• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

আমার মুক্তিযুদ্ধ- হুমায়ুন আজাদ

রায়হান আবীর এর ছবি
লিখেছেন রায়হান আবীর (তারিখ: মঙ্গল, ০৩/০৮/২০১০ - ১১:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[হুমায়ুন আজাদের "আমার মুক্তিযুদ্ধ" নামক লেখাটা প্রথম প্রকাশিত হয়েছিলো খবরের কাগজ এ, ২০ মার্চ ১৯৯৩ সালে। পরবর্তীতে ২০০৬ সালের একুশে বইমেলায় আগামী প্রকাশনী তাঁর অনেকগুলো লেখার সংকলন বই আকারে প্রকাশ করে "আমাদের বইমেলা" নামে। বইটির স্বত্ব মৌলি আজাদ, স্মিতা আজাদ, অনন্য আজাদ এর। লেখাটি সচলায়তনের পাঠকের সাথে ভাগাভাগি করার প্রচণ্ড ইচ্ছার কারণে টাইপ করে তুলে আনলাম। এই লেখাটার স্বত্বাধিকারীও উল্লেখিত তিনজন।]

আমি তখন ছিলাম এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অতি সুন্দর আর বিখ্যাত পোলক ছাত্রাবাসগুলোর একটিতে। তার নাম ছিলো গ্র্যান্ডভবন। পাহাড়ের পায়ের নিচে সবুজের মধ্যে ছিলো ছাত্রাবাসটি, যার জানালায় ভোরবেলায় ডানা ঝাপটাতো উত্তর সাগর থেকে আসা সমুদ্রচিলেরা। গ্র্যান্ডভবনে থাকতো নারী পুরুষ দু'লিঙ্গেরই ছাত্র।

গ্রীষ্মকালে ছাত্রাবাসে দেশী ছাত্র- ছাত্রীদের থাকতে দেওয়া হতো না। গ্রীষ্ম শুরু হলেই তারা কোনো কাজ নিয়ে চলে যেতো ছাত্রাবাস থেকে। পড়ে থাকতাম আমরা বিদেশি ছাত্ররা। এপ্রিল এলেই ছাড়াবাড়ির মতো হয়ে উঠতো গ্র্যান্ডভবন, তার বারান্দায় বইতে থাকতো হাহাকারভরা হাওয়া।

আমার কক্ষ থেকে কয়েক কক্ষ দূরেই ছিলো এক পাকিস্তানি ছাত্র।

গ্র্যান্টভবনে সকলে রান্না করে খেতে হয়, সেখানেই প্রথম দেখা হয় পরস্পরের সাথে অধিবাসীদের। রান্নাঘরটি আসলে ছিলো মিলন কেন্দ্র, রান্না করতে করতে এবং খেতে খেতে বন্ধুত্ব গড়ে উঠতো আমাদের। আমি আর ওই পাকিস্তানিটি প্রথমেই একে অন্যের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলাম। আমরা একে অন্যকে কখনো 'হাই' বা 'গুডইভনিং' বলি নি। পাশাপাশি রান্না করেছি। মনে মনে খুন করেছি একে অন্যকে।

এক গ্রীষ্মে, জুন মাসের এক বিকেলে একলা থেকে থেকে, চারপাশে কোন উল্লসিত তরুণ আর ঝলমলে তরুণীর মুখ না দেখে দেখে বিষণ্ণ বোধ করছি। গানে মন ভরছে না 'প্লেবয়' সুখ দিচ্ছে না, বিয়ার শুধুই বিষাক্ত লাগছে। আমি আমার চারতলার জানালার বিশাল পর্দা সরিয়েই দেখি পাকিস্তানিটি বাগানের সবুজের মধ্যে বসে আছে সোনার থেকে সোনালি চুলের একটি তরুণীর সাথে। পাকিস্তানিটি, আমি দেখতে পাচ্ছিলাম, অবিরাম কথা বলে চলছে, তরুণীটি মাথা নাড়ছে। তার চুল বিকেলের সোনায় ভরে দিচ্ছে। সেই চুলের সোনা যেন এসে ঢুকছে আমারও ঘরে, আর আমারও বুকে।

বুঝতে পারলাম পাকিস্তানিটি আপ্রাণ সাধনা করে চলছে। বুঝতে পারলাম ওই তরুণীটিকে অন্তত একটি রাত্রির জন্য জয় করার জন্য পাগল হয়ে উঠেছে পাকিস্তানিটি। হয়তো বলে চলেছে অজস্র মধুর মিথ্যে। পাকিস্তানিরাও মুগ্ধ হয়? সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়? আমার মনে প্রশ্ন জাগলো এবং আমি খুবই বিস্মিত হলাম।

এই মেয়েটি যদি পাকিস্তানিটির ঘরে যায়, তাহলে মেয়েটিকে সে কী করবে? আমি ভাবতে লাগলাম। মেয়েটিকে কি সে চুমো খাবে? মেয়েটির সোনালি চুলের ঘ্রাণ নেবে? নাকি ধর্ষণ করবে? আমার মনে হয়তো পটিয়ে ঘরে নিতে পারলেই পাকিস্তানিটি ধর্ষণ করবে ঐ সোনালিকে। আমার মনে হতে লাগলোঃ পাকিস্তানঃ ধর্ষণ, পাকিস্তানঃ ধর্ষণ, ধর্ষণ ...

একটু পরেই রান্নাঘরে ঢুকে যেই আমি রান্না শুরু করেছি, দেখি পাকিস্তানিটি ঢুকলো মেয়েটিকে নিয়ে।

মেয়েটি ঢুকেই আমার বললোঃ হাই!
আমিও বললামঃ হাই!

মেয়েটি একটি টেবিলে বসলো। পাকিস্তানিটি রান্না করতে লাগলো, আমি রান্না করতে লাগলাম,। পাকিস্তানিটি বড়ো বড়ো মুরগির রাণ ভাজতে লাগলো। আমি দেখতে লাগলাম পাকিস্তানিটি সোনালি মাংস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে।

রান্নার পর ওরা বসলো ও পাশের টেবিলে, আমি এ- পাশের। মাংস ছিঁড়তে গিয়ে মুখ তুলতেই মেয়েটির চোখ পড়লো আমার মুখের ওপর, আমার চোখ পড়লো তার মুখের ওপর। দুজনেই হাসলাম।

পাকিস্তানিটি মেয়েটির প্লেট উপচে দিয়েছে ভাতে আর মাংসে। মেয়েটি ঐ টেবিল থেকে আমকে জিজ্ঞেস করলোঃ তুমি কোথা থেকে এসেছো?

বাঙলাদেশ! আমি বললাম' এবং জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কোথা থেকে এসেছো?
বাঙালাদেশ! বলে মেয়েটি বিস্ময়ে চিৎকার করে উঠলো। বললো, তোমাদের ওখানে খুব যুদ্ধ হয়েছে পাকিস্তানের সাথে।

পাকিস্তানিটি চোয়াল শক্ত করে তাকালো মেয়েটির দিকে।
মেয়েটি জানালো সে ফরাসি দেশ থেকে বেড়াতে এসেছে।
আমি তাকে জিজ্ঞাস করলাম, বাঙলাদেশ সম্বন্ধে আর কিছু জানো তুমি?
মেয়েটি বললো, নাহ! আর কিছু জানি না।
আমি বললাম, ফরাসিদেশ সম্পর্কে আমি অনেক কিছু জানি।
মেয়েটি অবাক হয়ে বললো, কী জানো? আর কী জানো?
আমি বললাম, বদলেয়ার।
মেয়েটি অনেকটা চিৎকার করে উঠলো, আমার প্রিয় কবি!
আমি বললাম, র‍্যাঁবো।
মেয়েটি আবার চিৎকার করে উঠলো, আমার আরেক প্রিয় কবি।
আমি বললাম, মালার্মে।
মেয়েটি আবারো চিৎকার করে উঠলো, আমার আরেক প্রিয় কবি।

আমি দেখতে পেলাম কবিদের নামগুলো পাকিস্তানিটির বুকে তোপের মতো গিয়ে লাগছে। কবিতায় মেয়েটির বুক ভরে উঠেছে, কিন্তু তার পাশের পাকিস্তানিটির বুকে কোনো কবিতা নেই! তার দেহ ভরে কামক্ষুধা, বুকের ভেতর ধর্ষণকারীর হিংস্রতা। মেয়েটি ওই টেবিল আর আমি এই টেবিল থেকে কবিতার পংক্তি আবৃত্তি করতে লাগলাম। মেয়েটি একসময় পাকিস্তানিটিকে জিজ্ঞেস করলো, তুমি কি কবিতা পছন্দ করো? পাকিস্তানিটি রেগে বললো, আমি কবিতা টবিতা পছন্দ করিনা।

মেয়েটি অবাক হয়ে বললো, তাহলে তুমি বাঁচো কিভাবে?
আমি জানি পাকিস্তানিরা কবিতা ছাড়াই বাঁচে, রক্ত খেয়ে বাঁচে, কিন্তু মেয়েটি জানে না।

পাকিস্তানিটি ফুলতে ফুলতে একসময় ফেটে পড়লো। সে তার পাকিস্তানি ইংরেজি ছেড়ে উর্দুতে চিৎকার করে উঠলো, এই বাঙালি তুমি আমার মাল ভাগাইয়া লইয়া যাইতেছ।

আমি তাকে বললাম, আমি উর্দু বুঝি না, ইংরেজি বা বাঙলায় বলো।
পাকিস্তানিটি রাগে গম্ভীর হয়ে বসে রইলো, আমরা খেতে খেতে কবিতার কথা বলতে লাগলাম।

আমাদের খাওয়া শেষ হলো। আমি থালাবাসন ধুতে লাগলাম।

মেয়েটি এসে আমার পাশে দাঁড়িয়ে বললো, আমি কি তোমার সাথে তোমার ঘরে যেতে পারি? কবিতা নিয়ে আলাপ করতে পারি?
আমি বললাম, অবশ্যই। তাতে সন্ধ্যাটি চমৎকার কাটবে।
পাকিস্তানিটি খুব শব্দ করে এসে মেয়েটিকে বললো, আমি চললাম।
মেয়েটি তাকে বললো, শুভরাত্রি।

সশব্দে দরজা ঠেলে পাকিস্তানিটি রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে গেলো। আমরা দুজন আমার ঘরের দিকে পা বাড়ালাম।

দু'দিন পরে দেখি পাকিস্তানিটি তার বড়ো বড় স্যুটকেস নিয়ে গ্র্যান্ডভবন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। সে আর ছাত্রাবাসে ফিরে আসে নি, তাকে আর কোনদিন দেখি নি।

এ ঘটনার নাম আমি দিয়েছি 'আমার মুক্তিযুদ্ধ'। আমি পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করেছিলাম একাত্তরের কয়েক বছর পর, বাঙলাদেশ থেকে সুদূর এডিনবরায়।

একটি হানাদারকে খুন করার সুখে আজো আমার বুক ভরে আছে।


মন্তব্য

অনীক আন্দালিব [অতিথি] এর ছবি

স্রেফ দূর্দান্ত! হুমায়ুন আজাদের এই লেখাটা পড়া হয় নি, তোমার সুবাদে পড়া হলো। এবং এতো বেশি ভালো লাগলো! বলে বুঝাতে পারবো না।

ধন্যবাদ রায়হান।

সুরঞ্জনা এর ছবি

দারুণ!!
............................................................................................
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয়

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

স্পর্শ এর ছবি

শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। কত যে মানিক-রত্ন রয়ে যাচ্ছে চোখের আড়ালে। তুমি শেয়ার না করলে লেখাটা কবে পড়তাম কে জানে!

মেয়েটাকে ভালো লাগলো। হুমায়ুণ আজাদকে ঈর্ষা হলো। পাকিবধ করার জন্য। এবং মেয়েটার সাথে রুদ্ধদ্বার কাব্যালাপ করার জন্য।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ভাঙ্গামানুষ এর ছবি

... আমারও বুক ভরে গেল...

বিপ্রতীপ এর ছবি

অসাধারন এই লেখাটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ... (y)
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর

সাইফ শহীদ এর ছবি

রায়হান ,

কষ্ট করে গল্পটি টাইপ করে তুলে দেবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। এটা আমারও পড়া ছিল না।

এত ঘৃণা ও আক্রোশ থেকে কি আমরা কখনো বেরিয়ে আসতে পারবো - নিজেকে প্রশ্ন করি।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

auto

মেক মি ফরগেট দিস পিকচার, আই শ্যাল ফরগিভ দেম। নো আক্রোশ। নো ঘৃণা।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সাইফ শহীদ এর ছবি

অনিন্দ্য,

আমার লেখার ভুল মানে ক'রো না - প্রশ্নটা আমার নিজেকে নিজে করা। মুক্তি যুদ্ধে আমার নিরাপরাধ দুই চাচা নিহত হন। এক চাচাকে মিলিটারীরা অন্যদের সাথে নদীর ধারে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে এবং অন্য চাচাকে স্থানীয় বিহারীরা তাকে ঘরের মধ্যে রেখে বাইরে থেকে দরজায় শিকল তুলে দিয়ে বাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারে।

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আমি বুঝতে পারছি সাইফ ভাই। আপনি হয়ত বোঝাতে চেয়েছেন, অনেকসময় আক্রোশের কারণে যুক্তি এলেমেলো হয়ে যায়। এতে মূল লক্ষ্যে থেকে দূরে সরে যেতে হয়। আর অপশক্তিরা এর সুফল ভোগ করে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে আর্গুমেন্টটাকে ভ্যালিডিটি দেয়া যায়। মানে আমি পার্সনালি দিতে পারি। কিন্তু ঘৃণা জিনিসটার মধ্যে যুক্তি তো নাই। যেমন ভালোবাসায় নাই। আশা করি আমার মন্তব্যকে সস্নেহে বিবেচনা করবেন।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

স্বপ্নাহত এর ছবি

যে কয়েকজনের গদ্য পড়ে হিংসায় রীতিমত গা জ্বলে হুমায়ুন আজাদ সেই লিস্টির অনেক উপরের দিকে একজন।

শেয়ার করার জন্য বিশাল একটা ধন্যবাদ তোরে।

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

আশাবাদী সিয়াম এর ছবি

চরম !!!!!! আর কিছু বলার নেই... হুমায়ূন আজাদ বলে কথা... :-D

তারানা_শব্দ এর ছবি

দারুণ একটা লেখা!
আর নাই ? =((

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

পাকিস্তানিরাও মুগ্ধ হয়? সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়? আমার মনে প্রশ্ন জাগলো এবং আমি খুবই বিস্মিত হলাম।

দারুণ। শেয়ার করার জন্য বিরাট ধইন্যা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অনিকেত এর ছবি

আহ, হুমায়ুন আজাদ!
এমন লেখা কেবল আপনার হাতেই আসতে পারে---
আপনাকে অসময়ে হারিয়ে ফেলার শোক আমার, আমাদের কখনোই ঘুচবে না।

রায়হানকে অনন্ত নক্ষত্রবীথি উপহার দিলাম এই চমৎকার কাজটা করার জন্যে--!!

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

"আপনাকে অসময়ে হারিয়ে ফেলার শোক আমার, আমাদের কখনোই ঘুচবে না।"--- এই শোক কখনই দুর হবার নয়। :(

উনার এই লেখাটা পড়া ছিলনা, অসাধারণ বললে আসলে কম বলা হবে।
রায়হান ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অতিথি লেখক এর ছবি

যার হাতে একবার রক্তের দাগ লাগে সে দাগ কখনো মুছে ফেলা যায় না। পাকিস্তানীদের হাতে বাঙালির রক্তের দাগ লেগে আছে। যতদিন বাঙালি জাতি টিকে থাকবে, এ দাগ ওদের হাতে লেগেই থাকবে। এ দাগ মুছে ফেলার নয়, এ ক্ষত ভুলে যাবার নয়।

পাগল মন

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

এই লেখা পড়ি নাই।

পোস্টানোর জন্য থ্যাংকস।

---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

অম্লান অভি এর ছবি

ধন্যবাদ রায়হান আবীর দারুণ একটা সুপাঠ্য হুমায়ুন আজাদ পড়ার সুযোগ দেয়ায়। ধন্যবাদ নজু ভাই ফেসবুকে লিংক আপ করার সুবাদে অনেক দিন পরে ফিরে এলাম সচলে।

এ ঘটনার নাম আমি দিয়েছি 'আমার মুক্তিযুদ্ধ'। আমি পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করেছিলাম একাত্তরের কয়েক বছর পর, বাঙলাদেশ থেকে সুদূর এডিনবরায়।

আমরাও হতে পারি এক একটি মুক্তিযোদ্ধা চাকরীর বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য নয় দেশকে একটা সম্মানের শিখরে উঠানোর জন্য।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

তৌফিক হাসান [অতিথি] এর ছবি

অনেক অনেক ভাল লাগল।
অনেক ধন্যবাদ পোস্টানোর জন্য।
এখনই শেয়ার করলাম...!

রাহাত-ই-আফজা এর ছবি

লেখা পড়ে অনেক সুখ পেলাম।
শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

অস্থির চিত্ত [অতিথি] এর ছবি

সকালে এসেই মনটা ভরে গেল লেখাটা পড়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য!

চয়নিকা [অতিথি] এর ছবি

অসাধারণ। বর্ণনাই বলে দেয় হুমায়ুন আজাদের গগণস্পর্শী অবস্থান। ধন্যবাদ রায়হান আপনাকে।

খেকশিয়াল এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ রায়হান

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

দুর্ধর্ষ (y)
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

অতিথি লেখক এর ছবি

অনুমতি পেল গল্পটা খোমাখাতায় শেয়ার করতে চাই।

পাগল মন

রায়হান আবীর এর ছবি

ফেসবুকে শেয়ারে অনুমতি লাগে নাকি :D

পৃথিবী [অতিথি] এর ছবি

কিছুই বলার নেই, বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। অজস্র ধন্যবাদ লেখাটা কষ্ট করে টাইপ করার জন্য।

বাউলিয়ানা এর ছবি

হাহ্‌ কী একটা লেখা! অসাধারণ!

রায়হান আবীরকে অনেক ধন্যবাদ এই পোষ্টের জন্য।

সংসপ্তক এর ছবি

খালি পাকিশুয়ারের এক্সপ্রেশানটা কল্পনা করতেছি, আর খ্যা খ্যা করে হাসি আসতেছে!
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

দুর্দান্ত এর ছবি

সুন্দর গল্প।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

রায়হান ভাইয়ের এই লেখাটা পড়ে লগাতে বাধ্য হলাম...

"পাকিস্তানীদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা হাতে গোলাপ নিয়ে আসে- এমন কী তখনো।"- এই কথাটাও হুমায়ুন আজাদের না ??

_________________________________________

সেরিওজা

রায়হান আবীর এর ছবি

হুম উনারইই। আজিজে চমৎকার মোড়কে উনার প্রবচনগুচ্ছ পাওয়া যায়, কিনা নিও। চ্রম!

পরিবর্তনশীল এর ছবি

কী পড়লাম!

এ লেখার প্রশংসা করার ভাষা অন্তত আমার জানা নাই।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

প্রণব আচার্য্য [অতিথি] এর ছবি

অসাধারন। স্রেফ অসাধারন।।

রণদীপম বসু এর ছবি

রায়হান, লেখাটা কি এর আগে কোথাও ছাপা হয় নি !
ধন্যবাদ।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রায়হান আবীর এর ছবি

হুম ছাপা হয়েছে। শুরুতে খবরের কাগজে। পরে আমাদের বইমেলা গ্রন্থে।

বোহেমিয়ান এর ছবি

এই লেখাটা ইংলিশ ট্রান্সলেশন কাউরে দিয়া করানো যায় কীনা ভাবতেছিলাম, পরে মনে পড়ল, পাকিরা ইংলিশ বুঝবো না!

(Y)
(Y)
_________________________________________

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

না, প্রস্তাবটা ভাল।

সাদাচোখ [অতিথি] এর ছবি

দয়া করে কেউ এই লেখাটা ইরেজীতে অনুবাদ করে দিন। পাকি হারাম...দের পড়ানো যাবে। আমরা যে কতটা ঘৃণা ওদের জন্য লালন করি, তা ওদের জানা দরকার।

কপিরাইট নিয়ে সমস্যা হলে উনার পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস, তারা না করবেন না।

আর সচলায়তনের কাছে একটা প্রস্তাব, আপনারা তো বিভিন্ন উলক্ষ্যনিয়ে ইবুক প্রকাশ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে লেখা অসাধারণ গল্পগুলো বাছাই করে, তার একটা ইংরেজী সংস্করণ কি আপনারা দাঁড় করাতে পারেন না? বিশ্ববাসীর জানা দরকার আমাদের সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধের প্রভাব কতটুকু, আর আমরা মুক্তিযুদ্ধকে কেমন করে হৃদয়ে লালন করি।

আশা করা আমার প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখা হবে।

ধন্যবাদ।

ফারুক হাসান এর ছবি

অসাধারণ গল্প! আমারো খুব হিংসা হয় এই লোকটাকে, তার মত করে এমন একটা গল্প যদি লিখতে পারতাম!

অতিথি লেখক এর ছবি

বুকের প্রবল ঘৃনাকে এরকম অক্ষরের কালো বুকে খোদাই করে দেয়া বোধহয় শুধু স্যারের পক্ষেই সম্ভব । রায়হান সাহেব, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ স্যারের লেখাটা পড়ার সুযোগ করে দেবার জন্য। ভালো থাকবেন।
--------------------------------------------------মানিক

রিজভী [অতিথি] এর ছবি

রায়হান, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম...

-------------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

বস বলে কথা।

নীলকান্ত এর ছবি

ভাল লাগে যখন পুরনো কোন লেখা পড়ে ভিতরে কিছু অনুভব হয়।

স্যালুট হুমায়ুন আজাদ


আমি মেঘের দলে আছি, আমি ঘাসের দলে আছি


অলস সময়

সত্য এর ছবি

সত্যের আড়ালেও সত্য থাকে, যা সবাই উপলদ্ধি করতে পারে না। তাই নিজের চোখে দেখুন, নিজের হৃদয় দিয়ে বুঝুন। চিলের পেছনে কানের জন্য ছুটে নাই বা গেলেন। সত্যকে অনুসন্ধান করুণ। ধন্যবাদ

অতিথি লেখক এর ছবি

জয়তু আজাদ।

অপ্রস্তুত লেনিন

অতিথি লেখক এর ছবি

গল্প হিসেবে অসাধারণ। কিন্তু একজন পাকিস্তানী সিভিলিয়ান ছাত্রকে 'পাকিস্তান' হিসেবে দেখে প্রথম থেকেই (সে কিছু করার আগেই) 'তদুপযোগী আচরনটা' সাধারণ মানুষের সরলতার জায়গাটাকে রাজনীতির কুটসিধান্তের বিষে নষ্ট করে ফেলতে পারে। পাকিস্তানী বলেই তাকে 'হাই' না বলার মধ্যে আমি কোন বাহাদুরি দেখি না। তবে হ্যাঁ বাংলাদেশের জন্ম নিয়ে কিছু বললে বা স্বাধীনতার সময়টাতে পাকিস্তানকে ডিফেন্ড করতে চাইলে আমার ভেতরে অবশ্যই জেগে উঠবে একজন মুক্তিযোদ্ধা। বাকী করনীয়টা তাঁর হাতেই ছেড়ে দিতে চাই। কারণ আমি এরকম কয়েকজন পাকিস্তানীকে চিনি যারা তাদের পূর্ব-পুরুষের কথা মনে করতেও ঘৃণা করে, লজ্জায় মাথা হেঁট করে থাকে। অতএব শুধু পাকিস্তানী বলে তার ভেতরের মানুষটাকে প্রথম থেকেই ঘৃণা করাটা অর্বাচীনতা।

রাজীব মাহমুদ

কল্যাণ এর ছবি

পাকিস্তানি সব সমান। যেগুলা মাথা হেট করে থাকে, সেগুলা পরাজয়ের লজ্জা আর ঘৃণায়, ক্রিতকর্মের অনুশোচনায় নয়। যেকোনো অবস্থায় যেকোনো স্থানে পাকি মাত্রই পরিত্যাজ্য, ফুলস্টপ। হাই বলার তো প্রশ্নই ওঠে না। বাংলাদেশী দেখলে পাকিদের ভিতরে কোন মানুষ থাকে না, পাকিস্তানিদের প্রথম থেকে ঘৃণা না করাটাই অর্বাচীনতা।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।