এ জার্নি বাই হোন্ডাঃ-
কুইড়ার একশেষ হচ্ছি দিনে দিনে। ফার্স্ট ইয়ার, সেকেন্ড ইয়ারে দিনে দুইবার আইইউটি যাওয়া আসা করতাম দুলদুল পরিবহনে করে। দুই, দুই চার ঘন্টা। এখন ভাবলেই ভয় লাগে। বাসায় আসার টাইম হলেই পার্কিং লটে অবস্থান নেওয়া গাড়িগুলোর দিকে তাকাই। পরিচিত কারও গাড়ি দেখা যায় কিনা, এই আশায়। তাহলে আরাম করে আধাঘণ্টায় বাসায় পৌঁছানো যাবে।
গত বুধবারও বেলা এগারোটায় ঘুম থেকে উঠে গাড়ির খোঁজ শুরু করলাম। কিন্তু না। তিন গাড়ি মালিকের একজন টাংকি মারতে যাবে চট্টগ্রাম, আরেকজনের ফুফা মারা গেছে- বাবা মা গাড়ি নিয়ে চলে গেছেন, আরেকজনের গাড়ি স্টার্ট হয় না। দুনিয়াজুরা পচুর ...
বিষণ্ণ বদনে রুমে ফিরে আসলাম। উপায় নাই গোলাম হোসেন। আজকে দুলদুল ছাড়া গতি নাই। এমন সময় রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে ব্যাচমেট নাজমুলের ফোন (যাকে আমরা ভাই বলে ডাকি)। উনি আমাকে ঢাকা চলে যেতে মানা করলেন। কারণ তিনি আইইউটি আসছেন। তারপর একসাথে ঢাকা যাওয়া হবে।
ভাই কাছাকাছি আসাতে আমি নীচে নেমে গেলাম ব্যাগ নিয়ে। তাকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। কয়েকদিন আগে ভেতরে ঢোকার সময় তার পরিচয় বলা সত্ত্বেও গেটের আনসার গার্ডরা উঠে দাঁড়ায়নি বলে তিনি তাদের "সাবধান" করিয়ে ঝাড়ি দিয়েছেন। এই যাত্রায় আমি আর আনসার ভাইদের বিপদে ফেলতে চাই না।
ভাইকে দেখে আমার আত্মা উড়ে গেলো। তিনি ভুজুং ভাজুং এক হোন্ডা নিয়ে উপস্থিত। নতুন কেনা। আমাকে বলে, উঠ। আমি সারাজীবনে হোন্ডা নামক জিনিসটায় চড়েছি হাতে গোনা কয়েকবার, তাও পিচ্চিকালে মামার সাথে। যন্ত্রটা দেখলেই আমার ভয় করে। মানুষ যখন রাস্তায় এই জিনিস দিয়ে যায় তখন খালি মনে হয়, এই গেল, এই গেল। আর এখন কিনা আমাকেই, তাও আবার ভাইয়ের পেছনে চড়ে পাড়ি দিতে হবে ঢাকা গাজিপুর হাইওয়ে ...
উঠে বসলাম। ভাই টান দিলেন। পেছনে বসার পর আমি টের পেলাম বসে যুত পাচ্ছিনা। সবচেয়ে বিপদে পড়লাম হাত দুইটাকে নিয়ে। মাঝে মাঝে দেখেছি, মেয়েরা হোন্ডার পেছনে বসে সামনের জনকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে, আমি নিশ্চয়ই সেইভাবে ভাইকে আঁকড়ে ধরতে পারি না ...
ভাই হোন্ডা চালায় আর একটু পর পর চিৎকার করে গালি। আমি নাকি চ্রম খ্যাত। শক্ত হয়ে বসে আছি, খালি নড়াচড়া করি। যেকোন মুহূর্তে অফ-ব্যালান্স কইরা ঝামেলা ঘটায়ে ফেলবো। তেল নেবার সময় একজনরে দ্রুত এসএমএস দিলাম- আগামী চল্লিশ মিনিট জাস্ট আমারে মনে করতে, যে কোন মুহূর্তে ঘটনা ঘটে যাবে। (দু'আ তো আর চাইতে পারি না )
যাই হোক, পুরা রাস্তা চোখ দিয়ে পানি বের করতে করতে অবশেষে বিনা আঁচড়ে ফিরে আসলাম বাসায়। ছোটবেলায় "জার্নি বাই ট্রেন" বা এই টাইপ রচনার পর উপসংহারে থাকে, যে ভ্রমণ খুব ভালো লাগছে, সুযোগ পেলে আমি আবারও নৌকা কিংবা ট্রেন ভ্রমণে যেতে চাই। আমি স্পষ্ট করে খালি একটা কথাই বলবো, সুযোগ কিংবা অসুযোগ কোনভাবেই আমি আর জীবনে হোন্ডায় উঠতাম না। সরি।
আমার বন্ধু রাশেদঃ-
আমার পিচকু ভাইডা দিন দিন বড় হয়ে যাচ্ছে। বাবা- মা সময় দিতে পারে না, আমি ওরে দিন দুনিয়ার শিক্ষা দেই মাঝে মাঝে। বই টই কিনে দেই।
"আমার বন্ধু রাশেদ" বইটা পড়েছিলাম খুব সম্ভবত ক্লাস ফাইভে থাকতে। ভর দুপুরে যখন বইটা শেষ করলাম তখন আমার সে কি কান্না। বাসায় কেউ ছিলনা, আমি কেঁদে কেঁদে সোফা ভিজিয়ে দিলাম। সেদিন বইয়ের দোকানে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ বইটা নজরে পড়লো। ভাবলাম জান্নাহ যেহেতু ক্লাস ফাইভে উঠলো, ওকে বইটা কিনে দেই। পড়ুক।
বইটা কিনে ওনার হাতে দিলাম। সে বলে, পরে পড়ব। এখন "কাকাবাবু" সমগ্র নিয়ে ব্যস্ত আছে। খুবি জোশ। এইটা শেষ হলে তারপর দেখা যাবে।
আমিও বিষণ্ণ বদনে অপেক্ষা করি। তারপর একদিন সে পড়া শুরু করলো। আমি তক্কে তক্কে থাকি। আজকে দুপুরে দেখলাম প্রায় শেষের দিকে চলে আসছে। জুমার নামাজ পড়ার পর সে এই বয়সেই পাড়ার ছেলেদের সাথে গুলতানী মেরে দেরী করে বাসায় ফিরে। আজকে নামাজ শেষ করেই দৌড়। তাড়াতাড়ি ভাত খেয়েই শেষ অংশ পড়তে বসে গেলো।
ও পড়ে, আর আমি বিছানায় শুয়ে শুয়ে ওর পড়া দেখি। শেষের পৃষ্ঠার আগে সে হঠাৎ করে পাশ ফিরে শুয়ে পড়লো। আমি বুঝলাম ঘটনা খ্রাপ। ছোটবেলায় আমিও বিশ্বাস করতে পারিনাই, লেখক রাশেদকে মেরে ফেলবেন।
ও বিশ্বাস করতে পারলো না। ক্ষীণ আশা নিয়ে অনেকক্ষণ ধরে শেষ পাতাটি পড়লো। বইটা রাখার সাথে সাথেই আমি ঘুরিয়ে আনলাম আমার দিকে। দেখি চোখে পানি। আমাকে বলে, ভাইয়া কাঁদি না। একটু মন খারাপ হইছে।
তারপর দৌড়ে বাথরুম। অনেকক্ষণ পর মুখ টুখ ফুলিয়ে পাশে এসে শুয়ে পড়লো। আমি আর কিছু বলি না। ভেবেছিলাম, ওর কান্না দেখে একটু হাসাহাসি করবো, একটু পচাঁবো, কিন্তু হঠাৎ করে আমারও রাশেদের জন্য খারাপ লাগা শুরু হলো ...
রাশেদের মতো ছেলেরা, কিংবা নাম না জানা কত মানুষরা এইভাবে যুদ্ধে মারা গেলো রাজাকারদের হাতে। সেই রাজাকাররা আজও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ায়। রাশেদের মতো ছেলেরা রক্তের বিনিময়ে যে দেশ আমাদের দিয়ে গেলো রাজাকারের বাচ্চারা এখন সেই দেশ নিয়ে তাদের ভাবনা চিন্তার কথা বলে, সেগুলো আবার টিভিতেও দেখায় ...
আমার কিছুই করার থাকে না। পাশে শুয়ে থাকা ছোট ভাইকে জড়িয়ে ধরে খালি বলি, ভাইয়া মন খারাপ করোনা। এইটা তো শুধুই একটা গল্প ...
মন্তব্য
ভাল্লাগছে ...
১ ...
আমি জীবনেও হোন্ডায় উঠি না ... এক জীবনে অনেক কিছু কেনার শখ হইছে কিন্তু হোন্ডা কেনার শখ হয় নাই ... এই জীবটারে আমি ভালো পাই না ...
২ ...
আমার ছোটভাইটাও ফাইভে পড়ে, আমিও আমার বন্ধু রাশেদ পড়ছিলাম ক্লাস ফাইভ সিক্সে থাকতে, আমিও আমার ভাইরে এইটা পড়াইছি, তার প্রতিক্রিয়াও কমবেশি অভিন্ন ...
অফিসে বসে ডিবাগিং নিয়া খাবি খাইতেছি, যদি সহিসালামতে বাসায় যাইতে পারি তাহলে বিস্তারিত লিখব ...
মনে করতে থাক যাতে প্রোগ্রাম মিলে
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
আইচ্ছা মনে করতে থাকি
শেষটায় মন খারাপ হয়ে গেল রায়হান।
হুম আপু ...
চ্রম খ্রাপ অবস্থা!!! আমি আমাগো সাকিফের হোন্ডায় উইঠা একবার শাহবাগ থেকে বাসায় আসছিলাম।বাপ্রে, বার বার খালি মনে হইছে এই জীবনে আর কিছু করতে পারবো না।যাই হোক শেষে প্রতিজ্ঞা করছি জীবনে দুইচাক্কা না!অফ টপিক আমি আবার সাইকেলও চালাইতে পারি না।
আর রাজাকারগো কথা কস,আমার দাদু বাড়িতে যে রাজাকারটা আমার বড় চাচাকে ধরাইয়া দিছিল(ভাগ্য ভালও বড় চাচা অইখান থেকে পালাইয়া সোজা ইন্ডিয়া,পড়ে ট্রেনিং নিয়া চান্দিনায় যুদ্ধ করছে)তার পরিবার ,দুই ছেলে এলাকার মাতব্বর। সবাই তাগো কথাউ উঠে বসে।
* আর্মির পোলাপানের উচিত পিকলুর পরিনতি দেখে শিক্ষা গ্রহণ করা। আফসোস!!
* দেখা যাক। আমার নানার কাহিনীটা বলেই ফেলি। তিনি শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। হত্যামামলার কেস হয়েছে কয়েকদিন আগে। আশাকরি জীবিত সবাইকে এটলিস্ট বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো সম্ভব হবে।
হোসেন ভাই আপনাকে মনে হয় চিনতে পারতাছি দুনিয়াটা দেখি আসলেই ছোট সবখানে পরিচিত লোকজন
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
১. মুনমুন সেনের কন্যা রিয়া সেন আমার বড়ই প্রিয়। সেই বেটি বাংলাদেশে দুইখান সিনেমা করছিলো। একটাতে নায়ক ছিলো রিয়াজ, আরেকটাতে সিজার। তো এই সিজার পোলাটা সারাজীবনে কিছুই করতে পারলো না, করার কথাও না, কিন্তু কেম্নে কেম্নে রিয়ার নায়ক হয়া গেলো... তাই তারে আমি সারাজীবন ঈর্ষাই।
৯৭/৯৮ সালের দিকে, আমি তখন এক বিনোদন পত্রিকার সাবএডিটর। এক রাতে মগবাজার তাজ থেকা খায়া বাইর হইছি আমি পান্থ শাহরিয়ার আর ইন্তেখাব দিনার। দিনার এলিফ্যান্ট রোডে আর পান্থ শেওড়াপাড়ায়, আমি মাজার রোডে ফিরুম। একপথেই ফিরুম, প্রতিদিন তাই করি।
কিন্তু সেদিন পারলাম না। সিজার ব্যাটা হুট কইরা সামনে আইসা খাড়াইলো। 'নজরুল ভাই, চলেন আপনেরে বাড়িত নামায়া দিয়া আসি'। তার একটা ভটভটি হোন্ডা ছিলো।
শীতের রাইত। আমি তো ভাবতেই হীম হয়া গেলাম। কইলাম 'ঐ মিয়া আপনের বাড়িতো মগবাজারেই। এই মাঝরাইতে আবার মিরপুর গিয়া কী করবেন?' কিন্তু সে কোনো কথাই শুনবো না, আমারে সে নামাইবোই... উঠতি স্টাররা সাংবাদিকগোরে কী যে খাতির করে...
তো সেই খাতির হইলো ভয়াবহ। আমি কোনোভাবেই নিস্তার পাইলাম না। সে নিজেই পান্থ দিনারের কাছ থেকা আমারে কাইড়া নিয়া হোন্ডায় চড়াইলো... তারপর সেই হীম শীতের রাতে যখন বাড়ি ফিরলাম... তখন আমি বরফ।
ঢাকা কলেজে আমার বন্ধু ছিলো সুজন। সাবেক আওয়ামীলীগার আব্দুল কুদ্দুস মাখনের ভাতিজা হিসাবে তারে আমরা ঘি ডাকতাম। তখনই সে বিরাট গুণ্ডা ছিলো। পরবর্তীকালে ইমন বাহিনীতে যোগ দিছিলো। এবং সরকার ঘোষিত ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর ৩ নম্বরে ছিলো।
তো এই সুজন ছিলো পাটকাঠির লাহান চিক্না... আগুনের লাহান ফর্সা... আর তার ছিলো একটা হলুদ রঙের এক্সএল হোন্ডা...
আমি জীবনে অজস্র মানুষরে হোন্ডা চালাইতে দেখছি, কিন্তু সুজনের মতো হোন্ডা চালাইতে কাউরে দেখি নাই। ও চালাইতো না, উড়াইতো।
গত ২৫ মার্চ ছিলো সুজনের মৃত্তুবার্ষিকী। সন্ত্রাসী হোক, এককালের বন্ধু তো... অনেক আড্ডার সঙ্গী তো
২.
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
একদম নজরুলীয় মন্তব্য। শেষে এসে মন খারাপ লাগলো যদিও ... আসলে বন্ধুত্বটা এমনি ...
বিশাল মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ...
আপনার লেখার যাদূতে পেয়েছিলো আমাকে, একটানে পড়ে ফেললাম, অনেক রকম অনুভূতি হলো একত্রে, কোনওটাই বুঝাতে পারবো না।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
আরেফিন ভাই আপনার কষ্ট করে কিচ্ছু বোঝানোর দরকার নেই। আপনি পড়ছেন তাতেই সই।
মাসে অন্তত একটা লেখা দেওয়া যায় না। আপনাদের ছাড়া মরা মরা লাগে সচল। সত্যি।
ইসসস লেখাটা পড়ে এত্ত ভাল লাগল, *****
১। আমি শুধু আব্বুর হোন্ডায় চড়েছিলাম কয়েকবার, তখন মনেয়হয় ৭-৮ ছিলাম কিন্তু ভয় পেতাম না আব্বুকে ধরে বসে থাকতাম, মজাই লাগত, জোরে বাতাস লাগত।
২। হুমায়ুন আহমেদের একটা ছোটদের যুদ্ধের বই পড়েছিলাম "সূর্যের দিন" ওটা পড়ে সাজ্জাদ মারা যাওয়ায় এত্ত কেঁদে ছিলাম, বার বার মনেহত ইসস কেন ওকে মেরে ফেললো।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
১...
বাসায় এসে নাজমুল আমাকে বলেছিল, মেয়েরা কখনও হোন্ডায় চড়তে ভয় পায় না ...
২...
সূর্যের দিনও দারুন একটা বই ...
পাঁচ তারার জন্য ধন্যবাদ। তারা পেতে আমার ভালৈ লাগে
সাজ্জাদের জন্য আমারো ব্যাপক খারাপ লাগছিল
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
এ জার্নি বাই হোন্ডা
আমার পিতার একটা হোন্ডা হোন্ডা (মানে হোন্ডা কম্পানির হোন্ডা ) ছিলো। ছোটবেলায় তাই বহুবার চড়া হয়েছে হোন্ডায়। আব্বার পেছনে। ভীষণ সতর্ক ও ধীরগতির চালক ছিলেন বলে কখনও টেনশন বোধ করিনি।
তবে আমাদের বাসার ওপরতলায় ভাড়া থাকতেন এক মেজর। গোটা বগুড়া শহরের ত্রাস। যাকে-তাকে কারণে অকারণে ঝাড়ি এবং মারপিট ছিলো তাঁর প্রাত্যহিক কর্তব্য। বগুড়ার কেন্দ্র সাতমাথায় এক ট্রাফিক পুলিশকে পিটিয়েছিলেন তিনি। "স্যালুট দিলি না ক্যান, ব্যাটা! তুই জানিস, আমি কে?" তো সেই মেজর হোন্ডা চালাতেন না, বলা উচিত, উড়তেন। একবারই চড়েছিলাম তাঁর পেছনে। পরে আর কখনও রাজি হইনি।
আমার বন্ধু রাশেদ
মুগ্ধ হলাম এই অধ্যায়টি পড়ে।
বইটা আছে সংগ্রহে। আজ-কালের মধ্যেই শুরু করবো।
মুহম্মদ জাফর ইকবালের ছেলের করা ইংরেজি অনুবাদটিও আছে .doc ও .pdf ফরম্যাটে। কেউ চাইলে আওয়াজ দেবেন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
অনেকদিন আগে আপনি আমার "সাদাকালো" শিরোনামের একটা পোস্টে পয়েন্ট বাই পয়েন্ট মন্তব্য করেছিলেন। আজকে আবার।
* আমার কলেজে তিনবছর এডজুটেন্ট ছিলেন রাজশাহী ক্যাডেটের মেজর মাকসুদ। উরি বাপ!! যেই ভাবে ছোট্ট কলেজে হোন্ডা চালাতেন। বাঁক আসলে এমন ভাবে বেঁকে যেতেন হোন্ডা সমেত, আমদের পুরা কলেজের আত্না শুকায় যেতো। একদিন অবশ্য তিনি ব্যলেন্স করতে না পেরে আমাদের প্রিন্সিপালের উপর হোন্ডা উঠিয়ে দিয়েছিলেন।
অনেকেরই বাবার পেছনে হোন্ডায় চড়ার স্মৃতি আছে। ছোট বেলায় আব্বু বিদেশ ছিল। আর থাকলেও উনি হোন্ডা চালাতে পারেন না। ছোটবেলায় যদি হোন্ডা- টোন্ডায় চড়ে একটু অভ্যাসটা রপ্ত করতে পারতাম তাহলে এই আমলে এসে মাস্তান হয়ে যেতে পারতাম। সব্দোষ আব্বুর।
*
আচ্ছা আমাকে দিন। অফিসিয়ালি আওয়াজ দিলাম।
"আমার বন্ধু রাশেদ" পড়ে শেষ করলাম।
দুর্দান্ত!
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এর চেয়ে ভালো কিশোর উপন্যাস আছে কি?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এর চেয়ে ভালো কিনা জানি না, তবে উপরে মুমু আপু যে বইটার নাম বলেছে, হুমায়ূন আহমেদের "সূর্যের দিন", ও'টা আমার পড়া একটা চমৎকার কিশোর উপন্যাস, মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস।
পড়েছেন কিনা জানি না, না পড়ে থাকলে পড়ে দেখতে পারেন...
এই কিছু উপন্যাসের জন্য হুমায়ুন আহমেদকে ভুলতে পারি নি...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
@ সন্ন্যাসীদা, মুহাম্মদ জাফর ইকবালের "একজন দূ্র্বল মানুষ" বইয়ের 'বলদ' গল্পটি পড়েছেন কিনা জানি না। আমার পড়া মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে শ্রেষ্ঠ ছোট গল্প।
সেই সাথে পড়তে পারেন জাফর ইকবালেরই "নুরুল ও তার নোটবই" বইয়ের "ওয়ার্কশপ" গল্পটি। (এই বই, এবং গল্পটির নাম হালকা এদিক ওদিক হতে পারে.... স্মৃতি থেকে লিখলাম)
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
জাফর ইকবালের একগাদা ই-বুক পাইসি, কিন্তু এই দুইটার একটাও নাই!
মেজাজ পুরা বিলা!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আমিতো জানতাম অনুবাদটা মেয়ে ইয়েশিম ইকবালের করা।
অনুবাদটা ইয়েশিম ইকবালের করা। নিচের লিংক থেকে, কেউ চাইলে, ইংরেজি ভার্সনটা ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন:
http://www.somoy.com/pdf/Rashed.pdf
তথ্যভ্রান্তির জন্য দুঃখিত। ইয়েশিম ছেলের নাম ভেবেছিলাম
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
০১
কোন এক বিচিত্র কারণে বাংলাদেশের মেয়েরা "হোন্ডা চালানো" জিনিশটা খুবই পছন্দ করে। হোন্ডা চালাইতে পারি না শুনে অনেকেই বেশ তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে।
আমি মনে মনে কই, হাসো হাসো, কিন্তু হাড্ডিগুড্ডি গুড়া হইলে তো তোমার হবে না, হবে আমার।
বুয়েটে মাঝে প্রচণ্ড রকমের বাইক কেনার ধুম পড়লো, আমাদের আগের ব্যাচ পর্যন্ত বাইকের যন্ত্রনায় টেকা মুশকিল ছিলো। ক্যাফের সামনে সারি ধরে দাঁড়ানো বাইক সব। তবে এক ভাই একটু বাজে ভাবে একসিডেন্ট করার পর মনে হয় আগুনে একটু জল পড়লো।
০২
এই অংশটা অদ্ভুত হইসে, ফাটাফাটি। শুধুমাত্র এইটুকু লিখলেও পাঁচ দিতাম।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
১...
ঠিক। শুধু "চালানো" নয়। আমি দেখছি তাদের অনেকেরই চালানোর প্রবল সখ।
এন্টি হোন্ডা পার্টি পাওয়া গেল অনেক।
২...
শরম্পাইলাম।
আমার বন্ধু রাশেদ আমার খুবই প্রিয় বই। মনে আছে, ২০০৪ এ যখন প্রথম আমেরিকায় আসি, তখন প্লেসমেন্ট টেস্টে রচনা ছিল 'your favorite book'
আমি আমার বন্ধু রাশেদের উপর লিখেছিলাম। অসাধারন বই...একই সাথে খুবই আন্ডাররেটেড।
পুরানো স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
শুধু ধন্যবাদে কাজ হবে না। আম্রিকান ডলার চাই
কন্কি! দেশে গিয়া এতগুলা ডলার দিলাম ঐগুলা কি করছেন
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
কেজি দরে ডলার বেইচা কটকটি খাইছি। আরও খামু
হোন্ডা য় যতবার চড়েছি চ্রম খ্রাপ খারাপ অভিগ্গতা হয়েছে।।।।।।।।
১। পথ্থমবার, ডানপাশে যে চোঙ্গামতন থাকে ওটা কি ঝানতামনা, ওটার উপরে পাড়া দিয়া হোন্ডা র পিছনে বইছিলাম আর কি..................বোঝেন মনো অবস্হাটা (খালি পায়ে আছিলাম)
২। দ্বিতীয় বার, চাচার কাছ থিকা শুনা, হঠাৎ চাচা পিছন ফিরা দ্যাখে আমি নাই.........ব্যাক করে এসে আমারে রাস্তায় অগ্গান পাইছে
আরো মেলা............................কাহিনি । কইতে শরম লাগে।।।।।।।।।।।।।।
এরপরে কি আর হোন্ডা য় উঠতে ভালো লাগে রে ভাই বলেন
শরমের কি আছে। কইয়ালাইবেন।
আমি হোন্ডা চালাই (হোন্ডা কোম্পানির) ১৪ বছর ধরে টানা চালাচ্ছি। ৫০ সিসি দিয়ে শুরু করে ১২৫ পর্যন্ত উঠে আবার ৮০ সিসিতে নেমে এসেছি। মোটর সাইকেল আমার প্রিয় বাহন। এর উপ্রে উঠলে নিজেরে রাস্তার রাজা মনে হয়। এখন স্পিড যদিও আগের মতো তুলতে পারি না। তবু রাজা রাজা ভাবটা কমেনাই। চান্স পাইলে মোটর সাইকেলে দুনিয়া ভ্রমনে বের হইতাম। কিন্তু ২০০১ সালটা সব গড়বড় করে দিলো।
মোটর সাইকেল নিয়া আমার এতো কাহিনি আছে যে, সেইগুলা দিয়া কয়েকশো পৃষ্ঠার পুস্তক রচনা করতে পারবো। এবঙ অতি অবশ্যই এইসব কাহানিতে বালিকাসমাজ থাকবে।
শেষটায় মন ভরে গেলো রায়হান। আবছা আবছা মনে পড়ছে রাশেদের কথা। আবার পড়তে হবে। আবার...
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
বাড়ির কাজের সময় আব্বু একবার ট্রাকের সামনে করে ইট নিয়ে আসছিল। ট্রাক থেকে নেমে তার সেকি উত্তেজনা। ট্রাকে উঠলে নাকি একদম নিজেকে রাজা রাজা লাগে। মনে হয় সব ছারখার করে সামনে এগিয়ে যেতে আপনার তো দেখি হোন্ডা নিয়ে একই ফিলিং।
যাই হোক বই একটা লিখে ফেলেন। বালিকা কাহিনী যেহেতু আছে বইটা আমি পড়মুই।
কী লিখলি এটা? এত সুন্দর করে।
দুই নাম্বার অধ্যায় পড়লে বুঝা যায় তুই কী পরিমাণ ভালো লিখস।
সত্যি করে কই, মু: জাফর ইকবালও এত সুন্দর করে লিখতে পারতো না।
পাসওয়ার্ড বদল তোর লেখাকেও নতুন প্রাণ দিছে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
মহিবের শেষ কথায় সন্দেহ হয়
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ভার্সিটি এরিয়ার সাবধানে থাকিস। পাইলেন দিমু ...
মহিব তোর মন্তব্য পেয়ে মন ভরে গেলো। যদিও মিথ্যা কথা।
পাসওয়ার্ড বদলের কথা টেকনিক্যালি ভুল। কেন সেটা পরে বলবো।
১।
দুই চাক্কার জিনিসরে ভয় খাই ছোটবেলা থেকে... সাইকেল চালাইতাম তবে মেইন রোডে চালাবার সাহস হয় নাই কোন কালে... মোটর সাইকেলে উঠসি জীবনে দুইবার! প্রতিবারই পপাতধরনীতলের কাছাকাছি অভিজ্ঞতা হইসে...
২।
রাশেদরে নিয়া বলার কিছু নাই... ছোটবেলায় ভয়াবহ মেজাজ খারাপ হইছিলো জাফর ইকবালের উপর... ক্যান সে রাশেদরে মারছিলো? রাগ কইরা কয়েক মাস ওর কোন বই পড়িনাই... তবে এই বইটা সব বাচ্চাদেরই ক্লাস সেভেনের মধ্যে পড়া উচিত!
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
সাইকেল আমার ভয়ানক প্রিয় জিনিস !
মেট্রিকের পর পর সাইকেল কিনা না বুইঝা বেকুবের মত ডাইরেক্ট মতিঝিলের রাস্তায় নাইমা গেছিলাম .... প্রথম দিনই শাপলা চত্বরের এক কোণা দিয়া গেছি আটকাইয়া ... বাসের যন্ত্রণায় না পারি সামনে যাইতে, না পিছনে ... বহুত কষ্টে সরে আসছিলাম । তবে আমার সাইকেল চালানো পুরাটাই ঢাকার রাস্তায়, এখন মনে পড়লে ভয়ই লাগে ...
হায়! প্রিয় সাইকেলটা শেষমেষ আগুনে পুইড়া গেল
তানিম, তুমি ওইখানে সাইকেল কিনো নাই?
আমিও পচুর সাইকেল চালাইছি জীবনে। শরীরে এখনও কাটাদাগ আছে।
সেইটাই বাচ্চারা তো আর ইলেভেন, টুয়েলভ কিংবা ভার্সিটিতে পড়বে না।
কী বলে না বলে! বাচ্চারা ইলেভেন, টুয়েলভ কিংবা ভার্সিটিতে পড়েনা তোমারে কে কইলো?? এই লিঙ্কটা দ্যাখ তাইলে...
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
বাপে আমারে হোন্ডা চালানো শিখাইতে চাইছিলো। আমার সময় হয় নাই। হোন্ডায় চড়ছি বেশ কয়েকবার ভাইয়ের সাথে। মজা লাগছে।
০২
এই বইটার কথা স্পষ্ট মনে নাই। শুধু আমার কান্নার কথাটা মনে আছে।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ইসসস। হোন্ডা চালানোটা শিখতেন, এরপর পিস্তল একটা নিয়া বগুড়া টহলে বের হইতেন।
মুহাহাহাহাহাহাহা
দৃশ্যটা কল্পনা করতেই জোশিলা একটা ফিলিংস হইতেছে।
ক্যান যে আগে বুদ্ধিটা দ্যান নাই...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
একমত।
দুর্দান্ত লেখা। তোর ভবিষ্যৎ অতীব উজ্জ্বল, সম্ভাব্য সকল দিক দিয়ে।
পুনশ্চ: আমি জীবনে হোন্ডায় চড়ি নাই...
অন্ধকারের উপর লাঠিপেটা করে লাভ নেই, আলোক জ্বালালেই অন্ধকার দূর হবে
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
ভবিষ্যত উজ্জ্বল?
আরে !! আজকেই অন্য একটা পোস্টের কমেন্টে আমার বন্ধু রাশেদ এর কথা বল্লাম ...
বইটা প্রথম পড়ি ক্লাস সেভেনে ... একটা বই পড়া প্রতিযোগিতা হইছিল (খুব সম্ভব বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনে) ঢাকার স্কুলগুলাতে ... বই ছিল ২ টা, আবদুল্লাহ আল-মুতী'র আবিষ্কারের নেশায় আর জা. ই. স্যারের আমার বন্ধু রাশেদ । পড়ার জন্য সময় ছিল এক মাসের মত । বই ২টা কিনলাম । ওই এক মাসে আমার বন্ধু রাশেদ পড়লাম কমসে কম ১০ বার, আর আর অন্যটা ২-১ বার ....
আমার পড়া শ্রেষ্ঠ কিশোর উপন্যাস .... আমার কালেকশনে বইটা আছে; শুধু্ এই কারণেও আমি গর্ববোধ করতে পারি ...
"নাম কমুনা" ভাই, নাম কবার জন্য থ্যাঙ্কু
০১।
তেল নেবার সময় একজনরে দ্রুত এসএমএস দিলাম- আগামী চল্লিশ মিনিট জাস্ট আমারে মনে করতে, যে কোন মুহূর্তে ঘটনা ঘটে যাবে। ............ হুম চিন্তার বিষয়
০২।
তোরে তো সাহসী ভাবতাম কিন্তু হোন্ডা ভয় পাস
০৩।
আমার বন্ধু রাশেদ বই টা ক্লাস টুয়েলভে উঠার আগে পড়ি নাই বলা যায় ইচ্ছে করে পড়ি নাই। পরিচিত কার নামের কিছু পড়তে ভাল লাগে না কিন্তু একদিন কি মনে করে পড়লাম তাও মোটামুটি বাচ্চা বয়স পার হবার পর। কিন্তু কিভাবে যে বইটা ছুয়ে গিয়েছিল তা বুঝান সম্ভব না। খালি মনে হয়েছিল ইস কেন যে এতদিন পড়লাম না
০৪।
এই লেখায় তো লুপ থেকে বের হইছিস
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
হ। লুপ থেকে বের হইছি। লেখাটা লেখাও হইছে তোর কারণে। নাইলে তো ঘুম দিতাম। তোর পাম খেয়েই তো
হোন্ডা পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাহন
রাজাকারদের ভালোবাসা আজকাল আমাদের
দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
তাদের ভালোবাসুন।
রাশেদদের মেরে ফেলুন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আহা। রাগ করবেন না। রাজনৈতিক ভাবে ব্যাপারটা মোকাবেলা করতে হবে। এইসব আবেগের কি বেইল আছে বলেন?
আমার বন্ধু রাশেদ এখনো আমার পড়া হয় নাই। সংগ্রহ করে পড়তে হবে।
দোতলা থেকে লাফ দেন মিয়া
তারপরে এক দৌড়ে গিয়া বইটা কিনে পড়ে ফেলেন ... দুইদিনের দুনিয়া, কোনদিন পুট কইরা মইরা যাবেন ভালো একটা বই পইড়া যাইতে পারবেন না ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
পান্থ ভাই,
পড়ে নিয়েন ...
আপনারে কি শাস্তি দেওয়া যায় বলেনতো দেখি!
বইটা কিনবেন, পড়বেন এবং বইটা নিয়া একটা পোস্ট দিবেন।
--
আমার এই দেশেতে জন্ম, যেন এই দেশেতেই মরি...
কথাটি পান্থ ভাইকে বলা? তাহলে ঠিকাছে।
কিংকং দা, আলাভোলা দা আর রায়হান আবীর আমার না পড়া বইয়ের তালিকা দেখলে টাসকি খাবেন। মাহমুদুল হক পড়ি নাই, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস পড়ি নাই, জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী পড়ি নাই, শওকত আলী পড়ি নাই, জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত পড়ি নাই, হাসান আজিজুল হক পড়ি নাই, রশীদ করিম পড়ি নাই, আবু জাফর শমিসুদ্দিন পড়ি নাই। আরো কত পড়ি নাই।
নাহ, এতো তালিকা দিয়া তো নিজের শাস্তির পরিমাণ বাড়াইলাম মনে হয়।
পান্থদা, যেসব নাম বললেন তার বেশিরভাগ আমিও পড়ি নাই ... তবে রাশেদটা পড়ে নিয়েন
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
আমিও . তবে আমার বন্ধু রাশেদ পড়ছি।
বাংলাদেশের প্রতিটা ছেলে-মেয়ের ক্লাস সেভেনের মধ্যে আমার বন্ধু রাশেদ, এবং এইচ.এস.সি পাশ করার আগেই একাত্তরের দিনগুলো পড়া উচিৎ।
পান্থদা, সময় পাইলে বইটা পইড়েন। যদি মনে হয়, পোলাপাইনের কথা শুইনা সময়টাই নষ্ট করলাম, তাহলে দুইটা বকা দিয়া যাইয়েন, আর ভাল লাগলে একটা পোস্ট। এইটা একটা রিকোয়েস্ট।
মোটর সাইকেল আমার খুব প্রিয় বাহন। এক সময় নিয়মিত চালাইছি। বিয়া করার পর বউ-এর জ্বালায় আর চালাতে পারি না।
আমার বন্ধু রাশেদ আমিও পড়ি নাই
আর তোমার লেখার ব্যাপারে বললে বলতে হয়........... । থাক কিছু না বলে বরং পাঁচতারা দিয়ে যাই।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ধন্যবাদ। পাঁচতারা আমি খুবই ভালো পাই
মোটর সাইকেল চালানোর ইচ্ছা আমার বহুদিনের। কখনোই হাতে পাই নি। যৌতুক নেব।
'আমার বন্ধু রাশেদ' বইটার শেষটুকু পড়িনি। বাদ রেখেছি
তোমার লেখার হাত দুর্দান্ত। এভাবে চলতে থাকলে নেক্সট বইমেলায় আমার আরেকটা বই বেশি কেনা লাগবে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হুম একটা বই বের করবো নেক্সট বইমেলায়। "আমার পড়া স্পর্শের সেরা গল্প সমূহ" ঠিকাছে না?
'আমার বন্ধু রাশেদ' একটা অসামান্য বই। জাফর ইকবালের অধিকাংশ বইই পড়ার চেষ্টা করসি। তিনি আমার খুবই প্রিয় একজন লেখক।
রায়হান, লেখাটা ফাটাফাটি হইসে।
ধন্যবাদ।
---------------------------------
তাও তো ভারী লেজ উঁচিয়ে পুটুশ পাটুশ চাও!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
দ্বিতীয় অংশটা পড়ে মুগ্ধ হলাম। মন খারাপও হলো!
________________________________
মা তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো...
নতুন মন্তব্য করুন