দিনগুলি মোর ৫: বর্ণেগন্ধেছন্দেগীতিতে

মূলত পাঠক এর ছবি
লিখেছেন মূলত পাঠক (তারিখ: মঙ্গল, ২০/১০/২০০৯ - ৩:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকালে অফিসে এসে লবি পেরিয়ে এলিভেটরের বোতাম টিপে দাঁড়িয়ে আছি, চোদ্দ তলায় যাবো। চারিদিকে কেউ নেই, একা গুনগুন করছি কোনো গান, এলিভেটরের দরজাটা খুলে গেলো তখনই। ভেতরে কে আছেন দেখার আগেই যেটা পেলাম তা হলো একটা মনোরম সুগন্ধ। গন্ধের নাম দেওয়া কঠিন কাজ, তবে মনোরম শব্দটাই সবচেয়ে কাছাকাছি যায় বলে মনে হলো, মৃদু ঘরোয়া মন-ভালো-করা গন্ধ। ভেতর থেকে এক মধ্যবয়সী সুবেশা ভদ্রমহিলা বেরিয়ে সৌজন্যহাসি দিয়ে চলে গেলেন। আমি ঢুকে আবার পেলাম সেই সুবাস, আবদ্ধ প্রকোষ্ঠে। চিনি না তাঁকে যাঁর ফেলে যাওয়া চিহ্ন এই সৌরভ, এ বিল্ডিংয়ে পঞ্চাশটি তলায় অনেক মানুষেরই আসাযাওয়া। কিন্তু ঐ ক্ষণিকের দেখা আর ফেলে যাওয়া গন্ধ মিলিয়ে একটা ছবি আঁকা হলো মানসপটে। সংক্ষেপে বললে সে ছবি মেলে "লাভ, অ্যাকচুয়ালি"র এমা থম্পসনের চরিত্রটির সাথে। যাঁরা দেখেন নি সে ছবি, তাঁদের জন্য বলি, মাঝবয়সী সুশ্রী ও ব্যক্তিত্বময়ী এক ভদ্রমহিলা, দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্না এবং মৃদুভাষিনী। কিন্তু সত্যি কথাটা হলো এই যে আমি ওঁকে বিন্দুমাত্র চিনি না, ব্যক্তিগত জীবনে ভদ্রমহিলা হয়তো খিটখিটে কুঁদুলে কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগে সর্বদাবিরক্ত, কিন্তু কল্পনায় সে জাতীয় ছবি যে ফুটে ওঠে নি তার একটা মূল কারণ ঐ সুবাস। আমাদের মনে সুগন্ধের সাথে ঐ ছবি জুড়ে গেছে, ছবির সামান্য তারতম্য দর্শকভেদে বদলালেও ছবিটা মোটামুটি ভালোর দিকেই থাকে। এখন এই ভদ্রমহিলার সাথে আমার হয়তো আর কখনোই দেখা হবে না, কাজেই আমি কী ভাবলাম তাতে জগতসংসারে কারো কিছু এসে গেলো না। কিন্তু এমন পরিস্থিতি তো হয়ই যেখানে এই প্রথম ইম্প্রেশনের গুরুত্ব থাকে অনেকটা। সুগন্ধীর হাত ধরে এই যে অন্য পথে চলে গেলো দর্শক, তার কী হবে?

প্রথম প্রথম আমেরিকায় এসে পুলিসদের দেখে অন্যরকম অনুভূতি হতো। দেশে পথেঘাটে যাঁদের দেখেছি তাঁরা অস্ত্রশস্ত্রের হিসেবে নেহাতই নিধিরাম সর্দার। এখানে সবার ট্যাঁকে কঠিন কঠিন সব ব্রহ্মাস্ত্র ঝোলে আর মুখে ঝোলে কঠিনতর এক্সপ্রেশন। চেহারাও তাঁদের জবরদস্ত, মিহি করে ছাঁটা চুল আর ঘাড়ে গর্দানে মাসলটাসল নিয়ে সে এক ভীতিপ্রদ ব্যাপার। এখানে হয়তো যে মেসেজ দিতে চাইছেন তাঁরা সেই মেসেজই পাচ্ছি। কিন্তু আসলে তো ভেতরের ছবিটা তেমন নয়। আমার এক বন্ধুর ভাই লস অ্যাঞ্জেলেসের পুলিস আকাদেমিতে যোগ দিলো গত বছর। এই বন্ধুটি এবং তার গোটা পরিবার, সবাই ছোটোখাটো চেহারার, পাঁচ ফুট কয়েক ইঞ্চির মধ্যেই যাতায়াত। তার উপর সেই ভাইয়ের ছবিতে দেখলাম বড়োই বন্ধুত্বপূর্ণ হাসিমাখা একটি নবযুবকের ছবি, সুস্বাস্থ্য ও পেশিটেশি থাকলেও ভয়জাগানো ছবি কিছুতেই নয়। তাছাড়া একটু আধটু খোঁজ নিলেই জানা যায় যে এ দেশে পুলিসের মাইনে পত্তর খুবই কম, চাকরিতে ঝুঁকি খুবই বেশি যেহেতু বন্দুক আইনি ও বেআইনি পথে অনেকের কাছেই পৌছে যায়, তা সে বন্দুকবাজদের মানসিক স্বাস্থ্য যেমনই হোক। কাজেই যাঁদের দেখে ভয় লাগে অনেকেরই, বাস্তবে সেই পুলিসেরাই অধিকাংশ সময় ভীত হয়ে থাকে এই সব আধপাগল বন্দুকওয়ালাদের দৌরাত্ম্যে। লস অ্যাঞ্জেলেস এয়ারপোর্টে যাওয়ার সময় ট্যাক্সিড্রাইভার ভদ্রলোক বলছিলেন যে এমনিতে নিরুপদ্রব হলেও একজন পুলিস গত এক বছরে মারা গেছেন এখানে, ঐ এক পাগলের হাতে। একজন ভুল জায়গায় পার্ক করা লোকের সাথে কথা বলতে পুলিসটি গিয়েছিলো তার গাড়ি খোলা রেখেই, এর মধ্যে এক ছ্যাঁচোড় সেই গাড়িতে ঢুকে পড়ে চালাতে গিয়ে পুলিসটিকেই চাপা দিয়ে দেয়। দুর্ভাগ্যজনক এই জাতীয় ঘটনা যে পুলিসকে আরো আতঙ্কিত করে তুলতে পারে সে বিষয়ে খুব সন্দেহ নেই। অথচ আমার মতো সাধারণ লোকের চোখে পুলিসের ছবি মানেই ভয়জাগানিয়া।

সম্প্রতি আমেরিকাগামীদের ভিসা-সমস্যা নিয়ে একটি লেখা পড়লাম, আমার নিজের ছাত্রভিসা বানানোর কথা মনে পড়ছিলো পড়তে পড়তে। সেই ঘটনাটা বলি। চাকরির পাট চুকিয়ে দেশে ফিরে কলকাতার ভিসা অফিসে গিয়েছি, ঢোকার সময় যখন ওদের ভল্টে সব জিনিসপত্র জমা রাখছি তখন দেখি একটি রঙিন যুবকও খোসা ছাড়াচ্ছে একে একে। সে আক্ষরিক অর্থেই রঙিন, চুল জামা জুতো চশমা সব লাল-বাদামি-কমলা রঙের, তার উপর হাতে যতগুলো আংটি পরা যায় তার চেয়ে খান কতক বেশি ছিলো, এবং চুড়িবালাবাউটি ইত্যাদিও। সে সব খুলে জমা করা চাট্টিখানি কথা নয়, মোচার খোসা ছাড়াতে তার চেয়ে কম সময় লাগে। এই সব দেখে স্বভাবতই তার বিষয়ে প্রাথমিক ইম্প্রেশনটা বিশেষ সুবিধার হয় নি, জেনেরালাইজ করার অপরাধে আমি দোষী স্বীকার করে নিই। পরে ভেতরে তার যখন ইন্টারভিউ হচ্ছিলো তখন শুনলাম কাউন্টারের আমেরিকান লোকটিকে সে তার পেশা বলছে সঙ্গীতজ্ঞ। তার নাকি সাত-আটশো খানা গান আছে বাজারে! শুনে সেই ভদ্রলোক এবং আমি দুজনেই মুচ্ছো গেলাম, ব্যাটা কয় কী! তো সে ভদ্রলোক কৌতূহলের বশেই সম্ভবতঃ, জানতে চাইলেন কোনো চেনা গানের নাম। তখন শুনলাম "ইয়া আলি" বলে নাকি একখানা গান খুব হিট করেছে তার, "গ্যাংস্টার" নামে এক ছবিতে। তার আগে বছর দুয়েক হিন্দি ছবির থেকে দূরে ছিলাম নানা কারণে, গানের নামটা চেনা ঠেকলেও মনে করতে পারি নি তখন কী সে গান। পরে বাড়ি এসে শুনলাম, এবং ছোকরার গলার ভক্তও হয়ে গেলাম এক রকম। তখনই জানলাম তার নাম জুবিন গর্গ, এবং ঐ শত শত গানের অধিকাংশই অসমীয়া ভাষায়। কী ভাগ্যিস কানে এসেছিলো তার সংলাপ, নইলে তাকে প্রথম ইম্প্রেশনের হিসেবে কমলাচুলের এক ভিনগ্রহী ছাড়া আর কীই বা ভাবতাম!

আরেক ফার্স্ট ইম্প্রেশানের গল্প শোনাই। তখন কলকাতায় চাকরি করি। অনেকগুলো তুতো ভাই বোন আছে আমার, বাবামা দু তরফ মিলিয়ে। আমার দুটি তুতো বোন তখন প্রেমট্রেম চালাচ্ছে জোরদার, তবে বালকদুটির কোনোটিকেই আমি চোখে দেখি নি। দুটি বোনই সুন্দরী ও মেয়ে হিসেবে চমৎকার, বুদ্ধিশুদ্ধি পড়াশুনাও আছে, তবে দাদা হিসেবে বোনেদের পছন্দের উপর ভরসা করা একেবারেই মুশকিল, সে তো বলাই বাহুল্য। তো পর পর দুটি সপ্তাহে এরা তাদের বালকদুটিকে নিয়ে আমার সাথে অফিসে দেখা করতে এলো, বাড়িতে আনতে চায় নি বলেই হয়তো। প্রথম বালকটিকে প্রথমবার দেখে হতাশই হয়ে ছিলাম একটু, হয়তো গায়ের রঙের জন্যই (হালকার উপর আমিও রেসিস্ট আছি দেখতেই পাচ্ছেন), আমার সুন্দরী বোনের পাশে তাকে বিশেষ মানাচ্ছিলো না, ইংরিজি নিয়ে পড়ছে কাজেই ঝটপট মোটা চাকরি বাগাবে সে সম্ভাবনাও ক্ষীণ। কথাবার্তা ভদ্রজনোচিত কিন্তু তাতে তেমন ইম্প্রেসড হওয়ার কারণ পেলাম না। তবে আমার মত তো চায় নি, কাজেই সৌজন্যান্তে বিদায় নিলো। পরের সপ্তাহে অন্য বালকটি এলো আমার অন্য বোনের সাথে। এর সাথে তার ঠিক আগেই ফোনালাপ হয়েছিলো, চমৎকার কথা বলে, নম্রভাষী ও স্মার্ট। কিন্তু সামনে দেখে তো আমি খুব ইম্প্রেসড, খুবই সুদর্শন সুপুরুষ, এঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে, বিদেশে যাবে চাকরি নিয়ে এবং তারপর নাকি ম্যানেজমেন্ট পড়ার পরিকল্পনাও ছকা হয়ে গেছে। আমার চোখ দেখেই বোন বুঝলো তার পছন্দের তারিফ করছি, সেও ভয়ানক খুশি।

এই অবধি ঠিকই ছিলো গল্প, কিন্তু লেখকবাবু আকাশে বসে বোধ হয় কয়েক পাত্তর চড়িয়ে এই অধ্যায়টা লিখেছিলেন। জাম্পকাট মেরে কয়েক বছর পর চলে এলে দেখতে পাই, প্রথম বালকটির মতো পাত্র পৃথিবীর সব বালক আগ্রহী থাকলেও আমি নিজে খুঁজে পেতাম না। চোখ ধাঁধানো ব্যাপার তার নেই হয়তো, তবে খুবই মননশীল বাড়ির ছেলে, অর্থ ও শিক্ষা দুয়েরই দিক থেকে সমৃদ্ধ, এবং সে নিজেও সত্যিকারের অর্থেই শিক্ষিত, ভালো সিনেমা ভালো বই ভালো গান এই দিয়ে তার চারিপাশ ঘেরা। এখন কলেজে পড়ায় এবং কলকাতায় ছাত্রমহলে অল্পবিস্তর সুনামও হয়েছে নবীন ইংরিজি শিক্ষক হিসেবে। পরে লক্ষ্য করে দেখেছি তাকে দেখতেও ভালো, যাকে বলে মনোরম, আলাপ হলে মন ভালো হয় এমনটা, প্রথম ধাক্কায় যদিও আমি ভুল ধারণা করে নিয়েছিলাম এমনকী সে বিষয়েও। কলকাতায় গেলে তার বাড়িতে আমাকে দু দিন থাকতে হয়, তার অত্যাচারে নানা আঁতেল সিনেমাও দেখতে হয়, এবং তাদের দুটি ফুটফুটে চমৎকার শিশুর নতুন নতুন কীর্তিকলাপ দেখে মুগ্ধ হওয়ারও সুযোগ হয়।

ঠিক বিপরীত মেরুতে সেই দ্বিতীয় বালকের গল্প। এটি সুখের কাহিনী নয়, তাই বিশদে গিয়ে আপনাদের বিরক্ত করতে চাই না। কিন্তু ঐ মধুভাষণ শেষ হয়েছে, তার পরে যে অধ্যায় তাতে আশাভঙ্গের বেদনাটা বড়োই প্রবল। আশা ভঙ্গের অপরাধে আমরা অনেকেই দোষী, তাই তাকে আলাদা করে দোষ দেবো না। কিন্তু ঐ যে ফার্স্ট ইম্প্রেশন, সে ব্যাটাকে ছেড়ে দিতে মন চায় না। এইখানে আরেকটা কথা আছে। সেই যে এলিভেটরের ভদ্রমহিলা, তার উদাহরণ দিয়েও সেটা বোঝানো যায়। যে সব অনুষঙ্গ আমাদের মনে একটা কোনো ছবি এঁকে ফেলে, তারা কিন্তু বয়ে আসা শৈবালের দল নয়, বরং মানুষ নিজেই তার পরিপার্শ্বের এই সব ছোটো ছোটো ডিটেইলস বেছে নেয়। ঐ ভদ্রমহিলা হয়তো নিজেই দোকানে গিয়ে পারফিউমটি কিনেছেন, এবং অনেক রকম গন্ধের মধ্যে থেকে বেছে ওটিই যে নিয়েছেন তার একটা বড়ো কারণ এইটা হতে পারে যে তিনি নিজেকে যেই ভাবে দেখতে চান বা দেখতে পান, তার সাথে ঐ সুবাসের ইমেজারি বা চিত্রকল্পগুলো মিলে যায়। অন্যের চোখে কী ছবি আমরা আঁকি তার কথা বাদ দিলেও, আমাদের নিজেদের দৃষ্টিতেও আমাদের একটা ছবি থাকে। সেটা যে পুরোপুরি ভুল বা মিথ্যা তাও নয়। এবং নিজেকে আমরা সাজিয়েও তুলি সেইভাবে, রূপরসগন্ধবর্ণের নানা উপচারে। সব মিলিয়ে সৃষ্টি হয় এক মায়ার, যার পুরোটা মিথ্যে নয়। খানিকটা আমরা চাই অন্যে ভাবুক আমার বিষয়ে, আর খানিকটা আমরা নিজেরাও বিশ্বাস করে নিই, হয়তো এই ভেবেই যে বিশ্বাস করতে করতেই একদিন এই সব দিকচিহ্নগুলি আমাদের সত্ত্বায় উপস্থিত হবে। সব কটিকে যে আত্মস্থ করতে পারি তা নয়, কিন্তু কিছু গুণাবলী তো সত্যিই এসে যায় চরিত্রে। গভীর অন্তর্মুখী বালকটি হয়ে ওঠে বক্তিয়ার খিলজী, সামাজিক সুরে গলা মিলিয়ে এক দিন বাংলা সিনেমা তার প্যানপ্যানে লাগতে থাকে, ভুলে যায় বালকবয়সের স্মৃতি যখন টিভিতে ঝিন্দের বন্দী দেখতে না পেয়ে মনখারাপে ছেয়ে গিয়েছিলো তার মন। এভাবেই নানা স্রোতের টানে ভাসতে ভাসতে মানুষ বদলে যেতে থাকে, কিছুটা ইচ্ছে করেই, আর বাকিটা নিজেরও অজান্তে। তারপর এক নিরালা বিকেলে হঠাৎ একটা গন্ধ ভেসে আসে বারান্দা দিয়ে, খুব চেনা শৈশবের গন্ধ, ঠাকুরঘরের ধূপধুনো আর রান্নার ফোড়নের মিশেল, তখন এক মুহূর্তে সাত সমুদ্দুরের পার থেকে ভেসে ওঠে সেই প্রথম যুগের ছবি, সিপিয়ায় আঁকা সেই ফার্স্ট ইম্প্রেশনের ছবিখানা। আপনার সাথে হয়নি এমনটা? সেই গল্প শোনার আশায় রইলাম।


মন্তব্য

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

দারূণ লাগলো পড়তে ...

ফার্স্ট ইমপ্রেশনের মত আরেকটা জিনিস মাথায় আসলো, ব্লগ ইমপ্রেশন ... চিনি না জানি না এমন একটা মানুষের ব্লগ যখন পড়ি তখন নিজের অজান্তেই তার সম্পর্কে একটা ইমপ্রেশন তৈরি হয়ে যায়, খানিকটা তার চেহারা বা এপিয়ারেন্স নিয়ে, আর অনেক বেশি তার আচরণ-কথাবার্তা নিয়ে ... অনেকের সাথে সেটা মিলে যায়, অনেকের সাথেই কিন্তু মিলে না দেঁতো হাসি
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

মূলত পাঠক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ কিংকংভাই। হাসি

এইটা একটা ভালো আইডিয়া দিলেন, এইখানের ব্লগারদের নিয়ে একটা গেসিং গেম করা যায় কিন্তু।

হিমু এর ছবি

আরো মজা হয়, যদি সাথে ছবি থাকে হো হো হো । ধরুন, রাফ স্কেচ। আপনি আর সুজনদা সময় দিতে পারলে এটা একটা খুবই মজার খেলা হবে। কয়েদীদের যেমন উচ্চতা আঁকা একটা দেয়ালের সামনে দাঁড় করিয়ে ছবি তোলা হয়, তেমনি করে দাগকাটা ব্যাকগ্রাউন্ডে পাশাপাশি বেশ ক'জনকে দাঁড় করিয়ে দেয়া যাবে, যদি ছবিটা ট্র্যান্সপারেন্ট ব্যাকগ্রাউন্ডে আঁকা হয়।

যদিও নানা আড্ডাফাড্ডার (যতসব মোশরেকি ব্যাপারস্যাপার) সুবাদে প্রায় সবাই সবাইকে দেখে ফেলেছে, কিন্তু যারা অন্যদের দেখেনি, তারা বর্ণনা দিতে পারেন।

উদাহরণ দিই। আমি যেমন অতিথি সচল অবাঞ্ছিতকে দেখিনি। আমার আন্দাজ, তিনি পুরুষ, উচ্চতা পাঁচ ফিট ছয় ইঞ্চির মতো, মোটাসোটা মানুষ, চুল ছোট ছোট করে ছেঁটে রাখেন, চোখে সরু ফ্রেমের চশমা পড়েন, গোঁফ আছে, মুখ আয়তাকৃতির, উন্নতনাসা।

সচল তুলিরেখা উচ্চতায় পাঁচ ফিট এক ইঞ্চি, মোটাসোটা মানুষ, চুল বব কাট করা, বড় ফ্রেমের চশমা পড়েন, মুখ উপবৃত্তাকার, অবনতনাসা।

সচল নিবিড় উচ্চতায় পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি, রোগাপাতলা মানুষ, রিমলেস ফ্রেমের চশমা পড়েন, চুল একটু বড় এবং ব্যাকব্রাশ করা, মুখ লম্বাটে (ল্যানসিওলেট), অবনতনাসা।

অতিথি সচল চশমাওয়ালি উচ্চতায় চার ফুট দশ ইঞ্চি, মোটাসোটা মানুষ, রিমলেস ফ্রেমের চশমা পড়েন, চুল মাঝারি, মুখ গোলাকৃতি, অবনতনাসা। পাশাপাশি সম্ভাবনা আছে, ইনি আসলে চশমাওয়ালা, উচ্চতায় পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি, মোটাসোটা মানুষ, চশমা পড়েন না, চুল একদিকে সিঁথি করা, মুখ আয়তাকৃতি, উন্নতনাসা।

সচল বন্যা উচ্চতায় পাঁচ ফুট, মোটাসোটা মানুষ, চশমা পড়েন না, চুল মাঝারি, মুখ লম্বাটে (ল্যানসিওলেট), উন্নতনাসা।

বাম প্যানেলে সদস্য সূচীতে গিয়ে লগ ইনের ক্রমানুসারে যাদের চেহারা কখনো দেখিনি তাদের মধ্যে থেকে প্রথম পাঁচজনের চেহারার আন্দাজ বর্ণনা করলাম।

এবার মূলোদা পেন্সিল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ুন!



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

স্নিগ্ধা এর ছবি

১) চশমাওয়ালী আমাকে আজকেই বলসে সে ১০০% ওয়ালী, কারণ আমিও তার ওয়ালাত্ব ভার্সাস ওয়ালীত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করসিলাম ...

২) সচল বন্যা লম্বায় ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, একটুও মোটা না, চুল কান পর্যন্ত, বাকিগুলা মিলসে মোটামুটি ...

৩) মূলত পাঠক - আমিও মনে করি এটা একটা খুবই ইন্টারেস্টিং খেলা হবে! আলস্য ত্যাগ করে শুরু করবেন নাকি?

হিমু এর ছবি

ফাঁস করে দিলে তো খেলাটার মজা আর থাকে না।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

রণদীপম বসু এর ছবি

তাড়াতাড়ি শুরু করেন। অবাঞ্চিত আর নিবিড়ের স্কেচটা দেখতে বড় মঞ্চায় !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মূলত পাঠক এর ছবি

সে না হয় বিস্তারে কথা হবে, কিন্তু আপনার কল্পনায় সব কয়জন সচলাই মোটাসোটা মানুষ ক্যান কন দেখি? হাসি

হিমু এর ছবি

মাত্র দুইজনের কথা বললাম তো, ওনাদের লেখা পড়ে মনে হয় ওনারা মোটাসোটা। রোগা সচলাও আছেন। যেমন ধরুন সুলতানা পারভীন শিমুল। উনি রোগাভোগা, উচ্চতা পাঁচ ফুট, চশমা পড়েন না, চুল কাঁধ পর্যন্ত, মুখ গোলাকৃতি, অবনতনাসা।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

মূলত পাঠক এর ছবি

দুইজন কোথায়, আমি তো তিনজনের কথা দেখলাম, চশমাওয়ালি, বন্যা, তুলিরেখা।

খেলা তো শুরু করাই যায়, আমি যেহেতু অনেকেরই ছবি অবধি দেখি নি কাজেই বাধা নেই। সুজঞ্চৌধুরি কোথায়?

সুজন চৌধুরী এর ছবি

দারুন মজা পেলাম লেখাটা পড়ে।
গন্ধ নিয়ে আমারো স্মৃতি আছে ১টা তবে সেটা মনোরম না ( সেই গল্প আমার চেয়ে ভালো সুমন চৌধুরী বলতে পারবে, ওরেই বলবো নে বলতে)

গেস-গেইমটা তোফা আইডিয়া!
তবে আমার ১টা সমস্যা হলো আমি ১বার সচলদের চেহারা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছিলাম আয় তোদের মুণ্ডুগুলো দেখি ফুটোস্কোপ দিয়ে - ১ যাদের ফটো পেয়েছি তাদের সেটা দিয়েই ক্যারিকাচের করেছিলাম..... সমস্যাটা হয় প্রকৃতি প্রেমিককে নিয়ে তারে কোনদিন দেখিও নাই ফটোও পাই নাই ...কি আর করা ঐ
গেস-গেইমই খেলতে হৈলো!
আমার অবশ্য খেলতে ভালোই লাগে ... হেহেহে
তবে দাদা আগে আপনে শুরু করেন।


লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ

রণদীপম বসু এর ছবি

শিক্ষানবিশের নামটা আমি প্রস্তাব করলাম। তয় আগে তাঁর দুয়েকটা পোস্ট পইড়া তারপরে পেন্সিল ধইরেন কইলাম !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

দময়ন্তী এর ছবি

হ্যাঁ এইটা হেব্বি ভাল আইডিয়া৷ শুরু করে দেন৷
(ভাগ্যিস আমি ফেসবুকে নাই)
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

সুজন্দা আমার একটা খোমা বানাইসিলেন মনে আছে? দেঁতো হাসি
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

অবাঞ্ছিত এর ছবি

তিনজন না বস্, আমি তো চারজন পড়ছি!!

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বস, আপনের এই কমেন্ট দেখেতো আমিও টাশকি খায়া গেছি। আরে আমিও তো আপনেরে মহামান্য সচল (পুং) ভাবছি। উচ্চতা সাড়ে পাঁচ ফিটের একটু বেশি। গায়ের গড়ন মোটামুটি, মানে এ্যাথলেটিক ফিগার। গাত্রবর্ণ শ্যাম। সাদা শার্ট বেশি পরেন। চুল রেশমি না, আবার ওবামার মতো কোঁকড়ানোও না। বাম থেকে ডানে সিঁথি করেন। একটু ফিটফাট থাকেন।

আর আপনে আইসা এইটা কী শোনাইলেন, কুঞ্চাইন দেহি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অবাঞ্ছিত এর ছবি

এইটা একটা গুপণ কথা। লিঙ্গ একটা ভ্রান্ত ধারমা।

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

দময়ন্তী এর ছবি

হিমু সবাইকে নাকচ্যাপ্টা বলছেন কেন?? এর পেছনে মনস্তাত্বিক ব্যাখ্যাটা কী?
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

মূলত পাঠক এর ছবি

আমারও সেইটা প্রশ্ন! সাইকোলজিস্ট কেউ আছেন নাকি, তাইলে হিমুর মগজটা ইক্টু কাটাছঁেড়া করেন না।

হিমু এর ছবি

বলতে না বলতেই আরেকজন অবনতনাসা, পাঁচফুট চার ইঞ্চি, কাঁধেছাঁটা চুল, উপবৃত্তাকার মুখ, বাইফোকাল পরকলাধারিণী, শীর্ণকায়া দময়ন্তীর মঞ্চে প্রবেশ ... হাসি



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

দময়ন্তী এর ছবি

আবার গালফোলা বলে! আপনার নামে আমি উচ্চতর আদালতে কেইস করব৷ রেগে টং
আর সমস্ত বঙ্গললনাই মোটেই নাকবোঁচা নয়৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

তুলিরেখা এর ছবি

হায় হায় হিমুর গেসওয়ার্কের এই অবস্থা!
আমারে চশমা পরা গোলমুখ বানাইয়া দিসে, আর এই ৫০ কেজি টিঙটিঙারে কইসে মোটাসোটা! হো হো হো
কইসি না চশমা নাই, চুল খোঁচাখোঁচা, পাঁচ ফুট তিন, টিঙটিঙা কাকতাড়ুয়ার মতন চেহারা। হাসি
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

হিমু এর ছবি
তুলিরেখা এর ছবি

জ্বী।
হাসি

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

চশমাওয়ালি এর ছবি

মোটাসোটা বললেন, হজম করলাম। চশমাওয়ালা বললেন সেইটাও না হয় কাষ্ঠ হাসি হেসে উড়িয়ে দিলাম। তাই দেখে দৈর্ঘ্য থেকে একেবারে সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি মেরে দিলেন???
এ তো ডাকাতি!

কইষা দিক্কার জানাইলাম। তবে খেলাটা পছন্দ হয়েছে।

অবনতনাসা মানে কী? নাক চেপ্টা?

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

হিমু এর ছবি

সবাই দেখি খালি আগেভাগে বলে দেয়। বাকিদের চান্স দেন্না খেলতে!



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- চশমাওয়ালিকে মনে করলে যাকে চোখে ভাসে তিনি কোনো এক হাই স্কুলের বাংলার ম্যাডাম। কাঠখোট্টা কিসিমের। মৃদুভাষী। চোখ টানাটানা থাকাতে চেহারায় রাগান্বিত ভাবটা ফুটে ওঠে বেশি। হাড্ডিসার। চাপাভাঙা, মানে চোয়াল দেখলে কঙ্কালের কথা মনে হয়। চুল পাঙ্ক করা। ঘুরায়ে প্যাচায়ে উপরে নিয়ে ঝুঁটি বাঁধা। চোখে মোটা রিমের হাই পাওয়ারের চশমা। অইটা খুললে দুনিয়া আন্ধার।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অবাঞ্ছিত এর ছবি

আমার আন্দাজ, তিনি পুরুষ, উচ্চতা পাঁচ ফিট ছয় ইঞ্চির মতো, মোটাসোটা মানুষ, চুল ছোট ছোট করে ছেঁটে রাখেন, চোখে সরু ফ্রেমের চশমা পড়েন, গোঁফ আছে, মুখ আয়তাকৃতির, উন্নতনাসা।

হা হা হা হা হা !

সবার নাকেই দেখি চশমা লাগায়ে দিলেন! পড়ে মনে হইলো যেন আয়নার সামনে দাঁড়ায়ে আছি দেঁতো হাসি

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

আমি বড়সড় ধাক্কা খাইছিলাম ব্লগার জ্বিনের বাদশার ছবি দেখার পর ... আমার ধারণা ছিল উনি হবেন ছয়ফুটি, মাথায় ঘন ঝাঁকড়া চুল, আর বুক সমান না হইলেও বেশ বড় ঘন কালো দাড়ি দেঁতো হাসি
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

হো হো হো

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

হিমু এর ছবি

টিনটিনের সেভেন ক্রিস্টাল বলসের সেই প্রফেসর ট্যারাগনের কথা মনে পইড়া গেলো বর্ণনা শুইনা দেঁতো হাসি



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অতিথি লেখক এর ছবি

আমারও ভাই আপনাদের সবাইকে ঘিরে অনেক কৌতুহল।আপনাদের সামনা-সামনি দেখারও অনেক শখ।
কিছু একটা কি করা যায়? পরিনতরা একটু ভেবে দেখবেন কি? খাইছে
/
ভণ্ড_মানব

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

সচলের ব্লগারদের নিয়া একটা রহস্য গল্পের প্লট চইলে আসলো যে মাথায় !!!! থাঙ্কু টু কিংকু ভাই আর পাঠুদা !!!

-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

মূলত পাঠক এর ছবি

তবে আর কী, লিখ্যা ফালাও। দেরি কীসের?

তুলিরেখা এর ছবি

চমৎকার! খুব ভালো লাগলো।
ইস্কুলে থাকতে আমি একবার একজনকে প্রায় ভিনগ্রহী ভেবে ফেলেছিলাম, ফার্স্ট ইম্প্রেশন। পরবর্তীকালে সে অবশ্য খুবই কাছের বন্ধুনী হয়েছিলো, সে যে পার্থিব সেই ব্যাপারে আর কোনো সন্দেহ ছিলো না। হাসি

অফটপিক: আমি রোজ মেইল চেকাই, কিন্তু--
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

থাংকু।

আট্টু ধৈর্য ধরেন রাগ না করে, জানি খুব বাজে হচ্ছে এতো দেরি করাটা, কিন্তু ভীষণই ফাঁকিবাজিতে পেয়েছে। হাসি

রেশনুভা এর ছবি

আমি তো প্রথম দেখাতেই কত্ত কত্ত বালিকারে ভালু পাইলাম। কিন্তু তাঁরা কেউ আমারে ভালু পায় না ... মন খারাপ

মূলত পাঠক এর ছবি

তাঁরা কেউ কি পরের ইম্প্রেশনেও আপনেরে ভালু পায় না? আহহারে!

চেষ্টা চালায়া যান, নবার্ট (নব-রবার্ট) ব্রুসরে দেইখ্যা শিখেন!

বর্ষা এর ছবি

হা হা হা পাঠকদা র এই নবার্ট পছন্দ হইল। ********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

মূলত পাঠক এর ছবি

ধন্যবাদ বর্ষা।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার আর আমার থেকে ৪ বছরের বড় ভাই দুজনেই পালাক্রমে একটা মেয়ের সাথে ফোনে কথা বলতাম। না দেখেই তাকে ঘিরে তৈরী হয়েছিলো আমাদের 'ফার্স্ট ইম্প্রেশন'।দুজনেই অন্তত একটা বিষয়ে একমত ছিলাম...মেয়েটি ছিপছিপে লম্বা গড়নের এবং চশমাপরিহিতা (সকল নারীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বলছি...কেন জানি অদৃশ্য সুকন্ঠী মেয়েদের রূপ এভাবেই আমরা নির্ধারণ করতাম!)।ফোনে কথা বলেই মেলাদিন কেটে যায়। তারপর কোন এক বৈশাখের প্রথম দিনে সকালে আমার ভাই একদিকে দৌড় দেয়, বিকালে আমি আরেকদিকে দৌড় দেই।
'ফার্স্ট ইম্প্রেশন' কখনোই ব্যক্তির পুরোটা বুঝাতে পারে না--এ কথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। দয়া করে উপরের ঘটনার সাথে এই বিশ্বাসের যোগসুত্র খুঁজবেন না।
/
ভণ্ড_মানব

মূলত পাঠক এর ছবি

ফার্স্ট ইম্প্রেশন মেলে না অনেক সময়ই, কিন্তু কখনো কখনো মিলেও যায়, আর সেটাই তো মজা। সেজন্যই নিশ্চিত হয়ে আশা ছেড়ে দেওয়া যায় না, যদি এই মেয়েটি সত্যি সত্যি পরমাসুন্দরী হতো? হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ফার্স্ট ইম্প্রেশন' কখনোই ব্যক্তির পুরোটা বুঝাতে পারে না--এ কথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি

এক মত ভণ্ড_মানব ভাই এর সাথে
জলপুত্র তথাস্থু,

নৈষাদ এর ছবি

আমার ক্ষেত্রে কাউকে সরাসরি দেখার পর যে ইমপ্রেশন হয় তার চেয়ে ব্লগ ইমপ্রেশনের ব্যাপারটা অনেক জটিল মনে হয়েছে। স্বীকার করে নিতে হয় আমি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুরাপুরিই বিভ্রান্ত হয়েছি। এও স্বীকার করি ব্লগমন্ডলে আমি নিজেই নতুন।

নজরুল ইসলামকে মনে করেছিলাম চশমা পড়া, গম্ভীর অধ্যাপক টাইপের একজন, পরে দেখলাম হৈ হৈ করা মডেল টাইপের এক যুবক। প্রহরীর ছবি দেখেও পুরাপুরি বিভ্রান্ত হয়েছি (হয়ত বিডিয়ারের একটা ইমপ্রেশন কাজ করেছে।)। সবুজ বাঘের লেখার স্টাইল দেখে যে ছবি এঁকেছিলাম তাঁর সাথে বাস্তব ছবির কোন মিল নেই। সবজান্তাও ছিল আরেক চমক (কেন জানি বেশি বয়েসের কাউকে আশা করেছিলাম)। দুষ্ট বালিকার আঁকা ছবি এবং বাস্তব ছবি অনেকটা কাছাকাছি ছিল। অন্যদের ব্যাপারে পরে লিখব হয়ত। তারেক রহিমের সাথে একদিন দেখা হয়েছিল, কোন এক কারনে মনে হওয়ায় জানতে চেয়েছিলাম লেখালেখি করে কিনা? সরাসরি অস্বীকার করেছিল। পরে জানলাম তিনিই সচলায়তনের তারেক।

আমার কথাই বলি। আমার সাথে সচলায়তনের প্রথম দিকের একজন সচলের পরিচয় আছে, মাঝে মাঝে দেখাও হয়। তিনি প্রায় সব সচলকেই চিনেন এবং তাঁকেও প্রায় সকলেই চিনে। আমার ধারনা তাঁর ধারনার মধ্যেও নাই আমি ব্লগে লেখার চেষ্টা করতে পারি...!!!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ফোনে এক বালিকার সাথে অনেক কথা হইতো। বেশ সুরেলা কণ্ঠ। সেইটা শুনে তার একটা চেহারা দাঁড় করাইছিলাম মনে মনে। যেদিন দেখা হলো, দেখলাম আমার কল্পনার এক ফোঁটাও মেলেনি!
...................................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

মূলত পাঠক এর ছবি

সকলেরই দেখি একপিস করে সুরেলা ফোনবালিকা রয়েছে, এতো বালিকা আসে কোত্থেকে?

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব ই ভালো লাগাল পাঠক দা
প্রথম ইমপ্রেশনের ব্যাপার টা আমার কাছে
চক চক করলে সোনা হয় না
এই রকম মনে হয়

জলপুত্র তথাস্থু,

মূলত পাঠক এর ছবি

ঠিকই। তেমনি অনেকে প্রথমে তেমন চমকদার হয় না, কিন্তু ধীরে ধীরে ভালো লাগে।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

আমি পান্থের লেখা পইড়া ভাবছিলাম... পান্থের উল্টা!
নজমুল অপু ভাই, বিশাল লম্বা-চওড়া আর একটু রাশভারী...কিয়েরকী!
আর মূলোদা, আপনাকে তো মুরুব্বী-ই বানায়া দিসিলাম চোখ টিপি

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

মূলত পাঠক এর ছবি

যাক, শেষ পর্যন্ত কেউ আমাকে নিয়ে কিছু বললো। আমি তো মোটামুটি ঠোঁট ফুলিয়ে বসতে যাচ্ছিলাম, এতোই কি ফ্যালনা যে কেউ হালায় একবার কেলেকুচ্ছিত বলেও কল্পনা করে না!

রেশনুভা এর ছবি

মূলোদা মুরুব্বী না? ... খাইছে

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

মনের বয়স উনার সবে আঠেরো চোখ টিপি

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

মূলত পাঠক এর ছবি

মুরুব্বীদের লইয়া রসিকতা করো?

মামুন হক এর ছবি

আপনাদের কঠিন একটা খেলা দেই... আমার চেহারাটা গেস করেন দেখি দেঁতো হাসি

রেশনুভা এর ছবি

এই মুহুর্তে সচল যাঁরা আছেন অনলাইনে, এদের মধ্যে দ্রোহী ভাইরেই কোন ফুটুকেও দেখি নাই।
আমার ধারণা দ্রোহী ভাই পাঁচ ফিট পাঁচ, উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ, সাধারণ স্বাস্থ্য, চ্যাপ্টা নাক ও হালকা টাক আছে।
দেঁতো হাসি

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

দ্রোহীদাকে নিয়ে একটা কথাই বলতে পারি, উনি পাশ থেকে আলেকজান্ডার বো এর মত দেখতে চোখ টিপি

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

হিমু এর ছবি

(গড়াগড়ি দিয়া হাসি)

(গড়াগড়ি দিয়া হাসি) (গড়াগড়ি দিয়া হাসি)

(গড়াগড়ি দিয়া হাসি) (গড়াগড়ি দিয়া হাসি) (গড়াগড়ি দিয়া হাসি)

(গড়াগড়ি দিয়া হাসি) (গড়াগড়ি দিয়া হাসি) (গড়াগড়ি দিয়া হাসি) (গড়াগড়ি দিয়া হাসি)

(গড়াগড়ি দিয়া হাসি) (গড়াগড়ি দিয়া হাসি) (গড়াগড়ি দিয়া হাসি) (গড়াগড়ি দিয়া হাসি) (গড়াগড়ি দিয়া হাসি)

তীব্র দিক্কার জানিয়ে গ্লুম!



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

মূলত পাঠক এর ছবি

অজ্ঞানতা ক্ষমা করা হোক, কিন্তু তিনি কিনি? ছবির একটা লিঙ্ক দ্যান না!

ভুতুম এর ছবি

মূলোদা আমার ধারণা দেখতে দীপক তিজোরির (গত শতাব্দীর হিন্দি সিনেমার নায়ক) মতো। উচ্চতা পাঁচ ফিট সাত, চশমা পরেন, চেহারা লম্বাটে, তবে গালদুটোতে কিছুটা চর্বি জমে ভারী। মাঝারি গঠন, চুল যথেষ্ট ঘন, ব্যাকব্রাশ করা।

মিললো কিছু?

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

মূলত পাঠক এর ছবি

কিছু মিলেছে, সবটা নয়। তবে কেমন যেন সন্দেহ হচ্ছে আপনি একটু ফেসবুকে গুঁতো মেরে বললেন, না দেখে ঐ সবটা বোধ হয় বলা সম্ভব না। হাসি

ভুতুম এর ছবি

আপনাকে তো ফেসবুকে চিনি না, মন খারাপ বৃথাই সন্দেহ কর্লেন। আপনার নামে রাজর্ষি আছে এতটুকুই জানা। তবে এখন একটা সার্চ দিয়ে দেখে চক্ষুমনেরবিভাদভঞ্জন করে নিচ্ছি। হাসি

-----------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

মূলত পাঠক এর ছবি

সন্দেহের কারণ ঐ প্রদীপসিন্দুক ভদ্রলোকের সাথে সাদৃশ্যের কথা, এই অভিযোগ আগেও শুনেছি যে! আর তেনাকে আমার এতটুকুও পছন্দ না, শুধু চেহারা নয়, কাজেকম্মেও। গত ক'বছর তিনি ছবি পরিচালনা করেন, প্রতিটা ছবিই ভয়ানক রকমের খারাপ!

বিবাদ ভঞ্জন হলো?

আলমগীর এর ছবি

খুব যত্ন করে প্রতিটা লেখা লিখেন আপনি। পড়ে আরাম হয়। কিন্তু তারা কই গেল?
আরেকটা কথা, সবাই যেভাবে মুলোদা, পাঠাদা বলা শুরু করেছে কদিন বাদে কিন্তু আপনি মুলো না হয় পাঠাতে গিয়ে ঠেকবেন দেঁতো হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, আলমগীর। পাঠকের পড়ে যাতে ভালো লাগে সে চেষ্টা কিছুটা সফল হলেই আমি খুশি, এই স্বল্পপ্রাণ লেখাগুলির দাবি খুব বেশি নয়।

তারা মানে তাহারা না তারকা? তারকা তো আছে দেখছি, আর তাহারা হলে কাহারা সেইটা খুলে বলেন। হাসি

মূলোছাপ লেখা তো কপিরাইট নেওয়ার কথা হচ্ছে, আর পাঁঠা তো সবচেয়ে সুস্বাদু প্রাণী, তবে এখনো পাঠুদা অবধি শুনেছি, আ-কার দিয়ে শেষ হয়নি। হাসি

আলমগীর এর ছবি

আমি তো তারকার কথাই বলছিলাম, আপনি তো এখন সিরাতের কথা মনে করিয়ে দিলেন চোখ টিপি
আ-কার খসে গেল বলে।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

চমৎকার লাগলো লেখাটা।

আপনার তৃণসম লেখাটা পড়ার সময় এরকম একটা কথা মাথায় এসেছিলো। ফার্স্ট ইম্প্রেশন, স্টেরিওটাইপিং বা জেনারেলাইজেশন - এগুলোর তো একটা বড় অবদান আছে যে কোন ধরনের বৈষম্যকরনের পেছনে। আবার এগুলোর কিন্তু স্বীকৃত ব্যবহারিক প্রয়োগও আছে - যেমন সামরিক বাহিনীতে শেখানো হয় কি করে ফার্স্ট ইম্প্রেশন বা ইন্সটিংক্টকে কাজে লাগিয়ে জীবন বাঁচাতে হয়। ইফ সামথিং ফীলস ব্যাড অন দ্য ফার্স্ট লুক, ইট ইজ প্রোব্যাবলি ব্যাড - এ জাতীয় একটা মন্ত্র আছে ওদের। এই ফার্স্ট ইম্প্রেশনের দ্বান্দ্বিকতা নিয়ে আলাদা আলোচনা হতে পারে কখনো।

স্বীকার করি আপনার সব লেখা পড়িনি, কিন্তু এই "দিনগুলি মোর" সিরিজ কি আগে দেখেছি? সন্দেহ হওয়াতে পেছনের লিঙ্কগুলো ক্লিকিয়ে দেখলাম। "চেনা সকাল" আর "পুরনো শহর এক" যে এই সিরিজের অন্তর্ভুক্ত ছিলো না সেটা নিশ্চিত, বাকিগুলো মনে করতে পারছি না। যাহোক, এত কথা বলার মানে কিন্তু অভিযোগ করা নয়। বরঞ্চ খুবই ভালো হচ্ছে সিরিজটা। একদিক দিয়ে আপনার অ্যাপ্রোচটা বেশ কাজের, জোড়েসোরে ঘোষনা দিয়ে সিরিজ শুরু করে তারপর খেলাপী হবার চাইতে আগেই পর্বগুলো লিখে ফেলা।

একটু অফটপিক, শেষ লাইন পড়তে গিয়ে "পোরট্রেইট ইন সিপিয়া"র কথা মনে হলো। বইটা পড়েছেন?

মূলত পাঠক এর ছবি

ঠিকই, জেনেরালাইজেশন মানেই খারাপ জিনিস তা তো নয়। ঠিক যেমন 'রেস' শব্দটা ভয়ানক কিছু নয়, এবং জাতিগত কিছু বৈশিষ্ট্য তো থাকেই, প্রতিটি মানুষের মধ্যে না হলেও অনেকের মধ্যেই। সে বিশেষত্ব যতক্ষণ কাউকে ছোটো ব ডিসক্রিমিনেট করার জন্য ব্যবহৃত না হয় ততক্ষণ সমস্যা তো দেখি না। আপনি ঐ দ্বন্দ্ব নিয়ে লিখে ফেলেন না একখানা পোস্ট।

'দিনগুলি মোর' বলে কোনো সিরিজ আগে ছিলো না। লিখতে লিখতে দেখলাম ইদানিং দিনপঞ্জী গোত্রের লেখা প্রায়শই লিখছি, তাই তাদের এক সূত্রে গঁেথে ফেললাম। আপনার যদি ভালো লেগে থাকে তো এই সিরিজের প্রথম লেখাটা পড়তে অনুরোধ করবো, আশা করি ভালো লাগবে।

পড়ি নি বইটা, ত্রুটি স্বীকার করি, আমার পড়াশুনা ততো গভীর নয়, অনেক বইয়েরই নাম অবধি শুনি নি। একটু লিখুন বইটা নিয়ে, আগ্রহসঞ্চারী হলে অবশ্যই পড়ার চেষ্টা করবো।

অফটপিক: এই লেখায় বালিকা কম রেখেছি, সে নিয়ে মন্তব্য শুনলাম না যে? হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ধর্ম্মপুত্রের উচ্চতা পাঁচ ফিট সাড়ে ছয়। গায়ের রঙে তিনি হিমুকেও হার মানান। মাথায় ঝাঁকরা চুল। মোটাগাটা। মেদভূঁড়ি কী করি সংক্রান্ত জটিলতায় আছেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আহির ভৈরব এর ছবি

বেশ কিছুদিন সচলায়তনে না আসতে পারায় দেখছি অনেক ক'টা ভালো লেখা মিস করে গেছি।

বরাবরের মতোই খুব ভালো লাগলো লেখাটা মুলোদা। আপনার লেখায় এতো সুন্দর একটা গতি থাকে যে পড়তে ভীষণ একটা আয়েস হয়।

ঝিন্দের বন্দী কে এভাবে পচালেন দাদা? একই ছবিতে উত্তম-সৌমিত্রের এমন সুন্দর অভিনয়, রাজস্থানের রহস্যময় মরুভূমি, কিশোরমনে এই ছবিটা এমনভাবে ছাপ ফেলেছিলো যে এখনো কেমন যেন একটা মায়া হয় তার জন্য! সেদিনই টিভিতে বহুবার দেখা প্রিজনার অফ জেন্ডা দেখাচ্ছিলো। খানিক্ষণ দেখলামও, কিন্তু ঝিন্দের বন্দীর সেই চেনা-চেনা ভালো লাগাটা ওতে কিছুতেই পাই না!
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

মূলত পাঠক এর ছবি

ভালো লেগেছে লেখা পড়ে, এটা তৃপ্তির কারণ অবশ্যই।

পচাই নি তো, ছোটোবেলায় ঝিন্দের বন্দী না দেখতে পেয়ে মন খারাপ হয়েছিলো, এই তো লিখেছি।

আহির ভৈরব এর ছবি

ও তবে আমার বোঝার ভুল। ভাবলাম ঝিন্দের বন্দীকে প্যানপ্যানের দলে ফেলে পচাচ্ছেন!

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

দময়ন্তী এর ছবি

এই লেখাটা আবার বেশ 'মূলোছাপ' ৷ দেঁতো হাসি
আমার বিশেষভাবে গন্ধ সম্পর্কে খুব পিটপিটানি আছে৷ ঐজন্য অনেক জায়গাতেই খুব সমস্যা হয়৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

মূলত পাঠক এর ছবি

মূলোরহস্য এখনো ধরতে পারি নি, তবে 'সঙ্গে আছি'। হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পাইছি আপনারে দন্তময়ী। খাড়ান বইকা লই আপনের ব্যাপারে।

আপনি লম্বায় পাঁচ ফুট দুই। জংলি ছাপার শাড়ি পরে থাকেন সবসময়। চুল ঘাড়ের একটু নিচে যায়, অধিকাংশ সময় খোলা থাকে। চোখ গোলগোল এবং মণি ভয়ানক রকমের কালো। উঁহু, চশমা পরেন না। আপনাকে মোটাসোটা দলেই ফেলা যায়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দময়ন্তী এর ছবি

খ্যা খ্যা খ্যা খ্যা হো হো হো
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব ভালো লেঘেছে। ফার্স্ট ইম্প্রেশন নিয়া তো মেলা কথা আছে। এই যেমন-ফার্স্ট ইম্প্রেশন ইস দ্য লাস্ট ইমপ্রেশন। আপনার লেখা পইরা মনে হইল এই কথাডারে ঝঁটা দিয়া পেডাই।

মহসীন রেজা

মূলত পাঠক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।

মাশীদ এর ছবি

আসলেই ফার্স্ট ইম্প্রেশান অনেক সময়ই আসল থেকে অনেক ভিন্ন হয়।
ভাল লাগল। অনেক লেখা পড়া জমে গেছে। দেখি আস্তে-ধীরে আপনার এই লেখা দিয়ে পড়া শুরু হোক। হাসি


ভাল আছি, ভাল থেকো।


ভাল আছি, ভাল থেকো।

মূলত পাঠক এর ছবি

পড়ে ফেলুন, আর কেমন লাগলো জানাবেন দয়া করে। খারাপ লাগলেও জানাবেন। হাসি

সাফি এর ছবি

লেখা ভাল লাগলেও মন্তব্যের খেলাধূলা আরো বেশী ভাল লেগেছে। আমার ধারণা, হিমু ভাইয়ের মতে ব্লগ নিয়ে কম্পুটারের সামনে বসে থাকলে মোটাসোটা হতে বাধ্য চোখ টিপি তবে কেন জানি আমার ও ধারণা ছিল চশমাওয়ালি একটু মোটাসোটা গোলগাল, ছোটখাট উচ্চতার, ফর্সা, ভাল মানুষ চেহারার, দু-পাশে দু বেণী করা সিনেমার আঁতেল আঁতেল চেহারার মতন দেখতে।
আর পাঠুদা একটু গম্ভীর, চশমা পরিহিত, সরু গোঁফ, মাঝারী উচ্চতা (৫'৯" জাতীয়), শ্যামলা।

মূলত পাঠক এর ছবি

চশমাওয়ালির কথা বলতে পারবো না, তবে আমার বর্ণনার কিন্তু মেলে নি বিশেষ কিছুই চশমা বাদে। অত্যন্ত ফাজিল, গোঁফটোফ নেই, উচ্চতা মাঝারি বললে বাড়িয়ে বলা হবে (বাঙালির ৫'৯" তো সুদীর্ঘ ব্যাপার, মাঝারি তারে কয় নাকি?), শ্যামলাও নই, ধবলকান্তি না হলেও। কাজেই... হাসি

যাক লেখা তো ভালো লেগেছে, সেই অনেক।

সাফি এর ছবি

ছি পাঠুদা, আপনি দেখি আত্মস্বীকৃত ফাজিল!

মূলত পাঠক এর ছবি

ফাজিল মানে যে ধুরন্ধরও হয় সেইটা জানেন তো? হাসি

স্পর্শ এর ছবি

ফার্স্ট ইম্প্রেশনেই নকয়াউট খাই মন খারাপ
আমি যে 'পোলা তো নয় আগুনেরও গোলা' সেটা কাউকে বুঝাতে পারলাম না। মন খারাপ


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মূলত পাঠক এর ছবি

আমরা বুঝেই বা কী লাভ! যাঁর বোঝার তিনি বুঝলেই তো হলো? তিনি বুঝেছেন তো? হাসি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

মূলোদা, লেখাটা পড়ে সেরাম মজা পাইলাম! আমি বাবা অতটা ইম্প্রেশান এর সাথে চেহারা মেলাইনা! রোজ রোজ এতো মানুষের সাথে দেখা হয়, এই কাজ করতে গেলে ধরা খাবার বিয়াপক সম্ভাবনা আছে!

আর আমার নিজেরতো ভাই আবার ছবি তোলার ব্যারাম আছে, তাই সবজায়গায় নিজের খোমার জ্বলজ্বল করা একটা পিচকার লাগায় দেই! মন খারাপ এখন মনে হচ্ছে তা না হলে খোমাটা নিয়ে একটু তামশা করা যাইতো! মন খারাপ

গন্ধে পিটপিটানি আছে আমারও, আর মানুষের সাথে প্রথম বার কথা বলে যদি একবার আমার তারে অপছন্দ হয় তবে সে চ্রম ভালু মানুষ হলেও তারে আমার লাইক হইবেক না!

আমার লাফঝাপ দেখে মানুষে আমারে দুষ্ট বালিকাই ভাইবা রাখে, সে আমি যতই গম্ভীর কথা কইনা কেন, একটা হাসি মুখে ঝুলায় রেখে মনে মনে ভাবে 'আহারে ছুডু মানুষটা' -এইটা আমার একেবারেই ভালু লাগেনা! ক্যান! আমি কি বড় হইনাই? আমার কী ভাবের কথা থাকতে পারেনা? মন খারাপ

----------------------------
ইহাসনে শুষ্যতু মে শরীরং
ত্বগস্থিমাংসং প্রলয়ঞ্চ যাতু।
অপ্রাপ্য বোধিং বহুকল্পদুর্লভাং
নৈবাসনাৎ কায়মেতৎ চলিষ্যতি।।

- ললিতবিস্তর

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

মূলত পাঠক এর ছবি

বালিকা যে বড়ো হবার প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে বোঝা যাচ্ছে, এমন কী সিগনেচারেও। খটোমটো সমোসক্রিতো দেখে কে বুঝবে যে এইটা একটা ছুডু মানুষ।

লেখা পড়ে মজা পেলেই কাজের কাজ হলো। হাসি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

হাহাহাহাহা! ভুল করলেন মূলোদা! বালিকা মোটেই বড় হতে চায়না, কখনই না! বড় হলেই বিপদ!

সিগনেচারের কথা যখন বলেই ফেললেন তখন এটার মানেটাও বলে দেই, আর এই শ্লোকটা উদ্ধৃত আছে অবনীন্দ্রনাথের 'নালক' এও!

ইহাসনে শুষ্যতু মে শরীরং
ত্বগস্থিমাংসং প্রলয়ঞ্চ যাতু।
অপ্রাপ্য বোধিং বহুকল্পদুর্লভাং
নৈবাসনাৎ কায়মেতৎ চলিষ্যতি।।

-- 'এই আসনে আমার শরীর শুষ্ক হোক, ধ্বংস হোক ত্বক, অস্থি, মাংস; [যতদিন] বহুকল্পদুর্লভ জ্ঞান অপ্রাপ্ত থাকবে [ততদিন] এই আসন থেকে দেহ সঞ্চালিত হবেনা।'

আমার ক্ষেত্রে এর ব্যাখ্যা ধরে নিন এইরকমঃ 'এই যে বসলাম, কম্পু ছেড়ে, অন্তর্জালে ঢুকে, [এখন] যতক্ষণ না মনের মতো জিনিস্পাতি পাবো, [ততক্ষণ] এই সুইভেল চেয়ার থেকে আমারে কেউ সরাইবার পারবেনা!'

সব কিলিয়ার? খাইছে

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

মূলত পাঠক এর ছবি

ফিউ গুড ম্যান থেকে জ্যাক নিকলসনের ভাষায় বলি, ক্রিস্টাল!

জুম্ম [অতিথি] এর ছবি

মূলোদা,
লেখা খুব ভালো লেগেছে। ফার্স্ট ইম্প্রেশন নিয়া বলে কথা।
ফাজিল মানে যে ধুরন্ধরও হয় সেইটা জানেন তো? হুম বুঝছি, নাইলে এত ভাল লেখা কেমনে হয়!!!

আচ্ছা আন্নে কনছে দেহি - আঁই কেন্নে, কেমুন??

মূলত পাঠক এর ছবি

জুম্ম ভাই (না কি বইন), ভাল্লেগেছে আমার জন্য আনন্দের কথা। তবে শেষে ঐটা কী বললেন ভালো বুঝলাম না। আপনি কেমন দেখতে সেইটা বলতে বললেন না কি? সেক্ষেত্রে বলি, উপরের মন্তব্যে দেখবেন, আমার আন্দাজের খেলা দর্শনের পরের ধাপ, না দেখে চেহারা আন্দাজ করার ক্ষমতা নেই একেবারেই। গলা শুনে চেহারা আন্দাজ করতে গিয়ে দেখেছিলাম খুব কমই মেলে। লেখা পড়ে আন্দাজ করা তো প্রায় অসম্ভব।

তুলিরেখা এর ছবি

আচ্ছা, এতদিন হয়ে গেল আপনার নতুন লেখা কই মূলত পাঠক?
বলি আমরা তো অপেক্ষায় থাকি, নাকি? চিন্তিত
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

এমন মন্তব্য পেলে দাড়িবুড়ো আউড়ানো যায়, মোর লাগি কেহ যদি etc etc হাসি

আসলে এক বন্ধু এসেছে এখানে, আমার বাড়িতেই আছে, তার সাথে আড্ডা দিয়ে খানাপিনা করে সিনেমা দেখে এবং হ্যালুইনের পার্টি-টার্টিতে গিয়ে লেখা নিয়ে যে দু কলম ভাববো তাই হয়ে ওঠে না। আর একেবারে যা হোক কিছু লিখে পোস্ট করাটা কাজের কথা নয়, তাই শুধু পড়ি। এই সব সময়ে আমার নিক'টা খুব কাজে লাগে, মূলত পাঠক তো তাই পাঠ করি। হাসি

লিখবো শিগগির, সিমনের সাথেও একটা কথা হয়ে আছে, সেটাও রাখতে হবে। আপনারা পড়ার আশায় থাকেন এইটা জেনে খুব আহ্লাদিত হই। তার উত্তরে ধন্যবাদ দেওয়া বেজায় রকমের অভদ্রতা হবে।

সিরাত এর ছবি

ওরে। এই কাম! চোখ টিপি

মূলত পাঠক এর ছবি

জ্বি, এই কাম হাসি

মুস্তাফিজ এর ছবি

মূলত পাঠক তো তাই পাঠ করি
ভাব লন, না?

.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.

...........................
Every Picture Tells a Story

মূলত পাঠক এর ছবি

অনেক দেরিতে পড়লাম কমেন্ট, ভাব নেই না গো দাদা, মাঝে মাঝে পাঠ করা কি খারাপ জিনিস, কন?

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

খাইছে। এই লেখা আগে চৌকে পড়ে নাইকা। বিস্তর পোস্ট দেখি !

মূলত পাঠক এর ছবি

বিস্তর? হাসি

রাহিন হায়দার এর ছবি

বিষয় ও ধরন, দুইই চমৎকার। চলুক
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

মূলত পাঠক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, রাহিন হায়দার।

রু (অতিথি) এর ছবি

খুব মজার একটা পোস্ট তো! কৌস্তুভকে ধন্যবাদ জানাই। খেলাটা আবার শুরু করা যায় কি?

নৈর্ব্যক্তিক এর ছবি

হৈ-হুল্লোড় পোস্ট।
ফাঁকতাল পেলেই সচলে ঢুঁ মারি। লিঙ্ক বেয়ে বেয়ে এ লেখা থেকে ও লেখা, তারপর আরেক লেখা এভাবে পড়তে দুর্দান্ত লাগে। আজকে খুঁজে বের করা সবগুলোই মাস্টারপিস। লাকি ডে!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।