দ্য রিডার-

রায়হান আবীর এর ছবি
লিখেছেন রায়হান আবীর (তারিখ: রবি, ০১/০২/২০০৯ - ২:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্পয়লার এলার্টঃ- সিনেমা না দেখে রিভিউ পড়া শাস্ত্রে নিষেধ আছে। দেঁতো হাসি

দ্য রিডার দেখে দর্শকরা দুইভাগে ভাগ হয়ে পড়বেন আমি নিশ্চিত। একদলের কাছে এটা হবে সফট কোর পর্ণ, যারা আমার মত মোটামুটি মানের দর্শক তারা কিছুতেই এটাকে পর্ণ বলে অভিহিত করবেন না। তাদের কাছে এটা জীবনকে দুই দৃষ্টিকোন থেকে দেখার গল্প, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী জার্মান জাতির মানবতার মিছিলে ফিরে আসার গল্প, নাৎসি বিচার প্রক্রিয়ার গল্প। যদিও সিনেমাতে আরও অনেক কিছু আছে।

বিচার আদালতে উপস্থিত ২৪ বয়সী আইন ছাত্র মাইকেল। তার কাছে রাখা একটি তথ্য আসামী "হানাকে" যাবজ্জীবন কারাদন্ড থেকে ফিরেয়ে আনতে পারে। কিন্তু মাইকেল সেই তথ্য জানায় না, সে দ্বিধায় পড়ে। কারণ সেই তথ্য উম্মোচন করলে, আরও অনেক কথাই মানুষকে জানাতে হবে, যা সে জানাতে চায় না।

সিনেমাটির কাহিনীর কেন্দ্রবিন্দু মধ্য ত্রিশের এক নারী "হানা" (কেট উইন্সলেট) আর পনের বছর বয়সী মাইকেলের যৌনজীবন। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে আসার পথে মাইকেল রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাকে সাহায্য করে হানা। অসুখের কারণে দীর্ঘ তিনমাস বিছানায় থাকতে হয় মাইকেলকে। সুস্থ হবার পর সে "হানা"র বাসায় যায় সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ জানাতে। ঠিক সেখান থেকেই শুরু।

খাদ বুঝেও আমরা অনেক সময় সেখানে লাফ দেই। সমাজে বেঁচে থাকতে হলে আমাদের সমাজের বানানো নিয়ম নীতিতেই পথ চলতে হবে- কিন্তু অনেক সময় সোজা সরল পথ ছেড়ে আমরা অন্য রাস্তা ধরি। সে রাস্তায় যাওয়ার কথা আমরা অন্য কাউকে জানাতে পারিনা, চিরজীবন নিজের মধ্যে রেখে দেই। মাইকেল আর হানার সম্পর্কটা ঠিক তেমনই।

হানা চায় মাইকেল তাকে বই পড়ে শোনাক। মাইকেল সানন্দে তা করে। গল্প শোনার ফাঁকে ফাঁকে হানা কখনও হাসে, কখনও কাঁদে, কখনও বিরক্ত হয়। কিন্তু পড়া থামেনা। যৌনতা দিয়ে সম্পর্ক শুরু হলেও ধীরে সেটা গৌন হয়ে যায়। "Reading first. Sex afterwards."

auto

এভাবে দিন চলতে থাকে। হঠাৎ করে একদিন হানা বাসা ছেড়ে চলে যায়। মাইকেলের সাথে আবার তার দেখা হয়, কোর্টরুমে। সে নাৎসি গার্ড ছিল। গীর্জায় আগুনে শত শত খুনের কারণে সে দোষী। বিচার পক্রিয়ার মাইকেল হঠাৎ করে বুঝে ফেলে হানা আসলে নিরক্ষর।

এই বিষয়টি কোর্ট জানতে পারলে হানা যাবজ্জীবন থেকে বেঁচে যেত। কিন্তু মাইকেল সামনে এগিয়ে আসে না। তার জায়গায় আমরা থাকলেও তাই করতাম। আমরা অতি গোপন কোন কিছু ফাঁস করে দিতে লজ্জাবোধ করি...

সবকিছু ছাপিয়ে মানুষের প্রকৃতিকে বিশ্লেষণ করেছে "দ্য রিডার"। মনে রাখার মতো একটা সিনেমা।

যারা কচ্ছপ গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাদের জন্য ডাউনলোড লিংক দিয়ে দেই। প্রিন্ট অস্বচ্ছ, তবে বোঝা যায়।

১. প্রথম অংশ। ৭৮ মেগাবাইট।

২. দ্বিতীয় অংশ
৭৪ মেগাবাইট


মন্তব্য

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

দেখলাম সেদিন মাত্র। খুবই ভাল লেগেছে। সরল-সহজ কিন্তু খুব গভীর অভিনয়।

রায়হান আবীর এর ছবি

হ।

স্লামডগ নিপাত যাক, রিডার আর কিউরিয়াস কেস অফ বেঞ্জামিন বাটন সব অস্কার পাক শয়তানী হাসি

=============================

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

উহুহু! এটা কী কয়?! স্লামডগ পুরো মুভি হিসেবে ভাল লেগেছে। বেনজামিন বাটনও ভাল লেগেছে। ফরেস্ট গাম্পের মত করার চেষ্টা করলেও তেমন ভাবে হয়ে ওঠেনি।

মুভি'র প্রেমিস বেশি বাস্তবসম্মত বলে স্লামডগ পাক, চাই।

অভিনেত্রীর পুরস্কার এবার কেট উইন্সলেট আর মারিসা টোমেই মিলে পাবে। নাঙ্গা হবার পুরস্কার। খাইছে

রায়হান আবীর এর ছবি

মুভি'র প্রেমিস বেশি বাস্তবসম্মত বলে স্লামডগ পাক, চাই।

যেই সিনেমার মূল বক্তব্যই থাকে, 'Everything is written'- সেই সিনেমাকে বাস্তব সম্মত বললে ক্যাম্নে কী? তাই মনে প্রাণে কামনা করি, স্লমডগ পাক তো দূরের কথা, ভারতও যেন না হয়। খাইছে

=============================

রায়হান আবীর এর ছবি

৭১ নিয়ে আরও ভালো ভালো সিনেমা করা দরকার। কিন্তু এই ছবির কাহিনীর সাথে সিমিলার কোন কিছু হবে বলে মনে হয় না। এইটা অন্য জিনিস।

=============================

কীর্তিনাশা এর ছবি

দেখতে হবে। চলুক

কিন্তু পুরা কাহিনী কয়া দিলে কেম্নেকি ?? রেগে টং

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

রায়হান আবীর এর ছবি

কাহিনী কিছুই বলি নাই বস। যতটুকু বললাম, তাতে কিছুই যায় আসে না। হাসি

=============================

কীর্তিনাশা এর ছবি

তাইলে ঠিক আছে। দেইখা আবার আপনাকে ধন্যবাদ দিয়া যামুনে....... হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

রায়হান আবীর এর ছবি

ডাইরেক্ট ডাউনলোডের লিংক তো দিয়েই দিলাম। প্রথমটা টিপি দিয়া এককাপ চা খান, ডাউনলোড শেষ হয়ে যাবে। তারপর দ্বিতীয়টা টিপি দিয়ে প্রথমটা দেখা শুরু করেন, দ্বিতীয়টাও হয়ে যাবে। দেঁতো হাসি

=============================

কীর্তিনাশা এর ছবি

জি না আমি অস্বচ্ছ প্রিন্ট দেখতে চাই না। আগে টরেন্টে সার্চ দিয়া দেখি। ভালো প্রিন্ট পাইলে ঐখান দিয়া ডাউনলোডামু। আর না পাইলে আপনারটা তো থাকলোই।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

মাশীদ এর ছবি

আপনি দেখি পুরা কাহিনীই বলে দিলেন! কেউ না দেখে থাকলে এই পোস্ট পড়ে ফেললে আহত হবে।

গত উইকেন্ডে দেখলাম ছবিটা। খুবই ভাল লেগেছে। হানার গোপন কথাটা মাইকেল কেন প্রকাশ করল না সেটার কারণ হিসেবে ওদের গোপন সম্পর্ক তো আছেই আমার কাছে মনে হয়েছে তার থেকেও বড় কারণ ছিল মাইকেল জানত ব্যাপারটা হানাই প্রকাশ করতে চায়নি কোনদিন। হানা কখনই চায়নি ওর এই অক্ষমতা কারো সামনে প্রকাশ পাক। হানার হুট করে বাসা বা শহর ছাড়ার পিছনেও হয়তো একই কারণ ছিল। সেসময় হানা ট্রেনের টিকেট চেক করার কাজ করত যেই কাজে ওর অক্ষমতা প্রকাশ পাওয়ার স্কোপ ছিল না। কিন্তু যখনই হানা একটা প্রোমোশান পেল, যেটায় কিনা ওর কাজটা অফিসের ভেতরে সম্ভবত পেপারওয়ার্কসহ কিছু, তার পরপরই দেখা গেল ও বাড়ি ছাড়ছে। আমার কাছে সব মিলিয়ে মনে হয়েছে মাইকেল ওর এই অক্ষমতা প্রকাশ না করার সিদ্ধান্তটাকে শ্রদ্ধা করেই আদালতে সেটা প্রকাশ করেনি।

স্লামডগ মিলিওনেয়ার সিনেমাটাও কিন্তু আমার খুবই ভাল লেগেছে। টিভির অনুষ্ঠানটার সাথে একটা ছেলের সারাজীবনের ঘটনার বুননটা আমার খুবই সুন্দর মনে হয়েছে।

দ্য কিউরিয়াস কেইস অফ বেনজামিন বাটন্ আজকে রাতে দেখব আশা করি। তার আগেই পুরা ঘটনাটা বলে দিয়েন না প্লিজ।


ভাল আছি, ভাল থেকো।


ভাল আছি, ভাল থেকো।

রায়হান আবীর এর ছবি

স্পয়লার এলার্ট লাগাই দিলাম।

আপনার এনালাইসিস ১০০% ঠিক। এইভাবে বলতে গেলে আরও অনেক কথাই আসে। সেগুলো সবাই সিনেমা দেখে বুঝে নেবে। আমি জাস্ট মেসেজটা বলতে চাইছি। দেঁতো হাসি

কিউরিয়াস কেস অফ বেঞ্জামিন বাটন মারাত্মক সিনেমা। মুগ্ধ টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। অনুমতি দিলে কাহিনীটা বলে দেই?

=============================

মাশীদ এর ছবি

নেহি!!!!!!!!!!!!!!!!!!
প্লিজ ঐটার কাহিনী কয়েক দিন পরে বলেন। আগে দেখে নেই!
খাইছে


ভাল আছি, ভাল থেকো।


ভাল আছি, ভাল থেকো।

সবজান্তা এর ছবি

ভাগ্যিস মাশীদ আপুর কমেন্টটা লেখার আগেই পড়ছিলাম, নাইলে তো ছবি দেখার বারোটা বাইজা যাইতো।

মিয়া, স্পয়লার এলার্ট লাগাও। :x


অলমিতি বিস্তারেণ

রায়হান আবীর এর ছবি

এলার্ট লাগানোর উপায় নাই। তবে বলে দিসি যে, এলার্ট লাগানো আছে। শয়তানী হাসি

=============================

সবজান্তা এর ছবি

রায়হান আবীর লিখেছেন:
এলার্ট লাগানোর উপায় নাই।

পোলাপান চ্রম খ্রাপ দেঁতো হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

রায়হান আবীর এর ছবি

নির্দোষ বাক্যে খ্রাপ কথার অস্তিত্ব পাওয়ার মাধ্যমে আপনিও প্রমান করলেন, আপনি লোকটা চ্রম খ্রাপ। শয়তানী হাসি

=============================

মূর্তালা রামাত এর ছবি

স্পয়লার এলার্টঃ- সিনেমা না দেখে রিভিউ পড়া শাস্ত্রে নিষেধ আছে। দেঁতো হাসি

ছবিটা কাল দেখবো দেখবো করে দেখা হয়নি। আজ অবশ্যই দেখে কাল আপনার রিভিউটা পড়বো..

মূর্তালা রামাত

রায়হান আবীর এর ছবি

দেখা হলো, আপনার?

=============================

মূর্তালা রামাত এর ছবি

দেখা শুরু করছি।
তার আগে মিল্ক দেখা শেষ করলাম। অসাধারণ ছবি। আর মারাত্মক অভিনয়। আমার মনে হয় এই ছবিটিই সবচেয়ে বেশি অস্কার পাবে এবার। বিশেষ করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতাতো তো পাবেই।

মূর্তালা রামাত

মাহবুবুল হক এর ছবি

মাঝে মাঝে শাস্ত্রের বাইরে যাওয়া লাগে।

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

রায়হান আবীর এর ছবি

হুম।
=============================

কনফুসিয়াস এর ছবি

দেখি নাই এটা। অনেকদিন ধরেই ভাল মুভি দেখা হচ্ছে না।

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

রায়হান আবীর এর ছবি

দেখে ফেলেন। এইটা, রেসলার, বেঞ্জামিন বাটন সব একটার চেয়ে একটা ভালো।

=============================

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আয়েশ কইরা রিভিউ পড়লাম। উমদা হইছে।
কিন্তু মুভি দেইখা হবেটা কী?
মর্তেতোক্দিন্হবেই।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

শিক্ষানবিস এর ছবি

মুভিটা ভাল লেগেছে। ২০০৮ সালের সিনেমাগুলোর মধ্যে এটাই মানুষকে সবচেয়ে বেশী নাড়াতে পেরেছে বলে মনে হয়।
পরিচালককে খুব সতর্ক থাকতে হয়েছে। একটু এদিক ওদিক হলেই খবর ছিল। কারণ বিষয়টা খুব স্পর্শকাতর। সিনেমার মাধ্যমে যদি সামগ্রিকভাবে জার্মান যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি সহানুভূতি তৈরী হয় তবে সেটা খুব খারাপ হবে। এজন্যই এমন একজনকে অপরাধী হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে যে নিরক্ষর এবং নিছক এসএস গার্ড, কোন অফিসারও না। শিক্ষিত এস এস অফিসার হলে পরিচালকের খবর ছিল। অশিক্ষিত হওয়ায় গার্ডের অবস্থানটাও দেখানো গেছে, কারণ সে অনেক কিছু না জেনেই এসএস বাহিনীতে ঢুকেছিল।

আইনের প্রতিও কোন কটাক্ষ করা হয়নি। এথিক্যাল দিকগুলোতে বেশ কঠিন ভূমিকা রেখেছেন পরিচালক। কিন্তু এটা সত্য যে, নাৎসি যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি কোন নির্দিষ্ট মনোভাবও এতে ফুটে উঠেনি। এজন্যই অনেকে সমালোচনা করেছেন। সিনেমার পটভূমি হিসেবে যে যুদ্ধাপরাধকে বেছে নিলেন তাকেই কোন থিমের মধ্যে স্থান দিলেন না- এটাই একমাত্র দুর্বলতা।
যুদ্ধ এবং যুদ্ধাপরাধের কথা বললে এটা খুব বেশী সফল না, কিন্তু bildungsroman এর কথা বললে অনেকটাই সফল। তবে খুব বেশী অভিনবত্ব ছিল না, গল্প বলার ধরণও ছিল অর্ডিনারি ফ্ল্যাশব্যাক। সিনেমাটা খুব ভাল, কিন্তু কালজয়ী না।

স্পর্শ এর ছবি

এই লেখাটা এখন পড়লাম না নেট ঘেটে কিছু "সিন-সিনারী" দেখলাম। জমবে মনে হচ্ছে। ডাউনলোড করতে দিয়েছি এই মুহুর্তে ৩৬% কম্পলিট দেখাচ্ছে।
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

একটা উক্তির কথা বিশেষ করে না বললেই না -- "ইউ ডোন্ট ম্যাটার ইনাফ টু হার্ট মি"।

ভাই সিন-সিনারি দেখতে চাইলে বইলেন, বনে-বাঁদাড়ে নিয়ে যাবো নে। চোখ টিপি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ভাবসিলাম সিনেমাটা না দেখে এই পোস্টে ঢুকব না, পড়ব না, মন্তব্যও করব না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঢুকেই পড়লাম, পড়েও ফেললাম, মন্তব্যও করলাম।

গত রাতে "Religulous" নামানো শেষ করে ভাবসিলাম "The Reader" নামাব, কিন্তু কী মনে করে শেষ পর্যন্ত "The Secret Life of Bees" নামাচ্ছি।

কেট উইন্সলেট আমার অসম্ভব প্রিয় একজন অভিনেত্রী। দারুন লাগে ওঁর অভিনয়। গোল্ডেন গ্লোবে সেরা অভিনেত্রীর দুইটা ক্যাটেগরীতে ওঁর দুইটা পুরষ্কার বাগানোর খবরটাতে কী খুশিই না লাগসে! এই সিনেমা নিয়েও আমার অনেক প্রত্যাশা, আশা করি হতাশ হব না।

"দ্য রিডার" এর এই অসম যৌনসম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দিল নোটস অন আ স্ক্যান্ডাল-এর কথা। তবে এইসব... কী বলা যায়... মমম... স্ট্যাচুটোরি রেপ (?)... দেখতে খুব অস্বস্তি লাগে। জানি না এখানে কীভাবে দেখানো হইসে।

দারুন রিভিউ লিখসো মিয়া! সিনেমা তো নিয়মিতই দেখ, রিভিউও নিয়মিত লিখলেও তো পারো।

রানা মেহের এর ছবি

সিনেমাটায় আর কিছু দেখার দরকার নেই।
সবার বিশেষ করে কেইট উইন্সলেটের অভিনয়ই যথেষ্ট।
ইন্ট্রোভার্ট কারেক্টার করতে তার জুড়ি কমই আছে।
আশা করছি তিনি যোগ্যতার স্বীকৃতি পাবেন।

রালফ ফিয়েনস এর ভক্ত ইংলিশ পেশেন্ট থেকেই।
এখানে যদিও তার কাজ করার সুযোগ ছিল কম
তারপরো ওডেসির রেকর্ডিংয়ের সময়
তার অভিব্যক্তি ভালো লাগছিল খুব।

কিশোর মাইকের এরকম চমতকার কাজের পরও
কী করে যে দেব প্যাটেল নমিনেশন পান, আশ্চর্য!

গল্প বলার ধরন সম্পর্কে শিক্ষানবীশের সাথে একমত।
ফ্ল্যাশব্যাক পুরোপুরি অপ্রোয়জনীয় মনে হয়েছে।
গল্পটা সরাসরি দেখালে ভালো লাগতো।

রায়হান ভাইজানকে চলুক

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

রায়হান আবীর এর ছবি

মন্তব্যের জন্য পরিবর্তনশীল, শিক্ষানবিস, স্পর্শ ভাই, অতন্দ্র প্রহরী ভাই আর রানাপা রে থ্যাংকুস।

=============================

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

দেখি নাই এখনো ... টরেন্ট থেকে নামাইছিলাম, শালারা পাসোয়ার্ড চায় ... কইলাম দূরে গিয়া মর ...

উইন্সলেটরে আমার দারূণ লাগে ইটারনাল সানশাইন অভ দ্য স্পটলেস মাইন্ড আর ফাইন্ডিং নেভারল্যান্ড থেকে ...

আপাতত ফ্রস্ট/নিক্সন দেখতেছি ... অনেকদিন সেইভাবে মুভি দেখা হচ্ছে না ...

স্পয়লার এলার্ট দেখার পরও পইড়া ফালাইছি, মনে হয় কাজটা ঠিক হয় নাই ইয়ে, মানে...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

রায়হান আবীর এর ছবি

আপনার কমেন্টের অপেক্ষায় ছিলাম- তবে এই ব্লগে না। মন খারাপ

=============================

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

অফিসে বইসা আছি ম্যান, বস দেখলে কিক আউট করবে দেঁতো হাসি
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

রায়হান আবীর এর ছবি

বসগুলা এমন পাষন্ড ক্যান? যাই হোক কাজ করেন। দেঁতো হাসি

=============================

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

গত শনিবার আমি সিনেমাটা দেখলাম। অসম্ভব রকম মুগ্ধ হলাম, যা আসলে ভাষায় বোঝাতে পারব না। বহুদিন এত ভাল সিনেমা দেখিনি। আই ওয়াজ সো মুভড বাই দিস মুভি। "স্লামডগ মিলিয়নিয়ার"-কে তো "দ্য রিডার"-এর সাথে তুলনা করলে বলব "এক্কেবারে যা-তা"!

স্টিফেন ড্যালড্রি আর ডেভিড হেয়ার জুটির "দ্য আওয়ারস" যখন দেখি, আমার কাছে খুব ভাল লেগেছিল সিনেমাটা। পরিচালক হিসাবে, আমার মনে হয়েছিল, সে যথেষ্ট ভাল। তবে আমার পরিচিত আর কেউই ভাল বলেনি সিনেমাটাকে। এমনকি টিভিতে একবার দেখলাম সিনেমাটাকে পচানো হচ্ছিল এই বলে যে, "এটাকে কেন দ্য আওয়ারস বলা হলো, এটাকে তো বলা উচিত ছিল দ্য উইকস"!

একই নির্মাতা জুটির "দ্য রিডার" আমার কাছে মোটেও সফট কোর পর্ণ মনে হয়নি, বরং অতি মানবিক সিনেমা মনে হলো। সাইকোলজিক্যাল ব্যাপারগুলো এত দারুনভাবে ফুটে উঠেছে যে হালকা দুইএকটা ব্যাপার বাদ দিলে ওভারঅল অসাধারণ একটা সিনেমা বলব একে। বিশেষ করে অভিনয়ের প্রশংসা না করলেই না। আর কয়েকটা সিকোয়েন্স তো মনে রাখার মতো। অনেক ছবিই ভাল লাগলেও দ্বিতীয়বার দেখি না। তবে এটা বহুবার দেখতেও আমার আপত্তি নাই।

উপরে রানা আপুর একটা কথার সাথে ভীষণ একমত। ইন্ট্রোভার্ট ক্যারেক্টারগুলো কেটের মতো দক্ষতার সাথে কাউকেই করতে দেখি না। তবে এই ব্যাপারে গিনেথ প্যালট্রো আমার আরেক প্রিয় অভিনেত্রী। আর রালফের ভক্ত আমি বহু আগে থেকেই। খুব ভাল লাগে একে আমার কাছে।

এই সিনেমায় মাইকেল চরিত্রে ছেলেটা যে অভিনয়টা করেছে, স্লামডগের ওই পোলা এর কাছ থেকে অভিনয় শিখে নিতে পারে চাইলে!

তবে সিনেমাটা পুরো দেখার পর, রায়হান, তোমাকে বলি- সিনেমার বিশাল একটা টুইস্ট লেখায় আগেই বলে দিয়েছ তুমি। এরপর কখনও এরকম করলে, তোমার কপালে কঠিন মাইর, আমার তরফ থেকে! চোখ টিপি

রায়হান আবীর এর ছবি

দ্যা আওয়ার আজকে পেলাম। দেখে ফেলবো অচিরেই। রিভিউয়ের চেয়ে আপনাদের মন্তব্য বেশী ভালো লাগছে। এই জন্যই ব্লগ জিনিসটারে আমি এতো ভালা পাই।

=============================

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।