একটা গল্প লিখছিলাম। নিবন্ধ লিখতে সময় লাগলেও সমস্যা হয় না, এক সিটিংয়েই নামিয়ে দেওয়া যায়, কিন্তু গল্পের চাহিদা অনেক। সে বাড়তেই থাকছে দৈর্ঘ্যপ্রস্থে। আর শেষ না করে পোস্ট করবো না এই স্থির করেছিলাম। বেশি লম্বা হয়ে গেলে ভাগে ভাগে পোস্টাবো, কিন্তু পুরো লেখাটা তৈরি থাকা চাই, তা না হলে পরে যদি লেখা শেষ করার উৎসাহ ফুরিয়ে যায় তো বাজে ব্যাপার হবে। ফলে গত কয়েক দিন ধরে কোনো পোস্ট করা হচ্ছে না। অবশেষে ধুলো ঝেড়ে নামালাম এই কবিতাটা। লিখে খুব ভালো লেগেছিলো, কোথাও পাঠাই নি, জমিয়ে রেখেছিলাম ভবিষ্যতের জন্য। আজ তাকেই আনলাম দিবালোকে। এই কবিতা অবশ্য ঠিক দিবালোকের নয়, আধা অন্ধকার ঠান্ডা গহ্বরের কাহিনী এটি। কবিতার ব্যাখ্যা নিয়ে আমার একটা দাবি থাকে, এটিরও একটা মোটামুটি মানে বার করা যায়। কিন্তু আমি আলাদা কোনো ব্যাখ্যা করবো না এটার, ঠিক করেছি। পাঠকের যা মনে হয় সেটাই ফাইনাল। এইটুকুই কথন, এবার কবিতা।
অতল কুয়োর জলে লেখা
মেঘেদের ছয় ঋতু বৃষ্টির হিসেব,
চৈনিক অক্ষরমালা খসে খসে পড়ে
বিষণ্ণ আকাশের গায়ে।
জলের ভেতর বয়ে যায় স্রোত
কালো হিমহিম জল, শৈশবপুরাণ,
ঘাই মারে প্রেতমৎস্য, সবুজ শল্কেরা
একলা শীতের মতো কাঁপে
সে বড়ো অতীত স্মৃতি, পঁিপড়ের সারি
বাঁশের খুঁটির গায়ে, অন্ধকার ভ্রম
শ্যাওলার নিচে এক আদিম প্রাণের
চলাফেরা গন্ধে টের পাই
প্রবল সে ফেরোমন, নাভির গহ্বরে
গন্ধেরা দাঁড়িয়ে আছে ঘঁেষাঘঁেষি দেহ
ভিতু চোখ, ঘামে ভেজা হাত
শরীরে শরীর ঠেকে, লোম লোম লাগে
আঁধার জলের গল্প, আদিম মানুষ
ঘুমবলয়ের ঘোরে সনাতন পাপ
বনে জাগে কুয়াশারা
অশরীরী, কীসের প্রতীক
এমনি সবুজ জিভ, আকণ্ঠ ছড়ানো
প্রাচীন জন্তুর মতো, বনের গাছের
ইতিহাস লিখে রাখে জলের রেখায়,
অচেনা সংকেতভাষা শেখা হয়, কপালগতিকে
জল ও প্রাণীর নাম, এই দোলাচল
উঠে আসে জল থেকে, সাদা সাদা ছায়া
কুণ্ডলীপাকানো যত খোলসের স্তূপ
রক্তশূন্য ম্লান যত ছায়া
শরীরের নুনঘাম জলে ধুয়ে যায়
জলের ভেতরে ঘূর্ণি, পিচ্ছিলশরীর
সরীসৃপ নিঃশ্বাসে মেশায়
আঁশছাল আমিষের ঘ্রাণ
কুয়োর আঁধার
জলের প্রাণের গল্প শৈবাল অক্ষরে লিখে যায়
মন্তব্য
হুমমম ...... !
হুমমম মানে কী? মানেবইটা গেলো কই, কাজের সময় কিচ্ছু পাওয়া যায় না!
কিন্তু মূলোভায়া, আপনি নিজের কবিতার সাথে মানেবইও দেন নাকি?
-------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
বীটগাজরমূলোটুলো বললে খেলবো না কিন্তু বলে দিচ্ছি! ভালো সব্জিপাতি এইভাবে নষ্ট করতে আছে?
মানে বই দিই না, তবে কবিতার অর্থ নিয়ে আলোচনায় আমার আপত্তি থাকে না। কিছু কবিতা যা শুধু ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে এবং কবি দাড়ি চুমড়ে ভাবে 'আহা কী লিখিনু' সেগুলো নিয়ে আমার আপত্তি আছে। আর এক জাতের কবিতা যা দেশোদ্ধারে ব্রতী, সমাজটমাজ পাল্টে ধুন্দুমার ঘটিয়ে ফেলার আশা রাখে এবং বাকিদের নস্যাৎ করে এই বলে যে তারা কোনো কাজেই লাগে না দেশের দশের (এবং আরো নানা কারণে), সেই সব তথাকথিত 'কবিতা' দেখলে আমার প্রায় শারীরিক সমস্যা হয়। কাজেই আমি নিজে লিখতে বসলে ভিন্ন পথ খুঁজবো এটাই স্বাভাবিক। মানেটানে বোঝা যাবে, পড়ে শ্লোগান চীৎকার এইসব কিছু মনে হবে না, এগুলো শর্ত থাকবে আমার কবিতায়, তারা যতো অকিঞ্চিৎকরই হোক না কেন। তো সেই পয়েন্ট থেকেই এই মানেবই-প্রসঙ্গ।
'চীৎকার' নাকি 'চিৎকার'?
চীৎকার'টা বোধ হয় পুরোনো বানান, তবে নিশ্চিত নই। চিৎকার বানানটা ঠিক, এইটা জানি।
পাঠক ভায়া (সবাই দেখি আপনাকে মূলো'দা ডাকা শুরু করেছে! ) এই কবিতাটায় জুতমতো দাঁত বসাতে পারিনি। পরে আবার পড়ব, দেখি তখন সুবিধা করতে পারি নাকি
ছবিটা খুবই সুন্দর।
'ঠান্ডা' --> 'ঠাণ্ডা'
আর নিজের জানার জন্যই জিজ্ঞেস করি, 'পাঠাই নি' এবং 'পাঠাইনি'-র দুটোই কি সঠিক?
জোলো জিনিসে কি আর দাঁত বসানো যায়?
ছবিটা সেই গ্যাটলিনবার্গ যাওয়ার পথে তোলা, এক নির্জন জলাশয়ের তীরে আমরা একটু দাঁড়িয়েছিলাম, সেইখানে।
ঠান্ডা শব্দটা যেহেতু সংস্কৃত থেকে আসে নি, তাই মূর্ধন্য ণ না লাগার কথা।
'পাঠাই নি' বেশির ভাগ জায়গায় লেখা হয়, অন্যটাতেও আমি কোনো দোষ দেখি না। আসলে এইগুলো ব্যবহার ভিত্তিক জিনিস, এ নিয়ে তেমন কড়াকড়ি না করলেও চলে বোধ হয়।
এইখানে তো দেখি ঠাণ্ডা দেখাচ্ছে।
ছবিটার মধ্যে কেমন যেন একটা ঘুম-ঘুম-স্বপ্ন-মায়া মিশে আছে। কী চমৎকার জায়গা! যেতে ইচ্ছে করছে ওখানে।
কী জানি, হবে তাহলে।
এই ছবিটা সেই জলাশয়েরই।
জলজঙ্গলআলো
পাঠকই ঠিক। ঠান্ডা তৎসম নয়।
তবে 'স্তুপ'কে 'স্তূপ' লিখতে হবে।
'কাহিনী'কে 'কাহিনি' লিখতে বলে বাংলা একাডেমী।
..................................................................................
সত্যকথন-স্বভাব
যুদ্ধঘোষণার মতো একটা ব্যাপার প্রায় কথাসভ্যতায়
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
আমার বানান নানা উৎসের থেকে নেওয়া, তবে কিছু পরিবর্তন নজরে এলেও আপন করতে পারি না, যেমন আ.বা.পত্রিকার তির ইত্যাদি। 'কাহিনী'টাও তাই, নতুন বানানটায় অভ্যস্ত হতে ইচ্ছে হয় না। হতো/হত নিয়ে আপনার যুক্তিটা অব্যর্থ, কিন্তু করলো পড়লো এই সব পড়ে ও লিখে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি, করল পড়ল লিখতে একটু কেমন যেন লাগে।
স্তূপ ভাবতাম বৌদ্ধ হলেই দীর্ঘ ঊ-কার। দেখাই যাচ্ছে ধর্ম কোনো বিষয়ই নয়।
দিদি, তিরের ঝামেলা তো অন্য জায়গায়। তির (বাণ) যদি তীর হবে, তাহলে তীর (তট)-এর কী হবে?
হ্যাঁ, অনভ্যস্ততার একটা খুঁতখুঁতানি তো রয়েই গেছে। তবে ও-কারান্তগুলো বাড়তি ঝেড়ে ফেলানোর মতো করে ভাবা যায়।
কনভার্শনজনিত সমস্যাগুলো (পঁিপড়ের, ঘঁেষাঘঁেষি) এডিট করে ফেলুন। এত চমৎকার কবিতাটার ভিতরে ও দুটো কেমন কেমন যেন ঠেকছে।
..................................................................................
সত্যকথন-স্বভাব
যুদ্ধঘোষণার মতো একটা ব্যাপার প্রায় কথাসভ্যতায়
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
দিদিটা কি টাইপো?
অ্যাপেলে নানা সমস্যা হয়, আমি যা দেখি তা আপনারা দেখেন না। আমি অনেক শব্দই এলোমেলো দেখি, এবং ধরে নিই যে বাকিরা ঠিক দেখছেন। আবার এর উল্টোটাও হয়, আপনার মেইলে ঘঁেষাঘঁেষি শব্দটা কিন্তু আমি ঠিকই দেখছি। কাজেই কোনটা যে ঠিক করবো আর কোনটা নয়, সেইটা বুঝতে পারি না।
"পঁিপড়ের" আমার ধারণা মতো ঠিক করে দিলাম। জানি না বাকি কম্পিউটারে কেমন দেখাবে।
আগে কোথাও পড়েছি মনে হয় যে, আপনাকে কেউ কেউ রাজর্ষিদি ডাকেন। ওটা তাহলে কী?
..................................................................................
সত্যকথন-স্বভাব
যুদ্ধঘোষণার মতো একটা ব্যাপার প্রায় কথাসভ্যতায়
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
হা: হা: হা: হা:! রাজর্ষিদি, কিচু বলুন তো!
কী সর্বনাশ, কোথায় পড়লেন? আর এতো ব্যাকরণের পর এই প্রচলিত নামের অর্থ নিয়ে প্রশ্ন জাগলো ক্যাম্নে। যাক, ক্ল্যারিফাই করার উদ্দেশে জানাই, দাদা-দিদি কোনোটাই লাগানোর প্রয়োজন নেই, বিজ্ঞাপনের ভাষায়, সির্ফ নাম হি কাফি হ্যায়!
ধন্যবাদ, ফারুক হাসান।
পাঠক,
ভালো লাগলো নিজস্ব উচ্চারণমালা।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
অনেক ধন্যবাদ, তুলিরেখা।
জলজ কবিতা পড়তে গিয়ে জলে পড়ে খাবি খেলাম।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
হা হা, এইটা নিঃসন্দেহে সেরা মন্তব্য!
কবিতা জলজ বটে কিন্তু তারল্য সংকট নেই।
কুয়োর রহস্যঘোরে লটকে আছি।
..................................................................................
সত্যকথন-স্বভাব
যুদ্ধঘোষণার মতো একটা ব্যাপার প্রায় কথাসভ্যতায়
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
যাক আপনাকে ব্যাকরণের জটিল অলিগলি থেকে বের করে এনে কুয়োয় ফেললাম, এই ভেবে এক খারাপ ধরনের আনন্দ হচ্ছে।
ওই রহস্যঘোরটাই আমার পক্ষে ব্যাখ্যাতীত, আপনি এক কথায় সুন্দর বুঝিয়ে দিলেন। প্রহরী ভাই, বুঝলেন তো এইবার ব্যাপারটা?
বুঝলাম আপনি মানুষটা ভালু না। ধরে ধরে আমাদের কুয়োয় ফেলার পরিকল্পনা করেছেন!
একে একে কয়েকবার পড়লাম, কিছু বুঝলাম, কিছু মাথার উপরে দিয়ে গেল। কবিতাটা কবিতার মত হয়েছে
হা হা, একেবারে খোদ মামুন-ছাপ কমেন্ট। পড়ে যদি বোঝাই গেলো তো কবিতা কিসের!
আপনে না পারলে আমি আর কেডা!
রাজর্ষিদি, ছবিটা খাসা হয়েছে।
খ্রাপ হয় নাই আর কি!
তবে, "ঘঁেষাঘঁেষি" মাল-টা একটু ঠিক করা দরকার ছিল না?
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আমার যন্ত্রে ঐ শব্দটা ঠিকই দেখায়, কাজেই ঠিক করার উপায় নাই। এ সবই অ্যাপেল-অরেঞ্জ সমস্যা।
শেষমেশ আপেল আর কমলায় লাগলো মারামারি!
ওরা তো ভাই ভাই ছিল! ঠাঁই ঠাঁই হয়ে গ্যালো।
যাক, ব্যাপার্না।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
--------------------------------------------------------------------------------------------
এটিরও একটা মোটামুটি মানে বার করা যায়।
-----------
মোটামুটি মানে বের করাটা কি খুব জরুরী? হলোই বা একটু দাদাইজম। অনুভূতিটাইতো মুখ্য বিষয়। বিশেষত কবিতায়। নইলে তো মানেটা সহজ সরল গদ্যে বললেই পারতেন। কবিতা কি কোন ডিডেকটিভ কেস? থাকতে হবে রহস্য উন্মোচন?
----------
কবিতা সুখপাঠ্য। এলিমেন্ট গুলোও, অনেক কেন্দ্রীভূত।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানে বের করাটা আদৌ জরুরি নয়, সহমত। তাও যে কথাটা তুলি তার একটাই কারণ। আর সেই কারণটা "আধুনিক" কবিতার রোগবিশেষ। কবির কাছে পাঠকের একটা সততার দাবি থাকে, তিনি যখন লিখছেন তখন পাঠককে ভাঁওতা দিচ্ছেন না। মেসেজ থাকা দরকারি নয়, কিন্তু মোটামুটি মাপের বুদ্ধিমান লোক যার শব্দটব্দের উপর খানিক দখল আছে, সে খানকতক লাইন জুড়ে একটু ধোঁয়াধোঁয়া করে একটা কবিতা "নামিয়ে" ফেলতে পারেন সহজেই। তাতে করে দেশেরদশের ক্ষতি কিছু হয় না হয়তো, কিন্তু কবিতার প্রতি বুদ্ধিমান পাঠকের অনীহা জন্মে যায়। কবিতা টেলিফোন ডাইরেক্টরি নয়, সবার বাড়িতে থাকতে হবে তা বলি না। কিন্তু যার আগ্রহ আছে কবিতায়, তার কাছে কবিতাকে পৌছতে হবে। অনুভূতির ব্যাখ্যানই হোক আর বিশেষ অর্থবাহী, কবিতাকে সৎ হতেই হবে, এই পয়েন্টেই আমার ওই বক্তব্য। আমার লেখা কবিতা পড়ে পাঠক যদি বানান তাঁর নিজের ব্যাখ্যা বা অনুভূতিমালা, এবং তা যদি আমার নিজস্ব চিন্তার থেকে আলাদাও হয়, তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু আমি যখন লিখি তখন কিছু ভেবেই লিখি, সেই ভাবনাটা অন্তত: আমার মাথায় পরিষ্কারভাবে থাকবে এই হলো আমার বক্তব্য। এই ভাবনাটা একটা অনুভূতি হতেই পারে, সত্যি বলতে কী অনুভূতিই হয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, কিন্তু কবিকে সেই অনুভূতির সাথে পরিচিত থাকতে হবে। এটাও বাজে কবিতার আবর্জনা ঠেকানোর ফুলপ্রুফ ফিল্টার নয়, কিন্তু একটা প্রাথমিক প্রচেষ্টা।
জরুর।
এটা খুবই দরকার।
সহমত, শতভাগ।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন