কবিতাকথন ৩: জঙ্গল কয় রকম?

মূলত পাঠক এর ছবি
লিখেছেন মূলত পাঠক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৭/০৫/২০০৯ - ৬:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাহাড় ভালো সমুদ্রও ভালো তবে সবচে' ভালো জঙ্গল। জঙ্গল দুই প্রকারের হয়, গাছের আর মানুষের। আমার দুটোই সমান ভালো লাগে। বেতলার শুকনো গাছপালা আর লক্ষ্ণৌয়ের পুরোনো গলি, এতো একরকম দেখতে যে মাঝে মাঝে রাস্তা গুলিয়ে যায়। গাছের জঙ্গলে গেছি কম, জনঅরণ্যেই জীবন কাটে বেশিরভাগটা, এবং এটা কোনো খেদ নয় স্টেটমেন্টমাত্র। মাঝে মাঝে চিন্তারণ্যে হারানোও খারাপ কথা নয়। অনেকক্ষণ পরে হঠাৎ খেয়াল হয়, আরে বাইরে কখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে যে!

এইবার প্রশ্ন, জঙ্গল ভালো কিসে? সমাপ্তিতে অপুর মা'র কায়দায় বলা যায় যাতে যাতে ভালো হলে ভালো তাতেই ভালো! কিন্তু সেটা ফাঁকিবাজি হয়ে যাবে, আর সব কিছুতে ঐ রায়স্যার কি টেগোরস্যারকে টেনে আনার স্টিরিওটাইপ মানা আমার মোটেও পছন্দ না। কাজেই হে পাঠক, আপনারা বলুন জঙ্গল ভালো লাগে কেন? আমার কথা আমি বলতে পারি কিন্তু আপনাদিগের ভাষ্যটা তো আমি লিখে দোবো না অতএব মন্তব্যের খাতায় যদি না লেখেন তো আমারই একদিন কি আপনার একদিন। ভাবুন ভাবুন ততোক্ষণ আমি আমারটা লিখে ফেলি।

জঙ্গল ভালো কারণ জঙ্গল বড়ো ঘিঞ্জি। গায়ের ওপর গাছ এসে পড়ে, কিম্বা সাবওয়েতে মাস্টার্ড গড়ানো হটডগহাতে রানিং হোবো (এইখানটা এট্টু রেসিস্ট মতন শোনালো, মাফ করে দেন)। এইটা খারাপ ঘটনা নয়, শুধু যদি সুবাসিত ফরাসি তরুণী ভালো লাগে আপনার (বা ধরুন ডাঁসা ইতালীয় তরুণ) তাহলে সেটাও একজাতের প্রোফাইলিং, আমরা প্রলেতারিয়েতরা ছেড়ে কথা কইবো না। পাখির ডাক সেলফোনের ঘন্টা লোকের কিচিরমিচির তো ভালো জিনিস, এমন কি দেড়েল দিগ্গজ আঁতেল টাইপ বগল মেলে দাঁড়িয়ে আর আপনি খোশবায়ে অস্থির, কিন্তু ভিড়বাসে নড়তে গেলেই খিস্তি, মোসাই টেকসিতে গেলেই পারেন! তারপর ধরুন রেলইস্টিশনে ঝমঝম করে ট্রেন এসে গেলো আর সব্বাই লাফ দিয়ে থার্ডক্লাসে উঠে পড়লেন ইনক্লুডিং মোক্ষদাপিসি, সেটাও খাসা ব্যাপার। আবার ধরুন যদি করবেটে গিয়ে বাঘ দেখেন তো হয়ে গেলো, পরের তিন মাস আপনি পাব্লিক ফিগার। আমার ভাগ্যে শালা বুনো বাঁদর ছাড়া কিছু জোটেনা, তাই রাসকিন বন্ড পড়ে কাজ চালাই। মুদুমালাইয়ে একটা কী যেন কালো মতো দেখেছিলাম দূউর থেকে, সেটাকে বাইসন ব'লে চালিয়ে দিই আমার আড্ডাজগতে। বনমুরগীও দেখেছি অনেক, জিভে জল এলেও কী করা, মেনকা গান্ধী আছে, অতএব অইদিকে যেওনাকো তুমি। শুনেছি হ্যাজাকের আলোয় বনবাংলোয় ডিমের ডালনা দিয়ে রুটি খেতে অমৃত আর বাড়িতে নাকি খেতে অন্যরকম, এখনো হয় নি সে সৌভাগ্য, মানে জঙ্গলেরটা। তাছাড়া অরণ্যের দিনরাতে মহুয়াও খেতে হয় পেটপুরে, আমার আবার অত ক্যাপাসিটি নেই, মাতাল হয়ে বনপথে পড়ে থাকলে ভালুকে খাবে। সবার কপালে তো আর সিমিসুন্দরী নেই যে এসে হেই বাবু হেই বাবু করবে! ওদিকে শিকারি গুহসাহেব তো জঙ্গলের ইজারা দিয়ে দিয়েছেন সব বাঙালি পাঠককে, পড়ে কতবার মনে মনে ডালটনগঞ্জে বাঁশবাবু হয়ে গেছি, স্রেফ লন্ডন স্কুল থেকে ইকোনমিক্সে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হতে হবে ব'লে বাস্তবে যাওয়া হলো না। গেলে ভরা-জঙ্গলে ফলসা-রঙা শাড়ি পরে কলকাত্তাই রাবীন্দ্রিক সুন্দরীরা সাধাসাধি করতো, কিন্তু সে তো আর কী করা! তা বলে জঙ্গলকে ভালো বাসবো না এ একটা কথা হলো? বাসি তো, খুব বাসি, মাঝে মাঝে অ্যান্তোনি বোর্দিনের সাথে ঘুরতেও চলে যাই ওই অমর চক্কোত্তির ঘরে-বসে-মানসভ্রমণের কায়দায়। তাই বলে আবার-অরণ্যে সইতে পারবো এইটে ভাববেন না। আহা কী বানালে গৌতমবাবু, বেরাম্মোদের সগ্গো থাকলে সেইখানে বসে সত্যজিৎ অস্কারমূর্তি মাথায় ঠুকে ঠুকে আব গজিয়ে ফেলেছেন ওই দেখে। আর আমার মতো লোকেদের জন্য ম্যানহাটানের জঙ্গল তো রইলই, ফারাক তো কিছু নেই শুধু লোকগুলোকে গাছ ভাবলেই হয়! কত জাতবেজাতের লোক, বায়োডাইভার্সিটির ঠাকুদ্দা!

যাক অনেক বকালেন, এইবার আপনাদের বকার পালা। এই দুনিয়ায় সব কিছু, জানেনই তো, ইন্টার্রঅ্যাক্টিভ। একটা জঙ্গুলে কোবতে পড়ুন, তারপর ঝপাঝপ লিখে ফেলুন আপনার নিজস্ব অরণ্যগাথা। আর কোবতেটা যেহেতু অধমের লেখা কাজেই বুঝুন না বুঝুন সাট্টিফিকেট পাঠাতে ভুলবেন না।

জঙ্গলে পাতাঝরা দিন
অজস্র সকাল জাগে, ছোটো বড়ো রাত
তারাদের মিটিমিটি, রোদছায়া অনেক রকম

আমরা হারিয়ে পথ, হঁেটে যাই কথা বেয়ে বেয়ে
শহুরে গলির মতো, শুঁড়িপথ, আবোলতাবোল
সব কথা কে বুঝেছে, অনাদি অতীতে
ঊর্ণনাভ শিশিরের ছবি আর ঘ্রাণ
পাতার উপরে জমে পাতা, শুধু রঙ বদলায়
এইভাবে তারা হঁাটে, তাদের জীবন
ঋতু বেয়ে ফিরে যায় তাদের অতীতে।
সবার অতীত আছে, সবার শিকড়
ডালপালা, ভাঙা সুর, রোদজলদিন
রাত হয়, ধুলোমাখা বিকেল পেরিয়ে
আমরা কেবল হাঁটি বিপরীতে, অতীতের বনে


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমি কিন্তু লেখা বাদ দিয়ে কবিতাটুকুই পড়লাম।

সবার অতীত আছে, সবার শিকড়
ডালপালা, ভাঙা সুর, রোদজলদিন
রাত হয়, ধুলোমাখা বিকেল পেরিয়ে
আমরা কেবল হাঁটি বিপরীতে, অতীতের বনে

মূলত পাঠক এর ছবি

যাক ভালো লাগলেই হলো হাসি

স্নিগ্ধা এর ছবি

জঙ্গল দুই প্রকারের হয়, গাছের আর মানুষের। আমার দুটোই সমান ভালো লাগে।
আমারও আমারও ! কিন্তু সেটা আবার যে কোনরকম জঙ্গল হলেই হবে না, পছন্দমতো হওয়া চাই, দু'ক্ষেত্রেই।

আপনি, যা দেখলাম, সিনেমা ছাড়া থাকতে পারেন না! যাই হোক আর না-ই হোক, ঘুরেফিরে সিনেমার কথা আসবেই হাসি আর 'আবার-অরণ্যের' ব্যাপারে আমি একমত, কী যে একটা .........!

কবিতাখানা সুন্দর হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

থাংকু থাংকু।

হা হা এইটে খঁাটি কথা বলেছেন, বড্ডো বেশি সিনেমা দেখে ফেলেছি বোধ'য়, সবকিছুতেই টেনে আনি, রেসুড়ে যেমন সব কিছু ঘোড়ার চোখে দেখে সেইরকম হাসি

ভুতুম [অতিথি] এর ছবি

লেখার জন্য ফাঁচ্তারা দিতে মন চায় - কিন্তু এখন ক্ষেমতা নাই। হওয়া মাত্র দিয়া দিমু ।

মূলত পাঠক এর ছবি

কইতে যাইতাছিলাম, ভালা পাইসেন এই যথেষ্ট, ফাঁচ্তারা দিয়া কি পেট ভরতো, তখন মনে আইলো, ভরতো। ফাইভস্টার বাচ্চাকালে বড় ভালা জিনিস আছিলো। পেট তো ভরতোই।

পড়লেই হইবো। ভালা লাগলে তো কথাই নাই! তয় আপনের জঙ্গৈল্যা প্যাচাল থাকলে হেইডাও শুনান লগে লগে।

মূলত পাঠক এর ছবি

কইতে যাইতাছিলাম, ভালা পাইসেন এই যথেষ্ট, ফাঁচ্তারা দিয়া কি পেট ভরতো, তখন মনে আইলো, ভরতো। ফাইভস্টার বাচ্চাকালে বড় ভালা জিনিস আছিলো। পেট তো ভরতোই।

পড়লেই হইবো। ভালা লাগলে তো কথাই নাই! তয় আপনের জঙ্গৈল্যা প্যাচাল থাকলে হেইডাও শুনান লগে লগে।

ভুতুম [অতিথি] এর ছবি

জঙ্গলে নিজের ঘুরাঘুরি বলতে একবার সোঁদরবনে গিছলাম, অল্পাকটু দেইখাই চইলা আইতে হইছিলো। আবার যামু। কয়দিন আগে আমাজন নিয়া একটা লিখছিলাম, ঐটার পরের কিস্তি লিখমু দুই-একদিনের মইদ্যেই।

মূলত পাঠক এর ছবি

চইলা আইতে হইছিলো ক্যান, বাঘে তাড়া করছিল নাকি? যাউগ্গা, আমাজন নিয়া লিখ্যেন, পড়ুম।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

সবার অতীত আছে, সবার শিকড়

জোস, লেখাটা নিয়ে মন্তব্য করলাম না, লেখা পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছিলো জঙ্গলে হারিয়ে গেছি! তবে কোবতেটা জোশ লেগেছে।

মূলত পাঠক এর ছবি

১. লেখা:
যদি জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়াটা একেবারে তদ্গত হয়ে যাওয়ার সমার্থক হয় তো সে চমৎকার ব্যাপার এবং আমার পরমাহ্লাদের কারণ। আর তা না হয়ে যদি কনফিউসড হয়েছেন বলে মীন করে থাকেন তো সেও আমার মাত্রাতিরিক্ত ছায়াছবি ও গপ্পের রেফারেন্স দেওয়ার ফল, দোষ আপনার না রে ভাই।
২. কোব্তে:
আহ্লাদ পাইলাম।

জুলফিকার কবিরাজ এর ছবি

উদ্ধৃতি
আমরা কেবল হাঁটি বিপরীতে, অতীতের বনে

আবেহায়াতের মত লাগিচ্চে। তবে...

মূলত পাঠক এর ছবি

আবেহায়াতটা কী একটু যদি বলেন, বুঝলাম না ভালো কইলেন না মন্দ হাসি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

যাই, ইউটিউবে গিয়া আমাজন ঘুইরা আসি। চোখ টিপি

মূলত পাঠক এর ছবি

হা হা, নিশ্চয়ই হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কবিতাটা অ-স-ম্ভ-ব ভালো লাগল পাঠক ভায়া।

লেখার জায়গায় জায়গায় একটু খেই হারিয়েছি বটে, তবে সেটা আমার জানার সীমাবদ্ধতার কারণেই। দুর্দান্ত লিখেছেন যদিও হাসি

স্নিগ্ধা এর ছবি

শুনো - পাঠক মশাই আমাদের 'পাঠ' এর পরিধি দেখতে চাচ্ছেন ( চোখ টিপি )

এখানে সুনীল আর বুদ্ধদেব গুহ আর আশাপূর্ণা দেবী (মোক্ষদা পিসি'র কারণে মনে হলো) আর সঞ্জীব চট্টো (টেসকিতে গেলেই পারেন) আর জিম করবেট আর রাস্কিন বন্ড (পড়ি নি) আর অমর চক্কোত্তিরটা বুঝি নি - এইগুলা উদ্ধার কর্ত্তে পারসি, ক্লায়কেশে।

বাকিটা বা ঠিকটা, মূলত বকবক মানে থুড়ি মূলত পাঠক মশাই এর বলে দিতে হবে দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা দেঁতো হাসি

আমি আসলেই পড়াশুনার দিক দিয়ে বিরাট মূর্খ মন খারাপ
আপনিও তো দেখি অনেক কিছুই জানেন। আমি পাঠক মশাইয়ের জন্য অপেক্ষায় আছি এখন।

মূলত পাঠক এর ছবি

দুঃখিত দেরিতে উত্তর দিচ্ছি বলে। থাংকু প্রহরী ভাই, কবিতার প্রশংসার জন্য। হাসি

একই সাথে স্নিগ্ধার চিঠিরও উত্তর দিই। এখানে বুদ্ধদেব গুহ ছিলেন আর সুনীল গাঙ্গুলী, আর যেগুলো আপনি লিখেছেন সেগুলো অসচেতন ভাবে এসে থাকতে পারে। ঐ 'টেকসি'র ব্যাপারটা কলেজে পড়ার সময় ভীড় বাসে রোজই দেখতে পেতাম, সঞ্জীব চাটুজ্জে লিখে থাকলে তিনিও আমার মতো বাসবিহারী ছিলেন তার মানে। হাসি

করবেট বলতে আমি করবেট ন্যাশনাল পার্কের কথা বলেছিলাম, আর রাস্কিন বন্ড তো সরাসরিই এসেছে। পড়তে পারেন, সরল গদ্যে ভালো লেখা। আর অমর চক্রবর্তী হলেন একটা বাংলা ভ্রমণপত্রিকার সম্পাদক যার ট্যাগলাইন হলো 'ঘরে বসে মানসভ্রমণ'।

এনকিদু এর ছবি

জঙ্গলে গেলেই অনেক মজার জিনিস দেখা যায় । এই যেমন, মাস খানেক আগে লাউয়াছরার জঙ্গলে হাতির গু দেখেছিলাম । সে এক এলাহী কান্ড । এটা নিয়ে একটা ব্লগ লেখা দরকার । যাউক গা আসল কথা হল গিয়ে, মজার মজার জিনিস দেখা যায় বলেই জঙ্গল আমার প্রিয় । আর বেসিকালি অজংলী সমাজে আমি ঠিক মত ফিট হইতে পারি না । এই যে সচলায়তনো কিন্তু একটা জঙ্গল ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

মূলত পাঠক এর ছবি

হাতি আর কৎবেলের গল্প বুঝি, সেই গজভুক্ত কপিত্থ? কইয়া ফালান চটপট।

এনকিদু এর ছবি

না গল্পে কৎবেলের কোন ভূমিকা নাই । লিখুম ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

আমরা হারিয়ে পথ, হেঁটে যাই কথা বেয়ে বেয়ে
শহুরে গলির মতো, শুঁড়িপথ, আবোলতাবোল
সব কথা কে বুঝেছে, অনাদি অতীতে
.......................................................
সবার অতীত আছে, সবার শিকড়
ডালপালা, ভাঙা সুর, রোদজলদিন
রাত হয়, ধুলোমাখা বিকেল পেরিয়ে
আমরা কেবল হাঁটি বিপরীতে, অতীতের বনে

চলুক

ন্যান, এইবার এই যে ছুটির দিনে অতো কষ্ট করে সাট্টিফিকেট বের করে দিলাম, এই লেইগ্যা সার্ভিস চার্জ দ্যান! খাইছে

আমার জঙ্গল অনেক ভালো লাগে, কারণ আমার জঙ্গলে যাওয়া হয় না, হয়ওনি। মন খারাপ

বাই দ্য ওয়ে, পৃথিবীর সবকিছু তো আছেই, আপনার লেখা বিশেষত একটু বেশিই ইন্টারঅ্যাকটিভ।
ভালো, ভালো। হাসি
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

মূলত পাঠক এর ছবি

থাংকু ভায়া, অনেক থাংকু হাসি তবে ছুটির দিন কী রকম বেস্পতিবার? চোখ টিপি

ঘরের কাছে এত্তো বড়ো ম্যানগ্রোভ, ঘুরে আসেন না।

ব্লগে লেখার ওই তো আরেক ফায়দা, পাঠককে জ্বালিয়ে খাওয়া যায় ইন্টারঅ্যাকশনের নামে হাসি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

বেস্পতিবার দিবাগত রাইতে লিখছি ওইটা, যখন অলরেডি পুরা হপ্তা'র জমা ঘুমে ছুটি উদযাপন শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। হুম! মন খারাপ
আমার আর ঘরের কাছে! এই জীবনে কোত্থাওই যাই নাই আমি- ঘরকুণো সুবোধ, আকাইম্যার ধাড়ি। মন খারাপ
আর পাঠককে জ্বালানো তো হয়েই ওঠে না। অফিসিয়াল সূত্রেও যে দেশের বাইরে গেলাম মার্চের শেষে, সেইটা নিয়েও তো লিখবো লিখবো করতেছিই শুধু এই এতগুলা দিন, লেখা তো হইতেছে না। ভাল্লাগে না ছাই! আমি একটা ব্যস্ত অলস কুইড়া মানুষ! মন খারাপ
ল্যাখেন ভাই, আপনারা বেশি করে ঘোরেন আর আরো বেশি করে ল্যাখেন। হাসি
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

মূলত পাঠক এর ছবি

শোনেন মশাই, আমি হলাম খাঁটি ঐ আপনার ভাষায় ঘরকুনো সুবোধ, মানে ইনহেরেন্ট চারিত্রিক টাইপের কথা ধরলে। ফলে যতক্ষণ না বেরোচ্ছি আমার খালি খালি মনে হতে থাকে, না গেলে কেমন হয়। না গেলে বাড়িতে থাকা হয়, আরামে খাওয়া ঘুমানো টিভি দেখা আড্ডা মারা, সব হয়। কিন্তু শেষমেশ যখন বেড়িয়ে পড়ি তখন কিন্তু খুব ভালো লাগে। কাজেই ঐ একবার পথে নেমে পড়লে পথই আপনাকে টানতে টানতে নিয়ে চলবে। একবার ট্রাই করেই দেখুন না!

আর লেখার ব্যাপারে শুধু বিদেশভ্রমণ কেন, লিখতে থাকুন না যা খুশি নিয়ে। পড়ার জন্য আমরা তো সবসময়ই আছিই। হাসি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হাসি
থ্যাংকস। সিন্সিয়ার পরামর্শ আর উত্সাহের জন্য।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

তুলিরেখা এর ছবি

খুব সুন্দর।
গাছের জঙ্গলের মধ্যে যে এক আশ্চর্য প্রসাধনহীন প্রত্নপৌরুষ আছে, তার জ্ন্য সেই আকর্ষণ মানুষের জঙ্গলের চেয়ে আমার কাছে বেশী মনে হয়।
মানুষের জঙ্গল খুব বেশী রঙমাখা, ফেসিয়াল করা আধুনিক ন্যাকান্যাকামার্কা পৌরুষ, বড় বেশী সুখুমাল!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

আহা আপনার মতো শব্দচয়ন করা গেলে জঙ্গল কেন, যা নিয়েই লিখি লোকে পড়ে ঠাসদ্রুম করে অজ্ঞান হয়ে যেতো, প্রত্নপৌরুষ আহা!

আর মানুষের সব জঙ্গল কি আর সাজানোগোছানো, কলকাতার ভিড় বাসের কথাটা ভুলে গেলেন? হাসি

জুলফিকার কবিরাজ [অতিথি] এর ছবি

আবেহায়াত হচ্ছে স্বর্গীয় সরবর। এর পানীয় বরফের চেয়ে শীতল, মধুর চেয়ে মিষ্টি, দুধের চেয়ে সাদা...

মূলত পাঠক এর ছবি

শুনেই খেতে ইচ্ছে হয় যে!

জুলফিকার কবিরাজ এর ছবি

স্বর্গে আহেন দিমুনে

মূলত পাঠক এর ছবি

আরে আমি পাপীতাপী মানুষ, স্বর্গে যাওয়ার পাস পাই কই!

শুধু পাঠক  এর ছবি

আমি এতদিন ভাবতাম জংগল খালি আমারই ভালো লাগে।
আজকে আপনের লেখা পইড়া দেখতেছি আরো পাপী আছে ।
জংগলের যেই জিনিস আমার সবচেয়ে ভালো লাগে সেইটা হইলো
নিস্পাপ নির্জনতা
অস্ট্রেলিয়ার যেই জঙ্গলে আমি সপ্তাহ খানেকের জন্য ডুব দেই সেইখানের
ক্যাঙ্গারু ওয়ালাবিদের আমার দিকে আবাক হয়ে তাকিয়ে থাকা পরের সাতদিন বাড়িতে বসে থাকলেও কেমন যেনো চোখে ভাসতে থাকে।
তবে সবচাইতে ডর লাগে রেড বেলি ব্ল্যাক আর গোয়েনা

মূলত পাঠক এর ছবি

আরে আপনি তো আসল জঙ্গলের কথা লিখতে পারেন, আমারগুলোয় বনবিভাগের ছড়ানো লবণ খেতে আসা হরিণ ছাড়া বিশেষ কোনো জানোয়ার দেখা মুশকিল। হাসি

লিখে ফেলুন না।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।