ওয়াজ ডারউইন রং?

রায়হান আবীর এর ছবি
লিখেছেন রায়হান আবীর (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৩/০৯/২০০৯ - ১০:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সবার শুরুতেই মারাত্মক একটা ধন্যবাদ জানাতে হয় মহামতি, মহাজ্ঞানী জাকির নায়েককে। বিবর্তন সম্পর্কিত আমার অতিক্ষুদ্র জ্ঞানও অর্জন হতো না, যদি না তিনি চমৎকার একটি বক্তৃতা দিতেন।

যাই হোক, ফাইজলামি বাদ দিয়ে আসল কথাই আসি। গত বই মেলা থেকে বন্যা আপার "বিবর্তনের পথ ধরে" বইটা কিনে মুহাম্মদ। বাংলাভাষায় আরও কয়েকটি বিবর্তন বিষয়ক বই আছে, সেগুলো পড়ি নাই, খালি একটু নেড়েচেড়ে দেখা হয়েছে। তারপরও বলতে দ্বিধা নেই, বন্যা আপার বইটা সত্যিকার অর্থেই দারুন। প্রচুর বিষয় ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হয়েছে বইটিতে। এই বইটি পড়েই বিবর্তন সম্পর্কে বেশ চমৎকার একটা ধারণা পেয়েছি আমি। এছাড়া মুক্তমনার সম্পাদক অভিজিৎ রায়ের বিবর্তন সম্পর্কিত অসংখ্য ব্লগ তো আছেই।

এভাবেই চলছিল। এর মাঝে বিডিয়ার ভাই চীন দেশ থেকে জ্ঞান বিতরণ শেষে ফিরে এসে কয়েকটা ডকুমেন্টারি ধরিয়ে দেন। যার মধ্যে একটা ছিল, ন্যাশনাল জিওগ্রাফীর "ওয়াজ ডারউইন রং"। পরীক্ষার মাঝখানে ডকুটা দেখে মারাত্মক উত্তেজিত হয়ে যাই। বিবর্তনের সাধারণ জিনিসগুলো এতো চমৎকারভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, এরপরও যদি কেউ না বুঝে তাহলে সত্যিকার অর্থেই তাকে "জাকির নায়েক" বলা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। ডকুটা দেখেই একটা সিদ্ধান্ত নেই, পরীক্ষা পরবর্তী ছুটিতে বিবর্তনের একদম সাধারণ জ্ঞান টাইপ একটা লেখা লিখবো। বৈজ্ঞানিক কচকচানি না, সহজ সরল ভাষায়।

প্রচুর প্ল্যান করলেও তা সফল হয় না। এইটা হয়েছিল। সিসিবিতে চার পর্বে ছেড়েছিলাম লেখাটা। প্রতিরাতে একটা পর্ব লিখতাম, আপলোড করেই ঘুমাতে যেতাম, পরেরদিন আরেকটা পর্ব। মানুষজনের ভালো ফিডব্যাক পাওয়া গিয়েছিল। তবে অনেকের অভিমত ছিল ধর্মের দিকে অযথা আঙ্গুল তোলা হয়েছে।

এইকারণে লেখাটা পরবর্তীতে আবার ঠিকঠাক করি। ধর্মের সাথে বিবর্তনের বিবাদ বহু পুরাতন, তাই আঙ্গুল না তুলে লেখা সম্ভব নয়। তবে যথাসম্ভব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। যেহেতু লেখাটার উদ্দেশ্য সাধারণকে বিবর্তন বোঝানো, মগজ ধোলাই না। ধর্ম সংক্রান্ত যাও আলোচনা এসেছে সেগুলো বাইবেলকে ঘিরেই।

পিডিএফ আকারে লেখাটি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। সাইজঃ পাঁচ মেগাবাইট।

দুইজনকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা। একজন সন্ন্যাসী দা। উনি ফরম্যাটিং, বানান ভুল সহ অসংখ্য বিষয়ে উপদেশ দিয়েছেন, বিভিন্ন তথ্য খুঁজে দিয়েছেন। আরেকজন অভিজিৎ রায়। বেশ কিছু প্যারা তাঁর লেখা থেকে অনুমতিক্রমে উদ্ধৃত করেছি সরাসরি।

শেষ করার আগে দুইটি বিষয় সচলে আবার তুলতে চাই।

১। জাকির নায়েক সম্পর্কিত ঐ ভিডিওটা কবে হবে?
২। বন্যা আপা সচলে তার এক ব্লগে মাহবুব লীলেন ভাইকে বলেছিলেন, ছোটদের জন্য বিবর্তন সম্পর্কিত একটা বই যদি থাকতো তাহলে খুব ভালো হতো। এমন একটা প্রজেক্ট নেওয়া যায় না?

সবাইকে ধন্যবাদ।


মন্তব্য

সবজান্তা এর ছবি

চলুক

আমি সিসিবিতে শুধু তোমার লেখাগুলি পড়তেই যেতাম মাঝে। তবে যতো যাই বলো, এইসব লেখায় গোড়া মানুষজনের ইন্টারএকশন ছাড়া ঠিক জমে না দেঁতো হাসি

কুডোস... ফাটায়া ফালাইলা !


অলমিতি বিস্তারেণ

রায়হান আবীর এর ছবি

এখন পর্যন্ত আক্রমনের স্বীকার হই নাই। দেঁতো হাসি সম্ভাবনা কম। আর কমপ্লিমেন্টের জন্য বিশাল ধন্যবাদ।


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

তোমারে দাড়িয়াল এখনো "কতল" করে নাই? দেঁতো হাসি
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

রায়হান আবীর এর ছবি

দেঁতো হাসি দাঁড়িয়ালা বেতন বৃদ্ধিজনিত আন্দোলনে ব্যস্ত আছে এখন। আমাদের দিকে খেয়াল নাই।


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

এনকিদু এর ছবি

সবার আগে পেট ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

জব্বর।

রায়হান আবীর এর ছবি

ক্যামন লাগলো বইলেন। হাসি


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

তানবীরা এর ছবি

ডাউনলোড করেছি, দেখি আমাদের হয়রান এখন বিবর্তন নিয়ে কি বলেন ? হাসি
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

রায়হান আবীর এর ছবি

অবশ্যই ছাতিপু!! শয়তানী হাসি ধূ-গোদারে নোবেল দেওয়া উচিত নামটার জন্য। দেঁতো হাসি


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

ডাক্তার আইজুদ্দিনকে নিয়মিত রায়হানকে 'হয়রান' সম্মোধনে আমি ভেবেছিলাম এটা তারই দেয়া। এখন জানলাম এর কৃতিত্ত্ব ধূ-গো'র ।
ধন্যবাদ ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

সমুদ্র এর ছবি

দারুণ কাজ। নামালাম পিডিএফটা, পড়িনি এখনো। ছোট্ট একটা পরামর্শ, পিডিএফের শেষের তথ্যসূত্রের লিঙ্কগুলো হাইপারলিঙ্কড করে দিলে ভালো হতো, পাঠক একটা ক্লিক করেই চলে যেতে পারতো ওয়েবে। পিডিএফ বানানোর আগে এমন করা যায় বোধকরি।

"Life happens while we are busy planning it"

রায়হান আবীর এর ছবি

হুম। ফরম্যাটিং এ আরও কিছু সমস্যা আছে। সব সবজান্তা ভাই ঠিক্করে দিতেছে। দেঁতো হাসি


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

তানবীরা এর ছবি

তারাইতে ভুলেগেছলাম দেঁতো হাসি
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

রায়হান আবীর এর ছবি

যাক!! গত কয়েকদিনে অনেক তারা খাওয়া হলো। দেঁতো হাসি


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

নামাইতাসি। তারা দিতার্মু না, অভিনন্দন দেই।
...ওহ, 'বুবুদের জন্যে বিবর্তন ' নামক লেখাটার কী খবর ?? দেঁতো হাসি
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

হিমু এর ছবি

যদি এক্টা লটো জিত্তে পার্ত্তাম! জোকার নায়েকের কালা পাছা লাল কইরা দিতাম সিনেমা বানাইয়া।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

মানুষ এর ছবি

প্রথমবার মহাজ্ঞানী জোকার নায়েক শুনে বুঝতে পারিনি কার কথা বলছেন। পরে বুঝতে পেরে পেট ফেটে হাসি আসার জোগার হোলেও হাসতে পারছিলামনা, আসেপাসে জোকার নায়েকের অগনিত ভক্তকুল থাকার জন্য।

হিমু এর ছবি

বিবর্তনের আইডিয়াটা ছোটোদের সামনে তুলে ধরাটা একটু কঠিন। বরং কিশোরোপযোগী বই লেখার চেষ্টা করা উচিত। শিশুদের জন্যে প্রয়োজন বিবর্তনের যে নিদর্শনগুলি আছে, সেগুলির ওপর প্রচুর ছবি সম্বলিত কিছু লেখা।

আমি ভাবছিলাম এরকম কিছু পিচ্চিতোষ গল্প লিখবো। ছক কাটা আছে মনের মধ্যে। কেবল সময় পাচ্ছি না মন খারাপ



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমরা ছোটবেলায় ছোটদের বিশ্বকোষে মোটামুটি ভালো একটা ধারণা পাইছিলাম বিবর্তন সম্পর্কে। ঐটারে বর্তমান রিসোর্স গুলির সাথে তুলনা কইরা একটা সিনথেসিস টাইপ কিছু বানাইয়া ই-বুক করলে খুব ভালো হয়। সিনথেসিস করার সময় ছাগুরা এই পর্যন্ত কোন কোন পয়েন্টে ক্যাচাল করছে সেইটা জাইনা নিয়া সেগুলির টেকনিক্যাল জবাব ভইরা দিলেই হৈবো।



অজ্ঞাতবাস

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

ছোটদের বুক অফ নলেজ বা বিশ্বকোষের বিবর্তন বিষয়ে লেখাটা খুব সুন্দর। এভাবে লিখলে ভালই হবে মনে হয়।

----------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

রায়হান আবীর এর ছবি

আমি ভাবছিলাম এরকম কিছু পিচ্চিতোষ গল্প লিখবো।

সময় জোগাড় করে এই কাজটা আপনাদেরই করতে হবে। গল্প তো সবাই লিখতে পারেনা। অপেক্ষায় থাকলাম- আইজুদ্দিন।


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার একটা ক্লোন বানাই ফালান। ঐটারে দিয়া সারাদিন লেখাইবেন। কোন আইডিয়া আর বাদ যাবে না। নিদেনপক্ষে চন্ডীশিরা টা তো শেষ হবে আর আমাদের ও সবুরে মেওয়া ফলবে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ছোটদের জন্য বিবর্তনের উপর অতি চমৎকার একটা বই আছে, দেবীপ্রসাদ চট্টপাধ্যায়ের "যে গল্পের শেষ নেই" পড়ে না থাকলে বড়রাও পড়ুন। ভাল্লাগবে আশা করি। বড়দের জন্য বিবর্তনের বই: "মানুষের ঠিকানা" (এই মূহুর্তে লেখকের নাম মনে করতে পারছিনা। খুব দুঃখিত)। এই দুটি বইয়ের কোনটাই নিতান্ত দুষ্প্রাপ্য নয়।

"যে গল্পের শেষ নেই" পড়ে মজা পাবেন বলে আমার বিশ্বাস থাকলেও, "মানুষের ঠিকানা" বইটির উপর আমার এই ঈমান অতোটা শক্ত নয়। তবে যারা বিবর্তন সম্পর্কে জানতে চান তারা এর চাইতে ভাল বাংলা বই খুব বেশি যে পাবেন না, সে এটি পড়তে গিয়ে দু'চারটে দাঁত ভাঙলেও অস্বীকার করার উপায় নেই।

(অ-নে-ক দিন পর সচলে কিছু লিখলাম। লিখতে ইচ্ছে যে করেনা তা নয়। প্রথমত, লিখতে পারিনা! আর দ্বিতীয়ত, দৌড়ের উপর আছি, সময় পাইনা। আপনারা কেমন আছেন সবাই?)

____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আরে, তাইতো...এই বইটার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম...

---------------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

যে গল্পের শেষ নেই
বইটা সম্ভবত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রকাশ করেছে নতুন করে
আর মানুষের ঠিকানা বইটাও নতুন করে কেউ প্রকাশ করেছে (প্রকাশক মনে পড়ছে না)

কিছুদিন আগে এর নতুন একটা ভার্সন দেখলাম একজনের হাতে

দুটোই অসাধারণ বই
বিশেষত বিবর্তন সম্পর্কে বেজ তৈরির জন্য

সবজান্তা এর ছবি

আমি যতোদূর জানি "যে গল্পের শেষ নেই" বেশ পুরানো বই। এর রিপ্রিন্ট করেছে একটা প্রকাশনী ( নামটা এই মুহূর্তে পেটে আছে, মুখে নেই), আর পরিবেশকের দায়িত্বে আছে সন্দেশ প্রকাশনী (আজিজের নিচতলায়, পাঠক সমাবেশের পাশে)।

বইটার দাম একশ টাকার মধ্যেই, ৮৪ টাকা সম্ভবত।


অলমিতি বিস্তারেণ

শিক্ষানবিস এর ছবি

মূল লেখাটা আগেই পড়েছি। নেটে বিবর্তনের উপর বাংলায় এত সহজবোধ্য ও সুন্দর লেখা খুব বেশি নেই। এটা উল্লেখযোগ্য সংযোজন হয়ে থাকবে।

স্পর্শ এর ছবি

ডাউনলোড হচ্ছে...তো হচ্ছে...তো হচ্ছে...তো হচ্ছে......তো হচ্ছে...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

লেখাটা পড়লাম এবং মূলত এই পোস্টে কমেন্টাইতেই আবার লগালাম।
চলুক চলুক চলুক চলুক চলুক
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চলুক
সিসিবিতে আগেই পড়সিলাম। ডাউনলোড করে রাখলাম। আবারও পড়া হবে। বই লিখবা কবে? দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সিসিবিতে সবগুলা পর্বই পড়েছিলাম। এই লেখাটাকেই ঘঁষেমেজে বই আকারে মলাটবন্দী করা যায় কীনা ভেবে দেখেন।

অগ্রিম থাম্বস আপ থাকলো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দ্রোহী এর ছবি

হায়রে!!!!! কী জমানা পড়লো!! কেউ মিসিং লিংকের কথা কয় না দেখি!!!!!!!!!!!!

হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনে হ্যাংওভার দেখছেন? এই ছবিটা হৈলো মিসিং লিংকের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

এক সকালে উইঠা অরা দেখে হোটেলের রুমের ভিতরে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, কাবার্ডের ভিতরে এক পিচ্চি কানতাছে, একজনের দাঁত গেছেগা উইড়া। এখন সবকিছু নাহয় বুঝা গেলো, কিন্তু পিচ্চি আইলো কইত্তে? এক রাইতের মধ্যে তো পিচ্চি আর আসমান থাইকা পড়তে পারে না। আবার যেহেতু পিচ্চির অবস্থান বাস্তব, সেহেতু 'অলীক' বইলা উড়াইয়াও দেওয়া যায় না! এখন পিচ্চির আগমনের শানে নুযুল টাই হইলো মিসিং লিংক। পিচ্চি আছে, সে ওঁয়া ওঁয়া কানতাছে, শুধু বুঝা যাইতেছে না তার এইখানে আসার 'পথ'। এই ঘটনা সমাধান করা মানেই মিসিং লিংক খুঁজে পাওয়া। কিচ্ছা খতম।

বলেন সুবহানআল্লাহ্
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দ্রোহী এর ছবি

হ্যাংওভার দেইখ্যা বেদম মজা পাইছি। মিসিং লিংকের জব্বর ব্যাখ্যা দিলেন দেখি!

কোন একজন এর ছবি

ডাউনলোড করে পরে ফেললাম। খুব সহজ ভাষায় লিখা। যেকেউ খুব সহজে বুঝতে পারবে।
আগের কিছু কনফিউসান লেখাটি পড়ে দূর হয়ে গেলো... অনেক অনেক ধন্যবাদ।

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

এইখানে পুরাটা দিলি না ক্যান! মোল্লাদের চিল্লাফাল্লা ছাড়া মজা হয় নাকি চোখ টিপি

---------------------------
আমার ফ্লিকার

---------------------
আমার ফ্লিকার

মাহবুবুল হক এর ছবি

এখনো লেখাটি নামাইনি, নামাবো। বিবর্তনবাদের সাথে ধর্মের সংঘাত পুরোনো এটা স্বীকার করেও আপনি যদি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে থাকেন তাহলে ভুল করেছেন। পরীবাগের এক "কেন্দ্রে" এ টাইপের আলোচনা হয়। ধর্মের সাথে বিরোধ বা ধর্মবিষয়ে যে কোন সন্দেহের জায়গাগুলো অত্যন্ত ঈমানদারীর সাথে এড়িয়ে যাওয়া হয় এবং এক শ্রেণীর যুবক-যুবতী তাতে আধুনিকতার মিশেল এক ধরণের মোল্লাগিরিতে অভ্যস্ত হচ্ছে (জোকার নায়েকের মত) তা আমি নিজেই দেখেছি।

বিরোধের ক্ষেত্রগুলো স্পষ্ট না হলে জ্ঞান কিভাবে পূর্ণ হবে ? আর ব্লগে যদি তা তুলে ধরতে না পারেন তাহলে কোথায় তুলবেন- মসজিদে নাকি গীর্জায় ?
.......................................................................................
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে লিখি কথা
আমি তো বেকার পেয়েছি লেখার স্বাধীনতা

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

রায়হান আবীর এর ছবি

@ মাহবুবুল হক,

ব্যাপারটা এড়িয়ে যাইনি। আপনি একটু নাড়াচাড়া করলেই দেখতে পারবেন। শুধু এপ্রোচটা ভদ্র করেছি। আর তথাকথিত ধর্মানুভূতিতে যেন আঘাত না লাগে সেটাও দেখতে হয়েছে। তবে পক্ষে বিপক্ষের যুক্তিগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এবং বিপক্ষের যুক্তির সোর্স হিসেবে বাইবেলকে গ্রহণ করা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

এনকিদু এর ছবি

পিডিএফ পড়ার পর আবার কথা বলব, আপাতত সাধুবাদ জানিয়ে রাখলাম ।

যারা পিচ্চিতোষ বিবর্তনের বইয়ের কথা ভাবছেন, তাদেরকে একটা জিনিস মনে করিয়ে দেই । শিশু হিসেবে আম কোন বইতে পরিচ্ছন্ন ছবি না দেখলে মহা বিরক্ত হই এবং বইটা সরিয়ে রেখে তার কথা ভুলে যাই । আমার মনোযোগ এবং আগ্রহ জাগিয়ে তুলতে অবশ্যই পরিচ্ছন্ন ছবি থাকতে হবে । উত্তরাধুনিক ঘষা ঘষা ছবি দিলে হবে না ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সুধীর  এর ছবি

একবার এক সরকারী সংস্থার কলেজে জীববিদ্যার শিক্ষক নির্বাচন বোর্ডের বহিঃসদস্য ছিলাম। চার পাঁচ জন ইন্টারভিউ দিতে এলো । এদের মধ্যে একজনের পোশাক আর দাড়ি দেখেই রাজনৈতিক মতবাদ বোঝা যাচ্ছিল। কিন্তু শুধু এ-ই আমাদের টেকনিকাল প্রশ্নগুলোর যথার্থ উত্তর দিতে পারছিল। দেখা গেল বোর্ডের সবাই তার নির্বাচন ধরে নিয়েই বিদায় দিতে চাইছে। আমি একটু অস্বস্তি বোধ করছিলাম, যাওয়ার মুখে থামিয়ে বললাম ঃ আমার একটা শেষ প্রশ্ন আছে। কেউ যদি ক্লাসে তোমাকে বিবর্তন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে তুমি কি করবে। তোমার বিশ্বাসের সাথে এখানে কি একটা বিরোধ তৈরী হবে না? তরুণটি খুব সপ্রতিভ ভাবেই বলঃ না স্যার, আমার পড়ানোর দায়িত্ব আর ব্যক্তিগত বিশ্বাস আমি মিশাবো না।

আমার আশা ছেলেটি তার কথা রেখেছে।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বন্যা আপা সচলে তার এক ব্লগে মাহবুব লীলেন ভাইকে বলেছিলেন, ছোটদের জন্য বিবর্তন সম্পর্কিত একটা বই যদি থাকতো তাহলে খুব ভালো হতো। এমন একটা প্রজেক্ট নেওয়া যায় না?

প্রস্তাবটা বন্যাকে আমি দিয়েছিলাম বছর খানেক আগে
তাকেই বলছিলাম ড্রাফটা দাঁড় করাতে
আর ড্রাফট করলে এর পেছনে আমরা অনেকেই কাজ করতে পারব তাও বলেছিলাম

বন্যার প্রস্তাব ছিল অন্য কেউ যদি এটা নিয়ে চেষ্টা করে তবে ভালো হয় কারণ তার টাইমের কিছু সমস্যা আছে

তারপর বিষয়টা নিয়ে আমি একটু নেড়েচেড়ে আবিষ্কার করেছি-ওটা আমার পক্ষে সম্ভব না
কারণ ড্রাফট দাঁড় করানোর মতো পড়াশোনার ডেপথ আমার নেই

তাছাড়া এটা এমন একটা বিষয় যে কোথাও গোঁজামিল যেমন দেয়া যাবে না তেমনি কোনো বেসিক ইনফরমেশন ছেড়েও যাওয়া যাবে না

কিন্তু অন্য কেউ কাজ করলে ক্রিটিক্যাল রিভিউর কাজটা আমি বেশ ভালো ভাবেই করতে পারব বলে মনে করি

যার কারণে অপেক্ষা করছি কেউ করার

০২

তোমার পিডিএফটা পড়লাম গতকালই
পড়ে মনে হলো এরকম একটা বই তৈরির জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতিটা তোমার ভালো মতোই হয়ে গেছে এর মধ্যে
এই লেখাটাকে বেজ করেই তুমি একটা বই তৈরির দিকে এগোতে পারো
যদি কয়েকটা বিষয় মাথায় রেখে এগোও...

০৩

আমার প্রাথমিক অবজারভেশন হচ্ছে তোমার লেখাটা এ্যাডভান্স রিডারদের জন্য
যারা বিবর্তনের বেসিক বিষয়গুলোতো জানেই; তার সাথে বিবর্তন ঘিরে প্রচলিত বিতর্ক যুক্তি এবং বর্তমান ও অতিত গবেষণাগুলো সম্পর্কেও ধারণা রাখে তাদের জন্য এই লেখাটা তৈরি করেছ তুমি

এবং তোমার উদ্দেশ্যটা হলো বির্বতনবাদকে জাস্টিফাই করা
বিবর্তনের ধারণা দেয়া নয়

বন্যার কাছে আমার প্রস্তাব ছিল কিশোরদের (এবং বেসিক রিডারদের) উপযোগী বিবর্তন বিষয়ে একটা বই

যা সহজ ভাষায় বিবর্তনের ধাপগুলো বর্ণনা করবে
বিবর্তন গবেষণার পদ্ধতি আর প্রক্রিয়াগুলোর বেসিক ধারণা দেবে
বিবর্তন সংশ্লিষ্ট পরিভাষাগুলো সম্পর্কে ধারণা দেবে
বিবর্তন সংশ্লিষ্ট সময়ভাগ (যুগ)গুলোর ধারণা দেবে
এবং প্রচুর ছবি থাকবে বইটাতে

আর প্রতিটা বিষয়ই বর্ণনা করে যাবে লিনিয়ার এঙ্গেল থেকে
মানে শুধুই বিবর্তনের বৈজ্ঞনিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়গুলো বর্ণনার পাশাপাশি বিবর্তন গবেষণার এখন পর্যন্ত গ্যাপ বা অনাবিষ্কৃত এরিয়া কিংবা মিসিং লিংকগুলো পাঠককে ধরিয়ে দেবে

এবং বইটার আগাগোড়া উদ্দেশ্যই থাকবে পাঠককে এইটুকু বুঝিয়ে দেয়া যে পাঠক একটা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ফলাফলসহ ইতিহাস পড়ছে

এখানে অন্য বিতর্ক খণ্ডণ করতে গিয়ে বিবর্তনবাদকে ধর্মের কিংবা প্রচলিত লোককথার বিপরীত পক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে প্রাথমিক পাঠককে ভারী করে দেবে না

প্রাথমিক ধারণা পাবার পরে পাঠক নিজেই নিজের সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে কিংবা এডভান্স স্টাডির দিকে যাবে

০৪

কিশোর কিংবা নতুন পাঠকদের জন্য বাংলায় যে পথ দিয়ে এলাম বইটা অসাধারণ
ভাষায় বর্ণনায় এবং বলার স্টাইলে
কিন্তু বইটার একটা সীমাবদ্ধতা আমার মনে হয়

বইটা যেভাবে গল্পের আকারে ঘটনাগুলো বলেছে তাতে পড়ার পরে যে কোনো পাঠক গল্পের ভেতরে হারিয়ে যাবার আশংকা আছে বইটাতে
যে কারো কাছে এটাকে স্রেফ কাহিনী মনে হতে পারে যদি না তার এই বিষয়টাতে এডিশনাল কিংবা ফারদার স্টাডি থাকে

দজ্জাল কিংবা ইমাম মাহদি কিংবা রেজারেকশন কিংবা গসপেল থেকে যে পথ দিয়ে এলাম-এর বিবর্তন কাহিনীকে আলাদা করা প্রাথমিক পাঠক কিংবা যারা কাহিনীকে কাহিনীর কাঠামোতেই বিশ্বাস করতে পছন্দ করেন তাদের পক্ষে কঠিন

০৫

আমার ধারণা বন্যার বইটাকে বেজ ধরেই তুমি শুরু করে দিতে পারো সেই বইটা লেখা

০৬

অভিনন্দন প্রথম ধাপ অতিক্রম করার জন্য

রায়হান আবীর এর ছবি

দজ্জাল কিংবা ইমাম মাহদি কিংবা রেজারেকশন কিংবা গসপেল থেকে যে পথ দিয়ে এলাম-এর বিবর্তন কাহিনীকে আলাদা করা প্রাথমিক পাঠক কিংবা যারা কাহিনীকে কাহিনীর কাঠামোতেই বিশ্বাস করতে পছন্দ করেন তাদের পক্ষে কঠিন

একমত। প্রথমেই পাঠককে ধাক্কা দেওয়া যাবে না। তাকে গোড়া থেকে গাছে ওঠাতে হবে। টান দিয়ে আগায় ওঠানো অসম্ভব।

আপনার মন্তব্যে উৎসাহ পেলাম। হাতে মোটামুটি সময় আছে। এমন একটা প্রজেক্ট শুরু করা যায়। মোটামুটি দাঁড় করিয়ে ফেলতে পারলে, ঠিক ঠাক করার সময় অনেকের সাহায্য পাওয়া যাবে। ধন্যবাদ। সময় নিয়ে পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য। সচলে পোস্টানো সার্থক দেঁতো হাসি


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

চলুক সরাসরি প্রিয়তে ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

রায়হান আবীর এর ছবি

প্রিয়তে যেতে পেরে সন্মানিত বোধ করছি, মানিক ভাই।


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

বেগুনী-মডু এর ছবি

প্রিয় রায়হান আবীর,

এই লেখায় সংযুক্ত পিডিএফ ফাইলটি খুব সম্প্রতি (সেপ্টেম্বর ১, ২০০৯) আরেকটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত।

একই "লেখা" ভিন্ন কোথাও প্রকাশিত হলে তা সচলায়তনের নীতিমালা অনুযায়ী "ডুয়াল পোস্টিং" বলে গণ্য হয়। এই পোস্টের "লেখা" ভিন্ন হলেও তা মূলত একই সংকলনকে উপস্থাপন করে। নীতিমালার বর্তমান রূপ অনুযায়ী তা অগ্রহণযোগ্য না হলেও ডুয়াল পোস্টিং বিরোধী নীতিমালা প্রণয়নের পেছনে যে উদ্দেশ্য/প্রণোদনা কাজ করেছে (সচলায়তন অনন্য লেখা প্রত্যাশা করে) তা স্পষ্টত লঙ্ঘন করে।

নীতিমালায় পিডিএফ/সংকলনের ক্ষেত্রে ডুয়াল পোস্টিং-এর ধারাটি বর্ণিত না থাকায় এই লেখাটি প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে নিজের ব্লগে নেওয়া হল না। ভবিষ্যতে অন্যত্র প্রকাশিত লেখা ভিন্ন রঙে উপস্থাপন না করার অনুরোধ রইলো। কাজটি সচলায়তনে কঠোর ভাবে নিরুৎসাহিত।

সচল থাকুন, সচল রাখুন।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

হালকা একটু দ্বিমত জানাই ...

রায়হানের পিডিএফটা অন্য প্ল্যাটফর্মে আগেই পড়েছিলাম; তারপরও এই পোস্টটা পড়ার সময় মনে হয়নি যে পুরনো লেখা পড়ছি ... আমি এই পোস্টে আর পিডিএফে ক্লিক করিনি, কিন্তু তারপরও লেখাটা কিন্তু কোন কন্টেন্টবিহীন মনে হয়নি ... বরং আমি এটাকে দেখি লেখার পেছনের কাহিনী হিসাবে ... রায়হানের একটা প্ল্যান ছিল, সেই প্ল্যানটা কিভাবে বাস্তবায়িত হল সেটা নিয়ে ব্লগ ... তাই এটাকে "অন্যত্র প্রকাশিত লেখা ভিন্ন রঙে উপস্থাপন" বলে ঠিক মানতে পারলাম না ...

ধন্যবাদ দেঁতো হাসি
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

বেগুনী-মডু এর ছবি

সচলায়তনের অস্বস্তির কারণ ব্যাখ্যা করছি।

নীতিমালা প্রণীত হয়েছে এক পরতের লেখার জন্য। একাধিক পরতের লেখার জন্য নীতিমালা আক্ষরিক ভাবে প্রযোজ্য নয়। এটা নীতিমালার বর্তমান রূপের সীমাবদ্ধতা। এই লেখার মূল পরত একটি সংকলিত পিডিএফ (যা সিরিজ আকারে একটি প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত, পিডিএফ আকারে আরেকটি প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত)।

এই লেখাটি একই শিরোনামে ("ওয়াজ ডারউইন রং") অন্যত্র প্রকাশিত। এই শিরোনামের সংযুক্ত পিডিএফ-টি উপস্থাপন করার নিমিত্তেই যে লেখাটি প্রকাশিত, তা পাঠকের কাছে স্পষ্ট। লেখার পেছনের কাহিনী উপস্থাপনই উদ্দেশ্য হয়ে থাকলে তা শিরোনামে প্রকাশ পেতে পারতো।

নীতিমালার বর্ণিত ধারার সাথে পোস্টটি সাংঘর্ষিক নয়, কিন্তু এর পেছনের উদ্দেশ্যের সাথে সাযুজ্যপূর্ণও নয়। এই দিকটির প্রতি আলোকপাত করতেই এই প্রয়াস।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আচ্ছা, ধরেন আমি একটি পোস্ট লিখলাম, ধরেন সমসাময়িক একটা বিষয় নিয়ে, এবং সেই লেখার সাথে একটা লিংক প্রকাশ করতে চাইছি, এবং সেই লিংকটা একটি সংবাদপত্রের এবং সেই লিংকটি ইতোমধ্যেই যতোগুলো অনলাইন মাধ্যম আছে, সবজায়গায় প্রকাশিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমার লেখাটিও কি প্রথম পাতা থেকে ডুয়াল পোস্টিং— এর কারণে (যেহেতু অন্যব্লগে প্রকাশিত লিংক আছে) প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দেয়া হবে? জান্তে মঞ্চায়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

বেগুনী-মডু এর ছবি

যদি একই লিংক (উদাহরণঃ প্রথম আলো, ইউটিউব) ভিন্ন ভিন্ন ব্লগার আলাদা প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে থাকেন, তবে তা ডুয়াল পোস্টিং নয়।

যদি একই লেখা/লিংক আপনি নিজে একাধিক ব্লগে পোস্ট করে থাকেন, তবে তা ডুয়াল-পোস্টিং।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- একটা লিংকের চেয়ে পোস্টের কনটেন্টের গুরুত্বটা বিবেচনায় থাকা উচিৎ না ডুয়াল পোস্টিং হিসেবে ফ্ল্যাগিং এর ক্ষেত্রে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রায়হান আবীর এর ছবি

লেখাটা, যারা নিয়মিত আমার লেখা পড়েন তারা সবাই দেখেছেন এইটা আমি ভালো মতোই জানি। তারপরও সচলে লেখাটা পোস্টানো হয়েছে মূলত "পোস্টে যে কথাগুলো লেখা আছে" সেগুলো বলার জন্যই। এটা নতুন বোতলে পুরানো লিংক চালানোর উদ্দেশ্য লেখা না, বেগুনী মডুর এটা বোঝা উচিত ছিল। কিংবা আমিই বোঝাতে ভুল করেছি।

আর যে উপদেশ দেওয়া হলো, সেটা মনে হয় আমাকে দেবার দরকার নেই। বেগুনী মডু নিকের চেয়ে রায়হান আবীর নিকের বয়স অনেক বেশি দেঁতো হাসি

সচলায়তন অনন্য লেখা প্রত্যাশা করে

কেন আপনার মনে হলো, এই লেখাটা অনন্য না। এই ব্লগের কোন শব্দ তো অন্য কোথাও প্রকাশিত হয় নি।

সচল থাকুন, সচল থাকতে দিন। দেঁতো হাসি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমার কিন্তু একবারও মনে হয়নি এটা ডুয়েল পোস্টিং
প্রসঙ্গটা উঠে আসার পরেও মনে হচ্ছে না এটা ডুয়েল পোস্টিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত হতে পারে

বরং মনে হচ্ছে একটা পোস্টের সাথে সম্পূরক লিংক পিডিএফটা
সেই পিডিএফ পড়লেও চলে না পড়লেও চলে

০২

পিডিএফটাতে যে ধরনের লেখা আছে তার কিন্তু ডবল ভার্সন আশা করা সম্ভব না। মানে আলাদা আলাদা ব্লগের জন্য আলাদা আলাদা ভার্সন
বরং আটিংক্যাল কিংবা বইয়ের খসড়া হিসেবে এই ধরনের লেখা একজন লেখক একটাই তৈরি করবেন এটাই স্বাভাবিক
তারপর একটা লেখাই ব্লগ কিংবা ছাপা বিভিন্ন জায়গায় উপস্থাপিত হবে

এক্ষেত্রে বিষয়টা ডুয়েল পোস্টিংয়ের আওতায় চলে এলে বেশ মুশকিলের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে হয় আমার

০৩

এই বিষয়টা ডুয়েল পোস্টিংয়ের আওতায় এলে প্রকাশয়তনের সম্ভাব্য প্রকাশনাগুলোও কিন্তু যে কোনো সময় ডুয়েল পোস্টিংয়ের দোষে দুষ্ট হয়ে যেতে পারে

কারণ আমার একটা বই প্রকাশায়তনে পিডিএফ আকারে প্রকাশিত হলে আমি সেটার লিংক অন্য কোথাও দেবো এটাই স্বাভাবিক
(বিষয়টা আমি প্রকাশায়তন আলোচনায় তুলেছিলাম এবং এতে কোনো সমস্যা থাকার কথা না বলেও মতামত পাওয়া গেছে উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে)

০৪

আমার মানে হয় একাধিক পরতের লেখার ক্ষেত্রে ডুয়েল পোস্টিংয়ের নীতিমালাটা আরেকবার রিভিউ করা দরকার

নিউজ এনাউন্সমেন্ট বই
যেগুলোর সাধারণত দুই ভার্সন হয় না সেগুলো বিষয়ে ভাবা দরকার আরেকটু

রোজারিও এর ছবি

ডুয়াল পোস্টিং বিষয়ক নীতিমালাটি সচল পাঠকদের জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয়। কিন্তু এই নীতিমালার নবতম বিশ্লেষণ পড়ে মনে হচ্ছে ব্যাপারটা শুচিবাই পর্যায়ে চলে গেছে।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

কিন্তু এই নীতিমালার নবতম বিশ্লেষণ পড়ে মনে হচ্ছে ব্যাপারটা শুচিবাই পর্যায়ে চলে গেছে।

ঠিক কী কারণে আপনার কাছে বিষয়টাকে "শুচিবাই" মনে হলো বুঝলাম বলে মনে হয় না। সচলের বর্তমান নীতিমালায় এই পোস্টটাকে ডুয়াল পোস্টিং বলা না গেলেও লিঙ্কের যেই ধরণের ব্যবহার এই পোস্টটাতে করা হয়েছে সেটাকে জোরালোভাবে নিরুৎসাহিত করাকে আমি সচলায়তনের একজন নিয়মিত ব্লগার হিসাবে অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করি।



অজ্ঞাতবাস

রণদীপম বসু এর ছবি

সুমন্দা, ডুয়াল পোস্টিং নিয়ে আগে যতোটা ক্লিয়ার ছিলাম, মন্তব্যগুলো পড়ে মনে হচ্ছে ধারণাটা আবার জট পাকিয়ে গেলো ! লিঙ্ক ব্যবহার করা কিভাবে ডুয়াল পোস্টিং হয় !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

হিমু এর ছবি

পোস্টটা ডুয়াল হয়েছে বলে তো মনে হচ্ছে না। এই নিয়ে তর্ক এইখানে সমাপ্ত হলে পাঠক হিসেবে আমার ভালো লাগবে। মূল প্রসঙ্গে আলোচনা বাড়ুক।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

কীর্তিনাশা এর ছবি

ডাউনলোড করতাসি হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।