী ছাড়সো অনেক ভাল করছ ! আরো ভাল চাকরী পাইবা নো চিন্তা ডু ব্লগিং !
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বুঝছেন তাইলে। এখন ট্যাকা দেন।
=============================
গেলি !
মিয়া আমিও একই পাপের পাপী । আমার কেইস আরো বিচিত্র হাহা !
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
গেলাম, তয় পাপীর কাহিনী শুনতে আমার পাপ মন নিশপিশ করছে।
=============================
জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কিন্তু নিজের সর্বনাশ করাও সময়।
উদাহরণ চোখ মেললে আশেপাশেই দেখবেন।
এসএসসি/এইচএসসি তে এক বছর ব্রেক থাকলে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া দুরুহ হয়ে যায়। (প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এসে এটার কিছুটা সুরাহা হয়েছে।)
কর্পোরেট সংস্কৃতিতে জুতো কালি থেকে চণ্ডীপাঠ সবই নাকি করতে হয়।
আরো একটা কথা হয়ত ভালো লাগবে না: আমাদের দেশে ব্যাচেলর পাশ করে যে চাকুরি (পড়ুন প্রেস্টিজ) আমরা আশা করি, তা সাদাদের দেশে কেউ করে না। পরের চাকরির ইন্টারভিউতে প্রথম প্রশ্নই হবে পাশ করে কি করছেন? চাকুরি না করতে হলে অবশ্য ভিন্ন কথা।
সর্বোপরি, আপনি ভাল থাকলেই হয়।
আলমগীর ভাই, রায়হান মনে হয় এখনো পাস করে নাই, থার্ড ইয়ার দিয়ে গায়ে বাতাস লাগাচ্ছে, কাজেই পাস করার পরে চাকরির ইন্টারভিউর সময় এইটার কথা চেপে যেতে পারবে ...
তবে রায়হান, একটেল থেকে আর কখনো কল পাবা না ...
......................................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
কল ( ) পাবো না? থাক
=============================
তাইলে আমারে কেউ ভাইঙ্গা একটু বলেন, থার্ড ইয়ারে পড়া অবস্থায় ইন্টার্নি করতে গিয়া একজন কী কাজ আশা করেন?
@রায়হান
লোকজন যে বইপত্র দেয়ার আশ্বাস দিছিল সেগুলা হস্তগত হইছে নাকি?
আলমগীর ভাই, কেউ এখনও দেয় নাই, তবে আমি আশা ছাড়ি নাই। সেগুলো হস্তগত করেই ছাড়বো এনশাল্লাহ...
=============================
তোমাকে নিয়ে আমি গর্ব করি, মাই সান
তুমি আসলেই অনেক ভালো আব্বু
=============================
না। তোর থেইকা বর্তমানে আমি বেশি সুখী মানুষ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ক্যান?? নিবিড় শোয়েব এদের সাথে ঘোড়াশাল ট্যুর দিয়া আসার পর থিক্কা??
=============================
- উপরের তিন মন্তব্যকারীরেই খাড়ার উপরে মাইর দেওয়া উচিৎ!
এইটা সব সচলের জন্মগত অধিকার।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
১
ডোন্ট ফ্লোট থ্রু ইয়োর লাইফ প্রিটেন্ডিং লাইক নাথিং ম্যাটারস! হয়তো তোমার বয়সটাই এমন যে কনসিকোয়েন্সের কথা না ভেবেই এইধরণের ইম্পালসিভ ডিসিশন অনায়াসে নিয়ে ফেলতে পারো। সেটা সমস্যা না, একটাই রিকোয়েস্ট থাকবে শুধু, অভ্যাস বানিয়ে ফেলো না এটাকে। [জানি কথাগুলো শুনতে ভালো লাগলো না তোমার... এরমধ্যেই অনেকেরই অনেক লেকচার শুনে ফেলসো... তবে ইনটেনশন কিন্তু সবারই এক... তোমার ভালো চাওয়া... তাই বলি, কিছু মনো করো না]
২
নতুন ল্যাপটপের জন্য অভিনন্দন। অন্যের স্বপ্ন পূরণ হতে দেখলে নিজেরও ভালো লাগে। আর সবচেয়ে ভালো দিক হলো, এখন থেকে নিয়মিত তোমাকে সচলে দেখা যাবে... আর অন্যের পিসি বা সাইবার ক্যাফের উপর নির্ভর করতে হবে না। নিয়মিত ব্লগাও...
৩
আসলেই জীবনের শ্রেষ্ঠতম সময় কাটাচ্ছো এখন... তাই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষকে অসংখ্যবার বলা কথাটা আবারও বলি, এনজয় ইয়োর লাইফ হোয়াইল ইউ ক্যান! চীয়ার্স!
[দারুন লেখা, সবসময়ের মতোই... প্রকৃত সুখী হও... শুভকামনা থাকলো]
১...
কিছু মনে করি নাই। মানুষ ভালো পায় বলেই ভালো কথা বলছে। আমিও মনযোগ দিয়ে শুনছি।
২...
আইচ্ছা।
৩...
চিয়ার্স।
=============================
আমার ড্রয়ারে সবসময় একটা পদত্যাগপত্র টাইপ করে রাখতাম।
এখন কিন্তু সেই দিনগুলার জন্য পস্তাই।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
=============================
সবকিছুরেই লাথি মারতে ইচ্ছা করে। আমারো করে।
কিন্তু মারা ঠিক্না। বয়স কম আছে, অনেক সম্ভাবনা, উত্তেজনা আছে, ঘটনা এইরকমই হবে। কিন্তুক লাথি মারার অভ্যাস বানানো ঠিক্না। আমি পিঠ চাপড়াইতে পার্লাম না।
জীবন ফুল বিছানো রাস্তা নাহ।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
এই পোস্টটা দেওয়া ঠিক হয় নাই। অনেকেই মনে করছে হিরোইজম দেখাবার জন্য কিংবা পিঠ চাপড়ানি খাওয়ার জন্য দিসি।
আপনি পিঠ চাপড়ানি দেন্নাই ভালো করছেন। ভালোবেসে উপদেশ দিয়েছেন সেইটা মাথা পেতে নিলাম। ভবিষ্যতের জন্য।
=============================
রায়হান,
কাজটা ভাল কর নাই। একজন আইউটিয়ান হিসাবে বলছি, এরপর একটেল ইন্টার্নের জন্য আইউটিয়ান্দের না ডাকে... অথবা
অন্য একজন আইউটিয়ান্দের কথা শুনায় তাইলে বেপারটা তোমারি খারাপ লাগবে... জুনিয়রদের গালি শুনতে... উপদেশ দিছছি বলে মাইন্ড কর না... কর্পোরেট ওয়ার্ল্ড খুব এ ছোট... যদি কাজ করতে ভাল না লাগে সুন্দর করে বের হয়ে যাওয়ার অঙ্কে উপায় আসে......
তানভীর ০২
মাইন্ড করি নাই, তাও দুইটা কথা বলা দরকার...
একটেলে যখন আমি ইন্টার্নশীপের জন্য ভাইভা দিতে যাই তখন দুইটা পোস্টের জন্য প্রার্থী ছিল সাত জন। আমি একা আইইউটির। একজন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির, আর বাকিরা আহসানুল্লাহ। এবং আমি বাদে সবাই গ্রাজুয়েট। কেউ একবছর আগে পাশ করেছেন, কেউ ছয়মাস আগে।
তারা সবাই একটেলে এবং অন্যান্য টেলিকম কোম্পানীতে আসল চাকরির জন্য সিভি ড্রপ করেছেন, কিন্তু ডাক পান নাই। কেন পান নাই আমি জানি না। একজন আপু ছিলেন যার সিজিপিএ ৩.৭২। বাকিদেরও ভালো অবস্থা। কিন্তু তারা ডাক পান নাই, এবং এই কারণেই ওনারা ইন্টার্শীপের জন্য আসছেন যদি কিছু করা যায় এই ভেবে। মনে হয়তো আশা ছিল যে ইন্টার্শীপে ভালো কাজ দেখাতে পারলে পার্মানেন্ট জব পাওয়া যাবে।
আর আমি সেখানে গিয়েছি হুদাই। আইইউটির পোলাপাইন টেলিকমে সিভি ড্রপ করলেই ডাক পায়, সুতরাং ডাক পাওয়ার জন্য তাদের ইন্টার্ন করার দরকার নাই।
গালমন্দ যদি শুনতেই তাহলে শুনা যাবে। ব্যাপার না। তাও আমি দৈনিক দুইশ টাকার বিনিময়ে কোন ধরণের কোন মটিভেশন ছাড়া ১৩ ঘন্টা পেইন নিতে পারবো না (যাওয়া আসা চার ঘন্টা, আর নয়টা থেকে ছয়টা অফিস)। সবাই হয়তো আমার মতো ভাবে না। তাতে আমার কিছু করার নাই। আমি আমার মতোই ভাববো।
আশা করি বুঝাইতে পারি নাই।
=============================
আরে তুমি তো পুলাপাইন মানুষ এত পেইন নেওয়ার কিচ্ছু নাই !
টেক ইট ইজি ম্যান ! ব্যাপার না , আরো জব পাবা এইখানে হতাশ হবার কিছু নাই।
ঐরকম চাকরির খ্যাতা পুরি, তোমার যেখানে ভাল লাগবে সেখানেই করবা !
কয়দিন বাতাস খাইয়া বেড়াও তারপর আবার নতুন উদ্যমে চাকরি খুজবা।
--------------------------------------------------------
জব খুজতে হবে। তবে এখনও এক বছর বাকি আছে পাশ করতে। আমি আসলে যেই জিনিস ভালো লাগে না সেইটা করিনা।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
=============================
শিখিবার মতো কিছুই পাইলাম না, বদ-শিক্ষা ছাড়া।
যেহেতু আমার লেজখানা বহু আগেই কাটা গিয়াছে, তাই এইসব বদ-শিক্ষা আমার কিছুই করিতে পারিবে না।
তবে রায়হান আবীরের জন্য মানসিক স্থিতির প্রয়োজন রহিয়াছে। এইজন্য তাহাকে নিয়মিত ইয়োগা অভ্যাস করিতে হইবে। তখন আর স্থৈর্য্য ধৈর্য্য শৌর্যের কোন ঘাটতি পড়িবে না।
এই পোস্টখানার আরেকখানা মুসিবতের বা দুঃসম্ভাবনার কারণ রহিয়াছে। উঠতি বয়েসী কিশোরীরা, যাহারা আগামীতে রমণী হইবে, তাহারা যদি এই ব্লগারকে চিহ্নিত করিয়া ফেলে এবং আগামীতে সলিলপ্রাপ্তি হইতে নিজেদেরকে রক্ষা করিবার হেতু খুঁজিতে থাকে, তাহা হইলে এই ব্লগারের ভবিষ্যৎ তমসাবৃত হইয়া যাইতেছে।
অবশেষে বর্তমান চর্চার মতো আগামীতেও সব ছাড়িয়া ছুড়িয়া বিবাগী হইতে না হয়।
পুনশ্চঃ অধিক বিলম্ব না করিয়া ইয়োগা চর্চা আরম্ভ করিয়া দেওয়া বাঞ্ছনীয়।
(হা হা হা ! ধন্যবাদ আবীর, লেখাটা স্বতঃস্ফূর্ত ও উপভোগ্য হয়েছে।)
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ইয়োগা কি জিনিস বুঝলাম না রন দা। বুঝাইয়া দেন, সেইটা চর্চা করে দেখি কোন উন্নতি হয় কিনা...
=============================
নিজস্ব পিসির গর্বিত মালিককে অভিনন্দন !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ আফা
=============================
আমাদের এখানে টেলিকম গুলো টাটকা পাস করা প্রকৌশলীদেরকে নিয়ে গিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কেরানীগিরি জাতীয় কাজে বসিয়ে দেয় । টাকা নাহয় বেশিই দিল । কিন্তু আমার মতে এতে সেই সদ্য পাস করা প্রকৌশলীরই ক্ষতি । রায়হান যে কাজটি করেছে আমি তাতে ওকে ১০০ তে ১০০ দিব । আমাদের দেশে ভাল প্রকৌশলীদের কে দরকার সত্যিকার প্রকৌশল দায়িত্ব পালনের জন্য । একটু বেশি টাকার লোভ দেখিয়ে সম্ভাবনাময় একজনকে বসিয়ে রেখে একটেল দুইটেল দের যতখানি ফায়দা হয় তার থেকে অনেক বেশি ক্ষতি হয় যিনি সেই চাকরিটায় নিয়োজিত থাকেন । রায়হান ( বা অন্য কোন প্রকৌশল বিদ্যার স্নাতক ) সেই কাজে যোগদান না করলে একটেল ঠিকি এমন কাউকে সেই কাজে বসিয়ে দিবে যার জন্য এই কাজটা ঠিক আছে । কাজেই রায়হান তাদের জন্য কাজ করল কিনা তাতে একটেলের তেমন কিছু আসে যায়না । কিন্তু রায়হান নিজে সময় ও মেধা নষ্ট করার মরন ফাঁদ থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে রক্ষা করেছে , ওর জন্য এটা বিরাট ব্যাপার । আমি আশা করব রায়হানের যখন সত্যিই কাজ করার সময় হবে তখন সে পছন্দসই একটা পুরোদস্তুর প্রকৌশল কাজ পাবে । হতে পারে সারাদিন টারবাইনের সাথে সময় কাটান, হতে পারে সার্ভার রুমে বসে নেটওয়ার্ক মেইন্টেইন করা বা এরকম অন্য কোন কাজ যা করতে পারে কেবল মাত্র একজন প্রকৌশলী । হতে পারে আরো অনেক কিছুই, কিন্তু কেরানীগিরি যেন কোনভাবেই না হয় ।
-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
পাওয়ার সাইডে যাওয়ার ইচ্ছা আমার আছে। পাওয়ার রিলেটেড কোর্স করছি টেলকম রিলেটেডের পরিবর্তে। দেখা যাক কি হয়।
=============================
এই ঝামেলা আমার নেই...জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কাটাচ্ছি এখন.................. খুব ভাল তাইলে এখন মন খারাপ করা লেখা সচলে কমে যাবে
নিবিড়
শেষ কবে মন খারাপ করা লেখা লিখছি মনে করতে পারছি না তারপরও সচলে মন খারাপ করা লেখা কমুক। এই কামনা।
=============================
একটা কথা বলতে ভুলে গেসিলাম, তুমিও শেষ পর্যন্ত সুখী মানুষদের দলে নিজের নাম লিখাইলা... খুবই লোনলী ফীল করতেসি...
সুখী মানুষের দলে নাম লিখাইতে যাইয়া বিরাট ভেজালে পইড়া গেছি মিয়া।
=============================
যা করেছেন ভালো করেছেন । মন যা চাইবে তাই করবেন । ভবিষ্যিতেও কিছুকে পরোয়া করার দরকার নাই । যা হবার হবে । ব্যাপার না ।
নো চিন্তা।
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
এই যে আপনি মন্তব্যটা করলেন আমি কত খুশি হলাম জানেন। নিঝুম ভাই একটা গল্প দেন প্লিজ।
=============================
- উপরে সবাই যা বলার বইলা ফেলছে, নতুন কইরা কিছু বলার নাই আসলে। কিন্তু আমি ঐ অবস্থানে হইলে যা করতাম তা হইলো-
১. সময়টা যদি রায়হানীয় হইতো- আমি হোলেও হোতে পারে ভিত্তিতে লেগে থাকতাম।
২. সময়টা এখন (আমার) হলে, গুষ্ঠি কিলাই বলে সশব্দে বেরিয়ে আসতাম। আর
৩. এর মাঝামাঝি কিছু হলে, "কইতারিনা।"
মন্তব্যের মূলকথাঃ মাছ তখনি খেতে যাওয়া উচিৎ যখন মাছে কাটা থাকবে এই জিনিষটার পাকাপোক্ত ধারণা মাথায় ঢুকে।
এই লাইনের মূলভাবঃ ঢুকে এভাবে বের হওয়াটা ঠিক হয় নাই।
একেবারে বটমলাইনঃ ধুরো বাল, হু কেয়ারস...
আল্লাহর কসম শেষ কথাঃ ফুর্তি করেন ম্যান। পারলে চারপাঁচটা প্রেম সমানে করেন
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গুরু বটমলাইনটাই তাইলে থাকুক, কি কন?
=============================
চলুক তাইলে মউজ, মাস্তি!!
নতুন ল্যাপির জন্য অভিনন্দন!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ধইন্যবাদ ভাইজান।
=============================
হুমমমম, এই জন্যই সেদিন আসা হয় নাই, হুমমমম !
ট্যুরের জইন্য এরকম একটা লেখা মিস করলাম। সুখের কথা শুনতে সবসময়ই ভাল লাগে। তোর বাকি জীবনের সুখ কামনা কইর্তেছি।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
মানুষ আসলে নিজের ভেতরে ...... খুউব ভেতরে...... অসম্ভব স্বাধীন!
হে হে পাগলা! সপ্তাহের পাঁচদিন হাঁড়ভাঙা খাটনি আছে বলেই না বাকি দুইদিন মরার মত ঘুমিয়ে এত মজা !!
আমি দেশে যখন জিপিতে ছিলাম অফিস টা কয়লা খনি মনে হত।
সপ্তাহের শেষদিন অফিস করার পর কয়লা খনি থেকে বের হয়ে একটা ঝালমুড়ি কিনতাম। তারপর বাসায় ফেরার Local Bus এ উঠে, জানালার পাশের সিটে আয়েশ করে বসতাম...... কানে ইয়ারফোন গুঁজে প্রবাহমান ঘরমুখী জনতা দেখতাম......
ঝালমুড়ি চাবাতে চাবাতে ভাবতাম, "ওউফ! আজকে বাসায় গিয়ে একটা মুভি হবে"
ধন্যবাদ ভাইয়া।
=============================
নতুন মন্তব্য করুন