হিন্দি ছবি দেখতে যাওয়ার আগে রিভিউ ও রেটিং জেনে যদি যেতে চান তো সমস্যা হলো হিন্দি ছবির ভালো সমালোচক, অর্থাৎ যার মতামত নির্ভরযোগ্য হবে এমন বিশেষ কাউকে খুঁজে পাই না। রিডিফের রাজা সেন একটু নাক উঁচু হলেও লেখেন ভালো এবং এঁর মতামত মোটামুটি নির্ভরযোগ্য মনে হয় আমার। কিন্তু তাঁকে বাদ দিলে বাকিদের অনেকেরই ইংরিজির হাত নিচুমানের এবং মতামত মোটামুটি আশির দশকের মতোই তামাদি হয়ে যাওয়া (যেমন তরণ আদর্শ)। মোদ্দা কথা রিভিউ বলতে এখনো এঁরা অনেকেই সরলভাষায় গল্পটা বলে দিয়ে অভিনয় নিয়ে দু-চার কথা বলে সারেন। এছাড়া ইন্টারনেটের দৌলতে অনেক দর্শক যাদের স্বর শোনার দুর্ভাগ্য আগে হতো না এখন রিভিউ-এর নিচে তাদের মন্তব্যের বন্যা বয়ে যায়। এই ছবিটা দেখার আগে তাই এ জাতীয় সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলো, শেষে ভাবলাম দেখেই আসি যা থাকে কপালে। যাঁরা দেখার কথা ভাবছেন তাঁদের জন্য আমার তরফে সুখবর, দেখে মন্দ লাগে নি।
প্রথমেই একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা দরকার, দুধে নেশা বা মদে স্বাস্থ্য যখন চাওয়া হয় না, তখন সিনেমা থেকেও আমাদের প্রত্যাশাটাও বোঝা দরকারি। আমি গিয়েছিলাম মেসেজের খোঁজে নয়, আনন্দের জন্য। সে দিক থেকে হতাশ হই নি। মেসেজ ছিলো অবশ্য, কিন্তু নিরানব্বইটা হিন্দি ছবিতে এই মেসেজই থাকে, প্রেমের জয়গান নিয়ে। কিন্তু সে সব কথা বাদ দিয়ে বললে বলতেই হয় ছবিটা মোটামুটি সুনির্মিত, গানটান বেশ চিত্তাকর্ষক, পটভূমি ও সময়কালের বৈচিত্র্য অনেক, এবং পরিচালনা মোটামুটি স্মার্ট। আজকের নাগরিক মানুষ প্রেম আর কেরিয়ারের মধ্যে প্রায়োরিটির লড়াই আমার অন্তত প্রাসঙ্গিকই লাগে, এবং সেটা এই ছবির একটা মূল বিষয়। প্রেমের অমোঘ চরিত্রকে স্বীকার করে ছবি শুরু হয় না, বরং ছোটো ছোটো কাটে ডেটিংয়ের খেলা এগোয়। আজকের এই প্রেমের সাথে সমান্তরাল চলে আরেকটি গল্প, কালকের 'লাভ'। দ্বিতীয় গল্পে সইফের উপস্থিত থাকাটা নান্দনিক হিসেবে আমার বেশ মনে ধরলো। দর্শকের পরিণতমনস্কতার উপর পরিচালকের এই আস্থাটা বেশ স্বস্তিদায়ক। ভালোবাসার চরিত্র যুগের সাথে কীভাবে বদলেছে সে তুলনা থাকলেও সেটা ভয়ানক রকম চোখে আঙ্গুল দিয়ে না দেখিয়ে আরেকটা ভালো কাজ করেছেন নির্মাতারা। শেষ দিকটা একটু বেশি প্রলম্বিত, সেটা না হলে বক্তব্য প্রতিষ্ঠার হানি হতো কি না জানি না, তবে ছবিটা আরেকটু টানটান হতো। ছবি তৈরিতে খরচই শুধু নয়, যত্নের চিহ্ন দেখে ভালো লাগলো, পুরোনো দিল্লি ও কলকাতার পথঘাট বেশ বিশ্বাসযোগ্য। সানফ্রানসিস্কোর গোল্ডেন গেট ব্রিজ ও কলকাতার হাওড়া ব্রিজের মিলটাও চমৎকার।
সইফ আলি খান এই জাতীয় চরিত্রে অভিনয় করেন সাবলীলভাবে। ঋষি কপুরকে ভালো না লেগে যায় না, দীপিকা সুন্দরী না হলে যে তাকে দিয়ে কী হতো সে প্রশ্নও জাগে মনে। কালকের ভালোবাসার গল্পে হারলিন নামক পঞ্জাবী সদ্যযুবতীর চরিত্রে যে মেয়েটিকে দেখা গিয়েছে সইফের সাথে (লেখার সাথের ছবিতে), ছবির টাইটেলে তার নাম না দেখে ভাবছিলাম এ কোন জাতের চমক। নেটে খুঁজে আসল ব্যাপারটা জেনে তাক লাগলো, ঐ অপরূপা যে আদতে এক ব্রেজিলিয়ান মডেল (জিসেল মন্টেইরো) তা কে জানতো! এ নিয়ে ছবি তৈরির পেছনের গল্প জানতে চাইলে এখানে পড়ুন।
যাঁরা হিন্দি ছবি দেখা দেখেন মাঝেমধ্যে, তাঁদের খারাপ লাগবে না। সকালের শোয়ে সিনেমা দেখে বেরিয়ে বিকেলে স্যান্ডি হুকের সমুদ্রের ভেজা বালিতে খালি পায়ে হেঁটে তারপর জার্সির দেশি পাড়ায় পরোটা-মাংস দিয়ে ডিনার সেরে যখন বাড়ি ফিরলাম, দিনটা ভালোই কাটলো ভেবে দিব্বি লাগছিলো।
মন্তব্য
হিন্দি ছবি বউ-এর রিকমেন্ডেশনে মাঝে মাঝে দু'একটা দেখা হয়।
আমাদের এখানে তো থিয়েটারে যেয়ে দেখার সুযোগ নেই। তাই পাইরেটেড ডিভিডি বা ডাউরলোড ভরসা।
আপনি যেহেতু প্রশংসা করলেন, রেখে দিলাম দেখার তালিকায়....
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
সিনেমায় যাচ্ছি শুনে প্রহরী ফেসবুকে দাবি জানিয়ে গেছেন রিভিউর, তাই হিন্দি ছবি অনেকে না দেখলেও রিভিউ দিলাম।
ওয়েবসাইটগুলোয় সাধারণ দর্শকের প্রতিক্রিয়া দেখে একটু সন্দিগ্ধ ছিলাম, গিয়ে অবশ্য ভালোই লাগলো।
সিনেমা দেখা নিয়ে আমার কোনো বাছ বিচার নাই। মন ভালো থাকলে টুপ করে বসে পড়ি। দেখতে দেখতে যদি না ভালো লাগে, তখন আস্তে করে উঠে পড়ি। সিনেমা কেমন, তা কারো বলার উপর নির্ভর করি না। আমার ভালো লাগাটা একান্ত আমার কাছে। সিনেমার একটা মাত্র সিনের জন্য আমার হয়তো সেই ছবিটার কথা মনে থাকবে! অন্যজনের তার বিপরীত যে হবে না তা তো নয়! সিনেমার প্রমোটা দেখেছি, এখন ছবি দেখাটা বাকি।
.............................................................
ঐ যে হাঁটছি মুদ্রা দোষে নাকটা ঘষে
আড্ডা মানেই সেকেণ্ড হাফে খেলছি সোলো
গুজবো না শার্ট আমার পাড়া স্মার্ট পেরিয়ে
সে রোদ্দুরের স্মরণ সভাও লিখতে হল
আপনার মতের সাথে সহমত অনেকেই হবেন নীতিগত ভাবে। কিন্তু আমি থিয়েটারে গিয়ে অনেক ছবি দেখি বলে এবং টিকিটের দাম যথেষ্ট বেশি বলে (অন্তত উপার্জনহীন ছাত্রের পক্ষে) একটু খোঁজ নিয়ে যেতে হয়, এটাই মূল কারণ রিভিউ পড়ার। কোনো কোনো সমালোচকের লেখা পড়তে এমনিও ভালো লাগে।
আপনার সিগনেচারটা কার লেখা?
সিগনেচারটা কলকাতার ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দু'র গাওয়া একটি গানের। গানটার নাম "হতে পারে ক্লিশে"। গানটি লিখেছেন চন্দ্রিল। আর গেয়েছেন উপল।
..................................................................
ঐ যে হাঁটছি মুদ্রা দোষে নাকটা ঘষে
আড্ডা মানেই সেকেণ্ড হাফে খেলছি সোলো
গুজবো না শার্ট আমার পাড়া স্মার্ট পেরিয়ে
সে রোদ্দুরের স্মরণ সভাও লিখতে হল
চন্দ্রবিন্দু আমার খুবই প্রিয়, এ গানটা শোনা হয় নি। এবার শিগগির শুনে নিতে হবে দেখছি।
এই উইকএন্ডে দেখুমনে।
দেইখ্যা কইয়েন ক্যামন লাগল।
কলকাতায় গিয়েছিলাম। প্রতিদিন একটা করে ইংরেজি সিনেমা দেখেছি (বড় পর্দায় দেখার সুযোগ পেলে ছাড়তে মন চায় না)। এই মুভিটার ফার্স্ট শো ছিল চলে আসার আগের দিন। ভিড় ভাট্টায় দেখতে ইচ্ছে করেনি। আপনার রিভিউ পড়ে তো মনে হচ্ছে মিস করলাম।
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।
আহা রোজ একটা করে সিনেমা দেখে থাকলে একটু আধটু মিস করা তেমন কিছু ঘটনা না।
--দাদা হিংসা জানালাম। পরোটা-মাংসের কথা দেখেই সিনেমা নিয়ে যা বলেছ সব ভুলে গেলাম। কতদিন খাওয়া হয়না! অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছি এই বিষ্যুদবার, দেখি ওখানের বাঙালী পাড়ায় গিয়ে কপালে কিছু জোটে কিনা ।
বাঙালি পাড়ায় সুখাদ্য না জুটলে কেমন বাঙালি তারা?
মেলর্বোন গেলে ০০৬১৪৩৩০৩৭২৪৭ নাম্বারে ফোন দিয়েন, ছেলেটার নাম রাসেল আর ওর বউ এর নাম তরী।
...........................
Every Picture Tells a Story
মেলবোর্ণ যাব দিন তিনেকের জন্য। কনফুর সাথে দেখা হবার কথা।এই রাসেল কোন রাসেল মুস্তাফিজ ভাই?
হিন্দি ছবি দেখি না বিভিন্ন রকম কারণে। আপনার রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে এই মুভিটা চেখে দেখা যায় সময় পেলে।
আপনি এমনিতে হিন্দি ছবি না দেখলে এটা আমি আদৌ রেকমেন্ড করবো না, এটার উপস্থাপনা ইত্যাদি স্মার্ট হলেও চরিত্রে এটা ভয়ানক কিছু আলাদা নয়। তাই, দেখিলে নিজ দায়িত্বে দেখিবেন।
এটাই তো সমস্যা পাঠকদা, এই জন্যেই হিন্দি দেখার সাহস পাইনা। হিন্দি দেখি খুবই বেছে বেছে।
সর্বশেষ ভালো লাগা হিন্দি ছবি হচ্ছে "লাগে রাহো মুন্না ভাই" আর "তারে জামিন পার" ।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
আমি দেখি অনেক ছবিই, অন্তত দেখার চেষ্টা করি। সব ভালো লাগে না বলাই বাহুল্য। মুন্নাভাই ১ ও ২ ভালো লাগলেও "তারে..." নিয়ে মতামত তো লিখেছি নৈশীর উত্তরে।
দেখার মত হাতে অনেক গুলো ছবি আছে। আমির খান আর দার্শিল এর "তারে জামিন পর" দেখার পর আর হিন্দ ছবি দেখিনি। তবে বল্লেন যখন এটা দেখার ইচ্ছে রাখলাম।এভাবে ছবির রিভিউ পেলে খুব ভাল হয় বাছাই করার ঝামেলা বাঁচে । ধন্যবাদ আপনাকে।
নৈশী।
সে উপকারে লাগলে খুশিই হবো। যদিও ছোটো একটা ঝুঁকি আছে আপনার আর আমার পছন্দ মেলা নিয়ে, আমার কিন্তু "তারে..." তেমন সুবিধার লাগে নি, খুবই জ্ঞানদায়ী টাইপ, আর শুনে মনে হচ্ছে আপনার ভাল্লেগেছে। কাজেই ভেবে দেখেন আমার রিভিউ কাজে লাগাবেন না কি
"তারে......" দেখাটার পেছনের কারণ ঠিক ছবি দেখার জন্য ছিল না।ফিলসফিটা জনার জন্য ছিল। কাজেই আপনার রিভিউ কাজে লাগে কি না পরোখ করা যায় কি বলেন?
নৈশী ।
এমন বিষয় নিয়ে ছবি হয় না হিন্দিতে, কাজেই সে দিক থেকে তারে জমিন পর-এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এ ব্যাপারে সহমত।
গতকাল রাতেই ছবিটা দেখলাম!
তার আগে রিভিউ পড়ে ভালো লেগেছিল। এমনিতে এ ধরনের "ভালোবাসার জয়গান" মার্কা ছবিগুলো সময় কাটানোর জন্য মন্দ নয়। কেউ প্রেমে পড়বো পড়বো করছে এমন অবস্থায় থাকলে এই মুভি দেখার পরে ধুপ করে পড়ে যাবে।
পরিচালকের মুন্সিয়ানা আছে। শুরু থেকেই আমি যে গতি আশা করেছিলাম, তার চেয়ে দ্রুত কাহিনী এগিয়েছে। সে কারণেই শেষাংশ একেবারে বাজে লাগলো। আরো তাড়াতাড়ি শেষ করে দিতে পারতো গল্পটা। এরই আগের মুভি 'জব উই মেট' বলে হয়তো আশা একটু বেশিই ছিল।
ও হ্যাঁ, গানগুলো চমৎকার লেগেছে!
আপনার সাথে তো দেখি আমার মত একেবারে খাপে খাপে মিলে গেলো
বুঝতে হবে। ওয়াইজ মেন....
সে রকম না হলেও মাঝে মাঝে হিন্দি ছবি দেখি, সেটাও টিভিতে, পাইরেটেড ডিভিডি পাওয়া গেলেও কখনও কেনা হয়নি, বউ মাঝে মাঝে বাইরে পাঠানোর জন্য কিনে আনে সেসময়ও দেখা হয়, তেমনি ভাবে এ ছবিটাও দেখেছিলাম তবে পুরোটা না।
...........................
Every Picture Tells a Story
হিন্দি ছবির এটাই মজা, যতোটা ইচ্ছে দেখে উঠে গেলেও ক্ষতি হয় না, গল্প তো ছবি শুরু হওয়ার সাথে সাথেই বোঝা যায়, কাজেই শেষে কী হবে সে নিয়ে কৌতূহল থাকে না শেষটা না দেখলেও।
কাহিনীটা ভালোই। কিন্তু স্ক্রিনপ্লে আমার ভালোলাগেনি। খুব চোখে লাগছিলো...
বিশদে লেখেন না, চিত্রনাট্যের সমস্যা নিয়ে। সচলে সিনেমা নিয়ে এই লাইনে আলাপ কমই হয়।
কাল টিভিতে "হিচ" দেখছিলাম কততম বার কে জানে, তার স্ক্রিপ্টের শক্তি ও গঠনবৈশিষ্টের ব্যাপারটা চোখে পড়ছিলো। এই বিষয় নিয়ে যদি পেশাদার লোকেরা (যেমন নজরুল ইসলাম) লিখতেন!
উপরের ছবিতে সাইফের লগে এইটা কেডা? দীপিকা?
দেখা তো দূরের কথা, আমি তো খোঁজই জানি না এই ছবির...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
লেখায় নামধাম সবই আছে, এতো দিনে বুঝলাম আপনি আমার লেখা বিশেষ পড়েন না। ধরা পড়ে গেছেন
দাদারে দাদা... খুব মনোযোগ দিয়াই পড়ছি। নাম ধাম না থাকলে আমি জান্লাম কেমনে যে এইটা দীপিকা?
আর দীপিকারে দেইখা একটু যদি দিলডা তোলপার নাই করলো, তাইলে আর এই যৌবন রাইখা লাভ কী?
তাই এইসব প্রশ্ন নামের ঢঙঢাঙ... বুঝতে হবে দাদা, বুঝে ইজি থাকতে হবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তাইলে তো দেখি আপনে দীপিকারেও চেনেন না
এইটা দীপিকা না, সেই ব্রেজিলিয়ান বালিকা।
ট্রেলার দেখেছি । আপনার রিভিউ পড়ে ছবিটি দেখার আগ্রহ বাড়ল ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ধন্যবাদ মানিক সাহেব। হিন্দি ছবি হিসেবে মন্দ নয়, ভালোও লেগে যেতে পারে। ইমতিয়াজ আলি এর আগে "যব উই মেট" বানিয়েছিলেন, সেটা ভালো লেগে থাকলে খানিকটা আশ্বস্ত হতে পারেন।
দীপিকা আসোলে খুবই অর্ডিনারী! ওকে এমন কিছু সুন্দরও তো লাগে না।
ওকে দিয়ে কিছু এখনও হয় না, হ'তোও না, হবেও না।
হবে আপনাকে দিয়ে। একটা ফিলিম নিয়াও যে এক ছিলিম ল্যাখা দিলেন, খাসা!
ছবি দেখা হয়নি, তাতে কী? "ভালোবাসা, যুগে যুগে" তো প'ড়ে গেলাম।
আর হ্যাঁ, হারলিনের ছবিও দেখে নিলাম আরো কয়েকটা। না, তেমন বেশি সুবিধা নাই।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
দীপিকার কিছু না হলেও আমার হবে, শুনে বড়োই আনন্দ পেলাম।
এই সিনেমা নিয়ে লেখা দেওয়াবাবদদোষ যা দেয়ার সেটা পুরোপুরি প্রহরীকে দিন। ঐ কেষ্টা ব্যাটাই চোর।
দোষের কথা কোত্থেকে এলো?!
দেখতে থাকুন "ভালোবাসা, যুগে যুগে"
লিখতে থাকুন ভালো লেখা পোস্টে পোস্টে।
আমরা সলতের নিচে কেরোসিন বৈ জল হবো না।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ডাউনলোড করছি। এক ভাইয়া বললেন এ নাকি পুরো আমার কাহিনী, তাই কি কাহিনী জানার ইচ্ছা থেকে নামানো চলছে! এক বন্ধুর প্যানপ্যানানীতে হিন্দি ছবি দেখা হয় ভালই, আমি আবার সিনেমা পাগল মানুষ, তাই দেখি সময় পেলেই। তবে আজকাল যেভাবে হিন্দী ছবিতে ইংরেজীর সরাসরি, এমনকি সংলাপ পর্যন্ত নকল চলছে তাতে মেজাজ ঠিক রাখা সবসময় সম্ভব হয়ে উঠেনা। গতরাতেই যেমন মেজাজ খিঁচড়ে গেল সুনিধীর একটা গান শুনে, কোন ছবির জানিনা, গানের নাম 'খুশ হু ম্যায়!' সুর+কথা দুটোই ডেমি লাভোটোর 'দিস ইজ মি' এর সরাসরি নকল। গান খারাপ না, তবে এরকম কতটা সওয়া যায়?
সীড খুব কম, হয়তো আরও দুদিন লাগবে ডাউনলোড হতে, দেখি, কেমন হয়!
ধন্যবাদ।
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
কী বলেন, আপনার গল্প এইটা? আমাদের বালিকা এমন ফিল্মি না কি, জানা ছিলো না তো!
হিন্দি ছবিতে গান টোকাটুকি কিছু নতুন নয়। তবে যে গানটার কথা বলেছেন নেট ঘেঁটে জানলাম সেটার ইতিহাস আলাদা। ডেমি লাভোটোর 'দিস ইজ মি' ব্যবহৃত হয়েছে 'ক্যাম্প রক' ছবিতে, তার হিন্দি ভার্শনের জন্য সুনীধি গানটি গেয়েছেন হিন্দিতে। ঐ ছবির অন্যান্য গানও হিন্দিতে হয়েছে। এখানে ইংরিজি ও হিন্দি গানদুটির লিঙ্ক দিলাম ইউটিউব থেকে। ঐ ছবির আরেকটি গানের হিন্দি ভার্শন ভিডিও সমেত দিলাম এখানে।
আমারও জানা ছিলনা, বিশ্বাস করেন!
হুমমম! ধন্যবাদ! তবে সত্যি কথা বলতে আমার খুঁজে দেখতেও ইচ্ছা করেনি যে গানটা কেন আর কোন ছবির জন্যে গাওয়া হয়েছে, অনেক ধন্যবাদ লিঙ্কের জন্য।
পেহেলি নজর ম্যে- এই গানটা পছন্দ হয়েছিল বেশ, মজার ব্যাপার হল এটা ইংরেজী নয়, একটা কোরিয়ান গানের নকল, আমার কোরিয়ান বান্ধবী হিন্দী গানটা শুনে বেশ অবাক হয়েছিল, আর আমি হয়েছিলাম কোরিয়ান গানটা শুনে! বাংলায় এই জাতীয় নকল গুলো ধরতে পারিনা ব্যান্ডের গান না শুনার কারণে, খোজখবরও যে রাখা হয়না আজকাল।
এরকম আরও পোস্ট চাই মূলোদা, সিনেমা নিয়ে, চিত্রনাট্য নিয়ে লিখুন আরও।
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
রিভিউটা বেশ ভালো লেগেছে। হিন্দি সিনেমা আমি রিভিউ দেখে কিংবা কাছের বন্ধুরা কেউ রেকমেন্ড করলে সেই থেকে বেছে দেখি। এই সিনেমাটা ক'দিন আগে একজন দেখতে বললো। এখন আপনার রিভিউ পড়েও মনে হচ্ছে একদম যাচ্ছেতাই নয়। তাই দেখার তালিকায় তুলে রাখলাম।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
আপনার অ্যাপ্রোচটা ভালো, কোনো সিনেমা একেবারে যাচ্ছেতাই নয় এই রকম প্রত্যাশা নিয়ে দেখলে আশাহত হওয়ার ভয় কম থাকে।
এই ছবির একটি গান নিচের এই বাংলাদেশী গানটির নকল বলে শোনা যাচ্ছে।
http://www.youtube.com/watch?v=jAZBS7aoaMw
শুনে মিলটা খুবই স্পষ্ট বোঝা গেলো, "আহুম আহুম" বলে একটি গানের সাথে।
চমৎকার।
আগে আগে হিন্দি ছবি দেখতাম না বিশেষ, হঠাৎ নায়ক-নায়িকার চারপাশে কোত্থেকে ৫০০ জন এসে নাচতে থাকে বলে সবাই হাসতো। বলতো খুব অবাস্তব ধরনের এন্টারটেনমেন্ট!
এখন দেখি, আরে হাসিমজা আনন্দের জন্য ৫০০ কেন, ১০০০ লোক নাচলেও ক্ষতি কি? বাস্তব তো না, সিনেমাই তো!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
একে সিনেমা তায় এই জাতীয় গানকে অনেক সিনেমাতেই চালাকি করে স্বপ্নদৃশ্য বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। অতএব বোবা গান গায়, পঙ্গু নাচ জুড়ে দেয়।
গত শুক্রবার ভেবেছিলাম ছবিটা দেখতে যাব। অনলাইনে টিকিট দেখতে যেয়ে দেখি সব সোল্ড আউট। এই উইকে একসময় দেখব।
স্ট্রেস নামানোর জন্য এইরকম হিন্দি মুভি খুবই কাজের।
দেখে ফেলুন
বহুদিন হিন্দি সিনেমা দেখি না। এমনকি ইদানিং টিভি না দেখার ফলে কী কী সিনেমা আসলো, সেটাও বলতে গেলে জানা হয় না। আপনার রিভিউটা ভালো লাগলো। এই সিনেমাটা দেখব হয়ত। সময়-সুযোগ হলে এবং হাতের কাছে সিনেমাটা পেলে।
তরণ আদর্শ সম্পর্কে আপনার মন্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ একমত। এত্তো বিরক্তিকর একটা লোক! মানে, তাঁর কথাবার্তা শুনলে খুব বিরক্ত লাগে।
আপনার কাছ থেকে নিয়মিত হিন্দি সিনেমার রিকমেন্ডেশন চাই।
"If you want to send a message, call Western Union"
বলেছিলেন হলিঊডের প্রবাদ পুরুষ স্যাম গোলডউইন (এম,জি,এমের মধ্যমণি)। আর্ট ফিল্মে মেসেজ থাকা উচিত না, আবার নাচগানের ফিল্মেও মেসেজ কি অপ্রাসঙ্গিক নয়? তবু থাকে। কখনো লুকিয়ে।
সব হিন্দী ছবিই আমি দেখার চেষ্টা করি, যা হাতের কাছে পাই। কিন্তু বোরিং লাগলে কম্পিউটার বন্ধ করে দেই, যেমন অশোকা। বা ফিদা হুসেইনের আজব ছবিগুলো।
হলে গিয়ে দেখা হয় না।
ভালো লেগেছে ঃ দিল সে, আর্থ-ওয়াটার-ফায়ার, ব্যান্ডিট কুইন, রেইন কোট, তারে জামিন পার। এমন কি চামেলীও। কেন ?
আমি কখনো ভালো লাগা বিশ্লেষণ করি না। তবে যাঁরা হলে গিয়ে ছবি দেখেন, তাঁদের আগে নির্ভরযোগ্য সমালোচনা দেখে নেয়া ভালো।
হিন্দি মুভি দেখি খুব কম...কারণ বেশিরভাগই বিদেশী কোননা কোন মুভির ভয়াবহ নকল!
হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আমি হিন্দী জানি না, তবু হিন্দী কানে যা শুনতে পাই আর তার উচ্চারণ যা পত্রিকার পাতায় (বিশেষতঃ কোলকাতার) দেখতে পাই তাতে আমি কিছুটা দ্বন্দ্বে পড়ে যাই। এই ব্যাপারটা দূর করার জন্যই আমার আপনাকে এই প্রশ্ন করা।
১। আপনি লিখেছেন, 'লাভ আজ কল' এটি কি 'লাভ আজ কাল'হওয়া উচিত? একই ভাবে, ঋষি কপুর = ঋষি কাপুর, পঞ্জাবী = পাঞ্জাবী হওয়া উচিত কিনা। হিন্দী শব্দে যদি আ-কার (যেমন এখানে ক-তে বা প-তে) থাকলে তার বাংলায় তাই থাকা উচিত নয়কি? তবে হিন্দী শব্দে যদি আ-কার না থাকে তাহলে তার বাংলায় আ-কার বা ইংরেজীতে a থাকা উচিত নয়, তাই না? তাহলে পঞ্জাব = Ponjab হওয়া উচিত, Panjab নয়।
২। "সইফ আলি খান" এই নামটি আরবী, হিন্দী নয়। এর উচ্চারণ "সাঈফ আলী খান" হবার কথা। অবশ্য হিন্দীতে উনি কী বানানে লেখেন তা জানি না। যদি তিনি হিন্দীতে আপনার বাংলায় লেখা বানানের অনুরূপে লিখে থাকেন তাহলে আমার জিজ্ঞাস্য কোলকাতার পত্রিকাগুলো তাহলে উনার নাম "সেফ অলি খান" লেখেন কেন?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হিন্দী বলয়ের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কিছুকাল থাকার কারণে কথ্য হিন্দীটা মোটামুটি জানি৷ সেই সামান্য জানা থেকে একটু ফুট কাটি৷ আশাকরি ষষ্ঠ পান্ডব বা মুলোভায়া কিছু মনে করবেন না৷
১৷ "কল' কিম্বা কাল এ লেখার সময় ব্যবহৃত হয় ছোটি-আ৷ হিন্দীতে দুটি আ৷ ছোটি-আ আর বড়ী-আ৷ তো, উচ্চারণের সময় ছোটি-আ'র উচ্চারণ হয় বাংলা অ আর আ'এর মাঝামাঝি৷ তাই বাংলায় লেখার সময় "কল' লেখাটা মূলের অনেক কাছাকাছি যায়৷ আর কানে শোনার ক্ষেত্রে কোন বাঙালি উচ্চারণ করলে স্পষ্ট "কাল' শুনতে পাবেন৷ কিন্তু এলাহাবাদ বা লক্ষ্ণৌ ঘরাণার কেউ বললে ব্যপারটা ঠিকভাবে ধরা যায়৷
৷
২৷ "পঞ্জাব' এও ছোটি-আ৷ কাজেই ঐ উপরের বক্তব্য পুরোটাই খাটে৷
৩৷ হিন্দীতে "সাইফ'-ই বলে শুনেছি৷ "সেফ লেখাটা আনন্দবাজারের প্শ্চাত্পক্কতাজনিত উদ্ভাবন৷ ওরা নামগুলো যথেচ্ছ বানানে লেখে৷ যেমন সোনিয়া গাঁধি৷ অপেক্ষায় আছি কবে চন্দ্রবিন্দুটাও তুলে দেয়!
আমি আরেকবার হিন্দী ব্যকরণ জানা লোকের কাছ থেকে জেনে নেবো, যদি কিছু ভূল বলে থাকি এখানে জানিয়ে যাব
--------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
'লাভ আজ কল' দেখে একই প্রশ্ন আমার মাথায়ও ঘুরছিলো। ছেলেবেলায় আনন্দমেলা পড়তাম প্রচুর। সেখানে ওয়াসিম আক্রম দেখে এমনই একটা ধাঁধা লেগে যেতো। অপ্রাসঙ্গিক হতে পারে ভেবে করিনি প্রশ্নটা।
সুধীর দা'র জবাবটা পড়ে কৌতূহলী হয়ে উঠলাম আরও। পাঠুদা বানান-জটের ব্যাখ্যা দেওয়ার অপেক্ষায় রইলাম আমিও।
মূলত পাঠকই ব্যাখ্যা করবেন।
আমার অবজারভেশনঃ
পশ্চিম বাংলার মানুষ বাংলার চেয়ে এখন হিন্দীতেই বেশী আসক্ত। চাকুরী, ব্যবসা, শিক্ষা সব খানেই রাষ্ট্রভাষার গুরুত্বের কারণে তা স্বাভাবিক। আমরা উর্দু থেকে রক্ষা পেয়েছি। তাঁদের উপায় নেই।
হিন্দীতে আমাদের মত 'অ' ধ্বনি নেই। আ-কার না থাকলে হয় হ্রস্ব আ, থাকলে হয় দীর্ঘ আ। মূলত পাঠক এবং অনেকে বাংলা 'কাল' কে 'কল' লেখেন , কারন হিন্দীতে সেখানে আ-কার নেই, যদিও উচ্চারণ করার সময়ে সেখানে একটা ছোট্ট আ চলে আসবে।
সাইফ আলী খান নামটা ঠিক পুরো আরবী নয়,মনে হয়, কারণ "খান" পদবী
কোন আরবকে ধারণ করতে দেখি নি। এটা উর্দু বলাই বেশী সঙ্গত, বোধ হয় এই নবাব পরিবারের মূল মাতৃভাষা হিন্দী নয়, উর্দুই।
তবে মুসলিম নামের আ-কার গুলিকে অ-কার হিসাবে লেখার একটা প্রবণতা দেখা যায় কোথাও কোথাও। এমনকি যেখানে উর্দু বা আরবীতে সুস্পষ্ট আ-কারের প্রতিনিধিটা বর্তমান। পুরোনো কাগজ ঘেটে দেখেছি, 'সুহরাওয়ার্দী'কে অ-মুসলিম পত্রিকাগুলিতে 'সুরাবর্দী' লেখা হতো। এখনো হয়তো হয়। একবার চালু হয়ে গেলে সংশোধন কঠিন। অন্তত সেই পরিমন্ডলে।
হিন্দি নিয়ে আপনি যা বললেন ভুল নয়। যদিও চাকুরি ক্ষেত্রে ইংরিজিই প্রধান, বা রাজ্যের ভাষা। পশ্চিমবঙ্গে চাকুরি ক্ষেত্রে হিন্দির বিশেষ প্রয়োজন হয় না।
আরেকটা কথা: "আমরা উর্দু থেকে রক্ষা পেযে়ছি। তাঁদের উপায় নেই।" এই ব্যাপারে বাংলাদেশিদের মানসিকতাটা ও তার পিছনের বেদনা ও ক্রোধের ইতিহাস অজানা নয়। তবে ভারতীয়দের উর্দুর প্রতি এ জাতীয় রক্ষা পাওয়ার ইচ্ছার প্রশ্ন আসে না যেহেতু এটা ভারতীয় ভাষা তাই। বরং ভারতে তেড়েফুঁড়ে যারা উর্দু বিরোধিতা করে তারা আসলে গোঁড়া হিন্দুত্ববাদী। শিক্ষিত সাধারণ মানুষ লক্ষ্ণৌয়ের এই নবাবী ভাষাকে সমীহের চোখেই দেখে।
হিচ আমারো অত্যন্ত প্রিয় মুভি। এর স্ক্রিপ্ট আর মেকিং আসলেই অসাধারন।
লিখুন না হিচ নিয়ে, কী কী আপনার ভালো লেগেছে এর গঠনসৌকর্যে তার বিশদ আলোচনা ক'রে। পড়তে ইচ্ছে হয়।
ঘুরে বেড়ানো বাবদ সচলে ঢোকা হয় নি এই ক'দিন ভালো মতো। হিন্দি আমি কখনো স্কুলে শিখি নি, যতোটুকু জানি তার সবটাই হিন্দি সিনেমা দেখে (এবং বাংলার বাইরে উত্তর ভারতে থেকে) শেখা। ষষ্ঠ পাণ্ডবের প্রশ্নের উত্তর যাঁরা দিয়েছেন তাঁরা আমাকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন।
সুধীরের প্রথম মন্তব্যটিও খুব আগ্রহজনক। আমি যদিও ভালো লাগে কেন কোনো ছবি তার কারণ খোঁজার চেষ্টা করি, তবে যদি কারণ না-ও খুঁজে পাই স্রেফ ভালো লাগলেও আমি খুশি থাকি।
নতুন মন্তব্য করুন