• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

দিনগুলি মোর ৪: চেনা সকাল

মূলত পাঠক এর ছবি
লিখেছেন মূলত পাঠক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৫/১০/২০০৯ - ১০:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকাল সচলে লেখা কম বেরোচ্ছে, সেটা লেখার মান নিয়ে সংশয় প্রকাশের কারণে কিনা নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি না, তবে সেটা একটা কারণ হতেও পারে। সেই ভেবেই একটা আবঝাব লেখা লিখতে ইচ্ছে হলো, সেই দেবদূতরা যেখানে যান না সেই কুযুক্তিতে অনুপ্রাণিত হয়ে। একটা নেহাত সাধারণ সকালের কথা, গল্পটল্প কিছু না। সাধারণত এ জাতীয় লেখা লিখবার সময় একটা ভেতরের নক্সা মাথায় থাকে, যে এলোমেলো কথারাও একটা বক্তব্যে যাতে পৌছোয় সেই উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়। আজকেরটা একটা পরীক্ষা, এর কোনো উদ্দেশ্য নেই, দেখা যাক তা ছাড়াও কোনো গন্তব্যে পৌছোনো যায় কি না। জানাবেন যাত্রাপথেও কিছু প্রাপ্তি হলো কিনা।

রাত্তিরে নানা অকাজ সেরে ফোনে আড্ডাটাড্ডা মেরে শুতে প্রচুর দেরি হয় প্রায় দিনই, কাল কিন্তু সে তুলনায় তাড়াতাড়ি, বারোটার মধ্যেই শুয়ে পড়েছিলাম। কাজেই সকালে ঘুম ভাঙতে তেমন দেরি হলো না। আমার চাকরিটা এমন যে মাঝে মাঝে বাড়িতে বসে থেকেও কাজ করা যায়, এবং আজকে সেই রকম একটা দিন। অতএব নতুন বালিশচাদরের মসৃণতা উপভোগ করতে করতে আবার ডিগবাজি খেয়ে শুয়ে পড়লাম, ঘুমের আরেকটা ইনস্টলমেন্ট মারতে। তারপর যখন উঠে বারান্দায় গেলাম চায়ের কাপ হাতে (কফি শেষ, কাজেই....) তখন আকাশটাকে দেখে অদ্ভুত লাগলো। যাঁরা তুলট কাগজে বর্ষার আকাশ এঁকেছেন তাঁরা জানবেন কাগজ ভিজিয়ে কালো রঙ লাগালে কেমন চমৎকার বর্ষার মেঘ ফুটে ওঠে। দুঃখের বিষয়, আজকের সকালের আকাশটা তেমন বৈশিষ্টপূর্ণ নয়, স্রেফ ঘোলা রঙের মসৃণ আকাশ, মেঘে ঢাকা, আর এমন মসৃণ যে ঘোরতর একঘেঁয়ে, মাঝে মাঝে উড়ে যাওয়া কুচো পাখির ঝাঁক ছাড়া আর কোনো ওঠাপড়া নেই। দেখে এমনকি মন খারাপও হয় না, কেমন যেন অবশ গোছের লাগে। শীত আসছে, তার ছোঁয়া হাওয়ায়, হাল্কা শিরশিরানি বোধ হয়। নিচে বাগানে পর্ণমোচী গাছের পাতায় রঙের ছোঁয়া লেগেছে, বৃষ্টিধৌত শিলাতল কিছুটা শুকিয়ে গিয়ে ওয়াশের ছবির মতো হয়ে এসেছে। চা ও ধোঁয়ার সহযোগে কাজ কী কী আছে সে কথা ভেবে ফেলার উপযুক্ত সময় এটা।

কিছু কাগজপত্র পাঠানোর ছিলো ফেডেক্স করে, বাড়ির কাছেই একটা দোকান আছে তাদের, কাগজের গোছাটা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম এরপর। আমার বাসা শহরের মাঝখানে যাকে গোদা বাংলায় বলে মিডটাউন। এমনিতে খাসা এলাকা, ঘরবাড়ি দোকানপাট মিলিয়ে জমজমাট, কিন্তু সকাল বেলায় সামনের সিগনালে গাড়ির সারি জমে যায়। সে সব বাধাটাধা ডিঙিয়ে ফেডেক্সের দোকানে পৌছে কাজ সারলাম অবশেষে। এক ভদ্রমহিলা ছিলেন ফাঁকা দোকানটিতে, লৌকিকতার হাসি বিনিময় দিয়ে শুরু হলো। দোকান থেকে বেরোতে গিয়ে দেখি দরজায় তাদের একটি বিজ্ঞাপন ঝুলছে তাতে যার ছবি সে মেয়েটির ভয়ানক রকমের মিল সেই মহিলার সাথে। জিজ্ঞেস করে জানলাম, এই প্রশ্ন নাকি সব্বাই করে, তবে তিনি আর ইনি এক নন। হয়তো এর উত্তর দিয়ে দিয়ে ক্লান্ত হয়ে গেছেন তিনি, কিন্তু সে বাবদ মাফ চাইবো, নাকি মডেলের মতো চেহারা বলে অভিনন্দন জানাবো ভেবে না পেয়ে শেষমেশ 'হ্যাভ আ গুড ওয়ান' গোছের শুভেচ্ছা জানিয়েই কেটে পড়লাম। ফেরার পথে মুদিখানা থেকে কফির প্যাকেট নিতেই হলো, এ প্রায় জ্বালানি রসদ, না হলে গাড়ি থেমে যায় একরকম। আমার বাড়ির দালানের নিচেই একটা কফিশপ, সেখানে গেলাম চটজলদি একপাত্তর কফি নিতে। দোকান প্রায় খালি, দুটি বালিকা বসে কানে গানতার গুঁজে অঙ্কশায়ী যন্ত্রগণক নিয়ে কর্মব্যস্ত, চোখাচোখি হতে সামাজিক হাসি পেলাম। কাউন্টারের মেয়েটি জীবিকার তাগিদেই হাস্যময়ী, এবং লৌকিক আলাপের শুরুতেই বুঝলাম বেশ উচ্চকণ্ঠি। হলুদ আলোর উষ্ণতামাখা দোকানটিতে একটা পাহাড়ি কাঠের গন্ধ। খুব ছোটোবেলায় কাশ্মীর গিয়েছিলাম, সেখানে সর্বত্র এই গন্ধ পেতাম, তার স্মৃতি মনে এলো। মেয়েটিকে এই চমৎকার গন্ধ কীসের সে কথা জিজ্ঞেস করতে সে একগাল হেসে বললো, কীসের জানে না, তবে সাথে আরেকটু কফি গন্ধ মিশলেই সে খুশি হয়। সে কথা শুনে ব্যবসা মন্দা নাকি জিজ্ঞেস করতে গিয়েও করলাম না, থাক না হয়, এমন সকালে (বা কোনো সকালেই) অর্থনীতির কচকচি মানায় না ঠিক। বেরোতেই পাশের ড্রাই ক্লিনারের মালকিন কোরিয়ান ভদ্রমহিলার (জানি, একটা সুপরিচিত স্টিরিওটাইপ হলো, কিন্তু আমার এতে কোনো হাত নেই) পোষা অপরূপ ছোট্টো রেশমসাদা কুকুরটি এসে পা শুঁকতে লাগলো। আমি কুকুরভক্ত এ কথা আমার শত্তুরেও বলবে না, কিন্তু এই কুকুরটি প্রায় দিব্যদর্শন, ভালো না লেগে যায় না। আমার প্রতিবেশীর কুকুরটিও তাই, টিনটিনের স্নোয়ি/কুট্টুসের মতো সেটি, এরা দুজনে মিলে আমাকে কুকুরপ্রেমী বানিয়ে ছাড়বে মনে হচ্ছে।

বাড়ি এসে গান চালিয়ে দিলাম, আমার লতাপ্রেমের পথে বাংলা গান, "আমার মালতীলতা ওগো কী আবেশে দোলে", আধো অন্ধকার ঘর, জানলার পর্দার ফাঁক দিয়ে মৃদু আলো এসে ভর সকালেও মায়াময় করে তুলেছে ঘরটাকে। কাজ শুরু করার আগে মেইল পড়ে নিয়ে একটু সচলে ঢুঁ মারতে গিয়ে দেখলাম এক নবীন লেখক তাঁর গল্পের শেষ পর্ব দিয়েছেন, পড়ে মনে হলো একটু মতামত জানানো যাক, সে মতামত যে এতো সুদীর্ঘ হবে কে জানতো। সেখানেই শেষ হতে পারতো অকাজের সকাল, এবং কর্মবীরের মতো কাজের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়াই উচিত হতো। কিন্তু লতা ভয়ানকভাবে মজিয়ে দেন যখন তিনি গাইতে থাকেন, "কৃষ্ণচূড়ার বনে ছায়াঘন পথ, আঁকাবাঁকা পথ, আমার আঙিনা থেকে চলে গেছে তোমার মনে, বসে আছি বাতায়নে তোমার আশায়", চোখ খুলেই দেখতে পাই সে ছবি। জানি চিত্রময় হওয়াই ভালো সৃষ্টির পরাকাষ্ঠা নয়, কিন্তু ছবি যে ভাবে মনকে বন্দী করে ফেলে তাতে ভালোমন্দের বিচার করা হয় না আর। কাজেই লিখতে বসলাম, জানি এ কিছু মহান লেখা নয়, তবু লিখতে ইচ্ছে হলো প্রবল। সকালে একজন জাপানী ব্যবসাসফল নারীর সাক্ষাৎকার পড়ে ভাবছিলাম তাঁর কথা শোনাবো আপনাদের, কিন্তু সে সব গোল্লায় গেলো এই গান শুনে, সাফল্যপ্রতিষ্ঠার কথা ছেড়ে আনাড়ি বকবক শোনাতে বসলাম। ধৈর্য ধরে পড়ে যাঁরা হতাশ হলেন তাঁদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে গেলাম এইখানে। এবার বিদায় নেওয়া যাক আজকের মতো, কাজকম্মো কিছু করা যাক, সাথে লতা গাইতে থাকুন "চলে যেতে যেতে দিন বলে যায়, আঁধারের শেষে ভোর হবে হয়তো পাখির গানে গানে, তবু কেন মন উদাস হলো"।


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আজকাল সচলে লেখা কম বেরোচ্ছে, সেটা লেখার মান নিয়ে সংশয় প্রকাশের কারণে কিনা নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি না, তবে সেটা একটা কারণ হতেও পারে।

আমি একটা লেখা তিনদিন আগে ড্রাফট করেছি। প্রতিদিন পড়ি আর উন্নত করার চেষ্টা(!) করি। দেখা যাক, হয়তো দুয়েকদিনের মধ্যেই দিয়ে দেবো। ভাববেন না খুব উন্নত মানের লেখা হবে সেটি। বরং সচরাচর যা লিখি সেটাকেই ঘসেমেজে পরিপাটি করার প্রচেষ্টা করে যাচ্ছি। সাথে একটা ছবি দিতে চাই, সে ছবি আজো তোলা হয়নি, তাই আরো দেরী হচ্ছে।

মূলত পাঠক এর ছবি

লেখা নিয়ে আপনার যত্ন শিক্ষণীয়, এ কথা মানতেই হবে। সব লেখা সমান ভালো হয় না, কিন্তু ঐ যত্নটুকু তো আমরা সকলেই করতে পারি।

পড়ার প্রতীক্ষায় থাকলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

পাঠুদা আবজাব কিন্তু আর আবজাব থাকল না। বেশ ভালোই হল। পড়েও মজা পেলাম।
ধন্যবাদ সুন্দর একটা লেখার জন্য।
আরো ভালো লেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম। আন্দাজ করছি দলছুট এই মন্তব্য করেছেন, ভুলও হতে পারে, তবে নামটা দিলে সুবিধা হয়।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

গেল, এবার আবঝাব গোষ্ঠীও ভেগে গেল বলে। :D

মূলত পাঠক এর ছবি

আরে আমার নাম তো নন্দ ঘোষ নয়, এমন কী কেষ্টা ব্যাটাও নই, সব দোষ আমার ঘাড়ে দিলে হবে? :)

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

পাইছি!! "কি" হবে না? :P

মূলত পাঠক এর ছবি

নিজেকে কেমন অ্যামিবার মতো লাগে এই রকম মাইক্রোস্কোপের তলায় বসে! কী ডেঞ্জারাস ব্যাপার যে হয়ে উঠেছে এদ্দিনে হাড়ে হাড়ে টের পেলাম।

স্নিগ্ধা এর ছবি

কী ডেঞ্জারাস ব্যাপার যে হয়ে উঠেছে এদ্দিনে হাড়ে হাড়ে টের পেলাম।

হে হে - ব্যুমেরাং জিনিষটা আমি আবার বড্ড ভালু পাই :D

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

পাইছি আপনারেও! "বুমেরাং" হওয়ার কথা মনে হয়। ইংরেজিতে Y না থাকলে বাংলায় য-ফলা আসা উচিত না।

ঢিশিয়া!! ;)

মূলত পাঠক এর ছবি

@স্নিগ্ধা: আপনি কোনখানে ঘাপটি মেরে ছিলেন (লেখাটেখা তো দেন না দশ বছর হয়ে গেলো, নিষ্কর্মালেখকত্ব সেলিব্রেট করতে পারেন কেক কেটে), এই সময় আনন্দ চাপতে না পেরে বেরিয়ে এলেন? মহা ইয়ে টাইপ আপনি!

যে গল্পটা লিখবেন বলেছিলেন লিখে ফেলুন। কবে আছি কবে নেই, শেষে কি একটা খেদ বগলে নিয়ে মারের সাগর পাড়ি দেবো নাকি?

@ইশতি: ঠিকাছে ঠিকাছে এক মাঘে শীত যায় না, সময় হলেই টের পাবে হাউ মেনি রাইস ইন হাউ মেনি প্যাডি। ফূর্তি করে নাও তব তক!

যুধিষ্ঠির এর ছবি

লেখাটেখা তো দেন না দশ বছর হয়ে গেলো, নিষ্কর্মালেখকত্ব সেলিব্রেট করতে পারেন কেক কেটে

নিষ্কর্মালেখকসমিতির ভারবাহী সচিব হিসেবে আমাদের একজন সদস্যের প্রতি এহেন অপমানকর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

স্নিগ্ধা এর ছবি

ধর্ম্মপুত্র - আপনার 'ধর্মজ্ঞান' আমাকে বরাবরই প্রীত করে, আপনি বেশ ভালু :D

এবার একটা ঘ্যামচাক মেট্রিক্স দ্যান তো দেখি, সমিতির সদস্যদের নিষ্কর্ম আর লেখকত্ব সমানুপাতিক নাকি ব্যস্তানুপাতিক, নাকি আসলে সেটার অস্তিত্ব কেবল দুর্জনের 'গুজব রটনা'তেই ......... ;)

মূলত পাঠক এর ছবি

গুজবের খোঁজে আপনার কী কাজ? টি রেক্স আর আপনি একসাথে সচলে যোগ দিয়েছিলেন, সে বেচারা মরে ফৌত হয়ে গেলো গুষ্ঠিবর্গশুদ্ধু, আর আপনি এখনো এক পাতা ভরিয়ে উঠতে পারলেন না, রামোঃ রামোঃ! ঐ সমিতির অনারারি লাইফ মেম্বারশিপ আপনারই প্রাপ্য, অনারারি কারণ নিজে থেকে মেম্বার হতেও তো আবার প্রচুর খাটুনি।

লেখেন লেখেন, কিছু কাজ করেন। এতো ফাঁকি দিলে নতুন লোকেরা এরপর জিগাবে, আপনি কে বটে?

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

এটাই তো মজা! আমার এমন ভুল ধরাধরির খেলা খুব মজা লাগে। আপনার সাথে তো খেলে মজা সে-কারণেই। :D

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আমি আপনাগো খেলার রেফারি...
জানেন তো, ফেল করা ছাত্র ভালো প্রাইভেট টিউটর হয় :D

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

মূলত পাঠক এর ছবি

তাইলে আগে ফেল মারতে হবে তো! একটা বানান ভুলে পরিপূর্ণ পোস্ট লেখার পর ভেবে দেখবো রেফারি বানানো যায় না কি।

দময়ন্তী এর ছবি

না: এই লেখাটায় "মূলোছাপ' কেমন ঝাপসামত৷ :)
তবে হ্যাঁ নীরেঞ্চক্কোত্তির মত আপনিও একটা "গল্পের ক্লাস' বা "কী লিখবেন কেন লিখবেন' নামিয়ে দিতে পারেন৷ :D

ভারতে ও: ফ্র: হো: করলে চ্যাটে "আইডল' দেখলেই অফিসের লোকজন ফোন করে৷ অফিসে থাকলে তবু ক্যান্টিনে খানিক হেজিয়ে আসা যায়৷ :( বাড়ীতে থাকলে ওঠাই মুশকিল৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

মূলত পাঠক এর ছবি

গল্পের ক্লাসের কথা কি এই লেখা পড়ে মনে হলো, নাকি ঐ কমেন্ট থেকে? এটা নেহাতই আবজাব, অনেক দিন লিখি না বলে ঝটপট নামিয়ে দিলাম। ঘটনা ঘটতেই যেখানে ঘন্টা দুয়েক লেগেছে সেখানে লিখতে দশ পনের মিনিটের বেশি লাগা উচিত না। তার বেশি লাগলে আর আবজাব কীসের।

মূলোছাপের প্যাটার্নটা ধরতে পারছি না। একটু ফাজলামি কম পড়েছে বলছেন, ঐ হনুমানের বগলবৃত্তান্তের তুলনায়?

চ্যাটে সেজন্যেই তো সর্বদা অনলাইন থাকতে হয়, এ দেশেও, এক যদি না টেলিফোনে মিটিং থাকে, সেক্ষেত্রে 'ইন আ মিটিং' মোডে তো আপনা থেকেই চলে যায় স্টাটাস, কাজেই :)

দময়ন্তী এর ছবি

না না এই লেখা পড়ে বলি নি৷ সেই মন্তব্য পড়েই বললাম৷

হে হে মূলোছাপ বোঝার জন্য দূরদর্শনের্ ভাষায় বলি "সঙ্গে থাকুন'৷

না: ওদেশে লোকে এত ফোন করে উত্পাত্ করত না৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

যুধিষ্ঠির এর ছবি

দু-ঘণ্টার ঘটনা, দশ-পনেরো মিনিটে লেখা - পড়তে সাড়ে চার মিনিট যথেষ্ট? লেখায় যেটা চোখে পড়লো তা হল আপনার জীবনে বালিকাদের আধিক্য। শেষ প্যারায় 'নবীন লেখক' একমাত্র পুরুষ, তা ছাড়া ফেডেক্স, কফিশপ, লণ্ড্রী, কাউণ্টার, রাস্তাঘাট সবজায়গাতেই বালিকাদের ছড়াছড়ি। এমন হলে অফিস যায় কে!

মূলত পাঠক এর ছবি

এ যা লেখা, পাঠকের সাড়ে চার ইনটু চল্লিশ (পাঠসংখ্যা এই মুহূর্তে), মোট তিন ঘন্টা হয়েছে খরচ। কাজেই সুদে আসলে উশুল হয়ে গেছে, কোনো খেদ নেই।

বালিকার ব্যাপারটি নেহাতই কাকতালীয়, তবে আমার নজরের দোষও বলতে পারেন, পথচারী পুরুষের কথা না লেখাটা। আর কুকুরদুটির জেন্ডার জানা নেই, ওরা পুংলিঙ্গ হলেও হতে পারে।

অফিসে বালিকা নেই আপনাকে কে বললো? :)

তুলিরেখা এর ছবি

মূলত পাঠক,
চমৎকার লাগলো! বেশ কিছুদিন ধরে আপনার লেখা দেখছিলাম না, কেমন একটু লাগছিলো। আজ লেখা পেয়ে ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

মাঝে মাঝে একটু ঠান্ডা মেরে যাই। আবার ফেরত আসতে হয় তারপর। আজকাল ঐ ঢিলেঢালা সময়টা যাচ্ছে, আপনার কাজটাও হয় নি করা। একটু লজ্জায় আছি তা নিয়ে। :)

লেখাপাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। :)

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

লেখায় আর কী বলবো ?? পাঠুদার ছাপ একটু কম দেখা গেলো মালুম হয়-
আর ছেলেবেলায় কাশ্মীর গিয়েছিলেন বললেন যে ??

সেটা কি একদম 'ছোট'বেলায় নাকি ?? ওই নিয়ে একটা পোস্টও তো মারতে পারেন...

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

মূলত পাঠক এর ছবি

সে প্রায় আগের জন্মের কথা রে ভাই, আট বছর বয়সে, আমার ভ্রমণবিলাসী জ্যাঠামশায়ের সঙ্গে। যা মনে আছে তার ভিত্তিতে লেখা লিখলে খাঁটি অনুগল্প হবে, সাইজেও ছোটো, আর বেশিটাই কল্পনা। :)

অবাঞ্ছিত এর ছবি

ইদানিং আপনার লেখাও তো আগের মতন দেখা যাচ্ছে না ! বেশি বেশি লিখুন!

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

মূলত পাঠক এর ছবি

লিখি তো, যখনই লেখার বিষয় দেখতে পাই লিখে ফেলি। :)

রণদীপম বসু এর ছবি

হতাশ ! ভীষণভাবে হতাশ !!

হা হা হা ! আপনার উপর নয় রাজর্ষি দা। আমার উপর। দশ মিনিটে এরকম চমৎকার একটা সাহিত্যমানের লেখা নামিয়ে দিলেন আপনি ! স্বেচ্চাজন্মের কোন বিধান বা উপায় থাকলে আমি তাই করতাম হয়তো। পরের জন্মে আমি নিশ্চয়ই বড় হয়ে আপনার মতো দশ মিনিটে এরকম লেখা লেখবো। তবে আপনাদের কাছ থেকে এ জন্মেই তা শিখে যেতে হবে। নইলে সেই জন্মটাও যে.....

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনি তো ভয়ানক টাইপের লোক, এই রকম ভাবে কাউকে লজ্জায় ফেলতে আছে এই রকম ফাঁকিবাজি লেখার সুবাদে? আমি সরলমতি বালক, প্রায় বিশ্বাস করে ফেলছিলাম আরেকটু হলেই যে আমার মতো প্রতিভা আর হয় নি হবেও না!

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

অনেকদিন পরে মনেহলো হাতের মুঠোয় চন্দ্র পেলুম গো পাঠুদা। খুব ভালো একটা গতি আছে লেখাটাতে, যা একেবারে শেষ পর্যন্ত টেনে আনলো। এভাবেই ১০-১৫ মিনিট বের করে একটা-দু'টো নামিয়ে দিলে, বলি কিই বা এমন ক্ষতি ?

------------------------------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

মূলত পাঠক এর ছবি

একেবারে চন্দ্র পেয়ে গেলেন? :)

ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ হলো, নিশ্চয়ই লেখা হবে আগামীতে, গপ্পো টপ্পো লেখার চেয়ে এ জাতীয় চন্দ্রাকর্ষক লেখা লিখে ফেলা ঢের সোজা। :)

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

তো এই "ঢের সোজা" কাজটাই চলুক, দাদা।

লিখতে সোজা, পড়তে মজা , ইয়া ইয়া ওওও ...............

------------------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

দুর্দান্ত এর ছবি

কি লেখা। জাকির হোসেনের মত তবলা ঠুকে বলতে ইচ্ছে করছে 'ওয়াহ তাজ'। কিন্তু আদতে ঠেকাটা দিলুম টেবিলে আর হাতে আমার আইস টি।
এরকম যদি প্রতিদিন পড়তে পেতাম।

মূলত পাঠক এর ছবি

এতো ভালো লেগেছে নাকি? কেমন জানি সন্দেহ হয়। :)

প্রতিদিন লিখলে আপনিই থামাতে দৌড়ে আসতেন, 'ক্ষ্যামা দে বাপ' বলতে বলতে। তাই মাঝে মাঝে লিখি, আগের বারের স্বাদটা মুখ থেকে যাক তারপর। :)

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

আয়েস করে পড়লাম। সাধু!

আফসোস শুধু একটাই, যদি এমনভাবে নারীবেষ্টিত হয়ে সকাল হতো আমার ...

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

মূলত পাঠক এর ছবি

সে আর এমন কঠিন কী, বালিকাবিদ্যালয়ের নবীন মাস্টরবাবুটি হলেই তো হয়। নবকাত্তিকের মতো চেহারা, বালিকারা ঝাঁকে ঝাঁকে জীবনটাকে মৌচাক করে তুলবে। তারপর যদি টিউশানি ধরতে পারো তাহলে তো সারা দিনমান বালিকাবিহার! তোমাকে আর পায় কে তখন?

তুলিরেখা এর ছবি

না না হুঁশিয়ার, এ ট্র্যাপে পড়বেন না । "ভবের হাট" এর ফিজা স্যরের অবস্থা হবে! :-)
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ভুতুম এর ছবি

চমৎকার লেখনী। ভালো লাগলো মূলোদা/পাঠুদা।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

মূলত পাঠক এর ছবি

থাংকু ভুতুম ভাই।

ভুতুম এর ছবি

ওসব ভাই-টাই ছাড়ুন, ভুতুমই কাফি।

-----------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

মূলত পাঠক এর ছবি

আরে ভাই মানে বড়ো ভাই না, তাইলে দাদা বলতাম তো!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।