এই সিনেমাটার নাম বহুবার শুনেছি, কিন্তু কখনো দেখার 'সৌভাগ্য' হয় নি। আপাতত এক বন্ধুর সাথে বাজে বাংলা সিনেমার ফেস্টিভ্যাল চালাচ্ছি, প্রায় দৈনিকই একখানা করে ভয়াল রোমহর্ষক সিনেমা দেখছি, বা বলা ভালো চেষ্টা করছি। সবসময় যে সফল হচ্ছি তা বলতে পারি না কিন্তু সৎ চেষ্টা বাবদ প্রাপ্য কৃতিত্বটুকু না নিয়ে পারলাম না। যাক অবশেষে ইউটিউবে পাওয়া গেলো এই অমর কালজয়ী ছবিখানা। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত তাঁর বিশিষ্ট ছবির তালিকায় পারমিতার একদিন ও দহন-এর সাথে এক নিশ্বাসে এর নাম নেন, না দেখে বাতিলের তালিকায় যে ফেলে ফেলুক, আমি ফেলি নি। অতএব ভগবানের নাম নিয়ে বসে পড়লাম দেখতে। পুরো লেখাটা পড়ুন, তারপর আপনাদেরও দেবো লিঙ্ক। কাজেই চিন্তা করবেন না, আপনাদেরও এমন অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হতে হবে না।
সিনেমাটির ছত্রে ছত্রে এমন কবিতার মতো মায়াময় ব্যাপারস্যাপার রয়েছে যে কী ছেড়ে কী বলবো তাই ভাবছি। দু একটা ধ্রুপদী স্তরের সংলাপ উদ্ধৃত করি। শ্বশুরবাড়ি যাঁর কথায় চলে সেই শাশুড়ি (অনামিকা সাহা) এক দৃশ্যে খাসচাকরকে বকছেন, সে লজ্জাটজ্জা পেয়ে বললে স্যরি। তার উত্তরটা শুনুন, শক্ত করে বসে নিন চেয়ারে তার আগে। দশাশই রাগী ভদ্রমহিলা স্যরির উত্তরে গর্জন করে উঠলেন, I'm not a lorry to carry your sorry! একটুও বাড়িয়ে বলছি না, মাইরি বলছি এমনটাই ছিলো! আগে একদিন খুঁজতে খুঁজতে আরেকটা কোনো সিনেমায় এই মহিলাকেই দেখেছিলাম গাঢ় বেগুনি শাড়ি ও গয়না পরে মুখে একেবারে কাবুকি স্টাইলে রঙ করে এসে ছিলেন। কিন্তু এই ছবিতে তাঁর মুখে চুনকামের ঘনত্ব কম ছিলো, মানতেই হবে। ন্যাচারাল মেক আপ, এমনটা কবে দেখেছেন মৃণাল সেনের পর?
নায়িকার চরিত্রটি এমন ডিমউইট (এর বাংলা করলাম না আর) যে ওয়াটসনের নারী সংস্করণ সৃষ্টি করতে হলে একে তুলে বসিয়ে দিলেই হবে, খাটুনি কিছু করতে হবে না। তার ছোটো বোনটি বরং চমৎকার, সত্যি সত্যিই খাসা নাচে, ফিগারটিও ভালো। ঋতুপর্ণাকে দূর করে একে দেখালে ভালো করতো। সে এক ক্যাসানোভা অর্থলোভী প্রেমিকের চক্করে পড়েছে। সে বালকটির বদখৎ থোবড়া দেখে (এবং তার পিছনে পড়া রমণীকূলের ব্যাকুলতা দেখে) মনে হচ্ছিলো বাঙালি ছেলেদের আকাল হয়েছে নির্ঘাৎ, আমার চেনা জগতে এই ছেলে এক পিস মেয়ে তুলতে পারলেই বর্তে যেতো।
রঞ্জিত মল্লিক নায়িকার বাবা, যিনি সাধারণত উচিত জবাব মুখের উপর দিয়ে থাকেন সবার কথায়, অন্যান্য সিনেমায়। এখানে বৌয়ের কথায় ওঠবস করতে হবে বলে ভদ্রলোক অতিথি শিল্পী হয়ে গেলেন, একটা ছবির জন্য এদ্দিনের সুনাম তো জলাঞ্জলী দেওয়া যায় না! অতএব মাঝপথে তিনি চলে গেলেন নারায়ণপুর (সেই ঝিঙ্গালালাহু'র দেশে), টাকাপয়সার বিলিব্যবস্থা করতে। না দেখালে জানতেন ভারতের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার রাজধানী নারায়ণপুর?
যাক লিখতে থাকলে শেষ হবে না, তার চেয়ে একটা ক্লাসিক সংলাপ দিয়ে শেষ করি। মা বকাবকি করছেন মেয়েকে, বাবা (সেই মল্লিকবাবু) স্ত্রীকে থামাচ্ছেন কন্যা বয়ঃপ্রাপ্ত হয়ে গেছে এটা বলে। সংলাপটা, আবারও বলি, বিকৃত করছি না, অনেকটা এই রকম: "তোমার মেয়ের বড়ো হয়ে গেছে"। উচ্চারণের দোষ মল্লিকবাবুর আছেই, তবে এর মধ্যে নিন্দুকেরা আল্টেরিয়র মোটিভ দেখতে পেলে তাঁদের বলি, মহান শিল্পীদের কর্ম এই রকম সাট্লই হয়। বিশ্বাস না হয় দেখুন শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ, এইখানে।
মন্তব্য
হা হা, " ঝিঙ্গালালাহু" জিন্দাবাদ। ... "ঝিঙ্গালালাহু " জিন্দাবাদ।
ভালো বাংলা ছবি পেলে এই রকম রিভিউ দিতে দেরী করবেন না পাঠুদা। আরো হাসার আশায় রইলাম।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
ধন্যবাদ সুহান ও ছায়ামূর্তি। এমন সিনেমা ইতিহাসে ক'টা হয়েছে আর? কতো কী যে মণিমুক্তা ছিলো, সব লিখতে গেলে কয়েক পর্ব লেগে যেতো।
আপনার অবগতির জন্য :
আপনি যেটা দেখেছেন এটা হচ্ছে আসল ছবির রিমেক। আসল ছবিটা এই দেশে তৈরী হয়েছিল, ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারনে পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গে রিমেক হয়।
পরিচালকের নাম দেবাশীষ, ইনি ঢাকার সর্বকনিষ্ট পরিচালক হিসেবে ২৪ বছর বয়েসে এই ছবি উৎপাদন করেন।
ছবিটা দেখার সৌভাগ্য এখনও অর্জন করিনি।
শুনেছিলাম বটে ঋতুপর্ণ, অপর্ণা সেন প্রমুখের ছবি বাদ দিলে বাকি অনেক পশ্চিমবঙ্গীয় সিনেমাই নাকি হয় তেলেগু অথবা বাংলাদেশি ছবির নকল। একে রিমেক বলা উচিত নয়, নির্মাতারা কোথাও সে কথা স্বীকার করেন না। বরং চুরি বলাই ভালো।
আপনার মন্তব্যে "ছবি উৎপাদন করা" শুনে প্রভূত মজা পেলাম। এখনো দেখেন নি এমন মাস্টারপিস, মাঝে মাঝে মনে হয় না জীবনটা বৃথা?
এই জিনিষ না দেখলেও একসময় আমি প্রত্যেক সপ্তাহে পত্রিকায় একটা করে বাংলা সিনেমার রিভিউ করতাম। একবছরে প্রায় ৪০টা বাংলা সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা আমার আছে।
সেই ভয়ংকর কাহিনী যদি লেখি, তাহলে সচলায়তন থেকে আমাকে বহিষ্কার করার সম্ভাবনা আছে।
লিখে ফেলেন, চটপট। কেউ বহিষ্কার করবে না, গ্যারেন্টি!
--দারুন জিনিষ শেখালে দাদা। আমিও এখন থেকে এই ডায়লগ ব্যবহার করব। শুধু একবার সরি বলেই দেখ!
লোকজন ভির্মি খেয়ে যেতে পারে ঐ ডায়লগ শুনলে, সাবধান!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ছোঁক ছোঁক গান্টা সেরম
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
সে কী, এই গানটা তো মিস করে গেছি!
ঢোঁক গেল্লুম!
গিল্লেন? একেবারে গিলেই ফেল্লেন?
রাজর্ষিদা, আপনি আইএমডিবি স্টাইলে একটা সংখ্যামূলক রেটিং দিতে পারেন। যেমন ৫ এ ৪ বা ১০ এ ৮ টাইপের।
এই কথাটা আপনার মনে এলো এই সিনেমাটার রিভিউ পড়ে? এটাকে তো মাইনাসে পয়েন্ট দিতে হবে, কিম্বা তারার বদলে কৃষ্ণগহ্বর।
কিম্বা তারার বদলে কৃষ্ণগহ্বর
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
এমন সিনেমা আরো কিছু দেখলে, আপনাকে lorry-তে করে হাসপাতালে carry করতে হবে।
না রে ভাই, আমার সহ্যশক্তি এ ব্যাপারে নেহাত কম না, বেশ কয়েকখানা দেখা হয়ে গেছে। তাও তো বঁেচে আছি দিব্যি।
:)। ছবিটা না দেখেই বলছি, লেখাটার এক দশমাংশ মজাও যদি ছবিটাতে থাকতো, তাহলে ওটাকে ছবি বলতাম আপাততঃ ঝিঙালালা ই বলি ।
এক দশমাংশ কী বলেন, এর দশ গুণ মজা আছে ওতে, দেখলেই টের পাবেন। হাড়ে হাড়ে।
মারডালা
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
অনেক বছর আগে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় মাহমুদা হক বা মাহমুদা চৌধুরী নামের একজন ঢাকা তথা বাংলাদেশের "মূলধারা"র চলচ্চিত্রের সমালোচনা লিখতেন, অনেকটা এইরকম ভাষায়ই। আপনার লেখা আর আরিফ জেবতিকের মন্তব্য পড়ে সেগুলোর কথা মনে হয়ে গেলো।
আমার মায়াই লাগতো ওই কলাম লেখিকার(?) জন্য। যেমন লাগলো আরিফ জেবতিকের জন্য।
আপনি জনস্বার্থে এতবড় আত্মত্যাগ করছেন? নাকি কোন বাজিতে হেরেছেন?
বাংলা সিনেমা যে কতো মণিমুক্তার ভাণ্ডার সে খবর রাখি না বলেই এই সব ছবিকে অবহেলা করি। মাইকেল অবধি জানতেন, তাই লিখেছিলেন, হে বঙ্গ ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন ইত্যাদি। এমন নির্মল হাসির ফোয়ারা, হলেই বা আনইনটেন্ডেড, ছেড়ে দিই কেমনে?
আরো যা সব দেখলাম তা নিয়ে আরো লেখা যায়। আপনারা যারা ভালো সিনেমা দেখেন নি তাদের জন্য এটুকু করবো না?
দেবাশীষ বিশ্বাসের করা 'শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ' ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, ২০০১ সালে।
আমি দেখেছিলাম, আরো পরে।
লিঙ্ক থাকলে শেয়ার করুন না, আমরাও দেখি।
গুগলিং করে দেখলাম, বাংলাটরেন্টে আছে। সময় এবং আগ্রহ থাকলে - নামাতে পারেন ঃ)
আহা। এইটার খানিকটা দেখেই আমি সাধের প্রাণ বাঁচাতে কেটে পড়ি।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনার এতো কেন প্রাণের মায়া?
"সিনেমা দেখিতে গিয়া তিনি প্রাণ দেন" এটা কি গৌরবের হবে বলুন? দেশের জন্য প্রাণ দেন, অন্যকে বাঁচাইতে গিয়া প্রাণ দেন, সমাজসংস্কারের কাজ করিতে গিয়া শত্রুদের হাতে প্রাণ দেন-এইসব হলেও নাহয় হতো।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এবার জনতার প্রাণের দাবি... নতুন ছবি চাই!
ঝাঁটার বাড়ি! জিন্দাবাদ!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
নজরুলসাহেব আছেন কী করতে? আজেবাজে মাল অনেক বানিয়েছেন তিনি, এইবার শ্বশুরবাড়ির মতো ধ্রুপদী কিছু বানাতে বলেন।
মজা পেলাম। ছবি দেখে এত মজা পাবো নাকি সন্দেহ।
শেষের প্যারা নিয়ে আর কিছু না বলি
"Life happens while we are busy planning it"
পাবেন পাবেন, দেখেন তো আগে, তাইলে বুঝবেন!
কয়দিন ধরে ভাবছিলাম একটা সিনেমা রিভিউ করবো। কিন্তু আপনার এই লেখা পড়ে ব্যাপক মজা পাইছি। আমার প্রজেক্ট স্থগিত।
দারুণ মজা কইরা লেখছেন।
আমাদের দেবাশীষের শ্বশুড়বাড়ী সম্ভবত এটা থেকেই চুরি করা। যদিও ছবিটা দেখি নাই এখনো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আরে দেশে ভালো ছবির আকাল নাকি, আপনিও লেখেন না একপিস!
দেবাশীষের ছবিটা পুরো নকল একটা হিন্দি ছবির। গোবিন্দ করেছিলো। নামটা এই মুহুর্তে মনে করতে পারছি না
কন কী! শ্বশুরবাড়ি তাহলে তো নকলের নকল!
বড় দুষ্ট কথা লিখলেন পাঠুদা।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
আমি কি আর লিখলাম রে ভাই, আমি তো নিমিত্তমাত্র!
সিনেমা দেখা হয়না একদমই। আপনার রিভিউ পড়ে মনে হলো কাজটা তাহলে ঠিকই করছি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
আহা এমন সিনেমা দেখতে পেলেন না, দুঃখ হচ্ছে না?
ফটু দেইখা যা বুঝতাছি লরিও এই মহিলার সামনে কিছু না... লরিও ভয় খাইবো তার সাইজ দেখলে।
দৃশা
এইটা সত্যি কথা। একে ঐ চেহারা, তায় রাবণের মাসীর মতো মেক-আপ, সব মিলিয়ে হরর ফিল্মের মেটিরিয়াল।
এবারে এন কে সলিল সিরিজ শুরু করে দিন৷ "মারবো এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে' দিয়ে শুরু৷
----------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আপনি এই মহাত্মার নাম জানেন? যাক নিশ্চিন্ত হলাম। আমার খুব দুঃখ ছিলো, এমন প্রতিভার কদর কেউ করে না ভেবে।
হাহামগে (হাসতে হাসতে মরে গেলাম) ...
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অসাধারণ একটা লেখা। এই মানুষটার পুরোনো কত লেখা যে ঘেঁটে ঘেঁটে পড়লাম। মানুষটা কোথায় যে গায়েব হয়ে গেল
ডাকঘর | ছবিঘর
নতুন মন্তব্য করুন