কবিতাকথন ৯: অবশেষে ছোটো কবিতা
ক্যাটেগরি:
নিঃশব্দ ধূসর সন্ধ্যা নতমুখে স্থির
দ্বারপ্রান্তে গাঢ় চিন্তাজাল
অন্ধকারে কঁেপে ওঠে বৃদ্ধদেহ বিষণ্ণ কবির,
জন্ম নেয় দুরন্ত সকাল।
- মূলত পাঠক এর ব্লগ
- ৪৩৯বার পঠিত
নিঃশব্দ ধূসর সন্ধ্যা নতমুখে স্থির
দ্বারপ্রান্তে গাঢ় চিন্তাজাল
অন্ধকারে কঁেপে ওঠে বৃদ্ধদেহ বিষণ্ণ কবির,
জন্ম নেয় দুরন্ত সকাল।
মন্তব্য
অই যে একটু আগেই বলে এসেছি--আপনি অনেক গুণী মানুষ।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আপনার ভালো লাগলো এই কবিতাটা? খুব আনন্দ পেলাম জেনে।
খুবই ভাল লাগলো।
প্রথম লাইনে আপনি পর্ব সংক্ষেপ করেছেন,কে কি বলবে জানি না, আমার কাছে ওটা এই কবিতার বাড়তি সৌন্দর্য ।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আমি কবিতা লিখতে গেলেই আকারে বেড়ে যায়, যা বলতে চাই তা স্বল্প পরিসরে কিছুতেই বলা হয়ে ওঠে না। এখানে সেটা করতে পেরেছি, এবং আপনার মতো একজন পাঠকের ভালো লেগেছে, এ খুব আনন্দের কথা আমার জন্যে।
শতভাগ একমত ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আমার পক্ষে সহমত হওয়াটা দুর্বিনীত ব্যাপার হয়ে যাবে, কিন্তু আপনারা বললে না-ই বা করি কী করে!
অনেক ধন্যবাদ।
আপনি যে অনেক গুণী এবং আপনার যে ১০টা হাত আছে সেটা আগেই আপনাকে জানিয়েছিলাম।
লেখা, ছবি দুইটাই ভাল লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার কবিতা আমার খুব ভালো লাগে, আপনার প্রশংসার মূল্য অনেক।
গুণীকে প্রণাম
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
কী মুশকিল, লজ্জা দেয়ার আর কোনো টেকনিক ছিলো না?
নিঃশব্দ ধূসর সন্ধ্যা নতমুখে স্থির লাইনটি পড়ে এক লহমায় খুবই শান্ত নিবিড় ধূসর সন্ধ্যার চিত্র দেখে ফেললাম যেন!
ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো।
ভাল্লাগ্লো কিন্তু পেট ভরলনা..চারটা মাত্র লাইন...পড়ে আফসোসই বাড়ল...আরেকটু লিখতেন যদি কবি! কিন্তু গুণী মানুষেরা বোধহয় আজকাল কেপ্পনও হন...
তা হবে, গুণী মানুষদের কথা কে জানে! আমি কেপ্পন নই, বরং অনেক কষ্টে এই কবিতাসংক্ষেপ। লম্বা মালই তো বাজারে বেশি ছাড়ি।
তিনটা শব্দ মনে হল পড়ার পরে... ধূসর, অন্ধকার, বিষন্ন...
খেয়াল করে দেখি সবই কবিতায় বলেছেন...
আলাদা করে কিছু বলার নেই...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
চমতকার লাগলো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ধন্যবাদ, রানা মেহের।
চারলাইনেই শেষ? এটাতো বেশ আকারে বড়ো হতে পারত, অন্তত সেই সম্ভাবনা আছে। চিন্তা করেন, বড়ো করেন।
বড়ো মাল আরো ছাড়া যাবে পরে, এইটের উপর আর হাত দিচ্ছি না।
পড়ে একটা প্রশ্ন জাগলো, এই কবিতাকথনের পেছনে কি রিটন ভাইয়ের পোস্টটার ভূমিকা আছে?
আবারো বলি, আপনি মোটেই "মূলতঃ" পাঠক নন
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
এই কবিতাটা অনেক পুরোনো, কাগজ-কলমে লেখা। একটা পুরোনো ফাইলের পাতার ভাঁজে রাখা ছিলো। তখন জানতাম না সচল কী বস্তু।
আর, থাংকু
ভালো লাগলো কিন্তু এত ছোটো যে আরো পাবার আশা থেকে যায়।
সেই অসমাপিকা ক্রিয়ার সংজ্ঞার মতন, আরো বলিবার বা শুনিবার ইচ্ছা থাকিয়া যায়।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এইটা বরং অসমাপিকাই থাক। ভালো লাগলেই তো হলো।
'দুরন্ত সকাল' শব্দবন্ধটি দারুণ!
থাংকু স্নিগ্ধা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
চোখের সামনে পুরো কবিতাটাই যেন দেখতে পেলাম। চমৎকার।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ভালো লাগলো জেনে আমারও ভালো লাগলো। এই ছোট্টো কবিতাটা লিখে বেশ তৃপ্তি হয়েছিলো।
খুব ভাল লাগল। আমার পোস্টের মন্তব্যে বলছিলেন আপনি, আপনি নাকি ছোট কবিতা লিখতে পারেন না। কথাটা যে একেবারেই ভুল, তার প্রমাণ পেলাম। আরো লিখুন।
থাংকু প্রহরীভাই। আপনার কবিতায় আমার মন্তব্য পড়ে কিছু মনে করেন নি আশা করি।
হা হা হা। আরে, মনে করার কী আছে! বরং মন্তব্য ও মতামত পড়ে অনেক খুশিই হয়েছি।
শর্ট ভার্সেস আমার প্রিয় ও আরাধ্য। পড়তে বেশ লাগলো। সাউন্ড অফ দি ভার্স।
একটা কথা তবুও, এই ক'টা শব্দে এত বিশেষণ সাবজেকটকে দূরে নিয়ে যায়না? শর্ট ভার্স এর অলঙ্কারহীনতা-ই আমাকে বেশি টানে, এই অর্থে বলে। এত অল্পতে আমি ছ'টি বিশেষণ দেখছি। কবিতার সাউন্ডকে হয়তো ভ্যালিডেইট করে, কিন্তু, ... হাহাহা
বাদ দেন। দারুণ হইসে কবিতা।
থ্যাংক য়ু জিফরান সাহেব।
আপনার কথা ঠিক, এই কবিতাটা আকারে ছোটো হলেও সেই অর্থে ছোটো কবিতা নয়, যে অর্থে ছোটোমাপের বলেই কোনো গল্পকে ছোটো গল্প বলা যায়। খুলে বলি। ধরুন বিকেলবেলা একটা মনখারাপ করা আলো জানালা দিয়ে এসে পড়েছে ঘরে, আর দেখে মনটা বিষাদে ছেয়ে গেলো। কেন কী বৃত্তান্ত সে সব বাদ দিয়েও সেই অনুভূতিটুকু নিয়ে একটা ছোটো কবিতা হয়। আবার ধরুন পথ দিয়ে হঁেটে যেতে যেতে কোনো জানালার পর্দা হাল্কা হাওয়ায় উড়ে ঘরের ভেতরটার এক ঝলক দেখিয়ে দিলো, জীবনের একটা স্থিরচিত্র, নানা প্রপসে ভরা আলো আঁধারি একটা শট, সেটাও একটা ছোটো কবিতা হতে পারে। তবে এটা আকারে ছোটো হলেও খুব ঘনসংবদ্ধ হবে, অনেক কথা জমাট বঁেধে থাকবে। উপরের কবিতাটা এই গোত্রের। ন্যাচারালি ছোটো, এমন কবিতা এটা হয়নি, একটা বড়ো গল্পকে ছোটো করে লেখা, এই জাতীয় বলা যায়।
অন্যরকম লেখার চেষ্টাও করবো আগামীতে।
ধন্যবাদ জানানোর জন্যে।
আমার সংঘবদ্ধ মনে হয় নাই যদিও। স্নিগ্ধা আপার মতোই আমার শেষ লাইনটা শুধু আলাদাভাবে ভাল লাগলো। অন্যভাবে লিখতে বলি নাই তো। এইটা বললাম যে, ছোট কবিতা সাধারণতঃ অলংকার বিবর্জিত হতে চায়। সংঘবদ্ধতার জন্যেই। আপনার এখানে বিশেষণের ঘনঘটায় সেটা হয় নাই।
তবে, কবিতা পড়তে গেলে খুব সুখপাঠের অনুভূতি হয়।
অভিনন্দন!
ছোট পরিবার সুখী পরিবার,
ছোট কবিতা সুন্দর কবিতা!
চতুষ্পদ হলেও আমার কাছে কিন্তু মোটেই অসমাপিকা মনে হয় নাই কবিতাটা। বরং পরিসরের মাপে এ তো সুনিপূণই সমাপিকা! দ্য প্রিসাইজ ইজ দ্য বিউটিফুল।
অর্থ, ভাব আর বোধও তো একেবারে সেইরকম!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
অনেক ধন্যবাদ, সাইফুল আকবর খান। ক'দিন সচলে আসা হয় নি, উত্তর দিতে দেরি হলো।
অসুবিধা নাই। আমি তো আরো বেশি নিরাস হয়ে আছি! মানে আমার তো আরো আসা নাই সচলে!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
খুবই ভাল লাগলো।
শব্দ ধূসর সন্ধ্যা নতমুখে স্থির।
নতুন মন্তব্য করুন