বারান্দা দিয়ে দেখা যায় ক্ষুদ্র বনভূমি। পরিসরের অপ্রাচুর্য অবশ্য বুঝতে দেয় না সে, গাছে গাছে সৃষ্টি করে এমনই বিভ্রম। লতাপাতার ফাঁক দিয়ে দেখতে পাই জল, আর উপর থেকে খন্ডখন্ড আকাশ। দিনের বেলা হালকা হাওয়ায় সেই বল্লরীরা দোল খায় গাছের গলা জড়িয়ে, জোর হাওয়া দিলে ঢলে পড়ে এ ওর গায়ে।
সেই খেলাঘরের বনের পথে শুকনো পাতার কার্পেট, খচমচ করে পা ফেলে আমি জল ছুঁতে যাই, আমার পায়ের শব্দে চমকে উঠে ফুরুৎ করে পালিয়ে যায় আধাগেরস্ত পাখি। কোথাও দেখি সাদা ফুলের শোভা, আরো আলোর লোভে তারা আকাশপানে মাথা উঁচিয়ে আছে।
কোথাও ঝোপের মধ্যে থোকা থোকা নাম-না-জানা মোমের ফল, চিলতে রোদেই চমকায় তাদের রঙের রোশনাই। আমি হাঁটতে থাকি মর্মরধ্বনি তুলে, বনের কীটপতঙ্গ গাছগাছালি দেখে আমায়, আমি দেখি তাদের। এমনি করে দুপুর কাটে বন্ধুদের সাথে।
মন্তব্য
ছবিগুলো তোলা হয়েছে ক্যানন রেবেল এক্স এস আই (ডিজিটাল)-এ ক্যানন ইওএস৩০০(নন-ডিজিটাল)-এর ৭৫-৩০০ মিলিমিটার লেন্স ব্যবহার করে।
বেশ হয়েছে
থাংক য়ু লুৎফুল আরেফীন
ভাল লাগল বারান্দার বনের ছবিগুলো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ধন্যবাদ মাশীদ। আপনার পোস্টানো বাটু কেভসের ছবি দেখে খাসা লেগেছিলো সে কথা এখানেই বলি
আড্ডাও হবে, ফুর্তিও হবে, খানাদানাও হবে, ছবিও হবে - কেনু, কেনু, কেনু?!
শেষের ছবি দু'টা খুব, খুব সুন্দর
আপনি তো ভারি হিংসুটে লোক মশাই। বললাম না খানাদানা তেমন কিছু হচ্ছে না? তবে ফূর্তি তো হতেই হবে, কাল দেবদূত ও দানব দেখে এলাম, কিন্তু সচলে তার রিভিউ লিখে আরাম হবে না।
থাংকু
৩ এবং ৪ নাম্বার ছবি দুইটা দারুন লাগল
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আমারো।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ নিবিড় আর সুলতানা পারভীন শিমুল। এই ছবিগুলো আসলে খুব সাদামাটা জিনিসের, আমি দুটো ক্যামেরার সংকর কেমন কাজ করে দেখার জন্য তুলছিলাম, মন্দ হলো না। তারপর একটু কাব্যিটাব্যি করে লিখে দিলাম সে সব। আপনাদের ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম।
আপনি মশাই দারুন।
দেখা হবে।
...........................
Every Picture Tells a Story
আরে মুস্তাফিজ ভাই! আপনার ভালো লেগেছে, এ তো বিশাল প্রাইজ!
দেখা হলে তো আরো চমৎকার, নিশ্চয়ই হবে।
আচ্ছা, বনে বাঘ নাই?
নাঃ, তবে বিড়াল দেখছি একখান, বাঘা-বাঘা রঙ।
দারুন লাগলো রাজর্ষিদা। সকালেই অফিসে দেখেছি যদিও, পড়েছিও, ভুতুমের কম্পিউটারে বিধায় কমেন্ট করা হয়নি। এখন জানিয়ে দিলাম।
আপনি বেশ রিফাইনড মাইন্ড, যা বুঝি। আমিও ওভাবে চিন্তা করি না তা না, তবে প্রকাশের ভোকাবুলারিটা আপনার মত অত সচল না!
চালান চালান। আপনার ওই স্কুলের লেখাটা শেষ করেন না, ওই যে, কলেজে গিয়ে ফটাশ ফটাশ ইংলিশওয়ালাদের নিয়ে লেখার কথা?
আরে আরে কও কি মিয়া, রিফাইন্ড মাইন্ড আরো কত কি! এমন কম খাটনির কাজে প্রশংসা পাইলে ইক্টু লজ্জাও হয়।
ঐ লেখাটা পড়ে আছে, আবার ধরতে হবে।
'ইক্টু' ধরুম নাকি? আমি -৭ এ আছি, আপনে তো এমনেই জিতবেন, দেন না আমারে একখান পয়েন্ট!
না থাক, চিপ শট হয়ে যাবে।
হা হা
দুই নম্বর আর তিন নম্বরটা ফাটাফাটি
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
থাংক য়ু তানবীরা
ছবিগুলোর মধ্যে একটা শান্তি শান্তি ভাব আছে।
...............................
নিসর্গ
ধন্যবাদ প্রকৃতিপ্রেমিক
মূলোদা কোন ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলেন সেটা প্রায় জিজ্ঞেস করতে গেছিলাম কিন্তু প্রথম মন্তব্যেই দাদা লিখে দিয়ে ভাল করেছেন। আপনার ক্যামেরাটার ছবি দেখছিলাম। ক্যামেরা যেমন দারুন ছবিগুলো তার চেয়েও বেশি সুন্দর। বাহারি ছবিগুলোর জুড়ি নেই। খুব ভাল লাগল। আরো দেখার অপেক্ষায় রইলাম। আপনি বেশ সুন্দর ছবি তোলেন দেখছি !!
-------------------------------------------
--------------------------------------------------------
এই যে আবার মুলোটুলো বলেছেন দেখে আপনাকে কুচিকুচি করে কেটে মুলোঘণ্ট বানাবো ভাবছিলাম, কিন্তু ভালো ভালো কথা লিখেছেন বলে এ যাত্রায় পার পেয়ে গেলেন। ভূত মেরে তো আর ফাঁসি হতো না!
৩ নং ছবিটা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অসাধারণ বললেও কম হয়ে যাবে।
অনেক ধন্যবাদ প্রহরীভাই।
অসম্ভব সুন্দর ও প্রনবন্ত ছবিগুলো।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
নতুন মন্তব্য করুন