১...
নবাগত সপ্তম শ্রেনীর ট্যালেন্ট শো' অনুষ্ঠান। নবাগত যেহেতু, পোলাপান কেউই কোন কিছু সম্পর্কে জানে না। সবাই গান গাইতে চায়, কবিতা আবৃত্তি করতে চায়। বলাই বাহুল্য বেশীরভাগেরই কিছু হয় না। তাই মানসম্মত একটা অনুষ্ঠান করার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন বাংলার আবুল হোসেন স্যার। তার পরিচালিত অনুষ্ঠান মালার জন্য তিনি একটা সমবেত সংগীত লিখে ফেললেন। গানটার সব কথা মনে নেই, খালি মনে আছে- কোরাস পার্টটায় পিচ্চি পিচ্চি পোলাপানগুলো গাইতো- ফুটবল, ফুটবল, ফুটবল, ফুট বঅঅ বঅঅ বঅঅঅঅঅঅঅঅ (দীর্ঘটান)অল। আমার জীবনে শোনা বিরক্তিকর গানগুলার একটা। শুধু এই লাইনটা ছাড়া। কারণ জীবনটাকে কুমড়ার মতো দুই ফালি করে করে ফেললে, একপাশে থাকে ফুটবল, ফুটবল, ফুটবল, ফুট বঅঅ বঅঅ বঅঅঅঅঅঅঅঅ (দীর্ঘটান)অল, আর অন্যপাশে বাকী সব...
ছোটবেলায় পুরা গান্ধা ছিলাম। আব্বু বিদেশ থাকতো, দেখাশোনার সব দায়িত্ব ছিল আম্মাজানের। কঠোর মহিলা। কিভাবে চলতে হবে, তার একটা সুনির্দিষ্ট লাইন অংকন করে দিয়েছিলেন তিনি- সেই লাইনে তেলাপোকা মারার বিষচকের মতো বিষ মেশানো ছিল। লাইন অতিক্রমের চেষ্টা করলেই মৃত্যু। আমার ফুফুগুলাও ছিল এক্কেরে আম্মুর মতো। খালি রিপোর্ট করে দিতো।
আম্মুর এহেন শাসনে আমি ছোটবেলায় একদম খেলাধূলা করি নাই- যদিও আমার মধ্যে ছিল অমিত সম্ভাবনা । অল্প স্বল্প যেসব খেলা খেলেছি তার মধ্যে ফুটবলের নামগন্ধও ছিল না। কারণ ফুটবল খেলতে হলে ঘর থেকে বের হয়ে মাঠে যেতে হয়। আর মাঠে কী আছে জানেন তো? মাঠে আছে জুল্লু সর্দার। গেলেই চোখ কেটে, হাত কেটে কেজি দরে বিক্রি করে দিবে। এতো রিস্ক নিয়ে কাম নাই। আমরা মামাতো, ফুফাতো ভাইরা ঘরে বসে মারামারি করতাম, মাঝে মাঝে ক্রিকেট খেলতাম, কালে ভদ্রে সমবয়সী মেয়েদের দিকে কাদা ছুঁড়ে দৌড় দিতাম।
২...
ক্লাস এইটে আন্তঃহাউস ফুটবল প্রতিযোগীতার আগে। আমার সখ জাগলো আমিও খেলবো। যদিও খেলাটা একেবারে পারিনা- তাতে কী? আমার আছে নিডো। প্র্যাকটিসে গেলাম, বলে লাথথি মারা শুরু করলাম। আমার লাথ্থানোর স্টাইল দেখে সিনিয়র এক ভাইয়া এগিয়ে এলেন, পায়ের ঠিক কোন জায়গা দিয়ে ফুটবলের পশ্চাদ্দেশে মারলে সবচে ভালো হয় সেটা শিখিয়ে দিলেন। আমি লাথি মারা শিখে গেলাম...
আমার মতো নমুনা খেলোয়াড়ের দলে জায়গা পাওয়ার কোনই সম্ভাবনা নেই। কিন্তু ব্যাপক উৎসাহ এবং দৌড়াদৌড়িতে অভিজ্ঞ থাকার কারণে দলে সুযোগ পেয়ে গেলাম। জুনিয়র গ্রুপের ফুটবলও অবশ্য তেমন আহামরি কিছু ছিলনা। সবাই বলের পেছনেই ছুটতো...
ক্লাস এইটে হাউস টিমে খেলা মানেই, পোলা খেলা পারে। কিন্তু কুচক্রী মহল আমাকে সেই সন্মানটা দিলো না। সামনে না বললেও আড়ালে ঠিকই বলতো, "হালায় তো খেলা পারে না- খালি দৌড়ায়"। কুচক্রী মহল কুচক্রী হলেও কথাটা তারা ভুল বলে নাই।
তার কিছুদিন পর ক্লাস দুইভাগ করে খেলা হচ্ছে। আমি হঠাৎ বাম কোনা দিয়ে উঠে দুই জন ডিফেন্ডারকে ধরশায়ী করে একটা গোল দিয়ে ফেললাম। আমার জীবনের প্রথম গোল। তার পাঁচ মিনিট পর আরেকটা, একই জায়গা দিয়ে। আমি ভালো খেলে গোল দিয়েছি সেটা ঠিক নয়। পঁচা পঁচা ডিফেন্ডার ছিল, আমি চামে চিকনে আন্ধা গুন্ধা মাইরা ঢুকাই দিসি। কিন্তু তাতে কী, গোল মানে গোল।
সেদিনের ওই খেলার মাধ্যমে ফুটবল সমাজ আমাকে আপন করে নিলো। হাউসের দলে আমার জায়গা হয়ে গেলো "লেফট উইংগার" হিসেবে। বাসায় যেয়ে সবাইকে ভাব নিয়ে বললাম আমি আমাদের টিমের "লেফট উইংগার"। যদিও লেফট উইংগার মানেটাই তখন জানতাম না। খালি জানতাম আমার কাজ বাম কোনায় দাঁড়িয়ে থাকা। কোন কারণে যদি বল আমার দিকে আসে তাহলে সেইটা নিয়ে ভোঁ দৌড় দেওয়া।
কলেজের গেমস টাইমে কতজন কত কিছু খেলতো। কেউ জংলী বাস্কেটবল, কেউ ভলিবল, হকি। আমি শুধু খেলতাম ফুটবল। আমার ক্লাসে কমপক্ষে পনেরো জন খেলোয়ার ছিল, টেকনিক্যালি আমি যাদের পায়ের নখেরও সমতূল্য না তারপরও আমার উৎসাহের কমতি ছিল না। কারণটা অবশ্যই ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা। কোনদিন বিকেলে যদি ফুটবল খেলা না হতো, তাহলে রাতের বেলা শরীর ম্যাজ ম্যাজ করতো, মেজাজ খ্রাপ থাকতো...
৩...
কলেজ পাস করে আইইউটিতে আসলাম। আইইউটির ছেলেদের সম্পর্কে আমার একটা অবজারভেশন হচ্ছে এইখানে ব্যাপক মেধা সংকট। কেউ মাইন্ড খাইয়েন্না । মেধা সংকট মানে পড়ালেখার মেধা সংকট না। এইখানকার পোলাপান এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিজে অতটা পারঙ্গম না, বুয়েট কিংবা ঢাকা ভার্সিটির তুলনায়।এমন না যে পারে না, যারা পারে তারা উৎসাহী না। রুমে পিসির সামনে বসে থাকতেই তাদের বেশী আনন্দ।
আইইউটিতে এসে আমি নতুন করে নিজেকে আবিষ্কার করে ফেললাম। কলেজে লং রানে ভালো ছিলাম। খুব একটা ভালোও না আবার। পাঁচ কিলোমিটার দৌড়ে আমার সর্বোচ্চ সাফল্য ১৬ তম, ১৫০ জনের ভেতর। আইইউটিতে এসে দেখি পোলাপান আমার স্ট্যামিনার বিরাট প্রশংসা করে। আমি সারাদিন সিগ্রেট টেনেও কিভাবে এতো দৌড়াইতে পারি? আমার একটা এক্সট্রা হৃদপিন্ড আছে কী না, এইসব। যেই আমি কলেজে কোন পাত্তাই পেতাম না, তার স্ট্যামিনার প্রশংসা যদি পোলাপান করে তাইলে নিজেরে বস মনে করার চেয়ে, যারা বলে তারা যে পুরাই "নমুনা" সেই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা ভালো।
তো, ফার্স্ট ইয়ারে আমাদের প্রথম সন্মিলিত ফুটবলে খেলা হচ্ছে- ইলেক্ট্রিক্যাল ভার্সেস মেকানিকাল। প্রথমেই আমরা একটা গোল খেয়ে গেলাম। তারপর কর্ণারে ক্রস থেকে মারাত্মক এক হেড দিয়ে আমি সমতা এনে ফেললাম। জীবনে কোনদিন আমি হেডে গোল দেই নাই। কিন্তু সেদিনের পর নিয়মিত আরও কয়েক খেলায় হেডে গোল দেবার পর আমি প্রথমবারের মতো দীর্ঘ ফুটবল ক্যারিয়ারে পার্ট নেওয়ার একটা বস্তু পেলাম। হেডে আমি বিরাটবস।
আমার সেই হেড সাফল্যের পর ডিপার্টমেন্টের পোলাপান সবাই ধারণা করে নিলো আমি ভালো খেলোয়াড়। তারপর থেকে ইয়ার ভিত্তিক ডিপার্টমেন্ট টিমের ক্যাপ্টেন। যদিও আমাদের টিমের কোন সাফল্য নেই। কারণ পোলাপান যারে ভালো খেলোয়াড় মনে করে সে নিজেই তো খেলা পারে না ঠিক মতো। সাফল্য আসবে কীভাবে?
তারপরও ইমেজ ধরে রাখার জন্য কাল্লু মামাদের সাথে খেলতাম। তাগো খাসলত খুব খ্রাপ। একদম পাস দেয় না। তারপরও, ঐ যে বললাম ভালোবাসার কথা- আমি তবুও প্রতিদিন আর্সেনালের ভ্যান পার্সির জার্সি পরে মাঠে যেতাম। এই কারণেই যখন অল ডিপার্টমেন্ট কম্পিটিশনে দল গঠন হতো- তিন, চারজন ভেতো বাঙ্গালীর মধ্যে আমি একজন থাকতাম। লেফট উইংগার থেকে এতোদিনে আমার প্রমোশন হয়ে গেছে স্ট্রাইকারে। কম্পিটিশনের খেলায় ধুমায় মিস করতাম আর গাইল খাইতাম। তাতে কী!! আমার এই গাইল খাওয়াতেই আনন্দ...
৪...
রাতের বেলা ল্যাম্পপোস্টের আলোয় রাস্তায় ফুটবল খেলার অভ্যাস আছে আমাদের। এইবার মনে হলো, একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করে ফেলা যাক- ফোর এ সাইড। দায়িত্ব দেওয়া হলো সেকেন্ড ইয়ারকে। আমরা একটা টিম দিলাম। ভেবেছিলাম খুব বেশী হলে দশটা টিম থাকবে। কিন্তু প্রথম দিন রাস্তায় নেমে দেখা গেলো টিম এসেছে ২০ টা। কমপক্ষে একশ দর্শক। আইইউটির পিসি ফ্রিক ছেলেদের এমন ব্যাপক মাতোয়ারা দেখে আমি পুরাই মুগ্ধ। প্রচুর ভালো ভালো টিম ছিল- কিন্ত শামীম নামে এক অমানুষিক ভালো খেলোয়াড়ের কল্যানে আমরাই চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলাম। তারচেয়ে বড় কথা অনেকদিন পর দলের জয়ে ভূমিকা রাখতে পারলাম। আর কয়েকদিন পরই জীবনের এই পার্টটাকে বিদায় দিতে হবে, কোনদিন ফুটবল খেলা হবে না। তাই আবেগে একটু বেশিই ইমোশোনাল হয়ে গেলাম। ব্যাপার্না।
পুনশ্চঃ আমার এহেন ফুটবল সম্পর্কিত পার্ট মারা দেখে সপ্নাহত মাইন্ড না খাইলেই হয়। উনি লিজেন্ডারি ফুটবলার। মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, যারা কীনা ফুটবলে সবচেয়ে ভালো কলেজ, সেই কলেজে তিনি "জিজু " নামে পরিচিত ছিলেন। যদিও ইদানিংকালে চেয়ারের সাথে সুপার গ্লু দিয়ে আটকে ফেলেছেন নিজেকে...
মন্তব্য
লেখা পইড়া দুইটা জিনিস বুঝছি
১. তোমারও আমার রোগে ধরছে...। ইউনি ছাড়ার দুঃখবোধ।
আর
২. মুখে স্বীকার না করলেও তুমি আসলে ততটা খারাপ খেল না।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
রাফি ভাই, পরীক্ষা শেষ হইছে নি? নিজের ব্লগে আপনারে পেয়ে ভাল্লাগলো।
=============================
আমার মাথার ঘিলু ঢিলা। হেড দিলে যায় সব নড়ে। তখন চারিদিকে অন্ধকার দেখি।
ফুটবল আমার ক্রিকেটের চেয়ে ভাল লাগে। এইটা একটা খেলার মত খেলা।
যত পারো আনন্দ করে নাও। এর পর আসলেই হবেনা। লাস্ট ফুটবল খেলেছি ১ বছর হয়ে গেছে। অতঃপর আমার মৃত্য হয়।
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আরে তাই নাকি? তা মরণের পর কী আছে- এই জাতীয় একটা বই লিখে ফেলেন। আমাদের মতো বেদাতী পোলাপানের সুবিধা হয়- সিদ্ধান্ত গ্রহণের।
=============================
কালে ভদ্রে সমবয়সী মেয়েদের দিকে কাদা ছুঁড়ে দৌড় দিতাম................. এই লাইন প্রমান করে যার হয় তার দশেই হয় আর যার হয় না তার নব্বই এ হয় না
তবে খেলা পারি না এই মিথ্যা ভাব নেওয়ার জন্য তোর ব্যাঞ্চায়
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ব্যাপার না বন্ধু। সবাইরে দিয়া তো আর সব কিছু হয় না। জগতের এই কঠিন সত্য তো মেনে নিতেই হবে, তাই না?
=============================
হুম!
কি মিয়া আপনার জন্য বরাদ্দকৃত শব্দসীমা কী শেষ হয়ে আসছে নাকি? খালি হুম মার্লেন।
=============================
বাব্বাহ! কনগ্র্যটস , চ্যাম্পিয়নের মিস্টি কৈ??
লেখা পড়ে মজা লাগল, আমিও ক্লাস ৭-৮ এ ফুটবল খেলতাম, তখনই বুঝতে পারসিলাম আমার মাঝে যে কত প্রতিভা, আফসোস মেয়ে না হইলে আজকে হয়ত ওয়ার্ল্ড কাপে দেখতে পারতা
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আপনি সেভেন এইটে যেই জায়গায় ফুটবল খেলতেন, আমিও এখন সেই জায়গায় খেলি। আফসোস মেয়ে না হয়েও আমার ওয়ার্ল্ড কাপ খেলা হইলো না। তা, অস্ট্রেলিয়া মহিলা ফুটবল দল টল নাই? থাকলেও আপনারে দিয়া এখন আর হবে বইলা মনে হয় না।
বিশাল দৌড়াদৌড়ির মাঝে কষ্ট পড়ে লেখা পড়ার এবং আরও কষ্ট করে মন্তব্য করার জন্য ... ছোট করা হলো।
=============================
হাহাহাহা কে বলসে আমাকে দিয়ে আর হবেনা, আমি খেলায় ঢুকলে তো তোমার কোনো চান্সই থাকবেনা
আর আমি সেভেন এইটে সিডনীতে খেলসি, তোমার খেলার মাঠ থেকে আসছি আরো অনেক আগে। নাহ আসলেই ফুটবলের মত আসলে কোন খেলাই নাই
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
সেইটা ঠিকই বলছেন।
=============================
বুড়াকালে একবার ফুটবল খেলতে যাইয়া বেসম্ভব বেইজ্জত হইছিলাম। দুনিয়ার কেও দেখল না দেখল এক বদ স্যারে...যারে আমি দুই চক্ষে দেখতে পারি না, সেও আমারে দেখতে পারে না। হেরপর হালায় পরেরদিন সব স্টুডেন্টরে রসাইয়া রসাইয়া কয় ' কি জমানা আইলো মাইইয়ারা চি কুত কুত ছাইড়া ডাব্বা লাত্থাইয়া দৌড়ায়। তোমারা কিজানো আমগো এইখানে এক লেডি ফুটবলার আছে!" মনটা কইতাছিল এইহালারেয় মারি ফুটবলের মত একখান কিক।
যাউকগা, আপনার লেখা বড়ই উমদা হইছে।
---------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
সচলে এতো লেডি কিলার (থুক্কু) লেডি ফুটবলার। আমি তো আপনার ফ্যান হয়ে গেলাম আফা!! খাওয়াবেন কবে?
=============================
এইভাবে নিজের প্রশংসা করলা?
এট লিস্ট জিহাদরে রিকোয়েস্ট করতে পারতা ওর নামে এই লেখাটা চালাইয়া দিতে?
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
মূর্খতা ক্ষমা করবেন। আপনার সিগনেচারটা কি কোন গান? প্রথম যেদিন দেখছি সেদিন থেকে এই লাইনটা মাথার মধ্যে ঘুরতেছে। ভিতরে কেউ যেন, চিৎকার করে গাচ্ছে- আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
=============================
গানটা শুনলাম মাত্র। সুরটা আমি যিমুন চিন্তা করছিলাম তেমন না। অঞ্জনরে মাইনাস।
=============================
ব্যাপক মজা পাইলাম লেখাটায়। বেশ মজা ক'রেই লেখেন আপনি।
আপনাকে দেখলে কিন্তু ফুটবলার ফুটবলার লাগে রায়হানস।
এইটাকেও জীবনের আরেকটা ফুটবল-কমপ্লিমেন্ট হিসেবে শর্টস-এর পকেটে ভ'রে রাখতে পারেন আপনি।
আর, দৌড়াইতে থাকেন। আরো অনেক কিছু হবে।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আমারে ফুটবলার মনে করার কারণ আছে। কারণ আপনার সাথে যতোবার দেখা হইছে ততবারই আমি ফুটবলের একটা ক্লাবের জার্সি পড়ে ছিলাম।
=============================
সেইটাও আমি খেয়াল করছি কিন্তু, তয় যেইটা আসল বক্তব্য, সেইটাতে তাইলে এইবার এইটা বলি, যে- ধরেন আমি যদি ওইরকম একটা জার্সি পরি, ধরেন আর্জেন্টিনার একটা ১০ লম্বর জার্সিও গায় দেই, আমারে কিন্তুক এক মুহূর্তও ফুটবলার মনে হইবো না, মনে হইবো কি আমি আইতে বেলায় কোনো দুর্ঘটনায় টিশার্ট ভিইজ্যা যাওনের কারণে আপ্নের গেঞ্জি গায় দিয়ালাইছি!
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
=============================
ফুটবল তো দূরে থাকুক, আমি কোন খেলাই পারি না, আসলে সত্যি বলতে- আমি কিছুই পারি না
লেখা পড়ে খুব মজা লাগল। নিজের ঢোল নিজেই পিটাইলা দেখে আরো বেশি মজা পাইলাম
আমি ফোর্থ ইয়ারে, একবার, ফুটবল কম্পিটিশনের ট্রিপল-ই'র 'সি' টিমের একজন গর্বিত "অতিরিক্ত" সদস্য ছিলাম। কারণ আর কাউকেই পাওয়া যাচ্ছিল না। দুর্ঘটনাবশত এক ম্যাচে নামতেও হলো। পরে শুনলাম আমি নাকি বল ফেলায়া খালি অন্যের পিছে দৌঁড়াই
একটা কথা অনেকের কাছেই শুনসি, ফুটবল হলো দেখার জন্য, আর ক্রিকেট নিজে খেলার জন্য ভাল (বা মজার) খেলা।
লেখার সময়ই বুঝতে ছিলাম চামে ঢোল পেটানো হয়ে যাচ্ছে... ব্যাপার্না আবেগে ইমোশোনাল হলে এমন হতেই পারে।
অন্যের পেছনে ভালৈ দৌড়াইতে পারেন দেখা যায়
=============================
সেটাই, ব্যাপার নাহ্
গত কয়েকদিন হলো "বেশ ভাল" দৌঁড়াচ্ছি বলতে পারো (বিস্তারিত জিজ্ঞেস করো না, জবাব পাবা না এখানে)
নাহ!! ঘটনা সুবিধা ঠেকতেছে না। বিডিয়ার ভাই ডিউটি ফালায়া কার কার পিছে দৌড়ে বেলায় আল্লায় জানে।
=============================
আল্লাহ্ ছাড়াও আরো কয়েকজন জানে। তাদের মধ্যে একজন আমি, আর বাকিরা কারা, বুইঝা নাও
আমি আমার স্কুলের ব্যাচের খেলায় ডিফেন্সে খেলতাম, এখনো টুর্নামেন্ট হইলে খেলি। আমার ডিফেন্স সে এক দেখার মত ব্যাপার, বল উইড়া আসতে থাকলে আমি চশমা খুইলা হেড দেই, আবার পইড়া ফেলি!
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
মজা তো। দৃশ্যটা চিন্তা করে হাসি পাচ্ছে।
=============================
আমার ধারণা ছিল তোমরা শুধু পড়াশুনা আর লেখালেখি করো।
এত দেখি All square!
খুব মজা লাগল।
অনেকদিন পর আপনার মন্তব্য পেলাম
এইবার আপনার ধারণার উত্তর দেই। আমি পড়ালেখা একদমই করি না, লেখালেখিও না। তবে ফুটবল খেলি- কিন্তু পারি না।
=============================
আমাদের সম্পর্কে কারা জানি আপনাকে আজেবাজে ধারনা দিচ্ছে । শোনা কথায় কান দেবেননা । নিজে যাচাই করেনিন
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
তোমার ট্রান্সফার ফী কত ছিলো ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
এই প্রশ্নের জবাব আমার এজেন্ট দিবে।
=============================
আমারো খুব প্রিয় জিনিস ফুটবল । দেখার চাইতে খেলায় মজা বেশি । অনেকদিন খেলা হয়না । মনটা খারাপ হইতে হইতে আবার ভাল হয়ে গেল তোমার লেখার গুনে । চল আমরা একদিন সচল ফুটবল খেলি
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হ এইটা একটা ভালো বুদ্ধি। মুমু আপু নেক্সটবার দেশে আসুক। ওনারে অধিনায়িকা করে আমরা একটা দল বানায়ে নজু ভাইগো বিরুদ্ধে ম্যাচ ফালামু।
=============================
রায়হানাডোনা তো ব্যাপকস।
ফেইসবুকের ছবিগুলো এখানে দেয়া যায়না?
অবিশ্বাসীরা বিশ্বাস করতো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
অবিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে শাস্তি।
=============================
আমার নামের বানান ভুল করসিস বেয়াদ্দপ।
অবশ্য যে গোল মিস করে তার বানানও ভুল হৈতে পারে
পুনশ্চ: বিনাপয়সায় প্রশংসা করার জন্য তোর বাকি দোষ মাফ কৈরা দিলাম। তুই আসলেই মহান ফুটবলার
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
নামের বানানে ভুল নাই।
=============================
- দেশে গেলে অন্তঃসচলীয় একটা ফুটবল টুর্ণামেন্টের আয়োজন করুম যা আছে কপালে। বিজয়ী দলের সবার জন্য থাকবে প্রেম করার জন্য নিদেনপক্ষে একজন করে প্রেমিকা, নজু ভাইয়ের সৌজন্যে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আর যে হেডে গোল দিবে তার জন্য দুইটা।
=============================
স্কুলে ফুটবল খেলতাম আমিও। তবে টেনিস বল দিয়ে। আহা সে এক খেলা ছিল। স্কুলের এক পরিত্যাক্ত কক্ষের পাকা মেঝের ওপরে খেলা হতো সেই ফুটবল।
আমাদের তিন বন্ধুর এক টিম ছিল সেখানে, যারা কিনা মোটামুটি অপরাজেয় ছিলাম সেই সময়। থাক নিজের ঢোলে আর বারি দিলাম না।
লেখায় বরাবরের পাঁচ তারা।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আমি আর আমার পিচ্চি ছোটভাই বাসার ড্রইংরুমে মাঝে মাঝে টেনিস বল দিয়ে ফুটবলাই... আপনার লগে তাই একটা ম্যাচ ফালাইতেই হচ্ছে।
=============================
ফালান, আমি রাজি।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ভ্যেনু হইবো- উত্তরার ঐ বাসাটা
=============================
রাজি, রাজি
এইবার টিম গঠন করো - তোমার পক্ষে কে খেলবে আর আমার পক্ষে কে খেলবে ?
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
রায়হান... ওইদিন রাতে ফাইনালে আমি তোমার খেলা দেখছি, পার্সির জার্সি পইরা খেলতেছিলা । আর্সনালে অ্যাপ্লাই কর মিয়া, নিয়াও নিতে পারে ... যে অবস্থা যাইতেছে ওদের ... আমিও একজন বিশিষ্ট আর্সেনাল ফ্যান কীনা ...
কিন্তু আপনি/ তুমি/ তুই কে?
১। ডট ডট সম্রাট কিংকং ভাই না, কারণ তার খেলা দেখার প্রশ্নই আসে না, তাছাড়া বাক্যের এক জায়গায় দাড়ি দেখা যাচ্ছে। উনি কোনদিন দাড়ি দিসেন বইলা মনে পড়ে না।
২। আমাদের ইয়ারের কেউ হইতে পারে। কারণ আইইউটিতে এখন সিনিয়র কেউ নাইক্কা।
৩। আর্সেনাল ফ্যান?
না আমারে দিয়া গোয়েন্দা গিরি হইবো না।
=============================
কারণ আইইউটিতে এখন সিনিয়র কেউ নাইক্কা
নাই নাকী ??
আমি জানি এইটা কে ... কয়া দিমু?
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
আপনি?
=============================
নোপ ... আমি আর্সেনাল না, বার্সেলোনা
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
আমিও মনে হয় ধরতে পারসি এইটা কে
সবাই ধরে ফেললো- খালি আমি হালায় পার্লাম না
=============================
:)
গন্ডারের মতন অবস্থা হইল আমার। যাই হোক, বেটার লেট দ্যান নেভার।
আমিও ধরতে পারছি এইটা কে? তাহলে তো আমিও ছিলুম ওখানে। বহুত জ্বালাইতা তোমরা রাইতের বেলা একাডেমিক বিল্ডিংয়ের সামনে আইসা ...
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
আন্নে রাইতের বেলা একাডেমি বিল্ডিং এ কী করতেন? গুজব আছে রাতে নাকি নেট স্পিড অনেক থাকে, আর কে বা কারা নাকি এইটার ভালো ইউটিলাইজও করে
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
গুজব না ... সত্যি কথা।
ফুলটাইম সবার শালীদের খবর নিতাম
আর পার্টটাইম চার তলায় দাঁড়াইয়া তোমগো খেলা দেখতাম
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
ভ্রাতা, আপনাকে দিয়ে হইবে...
আশা রাখি আপনি অতটা খারাপ খেলেন না, যদি আন্ডারগ্রাঊন্ড ফূটবলে আগ্রহী থাকেন , তাহলে আওয়াজ দিবেন।
আপনার প্রতিভা দেখানোর জন্যে আমার চেয়ে উপযুক্ত প্রতিদ্বন্ধী পাবেন কই আর ???
আরে!! আন্ডার গ্রাউন্ড খেলার ইচ্ছা আছে। আমাদের ব্যাচের একজনকে বলছিলাম ব্যবস্থা করতে, আমরা একটা টিম দিবো। কিন্তু ঐ কোন কিছু বললনা এখনতরি।
ভাই আপনার সাথে খেলতে চাই। মাগার নাম ঠিকানা না দিলে ক্যামনে কী? মেইল এডটা দেন। মেইলামু তাইলে।
=============================
রায়হান ভাই, উপরের বেনামী ব্যক্তিটি আমিই ছিলুম। সচলে একদম প্রথমদিকে করা আমার কমেন্টগুলার একটা এইটা...
এখন কন - আমাগো আজিম্পুর এফ-সি-র লগে খেলা ফেলাইবেন নি ??
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
কারণটা বুঝলাম না
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
পাশ করে গেলে কিভাবে খেলবো?
=============================
- ক্যান ঠ্যাঙ কি আইইউটির কাছে বন্ধক দিয়া যাইবেন?
মিয়া, খালি ফাও ফাও মন খারাপের বিলাসিতা করেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হাঁছা কথা!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
যদিও আমার মধ্যে ছিল অমিত সম্ভাবনা ।
আমার মধ্যেও ছিলগো, কেউ বুঝল না
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হা হা হা। এইযে, আমি বুঝলাম...
=============================
আমি একজন বিরাট (বিশালদেহী) ফুটবলার, বয়স হয়ে গেসে বলে ও্য়েংগার নিতেসেনা, নইলে টিভিতেই আমার খেলা দেখতেন। আমিও আর্সেনালরে ভালু পাই
সাফি
নতুন মন্তব্য করুন