আজকাল আমার পরিপূর্ণ মুক্তির জীবন, চব্বিশ ঘন্টাই নিজের হাতে যা খুশি করার জন্য। তো একটা জিনিস আমি অবশ্যই করি, সেটা হলো ঘড়ি উল্টোপাল্টা করে দেওয়া। শোবার ঘরের টেবিল ঘড়িটা বাথরুমে রেখে এসেছি, হাতঘড়িগুলো ড্রয়ারের অন্তরতর থেকে অন্তরতম কোণে ঢুকিয়ে দিয়েছি, দেয়ালঘড়ি নামানোর ঝামেলা যদিও করি নি আলসেমি করে, তবে তাকানো ছেড়ে দিয়েছি।
এত সব পরিশ্রমের ফল হিসেবে এখন আমার দিনরাতের হিসেব গেছে গুলিয়ে। এখন আমি ব্রাঞ্চ করি বিকেল চারটেয়, সকালের কালো কফিতে বিসকোটি চুবোই বেলা বারোটায়, আবার ফূর্তি আশানুরূপ না হলে রাত এগারোটায় গোস্ত বিরিয়ানি বানাতে বসি যা উদরগহ্বরে পৌছতে পৌছতে তারিখ বদলে যায়। কাল রাতে আড্ডাটাড্ডা মেরে মাঝরাতে ফিরলেও ঘুমোলাম প্রায় রাতভোর করে। একটা লেখা লিখছিলাম সচলের জন্য, লিখে পছন্দ না হওয়ায় পোস্ট করা গেলো না, কিন্তু তখন আরেকটা লেখা লিখবার মতো উৎসাহ অবশিষ্ট ছিলো না। সেই আরব্ধ কাজের কথা মাথায় নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম বলেই হয়তো সকাল বেলা (সকাল কম, বেলাই বেশি) ঘুম ভাঙলো একটা উদ্ভুট স্বপ্ন দেখে, যেখানে আমি এক ফিরিঙ্গি সহপাঠি-বন্ধুকে বাংলা ভাষা কী বস্তু তা বোঝাচ্ছি, আর হাতের কাছে উদাহরণ হিসেবে ফটাস করে নেট খুলে সচল দেখাচ্ছি। ঘুম ভেঙে মনে হলো স্বপ্ন নিয়েও তো লেখা যায় একটা পোস্ট। আমি এতো কোটি কোটি স্বপ্ন দেখি যে লেখার হাত আর ধৈর্য থাকলে এদ্দিনে সে বিষয়ে একটা উপন্যাস নামিয়ে দেয়া যেতো। তো এই সব ভাবতে ভাবতে চিঠিবাকসো খুলেই দেখি আইব্বাস, সচল থেকে সন্দেশ! তো সক্কালসক্কাল সেই সন্দেশ খেয়েই পেট ভরে গেলো। এ আবার এমন ডায়েট সন্দেশ যে খেলেই স্লিম হয়ে যাওয়া যায়। বিশ্বাস না হয় আমার নামটা দেখুন, তিন শব্দের "মূলত পাঠক [অতিথি]" থেকে এখন দুই শব্দের হয়ে গেছে। যার যার অভিনন্দন-টন্দন জানানোর মনোবাসনা আছে এইবেলা চলে আসুন, বেলা বাড়লে লাইন পড়তে পারে, সে সব ঝামেলার জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী হবে না। আর কার কী বিষয় নিয়ে লেখা পড়ার অভিলাষ সেটাও বলে ফেলুন, জানি না-জানি, নেট থেকে পড়ে যে কোনো বিষয় নিয়ে লিখে ফেলা যায় আজকাল সে তো জানেনই।
রাগসঙ্গীত নিয়ে লেখার ইচ্ছাটা প্রবল ছিলো, যদিও ফুলছড়া, আকাশভ্রমণ ইত্যাদি আরো সব বিষয়েরাও লাইনে আছে। পুতুল বলেছেন পূরবী নিয়ে লিখতে, অন্য রাগ-রাগিনীর কথা আগে ভাবছিলাম কিন্তু এখন আগে ওঁর কথাই রাখি। তাহলে আজ সকাল বেলায় বৈকালিক রাগরাগিনী শোনা যাক। অবশ্য খাম্বাজ নিয়ে সকালবেলা লিখে নিয়মভঙ্গ আগেই করা হয়ে গেছে। আরো এগোনোর আগে বিসমিল্লা বলে এই গানটা চালিয়ে বসে পড়তে থাকুন।
পূরবী বা পূর্ভির জন্ম হয়েছিলো পূর্ব ভারতে, নামকরণের কারণটা তাই। এই রাগ নিয়ে লেখার একটা প্রধান সমস্যা হলো কোনো সিনেমার জনপ্রিয় গানের কথা মনে আসছে না যা এই রাগের ভিত্তিতে তৈরি (আমি সহজ করার উদ্দেশে সবাইকেই রাগ বলছি, রাগিনীরা রেগে যাবেন না আশা করি)। নতুন সুর চিনতে এই পদ্ধতিটা খুব কাজে দেয়, তাছাড়া কনভারসেশন টপিক হিসেবেও উৎকৃষ্ট, আড্ডার মাঝে তো আর আরোহন-অবরোহন শুনিয়ে লোককে ইমপ্রেস করা যায় না। সিনেমার গান রাগভিত্তিক হলেও তাতে এতো অতিরিক্ত নোট জুড়ে দেয় যে আসল রাগ চিনতে পারা কঠিন হয়ে যায়। তাছাড়া বিদেশী ভাব ইত্যাদি ফোটাতে চালটাও দেয় বদলে, তখন একেবারেই চেনা যায় না। আজ বরং পূরবীর কথা বলার আগে এই চাল নিয়ে একটু গল্প করা যাক, দেখা যাক কতো ধানে কতো চাল। এইখানে বলে রাখি যারা পাকা গানের পাকা খেলুড়ে তাদের জন্য নয় এই আলোচনা, খুব বেসিক ব্যাপার ছাড়া আর কিছু জানার নেই কাজেই কারো পড়তে গিয়ে ঘুম পেয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় (নচিকেতার গানের এই লাইনটা কেন যে খালি খালি মাথায় আসে!)।
মনে করুন একটা এক্কাদোক্কা খেলার একটা কোর্ট। এই কোর্টের ঘরগুলো আবার নানারঙে রঙিন। এইবার আচার খেয়ে হাতটা প্যান্টে কি ফ্রকে মুছে আপনি লাফিয়ে লাফিয়ে এক দিক থেকে অন্য দিকে যাবেন, কিন্তু আপনাকে বলা হলো আপনি শুধু কয়েকটা নির্দিষ্ট ঘরেই পা ফেলতে পারবেন। আবার যখন ঐ পাশ থেকে ফিরবেন তখন আবার অন্য এক সেট ঘরে পা ফেলার অনুমতি। এই দুই সেট একও হতে পারে বা দু-একটা ঘর আলাদা, কিন্তু ক্রম বা অর্ডারটা উল্টে যাবে ফেরার সময়, স্বাভাবিকভাবেই। তো এই যে হিসেবটা পেলেন একে কায়দা করে আরোহন আর অবরোহন বলা হয়। ধরুন ভূপালি রাগের কথা, সেখানে আরোহন আর অবরোহনে একই স্বর/নোট লাগে, সা রে গা পা ধা সা, আবার ফেরার পথে সা ধা পা গা রে সা, সব স্বর শুদ্ধ। (এই শুদ্ধ অশুদ্ধ নিয়ে আরেক দিন কথা হবে, যাঁরা জানতে চান তাঁদের বলছি।) কিন্তু এখানে আরেকটা ব্যাপার আছে, ধরুন যাওয়ার সময় হয়তো ছয় ধাপে পৌছে গেলেন, ফেরার সময় বলা হলো একটু ঘুরপথে ফিরতে হবে, যেমন হয়তো সা ধা পা গা রে গা রে সা। এতে করে কী লাভ হলো সে প্রশ্ন আসবেই। উত্তরটা খুব ইন্টারেস্টিং। এতে লাভ হলো দুখানা। এক, এতে চরিত্রটা বোঝা গেলো রাগের। ধরুন পঞ্চাননবাবু মাছ কিনতে গিয়ে প্রথমে সব দোকান ঘোরেন, তারপর যেখানে দরে পোষায় সেই দোকানে ফেরত গিয়ে মাছ কেনেন। আবার তিনকড়িবাবু প্রথম কয়েকটা দোকানে ঘুরেই একটা স্যাম্পলিং করে নেন, তারপর পরের দোকানে গিয়ে কিনে ফেলেন মাছ। একাদশীপিসিমা নাতিনাতনীদের জন্য মাছ কিনতে আসেন কিন্তু তাঁর স্মৃতিশক্তি গেছে দুর্বল হয়ে তাই তিনি কয়েক চক্কর লাগান, একই দোকানে ঘুরে আসেন, "হ্যাঁরে ভোলা বাটামাছ জানি কয় ট্যাকা কইরা কইলি" বলতে বলতে। মাছওয়ালারা আগে বিরক্ত হতো, কিন্তু এখন জেনে গেছে পিসিমার ধরণটা, তারাও একগাল হেসে আরেকবার দরটা বলে। তো এই ধরণটা আসে আরোহন-অবরোহনের কম্বিনেশন থেকে, প্রাথমিকভাবে। এবার দ্বিতীয় লাভের কথায় আসি। একটা অক্টেভে নোট তো গোনাগুনতি, কোমল কঠোর সব মিলিয়েও, শ্রুতিট্রুতি নিয়েও। কিন্তু এতো যে রাগের নাম শুনি সেগুলো তাহলে আসে কী ভাবে। সেটা আসে এই ধরণের সাহায্যে। দুটো রাগের আরোহন অবরোহন হুবহু যদি একরকমও হয় তাহলেও ঐ ধরণ দেখে বলা যায় কে কোনটা। এর সাথে আরো লক্ষণ থাকে, সেগুলোর দু একটার কথাও সংক্ষেপে বলি। এক্কা দোক্কার কোর্টে একপায়ে দাঁড়াতে হয়, কিন্তু যদি দু একটা ঘরে দুপায়ে দাঁড়ানো অ্যালাউড থাকে তো লোকে সেখানে দুদন্ড জিরিয়ে নেয়। কোনো কোনো রাগে এই রকম একআধটা স্বর থাকে যেখানে গায়ক একটু থিতু হতে পারে। এ দেখেও রাগ চেনা যায়। অনেক রাগে বাদী সম্বাদী স্বর থাকে, যদিও রাগ রাগিনী যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন গায়কবাদকদের হাতে ধীরে ধীরে বদলায়, ফলে এই বিষয়টা ক্রমেই বিতর্কিত হয়ে উঠছে, স্বয়ং ভাতখন্ডে সাহেবও সামলাতে পারেন নি। আবার ধরুন ঐ যে নোটগুলো লাগাচ্ছেন সে লাগানোর তরিকা-টাও গুরুত্বপূর্ণ। কিছু নোট বিশেষভাবে প্রযুক্ত হয়, যেমন দরবারিতে কোমল গা আন্দোলিন, অর্থাৎ দুলে দুলে লাগে। আবার কিছু আলঙ্কারিক প্যাটার্নও থাকে যা দিয়ে কুম্ভ কি মেলা মে বিছড়া হুয়া ভাইয়ের মতোই রাগ চেনা যায়।
প্রথম প্রথম আমি খুব থাম্ব রুল খুঁজতাম, আবার পরমসহিষ্ণু শিক্ষককে পাগলা করে দিতাম এই সব প্রশ্ন করে। কিন্তু মোদ্দা ব্যাপারটা আসলে ততো সোজা নয়, আবার আদৌ কঠিনও নয়। আমরা যেভাবে অনেক সময় দূর থেকে দেখেও বুঝতে পারি কে আসছে, সেটা কিন্তু শুধু চেহারার মাপজোখ দিয়ে হয় না, জামাকাপড় দেখে, হাঁটার ভঙ্গি ও গতি দেখে, আরো অনেক কিছু দেখে বুঝি। এবং এই বোঝার কাজটা সচেতন ভাবে করি না অনেক সময়ই, সব মিলিয়ে একটা ইমপ্রেশন তৈরি হয় যা থেকে লোকটাকে চেনা যায়। এটা যাঁরা গান শেখেন নি তাঁদের জন্য সুখবর। স্রেফ শুনে শুনেও যদি রাগ চিনে ফেলা যায় তাহলে সমঝদার শ্রোতা হওয়ার জন্য ট্রেনিংয়ের প্রয়োজন থাকে না। আর এই চরিত্রকেই রাগের স্বরূপ বা পকড় বলে ডাকা হয়।
পূরবীর কথায় ফিরি। এর স্বরূপ চেনার একটা উপায় হলো আরোহনে যদিও শুধু তীব্র মা লাগে, নামার সময় কিন্তু দু খানা মা-ই লাগাতে হয়, ফলে বেশ একটা প্যাঁচ খেয়ে যায় ওখানটায়। ওই চক্করটা কেমন একটা যেন দিবাশেষের ক্লান্তির সিমুলেশন তৈরি করে দেয়, যাতে সন্ধে-সন্ধে ভাবটা সৃষ্টি হয়। পন্ডিত যশরাজের এই গানটা শুনুন, এতে বিশ সেকেন্ড থেকে ত্রিশ সেকেন্ডের অংশটায় এই প্যাঁচটা শুনতে পাবেন দুবার।
ফিরতি পথের এই শুদ্ধ মা'টাই পূরবীকে পুরিয়া ধানেশ্রীর থেকে আলাদা করে চেনায়। এতে করে সা-এর সাথে একটা হারমোনি-জাতীয় ব্যাপারও ঘটে যায়, যেটা ঐ সিমুলেশনে একটা হন্টিং চরিত্র যোগ করে।
আমার নিজের চোখে পূরবীর রূপ কেমন বলার আগে শাস্ত্র মেনে কিরকম চেহারা হয় সেইটা বলি। রাগকল্পদ্রুম বলছে, পূরবী এক নারী, অপরূপা ও মোহিনী, পদ্মলোচনা, স্বল্পবসনে দিবাশেষে আবির্ভূতা। অলস চরণে চলে সে নারী, প্রিয়বিরহে কাতর হয়ে তন্দ্রালু নয়নে প্রিয়কেই শুধু দেখতে পায় সে। চত্ত্বারিমসচ্চতা-রাগ-নিরুপমের কল্পনায় পূর্বিকা হস্তীপৃষ্ঠে আরূঢ় এক দর্পিতা নারী, শ্বেতবসনা, ধনুর্বিদ্যায় পারঙ্গম, এবং সর্বজনের সমীহের পাত্রী। রাগসাগরে যে ছবি পাওয়া যায় তা এইরকম, পূর্ব্বিকা এক চন্দ্রমাবৎ শুভ্রসুদর্শনা নারী, স্বর্ণজরীখচিত বেশভূষা সজ্জিতা, তার এক হস্তে সোমরসের পানপাত্র ও অন্য হাতে শুকপক্ষী। মৃগশিশুর মতোই চপল এই নারীকে পরিচর্যায় রত অন্য নারীরা, এবং তার কোলে মাথা রেখে বসে আছে তার প্রেমিক। এইবার বলুন, এইরকম তিনখানা ছবি দেখার পর আমার ল্যাকলাস্চার ছবির কথা বলতে ইচ্ছা হয়? এখানে তো বীররস-শৃঙ্গাররস এবং আরো কতো সব রসের পাত্র উপচে পড়েছে! তার সামনে আমার দেখা সেই মফস্বলি শ্যামলা বৌটি যে বিকেল হলে গা ধুয়ে চুল বঁেধে তার আপিসফেরতা ততোধিক সাদাসিধে স্বামীটির প্রতীক্ষায় জানলার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে দিনশেষের মরে আসা আলোয়, তাকে এনে দাঁড় করাই কী করে? তবু এঁকে দিলাম সেই নারীরই ছবি।
যাক সে আর কী করা। তার চেয়ে বরং ইমরাত খান ও গুলাম মুস্তফা খানের যুগলবন্দিতে শুনুন পূরবী। আর যদি অডিও ডাউনলোড করতে চান তো একটা অসাধারণ গান আছে, আফতাব-এ-মৌসিকি উস্তাদ ফৈয়াজ খাঁর কন্ঠে। শুনলেই প্রেমে পড়ে যাবেন এমন জিনিস। পুতুল আমি অনেক খুঁজেও নিখিল ব্যানার্জির পূরবী পেলাম না, তবে পুরিয়া ধানেশ্রী পেয়েছি, সেটা কাছাকাছি বস্তু হিসেবে শুনতে পারেন।
সংযোজন: অতন্দ্র প্রহরী পাঠালেন এই লিঙ্কের খবর, নিখিল ব্যানার্জির পূরবী কল্যাণ।
মন্তব্য
আকাশ রচনা জারি থাকুক। সচলায়তন পরিবারে স্বাগতম।
অনেক ধন্যবাদ হিমু।
আমি যাদের মডু বলে জানতাম, যেমন আপনি, মুর্শেদসাহেব, অরূপ, এঁদের লেখায় ইচ্ছে করেই মন্তব্য করতাম না সচল হওয়ার আগে। দেখা গেলো তৈলপ্রদান নিয়ে যে গল্পকথাটা চালু আছে সেটা গল্পকথাই। ফেয়ারনেস নিয়ে আমার অন্তত কোনো অভিযোগ নেই। ধন্যবাদ এই পরিবেশ বজায় রাখার জন্য।
এবার থেকে মন খুলে মন্তব্য করা যাবে সব লেখাতেই। সচল হওয়ার এটা একটা অতিরিক্ত ফায়দা হলো।
মডুদের (বা যাঁরা উত্তরটা জানেন তাঁদের) জন্য একটা প্রশ্ন: যদি অনেক পুরোনো কোনো লেখার শিরোনামে কোনো পরিবর্তন করি এখন, তবে কি সেটা আবার প্রথম পাতায় চলে আসবে? আসুক সেটা চাইছি না। যদি চলে আসে সেটা ঠেকানোর কোনো উপায় আছে কি?
মনে হয় না। চলে এলে মডুরা সেটাকে আপনার নিজ পোস্টে প্রকাশ করে দেবেন। যেহেতু পুরনো লেখা, কাজেই নিজ পোস্টে প্রকাশিত হলেও সমস্যা নেই।
ধন্যবাদ হিমু। একটা লেখার নাম বদলে দেখলাম, কোনো সমস্যা হলো না।
প্রশ্ন ছিল মডারেটদের কাছে। উত্তর দিলেন আপনি। আপনি কি মডারেটর?
আপনার মডারেটর একাউন্টটি তিন দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হল।
হে শ্রীআসমানীমডু, আপনে একটা টেকনিক্যাল ফল্ট করলেন যে, আমি প্রশ্নটা করছিলাম মডুদের (বা যাঁরা উত্তরটা জানেন তাঁদের) কাছে, আপনে হিমুরে হুদাই পাকড়াইলেন।
আপনার এই অপরাধের জন্য জনতার তরফে আপনাকে বেগুনি মডু বানায়ে দেয়া হলো (লজ্জা পাইলে আমার বেগুনি বর্ণ হয় কি না তাই আপনারেও সেই রঙে ছোপায়া নিলাম)।
ক'দিন যাবৎ খিয়াল করতেছি, এই আসমানী মডু ক্যান জানি খালি হিমুর পিছে লাইগা রইছে ! নামে তো কয় এইডা মহিলা মডু ! এইডা তো হিমু বেচারার লাইগা আরো সমস্যা !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
শ্রীমান/শ্রীমতি আসমানী-মডুউঊঊঊ,
হিমুকে একবার ধমকি দিচ্ছেন যে প্রশ্নটা ছিলো মডারেটরদের কাছে (যদিও মূলত বকবক তো বল্লেনই যে তা ঠিক নয়), বলছেন যে সেই অপরাধে পরোপকারী/পরার্থপর/পরসেবী হিমুর মডারেটর একাউন্ট তিন দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হলো ...... আমারও তাই আপনাকে আপনারই প্রশ্নের অংশবিশেষ জিজ্ঞাস্য...... হিমু কি মডারেটর ?!?!
সচলত্ব প্রাপ্তিতে অভিনন্দন। আমি গানের গ ও বুঝিনা, রাগ-টাগ তো পরের কথা। কিন্তু আপনার লেখা পড়ে বড্ড ভাল্লাগছে। কিছু কিছু ভাল গানও শোনা হচ্ছে। এই সিরিজটি চালু রাখুন।
এই সুযোগে একটি প্রশ্ন করি। আমি শুনেছি যে বেশীর রাগই দিনের (বা রাতের) কোন একটি বিশেষ সময়ে গাইতে হয়। এখন প্রশ্নটি হচ্ছে যে কল্পনা করুন রাত ন'টা দশটা বাজে। পূর্ণিমা চাঁদের আলোয় ভেসে যাচ্ছে চারদিক। একটি নির্জন মাঠে বসে আপনি একমনে বাঁশি বাজাচ্ছেন। তা বিরহভারাক্রান্ত হ'তে পারে অথবা কারো প্রতীক্ষায়ও হ'তে পারে।
এই পরিস্থিতিতে আপনি কোন রাগটি বাজাবেন? এবং কেন? এবং সেই রাগটির গঠন (আরোহ-অবরোহ ইত্যাদি) কেমন?
ধন্যবাদ, বিষণ্ণ।
পাকাগানের বিজ্ঞজনের পাঠযোগ্য অনেক কিছু আছে কিন্তু যাঁরা গানের সাথে সম্পর্ক শুধু শোনাতেই সীমায়িত, তাঁদের পড়ে ভালো লাগলেই লেখার উদ্দেশ্য সফল হয়।
বিভিন্ন রাগরাগিনীর সময় বলে একটা ব্যাপার থাকে, যদিও সবার ক্ষেত্রে থাকে না। দিনের প্রহর দিয়ে বোঝানো হয় সেটা। এবার উল্টোবাগে দেখলে, কোনো একটা সময়ে মানানসই রাগ যদি খোঁজেন তাহলে একাধিক রাগ পাবেন। সময় ছাড়াও মুড বলে একটা দিকও আছে। কোনো কোনো রাগে উচ্ছ্বল গান প্রায় হয়ই না, যেমন ধরুন দরবারি বা মারোয়া। তো সেটাও স্থির করে দিতে পারে আপনি কী গাইবেন বা বাজাবেন। তাছাড়া ঋতুর সাথেও অ্যাসোসিয়েশন হয় রাগের। তবে গানের জন্য মন নয়, মনের জন্য গান। কাজেই আপনার মুড স্থির করে দেবে সুর, হিসেব করে গাইতে হবে না। এই রাগগুলোও তো কোনো কম্পিউটারে সৃষ্ট নয়, মানুষ একেক মুডে গাইতে গাইতে সৃজন করে গেছে, আপনি যখন গাইবেন তখন সেই প্রসেসটারই পুনরাবৃত্তি হবে।
আপনি এই লিঙ্কে গেলে একটা চমৎকার রাগঘড়ি পেয়ে যাবেন। আর যদি বিশদে পড়তে চান তো এখানে দেখুন।
ওহ্, তাই?
অভিনন্দন লন আগে।
ল্যাখা পরে পড়তেছি এবং পরে বলতেছি ডিটেইল।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
নিলাম, ধন্যবাদ জানাইয়া দিলাম। এইবার কন লেখা নিয়া কী বক্তব্য।
প্রথমে ভেবেছিলাম আপনি মূলতঃ পাঠক। কিন্তু দিনে দিনে বুঝতে পেরেছি আপনি মূলতঃ পাঠক নন।
সচলপ্রাপ্তিতে অভিনন্দন।
আরে এনকিদু ছবি এঁকে বুঝিয়ে দিলো জলের মতো করে, তার পরেও আমার মূল নিয়ে সন্দেহ গেলো না?
ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ পলাশ দত্ত।
আবার এই পোস্টেও অভিনন্দন দিতে হবে?
আআআআচ্ছা ----- অভিনন্দন !
শোনেন নাই, ভালা জিনিসে অধিকন্তু দোষ নাই? দুই বার জানাইলে কোনো বাইবেল অশুদ্ধ হইবো না। থাংকু
উঁহু, বেশী ভালু ভালু না - জানেন না? ছিহ্!
আমি তো এইজন্য আজকাল অধিকন্তু হ দোষায় বলি!
এই যুদ্ধের বাজারে সবই ভালো, বেশিকম নিয়ে ভাবতে নেই ছিঃ।
আন্তরিক স্বাগতম। কিন্তু লেখা যেন থেমে না যায় ভাই। আপাতত আপনার এই রাগারাগির সিরিজ বন্ধ হইলে ভীষণ রাইগ্গা যাবো বলতেছি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অনেক ধন্যবাদ, নজরুল ইসলাম সাহেব। কোথায় যেন পড়েছিলাম, শুধু নজরুল বললে কোনো মানে হয় না (নজর-উল-ইসলাম) তাই সবসময় আপনাকে এই লম্বা নামে ডাকি। ছোটো একটা নাম নিতে পারলেন না মশাই?
লেখা শিগগির থামার সম্ভাবনা কম। রাগারাগিও চলবে যদ্দিন লোকজন চাইবেন।
........
ইসসিরে দেরী করে ফেল্লাম দেখি।
অভিনন্দন।
নজু ভাইয়ের মতো ঘোষণা দিয়ে বলি: আমি মুগ্ধ পাঠক।
আরে দেরি কিছু হয় নি, লাইন বেশি লম্বা না।
অনেক ধন্যবাদ অভিনন্দন আর এমন উদার প্রশংসার জন্য।
রাজর্ষি দা, সুস্বাগতম----!!!
লেখা বরাবরের মতই কোপানি হইসে।
জানি আপনি ব্যস্ত মানুষ--তবে একটা ছোট আবদারের মত কিছু আছে আপনার কাছে। বেশ আগে একবার মেহেদী হাসানের বিখ্যাত গজল 'কু বা কু ফেয়ল গ্যয়ি বাতেঁ' শুনছিলাম। দরবারী তে কম্পোজ করা এই গজলটি না শুনে থাকলে বিরাট মিস করেছেন। শুনে ফেলুন।
যাই হোক, মেহেদী হাসান গজলটা শুরু করার আগে দরবারীর রাগরূপ নিয়ে কথা বলছিলেন এবং কথায় কথায় জানালেন দরবারী নাকি আসলে 'আশাবরী'---কেবল 'চালের' তফাতের কারনে একজন দরবারী আর অন্যজন আশাবরী। পরে এই নিয়ে আরো একজনের সাথে আলাপ করতে গিয়ে শুনলাম---ঐটা নাকি ডাহা মিথ্যা।
আপনার আজকের লেখাটা পড়ে সেই পুরান জিজ্ঞাসাটা আবার মনে চাগিয়ে উঠল।
এই বিষয়ে আপনার মত কী?
আরে মিয়া ফাইজলামি করেন? বললাম যে আমি অ্যাবসোল্যুট ভেকেশন উপভোগ করছি, আমি আবার ব্যস্ত কিসে?
গানটা খুবই ভালো। তবে মেহদি হাসানের উক্তিটা এই রেকর্ডিংয়ে নেই কিন্তু। যাক, ওঁর মন্তব্য ঠিক না ভুল সেইটা আমি বলবো? এইটা তো মেগা ফাইজলামি হয়া গেল!
তবে এর একটা উত্তর আমি এই লেখাতেই দিয়েছি। চালের কারণেই রাগে রাগে ফারাক হয়, নইলে নোট তো অনেক সময়ই এক থাকে। তাছাড়া আশাবরীর কয়েকটা ভারশনও আছে, কাজেই ঘোটালা পাকানোর জন্য তাই যথেষ্ট। তবে দুখানা রাগই আশাবরী ঠাটের, কাজেই বেসিক মিল তো আছেই।
অজ্ঞ শ্রোতা হিসাবে আমি নিজের মতো করে বুঝি রাগের কঠিন হিসাব। কান দিয়ে শুনে দেখুন আপনার আশাবরী আর দরবারি এক রকম লাগে কি না। দরবারিতেই গাওয়া দুখানা গানের সুর আলাদা হয়, কিন্তু মিলটা ধরা যায়। আরো সোজা পদ্ধতি বলবো যদি ধৃষ্টতা না হয়ে যায়? একটা গান গাইতে গাইতে আরেকটায় যান, ট্রানজিশনটা মসৃণ হলো কি? একই রাগের ক্ষেত্রে কিন্তু সেটা মোটামুটি হয়। দরবারি থেকে আশাবরীর গানে গিয়ে দেখুন কেমন বোধ হয়, যা মনে হবে সেটাই সঠিক উত্তর।
শেষে জানাই থাংকু
সচলত্ব প্রাপ্তির শুভকামনা রইল।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার আড্ডা মনে হয় ভালোই জমেছিলো কাল রাতে - কারণ, লেখাটা হয়েছে চমৎকার! আসলেই খুব ভালো লাগলো! অডিও ক্লিপগুলোর জন্যও ধন্যবাদ
অনেক ধন্যবাদ স্নিগ্ধা।
অভিনন্দন!
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ধন্যবাদ, সুমন।
হাবিজাবি রান্ধাইয়া সচলদের পেট খারাপ করার জন্য আপনাকে সচল করছে ????
হাহাহাহা, একটু ঠ্যাং টেনে দিলাম।
সুস্বাগতম। আশাকরি সচল বিমানে ভ্রমন আপনার আনন্দময় হবে। আমরা এখন ৪০.০০ হাজার ফিট উপড় দিয়া উড়ে যাবো। সীট বেল্ট কষে বেধে নিন।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
অনেক ধন্যবাদ তানবীরা।
অখাদ্য খেয়ে পেট বিগড়ালে গান শুনে নিন, সব ঠিক হয়ে যাবে। সাথে ওষুধটাও খাবেন তাহলেই হলো।
সচলত্ব প্রাপ্তির জন্য অভিনন্দন।
নোরা জোন্স বিষয়ক পোস্টের অপেক্ষায় আছি। এইসব গুলামালি উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত আমার মাথার উর্ফে দিয়া যায়
নোরা জোন্স খুব ভালো লাগে, কিন্তু তার বেশি খুব কিছু জানি না। তবে লিখবো যদি পড়তে চান।
এবার আসল কথা বলি, আপনিই আমার আসল টার্গেট অডিয়েন্স। আপনাকে যদি পাকড়াও করতে পারি তাহলে আদ্ধেক যুদ্ধ জয় হয়। আপনি আজকের লেখাটা না হয় বাদ দিন, গতকালেরটা পড়ে দেখুন খুব অসহ্য বোধ হয় কি না। তারপর বলুন কী বদলালে আরো ভালো হবে (বা টলারেবল হবে)।
খাইসে রে আমি কিন্তু মোটেও সিরিয়াস পাঠক বা লেখক কিছু না। দৌড়ের উপর যতটুকু সময় দেয়া যায় ততটুকুই। তবে বলছেন যখন পড়ে দেখব- উইকএন্ডে।
পড়ে আর শুনে জানাবেন কিন্তু কেমন লাগলো, আর যা যা মনে হবে।
বেশ বেশ!
... অভিনন্দন! সচল থাকুন, সচল রাখুন
ধন্যবাদ লুৎফুল আরেফীন সাহেব!
- অভিনন্দন।
ভাই, দেশ বিদেশের সুন্দরীললনাকাহিনী (সচিত্র) পড়তে মন চায়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই খাইসে, ললনাকাহিনী তাও সচিত্র? কাহিনী শুনাতে পারি, তবে অচিত্র হবে যে! উত্তমমধ্যমের ভয়ে তেনাগো ছবি যে তুলি না, সবাই কি আর মুস্তাফিজ সাহেবের মতো বীর?
ধন্যবাদ
মুলত পাঠক,
আপনাকে যাকে সাধুভাষায় বলে রক্তিম অভিনন্দন।
গানে গানে রাগে রাগিণীতে আলাপেবিলাপে তালেবেতালে লয়ে ছন্দেবেছন্দে মাত্রায় যাত্রায় সচল ভরে রাখুন।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
পুনশ্চ: আমি একেবারে অ-সুর, রাগ তো দূরের কথা, সা রে গামা ও জানিনা। একবার একজন গিটকিরি গমক অনেক ধৈর্যে বোঝানোর পরে কোনটাকে জানি ডিসক্রিট আর কোনটাকে জানি কন্টিনুয়াস বলেছিলাম! যিনি বুঝিয়েছিলেন তিনি রামনাম স্মরণ করে তীর্থ করতে চলে গেছেন আর বলে গেছেন আমাকে আর এসব বোঝাবেন না।
কিন্তু আপনার লেখার গুণে পড়তে ভালো লাগে।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
অনেক অনেক ধন্যবাদ তুলিরেখা।
পুনশ্চ: আপনি যা সব সুকঠিন জিনিসপত্র নিয়ে হেলাফেলায় গল্পপ্রবন্ধটবন্ধ লিখে ফেলেন, বললেই হলো আপনি এই গান বুঝবেন না? এমন কথা কইলে ঘোড়ায় হাসবো যে কত্তা?
ডাকবাক্সের চাবি পাবার অভিনন্দন
(রাগ বিরাগ একটু কম হলে হয়না)
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
থাংকু রানা।
কী করি কন তো, নজ্রুলিস্লাম বল্লেন রাগ থামালেই তিনি রেগে যাবেন, এদিকে আপনি কমাতে বলেন। যাক এখন তো সচল হয়েই গেছি, যেই নীড়পাতা ছেড়ে বেরোবে লেখা ওম্নি আরেকটা অন্য টপিকের লেখা দিয়ে দেবো'নে।
অনেক অনেক অভিনন্দন। মডুদের পোস্টে মন্তব্য না করার ব্যাপারটা শুনে মজা পেলাম।
আমি একদম পুরোপুরি গানমূর্খ মানুষ। মজা লাগে আপনার এই পোস্টগুলো পড়ে। এত রকম গুণের সমাহার যে কীভাবে হয় মানুষের মধ্যে!
অনেক ধন্যবাদ ইশতিয়াক (নাকি অভি, কোনটা?)।
আপনি না গান নিয়ে একটা পপুলার সিরিজ লেখেন? আবার বলেন গানমূর্খ? আবার কি সব গুণটুনের কথাও বলেছেন দেখি। ভর বিকেলে কালোয়াতি শুনলে এই-ই হয়, মাথাটাথা সব গুলিয়ে যায়। যান বাইরে এখনো আলো আছে এক চক্কর দৌড়ে আসুন গিয়ে।
ইশতিয়াক/অভি যেটা পছন্দ সেটাই ডাকুন। আমি তো জীবন টুকটাক চিনলেও গান বুঝি না একদমই। নয়তো লেখাগুলো তো গান নিয়েই হত।
বিশাল এক ট্রিপ দিলাম কালকে। বলছেন যখন, যাই আবার আরেক বাড়ি বেড়িয়ে আসি।
আপনার কয়টা বাড়ি মশাই, আরেক বাড়ি বেড়িয়ে আসবেন? এ কি দেশে দেশে মোর ঘর আছে টাইপ কেস নাকি?
আর গান নাকি কেউ বোঝে না! সবাই দেখি এই কথাই বলে। যাক, আমার সব কথা বিশ্বাস করার রোগ নেই এটাই রক্ষা।
অভি খুব সুন্দর নাম কিন্তু এ নামে আমি আরো অনেককে চিনি। ইশতিয়াকটা একেবারে নতুন (এর মানে কী?), কাজেই ওটাই চলুক। আপনি ব্লাক্সবার্গে আছেন তো? আমি সামনে কখনো একবার ডি সি যাবো, তখন কপালে থাকলে দেখা হয়ে যেতে পারে।
আমার কি বাড়ির অভাব আছে? গিয়েছিলাম এক বড় ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে। এখন চলছে আরও এক বাসায় আড্ডাবাজি।
অভি নামটা আমারও পছন্দ। ইশতি'ই ডাকুন। এর অর্থ "আগ্রহ" বা "কৌতূহল" জাতীয় কিছু।
আমি অন্তত জুন মাসের শেষ পর্যন্ত আছি এখানে। ডিসি আসার আগে আমাকে একটা মেসেজ দিয়েছেন। একটা সম্ভাবনা আছে সামনের ৩০ তারিখ ডিসি যাওয়ার।
আপনি মূলত পাঠক, আপনাকে (লেখালেখি করার জন্য) সচলত্ব দিয়ে আপনার পাঠকসত্তার অংশীদার তৈরি করায় তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আর আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি আন্তরিকভাবে, কারণ এখন থেকে আপনার অসাধারণ লেখাগুলোর পাশে আর অতিথি লেখক শব্দটি থাকবে না যেটি লেখার সাথে এতকাল বড্ড বেখাপ্পাভাবে জড়িয়ে ছিল।
আর পাঠক হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা যে বেড়েছে সে কথা নয় উহ্যই রাখলাম। গানের রাগ আমি মোটেই বুঝি না, বোঝার চেষ্টাও করি নি কোনদিন। তবে লেখাটি আমায় টেনে নিয়ে গেছে ভাবনার জগতে, পুরো বুঝে উঠতে না পারলেও এতটুকু বুঝেছি, আমারও এখন থেকে রাগ শোনা উচিত।
সালাহউদদীন তপু
খুব আনন্দ পেলাম আপনার চিঠির শেষ লাইনটা পড়ে। গান শুনতে শুনতেই কান তৈরি হয়, কিন্তু আমরা আজকাল ভালো জিনিস শুনতেই চাই না যে!
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অভিনন্দন
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
ধন্যবাদ অবাঞ্ছিত।
বিশাল অভিনন্দন!
ভাবলাম আপনে অভিনন্দন জানায়া একটা ছড়া শুনাইবেন, যাক আরেকদিন শুনাইয়েন। আজ ধইন্যবাদ নিয়া যান
সচলত্ব প্রাপ্তির অভিনন্দন নিন। সাথে হাততালি ফাও....
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ফাওটাই বেশি ভাল্লাগ্লো
থাংকু কীর্তিনাশা ভাই।
ই-মেইল করে দিসি, তারপরে ভাবলাম পোস্ট যখন আছে তখন একটু ঢুঁ মারিই না। সুন্দর করে আমাদের প্রিয় রাজর্ষিদারে একটা কনগ্র্যাটস দেই।
কনগ্র্যাচুলেশন!!
আর বাকি পোস্ট স্কিম করলাম। পরে ভালো করে পড়ে দেখতে হবে বুঝি কি না।
সময়ের অভাবের ব্যাপারটা বুঝি, তবে রাগসঙ্গীত বলে যেন বাদ দেবেন না। না বোঝার কিচ্ছু নেই, বেট ধরতে পারি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ !
হিংসা , আপনার জন্য রইল শুধু এক পেয়ালা নির্জলা হিংসা!! এত ভালো মানুষ, ভালো লেখক, ভালো পাঠক, নিরাহংকারী, পরোপকারী, জ্ঞানী, সঙ্গীত সাধক, তন্ত্র সাধক কাপালিক সব এক সাথে কেমনে হইলেন? আপনি জন্ম থেকেই সচল মানুষ তাই অভিনন্দন জানিয়ে খাটো করতে চাইনা।
জানি একদিন বুক ফুলিয়ে বলে বেড়াব এইযে দুনিয়া কাপানো রাজর্ষী ব্যাটা ওরে চ্যাংড়া থাকতেই চিনতাম!!
সর্বনাশ, এই সব কী বলেন? "এত ভালো মানুষ, ভালো লেখক, ভালো পাঠক, নিরাহংকারী, পরোপকারী, জ্ঞানী, সঙ্গীত সাধক, তন্ত্র সাধক কাপালিক" এর মধ্যে শেষেরটা বাদে তো বাকি সাতখানাই ভুল, এক যদি কারোর উপর মারণ উচাটন বশীকরণ এইসব করতে হয় তো বলবেন, সেই ব্যবস্থা করে দেবো। তাই বলে দুনিয়া-কাঁপানো-টাপানো কী সব বলছেন, শুনেই তো কাঁপতে লেগেছি!
যাক আর খাটো করেন নি, বাঁচিয়েছেন, আমি কিন্তু ধন্যবাদটা জানিয়ে রাখলাম, আপনাকে আরেকটু খাটো না করলে আঁটানো যাচ্ছে না।
সচলত্ব প্রাপ্তিতে অভিনন্দন।
রাগ শুনে কিছুই বুঝি না, আর বেশীক্ষণ ধৈর্য্যও থাকে না; হয়তো বাজে জিনিস শুনতে শুনতে কানটাই পঁচে গেছে! আর আপনার লেখাগুলো সুখপাঠ্য এবং মনঘনিষ্ঠ। মন খুলে লিখে যান, আমরাও আনন্দ পেয়ে যাই।
শুনতে শুনতেই হয়তো একদিন ভালো লাগতে শুরু করবে। আইপডে চাপিয়ে শুনতে থাকুন বা গাড়িতে সিডি চালিয়ে দিন, কিম্বা বাড়িতে চালিয়ে দিন যখন অন্য কাজ করছেন। আর সেতার দিয়ে শুরু করতে পারেন, নতুন কানে ওটাই বোধ হয় সবচেয়ে সুখশ্রাব্য। বা ঠুমরি শুনুন, মজে যাবেন ঝটপট।
আমার লেখা যে এর পরেও পড়ছেন সেটা বড়ো সম্মান। অনেক ধন্যবাদ অভিনন্দনের জন্যেও।
শুভেচ্ছা, অভিনন্দন।
সচল থাকুন, সচল রাখুন।
অনেক ধন্যবাদ, শিমুল।
যাক, সকাল বেলা একটা সুসংবাদ। রাগ রাগিনী থামলে কিন্তু আমার পক্ষ থেকেও ...
--------------------------------
এই লেখাটাও আগেরটার মতোই চমৎকার। আরো চমৎকার যে'টা লেগেছে সে'টা হলো টেকনিক্যাল জিনিসগুলির বর্ণনা। আমি সংগীত-অজ্ঞ মানুষ, এই ধরনের বর্ণনা পেলে ভালো লাগে। এরপরের লেখাগুলিতে সম্ভব হলে আরোহ-অবরোহ কিংবা এ ধরনের যাই ব্যাখ্যা করুন না কেন, আরেকটু ডিটেইলে বলবেন, তা হলে যাই বুঝি না কেন, সে'টা আরো পোক্ত হয়।
আরেকটা কথা, এ লেখাতে অনেকগুলি জিনিস ভবিষ্যতে বোঝানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেগুলি যেন ভুলে যাবেন না।
সবশেষে, আবারও অভিনন্দন...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
বেশি বিশদে যেতে ভয় হয়, কারোর কারোর যেমন কাজে লাগে কারোর তেমনি বাজেও লাগে। তাই মধ্যপন্থা, তবে আপনার কথা মাথায় রাখবো।
আরেকটা কথা, যদি লেখার মধ্যের কোনো কিছু নিয়ে আরো ব্যাখ্যা দরকার মনে হয় তো খুলে বলবেন, লেখায় বাদ গেলেও কমেন্টাংশে আলোচনা করা যাবে।
ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
অভিনন্দন মূলতবী রাখলাম মিষ্টি খাওয়ানোর আপাততঃ কোন সম্ভাবনা দেখছি না বলে। বিনামূল্যে কিছুই দিতে নেই, আগে খাওয়া পরে অভিনন্দন......হা হা।
আশির দশকে বয়স যখন বিশের নীচে ছিল রাত এগারটায় বিটিভিতে রাগ সঙ্গীত বাজানো হতো। শুনে টিভিটা তুলে আছাড় দিতে ইচ্ছে করতো। তখনো ডিশ আসে নি। এখন বয়স বেড়েছে সেই রাগসঙ্গীত শুনলে মেজাজ খারাপ হয় না, উদাস হয়ে যায়। বয়সের তালে তালে সঙ্গীত ও মানুষ উভয়ের রাগ উঠানামা করে নাকি?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আরেব্বাপ, আপনি তো মহা ভায়োলেন্ট লোক মশাই, আপনাকে ঘাঁটানো খুব বিপজ্জনক দেখছি! এই যে রাগ নিয়ে লিখছি এতে রেগে গিয়ে আবার আমাকে তুলে আছাড় দেবেন না তো? ভয়ে ভয়ে রইলাম অভয় না পাওয়া পর্যন্ত।
উইশ এক্সচেঞ্জটা তাইলে আপাতত মুলতুবি থাক। তাই বলে পড়া থামাবেন না।
পড়া থামানোর কোন সম্ভাবনা নেই।
কারন আপনার যেইটা নাম, সেইটাই আমার কাম।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হা হা
পড়তে থাকুন।
আপনার নামের উপর সার্জারীটা যে তাড়াতাড়িই হয়ে যাবে অমন ভরসা ছিল। আর চার হাত-পায়ে যে হারে হরেক রকম বিষয়ে লিখে যাচ্ছিলেন, মন্তব্য করছিলেন, তাতে ব্যাপারটা যে ত্বরান্বিত হবে সেটাই তো স্বাভাবিক। অভিনন্দন! ঐতিহ্য রক্ষার্থে এখন আবার শীতনিদ্রায় যাবেন না যেন।
বাংলাদেশে থেকে গানের ওপর পোস্টগুলো বোবা-কালার মত পড়ি। কারণ এই শম্বুক গতির নেট স্পীডে কোন গান শোনা সম্ভব না। বহু কায়দা-কানুন করে হয়তো ডাউনলোড করে শোনা যায়, তবে অতটা সময় আবার হাতে নেই। তবু ধন্যবাদ রাগ বিষয়টাকে উন্নাসিকদের পাত থেকে আম লোকের পাতে তুলে দেবার চেষ্টা করছেন।
আপনার এই পোস্টের প্রথম অংশ পড়ে বিশেষ ঈর্ষায়িত হলাম। আহা! আজ কতগুলো বৎসর ধরে স্বপ্ন দেখছি এমন অখণ্ড অবসরের। এর জন্যও অভিনন্দন!!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
যখন চার্লস শোভরাজ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলো তখন তাকে নিয়ে বলিউডে অনেকে সিনেমা বানানোর কথা ভাবছিলো। চিত্রনাট্যকার কাদের খানও (যিনি অভিনেতাও বটে) লিখতে বসে গিয়েছিলেন, এবং তাঁর সম্বন্ধে রেপুটেশন ছিলো যে তিনি নাকি চার হাত পায়ে লেখেন, তাই তাঁর সিনেমাটাই সাত-তাড়াতাড়ি বাজারে আসবে এই ছিলো প্রেডিকশন। তখন ভাবিনি আমিও একদিন কাদের খানের সাথে এক ব্রাকেটে আসবো।
গান শুনতে না পাওয়ার কথা শুনে খারাপ লাগলো। অথচ গান নিয়ে লেখা দিলে অডিও ছাড়া কী ভাবে জাস্টিফায়েড হয়। আপনারা কিছু উপভোগও করতে পারেন না। এর কোনো বিকল্প বন্দোবস্ত কিছু মাথায় এলে জানাবেন, চেষ্টা করবো। আমি তো কিছু ভেবে পাচ্ছি না।
অনেক ধন্যবাদ লেখা পড়ার জন্য, আর অভিনন্দনের জন্যেও। যাক, অনেক সময় নষ্ট করলেন আমার ব্যস্ত জীবন থেকে, যাই, গিয়ে কাজ-না-করার-কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি গিয়ে।
একটা ছোট্ট অনুরোধ, প্রফাইল পিকটা পালটে ফেলুন এবার। অনেক দিন ধরেই কথাটা বলবো বলে ভাবছিলাম। এই ছবিটা আপনার নামের সাথে (মূলত পাঠক/ রাজর্ষি) বা আপনার লেখক চরিত্রের সাথে যায় না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আরে সে তো আমিও কবে থেকেই করতে চাইছিলাম। মুশকিল হচ্ছে কী করে করবো বুঝতে পারছি না। আগেও সমস্যা ছিলো, তখন ভেবেছিলাম হয়তো সচল হওয়ার আগের সীমাবদ্ধতা। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এ ঘটছে অ্যাপেলের কারণেই (সম্ভবতঃ)।
"সাহায্য" সেকশনে "প্রোফাইল আপডেট করব কিভাবে-তে বলেছে: মেন্যুতে বাম দিকে আমার অ্যাকাউন্ট ক্লিক করুন। কিন্তু ক্লিক করলেই একটা এইচটিএমএল পাতা ডাউনলোড হচ্ছে (যেটা খুললে একটা আধখেচড়া পাতা খোলে কিন্তু তা দিয়ে করবোটা কি)। এছাড়া আর বিশেষ কিছু হচ্ছে না। কোনো সাজেসশন?
তবে এই ছবিটা কিন্তু আসলে আমারই। একটু বিকৃত করা, কিন্তু ছবির লোকটা আমিই।
এটাকে আপনি বিক্রীত ছবি বলছেন মশায়? যে কিনেছে তার পুরোটাই লস!
ছবি পাল্টাতে:
১. প্রোফাইলে যান
২. সম্পাদনা ট্যাবে ক্লিক করুন।
৩. পাতার একটু নিচেই ছবির ঘর পাবেন।
৪. প্রথমে একবার "ছবি মুছে ফেল" করুন। (সিলেক্ট করে নিচে গিয়ে সংরক্ষণ বাটন)
৫. এবার "ছবি আপলোড কর" করুন। (ব্রাউজ করে নিচে গিয়ে সংরক্ষণ বাটন।)
-----
কোনভাবেই না পারলে মাহবুব মুর্শেদকে ইমেইল করে দিন নতুন ছবিটা।
আপনার মন্তব্যে ১ নং লিঙ্কে ক্লিক করলেই সেই একই ঘটনা ঘটছে। ২, ৩ ইত্যাদিতে যেতে হচ্ছে না।
কেউই কি অ্যাপেল ব্যবহার করেন না? তাঁরা হয়তো জানাতে পারবেন কোনো সমাধান।
শুভ সচল
অনেক ধন্যবাদ!
অভিনন্দন।
সচলায়তনের ইতিহাস অনুযায়ী এখন আপনার শীতনিদ্রায় যাবার সময় হয়েছে।
আরে যতো কই ঘুম পায় নাই, সবাই মিল্যা আমারে শীতনিদ্রায় পাঠায় ক্যা?
থাংকু দ্রোহী ভাই।
অয়েল্কাম! শীতনিদ্রায় যাওয়াটা অবশ্যম্ভাবী। আজ হোক কাল হোক ঘটবেই।
বাপ রে বাপ, আপনি তো মশাই মহা পেসিমিস্ট! প্রায় বিশ্বাসও করে ফেললাম, কেমন যেন ঘুম ঘুম পাচ্ছে!
অভিনন্দন।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ধন্যবাদ লুৎফর রহমান রিটন সাহেব।
অভিনন্দন।
ধন্যবাদ পান্থ।
(স্নিগ্ধাপুর মতোই বলি, 'আবার এই পোস্টেও অভিনন্দন দিতে হবে?', তবে ভালো কথা বারবার বলা যায়, তাই আবারও বলি) পূর্ণ সচলত্ব প্রাপ্তিতে আন্তরিক অভিনন্দন, পাঠক ভায়া।
লেখাটা অসম্ভব ভালো লাগলো। একদম সহজ করে লিখেছেন। আমি সংগীতের খুঁটিনাটি একদমই বুঝি না। শুধু শুনি, এবং ভালো লাগলে বলি 'ভালো', খারাপ লাগলে 'তেমন একটা ভালো না'। আশা করব নিয়মিত লিখে যাবেন এসব বিষয় নিয়ে, আমার মতো গাধা শ্রোতাদের জন্য, সহজ করে।
ছবি আঁকাটাও চমৎকার হয়েছে। আপনার আসলেই বহুমুখী প্রতিভা। আপনার মতো মানুষদের কারণেই আমার মতো মানুষদের প্রতিভাহীন হয়ে থাকতে হয়
(পাণ্ডব'দার মতো) আমিও অনেক আগেই আপনাকে বলতে চেয়েছিলাম প্রোফাইল ছবিটা বদলানোর কথা। বলা হয়নি যদিও। ছবিটা দেখলেই কেমন যেন লাগে, আপনার সাথে ঠিক মেলে না (যদিও ছবিটা আপনারই)।
ভালো থাকুন। নিয়মিত লিখুন। দেখা হবে আপনার পরের পোস্টে...
আমার ছবিটা আমার মতো লাগে না, হায়রে এখন কি খোমাটাও বদলাতে হবে!
এতো ভালো ভালো কথা শোনালেন, আর আপনিই প্রথম ছবিটার কথা বললেন, অনেক ধন্যবাদ। অবশ্যই লিখবো রাগ নিয়ে। কঠিন করে লেখা আমার সাধ্য নয়, তার জন্য অনেক জানতে হয়। আমার স্বল্প জ্ঞানে সহজ লেখা লেখা ছাড়া গতি নেই।
নিখিল ব্যানার্জির লিঙ্কটার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
আপনার চেহারার সাথে মিল নাই, এইটা কিন্তু বলিনি। বোঝাতে চেয়েছি যে, আপনার পোস্টগুলো পড়ার পর আপনার যে একটা ইমেজ তৈরি হয়েছে আমার (এবং হয়তো আরো অনেকের) কাছে, তার সাথে এই 'বিকৃত' (নেতিবাচক অর্থে না কিন্তু) ছবিটা কেমন যেন বেমানান লাগে। প্লীজ কিছু মনে করবেন না। অনধিকার চর্চা করতে চাইনি কিন্তু। স্রেফ মতামতটা জানালাম। আপনি এতো ভালো আঁকেন, নিজের একটা পোর্ট্রেট করে সেটা ঝুলিয়ে দিন না প্রোফাইল ছবিতে
আমার স্বল্প জ্ঞানে যেটুকু বুঝি, কঠিন করে লেখাতে তেমন মহিমার কিছু নেই। প্রকৃত জ্ঞানীরা (মানে, যারা আসলেই বিষয়টা সম্পর্কে জানেন) সবসময় জটিল বিষয়কে সহজ করেই লেখেন।
লিংকের জন্য আসলে ধন্যবাদ প্রাপ্য দু'দিন আগে (এই 'পূরবী রাগ'-এর জন্যই) যোগাযোগ হওয়া ভারতের গৌতমের। তবে তাঁর খোঁজ কীভাবে পেলাম আর কীভাবে তাঁর কাছ থেকে এটা যোগাড় করলাম, সেটা এক বিরাট ইতিহাস
ভালো থাকুন।
আরে না রে ভাই, এই ঘন ঘন মাইন্ড করার রোগ নাই আমার, এতো সাবধানে কথা বলার দরকারই নাই। একেবারে তেড়ে গালাগাল না করলেই হলো (করলেও ক্ষতি নেই, আমার গালাগালের ভোকাবটাও একটু ঝালিয়ে নেয়া হবে তাহলে)।
আপনার গানাহরণের ইতিহাস শুনলে পুতুলও খুব খুশি হবেন আশা করছি, নিখিল ব্যানার্জির পূরবীটা উনি বিশেষ করে শুনতে চেয়েছিলেন।
সোজা জিনিস লিখে জ্ঞানী শিরোপা পেয়ে ভাল্লাগ্লো।
পুরনো রাগানুরাগটা পুনরায় চাগাড় দিয়ে উঠলো।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
তাইলে সত্যই লেখা সার্থক। ঢাকায় থাকলে আপনেরে নিয়া একখান আসরে যাইতাম তাইলে, চাগাড় দেয়া পুরানো প্রেম যাতে আবার ভাগাড়ে ফিরা না যায় সেইটা কনফার্ম করতে।
আমার কিন্তু আপনের প্রোফাইল পিকটা দারুন পছন্দ। পাল্টায়েন্না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমিও এটাই বলতে আসলাম। আমার কিন্তু দারুণ লাগে এই ছবিটা।
বাঃ আপনারাই বুঝলেন অলস মানুষের দুঃখটা, তাহলে খাটনি অনেক বাঁচে।
ব্রেইনটা অনেক বড়ো!!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কার ব্রেইনের কথা কন মিয়া? ঐ ছবি দেইখ্যা প্রতারিত হইয়েন না, কিনিবার সময় টিপিয়াটুপিয়া লইয়া কিনিবেন।
অভিনন্দন।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
অনেক ধন্যবাদ, নজমুল আলবাব।
সেলাম গুরুজী ! সচল অভিনন্দন !! এবং অনন্ত আগামীতে স্বাগতম !!!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে !!
যোগবিয়োগের উত্তরটা টিপলু'র নিচে দিয়েছি, দেখেছেন?
মনে হয় অনেক দেরি করে ফেললাম, তবুও অভিনন্দন সচলত্বপ্রাপ্তিতে। দ্রোহীর কথা অনুযায়ী এখন শীতনিদ্রায় না গেলেই ভাল।
আপনার এই রাগসঙ্গীত-মেড-ইজি সিরিজটা দারুণ হচ্ছে। জ্ঞানলাভের পাশাপাশি প্রচুর ভাল জিনিস শোনা হচ্ছে।
দরবারী আর আশাবরীর মধ্যেকার তুলনায় জৌনপুরী এলে বিষয়টি আরেকটু পূর্ণতা পেত বলে আমার মনে হয়। কারণ জৌনপুরীকে আমার আশাবরীর আপন মায়ের পেটের চাচাতো ভাই বলে মনে হয়।
.......................................................................................
Simply joking around...
.......................................................................................
Simply joking around...
অনেক ধন্যবাদ, নাঃ কিচ্ছু দেরি হয় নি, ভালো জিনিসের আবার দেরি কি।
রাগসঙ্গীত ভালো লাগছে জেনে আশ্বস্ত হলাম। লেখার সময় ভাবিনি এটা আদৌ বেশি পাঠক পড়বে, কিন্তু এখনো মানুষের এই বিষয়ে আগ্রহ আছে এটা আশার কথা। মানে আপনার মতো শ্রোতাই শুধু নয়, অনেকেই যাঁরা শোনেন না এমনিতে, তাঁরাও জানতে চান, এইটা দেখে ভালো লাগছে। বৈচিত্রের
প্রয়োজনে অন্য বিষয়েও লিখবো তবে এই সিরিজ আপনারা চাইলে চলতে থাকবে। পড়ে কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু, ভুলত্রুটিও ধরিয়ে দিতে ভুলবেন না।
ইনি শুধু শ্রোতা নন ভায়া!
ইনিও গানী!
মানে, সঙ্গীত চর্চা আর জ্ঞানের উজ্জ্বল ট্র্যাক-রেকর্ড রাখেন আনিস ভাই, রীতিমতো।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
মানে বিজ্ঞজন সেইটা বুঝে ছিলাম কিন্তু গান করেন কিনা তা তো জানতাম না। তবে জ্ঞানীজন এইসব ভুল মাফ করে দেন সেইটাই ভরসা।
যদিও দেরী হয়ে গেল মনে হয় তাও বলে যাই অভিনন্দন, সচলত্ব প্রাপ্তিতে অভিনন্দন
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
দেরি কিসের, অভিনন্দন জানালেন এইতেও খুশি হবো না এতো বড়ো পাষন্ড নই। ভালো থাকুন।
আমিই বোধহয় শেষ পাবলিক।
অতিথি নামটা খসে পড়ায় বিশাল অভিনন্দন, রাজর্ষি।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শেষ হলেই বা অসুবিধা কী, জানেনই তো বাঙালির শেষ পাতে আসে মিষ্টি।
গুরু, সচলত্ব প্রাপ্তির জন্য অভিনন্দন। পূরবী রাগের জন্য ধন্যবাদ। সময়ের যাতাকলে পিষ্ট বলে সময় মত মনের কথা বলতে পারলাম না!
আহা বসের আলাপ (পুরিয়া ধানেশ্রী), প্রহরী ভাইকে পূরবী কল্যানের জন্য নমস্কার।
পূরবী কল্যান রেখে দিলাম আবার আয়েস করে শোনার জন্য।
পরের পর্বে রাগ-বৈরাগী পাঠক-শ্রোতাদের জন্য একটু প্রসাদের....
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে। মনের কথা বলার আবার সময় কি, বললেই হলো সুযোগ মতো। রাগ শুনতে সবার এই অনুরাগ দেখে খুব ভালো লাগছে। আমি সত্যি ভাবিনি ধ্রুপদী সঙ্গীতের এতো অনুরাগী শ্রোতা পাওয়া যাবে, আজকাল তো ভালো জিনিস কারো পছন্দ হয় না কি না।
আরো শুনুন, আর লেখা পড়ার সুযোগ হলে জানান ভালোমন্দ কেমন লাগলো।
জোর করে সময় করে এলাম আবার।
পড়লাম।
বিসমিল্লাহ সা'বের সানাই অনেক শুনেছি, রাগ-রাগিণীর নাম না জেনেই।
এখন আজ অফিসে আর এইগুলা শুনলাম না, কারণ এমনিতেই আমার বিয়ে-নাবিয়ে নিয়ে অনেক গুঞ্জন ছড়াচ্ছে নিন্দুকেরা, এখন বস-সুদ্ধ সন্দেহ করতে শুরু করবে জোরেশোরে!
আর, লেখায়, এক্কাদোক্কায়, বাজার করায় রাগের শিক্ষা একআধটু চেষ্টা করলাম ফলো করতে।
কনসেপ্চুয়াল লেভেলে বুঝতে পারলেও তথ্য হিসেবে মাথায় রাখার জন্য আমার পক্ষে এগুলো অনেকই কঠিন।
চালায়া যান আপ্নের ইশকুল ঘাসফুল।
সবসময় ক্লাস করমু না আমি, ভয় লাগে।
মাঝেমধ্যে আইসা প্রেজেন্ট-প্লিজ দিয়া যামু।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
কনসেপচুয়াল লেভেলে বুঝলেই হয়, সব মনে রাখা সম্ভব নাকি? যাঁরা গান করেন তাঁরাও এইখানটায় কোমল রে লাগবে এইসব ভেবে গান নাকি, অভ্যেসে ও সব আপনি আসে। গাইতে চাইলে আপনি শিখবেন, সেক্ষেত্রে আপনা থেকেই মনে থাকবে, আর শ্রোতা হিসেবে গানের বোধ আর কনসেপ্টটা দরকারি, সেটা জানতে হলে ভাইয়োঁ অউর বহেনো, চলে আইয়ে ঘাসফুল ইশকুল মে।
নতুন মন্তব্য করুন