দিনগুলি মোর ২: অরেঞ্জ কাউন্টি থেকে

মূলত পাঠক এর ছবি
লিখেছেন মূলত পাঠক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৪/০৯/২০০৯ - ২:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডিসক্লেইমার/কৈফিয়ত নারায়ণ সান্যাল স্টাইলে:
১। এই লেখায় বিনয়ের বাড়াবাড়ি না দেখতে পেলে ক্ষুব্ধ হবেন যারা তাঁদের না পড়াই ভালো। উদ্দেশ্য দেখনদারি না হলেও অনেক সময় সুরটা সেই রকম হয়ে যায়। আত্মকেন্দ্রিকতার সংজ্ঞা ভিন্ন, তবু গুলিয়ে গেলে নিজ দায়িত্বে পড়ুন।
২। একটু বাংলিশও থাকতে পারে, সেই সতর্কবাণীও বলা রইল।

স্কটের সমুদ্রখাদ্য নামক রেস্তোরাঁয় সুখাদ্য সাঁটিয়ে এসে লিখছি, মুডটা খুবই ভালো। সাথে নিউজিল্যান্ডের সভিনঁ ব্লাঁ, মুডের আর দোষ কী! তবে শালার দাম বড়ো বেশি, গা কচকচ করে। মধ্যবিত্ত বাঙালি তো, স্বভাব যাবে কোথায়। পরিবেশনকারী এক মধ্যবয়স্ক সাদা ভদ্রলোক, বড়ো যত্ন করে খাওয়ালেন আমাদের তিনজনকে। একটু এটা নিন একটু ওটা নিন, শেষে একগাল হেসে বলতে ইচ্ছে হচ্ছিলো, শান্তিতে একটু খেতেও দেবেন না?

শাভিন ও সমীর, আর দু জন। চেন্নাইয়ের হলেও শাভিন যাকে বলে বিশুদ্ধ আমিষাশী, মাংস ছাড়া খাওয়া কল্পনা করতে পারে না। সমীর এ দেশি ভারতীয়, কিন্তু সে আবার উল্টোটা, গরুটরু বিশেষ ভালোবাসে না। কাজেই স্টেকহাউস রাস্তায় পড়লেও শাভিনকে মোটামুটি টেনে আনলাম, ওদিকে গেলে সমীর আধপেটা খেয়ে থাকতো।

অরেঞ্জ কাউন্টির নাম সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে বোধ হয় রিয়েল হাউসওয়াইভস অফ অরেঞ্জ কাউন্টি অনুষ্ঠান জনপ্রিয় হওয়ার সময়। রিয়ালিটি শো আমার ঘোর অপছন্দ, এটাও কোনোকালে দেখি নি। কিন্তু যতটুকু জানি, এটা এই অঞ্চলের বাজে রকমের ধনী বখা গৃহবধূদের দৈনন্দিন জীবন নিয়ে (ভুলও হতে পারে, দায়িত্ব নিচ্ছি না)। আজকাল অবশ্য এই অনুষ্ঠান আটলান্টা নিয়েও হচ্ছে, তাই ধনী হওয়াটা শর্ত কি না নিশ্চিত নই। যাক, এ নিয়ে সন্দেহ নেই যে এখানে ধনী লোকের কোনো অভাব নেই। ভয়ানক দামী গাড়িই বেশির ভাগ, তার উপর এই এলাকাটাও ঝকঝকে যাকে বলে। ম্যারিয়টের লবিতে সুসজ্জিত পুরুষমহিলার সংখ্যা এতো বেশি যে আমি ছঁেড়া জিনস আর রঙ চটা গেঞ্জি পরে একটু লজ্জাতেই আছি। তা বলে তো আর পোষাক বদলানো যায় না, ওরাই বরং অভ্যেস বদলাক। চারিদিকে সুবেশা সুন্দরী বালিকারা ঘুরে বেড়াচ্ছে (ক্যামেরা আনি নি এই বেলা জানিয়ে রাখি), পুরুষেরাও কী জানি কেন সব ব্যাটা স্যুটপ্যান্ট চড়িয়ে রেখেছে। সব মিলিয়ে কেমন জানি অদ্ভুতুড়ে লাগে। অভ্যাস নেই তো!

পূর্বোপকূল থেকে আসতে সময় লাগে ভালোই, তাই রোববার রাতেই রক্তচক্ষু-উড়ান দিতে হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেস বিমানবন্দরে নেমে ভাবলাম সব কিছু বুঝি হলিউডি হবে, কোথায় কী! ক্যাবচালক বলে তার কাছে জিপিএস নেই, ম্যাপ দেখবে বলে গাড়ি দাঁড় করালো। রাস্তা অনেক দূরের, এক ঘন্টা না হলেও কাছাকাছি। তার আত্মবিশ্বাস দেখে চিন্তায় ছিলাম, তবে যা হোক পৌছে দিলো ঠিকঠাক। একে ডেলটার বদৌলত অনেক দেরিতে পৌছেছি, তায় এতো লম্বা ক্যাবরাইড, বেশ বিরক্ত মুড। তার উপর রিসেপশনে যখন বললো 'ওয়েলকাম হোম', মনে হচ্ছিলো বলি, তাইলে হালায় টাকা ন্যাও ক্যান? তবে রুমে ঢুকে মেজাজ শরীফ হলো ব্যালকনিতে গিয়ে, চমৎকার দৃশ্য, সামনেই পুল, তার পিছনে ফোয়ারা সমেত জলাশয় ঘিরে ঘাসজমি, তার পিছনে ভেগাসের বেলাজিও'র মতো দেখতে একটা আলোকিত সৌধ। তারও পেছনে আমার কম্পানির আপিসবাড়ি, তার চূড়োয় আলোকঅক্ষরে নাম লেখা। মিথ্যা বলি কেন, ভালোই লাগে দেখলে। তার উপর ঘরদোরও বেশ উজ্জ্বল, বসার ঘরে কাজের এলাকায় সামনেই কাঁচের ঘেরাটোপের পিছনেই সেই দৃশ্য, শোবার ঘরও আলোঝলমল, বেশির ভাগ হোটেলের মতো গাঢ় রঙের নয়, আর দেয়ালে বাজে জলরঙের ছবির জায়গায় অ্যান্ডি ওয়ারহলের কায়দায় পামগাছ কিম্বা ঘোরানো সঁিড়ির ছবির নানারঙা কোলাজ।

যাক হোটেলের গল্প বড়ো বেশি হয়ে যাচ্ছে, গোর ভিডালের প্যালিম্পসেস্টে ভদ্রলোক লিখেছেন দেখলাম পরিবেশ লেখার উপর খুব প্রভাব ফেলে। তা এই রকম প্রত্যক্ষ প্রভাবের কথা বোধ হয় ভাবেন নি তিনি। কাজেই প্রসঙ্গান্তর হোক। ডিনার টেবিলের আড্ডার কথায় আসি। সমীর এদেশে জন্মেছে ও বড়ো হয়েছে, সে বলছিলো স্কুল পার হয়ে আন্ডারগ্র্যাডে গিয়ে সে প্রথম সচেতন ভাবে নিজের শেকড় নিয়ে ভাবা শুরু করে। তার আগে তাকে স্যাম বলে ডাকা হতো এবং তার কোনো আপত্তিও ছিলো না, নিজেকে মূলস্রোতে মিশিয়ে দেবার আগ্রহেই। ওর বাবা-মা ভারতীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেন নি বলেই হয়তো ওর মধ্যে এই শেকড় খোঁজার প্রবণতাটা দেখা গেলো, ওর যে সব বন্ধুদের বাড়ি থেকে এ নিয়ে চাপ দেওয়া হতো তারা খোলাখুলি বিদ্রোহ করেছে। শাভিনও দেখলাম ভারতে বড়ো হয়েও এই জাতীয় অনুভূতি শেয়ার করে। আমার দৃষ্টিভঙ্গী ঠিক বিপরীত, সেটা যে ঠিক বোঝাতে পারলাম তা নয়। নিজের সংস্কৃতিকে নিয়ে গর্ববোধ ভালো জিনিস, কিন্তু এ থেকেই যে শুরু হয় আরেকটা সমস্যা যেখানে নিজের দেশ/ভাষা/সংস্কৃতি/পরিবার/অফিস, সব কিছুকেই সেরা ভাবা শুরু করি আমরা, তাও তো সত্যি। সবাই করেন না, কিন্তু কেউ কেউ তো করেই থাকে। তার চেয়ে সবার ভালোটা নিয়ে আলোচনা করাটা বেশি স্বাস্থ্যকর বলেই আমার মনে হয়। মানুষকে দেশকালে বাঁধতেই হবে এটা কত দূর জরুরী তা নিয়ে আমি নিশ্চিত নই। তবে এ নিয়ে লম্বা বিতর্কে যেতে ইচ্ছে হয় না। তার চেয়ে টর্চড স্রিম্প খাই বরং (ঝলসানো চিংড়ি? রোস্টেড নয়, কাজেই পোড়া বললে হতো ভালো, কিন্তু পোড়াও তো নয়)।

পোড়ার কথায় মনে পড়লো (আবার খাবার কথা, কী করি খুব পেটুক যে!), কাল ভাবলাম পিৎজা দিয়ে সারি, কাছে একটা রেস্তোরাঁয় গেলাম। গিয়ে বুঝলাম সে এক বড়োই কেতার জায়গা, সেখানে পিৎজাও স্বাস্থ্যকর, মোটামুটি তেলটেল ছাড়াই বানানো। একটা গোলপানা তন্দুরী রুটির পিঠে মাংসটাংস দিয়ে কাজ সেরেছে (ব্রশুটো), খেয়ে মোটেও সুবিধা হলো না। সেই দুঃখে আজ ইন অ্যান্ড আউটের গোবার্গারে লাঞ্চ সারলাম, এখানে বড়ো হয়েছে এমন এক স্কুলের বন্ধুর রেকমেন্ডেশন মেনে। খুব কিছু আহামরি নয়, তবে খুব সস্তা, কাজেই গুর্মে আশা করি নি।

যাক মাঝরাত ছাড়িয়ে দেড় ঘন্টা কেটে গেছে, এবার শুয়ে পড়া যাক। সকালে আবার ট্রেনিং, কাছে বলে রক্ষা। মাঝে সিরাত খানিক গঁেজিয়ে গেলো অনলাইনে দেখে, ভালোই আড্ডা হলো। সবাই ভালো থাকুন, আজ চলি।


মন্তব্য

তীরন্দাজ এর ছবি

বাহ্ ।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

মূলত পাঠক এর ছবি

ধন্যবাদ তীরুদা।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

পাঠুদা- অনুগ্রহ করে এরপর ক্যামেরা নিয়া বাইর হইয়েন...। একটা ছবি ব্লগ (বিশেষ করে খাবারের ছবি সহ) চাই, খাবার আর হোটেলের বর্ণনায় লোভ জাগলো।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

মূলত পাঠক এর ছবি

সেই ২০০০ সাল থেকে একখানা গোব্দা ক্যামেরা ঘাড়ে নিয়ে ঘুরলাম, এখন বিরক্ত লাগে, তার উপর উড়াল দিলে মালের পরিমাণও যায় বেড়ে (ড্রাইভ করলে না হয় গাড়িতে ফেলে রাখলাম)। এই সব মিলিয়ে আনা হয় না আর কি। তবে সাথে কেউ বন্ধুবান্ধব থাকলে তাকে পটাই যদি সে তার ক্যামেরা নিয়ে আসে সেজন্য। হাসি

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

আপনি মূলত পাঠক আর আমি আস্তে আস্তে আপনার লেখার একনিষ্ঠ পাঠক হয়ে যাচ্ছি। অপেক্ষায় রইলাম।

মূলত পাঠক এর ছবি

বড়ো আস্তে আস্তে হইতেছেন, আট্টু তাড়াতাড়ি হন না! হাসি

কীসের অপেক্ষায় রইলেন? হাসি

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

ভালোবাসার ইয়ে মানে ভালোলেখার।

মূলত পাঠক এর ছবি

হা হা, নিশ্চয়ই লেখা চলবে, ভালো লেখার চেষ্টাও থাকবে, কেমন লাগবে সেইটা জানি না।

আপনার প্রশংসা আর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

ভালো লাগল পড়ে।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

মূলত পাঠক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমরাও খাই টাই বুঝলেন? কালকা হেলভেসিয়ায় খাইছি... চিকেন ব্রোস্ট... লোল...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মূলত পাঠক এর ছবি

শোনেন, ভুলেও ভাববেন না যে অনেক খাই বলে লোভ আমার কমে গেছে। ঐ হেলভেসিয়া শুনেও লোভ দিলাম, পেট খারাপ হলে নিজ দায়িত্বে। হাসি

সিরাত এর ছবি

হেহ হেহ হেহ!!!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

অরেঞ্জ কাউন্টি, ক্যালিফোর্নিয়া? একেকটা এমিউজমেন্ট পার্ক ঘুরতেই তো লাগবে দুদিন করে। পুরো এক সপ্তাহ ট্যুর ছাড়া কাজ হবে না। হাসি

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

মূলত পাঠক এর ছবি

সে আর কী করা বলেন। সময়ের বড়োই অভাব। পড়াশুনা শেষে চাকরীর আগে অঢেল সময় ছিলো, কিন্তু পকেট ফাঁকা থাকায় বেশি ঘুরতে পারি নি। এখন দুরবস্থা একটু কেটেছে (এরা দু সপ্তাহ পরেই মাইনে দেয়, কাজেই), কিন্তু এখন সময় শেষ। মন খারাপ

অ্যামিউজমেন্ট পার্কে আবার রাইড-টাইড থাকে, আমি ভীতু মানুষ, পারতপক্ষে চড়ি না। তবে সুন্দর সমুদ্রতট আছে, ঝকঝকে শহরটহরও, সেগুলো জমানো থাকলো ভবিষ্যতের আশায়। আজ শুধু নিউপোর্ট বীচটা ঘুরে এলাম (আদতে কোরোনা ডেল মার বীচ), আর ইয়ার্ড হাউসে বীয়ার সেবন। কাল পাট চুকিয়ে বাড়ির পথে, আরেকটা রক্তচক্ষু উড়ান।

মৃত্তিকা এর ছবি

বেশ লাগছে...আরও চলবে নাকি? আর বিনয়ের প্রসংগ কেনো আনলেন বুঝলামনা। কোন কিছুর অভাব তো বোধ করলাম না।
দু একটি ছবি সংযোজন করার অনুরোধ রইলো পরের পর্বে।

মূলত পাঠক এর ছবি

বিনয়ের প্রসঙ্গ আগের লেখায় মন্তব্যের কারণে। এ জাতীয় লেখা দেখলে অনেকের মনে হতে পারে যে ফুটানি দেখাতে লেখা, 'দেখো আমি ভালোমন্দ খাচ্ছি আরামে আছি', এই জাতীয় আর কী। এবং আমরা বাঙালিরা বড়ো হই বিনয় নম্রতার শিক্ষা নিয়ে, তাই এ জাতীয় প্রসঙ্গে আমরা কথা বলি না যাতে যারা কম আরামে আছেন তাদের খারাপ না লাগে। এই প্রচেষ্টাটা সাধারণভাবে বললে ভালো, সমালোচনা করার উদ্দেশ্যে বললাম না। কিন্তু এর ব্যতিক্রম হলে (যেমন হয়তো এখানে হয়ে থাকবে) সেটা হয়তো ফুটানি দেখানোর উদ্দেশ্যে না-ও হয়ে থাকতে পারে। সে কথাটাই খোলসা করে বলেছিলাম।

আরো চলতে পারে, ঘোরাঘুরি হলে লেখালেখিই বা বাদ যাবে কেন। হাসি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ছবি দেওয়ার চেষ্টা করবো, তবে আমার গাবদা এসএলআর নিয়ে ঘুরতে আর ভাল্লাগে না, আর আমি বেসিক মোবাইল ফোন রাখি বলে তার ক্যামেরাটাও ঘোরতর বেসিক। তা-ও সুযোগ হলে ছবি দেবো অবশ্যই।

দময়ন্তী এর ছবি

এ: কত্ত সব বেড়িয়ে বেড়াচ্ছেন৷ ইচ্ছে করছে খানিকটা জগঝম্প ঢাকের শব্দ পাঠিয়ে দিই আপনার কাছে৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

মূলত পাঠক এর ছবি

বেড়াচ্ছি আর কই, অবস্থানটা বদলায়, দেখা তো হয় না কিছুই প্রায়। যাক, বাজে প্লানিংএর কারণে লস অ্যাঞ্জেলেসের পুজো দেখা হলো না, তার উপর আপনি চাট্টি নুন না ছড়ালে চলবে কেন? হাসি

যুধিষ্ঠির এর ছবি

ভালো লেগেছে লেখাটা। মৃত্তিকার সাথে সহমত, বিনয়-টিনয়ের ডিসক্লেইমার না দিলেও চলতো - তবে আপনার বিনয়িত অবস্থানটা বুঝতে পেরেছি।


নিজের সংস্কৃতিকে নিয়ে গর্ববোধ ভালো জিনিস, কিন্তু এ থেকেই যে শুরু হয় আরেকটা সমস্যা যেখানে নিজের দেশ/ভাষা/সংস্কৃতি/পরিবার/অফিস, সব কিছুকেই সেরা ভাবা শুরু করি আমরা, তাও তো সত্যি। সবাই করেন না, কিন্তু কেউ কেউ তো করেই থাকে। তার চেয়ে সবার ভালোটা নিয়ে আলোচনা করাটা বেশি স্বাস্থ্যকর বলেই আমার মনে হয়। মানুষকে দেশকালে বাঁধতেই হবে এটা কত দূর জরুরী তা নিয়ে আমি নিশ্চিত নই।

- এই কথাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা নিয়েই একটা বিশাল আলোচনা হতে পারে কোনদিন।

ও, আরেকটা কথা, রেড-আই ফ্লাইটের বাংলা প্রতিশব্দটা ভালো হয়েছে।

মূলত পাঠক এর ছবি

ধুরো মশয়, বিনয়টিনয় আমার আসে না। খুলেই বলি, উহা ছিলো চিমটি (আপনেরে না), ভাবলাম বুঝবেন, কিন্তু আমার ইমেজটা এইখানে বোধ হয় নেহাতই ভালোমানুষের, তাই এই গণ্ডগোল। হাসি

বিষয়টা খুবই আলোচনাযোগ্য, প্রাসঙ্গিকও বটে। হবে এক দিন।

থাংকু হাসি

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

চিমটিটা ভাললাগসে চোখ টিপি

এ লেখাটা পড়ি বিকালবেলায়, হেলভেশিয়াতে। জনৈক নজমুল আলবাবের জন্য অপেক্ষায় থাকতে থাকতে ভাবলাম মোবাইল গুতাই। চারপাশের আবহের সাথে আপনার দরুন লেখাটা পড়ে খুব ভালো লেগেছিলো।

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনের না মিয়া বিয়া কয়দিন পর? রোজ এইখানে ওইখানে খাইয়া বেড়ান, বউ আইয়া গঞ্জনা দিবো ভুঁড়ি দেখলে। চিমটিও দিতে পারে, তখন দেখুম চিমটি ক্যামন লাগে। হাসি

হেলভেশিয়ার কেসটা কী? সবাই দেখি ঐখানে যায়। জনৈক নজরুল ইসলামও ঐখানের খানাখাদ্য খান দেখলাম।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লেখাটা পড়েছিলাম আগেই। এইবেলা জানিয়ে যাই যে ভালো লেগেছিল হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

ধন্যবাদ প্রহরীভায়া।

ভুতুম এর ছবি

ভালু ভালু।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

মূলত পাঠক এর ছবি

হাসি

সিরাত এর ছবি

এই লেখায় আগে কেউ পাঁচায় নাই কেমনে? অসাধারণ!

এরকম আরো আরো আরো লেখেন রাজর্ষিদা!!

মূলত পাঠক এর ছবি

পাঁচায় নাই বুঝি? দেখছো তো, লক্ষ্যও করি নি! কী রকম সেল্ফলেস 'লেখক' বলো!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।