১
মাঝ দুপুরে রাতের মতন চুপ
দু-একটা কাক আলসে গলায় ডাকে
রোদের তাপে পুড়িয়ে তোমার রূপ
হাজির হলে আমার গলির বাঁকে
২
চোখের কোণে জল
হারিয়ে যাবার আগে তোমার সেই পুরোনো ছল
শিশির গড়ায় আমার বৃক্ষশাখে
৩
যাই বলে না, আসি
বারান্দাতে ফুলের চারা, শুকনো শাড়ি মেলা
হালকা হাওয়ায় তোমার চেনা হাসি
নিত্যদিনের বিদায় বিদায় খেলা
ছবি: লেখক
মন্তব্য
মূলত পাঠুদা, স্যালুট, জটিল হইছে।
"যাই বলে না, আসি
বারান্দাতে ফুলের চারা, শুকনো শাড়ি মেলা
হালকা হাওয়ায় তোমার চেনা হাসি
নিত্যদিনের বিদায় বিদায় খেলা"---- এ যেন কলেজ জীবনে পাড়ার তিনতলা বাড়ির মেয়ের সাথে লুকোচুরি প্রেম প্রেম খেলা নাটকের শেষ দৃশ্য।
ধন্যবাদ।
দলছুট।
ধন্যবাদ দলছুট ভাই। আমি অন্য ছবি ভেবে লিখেছিলাম, তবে কবিতা শেষ পর্যন্ত পাঠকের কল্পনাতেই সার্থক হয়।
৩ নম্বর টা সেইরকম
"নিত্যদিনের বিদায় বিদায় খেলা"
বেশ লাগলো ...
জলপুত্র তথাস্থু
ধন্যবাদ জানাই, জলপুত্র তথাস্থু।
কবিতা ছবি দুটোতেই অযুত নিযুত তারা। তুমি পারও বটে
অযুত নিযুত ধন্যবাদ, পাঠ ও মন্তব্য দুটোর জন্যই।
১ নাম্বার বেশি ভালো...।
প্রশ্ন হচ্ছে, কোন কবিতাতেই দাঁড়ি দেখা যাচ্ছে না কেনো ?? এটার কোন ব্যাখ্যা আছে, না কবির খেয়াল ??
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
চলন যদি নাও বাঁকা হয়
দাঁড়ির সাথে আড়ি,
তাই দেখতে তারে নারি-
দিলাম তো ভাই কমা,
সেই দেখে আজ এই 'কবি'রে
না হয় করো ক্ষমা?
মন্তব্যের অণু কবিতায়-
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
ভীষণ ভালো লাগলো, ছন্দটা কী সুন্দর।
আমাদের শাড়ি মেলা ছাদটার কথা মনে পড়ে গেল।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
ঐ সব পুরোনো ছবিরাই তো মাথার ভিতর বসে কবিতা লেখে, শুধু নাম লেখা থাকে আমাদের।
এই ধরনের ছোট ছোট রোমান্টিক কবিতা আমার বেশ লাগে।
নির্ভার, ছন্দময়, স্মৃতিজাগানিয়া।
আর ভালো লেগেছেন ইলাস্ট্রেশনটাও। এই টাইপের ইলাস্ট্রেশনের কোনো আলাদা নাম আছে কি? সত্তুর আর আশির দশকে এই ধরনের ইলাস্ট্রেশন ভারতীয় বাংলা পত্রিকায় দেখতাম। মানে, সত্তুর দশকেরটা দেখেছি বড় হয়ে আর আশির দশকেরটা বড় হতে হতে।
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
ভাল্লেগেছে জেনে প্রচুর ভাল্লাগ্লো।
নাম আছে কি না জানি না, বোধ হয় নেই। আমিও ঐ সব অলঙ্করণ শিল্পীদের কাজ দেখে খুব প্রভাবিত হতাম। কয়েক জন তো এমন ভয়ানক নিখুঁত সুন্দর আঁকতেন (যেমন বিমল দাশ, সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় (পদবীটা ঠিক লিখলাম তো?)) যে তাঁদের মতো আঁকার কথা দুঃসাহস করেও ভাবতাম না। কিন্তু আমার ভীষণ ভালো লাগতো কৃষ্ণেন্দু চাকীর ছবি, যদিও তিনি একটু হিজিবিজি করে আঁকতেন, মূলত লাইন ড্রয়িং। আমার আঁকা মানুষের মুখগুলোতে তাঁর ছায়া আজও আছে।
বড় মিষ্টি দাদা।
ধন্যবাদ দাদা, তা'লে পড়ে মুখ কুলকুচ করে নিন, নইলে দাঁতের এনামেলের বারোটা বাজবে।
আমার ভোট ২ নম্বরে বেশি!!
এক্কেরে কলিজাডা ভাঙ্গি গেলো আমার!!
গরীব
সাউথ কোরিয়া
mostofa_01buet@yahoo.com
আহহারে, এক্কেরে ভাইঙ্গাই গেল?
থাংকু।
ছবিটা পুজোসংখ্যা দেশ পত্রিকার কথা মনে করিয়ে দিলো। কবিতা-টুকরো গুলো পড়তে ভালো লাগছে। ছন্দটা দারুণ, তবে প্রথমটা আরো বড়ো করতে পারেন (জোর করে বলি, করেন!)।
আমি তো সাধারণতঃ বড়ো বড়ো কবিতাই লিখি, ছোটো পরিসরে ভাবটুকু ফোটাতে পারি না বলেই। তবে এই ছোট্টো কবিতাগুলোকে আর খাইয়ে দাইয়ে মোটা করলাম না, ওরা না হয় একটু সিলিমই থাক?
টুকরো টুকরো রোদ্দুর আর বাতাসের আঁচলের মতন কবিতা। আর টলটল করছে আকাশ, টলমল করে উঠছে নীহারবিন্দু। তেমনই ছবিটাও।
আরো আরো পেতে ইচ্ছে করে।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনার মন্তব্যও যে কবিতা!
বেশ লাগল মূলো দা'----
থাংকু অনিকেতদা
১ নং টাই সবচেয়ে মিষ্টি।
ধন্যবাদ মৃত্তিকা।
আমি কেন জানি বারবার একই কবিতার ৩টে স্তবক হিসেবে দেখছি!
আপনার গার্লফ্রেন্ডের ছবিটাও খাসা তুলেছেন দাদা!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
স্তবকের ব্যাপারটায় আপনি আমার ভাবনাটা বুঝেছেন। এই তিনটি অংশের মধ্যে লেখার সময় একটা ক্রনোলজি ছিলো মাথায়, একটির পরে ঘটছে অন্যটি। অন্ত্যমিলটুকু যদি লক্ষ্য করেন দেখবেন ১ ও ২-এর মধ্যে একটা যোগাযোগ আছে, ৩ আলাদা। এই ভাবেও ১-২ ও ৩ কে আলাদা রাখার চেষ্টা ছিলো, ২ ও ৩-এর মাঝের সময় ও আবেগের ফারাকটুকু আনতে। আর বেশি খুলে বললাম না এখানেও।
তবে কবিতা নিয়ে বেশি ব্যাখ্যা দেওয়া স্বাস্থ্যকর নয় পাঠকের মুক্তকল্পনার স্বার্থে, তাই ও পথে যাই নি।
ঠিকই আছে। আগেই পুরোপুরিই বুঝেছি তাহ'লে।
একই কবিতায় এ সবই করা যেতে পারেই তো, সেজন্য স্তবকের ক্রম-সংখ্যা দিয়ে দিলামই না হয়, একটা ল্যাপ্সের জন্য, কোনো তো অসুবিধে নেই। আজকাল সবকিছুতে কতো গাঠনিক পরীক্ষণও হচ্ছে ঔপাদানিকের সঙ্গে সঙ্গে, তার মধ্যে কবিতার ফিজিওলজি নিয়ে তো আমরা কম্পারেটিভলি খুব কমই নাড়ছি-চাড়ছি এখনও। হ'লে উন্নতি বৈ ক্ষতি তো নেই কিছু।
হ্যাঁ দাদা, এইসব পোস্ট-মর্টেম-এর তাড়না অন্য কেউ কেউ একটু দূরে ঠেলতে চাইলে তো সেখানে আপনি গিয়েও ইঙ্গিতে চেয়েছেন ওরকম একটু ব্যাখ্যান, যতোদূর আমি মনে করতে পারছি। আর, আজ আপনিই পাঠকের স্বাস্থ্যের দোহাই দিয়ে মিষ্টান্ন সরিয়ে নিতে চাইছিলেন?!
ভুল ব'লে থাকলে স্যরি।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
এটাও ক্রোনোলজিক্যাল ব্যাপার, অর্থাৎ আগে আমি এই নিয়ে আলোচনা করায় অকুণ্ঠ ছিলাম, কিন্তু ঐ সব আলোচনার পর 'জনমত' দেখলাম এর বিপরীতে, তাই ক্রমে ক্রমে আলোচনা কমিয়ে দিয়েছি। এ কথা তো ভুল নয় যে বেশি আলোচনা হলে কল্পনার অবকাশটুকু কমে যায়। তেমনি এ-ও ঠিক যে মাঝে মাঝে কবির ভাবনাটা শুনতে পেলে ভালোই লাগে।
এই লঘুভার কবিতার ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা দেওয়াটা হয়তো একটু বেশিই বেশি হয়ে যেতো, সেই হিসেবে না দেওয়াটা ঠিকই আছে বলে মনে হয়। এরা হাল্কা হাওয়ায় উড়ে বেড়াক বরং।
নতুন মন্তব্য করুন