রাঁধবো মোরা রাঁধবো আজি রাঁধবো ছড়ার ছন্দেতে
তিনটি ভুবন ভরিয়ে দেবো সুখাদ্যেরই গন্ধেতে ॥
১) শাহী পনির
বাদশা ওমর কাজী খান যেই খাদ্য
শাহেনশাহি পনির বানাইবো অদ্য।
কটাহে ঢালিয়া ঘৃত শুরু হয় গল্প
জিরা ও মরিচ দিও তাতে কিছু অল্প,
পঁেয়াজ রসুন কুচি যোগ করো তাহাতে
লবণ হলুদ গুঁড়া ঢালি দাও বাঁ হাতে।
এইবারে দিও তাতে পনিরের খন্ড
সাবধানে ভাজো তাহে, বানায়ো না মন্ড।
সবুজ মটরশুঁটি উহাতে ঢালিয়া দাও,
আগুন বাড়ায়ে দিয়া খানিক ভাজিয়া নাও।
গরম মশলা গুঁড়া কেওড়া গোলাপ জল
এই সব মিশাইলে ছড়াইবে পরিমল*।
বাদশাহ খান যাহা তাতে কাজু কিশমিশ
না দিলে তো রাঁধুনির চাকরিটা ডিশমিশ!
সব শেষে দুধ দিয়া ফুটাইতে হইবে,
খানিক অম্লরস মিশাইয়া লইবে।
দশ বারো মিনিটেই তৈরি সুখাদ্য,
রাজা খায় রাণী খায়, খায় দেশসুদ্ধ ॥
২) ভুনা খিচুড়ি
পূর্বনিশীথে ছিলো ভিজানো ছোলার ডাল,
সকালে ধুইয়া লও সমপরিমাণ চাল।
গরম হইলে পরে সরিষার তৈল,
তেজপাতা কালোজিরা তাতে দেয়া হইলো।
মরিচ পঁিয়াজ কুচি যথেষ্ট পরিমাণ
হলুদ লবণ দিও করি' স্বাদ অনুমান।
গরু খাসি না পাইলে কুক্কুট পাখি, তার
কিমা কিছু পরিমাণ এই পদে দরকার।
মশলা-আদির সাথে ভাজো সেই মাংস
এ অবধি রাঁধিলেই রেডি অবদংশ**।
চাউল এবং ডাল ঢালি দাও পাত্রে
হাতা দিয়া নাড়ো, যেন ধরে নাহি গাত্রে।
শেষমেশ জল ঢালো ফুটানোর লাগিয়া
চারি অঙ্গুল জল যেন থাকে জাগিয়া।
নুন চাখি এইবার আঁটি দাও ঢাকনা,
কম আঁচে কিছুখন ফুটিতে সে থাক না।
হইবে খিচুড়ি ভুনা জল যবে শুকাবে,
খাইলে তা দ্রৌপদী লজ্জায় লুকাবে!
গদ্য হ'তে পদ্য ভালো, আরো ভালো খাদ্য,
উদর পূর্তি হইলে জমে নৃত্য গীত ও বাদ্য ।
রসনা সরস করে সুখাদ্যের গান,
মূলত পাঠক গাহে, শুনে পুণ্যবান ॥
--------------------------------------------
* পিষ্টদ্রব্যের গন্ধ
** মদ্যপানের চাট
মন্তব্য
দুর্দান্ত! পাদটীকার শব্দদুটো ভুলেই গিয়েছিলাম। কৈশোরের বাংলা ব্যাকরণ ক্লাসে নিয়ে গেলেন।
ভালো লাগায় আহ্লাদ পেলাম
এক কথায় প্রকাশ সন্ধি-প্রত্যয়ের চেয়ে ঢের বেশি ভালো লাগতো। কিছু কিছু মনে আছে, বেশির ভাগই গেছি ভুলে।
আমারও তাই। তারা মারতে ভুলে গেছিলাম প্রথম বার।
একটা রহস্যের সমাধান হলো, আমার কয়েকটা লেখায় পাঁচ তারা দেখেছিলাম কিন্তু কার মহানুভবতা জানা না থাকায় ধন্যবাদ দিতে পারি নি। এইবার একসাথে জানালাম, আপনাকে এবং আর যাঁরা জানিয়েছেন তঁকে/তাঁদেরকে।
ভুনা খিচুড়ি আর শাহী পনির............রান্না ভালো হয়েছে কিন্তু স্বাদ লইতে অভ্যাসে বারণ। তাই পরবর্তীতে নিজ রসনায় কিছু ছেটে বেটে রান্না করব। রান্নার সাথে ছন্দ বেশ লাগল গন্ধ, আর ইশতিয়াক ভাইয়ের মত আমারও একটু ঝালাই হলো আর একটা নতুন শব্দও শিখলাম..........তাকে শিকায় তুলে রাখলাম-'অবদংশ'।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
অবদংশ'টা আমি জেনেছিলাম বাবার থেকে। সকালে জানলা দিয়ে বিছানায় রোদ এসে পড়লে আমার চাকরিতে-অবসর-নেওয়া বাবা প্রাতঃরাশ খেতে খেতে দেশের খবর পড়ার পর বাংলা শব্দছক নিয়ে বসেন। ছুটিতে বাড়িতে গেলে আমিও কেড়েকুড়ে করতে বসি। একদিন বোধহয় "অবতংস" ছিলো সেখানে (কর্ণকুন্ডল), তখন আমার রসিক পিতা ঠোঁটের কোণে মৃদুহাস্য ঝুলিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন "বল দেখি মাল খাওয়ার চাটকে কী বলে?" তাতেই জানা হলো শব্দখানা। আমার ভাই ডাক্তারি বইয়ের ফাঁকে রাজশেখরীয় মহাভারত পড়ে, ওকে ঘাঁটানো বিপদজনক তাই অন্য দাদাদের মাঝে মাঝে বাংলাজ্ঞান পরীক্ষা হয়, "বল দেখি নিষ্ঠীবন আর সম্মার্জনী, কোনটা বেশি খারাপ?" তাই ওরা আজকাল আগেই আলোচনা ঘুরিয়ে দেয় রাজনীতির পথে, নিরাপত্তার খাতিরে।
খেয়ে কেমন লাগলো জানাবেন। এগুলো কিন্তু সত্যিকারের রেসিপি, স্রেফ ছড়া নয়।
দারুণ হয়েছে ছন্দরান্না! আমিও পাঁচাইলাম। কিন্তু ইয়ে মানে, 'মদ্যপানের চাট'। এখানে 'চাট' বস্তুটি কী?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আরে চাট জানেন না, আপনে বুঝি ঐ পথের পথিক নন একেবারেই?
চাট হইল মদ্যপায়ীদিগের পানের উপচার, কারণ-সেবন-কালে উহারা নানাবিধ সুস্বাদু খাদ্য গ্রহন করিতে ভালোবাসে যেমন শূল্যপক্ক মাংস (শিক কাবাব), উখ্য (শামি বা অন্যান্য কাবাব), মাংসের ভাজি, না জুটিলে পরোড়া বা সেরেফ চিনাবাদাম। ইহারাই চাট নামে সুপ্রসিদ্ধ।
আপনার বাংলা শব্দ সম্ভার আসলেই অবাক করা!!
মূলত পাঠক যে আসলে মূলত লেখক/কবি/ছড়াকার/রাধুনি সেটা দেখে অবাক হচ্ছি !!
আপনার 'বিলম্বিত' পূর্ণ সচলত্ব কামনা করছি।
ফুল সচল হইলে কেন যেন লোকজন ফুটে!! আপনার এরকম রসময় লেখা থেকে বঞ্চিত হতে চাইনা!!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আরে মিয়া লজ্জা দিয়েন না এইভাবে (লজ্জায় লাল ইমোটা জানি ক্যাম্নে দ্যায়?)
সচল হইলে ভালো লাগবো সে তো সত্য কথা, তবে আমি আসলে পাঠক, আর পাঠে সচল অচল সকলেরই সমান সুযোগ আছে, কাজেই এখনো আমি খুব কষ্টে নাই।
তবে আপনে যে পূর্ণ সচলত্ব কামনা করলেন হের লিগা ধন্যবাদ নিশ্চয় দিমু আপনেরে।
আমার বাংলা-ইংরাজি জ্ঞান (বা অজ্ঞান) নিয়া লিখুমনে একদিন, গল্পের কি শ্যাষ আছে রে ভাই?
হা হা .. জটিল হইসে!
আপনের ভাল্লাগ্সে জাইন্যা আহ্লাদে চিৎপাত হইলাম।
ছড়া রান্নার সুঘ্রাণে সচলায়তন তো মৌ মৌ করতেছে। উমম! জিভে জল এসে গেল।
কিন্তু মশাই কুক্কুট পাখি বস্তুটি কি? ইহাকে কিভাবে চিনিতে পারা যায়?
পান্থ - মুরগী বা মুরগি খান? তাইলেই হবে, কুক্কুট পাখিও একইসাথে পেটে চলে যাবে
আরে মশায় কুক্কুট চেনেন না? ঐ যে হতভাগা পাখি সক্কালবেলা চিক্কার পাড়ে কুঁক্কুর-কু ক'রে আর ঘুমের বারোটা বাজায়, সেই হলো গিয়ে কুক্কুট। বিজ্ঞানীরা কায়দা ক'রে ডাকে গ্যালাস গ্যালাস ব'লে, এমনকি কোনো কোনো কবি আবার তাদের দুঃখে কবিতাও লিখে ফেলেছেন:
http://bn.wikisource.org/wiki/একটি_মোরগের_কাহিনী
চিনিতে পারা গেলো তো?
আজক্যা সকালেও তো কুক্কুট দিয়া ভাত খাইলাম। ধূর মিয়া! আগে কইবেন না। সবার সামনে বেইজ্জতি হইলাম।
পান্থ - বেইজ্জতি হতে যাবেন কী দুঃখে?! মানে দিয়ে করবেনটা কী, শুনি??? রেগুলার বেসিসে আপনার পাতে (এমনকি সক্কালেও!) কুক্কুট পাখি যে উপস্থিত থাকে, এটাই হলো গিয়ে আসল কথা - আমি তো মানে জানতাম, তাতে আমার কী কচু উব্গারটা হইসে?
দারুন আইডিয়া তো!!
থ্যাঙ্কু দ্রোহী
এখন থেকে পদ্যের তালে নেচে নেচে রান্না করবো। দারুন হয়েছে আপনার
রন্ধণপ্রক্রিয়াবিবরণছন্দিতপদ্য!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
খাইসে, শ্যাষে আগুন-বেগুন লইয়া নাচতে নাচতে একখান অঘটন ঘটাইবেন না কি ! সাবধানে, মিয়া!
পাঠক ভাই,
আপনি তো দারুন রেসিপি জানেন দেখছি! যদি কখনো সুযোগ আসে, রান্না করে করে দেখবো।
আর একটা কথা; আপনি ছবিগুলো কি এডিট করে নেন, নাকি এরকম রকমারি খাবারের ছবি একসাথেই পাওয়া যায়?
ছড়া জটিল হইয়াছে।
থ্যাংক য়ু তাহসিন।
এই লেখার ছবিটা পিকাসা দিয়ে বানানো কোলাজ। নেট থেকে সরাসরি ছবি না দেয়ার চেষ্টা করি। কিছু কিছু লেখায় নিজের আঁকা ছবিও লাগাই, যেমন হারানের ছড়া বা ঐ শিয়রস্বপ্নের কবিতাটায়।
দাদা আপনার কোন ধারনা আছে কি লোভনীয় একটা ছবি হইছে? মানুষরে তো বিপদে ফালায় দিবেন আপনি। ব্যাগে খাওন না থাকলে যে কি হইতো!
হা হা
রবীন্দ্রনাথের পর আপনিই বোধহয় রান্নাবান্না নিয়ে ছন্দবহুল লেখা লিখলেন!
রবীন্দ্রনাথও অনেক রকম মজার লেখা লিখেছিলেন রান্না নিয়ে। তার একটা ছিল অবশ্য ননসেন্স :
আমসত্ত্ব দুধে ঢালি
তাহাতে কদলি দলি
সন্দেশ মাখিয়া দিয়া তাতে...
হাপুত হুপুত শব্দ
চারিদিক নিঃস্তব্ধ
পিঁপড়া কাঁদিয়া যায় পাতে...
রান্না নিয়ে ভদ্রলোক অনেক রকমের একসপেরিমেন্টও করেছিলেন।
আপনার লেখা ভালো লাগল। ছন্দের শক্তিটা লেখায় ধরে রাখবেন বলেই বিশ্বাস। সবার তো ওটা থাকে না ভাই!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
সর্বনাশ করেছেন মশাই, দাড়িবুড়ো আর আমাকে এক ব্রাকেটে? ঘোর আপত্তি জানালাম, আমার কি অতো বয়েস?
বুদ্ধদেব বসুর লেখার একটা লিঙ্ক দিয়েছিলাম, ঐ লেখাটা খুব চমৎকার, গদ্য যদিও।
ছন্দ নিয়ে বিশাল প্রশংসা করেছেন, লজ্জা পাইলাম প্রভূত। লাল-পিলা হইয়া গ্যালাম!
ক্ষিদা লাইগা গেসে
---------------------------------
তাও তো ভারী লেজ উঁচিয়ে পুটুশ পাটুশ চাও!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
সমস্যা কী, এখন তো রান্তে জানেন কত্তকিছু, শিখাইলাম না?
বেশী কইরা বানাইয়েন আর আমারে ডাক দিয়েন খাইতে বসনের আগে।
সিরিয়াসলি, আমারও অফিসে দেইখা ক্ষিদা লাইগা গেছিলো (এই লেখার সাথে যোগ হইছিলো কাজ!)। কতখন পর কিচেনে গিয়া গপ গপাইয়া খাইলাম!
ফাটায়া দিছেন রে ভাই!
যেইভাবে আফ্রিদি প্যাটার্নে সেঞ্চুরির দিক যাইতেছেন আপ্নে, দেইখেন- এই স্টাইলিশ মাইরে বল হারায় না য্যান্!
এমন দুর্দান্ত হৈছে যে অনেক মন দিয়া পইড়াও আমি আপ্নের খিচুড়ি শিখতে পারি নাই, কারণ এইগুলারে তো রেসিপি হিসাবে মাইন্যা নিতে পারতেছি না কোনোমতেই! ছন্দ-ছড়া-কবিতা থেইক্যা কী রান্না শিখন যায় না কি?
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
একটা বল হারাইলে দশটা আইবো, হেইর লিগা পিঞ্চিটাররে ঠুইক্যা ঠুইক্যা খেলতে কইয়েন না
যাক, ছন্দ মনে ধরসে শুইন্যা আরাম পাইলাম, দুই খান কামের এক খান তো হইল, না রান্ধলেও হইবো।
না না, অবশ্যই পিঞ্চ হিট চালাইতে থাকেন নিশ্চিন্তে। বল আমরা বাইরে থেইক্যা টোকায়া মোকায়া আইন্যা দিমুনে ভলান্টিয়ারি কইরা!
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
হা হা
না মাঠের মধ্যেই রাখুম, কব্জিতে অত জোর নাই যে গ্যালারিতে যাইবো। তয় ভলান্টিয়ার দরকার, উৎসাহ দিয়া যান
হেইও পাঠক...
আমাকে গদা দিয়ে পিটালেও যে দুইটা কাজ কেউ কোনোদিন করাতে পারে না তার মধ্যে একটা হলো রান্নার রেসিপি শোনা (আরেকটা খেলা দেখা) সেই কাজটা আপনি করে ফেললেন একেবারে কিছু বুঝতে না দিয়েই
০২
রান্নার রেসিপি মনোযোগ দিয়ে এর আগে একবার শুনেছি মাত্র
তা হলো পদ্মপুরাণ শুনতে গিয়ে ছত্রিশ ব্যাঞ্জন রান্নার কাহিনী আর বর্ণনা
আর জীবনে দ্বিতীয়বার পড়লাম ছড়ান্ধুনির (যে ছড়া রান্ধে) রান্না শিক্ষা....
০২
গেরেট গেরেট
তয় সাবধান মুমু যদি শব্দার্থ জিগায় (এখন নাকি সে প্রকাশ্যে জিজ্ঞেস না করে মেইলে জিজ্ঞেস করে) আর আপনিও সরল মনে অনুবাদ করতে থাকেন (বাংলা টু বাংলা) তাইলে কিন্তু রান্না পাইনসা হয়ে যাবে....
"ছড়ান্ধুনি" নামটা চমৎকার দিলেন তো ! খাসা খাসা !
যে পরিমাণ প্রশংসা করেছেন তার যথোপযুক্ত ধন্যবাদ দেয় কী করে জানি না, আপনি বুঝে নেন যে যা-যা বলা উচিত সব বললাম
পদ্মপুরাণ পড়া নেই, হাতের কাছে থাকলে আপনি দু-লাইন শোনান না ৩৬ ব্যঞ্জনের বর্ণনা।
মুমুর উদ্দেশে বক্তব্য, সচলে আমাকে মেইল করলে আমি আপেলযন্ত্রে খুলতে পারি না, তাই প্রশ্ন ট্রশ্ন যা আছে এই হাটের মাঝেই করে ফেলুন। কুক্কুটের মানে জানে না ব'লে পান্থকে কি আমরা দুয়ো দিয়েছি যে আপনাকে দেবো?
বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে, ছেলেরা কানের দুল , হাতের বালা পরার পর, এবার রান্নার রেসিপিতে হাত দিয়েছি। মনে হচ্ছে এবার তারা তাদের পুরুষাধিকার আদায় করে ছাড়বেই। জয় মাতাদী, লেটস রক। আমিও মারলাম পনচ তারা।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
এই তো সমস্যা, এম্নিতে তো "ব্যাটাছেলেগুলো নিষ্কর্মার ধাড়ি" বলে দু বেলা গালাবেন, আবার কাজ করতে এলে তাতেও আপত্তি। অফিস থেকে ফিরে কত্তার হাতের চা এককাপ পেলে খুশি হন না, সত্যি করে বলুন তো? কানে দুল নাকে ফুল ঐ সব স্বার্থপর ব্যাপার, যারা পরে নিজেদেরকে সাজাতেই পরে, কিন্তু আমরা যারা হেল্পাতে এলুম তারা কিন্তু নারীদের খুউব ভালোবেসেই এলুম।
আজো কত্তার হাতে চা পাই নাই, বাই দা ওয়ে কত্তাটা কে বলুনতো??? বড় হেল্পাইতে আইছেন পুরুষরে কত্তা ভাইব্বা ??? ভুস কইরা আসল চেহারাতো বাইর হইয়া গ্যালো।
যাউকগা, তারাইয়া গেলাম।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আরে কত্তা মানেই কি কর্তৃকারক নাকি? কত্তা-গিন্নি কথাগুলি তো আর আমি বানাই নাই। কি মুশকিল!
যাউগ্গা, তারাইছেন জাইন্যা পুলক পাইলাম।
অফিস থেকে তারানোর অপশন পাচছি না, বাসায় যেয়ে তারাবো
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আগাম পাঁচ থাংকু
ওয়াও! ভাইরে, সেরকম এক 'ফিট', রান্না নিয়ে কবিতা। তাও কাজের রান্না! যাহোক, পইড়াই গেলাম, আমারে বুয়ারে পড়াইতে পারলে হয়তো আরো ভাল হইতো।
হেইর লিগাই তো ছড়াইলাম, মুখস্থ কইরা লন, বাসায় গিয়া বুয়ারে শুনাইবেন আর হ্যা-য় রান্ধবো। সাদাসিধা রেসিপি দিলে কি আর মুখস্থ করতেন?
শাহী পনিরটা চেখে দেখব।
নিশ্চয়ই, জানাবেন কেমন খেতে হলো।
আর লেবুর রসটা খুব কম দেবেন, ওটা স্রেফ অম্লমাধ্যম তৈরি ক'রে দুধটা কাটানোর জন্য দেওয়া, যাতে ঝোলটা ঘন হয়, টকভাব আনা উদ্দেশ্য নয়। খুব বেশিক্ষণ ফোটাবেন না, সেই অনুসারে দুধ দেবেন।
"ছড়েসিপি" (ছড়া+রেসিপি) মজাদার লাগলো। তবে উল্লেখিত কয়েকটি উপাদান নেই আমার কাছে এবং এই দেশে তা সহজলভ্যও নয়। নইলে টেরাই দিতাম একখান
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ধন্যবাদ হে সাংসারিক সন্নাসী (য-ফলা দেয়া গেলো না)।
ঠিক হ্যায়, কোই বাত নহি, একদিন প্রবাসসম্ভবখাদ্যপদ্য হয়ে যাবে আপনার অনারে। পদ্য না হলেও রেসিপি তো হতেই পারে। আপনি ভালো খান কোন্ জিনিস (যেমন গোরু মুর্গি বা কোনো সব্জি)?
"ছড়েসিপি" (ছড়া+রেসিপি)
মহামতি ও সন্তজনের কথানুসারে এই ছড়ান্ধুনি আবার ছড়েসিপি শোনাবে।
৫ তারা না দিয়ে পারলামনা
আজমীর
Smile costs nothing but gives much, so keep smiling.
Kids are always cute.
আজমীর
Smile costs nothing but gives much, so keep smiling.
Kids are always cute.
ধন্যবাদ আজমীর ভাই। ৫ বার জানাইলাম।
এত এত ভালো ভালো খাবার! আরে পড়বোই বা কি বা কমেন্টাবোই বা কি, তার আগেই যে নালেঝোলে কান্ড!
খুব চমত্কার হয়েছে, এখন ঐ ছবির কোলাজের সব খাবারগুলো ফেডেক্স করে পাঠিয়ে দিন, দশতারা দেবো।
ও হ্যা, সাথে করে কিছু সন্দেশ, রসগোল্লা আর দই ও পাঠাবেন, বুঝলেন না, ডেসার্ট হিসাবে!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হা হা
একবার আইনা গার্টেনকে দেখেছিলাম বোনঝির পার্টিতে খাবার পাঠিয়েছিলেন নিউ ইয়র্কে, তা তিনি ধনীমানুষ আর আমি গরীব ছাত্র, একই নিদান হলে তো মারা পড়বো। তারচে আপনি এদিকে চলে আসুন ঘুরতে, গাড়ি চাপিয়ে ঘোরাবো, এবং বাড়িতে ও দোকানে খাওয়াবো।
কোলাজের ছবিগুলো আমার রাঁধা খাবারের, এই ভাবলেন বুঝি? আমার তৈরি খাবার বানাতে বানাতে যা খিদে পেয়ে যায় তাতে ছবি তোলার সুযোগ থাকে না, খেয়েদেয়ে পেট ঢিপ করে বিছানায় চিৎপাত হই দ্রুত! ভাতঘুমের অভ্যেস ত্যাগ করলে যদি বাঙালির আইডেন্টিটি ক্রাইসিস হয় সেই ভয়ে কক্ষনো নিয়ম ভাঙি না।
মূলত
পাঠকপাচকপরপর বেশ কিছু লেখা পড়ে ফেলেছি আপনার। একটা মন্তব্য না করলে অন্যায় হয়ে যাচ্ছে। গান/রাগ নিয়ে লেখাটা খুব ভাল্লাগছে। গানগুলাতো অবশ্যই।
খুব দ্রুত সচল হয়ে যান- আশা রইল।
সময়ের অভাব ইত্যাদি কারণ সঙ্গত, তবে সংক্ষেপে হলেও মন্তব্য করলে ভালো লাগে, তা সে প্রশংসা বা সমালোচনা যাই হোক। গান নিয়ে আবার লিখবো, তবে ওগুলো একটু বেশি সময় লাগে ছড়ার তুলনায়, ছড়াটড়া তো ছন্দ মেলালেই হয়ে যায়, এটা ওটা ঘঁেটে লিখতে লাগে না।
আমি মনে মনে সচলের একজনই, পাঠক হিসেবে হলেও, কাজেই অচল যে নই এইটা নিশ্চিত। আপনার শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
সব্বোনাশ !
মূলত পাঠক নামে হলেও কাজে যে আপনি মূলত কী সেইটা নিয়ে গবেষণা করতে হবে...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
গবেষণা মানে গোরু খঁোজা না? আমাকে শেষে গোরু বললেন?
আপনার লেখা বিশেষ করে বিভিন্ন ব্লগের করা মন্তব্য দেখে আমি বহু আগেই আপনার পাংখা হয়ে গেছি। "ছড়াসেপি" দ্রারুন।
আর কয়দিন পরেই হইতেন, গরমটা ভালো কইরা পড়লে দরকার পড়বো পাংখার।
অনেক ধন্যবাদ এমন মন্তব্যের জন্য।
উদ্ধৃতি
গরু খাসি না পাইলে কুক্কুট পাখি, তার
কিমা কিছু পরিমাণ এই পদে দরকার।
মশলা-আদির সাথে ভাজো সেই মাংস
এ অবধি রাঁধিলেই রেডি অবদংশ**
উদ্ধৃতি
চাট হইল মদ্যপায়ীদিগের পানের উপচার, কারণ-সেবন-কালে উহারা নানাবিধ সুস্বাদু খাদ্য গ্রহন করিতে ভালোবাসে যেমন শূল্যপক্ক মাংস (শিক কাবাব), উখ্য (শামি বা অন্যান্য কাবাব), মাংসের ভাজি, না জুটিলে পরোড়া বা সেরেফ চিনাবাদাম। ইহারাই চাট নামে সুপ্রসিদ্ধ।
অবদংশ অর্থ মদের চাট বলে উল্লেখ করেছেন। মদের চাট কথাটিও অবদংশ(সং)-এর মত কঠিন ও অপরিচিত ঠেকবে অনেকের কাছেই। চাটনি শব্দটি চাট থেকে এসেছে। চাটনি বা চাট যাহা চাটিয়া খাইতে হয়। চাটনি লেহনে পরিপাকতন্ত্রে বাড়তি জারক রস সরবরাহ হয়ে অন্ত্রে অগ্নি উৎপাদন করে মুখে স্বাদ আনত ক্ষুধা বৃদ্ধি করে। ভাত খাওয়ার সময় চাট এর অনুপুরক হিসাবে সালাতের উপমা দেয়া যেতে পারে।
আপনি চাটকে মদ্যপায়ীদিগের পানের উপচারবলে উল্লেখ করেছেন। উপচার শব্দটি কোন বিশেষ অনুষ্ঠানের (পূজা, সেবা, ধর্মানুষ্ঠান) সামগ্রী বা উপাদান অর্থে ব্যাবহৃত হয়। পাঠক মদের উপচার হিসাবে কাবাব, বাদম প্রভিতি খাদ্যের কথা উল্লেখ করেছেন, কিন্তু; পানের উপাচার হিসাবে তো গ্লাশ, বতল, তৈজস গানা-বাজনাও চলে আসে। তাই বলছিলাম যে অবদংশ বুঝাতে মদের চাট ও উপচার ব্যবহার না করে অনুপান শব্দটি ব্যবহার করলে সহজ ও যথাযথ হত। যেমন মকরধ্বজ, চাবন প্রাসের অনুপান হচ্ছে মধু। অনুপান দিয়ে কোন কিছু খেলে তা উপাদেয় হয় এবং দেহে একটু গত্তিও আসে।
অবশ্য আয়ুর্বেদে এ কথাও আছে , 'মধ্যাভাবে গুড়ং দদ্দাত - মধুর অভাবে গুড় দাও।'
আপনি ভায়া খাঁটি কবিরাজ, নইলে মালের প্রসঙ্গে মকরধ্বজ আসে
ভালো লাগলো আমার মন্তব্য এতো সাভিনিবেশে পড়েন জেনে। চাটের কথা চাটা থেকে এসেছে ঠিকই, তবে চলন্তিকায় ঐ জাতীয়ই কিছু লেখা ছিলো। হাতের কাছে নেই এখন, উদ্ধৃতি দিতে পারছি না। তবে উপচারটা সঠিক ব্যবহার হয় নি সে কথা সত্যি। তখন ষোড়শোপচারের কথা মাথায় এসেছিলো, আর কোনো শব্দ মনে না আসায় ওটাই লিখেছিলাম। আপনি খোলসা করায় ধন্দ কেটে যাবে তাঁদের যাঁরা ভুল বুঝে ছিলেন। ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
ভুনা খিচুরি করলাম ছড়েসিপি অনুসারে। সকল উপকরণ না থাকা সত্ত্বেও খেতে ভাল লাগলো। ধন্যবাদ এমন সহজ অথচ উপাদেয় রেসিপি-র জন্য।
আপনে হইলেন আমার ছড়েসিপির আসল কদরদান। আবার এই যে আইস্যা জানাইয়া গ্যালেন, এইর পরে আর কী কই! ভালা থাইক্কেন, ভালা খাইয়েন।
আর কোন্ খাদ্য খাইতে চান কন, যদি জানা থাকে তো দিমু নে। আর আমার রেসিপি জটিল কদাপি হইবো না, তা আপনে দমপুক্ত বিরানিও যদি বানাইতে চান তাও
অনেক ধন্যবাদ! রন্ধনশিল্পে আমার অবস্থান এখনও নিওফাইট পর্যায়ে; তবে ক'দিন আগে সফল চিকেন বিরিয়ানি রান্না করে আপাতত আত্মবিশ্বাসের তুংগে আছি (বলাই বাহুল্য আমার বিরিয়ানির দাওয়াত পেয়েছিল কেবল একজনই - আমি নিজে!)। গত কিছুদিন যাবৎ সবজি রান্নার শখ হচ্ছে। দিন দেখি মিক্সড ভেজ-এর একটা চমৎকার রেসিপি। যদিও সমস্যা হয় হাতের কাছে সঠিক উপকরণগুলো না থাকায়, তবু চেষ্টায় দোষ কী! গত ফল-এ একবার রান্নার চেষ্টা করেছিলাম, সেই অখাদ্য নিজেই মুখে তুলতে পারিনি।
ঠিকাছে, জানি না আপনি থাকেন কোথায়, কাজেই দেশি ও বিদেশি দুখানা বালকসম্ভব সরল প্রণালী পোস্টাবো শিগগির (যাতে উপকরণজনিত সমস্যা না হয় সেইজন্য)।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
থাংকু
- হ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ তো কইলেন, কী হমু সেইটা না কইয়া দিলে হই কী কইরা!
সিম্পলি দুর্দান্ত, পাঠক ভায়া। আপনি পারেনও! শিরোনামটাও খুব ক্যাচি হয়েছে। প্রথম যেদিন পড়ি, মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেয়েছিল দীর্ঘ সময়ের জন্য।
থাংকু দাদা, পরমাহ্লাদ পাইলাম
নতুন মন্তব্য করুন