বিকেল নিয়ে সহজসরল কবিতা একখানা। একটা বড়ো জলরঙ ছবি এঁকেছিলাম আগে, তার একটা অংশ কেটে নিয়ে জুড়ে দিলাম সাথে, বিকেলের ছবি হিসেবে। আপনার বিকেল কীরকম, এখন, বা শৈশবকৈশোরে? লিখতে বসে কতো পুরোনো ছবি মনে আসে, গুরুত্বহীন সাধারণ তাই কখনো ভাবিনি তাদের কথা, কিন্তু আমার বিকেল যে সেই সব ছবিরই কোলাজ। আপনার ছবির কথাও শুনতে চাই, এ হলো ইন্টারঅ্যাক্টিভ কবিতা।
বইয়ে তো গান দেওয়া যায় না। কিন্তু এখানে যখন সে সুযোগ আছে তখন আপনার কবিতাপাঠের অভিজ্ঞতাকে আরো াসজিয়ে দিই। কবিতা পড়তে পড়তে সাথে এই মিষ্টি গানটা শুনতে থাকুন, আমার মালতীলতা ওগো কী আবেশে দোলে। যাঁরা ধ্রুপদী সঙ্গীত শুনতে চাইবেন তঁাদের জন্য রইল পালুষ্করসাহেবের কন্ঠে গৌড় সারং।
দুপুরের কড়া রোদ পড়ে এলে চালতার বড়ো বড়ো পাতা
রোদ মোছে ভেজা ভেজা গা থেকে তাদের,
চুল বাঁধে, বিকেল আসবে বলে সাজে
রোদ খেয়ে পরিপুষ্ট আচারের শিশি
এইবার ঘরে যাবে, তার আগে কিশোরীর হাতে
খানিক লুন্ঠিত হয়, ছাদের দেয়ালে
নয়নতারার পাতা দুপুর রোদ্দুরে ম্রিয়মান
বিকেল আসলে তারও শেষ হবে ঝলসানো দিন
বিকেলে নবীনপ্রেম, গানের রেওয়াজে ফাঁকি দিয়ে
একজোড়া ভীরু চোখ ছোড়দার বন্ধুদের ঝাঁকে
চায়ের পেয়ালা দিতে আঙ্গুল স্পর্শে লেখা চিঠি
দরজায় কড়া নাড়ে দিবাশেষে ঠিকেকাজ মেয়ে
বিকেল মানেই তার বাড়ি বাড়ি বাসনের স্তুপ
জানলা গরাদ ধরে একা শিশু চেয়ে দেখে মাঠ
কুব্ কুব্ ডাক ডেকে পরিশ্রান্ত পাখি
ডানা ঝেড়ে উড়ে গেলো বিকেলের আলো ঠোঁটে নিয়ে
মন্তব্য
কী জানি ......
জানেন না? এইভাবে প্রতিশোধ নেবেন? আপনে লোক তো খুব খারাপ!
কেমন লাগে? আমাকে লোক 'কম খারাপ' মনে করেছিলেন নাকি???
কিন্তু আমি জানি।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তাইলে তো ভালোই।
আহা!আবেশে চোখের পাতা পেতে দেয় মাদুর।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
এমন অনুভূতি জাগাতে পারলে লেখা সার্থক। মন্তব্যটাই একটা কবিতার মতো!
নায়িকা এবং দাসী-বান্দীদের ফিগার ভালো হইছে!
বান্দী"দের" পাইলেন কই মিয়া? সুন্দরী দেখলেই বেশী বেশী দেখেন, আপনের নজর তো সুবিধার না!
আরেফীন ভাই হাহাহাহাহাহা, হাসতে হাসতে গড়াগড়ি
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আবেশী মন এখনো দুলছে...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সাবধানে, বেশী দুলে পড়েটড়ে গেলে চিন্তার কথা, একটা চেয়ারটেয়ারে বসে নিন।
সুন্দর!
আপনি ছবিও আঁকেন দেখি !! আর কী কী করেন খোলাসা করে বলেন শিগ্গিরি।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
থাংক য়ু ভায়া।
ছবি আঁকি তো, আগেও অনেকগুলি লেখায় আঁকা ছবি লাগিয়েছি, লক্ষ্য করেন নি বোধ হয়। এই পোস্টটা দেখেন।
আর কী কী করি? খাই ঘুমাই হাঁটি দৌড়াই বসি দাঁড়াই সাঁতার কাটি গাড়ি চালাই পড়ি লিখি এইবার থামি?
ছবিটা সুন্দর
আমাদের এপি ১৫ কেশ তেল এর বিগ্গাপনে
এরকম একটা ছবি ছিল
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
থাংক য়ু রানা মেহের। খুব উচ্চাঙ্গের কিছু না হলেও এইটা রাজপুতানা মিনিয়েচারের ধরণে আঁকা। গোটা ছবিটার এইটা একটা অংশ, আসল ছবিতে আরো কয়েকজন ছিলো।
...আর আমি দিব্যচোখে তাদের দেখেই লিখেছি 'দাসীদের'
তাদের মস্তকশীর্ষ দেখা যায় কিছুটা, বাকিটা নিশ্চিত আপনার দিব্যচক্ষুর কামাল।
ছবিটা বেশ হুতোমের সময় মনে করালো৷
কবিতাটা সুন্দর৷
-----------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
নকশার মতো অথেন্টিক বলছেন?
থাংকু।
আপনার অ্যাকাউন্টে হটমল নামা প্রসঙ্গে আমি একটা তুক্কা বাতলাতে পারি৷ আমার যদিও আপেল টাপেন নয়, কিন্তু আমারও অমনি নিজের একাউন্টে ক্লিক করলেই এক পীস আধাখ্যাঁচড়া হটমল নামে৷ আইই হলে তারপর ব্রাউজার ইন্স্ট্যান্স ক্র্যাশ করে যায়, ফা-ফ হলে থাকে বটে কিন্তু তাতে কিছু করা যায় না৷
তো, আমি যে তুক্কাটা বের করেছি, সেটা হল:
একাউন্টে ক্লিক না করে রাইট ক্লিক করুন৷ ওপেন ইন নিউ উইন্ডো'তে ক্লিকান৷ একটা নতুন ইন্স্ট্যান্স খুলতে থাকবে৷ সেটাকে পুরো খুলতে দেবেন না৷ "স্টপ' এ ক্লিক করে থামিয়ে দিন৷ তারপর একবার রিফ্রেশ করুন৷ দেখবেন আপনার একাউন্ট দাঁত কেলিয়ে হাজির হয়েছে৷
খেয়াল রাখবেন নতুন উইন্দো খুলতে শুরু করার প্রায় সাথেসাথেই স্টপ করতে হবে৷ খুব দ্রুত করতে হবে ওটা৷ একবারে সফল না হলে ঐটা বন্ধ করে দিয়ে আবার রাইট ক্লিক করে করতে হবে৷
অন্য প্রসঙ্গ: সুবর্ণরেখা থেকে একটা সটীক নকশা বের করেছিল৷ দুর্দান্ত বইটা৷
-------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আপনার টোটকা পড়ে খুব উৎসাহ পেলাম এবং তৎক্ষণাৎ ট্রাই করলাম একেবারে অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে। কিন্তু নতুন থামানো উইন্ডো রিফ্রেশ করতেই সেই হটমল চলে এলো!
আপেল বাঙালির খাদ্য নয়। এরপর থেকে পেয়ারা খাবো।
এই ছবি আপনার আকা ??? আপনার চরন দুটি দেন দাদা, স্পসস করি। লতার গানটা আবেশময়। কবিতার কথা নাই আর লেখলাম। তারায় জানালাম।
এতো গুন একজনের মধ্যে কেনো থাকবে? কেনো কেনো কনো?
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
পাঠায়ে দিমু নাকি ফেডেক্স কইরা? চরণযুগলের কথা কই।
তারিত (তাড়িত নয়) হইয়া আহ্লাদ পাইলাম। গানটা ভাল্লাগছে জাইন্যাও।
সুন্দর ছবি, সুন্দর কবিতা।
থাংকু প্রহরীভাই।
গান-কবিতা-ছবিতা সবইতা অসাধারণ!
'আমার মালতীলতা' শোনা ছিল, কিন্তু ধ্রুপদী-তে তো আমি বেশিই ধীরপদ!
আর, আপনি এই পরিমাণ ছবিও আঁকতে পারেন!
হায় রে! কী জিনিসে যে তৈরি!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আবার বেগুনিবর্ণ হইলাম, কী যে কন কত্তা!
কিন্তু লালে-কালোয় তো খয়েরি হওয়ার কথা!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
তাইলে আমি বোধ'য় এমন কালা যে প্রায় নীলবর্ণ। নীলে লালে বেগুনী হয় তো?
আর তা না হইলে আমি রঙকানা
নীলে লালে বেগুনি হয় ঠিক।
কিন্তু, কালোর সুপারলেটিভ যে নীল- এটাও কি রঙকানার কল্পনা?!
থাক, বাদ দ্যান।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
হা হা
বাদ দিলাম।
নতুন মন্তব্য করুন