১.১ ...
তখন ক্লাস নাইনে। হাউসে নতুন সিডি প্লেয়ার এসেছে। জুমা শেষে আমি আর রুমমেট সাজ্জাদ কিছুক্ষণ মোজার বল দিয়ে রুম ক্রিকেটে শাকুরকে উপুর্যুপরি চার ছয় মেরে চলে আসলাম কমন রুমে। সেখানে এক ভাইয়া ক্যাসেট প্লেয়ারের সামনে কাগজ কলম নিয়ে বসে আছেন। জোরে জোরে বাজছে "" [[অনেক কষ্ট কইরাও গানের নামটা মনে করতে পারলাম না, খালি মনে আছে ভিডুওতে ঝন হাব্রাহাম হাত পা ছুড়াছুড়ি করতো]]। হিন্দি গানের লিরিক লিখে, সেইটা মুখস্ত করে, ক্লাসমেটের সাথে পার্ট মারার স্বপ্নে বিভোর বড় ভাইকে ডিস্টাপ না দিয়ে, আমরা পিছনের চিপায় রিডিং রুমে গেলাম। ওইখানে আমাদের নতুন সিডি প্লেয়ার। তয় তার দায়িত্বে থাকা ভাইয়ারা ভীষণ ইয়ো। লুক্ষ্রাপ লুকদের মতো সারাদিন জুনিয়রদের দিকে নাক মুখ কুচঁকায় থাকে। আমরা ভয়ে ভয়ে এক কোণায় গিয়ে বসলাম।
এমন সময় শুরু হলো, ওয়ারফেজের "হতাশা"। আমি আর সাজ্জাদ একে অন্যকে বলি, আরে জোশ তো গানটা। বাংলা গানে এমন টেস্ট প্রথম। বুদ হয়ে শুনি। উঁকি মেরে এলবামটার নাম দেখলাম। "আলো"।
মুগ্ধতার রেশ কাটতে না কাটতেই নেক্সট গান আসলো, "সময়"। গানটা শুনে কান্না পেয়ে গেলো। একটা গান এরচেয়ে আর কতো বস হতে পারে? কী নাই গানটাতে? সেদিন থেকে আমি "ওয়ারফেজ" এর পাংখা। ওয়ারফেজের মাধ্যমে যেই ধারার গান প্রথম শুনি, সেই ধারাতে পরে আরও অনেকের গানও ভালো লাগছিল। এই যেমন "আর্টসেল"। কিন্তু আইইউটিতে যখন আমাদের ব্যাচের ফ্রেশার আয়োজনের সময় আসলো, তখন মিটিং এ এক শ্রেণীর ভুদাই পোলাপান বলল, ব্যান্ড আসবে আর্টসেল। আমরা গুটিকয়েক পোলাপান "ওয়ারফেজ" এর কথা বলেছিলাম, কিন্তু তারা আমাদের মুখের উপ্রে ঝাঁটা মেরে বললো, "ধূর!! ওয়ারফেজের গান কয়জন শুনছে? আর্টসেল, আর্টসেল"। সেদিন থেকে আর্টসেলরে মায়রে বাপ বলে দিলাম। যেই পথে আর্টসেল থাকে সেই পথে আমি নাই, খুদাপেজ।
১.২ ...
"কনসার্ট ফর মেরাজ" এ মনে হয়। আমি সাউন্ড সিস্টেমের একদম ধারে দাঁড়ায়ে গান শুনতেছি। ড্রামস আর বেইজের বিটের সাথে সাথে আমার গলার রগ কাঁপছে। আর সেটা কাঁপাচ্ছে ওয়ারফেজ। ততদিনে আমার ওয়ারফেজের সব গান মুখস্ত। এমন সময়, পাশে দাঁড়ানো প্রায় আমার বাবার বয়সী এক ভদ্রলোক বলেন, "ভাই আপনি আমাকে একটা প্রশ্নের উত্তর দেন তো?" আমি বলি, কী? "বাংলাদেশে ওয়ারফেজ ছাড়া আর কেউ গান গাইতে পারে? আপনিই কন।" আর কেউ গান গাইতে পারে কিনা, এই নিয়ে আমি তার সাথে তর্কে যাইনি ঠিকই তবে এইটা স্বীকার করেছি যে, বাংলাদেশে কোন ব্যান্ড যদি সত্যিকারের রক করতে পারে, তাহলে সেইটা ওয়ারফেজ, বাকী সব গান্ধা। ধন্যবাদ।
ফার্স্ট ইয়ারে আমি খুব ভাবতাম, ইস!! যদি ব্রায়ান এডামসের একটা লাইভ কনসার্ট দেখতে পাইতাম, জীবনটা ভরপুর হয়ে যেতো। সেই লিস্টিতে পরে আরও অনেকে যোগ হয়েছে, অনেকে বিয়োগ হয়েছে। কিন্তু এই সকল স্বাপ্নিক হাইপোথিসিসকে গুলি মেরে সত্যিকার অর্থেই একটা ভরপুর কনসার্ট দেখেছি আইইউটিতে থার্ড ইয়ারে ফ্রেশারস রিসিপশনে। "এক্মুঠো বালাম" এর বদলে তখন ফিরে এসেছে মিজান আবার। বদলে যাওয়া এক গলার স্বর নিয়ে। যেই আইইউটিতে এক লাখ আশি হাজারে বিনিময়ে জেমস বলদাটা মাত্র আটটা, নয়টা গান গাইয়া খুদাপেজ বলে, সেখানে ওয়ারফেজ গাইলো বিশটা গান। খুব সম্ভবত সময় শেষ বলে আয়োজকরা না থামালে সেইটা আরও দীর্ঘ হতো ...
তাই, যতদিন স্করপিয়ন, মেঠালিকা, কিংবা অন্য কারও কনসার্ট দেখা হচ্ছেনা, ততদিন আমার দেখা সেরা কনসার্ট ওয়ারফেজ আইইউটিতে যেটা করলো সেটা। গতকাল বুয়েটে ওয়ারফেজের কন্সার্ট দেখতে যাবার আগে এইসব লিখছি। পরে অডিটোরিয়ামের অসংখ্য মানুষ, বাতাসের সংকটে শুধু শিরোনামহীন শুনেই চলে আসতে হয়। ব্যাপার্না। নেক্সট টাইম। আপাতত দুইটা গান ...
|
|
২ ...
বন্ধুদের মধ্যে মিলিটারি ইন্সটিটিউট অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলোজিতে দুই ধরণের দলই আছে। এক দল হাঁটু, আরেক দল আমার মতো বেলাডি সিভিলিয়ান। হাঁটু পার্টি এখন বড় কষ্টে আছে। সেনাকুঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দরবারে MIST এর অফিসাররা সবচেয়ে বেশি বেয়াদ্দপি করছিল, তাই প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে পুড়ে খান খান হয়ে তাদের সবাইকে পড়ালেখা ইস্তফা দিয়ে ইউনিটে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মন খারাপ "নেভাল কাউ" যারা- বেয়াদ্দপি করার সময় তারা কিছু করে নাই, কিন্তু এদিকে পাশ করতে দেরি হলে প্রমোশন দেরিতে হবে, পরে জুনিয়র পোলাপান তাদের স্যার হয়ে যাবে ...
এবং এই সব কিছুর মাঝে বেলাডি সিভিলিয়ানরা ব্যাপক মৌজে আছে। তাদের জন্য ঝাকানাকা হল বানানো হয়েছে। সেই হলে সামনে বিশাল বারান্দা, পিছনে এটাচ বারান্দা, বাথরুম। রুমে 1 mb/s ইন্টারনেট লাইন। দুনিয়ার সামাজিক ছবি নামাইতে নামাইতে তারা সবাই প্রায় দিনকে দিন হাড্ডিসার হয়ে যাচ্ছে ...
এক এমবি লাইনের মৌজ নিতে সেদিন গেলাম হলে। সচলের মা.মু ভাইয়ের লিংকের সিনেমা যেগুলো দেখা হয়নাই, তার মধ্যে থেকে কয়েকটা ধুম-ধাম নামিয়ে ফেললাম। ফাইন্ডিং নেভারল্যান্ড, উইম্বলডন, আউট অব আফ্রিকা , দ্য গুড, দ্য ব্যাড, দ্য আগলি, এনিমি এট দ্য গেটস, মাই কাজিন ভিকি, লাভ স্টোরি- এইগুলো ডিভিডিতে ভরে বাসায় নিয়ে আসলাম ছুটিতে আরামসে দেখবো বলে।
সেই দেখা এখনও শুরু হলো না। ডিস্টাপ দিচ্ছে ৩০ রক সিরিয়ালটা। এইটা শেষ না করে অন্যকিছুতে মন বসানো যাচ্ছে না ...
৩ ...
৩৬০ বন্ধ করে দেবার আকাংখা ইয়াহুর অনেকদিন ধরেই ছিল। ব্লগারদের ক্ষেপানোর জন্য কোটি কোটি বাগে ভর্তি করে রেখেছিল জায়গাটা। মন্তব্য করা যায় না ঠিকমতো, পোস্ট দিতে হলে হাজারবার ট্রাই করা লাগে। মিজাজ বিলা করে কয়েকদিন আগে চলে এসেছিলাম ব্লগস্পটে। আরেকজন রয়ে গেছিল।
তবে আর থাকতে পারবেনা। এই মাত্র মেইল পেলাম ৩৬০ বন্ধ করে দিচ্ছে ইয়াহু। গুডবাই ৩৬০, উই উইল মিস খামু ইয়ু ...
৪ ...
ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন বাহার। আর সেটা করতে গিয়েই এইচ এস সি'র ফলাফল খুব খারাপ হলো। বাবা তাকে বের করে দিলেন বাসা থেকে। প্রচন্ড অভিমানে বাহার ভাবলেন, দেশ ছাড়বেন। পাসপোর্ট করাই ছিল, পরিচিত একজনের কাছ থেকে পাঁচশ টাকা নিয়ে রওনা হলেন বেনাপোল সীমান্তের দিকে। পৌঁছালেন কলকাতা। দেখতে দেখতে ফুরিয়ে এলো টাকা পয়সা। বাবার দেওয়া হাত ঘড়িটা বিক্রি করে চললেন হায়দারাবাদ, সেখান থেকে দিল্লি। আজমীর শরীফের বিনামূল্যের খিচুড়ি খেয়ে কয়েকদিন ঘুরে বেড়াবার পর সিদ্ধান্ত নিলেন আবার সীমানা অতিক্রম করবেন। রাজস্থান সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করলেন পাকিস্তানে। পাকিস্তানে তিনি ছিলেন অনেকদিন। তারপর চলে গেছেন আফগানিস্থান, সেখান থেকে ইরানে, সেখান থেকে ইরাক, ইরাক থেকে জর্ডান আর প্যালেস্টাইনে। প্যালেস্টাইনে যুদ্ধ করেছেন। তারপর এক লোকের সহায়তায় আফ্রিকা পাড়ি দিলেন। আফ্রিকার মৌরিতানিয়া, মিশর, ঘানা, বুরকিনা, ফাসো, গিনি বিসাও সহ আরও অনেকগুলো দেশে থেকেছেন, কাজ করেছেন। গিয়েছেন গ্রানাডা দ্বীপে, গিয়েছেন কিউবায়। কিউবা থেকে নৌকায় চেপে আম্রিকার ফ্লোরিডায় ঢোকার চেষ্টা করেছেন, পারেন নি- ফেরত পাঠানো হয়েছে। বিতাড়িত হয়েছেন লন্ডন আর প্যারিস থেকেও। বিশ বছরে পৃথিবীর চল্লিশটিরও বেশি দেশে থেকে শেষ আস্তানা গড়েছেন আমস্টার্ডামে।
পড়ছি শাহাদুজ্জামানের "আমস্টার্ডামের ডায়রি"। এই বইয়েই পাওয়া গেলো বাহারের (ছদ্মনাম) এই জীবন সংগ্রামের কথা। বইটা দারুন। ভ্রমণকাহিনি ভালো লাগে এমন সবাই পড়ে দেখতে পারেন। বইয়ের সাথে সংযুক্ত আছে ০৬-০৮ এ প্রথম আলোতে লেখা সীমিত কলামগুলোও।
হাতের কাছে রেখে দেওয়া আরেকটা বই পড়ছি একদুই পাতা করে। সেলিনা হোসেনের "লারা"। এতসব চ্যালেঞ্জার মানুষের চ্যালেঞ্জিং জীবন কাহিনি পড়ে ক্যামঞ্জানি ক্যামঞ্জানি লাগে। জীবনটা শুয়ে বসেই কাটায় দিলাম। ক্লাস এইটে "কালপুরুষ" বইটা পড়ে খুব ইচ্ছে ছিল অর্ক হবার, কিংবা কলেজে উঠার পর "গর্ভধারিণী" পড়া শেষে আনন্দ হবার। এর কোন কিছুই হয়ে উঠেনি। মনে হয়- আমি ভবঘুরেই রবো এটাই আমার অ্যাম্বিশন ...
মন্তব্য
আমি পরপর ২টা ওয়ারফেজ কনসার্ট দেখতে পারি নাই বুয়েটে (
-----------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক
আমি তো ভাবছিলাম মেকানিকাল ডে তেও কনসার্ট হবে, ওয়ারফেজ আসবে। পরে শুনলাম হবে না ...
বুয়েটে কনসার্ট হয় সিভিল আর ট্রিপল ই ডে তে বলতে গেলে। এছাড়া র্যাগের অনুষ্ঠানে হয়। এই দুই বিভাগেরই টাকা পয়সা আছে!!
আমাদের সময় ওয়ারফেজের কনসার্ট পাইসিলাম একটা। কনসার্ট যে খুবই ভাল্লাগসে, তা বলব না। তবে একটা পোস্টার পাইসিলাম, 'মহারাজ' অ্যালবামের। সেটা আমার রুমের (৫০৯) দরজায় লাগানো ছিল পুরা তিন বছর। জানি না এখনো আছে নাকি। দেইখো তো উঠায়া ফেলসে নাকি। তবে ওয়ারফেজ ছাড়া বাকি সব ব্যান্ড গান্ধা, মানতে পারলাম না। আমার তো আর্টসেলও ভাল্লাগে। 'দুঃখবিলাস', 'পথ চলা', 'অবশ অনুভূতির দেয়াল' সহ ওদের বেশ অনেক গান আমার খুব প্রিয়। আবার ব্ল্যাকের প্রথম অ্যালবামটাও আমার খুব খুব খুব প্রিয়।
এক মেগার একটা লাইন পাইলে ডাউনলোড করে ফাটায়া ফেলতাম। মাঝে মাঝে নিজের শামুকগতির নেট নিয়ে খুব দুঃখ হয়।
আর ৪/৫টা এপিসোড দেখলেই থার্টি রকের থার্ড সীজন শেষ হবে। প্রথম দুইটাই বেশি জোস। এই সিরিজে ফান আইটেমের পরিমাণ আশংকাজনকভাবে কমে গেছে। কিছু অংশ খুব মজার, তবে আগের সীজন দুইটার মতো না। এই সীজনের মজা মূলত ট্রেসি-জেনাকে নিয়ে।
৩৬০ তে আমার কোনো অ্যাকাউন্ট ছিল না। তোমার ৩৬০ রোমান্স দেখে মাঝে একটা অ্যাকাউন্ট খুলেই ফেলসিলাম, তবে পরে আর কিছু লেখা হয়নি। এরপর তো শুনলাম ইয়াহু! নাকি ৩৬০ বন্ধ করে দিচ্ছে।
'আমস্টার্ডামের ডায়েরি', 'লারা' বই দুইটা পড়ার ইচ্ছা হচ্ছে খুব। দারুণ লিখসো এই অংশটা। পুরা লেখাটাই সুন্দর, তবে এই অংশটা বেশি জোস লাগসে। মুগ্ধতা জানাইলাম।
ভাল থাইকো। ঘুড়ি উড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে আমাদের জন্যও টুকিটাকি কিছুমিছু লিখো।
বাকি সব গান্ধা- শুনে রাগ কইরেন না। আমি আসলে বলছি কনসার্টে "রক" করার কথা এমনে আর্টেসেলের প্রথম এলবাম আর মিক্সড এলবামের গানগুলা আমারও খুবি প্রিয়, ব্ল্যাকের প্রথম এলবামও দারুন, ভালোলাগে শিরোনামহীন, ভাইভ, নেমেসিস, অর্থহীন, ট্রাপ, ওয়াটসন ব্রাদারসও ... কিন্তু কন্সার্ট সবচেয়ে জমায় ওয়ারফেজ, সেকেন্ড ব্ল্যাক। এর উপরে কথা নাই ...
থার্টি রকের থার্ড সিজন দেখবো না তাহলে। আজকে বিকাল থেকে এইটার উপ্রেই আছি। এখন ঘাড় ব্যাথা করতেছে ...
০১
১ মেগাবিট পার সেকেন্ডের লাইন দিয়ে পোলাপান করেটা কী হায় রে অভাগা মোরা ব্লাডি সিভিলিয়ান, ১২৮ কিলোবিট পার সেকেন্ডেই দিন কাটে
০২
সংগীতের ব্যাপারে আমি মোটামুটি সর্বভুক। ওয়ারফেজ পছন্দের ব্যান্ড। পছন্দ আর্টসেলও ( প্রথম অ্যালবামটাই, আর মিক্সডে যা গেয়েছে এর আগে ), কিন্তু ওদের ভক্ত পোলাপাওন বড় বেশি অন্ধ, বিরক্ত লাগে মাঝে মাঝে। হতাশা, অবাক ভালোবাসা, যখন কিংবা মুক্তি চাই - এর মতো গান যারা গেয়েছে তারা যে ফ্যালনা না - এই বোধটা থাকা জরুরী।
০৩
ইয়াহু ৩৬০ তেমনভাবে কোনদিনই টানে নি।
তবে এই "বন্ধ করার স্রোতে" হারিয়ে গেছে এম-এস-এন গ্রুপ সার্ভিসও। সম্ভবত আমার ব্যাচে আমিই প্রথম ব্যাচ গ্রুপ খুলেছিলাম, বুয়েট ০৩ এবং ইয়াহু ০৩, দুটোই এম এস এনে। অল্প কিছুদিন পরই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলাম। এরপর অলস পরে থাকতো গ্রুপ দুটা। কয়েক মাস পর পর মেইল আসতো, তোমার গ্রুপ ইনঅ্যাকটিভ, ডিলিট ঠেকাইতে চাইলে এই বাটনে চিপি দাও। এভাবেই বহুদিন ঠেকিয়ে রেখেছি।
সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হলো, বুয়েট শেষ হয়ে যাওয়ার পর পরই এম এস এন মেসেজ পাঠালো, তারাও গ্রুপ সার্ভিস বন্ধ করে দিচ্ছে। বেশ কাকতালীয়।
০৪
আমস্টার্মডামের ডায়েরী পড়ি নি। নতুন নাকি ? পড়তে হবে।
লারা পড়েছি। এই একটা বই, পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম। মা-মেয়ের এতো চমৎকার সম্পর্কের কথা বইটায় উঠে এসেছে। এই বইটার পড়ার বহুদিন পরও স্মৃতিতে ছিলো।
০৫
অনেকদিন পর বড়সড় একটা লেখা দিলা।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
২ নং আপনি যেমনে ভাবেন আমিও তাই ভাবি। প্রকাশ একটু রুড হইছে। পোলাপানের উপ্রে বিরক্ত তাই ...
আমস্টার্ডামের ডায়রি প্রথম প্রকাশ, ফেব্রুয়রি ২০০১ এ। তবে আমার কাছে যেটা আছে সেইটা দ্বিতীয় সংস্করণ- বের হইছে ২০০৯ এর বই মেলায়। লারা আমাকে একজন পড়তে দিসে। সে নাকি বইটা পড়ে পুরাই ফিদা ...
বিশাল মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি তো ভাবলাম লেখাটা প্রচুর বোরিং হইছে, কেউ পড়বে টড়বে না।
লেখা ভালো লাগলো খুবই। গান নিয়ে একটু হতাশ হলাম হতাশা শুনে, গানের কথা নিয়ে বিশেষত। তবে গিটারিং খুবই উৎকৃষ্ট। আমি অবশ্য রকসঙ্গীতের বোদ্ধা নই, আমার মতামত তেমন মূল্যবান নয় এ বিষয়ে।
আরো লিখুন। নাকি বলবো, আরো ঘুড়ি ওড়ান?
যাক শুধু "হতাশা"টা নিয়ে বললেন। আসলে পিচ্চি ছিলাম তো তখন, এইসব লিরিক টিরিক মাথাতেই ঢুকতো না।
আজকে কি বানান ভুল নেই?
আপনি শুধু বানান ভুল ধরাটাই দেখলেন? দুঃখ দিলেন ভাই।
আজকাল আর ভুল ধরি না। বাবামা প্রজেক্ট এসে অবধি সামগ্রিক বানানের মান অনেক বেড়ে গিয়েছে, এখন সে প্রয়োজন ফুরিয়েছে একরকম।
আহা!! সরি সরি। জাস্ট মজা করে বলছিলাম ... মন খারাপ করেন কেনু কেনু কেনু?
আর এই যে, আপনি সচলে আপনি আসার পর থেকে আমার সবগুলো পোস্টে পড়লেন, মন্তব্য করলেন, এইজন্য বিশাল থ্যাংকু।
মূলত পাঠক ভাই, আপনি ওয়ারফেজের অবাক ভালোবাসা, পথ চলা, বৃষ্টি, যখন, নির্বাসন ইত্যাদি শুনে দেখতে পারেন, মনে হয় না লিরিক নিয়েও কোন অভিযোগ থাকবে তখন আর। রক/মেটাল জনরা অন্যান্য ধারার মিউজিকের থেকে একটু কম লিরিক নির্ভর, ইন্সট্রুমেন্টালের দিকে নির্ভরতা একটু বেশি। কিন্তু তাই বলে লিরিকের গুরুত্ব কোন অংশে কমে না, বরং কোন গান তখনই সম্পূর্ণ মনে হয় যখন লিরিক-ইনস্ট্রুমেন্টাল মিলে একটা সম্পূর্ণ আবহ তৈরি করে।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ভাইয়া ভাল আছেন
লেখা পড়ে আমোদ পাইলাম, আজকে শুদ্ধ বাশ খেয়েছি একটা তারপরেও এই লেখা পড়ে বড়ই আমোদ পাইলাম। ৩৬০ এ আপনার লেখা ব্লগ গুলোর মাঝে যেগুলো দেখান যায় সেইগুলা দেখায়েন
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
হ ভালু আছি।
বাশ খাওয়া কোন ব্যাপার না ... আমি এইবার ফেল খামু কিনা এই নিয়ে চিন্তায় আছি ...
দেখামুনে ...
- কনসার্ট দেখতে পারি নাই এখনো।
তবে আহসাও ছাড়ি নাই এখনো। একদিন না একদিন হবেই...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ। সব হইবো। জীবন তো হব্বায় শুরু ...
থাকো কোন সমস্যা নাই।
আমি রক মিউজিকের ভক্ত না হওয়ায় এ বিষয়ে তেমন কিছু বলতে পারছি না।
ধন্যবাদ
ওয়ারফেইজের কনসার্ট দেখছিলাম আমরা! সেই কনসার্ট ফর টিচার এর সময়, তখন মাত্র টেস্ট দিছিলাম স্কুলের, উইমেন কমপ্লেক্স এর মাঠে সবাই দাঁড়ায়া আছি ওয়ারফেইজের জন্য, সেই প্রথম সুমন আসলো স্টেজে ওয়ারফেইজের নতুন বেইজ গিটারিস্ট। একটু পরে শুরু হইলো জীবনধারা গানটা, আর সঞ্জয় দৌড়াইয়া আসলো, আর সবাই লাফালাফি! আমার দেখা এখনো পর্যন্ত সেরা কনসার্ট ওইটা, ওয়ারফেইজ ওইদিন ১৮টা গান গাইছিল। পরে জেমস, এল আর বি ও আইছিল, ধুর বেইল নাই!
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আহ!! মিস করলাম ...
ভাই, এত বড় লিখা পড়া ভীষণ কষ্টকর, তারপরো পড়লাম আরকি! লাস্ট পেরার লিখাটি আমার বেশ ভালো লেগেছে।
আপনার মন্তব্যের পর আমি পোস্টটায় আরেকবার চোখ বুলালাম। বড় হয়ে গেছে আসলেই ...
আর লিখি অল্প কিছু মানুষজনের জন্য- সবাই পড়বে এমন কোন আশা থাকেনা। কিন্তু আপনি যে কষ্ট করে এই অর্থহীন আবজাব পড়লেন, এইজন্য বিশাল ধন্যবাদ ...
আমি ওয়ারফেজের রি-ইউনিয়ন কনসার্টে ছিলাম, এর চেয়ে ভালো কোন কনসার্ট আর কোন দিন বাংলাদেশে হওয়া অসম্ভব। কোন কালেও হবে না। এরকম প্যাশন নিয়ে আর কোনদিন ওয়ারফেজকেও গাইতে শুনি নাই।
জীবনে শুধু আর একটা ব্যান্ডকে লাইভ দেখার ইচ্ছা আছে - মেটালিকা।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ওয়ারফেজ আমারো অন্যতম প্রিয় ব্যান্ড। আর্টসেলের গান শুনি নাই, তাই বলতে পারছি না কিছু।
তোমার লেখা পইড়া ব্যাফক মজা পাইলাম
আর পরিশেষে তোমার সাথে গলা মিলাইলাম -
আমি ভবঘুরেই রবো এটাই আমার অ্যাম্বিশন..........
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
পিথীমি একটা নীল রঙের নিগার সুলতানা, সেখানে মজা পেতে আর মজা লাগে না ...
মন্ত্যবের জন্য ধন্যবাদ। শুধু এইটার লোভেই এখনও লিখতে পারি।
প্রথম এ্যলবাম শুনেই ওয়ারফেইজের মহা ফ্যান হইছিলাম। এবং তখন ওয়ারফেইজ, ইনঢাকা, রকস্টার্টা ছাড়া আর কারো বেইল ছিলো না। সারগাম "অবাক ভালোবাসা" আর ফার্মগেট শোরুম একই দিনে উদ্বোধন করলো। দুপুর থেকে বসেছিলাম সেখানে, অটোগ্রাফসহ পোস্টার নিতে। ঐ আমলে এমনিতেই নগরের কোনো কনসার্ট মিস করতাম না। রাস্তা দিয়া সাউন্ড সিস্টেম যাইতে দেখলে পিছু নিয়া নিয়া গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানেও গেছি। ওয়ারফেইজ মিস হওয়ার তো কোনো চান্সই ছিলো না।
সঞ্জয় বাবনা ওয়ারফেইজ ছাড়ার পরে আমিও ছাড়ান দিছি। ছিঁচকাদুনে বালাম আর খুইল্লোচ্চারণের মিজান গাইতেছে ওয়ারফেইজে, এইটা সহ্য করা সম্ভব না। আমি এখনও তাগো পুরান গানই শুনি।
মূলত পাঠক মিয়ারে কেউ একজন অবাক ভালোবাসার লিঙ্ক দেন।
রকস্টার্টা শুনছেন? শুনে দেখতে পারেন। আমার কাছে আছে, দিমুনে। ইনঢাকাও আছে, খুঁজে দেখতে হবে।
তবে রকিতিহাসে একটা দারুণ এ্যলবাম হইছিলো এই দেশে। ক্রিপটিক ফেইটের প্রথম এ্যলবাম। শাকিব, ফারশেদ, ইরেস যাকের এরা সব পড়তো স্কলাস্টিকায়, ৯৮এ ব্যান্ড বানায়া একটা ইংলিশ এ্যলবাম করলো। শুইনা পুরা মাথা আউলা দশা হইছিলো। দেশি রক ব্যান্ড এইরকম হইতে পারে ধারণাই ছিলো না। শাকিব ছাড়া বাকি সবটি দেশ ছাড়ার পরে ব্যান্ডটা যখন রেগুলার পারফর্ম শুরু করলো দেশে, ততদিনে এদের জৌলুষের সব শেষ। ফারশেদের বারিধারার বাড়িতে কিছু প্র্যাকটিসে থাকছিলাম, সেই শেষ।
উফ, মন্তব্য বড় হয়ে যাচ্ছে অনেক, কিন্তু কথা শেষ হয় না। যাইগা এখন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি একটু গান্ধ আছি। ইন ঢাকা, রকস্টার্টার নাম শুনছি বেশিদিন হয় নাই। গান শুনছি একটা। বাবনার সুর করা। তারপর থেকে এই দুই ব্যান্ডের এলবাম খুঁজতেছি। যাক আপনার কাছ থেকে একদিন যেয়ে নিয়ে আসতে হবে।
আর একদম ডুবে থাইকেন না। মাঝে মাঝে মাথা তুলে বিশাল বিশাল মন্তব্য করে যাইয়েন।
ব্যান্ড বলতে ওই একটাই। ওয়ারফেজ।
আমার কাছে ওয়ারফেজ মানে হচ্ছে সঞ্জয়, টিপু, বাবনা, কমল, আর রাসেল।
মন্তব্য এডিট: এইসব ধুনের বালাম/মিজানরে ওয়ারফেজে যে আনছিলো তারে একটা উষ্টা মারতে পারলে আরাম পাইতাম।
স্বপ্নের লাইন আপ। এর তুল্য কিছু এই দেশে আর কখনো হয় নাই, হইবো না।
উইনিংয়ের রাসেলরে প্রস্তাব দিছিলো ওয়ারফেইজে গাইতে। সে রাজী হয় নাই, বলছিলো আমি ওয়ারফেইজের মেইন ভোকাল, এইটা তো আমি নিজেই সহ্য করতে পারুম না।
মনের কথা কইছেন... চলেন টিপুরে পিটাই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
একটা সময় ছিল যখন বুয়েটের মেকানিক্যাল ডে'র অনুষ্ঠান মানেই ওয়ারফেজের অঘোষিত কনসার্ট। কারণ, মেহমুদ জগলুল করিম বাবনা তখন মেকানিক্যালের ছাত্র। শুধু মেকানিক্যাল ডে কেন, যন্ত্রকৌশল সংসদের যে কোন অনুষ্ঠানেই ওয়ারফেজের দুই/একজন মেহমানের আনাগোনা ছিল। অবশ্য সে আমলে অমন কনসার্ট আরো ছিল সিভিলে। সুমন ভাইয়ের কল্যানে সিভিল ডে'র প্রোগ্রাম মানে ছিল চাইমের অঘোষিত কনসার্ট।
মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের পয়সা কোন কালে ছিল না। তার ওপর বাইরে থেকে স্পন্সর বা অ্যাড নেবার বাধাতো ছিলই। তারপরও বুয়েট ফেস্টিভ্যালগুলোর অন্যতম আকর্ষন ছিল মেকানিক্যাল ডে'র অনুষ্ঠান, কনসার্ট। এর কারণ, ডিপার্টমেন্টের ছেলে-মেয়েরা, তাদের আগ্রহ, উদ্যম। আজীবন প্রচুর পয়সার মালিক সিভিলরা নিয়মিত দেখিয়ে দিত হাবিজাবি অনুষ্ঠান কীভাবে বানাতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সাড়ে এগারো লাখ টাকা স্পন্সর পাইছে একটা ফেস্টিভ্যালে। শুনে আমার মাথায় হাত। কতজন যে ফ্ল্যাটের মালিক হয়ে গেলো
আজকে মেকানিকালের অনুষ্ঠান, যদ্দুর জানি ...
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
রায়হানের পোস্টটা পড়ে হুট করে মনে পড়লো, ওয়ারফেইজ একসময় কি পাগলের মত শুনতাম! জীবনধারা বইলা যে টানটা মারে, সেই টান দিতে গিয়া গলা ব্যথা করে ফেলছি কতবার!
এখন যুগ বদলাইছে, আমার ছোট ভাই নাকি আর্টসেল শুনে। আমি শুনি নাই তেমন।
*
লারা হাতে এসেছিলো, পড়ি নাই। আমার কিছু সমস্যা আছে, নার্ভে বিশেষ করে, তাই ইচ্ছে করেই পড়ি নাই। পরে কখনো পড়ে ফেলবো, যদি সাহস করতে পারি।
আমস্টার্ডামের ডায়রিও পড়ি নাই। শাহাদুজ্জামান পড়ে আমি বেশ খানিকটা হতাশ হয়েছি, পেলেও পড়বো কি না বুঝতে পারছি না।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
সত্যি বলতে কী, শাহাদুজ্জামানের কয়েকটি বিহবল গল্পের প্রথম দুইটি গল্প বাদে বাকিগুলো একদম সাদামাটা মনে হয়েছে আমার কাছে। উনার চেয়ে আমাদের স্পর্শ ভাই ঢের ভালো গল্প লিখে।
আমস্টার্ডামের ডায়রি পড়তে অবশ্য খারাপ লাগে নাই ...
ওয়ারফেইজ হইলো ওয়ারফেইজ। কিন্তু পুরান গান নিয়ে নতুন যে এলবামটা করলো তেমন সুবিধার লাগে নাই। মিজানের গলায় কী আর সানজয় আসে?
নির্বাসন- কৈশোর- বন্ধু- স্বাধিকার- অবাক ভালোবাসা- বিচ্ছিন্ন আবেগ- আহ কী সব দিন গ্যাছে।
আর্টসেলের দুইটা গান আমার এক্স্ট্রাঅর্ডিনারী লাগে। রুপক একটি গান আর অপ্সরী।
শাহাদুজ্জামানের বইটা তোর কাছ থেকে নিয়া কিছুদূর পড়ছি। আমিও কনফু ভাইয়ের মতো শাহাদুজ্জামান পইড়া যতটুক আশা করছিলাম পাই নাই।
তবে "ইচ্ছে ঘুড়ি" পড়ে পাই। ওয়ারফেইজের গান শোনার মত ভালো লাগে তোর এই সিরিজ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
বহুতদিন পর। লেখা টেখা শুরু কর।
আহারে ৩৬০ আহারে পুরানো সব দিন।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আরে ৩৬০ এর রকস্টার!!! আপনার ব্লগ ব্যাকাপ নেয়া হইছে?
২
এই সিস্টেম শুনে বিরাট টাশ্কি। কত মুভি নামানোর আছে। পৃথিবীর সব মুভি নামায়া ফেলতে হবে।
৩
আর্টসেলের মত এখন ইয়াহুরেও চিরদিনের জন্য ত্যাগ কর
৪
বইটা পড়তে হবে। অ্যাডভেঞ্চারের কাহিনী শুনলে কত কিছু করতে ইচ্ছা হয়। মনে হয় ঘর ছেড়ে বাইর হয়ে যাই। কিন্তু অন্য রাস্তাও আবার সামনে আসে: ঘরে বসেও তো অ্যাডভেঞ্চার করা যায়।
লেখা সম্পর্কে আর কি কমু। সেইরকম। ইচ্ছে ঘুড়ির তো ভক্ত হয়ে গেলাম।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
বেশি ভক্ত হইস না। কবে মরে টরে যাবো তখন আর তোর আশা মিটাইতে পারবো না
ইদানিং আমার কিছু পড়তে ইচ্ছা করে না।
পড়লেও বুঝি না মনে হয়। তাই সচলেও ঢুকি কম।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হা হা হা। এই লেখাটা অন্যকেউ লিখলে আমি পড়তাম কি না সন্দেহ আছে।
আর আমারও মাঝে মাঝে এমন হয়, লেখাটেখা পড়তে ভালো লাগেনা। সহজ সমাধান হলো, একটু ছুটি নেওয়া। অবশ্য কারে কী বলি, আপনি তো বছরে নয় মাসই সচল থেকে ছুটিতে থাকেন
ফার্স্ট এডিশনেই পড়ছিলাম সেটা জানায়ে গেলাম
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
ফার্স্ট এডিশনেই মন্তব্য পাইলাম না কেন সেইটা নিয়া একটু ছিন্তায় ছিলাম। রাতে ভালো ঘুম হয় নাই এই কয়দিন। যাই একটু ঘুমাই আসি
হাহাহাহাহাহা ভালৈ বলস!
আহাহাহাহাহাহাহাহাহা
কিছু মজার জিনিস শিখলাম
লেখা মজার!
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
নতুন মন্তব্য করুন