মিলা জেনারেশনের কথা...

রায়হান আবীর এর ছবি
লিখেছেন রায়হান আবীর (তারিখ: রবি, ১৪/১২/২০০৮ - ৯:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তিথি আপু আগের পোস্টে মিলা জেনাশনের কথা বলেছেন...সেই জেনারেশন আমরাই... ব্লগে মিলাকে নিয়ে মাতামাতি আমি কিংবা আমরা কম করি নাই...এমন ধারণা তাই করা যেতেই পারে। কিন্তু মিলা জেনারেশন বলাতে মনটা ইষৎ ভারাক্রান্ত...আইইউটি তে পরীক্ষার আগের শেষ সপ্তাহ চলছে এখন...ব্লগীং করা পুরাপুরি হারাম হওয়া স্বত্তেও নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না...

আমার মাকে আব্বু সবসময় শিবির বলে খোঁটা দেন...আম্মু শিবির হোক কিংবা নাই হোক আমাদের বাসায় তিনি সমসময় একটা ইসলামী পরিবেশ বজায় রেখেছেন...এই কারণে ছোট বেলায় আমাদের বাসায় কোন গান শোনার যন্ত্র ছিলনা, ছিল না ডিশ সংযোগ...গান শোনা হতো খুব কম...আমার গান শোনার সূচনা তাই ক্যাডেট কলেজে যেয়ে...

শরীয়তুল্লাহ হাউসে মোটামুটি বিশাল একটা ক্যাসেট প্লেয়ার ছিল...আমাদের গান শোনার সময় বৃহস্পতিবার দুপুরের পর আর শুক্রুবার সকাল থেকে জুমার আগ পর্যন্ত। বেশীরভাগ সময় হিন্দী গান বাজাতো ভাইয়ারা...এক গান কয়েকবার। কেউ হয়তো কাগজ কলম নিয়ে আসতো, গানের লিরিক লিখে রাখার জন্য...

তার কিছুদিন পর আসে একটা সিডি প্লেয়ার...এইবার দুই পার্টি আলাদা হয়ে গেল। একদল কমন রুমে হিন্দী গান শুনে আরেকদল পাশেই রিডিং রুমে বাংলা কিংবা ইংলিশ গান। আমি রিডিং রুমে যোগ দিলাম। যতদুর মনে পরে সিডি প্লেয়ারে শোনা আমার প্রথম এলবাম ওয়ারফেইজ এর আলো। কি যে মুগ্ধ হয়েছিলাম তা বলার মতো না। তখন অল্প কয়েকটা গানই বার বার করে শোনা হতো। সময়, আলো, যতদুরেই থাকো...

সাথে সাথে পরিচয় হলো সুমনের সাথে। ঠিক সুমনের সাথে না, অর্থহীনের সাথে। ওদের বিবর্তন এলবামটা প্রথম শুনি। জোছনায় অজানা পথ চলা...কলেজে সবাই মুখে মুখে এই টান। শোনা শুরু হলো অর্থহীনের গান...ত্রিমাত্রিক, নতুন দিনের মিছিলে, ধ্রুবক। ওদের সব কটা গান এখনো আমার মুখস্থ...শুধু অর্থহীনেই শান্তি না পেয়ে সুমনের একক এলবাম শোনা শুরু করলাম...এই সব আমাদের সাপ্লাই দিতো আশরাফ...সুমনের বিশাল ফ্যান ছিল ও। বাথরুমে যেয়ে খালি সুমনের গান গাইতো...গাইতো ঠিক না...লিরিক আবৃত্তি করতো।

সুমনের এইরকম বিশাল এক ফ্যানের সন্ধান পেলাম আইইউটি তে এসে...সে আমাদের মহিব...তার সুমন পাগলামীর একটা নমুনা দেই। একদিন ও আমাকে জিজ্ঞাস করে, লিংকন একটা মেয়ে খুঁজে দে...আমি বলি, দিব। কিন্তু মেয়ের যোগ্যতা কি হবে? ও বলছিল মেয়েকে অবশ্যই অর্থহীনের ফ্যান হতে হবে...

মুহিব এমন কোন মেয়ের সন্ধান পেয়েছে কিনা কে জানে? তবে ভাগ্যবান আমি এমন একজনকে বন্ধু হিসেবে পেয়ে গেছি...যে আমার চেয়েও হাজার গুন বেশী সুমনের গান শোনে।

ক্যাডেট কলেজে আমাদের মধ্যে পছন্দের তালিকায় সবচেয়ে বেশী ভোট পাবে খুব সম্ভবত ভাইকিংস। এতো সুন্দর ওদের গান বলার মতো না...কিংকং ভাই, ওনার একটা ব্লগে মন্তব্য করেছিলেন, আইইউটিতে যত ভ্যালেন্টাইন ডে পাইছি তার সবকয়টাতে ভাইকিংসের "আজ ভালোবাসার দিনে" গানটা বাজাইছি...এখানে এসেও বাজালাম। ওদের জীবনের কোলাহলকে আমি আগে জীবনে শোনা সেরা গান বলতাম...ওয়ারফেইজের 'সময়' শোনার পর সেটা দুই নম্বরে নেমে যায়...

আইইউটি আমার রুমমেট ছিল মহিব। ও গান পাগল ছেলে। অনেক ধরণের অনেক গান শুনে এসেছে...ওর সাথে একরুমে থাকাটা দারুন ব্যাপার...দুইজনের রুচি একই রকম...কত ধরণের কত মানুষের গান যে শোনা হয়েছে একসাথে আল্লাই জানে...

এছাড়াও আছে আইইউটির বিখ্যাত ল্যান কানেকশন...সচলে এসে আমি ফাহিম ভাইকে চিনছি ওই ল্যানের কারণে...ওনার পিসিতে কয়েক কোটি গান শেয়ার থাকতো সবসময়...দরকারে হাতের কাছেই সমসময়...

গান নিয়ে লিখবো ভাবছি...কিন্তু কোথা থেকে কোথায় চলে যাচ্ছি আল্লাই জানে...

ফার্স্ট ইয়ার সেকেন্ড ইয়ারে শোনা হয়েছে ব্রায়ান অ্যাডামস্‌, স্করপীয়ন্স, মেটালিকা, ওয়ার ফেইজের সব কয়টা এলবাম, শিরোনামহীন, বাংলা...(কয়টার কথা বলবো...)

বেশ কয়েকমাস ধরে আমরা ঝুঁকে পড়ছি কলকাতার বাংলা গানে...অঞ্জন, মৌসুমি ভৌমিক, মাহিনের ঘোড়াগুলি আগে থেকেই প্রিয় ছিল...নতুন করে আবিষ্কার করলাম "চন্দ্রবিন্দু" কে। এতো বস গান...গানের কথাগুলো বুকের ভেতরে পরশ বুলায়..."তুমি মায়ের মতই ভালো, আমার মন খারাপ এই রাতে..." অথবা "বন্ধু তোমায় এ গান শোনাব বিকেল বেলায়..." আরো কত কত!!

আরেকজনের কথা বলতে হয়, যাত্রী ব্যান্ডের তপু...আমার সৌভাগ্য এই লোকটার গান এক বছর সামনে থেকে শোনার সৌভাগ্য হয়েছে...

কোন গান শুনি, কোন গান শুনতে ভালোলাগে এইটা আসলে লিখে বোঝানো খুব কঠিন ব্যাপার। আমি আজকে সেই চেষ্টায় মাঠে নেমেছিলাম...এই প্রজন্ম কাদের গান শুনে সেই কথা আগের প্রজন্মকে বলবো...কিন্তু এক্কেবারেই পারছিনা...

পুনশ্চঃ
হিন্দী গান একদম ঘৃণা করি...একদম টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি।।

মিলা তিশমার গান আমাদের জেনারেশন একদম শোনেনা, খালি ভিডিও দেখা হয়...সাথে বিটের তালে মাথা দোলানো হয়। তারচেয়ে আমাদের আগের প্রজন্মকে মিলা ভক্ত বলা যেতে পারে। কারণ গত কয়েক মাসে বিভিন্ন ক্যাডেট কলেজের রিইউনিয়নে মিলাকে আনার জব্বর চেষ্টা করা হয়েছে...এক্স-ক্যাডেট এসোসিয়েশন চালায় বুড়া বুড়া ভাইয়ারা...আমাদের চেয়ে তারাই যে মিলাকে বেশী ভালো পান তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা...

গড় রেটিং

(১ ভোট)

Trackback URL for this post:
http://www.sachalayatan.com/trackback/14690

লিখেছেন রায়হান আবীর (তারিখ: সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ০০:৪৯)
উদ্ধৃতি | রায়হান আবীর এর ব্লগ | ৫২টি মন্তব্য | পছন্দের পোস্টে যুক্ত | আপত্তি জানান | ৪০৮বার পঠিত

Views or opinions expressed in this post solely belong to the writer, রায়হান আবীর. Sachalayatan.com can not be held responsible.

১ | অতিথি লেখক [অতিথি] | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ০২:৫০

তিথি আপু,আবীর মিলা জেনারেশন না।শুধু ভিডিও দেখে এই যা গান শোনে না...।

আমারও তপুর গান ভালো লাগে তবে অবশ্যই ফুয়াদ ছাড়া।আর অর্নবের নতুন এলবাম এখনও শোনা হয় নি।
-নিরিবিলি

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

১.১ | রায়হান আবীর | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ২০:২৮

উদ্ধৃতি
তিথি আপু,আবীর মিলা জেনারেশন না।শুধু ভিডিও দেখে এই যা গান শোনে না...

বুঝলানা হোটেল নিরিবিলি, এরে কয় যৌবন জ্বালা...
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

২ | ধুসর গোধূলি | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ০৫:৩৪

- কি!!! তিথি আপু 'মিলা'রে অপমান করছে??
খাড়ান, এই মিলারে নিয়াই যদি তিথির ঘরে সোফায় বসে আরামে দাঁত না কেলাইছি তাইলে যেনো কুংফু তার শালীরে আমার গলায় ঝুলিয়ে দেয়!

উদ্ধৃতি
ভাগ্যবান আমি এমন একজনকে বন্ধু হিসেবে পেয়ে গেছি...

জ্বি মানে, এই বন্ধুটা কে? (স্বপ্নাহত'র 'আষাঢ়-শ্রাবন' নয়তো! )
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

২.১ | রায়হান আবীর | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ১৩:১৫

গোধূদা,
এক কাজ করি। কুংফু ভাইয়ের বাসায় মিলা ভাবীর একটা একক সংগীত সন্ধ্যা আয়োজন করি, ঘরোয়া পরিবেশে... গ্রামীন ফোন আলাগোরে কইয়া দেখি হ্যারা স্পন্সর করতে রাজী হয় কিনা।

উদ্ধৃতি
জ্বি মানে, এই বন্ধুটা কে? (স্বপ্নাহত'র 'আষাঢ়-শ্রাবন' নয়তো!

আইইউটিতে আসেন...সব কথা সাক্ষাতে হবে...সাথে কিছু খাওয়া দাওয়াও থাকবে।
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

২.১.১ | কনফুসিয়াস | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ১৩:৫১

এইসব কি ষড়যন্ত্র চলতেছে!
কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও...
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

২.১.২ | ধুসর গোধূলি | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ১৪:২৩

-
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ


৩ | তারেক | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ০৭:১০

মিলার কয়টা ভিডিও আমিও দেখছি !! পুরা বরবাদ!! আস্তাগফিরল্লাহ !!
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

৩.১ | ধুসর গোধূলি | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ০৭:১৬

- ভাবীরে বরবাদ কৈলে কৈলাম ঠাডা পড়বো, ঠাডা!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ


৩.১.১ | তারেক | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ০৭:২২

তারেক পোলাটা বরবাদ!!! ভাবী ভালো...

(ঠাডা ফিরায়ে লন... ডরাইছি! )
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১০

৩.২ | রায়হান আবীর | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ১৩:১৫

ঠাডা পড়ব!! ঠাডা!!!
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

১১

৪ | অতিথি লেখক [অতিথি] | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ০৭:৪৯

আমার রুমমেট ক্যাডেট ছিল। ওদের সবার মধ্যেই একটা মিলা ক্রেজ দেখেছি!
"মিলার মেলায় যেতে আজ মনটা চায়রে" গানটা আমাদের রুমের জাতীয় সঙ্গীত হয়ে গেছিল!! সকালে বিকালে দুপুরে রাতে সব সময় বাজতো ঐটা!!!
আমার যে খারাপ লাগতো তা কিন্তু না

------
স্পর্শ

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

১২

৪.১ | রায়হান আবীর | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ১৬:৩৪

আহেম আহেম!!!
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

১৩

৫ | নিঘাত তিথি | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ০৮:৩৩

আবীর,
দাঁড়াও আগে একটু হেসে নি কিছুক্ষন। আমি তো আসলে মজা করার জন্যই বলেছিলাম। খোঁচাটা বেশি লেগে গিয়েছে। এই কথায় বেশি মন খারাপ হয়ে থাকলে স্যরি ভাইয়া।

"মিলা জেনারেশন" বলায় তোমার এই রকম প্রতিক্রিয়া হয়েছে দেখে এক রকম ভালো লাগছে। গুড।

তোমার পোস্ট পড়লাম। খানিকটা জানা গেলো তোমার গানের রুচি। বুঝলাম তুমি মিলার গানের ভক্ত না, তার ভিডিওর ভক্ত । এবার শান্তি হইসে? ব্যাপারস না, মিলার ভিডিও আমিও দেখি।

এইবার ছোট্ট ক'টি কথা বলি। তোমার বাসায় এরকম পরিবেশ স্বত্তেও তুমি গানের জগতে ঢুকে পড়েছো, এই জন্য আগে কনগ্র্যাটস। কলেজে এবং বন্ধুদের সাথে গান শুনতে শুনতে অনেক রকমের গানে পরিচয় হয়েছে তোমার। খুবই ভালো। তবে একটা কথা কি জানো? যদি সত্যি গান ভালোবেসে থাকো, তাহলে আরো অনেক বোধহয় শোনার মত গান আছে। এ প্রসংগে আমার আগের পোস্টে শামীম ভাইয়ের একটা পোস্টের লিংক দেয়া আছে, পড়ে ভালো লাগলো তাই লিংকটা দিলাম তোমাকে। সময় বাকি আছে অনেক, শুনতে থাকো। যা ভালো লাগে তাই শোন, ভালো না লাগলে শোনার দরকার নেই; তবে না শুনে "ভালো না" না বললে ভালো হয়। হিন্দী গান ঘৃণা কর জানলাম। অনেকেই হিন্দী নিয়ে অনেক রকমের ভাব নিয়ে থাকে, ভালো কথা, কিন্তু হিন্দী গান নিয়ে বললে খুব অবাক হই। এই রকম বিশাল এবং একই সাথে মানসম্মত গানের ভান্ডারকে কেউ যখন অবহেলা করে অবাক হয়ে ভাবি, সত্যি শুনে বলছে তো?
তোমাকে একটা গানের লিংক দিচ্ছি। আমার কেন জানি মনে হয় কিচ্ছু না বুঝে শুধু সুরটার জন্য হলেও বুক খা খা করে চোখে পানি চলে আসবে।

অনেক ভালো থাকো, শুভকামনা।

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১৪

৫.১ | পুরুজিত | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ১০:০৭

হিন্দি গান বলতে যদি ফিল্মি গান বুঝায়ে থাকেন তাইলে আমার কিছু কথা আছে। আমার কাছে গানের কনটেক্সট গুরুত্বপূর্ণ। সেইদিক থেকে ফিল্মি গান খুবই আপত্তিকর - অল্প দু একটা সিনেমা ছাড়া (যেখানে নায়ক নায়িকা সঙ্গীত শিল্পী, "অলমোস্ট ফেমাস" এর মত) অভিনেতাদের ঠোটে গান দেয়ার ধারণাটাই অরুচিকর। সংগীতকে অনেকটা সহকারীর ভূমিকায় নামিয়ে দেয়া হয়। সেই জন্যই হিন্দি গান ভালো লাগে না, সেল আউট মনে হয়, কমার্শিয়াল মনে হয়। আপনি যেই গানটার লিঙ্ক দিয়েছেন সেটার কথাই চিন্তা করেন, মনীষা কি মারাত্মক দৌড়াদৌড়িটাই না করে পুরা গানটা ধরে!
আর আমার একটা ব্যক্তিগত অপছন্দ আছে অপরিষ্কার পারকাশন লাইন আর অতিরিক্ত সিন্থেসাইজার ব্যবহার নিয়ে। হিন্দি ফিল্মি গানে আসল কোন ইন্সট্রুমেন্ট খুঁজে পাওয়া দুষ্কর, সবই কৃত্রিম আওয়াজ, পশ্চিমা পপেও একই ট্রেন্ড বহুদিন ধরেই। আরো মনে হয় হিন্দি গানে কৃতিত্ব ভুল লোকে পায়। সিনেমার সব দোষগূণ যেমন পরিচালক পান, সেই মতন গানটাও একান্ত গীতিকার/সুরকার এর কৃতিত্ব হওয়া উচিত। কিন্তু গুলযার এর মত অল্প দুএকজন গীতিকার ছাড়া হিন্দি গানের গীতিকার খুব কমই প্রশংসা পান।
রক, মেটাল বা জ্যাজে এই সমস্যা গুলো নেই, সেই তুলনায় পপ বা হিন্দি ফিল্মি গানকে আমার সব সময়ই দ্বিতীয় শ্রেণীর মনে হয়।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১৫

৫.১.১ | কিংকর্তব্যবিমূঢ় | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ১০:৪৪

উদ্ধৃতি
আমার কাছে গানের কনটেক্সট গুরুত্বপূর্ণ। সেইদিক থেকে ফিল্মি গান খুবই আপত্তিকর - অল্প দু একটা সিনেমা ছাড়া (যেখানে নায়ক নায়িকা সঙ্গীত শিল্পী, "অলমোস্ট ফেমাস" এর মত) অভিনেতাদের ঠোটে গান দেয়ার ধারণাটাই অরুচিকর। সংগীতকে অনেকটা সহকারীর ভূমিকায় নামিয়ে দেয়া হয়। সেই জন্যই হিন্দি গান ভালো লাগে না, সেল আউট মনে হয়, কমার্শিয়াল মনে হয়। আপনি যেই গানটার লিঙ্ক দিয়েছেন সেটার কথাই চিন্তা করেন, মনীষা কি মারাত্মক দৌড়াদৌড়িটাই না করে পুরা গানটা ধরে!

একমত নই ... আমি বম্বে দেখি নাই (ছবিটা নাকি ভালো, দেখবো দেখবো করেও দেখা হয় নাই), তাতে বম্বের গান ভালো লাগতে কোন সমস্যা দেখি না ... সেই গান কোথায় কেম্নে ব্যবহার হইছে ভাবারও কোন দরকার দেখি না ... ইনফ্যক্ট আমার নিজের কথা বলতে পারি, যত হিন্দি গান শুঞ্ছি তার টেন পার্সেন্টেরও আমি ভিডিও দেখি নাই ... [আজকাল অনেক ডিরেক্টর নায়ক-নায়িকার ঠোঁটে না দিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ডে গান বাজায়, কিন্তু এ প্রসংগ এখানে অবান্তর] ...

উদ্ধৃতি
আর আমার একটা ব্যক্তিগত অপছন্দ আছে অপরিষ্কার পারকাশন লাইন আর অতিরিক্ত সিন্থেসাইজার ব্যবহার নিয়ে। হিন্দি ফিল্মি গানে আসল কোন ইন্সট্রুমেন্ট খুঁজে পাওয়া দুষ্কর, সবই কৃত্রিম আওয়াজ, পশ্চিমা পপেও একই ট্রেন্ড বহুদিন ধরেই।

হইতে পারে ... কিন্তু এ আর রহমান একটা প্রতিভা সেটা খুব কম মানুষই অস্বীকার করবে ... "অপরিষ্কার পারকাশন লাইন আর অতিরিক্ত সিন্থেসাইজার" ব্যবহার করেও সে যদি আরেকটা রোজা বা বম্বে বা দিল সে বা তাল বা রং দে বাসন্তী দিতে পারে আমি তাতে কোন সমস্যা দেখি না ... আমার কথা খুব পরিষ্কার, এত মানুষের যদি তার গান ভালো লাগে তাহলে সে অবশ্যই বড় শিল্পী, সে কোন সংজ্ঞায় পড়ুক আর না পড়ুক ...

উদ্ধৃতি
আরো মনে হয় হিন্দি গানে কৃতিত্ব ভুল লোকে পায়। সিনেমার সব দোষগূণ যেমন পরিচালক পান, সেই মতন গানটাও একান্ত গীতিকার/সুরকার এর কৃতিত্ব হওয়া উচিত। কিন্তু গুলযার এর মত অল্প দুএকজন গীতিকার ছাড়া হিন্দি গানের গীতিকার খুব কমই প্রশংসা পান।

আমি কিন্তু দেখি হিন্দি গানে বেশিরভাগ সময় সুরকারই সব প্রশংসা পায় (গীতিকার পায় না সেটা অবশ্য ঠিক) ... নাহলে আজকের এ আর রহমান বা শংকর-এহসান-লয়রা এতদূর আসতে পারতেন না ... বরং এই সমস্যাটা বাংলাদেশে বেশি, সব কৃতিত্ব শিল্পীর, হাবিব ছাড়া আর কোন মিউজিক ডিরেক্টর তার কৃতিত্বের স্বীকৃতি পায়?

উদ্ধৃতি
রক, মেটাল বা জ্যাজে এই সমস্যা গুলো নেই, সেই তুলনায় পপ বা হিন্দি ফিল্মি গানকে আমার সব সময়ই দ্বিতীয় শ্রেণীর মনে হয়।

ব্যক্তিবিশেষে ভিন্নমত থাকতেই পারে, কিন্তু যে সমস্যাগুলী নিয়ে বললেন সেগুলিকে খুব ইম্পর্ট্যান্ট ফ্যাক্টর মনে হয় না ...

................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১৬

৫.২ | শিক্ষানবিস | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ১০:৩১

উদ্ধৃতি
আমার কেন জানি মনে হয় কিচ্ছু না বুঝে শুধু সুরটার জন্য হলেও বুক খা খা করে চোখে পানি চলে আসবে।

আমার মনে হয় হিন্দি গানের এই খা খা কনসেপ্টটাই অবাস্তব। বাস্তবে কখনও এমন হয় না। প্রেমিক-প্রেমিকা কখনও গান গেয়ে আশপাশের স্রোতাদের চোখে পানি নিয়ে আসে না। হিন্দি গানে এ ধরণের গান ঢোকানো কেবলই হিন্দি ফিল্মী গানের বাজারে লাভ করার জন্য। গানই যথেষ্ট প্রমাণ যে, হিন্দি সিনেমা ভারতীয় দর্শকদের জন্য করা কমার্শিয়াল ছবি ছাড়া আর কিছুই না।

যে ছবিতে বাস্তবতার বাইরে গান থাকে, অর্থাৎ গানের সাথে অন্য অদৃশ্য কোন জায়গা থেকে সাউন্ড এসে যায় তাকে মিউজিক্যাল বলা যেতে পারে। মিউজিক্যাল ছবিও অনেক বিখ্যাত। স্বয়ং সত্যজিৎও মিউজিক্যাল বানিয়েছেন। এটা ক্লাসিকের পর্যায়ে পড়ে। কিন্তু হিন্দি সিনেমা মিউজিক্যালও না আবার তাদের জন্য আলাদা কোন জেনার ও তৈরী করতে পারেনি। এজন্য আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের জগতে হিন্দি সিনেমা ধোপেই টেকে না।

মাদার ইন্ডিয়া, লাগান বা তারে জামিন পার এর মত ছবি সমালোচক মহলে প্রশংসা পেয়েছে। মাদার ইন্ডিয়া ও লাগান একমাত্র হিন্দি ছবি যেগুলো অস্কার মনোনয়ন পেয়েছে। এগুলোর সাথে অন্যান্য হিন্দি ছবির তুলনা চলে না। চলচ্চিত্র বাস্তব জীবনের চলমান চিত্রে। হিন্দি ছবি চলচ্চিত্রের সংজ্ঞাই মানে না। সত্যজিৎও নিজেও তার বইয়ে কমার্শিয়াল হিন্দি সিনেমাকে এই চোখে দেখেছেন। এটাকে চলচ্চিত্র না বলে, বিনোদনের জন্য তৈরী নাচ-গান সমৃদ্ধ ভিডিও বলা যেতে পারে।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১৭

৫.২.১ | কিংকর্তব্যবিমূঢ় | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ১০:৫০

তোমার সাথে পুরাপুরি একমত ...

কিন্তু এখানে তো গান নিয়ে কথা হচ্ছিল, মুভি নিয়ে না, তাই না? হিন্দি মুভির মান নিয়ে যত প্রশ্নই থাকুক, আর তাতে যেভাবেই গান ব্যবহার হোক, তাতে কি গানের মানের কোন হেরফের হয়? আমার মনে হয়, গান নিয়ে আলোচনার সময় সেটা মুভি থেকে আলাদাভাবে বিচার করাই ভালো ...
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১৮

৫.২.২ | অতন্দ্র প্রহরী | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ১০:৫৮

হিন্দি সিনেমা নিয়ে তর্কে যাব না, কারণ আমি নিজেও হিন্দি সিনেমা পছন্দ করি না বলতে গেলে। তবে ঢালাওভাবে হিন্দি গানকে খারাপ বলাটাতে আপত্তি আছে। ভিডিও বাদ দাও, শুধু গান শুনলে আমি বলব অসংখ্য হৃদয়ছোঁয়া গান আছে, তিথি আপুর ভাষায়, বুক খা খা করে চোখে পানি আসার মতো গান আছে। "তুহি রে" গানটা আমার অসম্ভব প্রিয় একটা গান। "তারে জামিন পার" এর "মা" গানটাও খুবই মর্মস্পর্শী।
তবে তথাকথিত হিন্দি সিনেমা! থাক, কিছু না বলি!

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১৯

৫.৩ | রায়হান আবীর | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ১৩:১৮

হিন্দী গানের বিশাল মানসম্মত ভান্ডার আছে হয়তো...কিন্তু বাংলা কিংবা ইংরেজীর মানসম্মত ভান্ডারই শেষ করতে পারবো কিনা সন্দেহ!! হিন্দী গানটা আপাতত বাদই থাকুক...
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

২০

৬ | নুরুজ্জামান মানিক | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ০৯:৫০

নিঘাত তিথি বলেছেন ঃ" হিন্দী গান নিয়ে বললে খুব অবাক হই। এই রকম বিশাল এবং একই সাথে মানসম্মত গানের ভান্ডারকে কেউ যখন অবহেলা করে অবাক হয়ে ভাবি, সত্যি শুনে বলছে তো?
তোমাকে একটা গানের লিংক দিচ্ছি। আমার কেন জানি মনে হয় কিচ্ছু না বুঝে শুধু সুরটার জন্য হলেও বুক খা খা করে চোখে পানি চলে আসবে। http://www.esnips.com/doc/5356c53b-90a5-4b3d-8a29-4fcddf0b66d8/Tu-Hi-Re----Bombay"

আমার মতও তিথি আপুর অনুরূপ । তুহি হি রে গানটি আমারও প্রিয় । আরো প্রিয় আছে অনেক অনেক হিন্দি গান।

আলাউদ্দিন আলির সুরে রুনা লায়লার 'আল্লাহ মেঘ দে পানি দে ' গানটি নিশ্চয় শুনেছেন । বাপ্পি লাহিরী এটি ব্যবহার করেছিল অমিতাভ বচ্চনের সেরাভি ছবিতে 'দে দে পেয়ার দে' এবং বাজিমাত । ভাল গান হলে হিন্দিওয়ালারাও লুফে নেই।

আমাদের মেহরিন কলকাতার ব্যন্ড প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্ব পালন করে এলেন সেদিন ।

আবুল তাবুল বকবক করার জন্য দুঃখিত ।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

২১

৭ | শিক্ষানবিস | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ১০:৩৫

আমার বাসায় এখনও গান শোনা নিষিদ্ধ। তবে রায়হান আবীরের সাথে আমার পার্থক্য হল, আবীর এই পরিবেশে থেকেও গানের জগতে প্রবেশ করতে পেরেছে। আমি পারিনি। তবে আইইউটিতে এসে রুমে যত গান বাজে তার সবই তো শোনা হয়ে যায়। তবে কোন গান ভাল্লাগছে আর কোনটা লাগে নাই এটা আমি কখনও বলতে পারি না। কেন পারি না তাও জানি না। এক ধরণের কমপ্লেক্স হতে পারে।

লেখা ভাল্লাগছে। এই প্রজন্মের গানের রুচির কথা অনেকটাই উঠে এসেছে বলে আমার মনে হল।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

২২

৭.১ | রায়হান আবীর | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ১৩:২৪

উদ্ধৃতি
লেখা ভাল্লাগছে। এই প্রজন্মের গানের রুচির কথা অনেকটাই উঠে এসেছে বলে আমার মনে হল।

যা!! উঠাইতে পারলে তো হইতোই...

---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

২৩

৮ | অতন্দ্র প্রহরী | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ১০:৩৫

উদ্ধৃতি
আরো মনে হয় হিন্দি গানে কৃতিত্ব ভুল লোকে পায়।

"পুরুজিত", আপনার কথার সাথে একমত হতে পারলাম না। আমার কাছে গান হলো গান। বাংলা হোক বা হিন্দি অথবা ইংরেজি, যদি গানের কথা ভালো হয়, সুর যদি হৃদয়গ্রাহী হয় তাহলে তা শুনতে আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই।

উদ্ধৃতি
হিন্দী গান নিয়ে বললে খুব অবাক হই। এই রকম বিশাল এবং একই সাথে মানসম্মত গানের ভান্ডারকে কেউ যখন অবহেলা করে অবাক হয়ে ভাবি, সত্যি শুনে বলছে তো?

তিথি আপুর সাথে ভীষণভাবে একমত।

আর হিন্দি গান মানেই খালি "বাবুজি" মার্কা গান নয়। আজকালকার হিন্দি গানের গান অনেক নেমে গেছে বলে আমার ধারণা, তারপরও অসংখ্য হিন্দি গান আছে যা হৃদয় ছুঁয়ে দেয়। এরকম একটা গানের লিংক তো তিথি আপু দিয়েছেনই। এ.আর.রহমান দেশাত্ববোধক যেসব গান করেছে, খুব কষ্ট লাগে যে আমাদের দেশে আজকাল সেরকম কোন উদ্যোগই নেই বলতে গেলে!

যাই হোক, বিষয়টা আমার কাছে "গান" এর প্রতি ভালবাসা, ভাষা যাই হোক না কেন "ভালো গান" - এটাই আমার কাছে মুখ্য বিষয়

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

২৪

৮.১ | রায়হান আবীর | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ১৩:৩০

হতে পারে...
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

২৫

৯ | কিংকর্তব্যবিমূঢ় | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ১১:০৩

উদ্ধৃতি
এছাড়াও আছে আইইউটির বিখ্যাত ল্যান কানেকশন...সচলে এসে আমি ফাহিম ভাইকে চিনছি ওই ল্যানের কারণে...ওনার পিসিতে কয়েক কোটি গান শেয়ার থাকতো সবসময়...দরকারে হাতের কাছেই সমসময়... গুরু গুরু

এই অংশের জন্য স্পেশাল কৃতজ্ঞতা ... পুলাপান মনে রাখছে তাইলে?
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

২৬

৯.১ | রায়হান আবীর | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ১৩:২৭

ভুলবো কেমন করে, ভোলা তো যায়না...
ভুলে যাবো ভাবি, ভুলতে যে পারিনা...
বন্ধু তোরে তো ভোলা যায়না...

---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

২৭

১০ | অতিথি লেখক [অতিথি] | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ১১:১৮

গানের মধ্যে বাংলা হিন্দি বা ইংলিশ এভাবে প্রভেদ করা উচিত বলে মনে হয় না। গান গানই। গানের সুরটাই প্রধান। লিরিক্স ও প্রধান, কিন্তু তা ভাষা নির্ভর নয় মোটেও। অর্থাৎ একই লিরিক্স বাংলায় গেলে ভাল, আর হিন্দি বা ইংলিশে গেলে পচা হয়ে গেল, তা না।
শ্রোতা হিসাবে আমি সর্বভূক। রবীন্দ্র সংগীত যেমন ভালো লাগে, তেমনি ভালো লাগে বাংলা ভালো ব্যান্ডের গান ও। তেমনি ভাল লাগে হেমন্ত থেকে শুরু করে অঞ্জন দত্ত, মহিনের ঘোড়াগুলি, ভূমি...ইত্যাদি।
আর হিন্দির মধ্যে এ আর রহমানের গান ভীষণ পছন্দ। আর ইংলিশে ও আছে অনেক, কাকে ছেড়ে কাকে বলব।
তবে আমাকে যদি শুধু একটি গানের কথা বলা হয়, বা বলা হয়, আমি ৫ মিনিট পর মারা যাব, কোন গানটি শুনে মরতে চাই, তবে আমার একমাত্র পছন্দ "জারা জারা" গানটি। গানটি রেহেনা হ্যায় তেরে দিল ম্যায় (হিন্দি) সিনেমার গান। হিন্দি সিনেমার গান শুনেই নাক কুচকাবেন না। এপর্যন্ত যাদের আমি গানটি রেকমেন্ড করেছি, তারা কেউই অপছন্দ করে নি। রায়হান ভাই, আপনি ও শুনে দেখতে পারেন। ভালো না লাগলে আমার কোন লেখা এ জীবনে আর পড়েন না।
~রেনেট
(ও মিলার কথা বলতে ভুলে গেলাম...মিলার গান আমি প্রথম শুনেছি গত মাসে...সচলায়তনে আসার পর...)

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

২৮

১০.১ | রায়হান আবীর | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ১৬:৪২

রেনেট ভাই,
যারা যারা গানটা আমি অনেক বার শুনেছি...তবে এটার চেয়ে সাচ কেহরা হায়ে দিওয়ানে গানটা মনে হয় বেশী ভালো লাগতো...

সেইসময়টাতে মোটামুটি হিন্দী গান শোনা হতো...এখন ভুলেও শুনিনা...ভাগ্যিস নতুন কোন গানের কথা বলেন নাই...তাইলে বুঝতেই পারতাম না...

উদ্ধৃতি
ভালো না লাগলে আমার কোন লেখা এ জীবনে আর পড়েন না।

আপনার লেখা না পড়লে ক্যামনে কী?
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

২৯

১১ | দ্রোহী অফলাইনে (যাচাই করা হয়নি) | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ১১:৫৩

আমি কোন জেনারেশন তা জানি না। তবে আমার প্রিয় গান হইলো বাংলা সিনেমার একটা গান। সিনেমার নাম "খায়রুন সুন্দরী"। নায়িকা মৌসুমী, নায়ক কে তা জানি না। গানটা মনে হয় মমতাজ গেয়েছে (সঠিক জানি না)।

গানের কথাগুলো এইরকম:

খায়রুন লো তোর লম্বা মাথার কেশ
চিরল দাঁতের হাসি দিয়া পাগল করলি দেশ
খায়রুন লো।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

৩০

১১.১ | রায়হান আবীর | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ২০:০৮

মমতাজ একটা বস। ওনার গানের গলা বেশী জোশ।

---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

৩১

১২ | পরিবর্তনশীল | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ১৩:৪১

শুরুতেই বলে দিই ''মিলা জেনারেশনের'' ছেলে হয়েও আমি একটু প্রাচীণপন্থী। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মতামত দিলাম।

''গান হচ্ছে সবচেয়ে সুন্দর বিনোদন''
অনেকবার এই কথাটা শুনেছি। কিন্তু আমার কাছে গানকে কখনো বিনোদন মনে হয় নি। আমার কাছে গান হলো আমার অস্তিত্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা কারণ।

গানের সাথে আমার প্রেমটা অনেক পুরনো। জ্ঞান হওয়ার পর আমি বাবা'র কাছ থেকে যে উপহারটা প্রথম পেয়েছিলাম সেটা হল হাসন রাজা'র গান নিয়ে 'একদিন তোর হইবরে মরণ' এলবামটা। মা'র কাছ থেকে অঞ্জন দত্তের 'চলো বদলাই'। আমার পুরোটা শৈশব কেটেছে অঞ্জনের গান শুনে। বড় হতে হতে আরো অনেক গান আমার কাছে আসল। নিজেও গান করলাম। বাংলা গান শুনতে শুনতে আমার কখনো হিন্দী গান শোনার কথা মনে হয় নি কিংবা ইচ্ছে করে নি। রবীন্দ্র-নজরুল- লালন আর বাংলা ( সত্যিকারের বাংলা) গান যত আছে মৃত্যুর আগে যদি সব শোনা হয় তাহলে আমি হয়ত হিন্দী গান শুনে দেখার কথা চিন্তা করব। আমার মেয়েকে ডাকব...
- মা। তোর কাছে কি কি হিন্দী গান আছে দে তো শুনি।
আমার মেয়ে কোমল একটা কণ্ঠে বলবে...
- বাবা। আমার কাছে তো কোন হিন্দী গান নেই। সব বাংলা গান।
আমি আমার মেয়ের মাথায় অনেক মমতা নিয়ে হাত রাখব।
আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলা গান শুনতে চাই।

ইতালী'র গানের মান অনেক ভালো- কিন্তু প্রতিবেশী দেশ তুরস্কের মানুষজন ইতালীয়ান ভাষার কোন গানের নাম হয়ত ঠিকমত বলতে পারবে না। কিন্তু আমি আমার আশে পাশে এমন অনেক মানুষকে দেখেছি- যারা উকিল মুন্সী'র নাম শোনে নি কিন্তু হিন্দী কোন গায়কের সবকিছু বর্ণনা করে দিতে পারে। এটা নিয়ে আমার কোন রাগ নেই। রাগ থাকলেও কিছু যায় আসে না।

সেদিন এক বন্ধু বলল...
- মহিব। তুই তো হিন্দী সিনেমা দেখিস না। তারে জামিন পার দ্যাখ। ভালো লাগবে। গানগুলাও ফাটাফাটি।
আমি আমার বন্ধু'র দিকে তাকিয়ে একটু হাসলাম...
- তুই কী সূর্য দীঘল বাড়ি দেখছিস কিংবা জলসাঘর। জলসাঘর যে বার্লিং চলচ্চিত্র উৎসবে বেস্ট মিউজিক এওয়ার্ড পাইছিল সেটা জানিস?

গানকে আমি আমার জীবনের অংশ বানিয়েছি। আর আমি চাই আমার জীবন সঙ্গিনী বাংলায় কথা বলুক।

---------------------------------------------------------------------------------------------

ডিশ
এন্টেনায় চারটে কাক।
বাংলাগান খাচ্ছে খাক্‌।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

৩২

১২.১ | রায়হান আবীর | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ২০:০৪

সবই তো বলে দিলি...

তোর সাথে প্রচন্ডভাবে একমত...
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

৩৩

১৩ | অচল (যাচাই করা হয়নি) | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ১৬:৩৬

সূর্য দীঘল বাড়ি দেখলে তারে জমিন পার দেখা যাবে না, কিংবা জলসাঘর দেখলে রং দে বাসন্তি দেখা যাবে না - এ ধরনের মনোভাবটা খুব ভাল মনে হলো না।

মনের দরজা জানালা খোলা না রাখলে, ধূলো জমার আশংকা থেকেই যায়।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

৩৪

১৩.১ | রায়হান আবীর | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ২০:০০

ব্যাপারটি এভাবে ব্যাখ্যা করা যায়...আজকাল বেশীরভাগ মানুষ বাংলা গান কিংবা সিনেমার চেয়ে হিন্দীকে বেশী প্রাধান্য দিচ্ছে...সেই জন্য আমি কিংবা মহিব এই গোড়ামীর আশ্রয় নিয়েছি...যতভালো কিছুই হোক না কেন হিন্দী দেখবোনা কিংবা শুনবো না...এক ধরণের প্রতিবাদ বলতে পারেন...যদিও আমি তারে জামিন দেখেছি।

---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

৩৫

১৪ | নজমুল আলবাব | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ১৬:৫৮

মিলা এবং এই জাতীয় বস্তুর দেখা পাইছি আমি সচলে আসার পর। এর আগে এদের চিন্তামনা।

ভালতো লাগেই নাই, লগে বিপদে পড়ছি। সম্ভবত প্রথম লিঙ্কটা দিছিল সৌরভে। সেইটা টিপি দিতেই কয়েক মিনিট পরে বাইজা উঠছে। পোলায় শুনছে, দেখছে এবং এই মাইয়ার পিরিতে পড়ছে এবং এখন প্রায় রোজ পুত্রের সাথে বসে আমারে নর্তন কুর্দন গিলতে হয়।

আল্লাহ আমারে হেফাজত কর, আল্লাহহহহহহহ

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

৩৬

১৪.১ | রায়হান আবীর | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ২০:০২

আমিন, সুম্মা আমিন...

---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

৩৭

১৫ | নিঘাত তিথি | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ২১:৪০

আবীরকে মন্তব্য লিখেই কেন যেন মনে হয়েছিলো, আবীরের লেখা এবং আমার মন্তব্যের বাকি অংশ বাদে হিন্দী গান প্রসংগটা বেশি সামনে চলে আসবে, হলোও তাই। আমি দুঃখিত আবীর, তোমার পোস্টের মূল প্রসংগ থেকে আলোচনাটা সরে গেছে বলে। তুমি যা জানাতে চেয়েছো, সেক্ষেত্রে তুমি সফল, তোমার প্রজন্মের গানের কথা আমরা বুঝতে পেরেছি তোমার পোস্ট পড়ে।

মন্তব্যগুলোর অধিকাংশই যেহেতু আমার হিন্দী গান সম্পর্কিত মন্তব্য থেকে প্রতিমন্তব্য হিসেবে এসেছে, আমার খানিকটা দায় এসেই যায় এই প্রসংগে কিছু বলার। অনেকে অনেক কিছু বলেছে, গান এবং মুভি গুলিয়ে ফেলেছে। আমার দেয়া গানের লিংক থেকে সেই গানের ভিডিও নিয়েও মন্তব্য এসেছে!! ভাই রে, গান আর গানের ভিডিও যে এক নয় এও কি আলাদা করে বলতে হবে? একটি গান খুব আলাদাভাবে নিজের একটি আবেদন দাবি করে, তা কোন সিনেমার, কি দৃশ্যের, তাতে নায়ক-নায়িকা কাঁদে না হাসে বা অন্যকে কাঁদানোর চেষ্টা করে তাতে কি এসে যায়? "আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি" আমাদের দেশের সিনেমার গান, আমার গাঁয়ে কাঁটা দেয় এই গান শুনে। আমি দেখতে যাই না যে এই সিনেমার নায়ক-নায়িকা জোর করে আমাকে কাঁদাতে চেষ্টা করেছে কি করে নি, কারন সেটা ভাবার আগেই গানটি নিজেই আবেদন সৃষ্টি করে। একই কথা পৃথিবীর সমস্ত গানের ক্ষেত্রে খাটেঃ গান শোনার পর ভালো লাগবে কি মন্দ, মন ভালো হবে কি খারাপ, হাসি পা'বে কি কান্না তা এককভাবে গানটিই ঠিক করে দেয়, তার পারিপার্শিকতা নয়। মূলত পুরুজিৎ এবং শিক্ষানবিসের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এই কথাগুলো লিখলাম।

আরো অনেক কথাই এসে যায় যেহেতু বিষয়টি গান। আমাদের উপমহাদেশে একজন নতুন শিল্পীর গানে হাতেখড়ি হয় সারগাম এবং উচ্চাঙ্গসংগীত দিয়ে। উচ্চাংগসংগীত, তারানায় শেখা "তানা দে রে না দানি দ্রিম" অথবা হিন্দী বোল কখনও কোন গানপ্রেমী ঘৃণা করতে পারে বলে বিশ্বাস করি না। উচ্চাংগসংগীতের হিন্দী যদি একজন শিল্পীর হাতেখড়ি হয় তাহলে পরবর্তীতে ভালো হিন্দী গান কেন সে প্রশংসা করবে না? বাংলাভাষী হিসেবে আমাদের মূল গান বাংলা। আমরা বাংলায় গান গাই। বাংলায় যে অনুভূতি সুরে এবং কথায় প্রকাশ হয় তা অন্য কোন ভাষায় সম্ভব না, সেই শান্তি অন্য কোন কিছুতেই সম্ভব না। কিন্তু যদি কেবল সুরের টানেই অন্য কোন ভাষার গান শুনতে ভালো লাগে, তাও বলতে মানা? যাদের ভালো না লাগে তারা বিরোধিতা করুক, ভালালাগা না লাগার উপরে তো কোন কথা নেই। আর যাদের ভালো লাগে, তারা হিপোক্রেসি না করে বলুক। বাংলা ভাষা হৃদয়ে আঁকড়ে রেখে সব রকম ভালো গান ভালোবাসা সম্ভব। আমি বিশ্বাস করি, গানের জানলা গোটা পৃথিবী।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

৩৮

১৫.১ | রায়হান আবীর | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-২৯ ০০:০৯

গতরাতে পোস্টটা দিয়েই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম...আজকে দুপুরে ক্লাস থেকে এসে দেখি হিন্দীগান নিয়ে পুরা তোলপাড়...শুধু হিন্দী গান নিয়ে আলোচনা হয়েছে, এইটা নিয়ে কষ্ট পাবার কিছু দেখিনা...তাই আপনার দুস্ক পাওয়ারও কিছু নেই।

আমি হিন্দী গান শুনিনা এক ধরণের রাগ থেকে...কারণ আজকাল কার বেশীরভাগ মানুষ বাংলার চেয়ে হিন্দীকেই বেশী প্রাধান্য দেয়...এই কারণে হাজার ভালো হলেও হিন্দীগান শুনবো না...এক ধরণের গোয়ার্তুমি আর কি...

মন্তব্যে অংশগ্রহণের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ...
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

৩৯

১৬ | অনিন্দিতা (যাচাই করা হয়নি) | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-২৯ ০০:৩৪

উদ্ধৃতি
বাংলা ভাষা হৃদয়ে আঁকড়ে রেখে সব রকম ভালো গান ভালোবাসা সম্ভব। আমি বিশ্বাস করি, গানের জানলা গোটা পৃথিবী।

আমি ও এই বক্তব্যের সাথে একমত।
গানকে শুধু বিশেষ স্থান, কালভেদে কি বিচার করা চলে?একটা গান তখন ই শ্রোতার মনে আবেদন সৃষ্টি করে যখন তার সুর,বানী আর শিল্পীর গায়নশৈলী যথার্থ হয়। সেটা ফিল্মী হোক বা না হোক, বাংলা, হিন্দী, ইংরেজী যাই হোক গানের আবেদন হৃদয় ছোঁয়া হলেই সেটা চিরকালীন হয়ে যেতে পারে। তাই সব ধরণের গান শুনে ভাল গান শোনার কান তৈরী করতে হবে। ভাল গানকে সমর্থন করতে হবে।
উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

৪০

১৬.১ | রায়হান আবীর | বুধ, ২০০৮-০৪-৩০ ০৩:১২

অনিন্দিতা আপু ভালো কথা বলেছেন...
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

৪১

১৭ | নুরুজ্জামান মানিক | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-২৯ ১৩:৩১

রায়হান আবীর লিখেছেন ঃ

১) "আজকাল বেশীরভাগ মানুষ বাংলা গান কিংবা সিনেমার চেয়ে হিন্দীকে বেশী প্রাধান্য দিচ্ছে...সেই জন্য আমি কিংবা মহিব এই গোড়ামীর আশ্রয় নিয়েছি...যতভালো কিছুই হোক না কেন হিন্দী দেখবোনা কিংবা শুনবো না...এক ধরণের প্রতিবাদ বলতে পারেন"

২) আমি হিন্দী গান শুনিনা এক ধরণের রাগ থেকে...কারণ আজকাল কার বেশীরভাগ মানুষ বাংলার চেয়ে হিন্দীকেই বেশী প্রাধান্য দেয়...এই কারণে হাজার ভালো হলেও হিন্দীগান শুনবো না...এক ধরণের গোয়ার্তুমি আর কি...

উপরের এই দুই মন্তব্য থেকে বুঝা গেল সচল রায়হান কোন জায়গায় দাড়িয়ে হিন্দী গানের বিরুদ্ধে । রায়হান এই প্রতিবাদ কে সাধুবাদ না দিয়ে পারছি না।

আমার আগের মন্তব্য প্রত্যাহার করছি ।

পুন্শ্চঃ রেহনা হে তেরে দিল মে'র জারা জারার চাইতে আমারও সাচ কেহরা হায়ে দিওয়ানে গানটা বেশী ভালো লাগে ।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

৪২

১৭.১ | রায়হান আবীর | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-২৯ ১৬:৩০

ভাইজান কি শেষ কথাটির মাধ্যমে খোঁচা দিতে চাইলেন?

যদি খোঁচা দিয়ে থাকেন...

রেহনা তেরা দিল মে অনেক আগের সিনেমা। তখন ক্যাডেটে ছিলাম। মাঝে মাঝেই হিন্দী গান শোনা হতো...বেশ কিছু গানের লিরিক এখনও মুখস্থ আছে।
কিন্তু পোলাপাইনের অতিরিক্ত হিন্দী প্রীতি দেখে আমি হিন্দী গানকে জীবন থেকে বিদায় জানাইছি...গত চার বছর সজ্ঞানে কখনও হিন্দী গান শুনি নাই...পোলাপাইন ছাড়লে হয়তো কানে আসছে।

আর যদি খোঁচা না দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!!

---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

৪৩

১৮ | নুরুজ্জামান মানিক | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-২৯ ১৭:৩৬

না রায়হান সাহেব , খোঁচা দেইনি আপনার ভাল লাগার সাথে আমার ভাল লাগা শেয়ার করেছি ।

I repeat, your stand is highly appreciable.

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

৪৪

১৮.১ | রায়হান আবীর | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-২৯ ২১:০৪

ভুল বোঝার জন্য দুঃখিত।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আবার...
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

৪৫

১৯ | অতিথি লেখক [অতিথি] | বুধ, ২০০৮-০৪-৩০ ০১:১২

গান নিয়ে কলেজের স্মৃতিগুলা আসলেই...একদম সেইরকম। বিশাল ভলিউমে 'জোছনায় অজানা পথ চলা ' কিংবা 'সে যে বসে আছে' ছেড়ে দিয়ে করিডোরে হাত পা ছড়ায় বসে বসে চাঁদ দেখা, তারপর এনডিএম আসলে দৌড় মারা...এইটা কেমনে ভুলি বলতো?

ঘুড়ি
...............

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

৪৬

১৯.১ | রায়হান আবীর | বুধ, ২০০৮-০৪-৩০ ২৩:১০

নীচ তলায় থাকার সুবাদে আমরা রাতে বেশ ফিলিংস করতে পারতাম। সবাই মিলে হাউস গার্ডেনে বসে গলা ছেড়ে জেমস এর গান গাওয়া... উফ!!! সেই স্মৃতিগুলো আসলেই ভোলার নয়...

---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

৪৭

২০ | পুরুজিত | বিষ্যুদ, ২০০৮-০৫-০১ ১০:৫৮

আচ্ছে, বলুন তো আপনাদের ভাললাগা হিন্দি গান সবার প্রথমে কোথায় শুনতে পান? যদি দেশ ছেড়ে আসার পর খুব বেশি কিছু পরিবর্তন না হয়ে থাকে, তাহলে এখনও এম টি ভির মতো চ্যানেলগুলোই প্রথম দেখায়। তখন কি চোখ বন্ধ করে থাকেন? নইলে, "শুধু গান" যুক্তি খাটে না। কোন কনসার্টে গেলে শুনতে পাবেন এই গান (নায়িকার নাচ ছাড়া)? গান তৈরির ফ্যাক্টরিটাই তাদের গান "শুধু গান" মনে করছে না, আমাদের নিজেদের ভাললাগা রাশনালাইজ করার জন্য নতুন বাস্তবতা তৈরি করতে হচ্ছে।
আমার সবসময়েই এইটা একটা বিপদজনক ট্রেন্ড মনে হয়। হিন্দি ফিল্মি গানের (আরও বড় করে দেখলে পুরো হিন্দি সিনেমার) সবচেয়ে বড় মোটিভেশন বাণিজ্য আর অনেক সময়েই তা দর্শকদের বুদ্ধিবৃত্তির প্রতি একটা অপমানজনক অবজ্ঞা দেখায়। শিল্পের পণ্যায়ণ ঐতিহাসিকভাবেই সবার প্রথমে মৌলিকতাকে বিসর্জন দেয় কারণ প্রজাতি হিসেবে আমরা কনফর্মিস্ট; অল্প কিছু মানুষের হৃদয় ছোঁয়ার চেয়ে আম জনতার কাছে সিডি বিকোনো অনেক বেশি লাভজনক। নইলে বলেন তো এ আর রহমানের সেরা গানের উদাহরণ দিতে হলে কেন এখনো বম্বে রোজাতেই যেতে হয়?
তিথি আপু উচ্চাংগ সংগীতের উদাহরণ দিলেন। একটা সহজ প্রশ্ন? উচ্চাংগ সংগীতের রেকর্ডিং এত কম কেন? কেন ইন্ডিয়ান আইডলের বিচারক আনু মালিক, ইস্মাইল দরবার না হয়ে? আপনাদের "শুধু গান" শোনার কোন প্রভাব খুঁজে পান?

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

৪৮
২১ | তারেক | বিষ্যুদ, ২০০৮-০৫-০১ ১১:৫২

এই পোস্টের আলোচনা ভালো লাগছে। হিন্দি গানের ব্যাপারে আমার মতামতটুকু সংক্ষেপে জানিয়ে রাখি বরং -

প্রথমেই বলে রাখি আমার হিন্দি গান শোনা হয় না তেমন যেহেতু আমি হিন্দি ভালো বুঝি না। তবে ভালো সুরের হিন্দি গান শোনা হয়ে যায় কীভাবে যেন এবং সেগুলো শুনলে আমার বিদ্বেষ জাগে না, ভালোই তো লাগে। একটা ভালো মুভি দেখার বেলায় যেমন তার ভাষাটা মুখ্য হয়ে ওঠে না, তা হোক না সেটা রাশোমন কী চিল্ড্রেন অব হ্যাভান তার ভাষা জাপানী কিংবা ফারসী নাকি ফ্রেঞ্চ তা আমার বোঝার দরকার পড়ে না। আমি সাবটাইটেল দেখে বুঝে নিই। গানের বেলায় সুর বোধহয় এই সাবটাইটেলের কাজ করে। আনন্দ কিংবা দুঃখের সুর আমরা কিছু না বুঝেই ধরে ফেলতে পারি, গানের সার্বজনীন আবেদনের ভাষাটা আসলে একইরকম। তো এই অনুভূতির নিজস্ব ভাষা আছে যেটা আরোপিত কিছু না। বরং সেই সুরের উপর ভাষার দখল চাপিয়ে দিয়ে লোকালাইজড করার প্রবণতা আমার কাছে হাস্যকর ঠেকে। আসলে ইংরেজি গান শুনতে পারলে হিন্দি শুনতে সমস্যা কই?তারচেয়ে যারা বাংলার চেয়ে হিন্দি গান বেশি প্রেফার করে কিংবা শুধুই হিন্দি/উর্দূ গান শোনে তাদের নিয়ে বরং কিছু বলা যেতে পারে তবে সেটা অবশ্যই সামাজিক কিংবা আচরণগত অন্য প্রেক্ষিত থেকে।
আমার এক বন্ধু দ্বৈপায়ণ সেদিন বলছিলো বাংলার পর তার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগে উর্দু, খুবই নাকি মিষ্টি একটা ভাষা, এখন আমি তো কিছুই বলতে পারি না যেহেতু আমি সেই ভাষার কিছুই বুঝি না প্রায়। গানের প্রতি তার ভালোবাসাটাও আমার চেয়ে অনেক বেশি - সে আমার চেয়েও অনেক বেশি গান শোনে হয়তো। এবং তার উর্দু ভালো লাগতেই পারে। সেটা নিয়ে আমি উষ্ণ হই না কিংবা উষ্মাও প্রকাশ করি না। বছর কয়েক আগে "রোজা" - মুভির কিছু গান আমি বারবার শুনতাম। এ আর রহমানের কিংবা আতিফের গান এখনো ভালো লাগে হয়তো। মজার ব্যাপার হল, "ইয়ে হাসি ওয়াদিয়া, ইয়ে খুলা আসমান..." আমার খুব প্রিয় গান অথচ আমি এখনো জানি না ওয়াদিয়া মানে কী! মানে আমার ঠিক জানার আগ্রহ হয়নি যদিও সেই গান শোনার আগ্রহ কমেনি আমার।

আর ভিডিও চ্যানেলে হিন্দি গানের মচ্ছব দেখে ঠিক কয়ভাগ লোকে একটা গানকে জনপ্রিয় বলে সেটা আমার বুঝে আসে না। ভিডিও ভালো গানের আবেদন অনেকাংশে কমিয়ে দেয় বলেই আমার ধারণা।

যাই হোক অনেক কথা বলে ফেললাম। ভালো থাকুন সব্বাই
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

৪৯

২২ | সংসারে এক সন্ন্যাসী | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ০৩:৫৪

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍হিন্দি ভাষার প্রতি আমার কোনই বিদ্বেষ নেই। তবে হিন্দি ছবি দেখি না একেবারেই। বহুল প্রশংসিত বা আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত কিছু ছবি দেখার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। কোনওটিই আহামরি মনে হয়নি। হিন্দি ছবিগুলোতে চড়া মাত্রার অভিনয়, স্থানে-অস্থানে হাস্যকর নাটকীয়তার অবতারণা, বিনা কারণে নাচ-গানের বাহুল্য, দীর্ঘতা ইত্যাদি রীতিমতো গাত্রদাহের কারণ আমার। প্রায় প্রতিটি হিন্দি ছবিই উপরোক্ত কোনও না কোনও (অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সবক'টি)দোষে দুষ্ট।

পুরনো কিছু হিন্দি গান ভারি পছন্দ আমার (অধিকাংশই ছবির গান হলেও কোনওটিই আমার দেখা নয়)। ইদানীংকালেও হয়তো ভালো কিছু গান হচ্ছে। কিন্তু তার পরেও আমি রায়হান আবীর ও পরিবর্তনশীলের অবস্থানের সঙ্গে একমত। হিন্দি ছবি ও গান নিয়ে অজস্র বাঙালির আদিখ্যেতাটা একেবারে বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে গেছে।

বেশ কয়েক বছর আগে হিন্দিতে রবীন্দ্রসঙ্গীত বের হলে বাঙালি জাতি মাইক বাজিয়ে শুনেছে। অথচ বাংলা রবীন্দ্রসঙ্গীতে তাদের অধিকাংশেরই রুচি নেই।

বাংলা ভাষাকে অবজ্ঞা করে বিজাতীয় ভাষাপ্রীতির ব্যাপারটি সহনীয় নয় বলেই রায়হান আবীর ও পরিবর্তনশীলের উদ্যোগটি কিছুটা ব্লান্ট মনে হলেও আমি তার ব্যাপক সমর্থক।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব দেবো। কিন্তু কী পাবো তার বদলে?

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

৫০

২২.১ | রায়হান আবীর | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ০৪:২০

ধন্যবাদ গুরু...
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

৫১

২৩ | মুশফিকা মুমু | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ০৮:৩৯

মিলা নামে যে বাংলাদেশের কোন "গাইকা/নাইকা" আছে সেটা জানতে পারলাম এবার সিডনির বৈশাখী মেলায় গিয়ে, প্রায় সবকটা সিডির স্টল এ মিলা/বালাম/হাবিবের গান হচ্ছিল। আর তিশমার কথা কি বলব ও তো একটা JOKE। হাহাহাহাহা

আমার মনেহয় গান শুধু গানই, এটা কোন ভাষায় হচ্ছে সেটা ম্যাটার করেনা। সুন্দর গান যে ভাষাতেই হয় সব সময়ই সুন্দর

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

৫২

২৪ | অতিথি লেখক [অতিথি] | বুধ, ২০০৮-০৫-২১ ২৩:০৯

লেখাটি পড়ে ভাল লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।
মিলা খারাপ গায়না তবে তার জনপ্রিয়তা যে তা গায়কির জন্য তা নয়, বরং কোমর দুলানি নৃত্যের জন্য অনেক উপরে নিয়ে গেছে তা আজ বলাই বাহুল্য।শোনার মতন ভাল গান হলে শিল্পীকে অবশ্যই আমাদের সাধুবাদ জানাতে হবে।ব্যক্তিগত ভাবে আমি হিন্দি গান অপছন্দ করিনা কারন অন্য সব ভাষার মতই এটাও একটা ভাষা।কিন্তু কোন বাঙ্গালীকে শখ করে হিন্দি বলা দেখলে খুবই কষ্ট হয়।তিথি আপুকে ধন্যবাদ লিঙ্ক গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভাল থাকবেন সবাই।

~~~~টক্স~~~~
সিডনী, অস্ট্রেলিয়া

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।