আজ সেই দিন...

রায়হান আবীর এর ছবি
লিখেছেন রায়হান আবীর (তারিখ: শনি, ১৫/১১/২০০৮ - ৬:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

("রে ব্র্যাডবারি" রচিত একটি সাইকো গল্পের ভাবানুবাদ করার চেষ্টা। "ছোট গল্পঃ একবাক্স আদর" যারা পড়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি। এটা একেবারে বিপরীত ধরণের...কেমন বিপরীত সেটা পড়লেই বুঝতে পারবেন...)

পিস্তলটা রেখে দিয়ে ড্রয়ার বন্ধ করে দিল সে...

না... এভাবে তাকে ভোগানো যাবে না। মেরে ফেলা যাবে, তাতে সব কিছুর অবসান ঘটলেও সে ভুগবে না। তাকে কষ্ট দিতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী অকল্পনীয় কষ্ট...

লোকটি বেডরুমের আয়নার দিয়ে তাকিয়ে ধীরে ধীরে কলার এর বোতাম লাগানো শুরু করলো। খুব ধীরে, অনাবশ্যক সতর্কতায়। বাড়ির পাশের রাস্তায় ততক্ষনে ছোট বাচ্চাদের দৌড় ঝাঁপ শুরু হয়ে গিয়েছে।

বাচ্চাদের মধুর কলকাকলি তাকে পুনরায় মনে করিয়ে দিল ক্যালেডারের কথা। আজকের দিনটার কথা। তুমি জান, আজকে বছরের শেষভাগের একটি মাস। অক্টোবর। অক্টোবরের শেষদিন। মধুর একটা দিন। তাইনা?? এইদিন ছোট ছোট নিষ্পাপ বাচ্চারা বিভিন্ন ধরণের মুখোশ পরে...তারপর একে অন্যকে ভয় দেখায়। যাকে ভয় দেখানো হয় সে ভয় পাবার অভিনয় করে আর্ত-চিৎকার করে। তারপর এক অন্যকে ধরাধরি করে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খায়...

না!! আজ মোটেও মধুর কোন দিন না। আমার জীবনে এই দিনের কোন মাহাত্ম্য নেই। যদি থেকেও থাকে সেটা আনন্দের নয়। জঘণ্য এবং প্রত্যাশাহীন...

একতালা থেকে মৃদু পায়ের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। "নিশ্চই মেরেডিথ"। নিজেকেই বলল কথাটা। আট বছরে পা দিয়েছে মেয়েটি। কথা বলে খুব কম। ধূসর চোখ আর সদা বিস্মিত মুখ দিয়েই সব কিছু প্রকাশ করতে চায় সে...

আজ সারাদিন মেরেডিথ অনেকবার তার কাছে এসেছে। একেক সময় একেক মুখোশ পরে। সবচে' ভয়ংকর কোনটা হবে সেটা সে বাবার কাছ থেকেই জানতে চায়...শেষমেষ দুইজন মিলে কংকালের মুখোশটিকেই বাছাই করেছে। "এটা পরতে পার। দেখলেই সবার অন্তরাত্মা বের হয়ে আসতে চাইবে।" মেয়েকে বলেছিলেন তিনি...

আবার তিনি আয়নার দিকে তাকালেন। অক্টোবর মাসটিকে কখনই তিনি পছন্দ করতে পারেন নি। অনেকদিন আগের কথা মনে পড়ে গেল তার। তখন দাদীমার বাসায় থাকতেন। অক্টোবরের এমন দিনে মৃদু বাতাসের শব্দ শুনে আর পাতাহীন গাছগুলো দেখে কোন কারণ ছাড়াই তার কান্না পেয়ে গিয়েছিল। প্রতিবছর এই সময়টাতে সেই অনুভুতি ফিরে আসে। বসন্তের সাথে সাথে একসময় চলেও যায় তা...

কিন্তু আজকের রাতটি ভিন্ন...একদম ভিন্ন...লক্ষ বছরে এমন রাত আর আসবে না...

নীচ থেকে ভেসে আসা গন্ধটা তার নাকে লাগলো। সারা নিশ্চয় অতিথি অভ্যর্থনার জন্য নানা আয়োজন করছে।

সব রুমেই সারা সমসময় আসা যাওয়া করছে শুধুমাত্র তার রুমটা বাদে। হঠাৎ নীচে তার সাথে কোন রুমে দেখা হয়ে গেলে সারা খুব অন্তরংগ ভাবে বলে, "ওহ্‌ মাইক!! তুমি যখনই আস তখুনই আমার একটা রুমে কিছু আনার জন্য যেতে হয়"। বলেতে বলতে সে প্রস্থান করে। এই সময়টাতে তিনি বাচ্চাদের মতো একটা খেলা খেলেন...সারা যদি রান্নাঘরে যায় তাহলে তিনিও রান্নাঘরে যেয়ে বলেন, "আমাকে এক গ্লাস পানি দাও তো..." পানি হাতে নিতে নিতেই সারা বলে ওঠে "ওহ! ড্রয়িং রুমের জানালাটা লাগানো হয়নি। তাড়াতাড়ি যাই। নতুবা ঝড় আসলে সব ওলট পালট হয়ে যাবে..." বলেই বের হয়ে যায়। তিনি হাসি হাসি মুখ করে বলেন, "ড্রয়িং রুম থেকে আমারও পাইপ টা আনতে হবে..." পিছু পিছু ড্রয়িংরুমে পৌছাতেই সারা হয়তো বলে ওঠে, "বারান্দার লাইটটা জ্বালানো হয়নি এখনও..." "ঠিক আছে, চলো আমিও তোমার সাথে যাচ্ছি"...পিছু নিতেই সারা তখন বারান্দার দিকে না যেয়ে দৌড়ে বাথরুমের দিকে চলে যায়...ভেতরে ঢুকে দরজা লক করে দেয়। তিনি বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। একসময় তার পাইপ নিভে আসে। তিনি সরে আসেন। দোতালায় ফিরে যান। সেখান থেকেই অপেক্ষা করতে থাকেন। একসময় বাথরুমের লক খোলার শব্দ হয়। সারা বের হয়ে আসে। জংগল থেকে একদল দস্যু চলে যাবার পর জংগলে যেমন শান্তি নেমে আসে সারার একতলাটাও তখন তেমন হয়ে যায়।

আয়নার দিকে তাকিয়ে তিনি টাইটা গলায় বাধলেন। তারপর গায়ে কালো রংয়ের কোট চাপালেন। এমন সময় আগমন ঘটলো মেরেডিথের।

"আমাকে কেমন লাগছে, বাবা??"
"ভয়ংকর" মৃদু হেসে জবাব দিলেন তিনি।

মুখোশের আড়ালে মেরেদিথের চুল দেখা যাচ্ছিল। দেখা যাচ্ছিল তার অদ্ভুত সুন্দর চোখ দুটি। দৃশ্যটি দেখে তিনি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।

"আর কোন সন্তান নেয়েটা আপনাদের জন্য ঠিক হবেনা, মিস্টার মাইক"
"কেন?"
"কারণ সেটা সারার মৃত্যুর কারণ হতে পারে। হবেই যে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তবে ঝুঁকিরে সম্ভাবনা অনেক বেশী" প্রথম গর্ভধারণের সময় ডাক্তার তাকে জানিয়েছিল এই কথাটি...

"কিন্তু আমার একটা ছেলে চাই।" আজ থেকে আট বছর আগে সারাকে তিনি কথাটি বলেছিলেন।

তার কয়েকদিন পর মেরেডিথের জন্ম হয়। এই জন্ম তাকে কোন আনন্দ দেয়নি।

তিনি সারাকে আবারো বলেছিলেন তার ইচ্ছার কথা। একটা পুত্রসন্তার পাবার আকাংখার কথা। সেই তীব্র আকাংখার কাছে সারার জীবনের ঝুঁকি ম্লান হয়ে গিয়েছিল। এই জোরাজুরিতেই হয়তো সারা তার কাছে থেকে দূরে সরে সরে গিয়েছে। সারা তাকে ভয় পায়। অবশ্য ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক। তার মতো একজন স্বার্থপর মানুষ এর চেয়ে বেশী আর কিইবা পেতে পারে...

আটটি বছর...তিনি পার করেছেন। ঘৃণা নিয়ে। আবার অক্টোবর ফিরে এসেছে। তিনি জানেন এই শেষ। সব সমস্যারই সমাধান আছে।

পাগলের মতো বেজে উঠলো কলিংবেল। সবাই চলে আসতে শুরু করেছে। মেরেডিথ দৌড়ে নীচে নেমে গেল। তিনিও ধীরে ধীরে অনাগত অতিথিদের উদ্দেশ্যে এগিয়ে গেলেন। সারা সবার কাছ থেকে উপহারের প্যাকেট গ্রহণ করছে আর বাচ্চাদের সাথে হাসাহাসি করছে।

"হায় মিস্টার মাইক" তিনি নামার সাথে সাথেই বাচ্চারা চিৎকার করে ওঠলো...

রাত দশটা নাগাদ কলিংবেল বাজা বন্ধ হয়ে গেল। ততক্ষণে সবাই চলে এসেছে। তিনি সারার কাছ থেকে পার্টির দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। সবার সাথে মেতে উঠলেন হাসি ঠাট্টায়। বাচ্চাদের নানা রকম গল্প বললেন, জাদু দেখালেন। একসময় হল ঘরের বাতি বন্ধ করে দেয়া হলো। বাচ্চারা তাকে ঘিরে ধরে...আনন্দে চিৎকার শুরু করল। শুধুমাত্র মেরেডিথ বাদে। তার সকল আনন্দ বিস্ময় অন্তরে। সে শুধু অনুভব করে যায়...

"উপরের ঘরে একটা ডাইনি আছে। সেটাকে এখন মেরে ফেলতে হবে। যাদের সাহস আছে তারা সবাই আমার সাথে চলো..."
কন্ঠস্বরকে বেশ ভয়ার্ত করে বললেন তিনি। একে একে সবাই সেই ঘরে যাওয়া শুরু করল। সবার শেষে দাঁড়িয়ে ছিল মেরেডিথ। তিনি মেরেডিথকে কোলে তুলে নিলেন। "চলো মামনি"...

বাচ্চারা সবাই একটা বৃত্ত তৈরি করে দাঁড়ালো। অভিবাবকরা একটু দূরে। গাঢ় অন্ধকারে ঢাকা সেই রুম। কোথাও কোন শব্দ নেই।

হুংকার ছাড়লেন তিনি..."ডাইনিটাকে এই মাত্র মেরে ফেললাম। যেই ছুরি দিয়ে মারা হলো সেটা ধরে দেখ" বলে তিনি লাইনে সবার সামনের জনকে ছুরিটা এগিয়ে দিলেন। সে পরেরজনকে দিল।

"ডাইনীটা মরে গিয়েছে। এইযে তার মাথা।" জিনিসটা কাছের জনকে হস্তান্তর করলেন তিনি।

এই খেলাটা আমি জানি। কিছু বাচ্চা আনন্দে চিৎকার করে উঠলো। ""উনি বরফের বাক্সে মুরগীর কিছু নাড়ি-ভুড়ি বের করে সবার হাতে দিয়ে বলবেন, এই যে তার নাড়ি-ভুড়ি। একটা মার্বেল দিয়ে বলবেন, এইযে তার চোখ। কাদামাটির তৈরি মাথা ধরিয়ে বলবেন, নাও তার মাথা, কিছু খই দিয়ে বলবেন এই যে দাঁত...এটা কিভাবে খেলা হয় আমরা জানি""

"ধুর তোমরা মজাটাই নষ্ট করছ" পাশ থেকে কয়েকজন মেয়ে বলে উঠলো...

"ডাইনী হাত দিয়ে আমাদের ক্ষতি করতে এসেছে। এই নাও তার হাত" মাইক বলল।

"ঈঈঈঈঈঈঈ"

একে একে বিভিন্ন জিনিস হাত বদল হতে থাকলো। কিছু বাচ্চা ভয় গেয়ে বৃত্তের মাঝখানে এসে দাঁড়ালো। যতক্ষণ না খেলাটা শেষ হয়।

"আরেহ!! এটা তো একটা মুরগী। এতো ভয় পাবার কি আছে। হেলেন চলে আস" কয়েকজন বাচ্চা তাদের স্বান্তণা দিল।

"ডাইনীটাকে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়েছে। এই নাও তার হৃদপিন্ড" লোকটি বলল।

"মেরেডিথ ভয় পেওনা...এটা একটা খেলা।" সারা মেয়ের উদ্দেশ্যে বলল।

মেরেডিথ নিশ্চুপ।

মেরেডিথ তুমি কি ভয় পাচ্ছ?" সারা বলে উঠল।

"ও মোটেও ভয় পাচ্ছেনা" মাইক জবাব দিল।

একের পর এক জিনিস হাত বদল হয়ে থাকল। আর বাচ্চাদের চিৎকারে কেঁপে উঠতে থাকলো ঘরটা।

"মেরেডিথ?" দূর থেকে সারা ডাক দিল।

ততক্ষণে সবাই কথা বলা শুরু করে দিয়েছে।

"মেরেডিথ??" একটু জোরে চিৎকার করতেই ঘরের সবাই আবার নিশ্চুপ হয়ে গেল...

"মেরেডিথ, তুমি কোথায় সোনা??"

মেরেডিথ কোন জবাব দিলনা...

"মেরেডিথ কোথায়?" সে জানতে চাইল।

পাশ থেকে এক ছেলে বলল "ও তো এখানেই ছিল"

"অথবা সে উপরে আছে"

"মেরেডিথ"

কোথাও মেরেডিথের সাড়া পাওয়া গেলনা...

ডাইনীর শরীরের বিভিন্ন জিনিসের হাত বদল ততক্ষণে বন্ধ। কেউ কেউ সেটা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

"কেউ একজন বাতিটা জ্বালাও দয়া করে" বড়দের মধ্য থেকে কেউ বললেন।

"না!! সারা চিৎকার করে উঠলো।" "বাতি জ্বালিও না। তোমাদের দোহাই লাগে বাতি জ্বালিও না" পাগলের মতো বলতে লাগলো সারা...

খেলা বন্ধ করে সবাই দাঁড়িয়ে থাকলো। ঘুটঘুটে অন্ধকার। জানালা দিয়ে অক্টোবরের বাতাস সবার গায়ে পরশ বুলিয়ে দিল। কেমন একটা গন্ধ তখন ঘরটাতে। খুব সম্ভবত হাতে ধরে রাখা ডাইনীটার শরীর থেকে আসছে সেটা। আমি একটু উপরে দেখে আসি। বলেই এক বালক ছুটে গেল উপরে। মেরেডিথ, মেরেডিথ, মেরেডিথ, মেরেডিথ...কেউ জবাব দিল না। সে আবার নীচে নেমে আসল। অন্ধকারের উদ্দেশ্যে বলল, "সে উপরে নেই"

তারপর..........................................কেউ বাতিটা জ্বালিয়ে দিল।

গড় রেটিং

(১ ভোট)

Trackback URL for this post:
http://www.sachalayatan.com/trackback/14050

লিখেছেন রায়হান আবীর (তারিখ: মঙ্গল, ২০০৮-০৪-০৮ ০৩:১১)
উদ্ধৃতি | রায়হান আবীর এর ব্লগ | ২৬টি মন্তব্য | পছন্দের পোস্টে যুক্ত | আপত্তি জানান | ১৮৭বার পঠিত

Views or opinions expressed in this post solely belong to the writer, রায়হান আবীর. Sachalayatan.com can not be held responsible.

১ | হিমু | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-০৮ ০৩:১৮

সম্ভবত পঞ্চ রোমাঞ্চ বা ছায়া অরণ্যে পড়েছিলাম গল্পটা। অসাধারণ অনুবাদ করেছিলেন কাজী আনোয়ার। রুবিনা (এখানে সারা) চিৎকার করে অনুনয় করতে থাকে বাতি না জ্বালানোর জন্যে। তার পরপরই আসে শেষ লাইন, "এমন সময় কে এক গর্দভ যেন জ্বেলে দিলো বাতিটা।"

আমি ব্র্যাডবারির অন্য আরেকটা গল্পের ভীষণ ভক্ত, আইল্যান্ড অব ফিয়ার, যেটার অনুবাদ করা হয়েছিলো "ভয়াল দ্বীপ" নামে। ব্র্যাডবারির কোন গল্প সংকলনের পিডিএফ সংস্করণ হাতের কাছে থাকলে আমাকে দিও।

হাঁটুপানির জলদস্যু

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১.১ | রায়হান আবীর | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-০৮ ০৩:৩৫

এই গল্পটা অনুবাদ হয়েছিল? তাইলে আমি কেন করলাম।

উদ্ধৃতি
তার পরপরই আসে শেষ লাইন, "এমন সময় কে এক গর্দভ যেন জ্বেলে দিলো বাতিটা।"

মূল গল্পের লাস্ট লাইনটা "then some idiot turn the light on"

গাধা শব্দটি ব্যবহার করিনি ইচ্ছা করেই। এছাড়া বড় হয়ে যাচ্ছে এই কারণে আরও অনেক কিছু বাদ দিয়ে দিয়েছি।

ব্র্যাডবারির এই গল্পটা পেয়েছি হিচকক এর একটা বই থেকে। সেখানে ২৫ টা গল্প রয়েছে যেগুলো নিয়ে সাইকো ছবি তৈরী করতে চেয়েছিলেন কিন্তু তাকে দেয়া হয়নি। তাই পিডিএফ সংস্করণ দিতে পারলাম না।

---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

১.১.১ | হিমু | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-০৮ ০৩:৫৪

এখনও যদি না পড়ে থাকো, তাহলে সেবা প্রকাশনী (যদি এখনও প্রকাশিত হয় বইগুলি) থেকে চারটা বই কিনে পড়ে ফেলো। পঞ্চ রোমাঞ্চ, ছয় রোমাঞ্চ, ছায়া অরণ্য আর তিনটি উপন্যাসিকা। যদি পাওয়া যায় এখনও, তাহলে "স্বর্গসৌরভ" আর "সেই সব রহস্য"ও। অসাধারণ সব ছোটগল্পের অনুবাদ এইগুলি। আমি পড়েছি ক্লাস ফাইভ থেকে ক্লাস সেভেনের মধ্যে, তাই অনেক গল্প এখনও মাথায় গেঁথে আছে।

হাঁটুপানির জলদস্যু

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১.১.২ | হিমু | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-০৮ ০৩:৫৮

আর হিচককের বই থেকে বাছাই করে আরো কয়েকটা ছাড়তে ভুলো না।

হাঁটুপানির জলদস্যু

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১.১.২.১ | রায়হান আবীর | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-০৮ ০৪:১২

সেবার অনুবাদের আসলেই কোন তুলনা হয় না। বড় বড় উপন্যাস অনেকগুলো পড়া হলেও ছোট গল্প পড়া হয়নি। খুঁজে দেখবো শীঘ্রই...

এরকম কিছু পেলে চেষ্টা করব...
---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

২ | ধুসর গোধূলি | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-০৮ ০৭:৩২

- ভয়াল দ্বীপ নামটা বেশ পরিচিতই ঠেকছে।
গল্পটা দারুণ হয়েছে।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

২.১ | রায়হান আবীর | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-০৮ ১৯:৩৬

---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

৩ | নিঘাত তিথি | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-০৮ ০৮:৪৩

ওফফ!
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

৩.১ | রায়হান আবীর | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-০৮ ১৯:৪৩

এই লেখাটি সচলে দেবার পর আমার মনে হয়েছিল যে মানুষ এটা পড়লে কি ধরণের মন্তব্য করতে পারে। সেটা ছিল "ওফফ"। আপনার মন্তব্যের জন্য তাই আমার পক্ষ থেকে
---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

১০

৪ | অতিথি লেখক [অতিথি] | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-০৮ ১১:০৬

দারুন তো!!

কালবেলা

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

১১

৪.১ | রায়হান আবীর | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-০৮ ১৯:৪১

তাই...
---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

১২

৫ | শিক্ষানবিস | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-০৮ ১৫:৩৮

গল্পটা অসাধারণ। অনুবাদও সুন্দর হয়েছে। আরও অনুবাদ গল্প আশা করছি।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১৩

৫.১ | রায়হান আবীর | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-০৮ ১৯:৪১

আয়, হিচকক পারে নাই তো কি হইছে। আমরা এইটা নিয়ে একটা মুভি বানাই ফেলি।
---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

১৪

৫.১.১ | ধুসর গোধূলি | বুধ, ২০০৮-০৪-০৯ ০০:১৭

- এইটা একটা কাজের কথা কৈছেন!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১৫

৬ | মুশফিকা মুমু | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-০৮ ১৬:১৯

আসলেই ভালো অনুবাদ করেছেন।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১৬

৬.১ | রায়হান আবীর | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-০৮ ১৯:৪৪

---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

১৭

৭ | সুলতানা পারভীন শিমুল | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-০৮ ১৭:০৪

কাজী আনোয়ার হোসেনের অনুবাদটা আমিও পড়েছি ছোটবেলায়।
তারপরেও আপনারটা দারুণ লাগলো।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১৮

৭.১ | রায়হান আবীর | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-০৮ ১৯:৩৫

গুরুর অনুবাদটি পড়ার জন্য আমিও মুখিয়ে আছি। দেখি জোগাড় করতে পারি কিনা।
উনারটা পড়ার পরেও আমারটা ভালো লেগেছে জেনে লাফাতে ইচছা করছে।
---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

১৯

৮ | রানা মেহের | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-০৮ ১৮:১২

সেবার অনুবাদ পড়িনি।
তবে আপনার অনুবাদ টা চমতকার হয়েছে

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

২০

৮.১ | রায়হান আবীর | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-০৮ ১৯:৩১

অনেক ধন্যবাদ।
---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

২১

৯ | কনফুসিয়াস | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-০৮ ১৮:৩৪

হিমু ভাইয়ের মন্তব্যে । পঞ্চ রোমাঞ্চ, ছয় রোমাঞ্চ- গা শিউরে ওঠে এখনো।
রায়হানের অনুবাদ খুব ভাল হয়েছে। তোমার জন্যেও । আরো বেশি বেশি পড়ো। সেবার অনুবাদ বেশি বেশি পড়লে দেখবা অনুবাদটাও কেমন করে মূল গল্পের মতন আপন হয়ে যায়।
ফুটনোটঃ সর্বনামে সমস্যা হয়েছে। একবার 'তিনি', আরেকবার "সে"। একবার 'করলো', আরেকবার 'করলেন'। ঠিক করে ফেলো।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

২২

৯.১ | রায়হান আবীর | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-০৮ ১৯:২৯

কনফু ভাই,
ধন্যবাদ। রুমের নেট আপাতত বনধ। এই ফোনেটিক দিয়ে লিখতে পারিনা ঠিক মত। কালকে নেট আসলে সর্বনাম ঠিক করে দিব।
---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

২৩

১০ | আনোয়ার সাদাত শিমুল | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-০৮ ২০:৪৯

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

২৪

১১ | অতিথি লেখক [অতিথি] | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-০৮ ২৩:২৮

খুব ভালো লাগলো।সেবার অনুবাদ পড়ে দেখিনি তবে আপনার অনুবাদ অসাধারন লেগেছে।লিখে ফেলেন আরও কয়েকটা...।

-নিরিবিলি

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

২৫

১২ | স্বপ্নাহত | শনি, ২০০৮-০৪-১২ ০২:০৭

জটিল লিখসস্‌!!!

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

২৬

১৩ | পরিবর্তনশীল | রবি, ২০০৮-০৪-১৩ ১৩:৩৭

দূর্দান্ত অনুবাদ!
আসল গল্পের মজাটা পেলাম।
চলুক।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।