রবীন্দ্রনাথ তাঁর বিলাত প্রবাসকালে ইংরেজ রমণীদের সৌন্দর্যে অভিভূত হয়ে 'য়ুরোপযাত্রীর ডায়ারী'তে তার অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছেন। তাতে চোখের প্রসঙ্গে 'দীর্ঘপল্লববিশিষ্ট নির্ম্মল নীল নেত্র' লিখলেও অধরবর্ণনায় স্রেফ 'পাতলা টুকটুকে ঠোঁট' বলে সেরে দিয়েছেন। কবিগুরুর যে বিশ্বাস 'ইংরাজ মেয়েদের মতো সুন্দরী পৃথিবীতে নেই', সে কথা যদিও বা মেনে নিই, তাদের ঠোঁটের এমন দায়সারা বর্ণনা কিছুতেই মানা যায় না। সত্যি বলতে কী, আজকের দিনে যখন গাঢ় বর্ণের ওষ্ঠরঞ্জনী ছাড়াও সুন্দরীদের চলে তখন সেই পারিজাতের পাপড়ির আসল রঙ দেখতে পেয়ে আমার পুলক বেড়েছে বই কমে নি। মধুক্ষরা বাক্যের সাথে পাপড়িদুটির আলোড়ন, দাঁতের মৃদু চাপে তার রক্তিম হয়ে ওঠা, হাস্যরোলের সাথে তার বিস্তার, অথবা আবেগঘন মুহূর্তে থরথর কম্পন, এর যে কোনোটি নিয়েই লিখে ফেলা যায় গোটা একটা কাব্য। শীতের সকালে দীর্ঘ কালো কোটে আবৃত শুভ্রতনুর ছবিটিতে রক্তিম ঠোঁটজোড়া ফোকাল পয়েন্ট হয়ে ওঠে। নারীর এই একতরফা রূপবর্ণনায় কেউ অধৈর্য হয়ে উঠলে বলি, সুদর্শন য়ুরোপীয় পুরুষের ঠঁোটও সুন্দর। তবে নারীপুরুষ নির্বিশেষে এদের অধরবৈশিষ্ট্যে যে মিলটা চোখে পড়ে তা হলো ঠোঁটের লঘুভার সৌন্দর্য। পাতলা ঠোঁটই এই সনাতন বিচারে সুন্দর। অথচ ভারতীয় মুখাবয়বের শোভাবিধানে ওটা ততো গুরুত্বপূর্ণ নয়। শ্রীরামকৃষ্ণদেব তো পাতলা ঠোঁটের লোকেদের বেশ সন্দেহের দৃষ্টিতেই দেখেছেন, এদের বিশ্বাস করা নাকি বুদ্ধিমানের কাজ নয়। য়ুরোপীয় সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে পাত্তা না পেয়ে এই সান্ত্বনাবাক্যটি বেশ প্রাণ-শীতল-করা ঠেকে আমার কাছে।
শ্রীরামকৃষ্ণের এই সার্টিফিকেটে অবশ্য সবচাইতে বেশি খুশি হওয়ার কথা গৌরবের। আমার কলেজজীবনের এই সহপাঠীর অধরটি ছিলো বেশ পুরু। চেহারা মন্দ নয়, তবে ঠোঁটজোড়া দেখে টিনটিনের গল্পের সেই হাবসী জাহাজযাত্রীদের কথাই মনে আসে। আমরা বন্ধুরা অবশ্য এর একটা ভালো দিক ভেবেচিন্তে খঁুজে পেয়েছিলাম, গৌরবের বৌ যে অন্তত একটা ব্যাপারে সুখী হবে সে বিষয়ে সংশয় ছিলো না। এ আলোচনাটা গৌরব নিজেও খুব উপভোগ করতো। ঠোঁটের উপর তখন জ্বলজ্বল করতো যে হাসিটা, তা দেখে বোঝা যেতো যে অধরাস্ত্রপ্রয়োগে সুখদানের প্রক্রিয়াটা পরীক্ষা করে হাতেনাতে ভালোই ফল পেয়েছে। এর বান্ধবী সুনীধিকে আমরা কেউই দেখিনি, তাই অধরসুধাপানে কোন অমর্ত্যের আস্বাদ পেয়েছে সে জেনে নেওয়া হয় নি। এভাবেই পড়াশুনোর নামে যাবতীয় বেলেল্লাপানা এবং হোস্টেলজীবনের সঙ্গসুখের দিন সাঙ্গ করে এরপর আমরা নিজের নিজের পথ ধরলাম।
বছর দুয়েক পর আরেক বন্ধুর কাছে গৌরব ও সুনীধির খবর পেলাম। এই বন্ধুটি সুনীধির মতোই মারোয়াড়ি, এবং সে সুনীধির স্কুল জীবনের বন্ধু বলে পরেও এদের মধ্যে ভালোই যোগাযোগ ছিলো। ওর থেকেই জানলাম, সুনীধির বাড়ি থেকে মছলিখোর বাঙালি ছেলেকে জামাই বলে মেনে নিতে পারে নি। অতঃপর সুনীধি একটি স্বজাতীয় ছেলেকে নিজেই দেখেশুনে বিয়ে করেছে। এ বিষয়ে গৌরবের বক্তব্য জানা বা ওকে সহানুভূতি জানানো, কোনোটাই করা গেলো না। খনিজ তেল উত্তোলনের এক সংস্থায় যোগ দিয়ে সে তখন দেশে দেশে জলে স্থলে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সুযোগ মিললো এরও বছরখানেক পরে, গৌরবের সাথে দেখা হলো কলকাতায়। পুরোনো দিনের গল্প ও 'তরলিত চন্দ্রিমা' চাখতে চাখতে একসময় সুনীধি-প্রসঙ্গ উঠলোই। আজকের যুগে পরিবারের এমন বাধ্য মেয়ে যে সুদুর্লভ সে কথা ভেবে গৌরবকে বলছিলাম এমন মেয়েকে একবার চোখের দেখা দেখবার ইচ্ছে রয়ে গেলো। অদেখা রয়ে গেলেন সেই সৌভাগ্যবান মানুষটিও যিনি এমন এক নারীরত্ন লাভ করলেন। আমার কথায় গৌরবের সেই বিখ্যাত ঠোঁটে যে অর্থপূর্ণ তীর্যক হাসি ফুটে উঠেছিলো তার অর্থ তখন বুঝিনি।
বুঝলাম, যখন কিছুদিনের মধ্যে গৌরবের কাছ থেকে ই-মেইল মারফত সুনীধির বিয়ের একটি ছবি পেলাম। বিয়ের সাজে বরবধূর যুগলমূর্তি। গৌরব সে ছবি কোত্থেকে পেয়েছে বলে নি, তবে আন্দাজ করতে পারলাম। ছবিতে সুনীধিকে বেশ সুন্দর লাগছে, বধূবেশে যেমন লাগে সব মেয়েকেই। কিন্তু তার পাশে দাঁড়ানো মারবারপ্রদেশীয় বরবেশে সজ্জিত যুবকটির দিকে যখন নজর গেলো, তখন তার চোখ দুটি নয়, প্রথমেই চোখে পড়লো তার ঠোঁটজোড়া। হাসিমাখা পুরুষ্টু এক জোড়া ঠোঁটে লেখা রয়েছে অমৃত আস্বাদনের প্রতিশ্রুতি। গৌরবকে না পেলেও সুনীধি তার পরিচিত সুধাভাণ্ডের খোঁজ নিয়েই পতির ঘর করতে গিয়েছে।
মন্তব্য
ইয়াল্লা কী অশ্লীল!
আপনার তো দেখি অশ্লীল জিনিস দেখলে থার্টি-টু অল আউট হয়ে যায়
রাজর্ষিদা, বেশি সাহিত্যরস। পড়ে তাড়ায় তাড়ায় পড়ুম নে!
তোমার জ্ঞানগর্ভ লেখা দেখলে (ব্যঙ্গ করি না) আমারো একই অনুভূতি হয়। অবশ্য মাঝে মাঝে ভবিষ্যতের পেটেই থেকে যায়, পড়া হয় না। দেখো তোমারও সেই রোগ না হয় আবার।
হ, ইরানের লেখাটায় দেখতেসি, মাইনষে পড়ে, কমেন্টায় না!
ব্যাপার না। আপনার ঝাড়ি খাইয়া চিন্তামূলক কিছু লেখা দিমু ভাবতাসি। আজাইরা লেখা কমাবোই কমাবো। ফিডব্যাক দিয়েন!
মূলত পাঠকদা, দারুণ লিখেছেন। পড়ে ভালো লাগল। ঠোঁট নিয়ে এমন লেখা খুব কম পাওয়া যায়, আপনার লেখাটা মনে রাখার মত। দাদা মনে হয় লেখার সময় অমনোযোগী ছিলেন, তানাহলে আপনারতো এমনটা হওয়ার কথা না। দাদা নিচের শব্দ গুলো কী ঠিক আছে?
"সভ" হবে না "সব" হবে।
"সৌন্দর্যবর্দ্ধনে" হবে না "সৌন্দর্যবর্ধনে" হবে।
"ফোকাল" হবে না "ফোকাস" হবে।
"নারীপুরিষ" হবে না "নারীপরুষ" হবে।
"সুগে" হবে না "যুগে" হবে।
বানানের ব্যাপারে আমার জ্ঞান এখনো "ক, খ" পর্যায়ে,তাই ভুল বলে থাকলে মার্জনা করবেন।
ধন্যবাদ।
দলছুট।
প্রচুর টাইপো, খুবই দুঃখিত এ বাবদ।
লেখার ভাষার কারণেই 'বর্দ্ধন' বানান ব্যবহার করেছি, দুটোই সঠিক, তবে এইটা পুরোনো বানান।
'ফোকাস' শব্দ থেকে 'ফোকাল', ওটাও ভুল নয়। বাকি ঠিক করে দিলাম সচল হবার ফায়দা তুলে এডিট করে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
সভ= সব
বর্দ্ধনে = বর্ধনে
তংরাজ মেয়ে?
ঠিক করে দিলাম। খুবই লজ্জিত।
আই হাই, রাজর্ষিদা, উপরে এসব লোক কি বানান ভুল ধরতেসে?
একটু পোক করার লোভ সামলাইতে পারলাম না। কানবেন না!
বানান ভুলের স্বপক্ষে যুক্তি খাটে না, তবে কারণ হিসেবে মনে হয় একটা আছে। এই লেখাটা অনেক পুরোনো, কাগজ-কলমে লেখা, সেখান থেকে দেখে দেখে টাইপ করতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা। এবং একবার চেক করে পোস্ট করার সময় পাইনি তখন, ভেবেছিলাম পরে এসে করে দেবো। তখন কি জানতাম এতো ভুল আছে আর পাঠকেরা এতো তৎপর?
স্বপক্ষে শব্দটাও ভুল প্রয়োগ। স্ব মানে নিজে/সেলফ। হওয়া উচিৎ: বানান ভুলের পক্ষে..
একটা কথা আছে: উপায় নাই গোলাম হোসন। (কেউ চিপায় পড়লে বলতে হয়)
কথাটা আপনার ঠিক হতে পারে, তবে একটা অন্য উদাহরণ দিই। দেশের স্বার্থে জনগণকে আত্মদান করতে বলা হয় প্রায়ই। এই স্বার্থও তো স্ব-অর্থ বৈ আর কিছু নয়। কাজেই সে হিসেবে হওয়া উচিত দেশের অর্থে। ব্যাপারটাকে আত্মদান অবধি আর টানলাম না, যদিও সেখানেও একটা নিজের নিজের ব্যাপার এসে যাচ্ছে।
শব্দটা সম্ভবত স্বপক্ষে না, সপক্ষে হবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আরে আমাকে ঘনঘন মনে করতে দেখেছেন নাকি? এতো সতর্কতার প্রয়োজনই নেই, সব্বাইকেই গোলাম হোসেন হতে হয় সময়বিশেষে।
সপক্ষে (পক্ষের সহিত) হবে না এটা নিশ্চিত। স্বপক্ষে'টা হয়তো ভুল, তবে ব্যবহার হতে হতে অভ্যেস হয়ে গেছে লেখক ও পাঠক উভয় সম্প্রদায়েরই। অনেকটা ধরুন 'আকর্ষণীয়' শব্দের মতো। হওয়া উচিত 'আকর্ষক', যা আকৃষ্ট করে। আকর্ষণীয় মানে আকর্ষণ করার যোগ্য, অথচ এটাই সর্বত্র উল্টো অর্থে চলে। তারপর ধরুন, অপেক্ষা। এটা তুলনাবাচক শব্দ, রামা শ্যামা অপেক্ষা বুদ্ধিমতী। কিন্তু আমরা প্রতীক্ষা অর্থে এর প্রয়োগ করি।
হাহা- এই উপমাটা ভালো পাইসি। ইয়ে, আমারো কিন্তু পুরু অধরই বেশি পসন্দ। ... এঞ্জেলিনা জোলিরে উদাহরণ ধরতে পারেন।
আর পাঠুদার টাইপো আজকে একটু বেশি ধরা পড়েছে- ব্যাপার না। ব্যতিক্রম নিশ্চয়ই উদাহরণ হয় না...
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
হুমমমম, মারি তো গণ্ডার? একেবারে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি?
টাইপোর গল্পটা উপরে সিরাতের উত্তরে লিখেছি।
কি মুশকিল, এতদিন শুধু উচ্চতা, গায়ের রং আর জুতার মাপ - এই তিন ছিল।
এখন দেখছি পাবলিক ঠোঁটও মাপে।
আপনি দেখি নেহাতই ভালো মানুষ, তিনখানা মাপের বেশি খোঁজ পান নি। পাবলিক যে আরো কতো কী যে মাপে সে আপনার না শোনাই ভালো।
ওহু, নির্জলা মিছা কথা
একটা ছেলে যখন একটা মেয়ের দিকে তাকায়: প্রথম চোখ পড়ে বুকের দিকে (প্রস্থ ঠিক আছে কিনা?) একটা মেয়ে যখন একটা ছেলের দিকে তাকায়: প্রথম চোখ পড়ে জুতোর দিকে (দৈর্ঘ ঠিক আছে কিনা?)
আমার কথা না, কোথায় এক স্টাডি করে কে যেন বের করেছিলো।
আবার জিগস... !!!
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
আপনার মতো খাইষটা মাইনষের কথা ভাইব্বাই ঐ 'মুখের'টা লাগায়ছিলাম, কিন্তু আপনে হইলেন ডবল-খাইষটা, ঠিক হান্দায়া গেলেন আসল গত্তে।
চ্রম পোস্ট আর চ্রম চ্রম কমেন্ট।
সুহানের সাথে সহমত ...
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
হুমমমম, আপনেরও জোলি চাই তাইলে?
বেচারা ব্রাড পিট! এই হারে চললে আর বেশি দিন বৌকে ধরে রাখতে পারবে না বোধ হয়। তারপর ঐ একপাল আন্তর্জাতিক বাচ্চা ওকেই সামলাতে হবে।
পুরু ঠোঁট আসলেই চমৎকার!
এর কারণ কী হতে পারে, তা ভাবছিলাম। আমার মনে হয় পুরু ঠোঁটে অনুভূতি বা ভাঁজগুলো খুব সহজেই চোখে পড়ে। পাতলা ঠোঁটে, পরিসর কম বলে পরিবর্তনগুলো সূক্ষ্ণ। শ্রীরামকৃষ্ণদেবের চোখে বোধহয় এজন্য সেগুলো ধরা পড়েনি।
লেখার ভাষাটা খুব গুছানো লাগলো। রম্য করতে গিয়ে ভাষা তরল হয়ে ভাঁড়ামির খাদের পাশে চলে যায় অনেক সময়, সেটা একেবারেই ঘটেনি। দারুণ রাজর্ষি'দা।
রামকৃষ্ণের কথাটা পড়ে অবধি আমিও নানা যুক্তি খুঁজেছি, কারণ কী হতে পারে। আপনি যে কথা বললেন সেটা তো বটেই, তবে ভালো লাগা না লাগা অনেক সময়ই সম্প্রদায়ভিত্তিক হয়ে থাকে। তিনি যে সময়ের লোক তখন দেশে যেহেতু ইংরেজের রাজত্ব, এমনটা হতেই পারে যে ইংরেজরা সিরাজকে ঠকিয়ে যেভাবে বাংলায় গেঁড়ে বসেছে (বা আরো নানা দেশীয় রাজ্যে নানা কীর্তি করে দখল করেছে যেভাবে), তার থেকেই এই জেনেরালাইজেশন। ভদ্রলোক মহান দার্শনিক ও ভগবতবেত্তা, কিন্তু পলিটিক্যাল কারেক্টনেসের যুগ সেটা ছিলো না, ও বস্তু অনেকটাই আধুনিক।
লেখা ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।
ইংরেজ ললনাদের নিয়ে রবিঠাকুরের বিচারে আমিও শিরোধার্য-মুকুট যোগ করলাম।
এই যে কবিবর, কোথায় গায়েব থাকেন? আপনাকে টেনে আনতে কি মাঝে মাঝে ইংরেজ ললনা পাঠাতে হবে?
না না। বরঞ্চ কিছু সাউথার্ন রূপসী পাঠিয়ে দিন। ওদিকের টানটা এত দারুণ লাগে ...
গায়েব থাকি না তো! আপনিই আমাকে দ্যাখেন না আসলে! হাহা।
দক্ষিণী রূপসী চাই? আর কী কী চাই বলে ফেলেন, ব্যবস্থা করি। আহ্লাদ কম নয়!
আপনি সুন্দর গল্প লিখেন, অসাধারন আপনার লেখার ধাঁচ। এতো ভাল লেখা দেখলে ভাবি আমার কি লেখা ঠিক হবে!!??? তার উপর আপনার একবার ঝারি খেয়ে আমি চিন্তা করেছি অনেকদিন পর পর, অনেক দেখেশুনে তার পর কিছু পোস্ট করবার চেষ্টা করব। যোগ্য ব্যাক্তির কাছে ঝারি খাইতে আমার আপত্তি নেই।
আমি সুন্দর লেখার পূজারী আর ব্যক্তিটি ও পূজনীয় আমার কাছে।
আপনার লেখার হাত আরো প্রসারিত হোক...
গরীব
সাউথ কোরিয়া
পূজাটুজা শুনলে যে কেউ ঘাবড়ে যাবে ভায়া, সেরেফ লেখা পছন্দ হয়েছে এইটুক বললে হয় না? অতো বললে ভয় পাই যে! আর ঝাড়ি দিই নি ঠিক সেই অর্থে, তবে পাঠক হিসাবে দেওয়া ফিডব্যাকটা একটু স্ট্রং হয়ে গেছিলো বোধ হয়, মনে ধাক্কা লেগে থাকলে দুঃখিত।
লেখা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম খুবই।
আমারও পুরু ঠোঁট সেস্কি লাগে। প্রিয়ান্কা চোপড়া, অ্যান্জেলিনা জোলিদের
ভালা পাই।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
আরে কাঁচা মরিচ দিয়ে গরগরে ঝাল করে বানানো লইট্যা শুঁটকী ভালো পাই বলে কি নবদ্বীপের সরভরা স্বর্গীয় মিষ্টি দই কম ভালোবাসি?
আপনিও ঠোঁটের মাপ নির্বিশেষে সবাইকে বুকে টেনে নেন। সামান্য কারণে ডিসক্রিমিনেট করাটা কোনো কাজের কথা নয়।
তবে সেস্কি?
জোলিরে ভালা পাই। আলমগীর ভাইয়ের মন্তব্য আমিই করতাম, কিন্তু উনি আগে করে ফেলা্য় শুধু সহমত দিলাম।
আহা জোলি যদি জানতো তার এতো ভক্ত ছড়িয়ে আছে সারা বিশ্বে!
কী সভ্য লেখা! আমি বিষম ভালু পাই এইসব! লজ্জা পাই না।
জোলি'র ঠোঁট আলাদা ক'রে দেখতে পারলে একটু তিয়াস তিয়াস পায় বৈকি, তবে পুরোটা মিলে ও বা ওরা আমার কাপ না কখনও। মনিকা বেলুচি - শার্লিজ থেরন -এরও দিওয়ানা আমি। কিন্তু, সামনাসামনি বা অনেকের মতো আরো ওমনাওমনি তেমন সংখ্যক বিদেশী নারী আমি দেখি নাই যদিও, তবু আমি এমন কোনোকিছু মানি না যে গড়ে-মোটে ভারতবর্ষীয়াদের চেয়ে এই দুনিয়ার আর কোনো অংশের নারীরা বেশি সুন্দর হ'তে পারে! অবশ্যই ভারতবর্ষের নারীই সবচেয়ে সুন্দর! হ।
পোস্টের নাম দেখে হঠাত্ মনে হৈছিল- অতন্দ্র প্রহরী'র বোন নাকি!
বিষয়টা বেশ মজার। মানে ইন্টারেস্টিং আর চার্মিং। তবে 'রম্য' লাগে নাই কিন্তু আমার কাছে। রম্য'র মধ্যে কেমন আরো হালকা একটা গন্ধ পাই। আপনার এই লেখাতেও রস আছে, তবে হালকা রম্যরসিকতা নেই, সেটা আশাও করিনি।
লেখা যথারীতি অনেক ভালো লিখেছেন।
দাঁত দেখানোর ইমোটিকন আছে, ঠোঁট দেখানোর ইমোটিকন তো পাইতেছি না! নাইলে, আমার ঠোঁটজোড়া একটু দেখায়া লৈতাম আপ্নেরে, আপ্নে দাদা ওষ্ঠাধরবিশেষজ্ঞ, দেখে একটা পূর্বাভাস যদি দিতেন, যে- আমারটায় কেমন কাজ হবে!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
হা হা, প্রহরীভায়া কই, তার বোনকে একা ফেলে?
প্রশংসার জন্য প্রচুর থাংকু দিলাম, এটাকে কি গম্ভীরম্য বলবো বলছেন? এটা অনেক আগে লেখা, বছর চারেক হবে, তখন একটা সিরিজ মতো লিখছিলাম 'বানিয়ে বানিয়ে স্মৃতিকথা', আরো দু-এক খানা লেখা হয়েছিলো, তবে কোথাও প্রকাশিত হয় নি। বাকিগুলোও দেবো একে একে। তবে মান নিয়ে একটু সংশয় আছে।
আর ফলাফল কি শুধু যন্ত্রের আকারনির্ভর? কলাকৌশল ও পারদর্শিতা বলেও তো ব্যাপার আছে। কাজেই ছবি দেখিয়ে আর কী হবে, বরং যথাস্থানে গিয়ে প্রয়োগ করুন, তারপর ফিডব্যাক চেয়ে নিন। তবে আগে চেক করে নেবেন তিনি ঠোঁটকাটা নাকি, নইলে তো আবার মিলবে না অনেস্ট ঠোঁট্রিপোর্ট।
হুউম। তা যা বলেছেন!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
হুউম। তা যা বলেছেন!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
এক ঠোঁট বিশেষজ্ঞ নাকি ঠোঁটের আকর্ষনীয়তা মাপার সফটওয়্যার বানিয়েছিলেন । সে অনুযায়ী - মালিনা খ্যাত ইটালিয়ান মনিকা বেলুচি সবচে' সুন্দর ঠোঁটের মালকিন। হাস্যকর বটে।
বেচারা গৌরব। শেষপর্যন্ত ঠোঁটের কাছে হার মানতে হলো।
মনিকা বেলুচি সত্যিই অপরূপা, তবে সেইটা বুঝতে গজফিতা দিয়ে ঠোঁট মাপতে লাগে না। এই না হলে বিশেষজ্ঞ!
এক ছোটো মেয়ে "ছেলেদের রামায়ণ" বই দেখে বলেছিলো, "এ ম্মা, এটা কেন এনেছ? এ তো ছেলেদের বই!"
কমেন্টে কোনো মহিলার লেখা না দেখে কেমন যেন মনে হলো "ছেলেদের পোস্ট"! তাই তাড়াতাড়ি একটা কমেন্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করে দিলাম ধীরোদ্ধত, ধীরোদাত্ত, ললিত ও প্রশান্ত নায়ক বিষয়ে না লিখার জন্য।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
বাঃ এমন ব্যালেন্স আনলেন দেখে খুশি হলাম। কিন্তু ঐ নামগুলো শুনে থাকলেও জ্ঞানের ভাঁড়ার শূন্য, কাজেই ঐ নায়কদের নিয়ে আপনি লিখে ফেলুন না, আমাদের একটু জানা হয়। অন্তত সংজ্ঞাটুকু দিন যাতে মানেটা জানতে পারি।
নতুন মন্তব্য করুন