বায়োস্কোপের বাক্স ১১: ভালোবাসার গান

মূলত পাঠক এর ছবি
লিখেছেন মূলত পাঠক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৪/০৬/২০০৯ - ১:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বারান্দা ও বিছানা
এই ছবিটা অনেকদিন আগে দেখেছিলাম, একটা রিভিউও লিখেছিলাম। আজ একটু ফাঁকিবাজি করি, সেটাকেই বাংলায় লিখে দিই। রিভিউও হলো আবার অনুবাদেরও প্র্যাকটিস হয়ে গেলো।

ঠিক জানি না কী বলবো, কবিতার মতো একটা সিনেমা, নাকি স্রেফ একটা ফরাসি ব্যাপার। খাঁটি মিউজিক্যালের নিয়মেই এখানে চরিত্রেরা অধিকাংশ সময়ই গান গেয়ে কথা বলে, যখন তখন গেয়ে ওঠে গুনগুন করে কিংবা তারস্বরে, এবং সে সবের পরেও তাতে সুর কাটে না। অধিকাংশ মিউসিক্যালের যা সমস্যা সেই গদগদ মাখোমাখো ভাবের গাড্ডাটি এ ছবি এড়িয়ে যায় সন্তর্পনে, ফাইন ব্যালান্স রেখে। জ'মপেল-এর বেশি ফরাসি জানা নেই তাই সাবটাইটেলই ভরসা, তো সেই অনূদিত ভার্শনে যা পড়লাম গানের কথা তা বিশুদ্ধ কাব্য, এবং ফরাসি বন্ধুদের থেকে জানা গেলো যে আসলটা নাকি আরো ভালো ছিলো। হতে পারে, তবে পুরো বিশ্বাস করি নি, একে তাদের মাতৃভাষার জিনিস, তায় তারা ফরাসি। আমি এমনিতে মিউসিক্যালের নাম শুনলে উল্টোদিকে হাঁটা মারি (দু-একটা ব্যতিক্রম আছে যদিও), কিন্তু এ ছবির গানের সুরও এতো চমৎকার যে ছবি দেখতে বসে আমি গানের জন্য অপেক্ষা করছিলাম!

আপাতভাবে এ ছবিতে যে সমাজের ছবি দেখানো হয়েছে তা আমাদের চেনা জগতের থেকে খুব কিছু আলাদা নয়। পারিবারিক বন্ধন থেকে শুরু করে যৌন পরীক্ষানিরীক্ষা, কৌতূহলের সূচনা আর ঘৃণার সমাপ্তি, হোমোফোবিয়া আর পোস্ট-মর্টাল মেলাঙ্কলি, সবকিছুই বাস্তব জগতের। কিন্তু এখানে মানুষেরা যে আচরণ করে তা অনেক সময়ই ব্যাখ্যার অতীত হয়ে যায়, হয় এ উদ্ভুটরস অথবা উইশফুল থিংকিং। প্রেমঘন এক দম্পতি তাদের জীবনে ও বিছানায় ডেকে আনে আরেকটি মেয়েকে, স্ট্রেইট দুটি কন্যা পরস্পরকে চুমু খায় ঘোর প্যাশনের সঙ্গে, আর শোকাতুর এক বিপত্নীক এক গে যুবকের প্রেমে আছাড় খেয়ে পড়ে। একেবারে অসম্ভব বলছি না, দৃষ্টিভঙ্গীর সংকীর্ণতাজনিত সমস্যাও আমার নেই বলেই ধারণা, কিন্তু এ যে প্রায় ফ্যান্টাসিল্যান্ড! অথবা আরেকটা ব্যাখ্যা এই হতে পারে যে এরা সব্বাই বাইসেক্সুয়াল! (ইংরিজি শব্দ ব্যবহার করছি বলে দুঃখিত কিন্তু এদের বাংলাগুলো বড়োই কাঠকাঠ শোনায়)। যদিও ছবির কাহিনী বাস্তবজগতের পটভূমিতেই ঘটে, কিন্তু এই সব কারণে, এবং ঐ অসামান্য গানগুলোর জন্যও বটে, ছবি দেখার অনুভূতিটা হয় ভয়ানক কাব্যিক। এতো সব ভালো ভালো জিনিস যদি বা হজম করতে পারেন, তার পরেও আরো অভিনবত্ব অবশিষ্ট থাকে: এ ছবির চরিত্রেরা। এরা সব্বাই, মানে একদম সব্বাই, ভয়ঙ্কর রকমের সুন্দর। নায়ক সুন্দর, নায়িকা সুন্দর, নায়িকার দুই বোন সুন্দর, তাদের বাবা মা সুন্দর, সেই সম্পর্কের তৃতীয় নারী সে সুন্দর, সে মেয়ের বয়ফ্রেন্ড সুন্দর, বয়ফ্রেন্ডের গে ছোটোভাই সুন্দর, এমনকি বুকিং ক্লার্ক বা বাস কন্ডাক্টর, লক্ষ্য করে দেখলে হয়তো দেখতাম তারাও সুন্দর! একমাত্র পোষা কুকুরটাই যা আলাদা, তাও সে খারাপ কিছু দেখতে না, একটু যা আলোঝালো, আনকেম্পট যারে কয়। আহা আমার প্যারিস সফরের সময় এরা সব কোথায় ছিলো, তখন তো পথেঘাটে প্রচুর প্যাঁচামুখ দেখেছিলাম!

ছবিটি খুব বড়ো বাজেটের নয়, খুব ধুমধাম করে বেরিয়েছিলো তাও নয়। কিন্তু ফরাসি যুবকযুবতীরা খুব ভালোবেসে ফেলে ছবিটাকে, ফলে অনেক নামডাক হয়। ছবিটা দেখার পর কয়েকটা রিভিউ পড়লাম। একজন সমালোচক এ ছবির ক্লাইম্যাক্সকে রোমিও-জুলিয়েটের পর শ্রেষ্ঠ ব্যালকনি দৃশ্যের শিরোপা দিয়েছেন। আমি অবশ্য ততোটা উত্তেজিত হতে পারি নি, খানিকটা বাস্তবতার প্রশ্নেই, কিন্তু ভালো লেগেছিলো নিঃসন্দেহে। সব মিলিয়ে, চমৎকার সিনেমা, চেনা হলিউডি মিউসিক্যালের থেকে একেবারেই আলাদা গোত্রের।

---------------------------------------------------------------------
Les Chansons d'Amour / Love Songs (2007)
Director: Christophe Honoré
Cast: Louis Garrel, Ludivine Sagnier, Gregoire Leprince-Ringuet, Clotilde Hesme


মন্তব্য

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দেখার সিদ্ধান্ত নিলাম। কবে সেটা বলতে পারবো না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মূলত পাঠক এর ছবি

দেশে ছবিগুলো পাওয়া যায় কোথায় আর আদৌ পাওয়া যায় কি না সে সব সমস্যা তো আছেই, অসুবিধাটা বুঝতে পারি।

আরিফুর রহমান এর ছবি

আলিফ কাগুর মুখে কাঠকাঠ বাংলাটা ভালোই শোনাতো...

(আকলমন্দের জন্য ইশারা)

মূলত পাঠক এর ছবি

তেমন আকলমন্দ নই, ইশারা বুঝলাম না। একটু খুলে বলেন আলিফ কাগু কে, আর তার কথা এখানে কীভাবে প্রাসঙ্গিক, এইসব।

আরিফুর রহমান এর ছবি

ছামুয়ারে আলিফ দেওয়ান আলিফ কাগু নামে পরিচিত। এই রহস্যময় চরিত্রটি ওখানের মডারেটরদের 'উভকামী' বলে সম্বোধন করেন, নিয়মিতই।

আপনার পোস্টে যেখানে 'কাঠকাঠ বাংলা' শব্দগুলি যে শব্দের ঠিক পর পরেই এসেছে.. তখনি মনে পড়েছে কাগুর কথা।

তাই...

(নিতান্তই কাকতাল, কারো সম্পর্কে খারাপ বা ভালো বলার উদ্দেশ্য ছিলো না। কাগুর সাথে পরিচিত থাকলে 'ইশারা' কাফি হতো হয়তো... )

খের..

মূলত পাঠক এর ছবি

নাঃ, পরিচয় নেই, এবং ভাগ্যিস নেই। সাম্প্রতিককালে সচলে হওয়া একটি বিতর্কের সময় সেখানে লক্ষ্য করেছিলাম কারোর লেখার বা মতবাদের নিন্দা করতে হলে শালীনতা রক্ষা করার কোনো প্রয়োজন হয় না, এবং তারপর থেকে অনিয়ন্ত্রিত ব্লগিং-এর উপর অশ্রদ্ধা আরো বেড়েছে, এবং পরে আর সে সব পড়ার ইচ্ছাও হয় নি।

সম্প্রতি আমেরিকান টিভিতে সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন-সংক্রান্ত শব্দকে ডেরোগেটরি-অর্থে ব্যবহার থামাতে ক্যাম্পেন চালু হয়েছে। সেই একই সময়ে দাঁড়িয়ে এইসব আচরণ দেখলে করুণা হয়। সেনসিটিভিটি আমাদের কাছে ভিনগ্রহী ধারণা।

আপনার মন্তব্য বুঝতে না পারা আমারই অপারগতা, আমার ধারণা সচলের অনেকেই চিনবেন ভেবে আপনি লিখেছিলেন। যাক। পরের লেখায় আপনার কমেন্টের সময় আবার আড্ডা হবে। ভালো থাকুন।

কীর্তিনাশা এর ছবি

আমিও.......

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনেও কী............?

মূলত পাঠক এর ছবি

দেখতে পাচ্ছি এই পোস্টটি আপত্তিকর অভিযুক্ত। কারণটা অননুমেয়, আমার পক্ষে। অভিযোগের কারণটা না বলে শুধু অভিযোগ জানিয়ে কোনো কাজ হয় কি? ঢিল মেরে চোঁ চাঁ দৌড় না দিয়ে সমস্যাটা জানিয়ে গেলে উদ্দেশ্যটা মহৎ এইটুকু অন্ততঃ বোঝা যেতো!

মডারেটর বা অভিজ্ঞ সচলদের কাছে জানতে চাইছি, এ বিষয়ে করণীয় কী আছে। ট্যাগটা খুবই বিরক্তিউৎপাদক, একটা সিনেমার রিভিউ কিসে কার সুকোমল কিশলয় মনে আঘাত হানলো সেটা অনুমান করা আমার অসাধ্য। শিশুমনে আঘাত লাগতে পারে বিবেচনায় ১৮ বছরের ঊর্দ্ধের পাঠকের জন্য লেখা, সে কথাও তো বলে রেখেছিলাম।

বেগুনী-মডু এর ছবি

লেখাটির বিষয়বস্তুতে কোন আপত্তিকর উপাদান পাওয়া না যাওয়ায় এবং কেন আপত্তিকর সে-বিষয়ে কোন বক্তব্য পাওয়া না যাওয়ায় "আপত্তি" সরিয়ে দেওয়া হল।

একই লেখকের একাধিক লেখার মাঝে খুব কম সময়ের ব্যবধান একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে। এ-ব্যাপারে লেখকগণ নিজেরাই সতর্ক থাকবেন বলে আশা করি।

মূলত পাঠক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, বেগুনী-মডু।

প্রথম পাতায় দুইটির বেশি লেখা যাতে না থাকে সেই বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করেই পোস্টাচ্ছি। নিয়মনীতির কথাই শুধু নয়, একই লেখকের অনেকগুলি লেখা নীড়পাতায় থাকলে ব্যাপারটা দেখতেও বিসদৃশ লাগে, কাজেই মানতে কোনো সমস্যাই নেই।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

খুব সম্ভবত নীড়পাতা আর প্রথম পাতা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। এটা সবার কাছে পরিষ্কার থাকলে ভাল হত। নীতিমালায় সম্ভবত "নীড়পাতা"য় একাধিক লেখা প্রকাশ করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

নীড়পাতায় প্রকাশিত লেখা কিন্তু দ্বিতীয় পাতায় প্রকাশিত হলেও নীড়পাতারই লেখা। আবার নীড়পাতায় ক্লিক করলে নিয়ে যায় শুধু প্রথম পাতায়ই।

আরিফুর রহমান এর ছবি

মনে হচ্ছে পিউরিট্যান সবখানেই আছে!

অথবা কেউ হয়তো ভুল-বশতঃ...

(লেখা ভালো হয়েছে.. নিরুৎসাহিত হবেন না দয়া করে)

মূলত পাঠক লিখেছেন:
দেখতে পাচ্ছি এই পোস্টটি "আপত্তিকর অভিযুক্ত"। অভিযোগের কারণটা না বলে শুধু অভিযোগ জানিয়ে কোনো কাজ হয় কি?

মূলত পাঠক এর ছবি

পিউরিটানদের সমস্যা কিসে, হেটেরো দুনিয়ায় এলজিবিটি প্রসঙ্গ আনাতে? নাকি সে কথা বলেও তারপর খুব করে নিন্দে করি নি তাতে? পুরোটাই তো আন্দাজে চলছে, খুলে বললে না হয় ওই সুকোমলবাবু (কিম্বা লাজেরাঙাদিদি)র সাথে হাত মিলিয়ে আমিও চাট্টি গালাগাল কর্তুম, কিন্তু সে সুযোগই পেলাম না!

নিরুৎসাহ হওয়ার প্রশ্নই নেই, এই সব উটকো খোঁচায় আমার উৎসাহ বরং দ্বিগুণ চৌগুণ হয়। তবে এর বেশি ঘন ঘন লেখা দেয়ার উপায় নেই, কাজেই ভয় পাবেন না, দিনে ছ'টা করে লেখা দেবো না। তবে একটা জিনিস করা যেতে পারে, এই সুকোমলচিত্তে আপত্তিকর হতে পারে এই জাতীয় লেখা লিখতে শুরু করবো কিনা ভাবছি।

আপনাকে ধন্যবাদ, আরিফুর রহমান।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পোস্টে কে আপত্তি জানিয়েছেন জানি না, তবে কারণটা মনে হয় জানানো উচিত লেখককে, তা সেটা এখানে মন্তব্যের আকারেই হোক বা ব্যক্তিগত মেসেজে; স্বনামে হোক, বা বেনামে।

কিছুটা অবাক হয়েছি। কেননা লেখাতে আপত্তি জানানোর মতো কিছু পেলাম না।

মূলত পাঠক এর ছবি

ধন্যবাদ, প্রহরীভাই।

আমার মন্তব্য উপরে লিখেছি।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পাঠক'দা, একটা ব্যাপার হঠাৎ করেই মাথায় এলো। আজ আপনি দুইটা পোস্ট দিয়েছেন, যাদের মধ্যে সময়ের ব্যবধান তিন ঘণ্টা পঁচিশ মিনিট এবং আগের দিনের পোস্টের পর পুরো চব্বিশ ঘণ্টাও পার হয়নি পরের পোস্টটা দিয়েছেন। সচলায়তনের নিয়মানুযায়ী বোধহয় চব্বিশ ঘণ্টায় একাধিক পোস্ট দেয়া যায় না বা নিরুৎসাহিত করা হয়। এ কারণে হয়ত কেউ আপত্তি জানিয়েছেন এই পোস্টটাতে। স্রেফ অনুমানের কথা বললাম। ভুলও হতে পারে। কিছু মনে করবেন না। হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

মনেটনে করি নি। এইটা কারণ না বোধ হয়, কারণ মডুরা সেক্ষেত্রে একটা নোটিফিকেশন দিতেন নিশ্চয়ই। এইটা কেমন বেনামী ঠেকে।

যাক আমি একটা মেইলও করলাম তাদের, কিন্তু একটা পোস্টিং এরর এলো!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আগ্রহীদের জন্য একটা টরেন্ট দেই। আর, এটার সাবটাইটেল পাওয়া যাবে এখানে

কোনো সহৃদয় দেশি ভাই যদি ডাউনলোড করেন সিনেমাটা, তো প্লিজ জানাবেন। বিশেষ করে কীর্তিনাশা ভাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম।

স্পর্শ এর ছবি

আমিও দেখার সিদ্ধান্ত নিলাম।ইংরেজী সাবটাইটেল সহ পেলে হয় এখন।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মূলত পাঠক এর ছবি

ভালো কথা হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পাঠক'দা, লেখাটায় ইংরেজি শব্দের পরিমাণ অনেক বেশি মনে হলো, অনেক শব্দই চাইলে খুব সহজেই বাংলায় লেখা যেত, বিশেষ করে আপনার জন্য তো এটা অনেক বেশি সহজ একটা কাজ। আপনার শব্দভাণ্ডার তো দুর্দান্ত হাসি

সিনেমাটা, সুযোগ পেলে, দেখব আশা করি।

'বিগ ফিশ', 'কনস্ট্যান্ট গার্ডেনার', 'কিউরিয়াস কেস অভ বেঞ্জামিন বাটন' দেখেননি এখনো? রিভিউ কই?

মূলত পাঠক এর ছবি

হা হা, শব্দভাণ্ডার দুর্দান্ত! হাসি

এখানে সব কিছু বাংলায় লিখতে ইচ্ছে হচ্ছিলো না, যেমন ওই কোমলচিত্তে আঘাত দেয়া শব্দগুলো। ওগুলোর পরিভাষা আমার কানে অন্ততঃ এখনো অবধি কাঠ কাঠ লাগে। তারপর ধরুন পোস্টমর্টাল মেলাঙ্কলি, এটা সহজেই শ্মশানবৈরাগ্য হতে পারতো কিন্তু তাহলে হোমোফোবিয়ার পরে বসে ঠিক জমতো না। এই সব আর কি।

বাটন বাদে বাকি দুটো দেখেছি। রিভিউ (মাথা চুলকে, ভয়ে ভয়ে) লেখা হয় নি স্যার!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হুমম, বুঝলাম হাসি

কিন্তু রিভিউ লেখেননি কেনু কেনু কেনু! মন খারাপ
তাড়াতাড়ি লেখেন। দেখব আপনার সাথে আমার অনুভূতি মেলে কি না।

তুলিরেখা এর ছবি

রিভিউ পড়ে আগে বুঝে নিই কেমন, তারপরে আসল সিনেমা দেখবো। হাসি
----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

বুঝলেন তো? এইবার দেখেন। হাসি

তুলিরেখা এর ছবি

আরে সেদিন তো রিভিউ পড়ে সাহস সঞ্চয় করেই লিটল জিজু দেখলাম!
আপনি মশায় আমায় স্পয়েল করে দিলেন! ছিলাম ঝাড়া হাতপা, প্রায় বেহ্মদের মতন, সিনেমাফিনেমা থেকে দূরে, হেরম্ববাবুর কায়দায় "জানি কিন্তু বলবো না!" স্টাইলে। হাসি
আপনি আমারে দিয়া কত সিনেমা দেখায়া ফালাইলেন! হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

বাঃ তা'লে তো রিভিউ লিখে একটা কাজের কাজ হলো দেখছি। হাসি

হিমু এর ছবি

এখন ফরাসী সিনেমা দেখার সুযোগ কম। ফরাসী ভাষা খানিকটা শিখেছিলাম এককালে, পড়ে কিঞ্চিৎ বুঝলেও শুনে কিছুই বুঝি না। আর সাবটাইটেল পড়তে গেলে সিনেমা ফসকে যায়।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

মূলত পাঠক এর ছবি

সাবটাইটেলে সমস্যা তো আছেই, কিন্তু সে পথে না গেলে কতো ভালো সিনেমাও মিস হয়ে যায়। ভারতীয় ভাষাই এতোগুলো, জানি না অধিকাংশই, তারপর ইউরোপের ভালো ভালো সিনেমা, কত্তো কত্তো!

আমি অবশ্য সাবটাইটেল ইংরিজি ছবিতেও অনেক সময় চালিয়ে দিই, খুব ঘন অ্যাকসেন্টে সংলাপ হলে। হাসি

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

বাবামা প্রোজেক্ট ঝিমিয়ে পড়েছে মনে হয়। যদি ঠিক ধরে থাকি, তাহলে আমি একটা পয়েন্ট পাওয়ার কথা অনূদিত'কে অনুদিত লেখায়। চোখ টিপি

তো সেই অনুদিত ভার্শনে যা পড়লাম

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনে মশাই বড় ইয়ে আছেন তো! এতোগুলি লেখা লিখলাম তার উত্তরে এই একখান কমেন্ট!

যান, ঠিক করে দিলাম।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ছি না, তবে পড়ছি। লিখতে থাকুন। আমি প্রায়ই পেছনের দিকে গিয়ে পুরনো লেখা পড়ি। চোখে পড়বেই।

ক'দিন ব্যস্ত ছিলাম গ্র্যাজুয়েশন পার্টি নিয়ে, এরপর আজমীরের চলে যাওয়া নিয়ে, আর এখন লুইজিয়ানা এলাম ১০ দিনের জন্য। অনেক দিন পর সবাই একসাথে। এই ক'দিন তাই ব্লগ ব্যাকসিটে বসবাস করবে। খাইছে

মূলত পাঠক এর ছবি

আরে হাতে-কম-সময় সিচুয়েশনের জন্যেই তো কমিক্স, তবে দেরি হলে সমস্যা কিছু নেই।

ভালো করে ঘুরে নেন লুইজিয়ানা। হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।