অনেক দিন কিছু লিখি না সচলে, পড়াও হয় অনিয়মিত। আজ সকালে কাজ করতে করতে একটা গান শুনছিলাম, মনে হলো এমন গান ও তার ছবিটুকু সবার সাথে ভাগ না করলেই নয়, তাই চলে এলাম। গানটা যেহেতু হিন্দিতে, তার মুখরাটুকুর ভাব-অনুবাদ করে দিলাম। গানটা সুরেলা, কিন্তু আরো ভালো এর চিত্রায়ণ। কাশ্মীরের পটভূমিতে তৈরি "য়াহাঁ" (এখানে/হেথা) নামের সিনেমার গান, গুলজারের কথা ও শান্তনু মৈত্রের সুর, ছবির পরিচালক সুজিত সরকার। আগে পড়বেন না আগে গানটা দেখবেন/শুনবেন আপনার মর্জি, ইউটিউব থেকে এমবেড করলাম একেবারে নিচে।
কেউ যদি খোঁজে মোরে তাকে দিও হেনার লালিমা
তোমার আঙ্গুল দিয়ে স্বাক্ষরে এঁকে দাও শরীরের সীমা
রাতের আকাশ ছেড়ে চাঁদ এসে বসে চুপ আমাদের পাশে
সন্ধেও কাছেপিঠে ঘাসের উপরে শুয়ে আছে
আমরা চলেছি ভেসে বহু দূরে ঝিলমের জলে
পাহাড়ীয়া হাওয়া বুঝি নতুন দিনের কথা বলে
হিংসা অধ্যুষ্যিত উপত্যকার গল্প, পাহাড়ি মেয়ে ও আর্মিপুরুষের প্রেম নিয়ে। গানটার জন্য এটুকু জানলেই চলে। প্রেমের সন্তর্পন পদচারণা এখানে, ভয় আর শীতের ছবি আঁকা ধূসর আর নীল রঙে। লোকের চোখ বাঁচিয়ে তারা দেখা করে নির্জন পাহাড়ের ঢালে, পাইনের জঙ্গলে, আর সেই প্রেম ও শিহরনের স্মৃতি নিয়ে মেয়েটি হিল্লোলিত হয় বাকি বেলাটুকু। ডাললেকের পদ্মপাতারাও হিন্দোলিত হয় তার সাথে। নদীর বুকে নৌকা ভেসে যায়, তাতে শুয়ে আকাশ দেখতে দেখতে মেয়েটি ভাসে, জল ছোঁয়, নিজের মনেই হেসে ওঠে। গাছের ফাঁক দিয়ে রোদ্দুর এসে তার লাল চাদরে খুশির হিজিবিজি ছবি এঁকে দেয়। জানালায় বসে আকাশ দেখে মেয়েটি, হেসে ওঠে একা একাই। সরু কাঠের ব্রিজের উপরে দেখা হয় তাদের, ছেলেটি দাঁড়িয়ে অপেক্ষায়। এই মুহূর্ত আমার সব চেয়ে ভালো লাগলো, এতো সূক্ষ্নভাবে আঁকা সেই ছবি। ব্রিজের রেলিংয়ে ভর দিয়ে দাঁড়ানো সুদর্শন সৈনিকটি, পা বাড়ানো আড়াআড়ি ভাবে। মেয়েটি ছুটে আসছে দেরি হয়ে গেছে ব'লে, কিন্তু সে উচ্ছ্বাস দেখিয়ে ফেলে লাজুক হাসে। গাঢ় চোখে তাকিয়ে থাকে ছেলেটি, তার চোখে কামনা, কিন্তু সে অপেক্ষা করে, মেয়েটিই পায়ে পায়ে তার কাছে আসে। সমর্পণের মতো তার বাহু জড়িয়ে ধরে ছেলেটির শরীর, আনত মাথা ঝুঁকে পড়ে তার কাঁধে। ক্যামেরা নিচে নদীবক্ষে নৌকায় বসে তাদের দেখতে দেখতে যায়, যখন তাদের ছাড়িয়ে এগিয়ে যায় তখন দেখতে পাই উঠে আসে ছেলেটির হাত, জড়িয়ে ধরে মেয়েটিকে, আলিঙ্গন সম্পূর্ণ হয়।
গানের শেষে সুরের সাথে মিশে যায় পাহাড়ি বাণী, যা শুনেছিলাম গানের সূচনায়। এক স্বল্পালোকিত ঘরে গানটি শুরু হয়েছিলো বিচ্ছেদের আভাস নিয়ে, গানের শেষে আমরা আবার ফিরি সেই দৃশ্যে। বিদায়ের আগে শেষ আলিঙ্গনের মাঝে তাদের দুটি মন দেখে এলো একটা গোটা গান, অনুভব করলো প্রেমের কিছু মুহূর্ত। অশ্রু শেষ সত্য হলেও এই ভালোবাসাটুকু কুয়াশা হয়ে ভেসে থাকে গোটা উপত্যকায়।
গানটি গেয়েছেন শান ও শ্রেয়া ঘোষাল, অভিনয়ে জিমি শেরগিল ও মিনীষা লাম্বা।
মন্তব্য
ছবিটা তো দেখে ফেলতে হয়... ধন্যবাদ পাঠকদা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ছবিটা দেখলে নিজ দায়িত্বে, আমি কিন্তু দেখি নি। গল্প যা পড়লাম উইকিতে, তাতে মেলোড্রামা হবার সম্ভাবনা প্রবল।
আমি শুধু গানটার কথাই লিখেছি।
পড়লাম। দেখলাম। ভালো।
আর, এতো ব্যস্ত থাকলে ক্যামনে চলে?
চলে না তো! কিন্তু কী আর করা, চালাতে হয় ঠেলেঠুলে। এই দেখেন না, শনি রবিও বাড়িতে বসে কাজ করতে হচ্ছে, বন্ধুর বাড়ি মাছভাতের নেমন্তন্নটা অবধি খেতে যেতে পারলাম না।
ভাল্লেগেছে জেনে ভাল্লাগ্লো।
গান শুনলাম। খুব সুন্দর। লেখাটা আরো বেশী।
কিন্তু মূলত পাঠক, আপনার সেই উপন্যাসটার পরের কিস্তি কই? সবাইকে যে অপেক্ষায় রেখেছেন!
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
গানটা স্বপ্নের মতো, ভালো না লেগে যায় না।
উপন্যাসটা নিয়ে বিশাল পরিকল্পনা ফেঁদে বসে আছি, কিন্তু ও জিনিস কি আর ফাঁকি দিয়ে নামানো যায়! অগত্যা যাঁরা ক্ষমাশীল পাঠক তাঁদের দয়ার আশা রাখি। ততোদিন এই সব খুচরো জিনিসই ছেড়ে যাই বাজারে।
আপনার আফ্রিকার গল্পটা দারুণ লাগলো। ছবির মতো। ওখানে লেখা হয় নি মন্তব্য, লগানো ছিল না বলে।
আপনি মনে হয় একটু ঢিমে লয়ের গান বেশি পছন্দ করেন। মুড অনুসারে আমারো পছন্দ।
দু'দিন আগে "ও শাম কুছ আজিব থি' ইউটিউবে পেয়ে কতবার যে শুনলাম!
ট্রিক প্রশ্ন - 'দিল সে'র গানগুলো আপনার কেমন লাগে?
আরে না না আমার তেমন তেমন লারেলাপ্পা গানও দিব্বি স্বর্গীয় লাগে, কিন্তু পাব্লিকের সামনে সে নিয়ে কাব্য করতে বসলে ইমেজের সতেরোটা বাজবে যে! তাই ধীর লয়ের গান বিজ্ঞের মতো মাথা নেড়ে শুনি আর আহা উহু করি, লোকে হয়তো ভুল করে হলেও বোদ্ধা ঠাউড়ে বসে এই আশায়
'দিল সে'র গান নিয়ে ট্রিকটা বুঝলাম না, আমার কেমন লয় পছন্দ সেইটে ধরার বন্দোবস্ত নাকি? আমার সে গানও দিব্বি লাগে, সুখবিন্দরের রেলসঙ্গীত, রহমানের প্রচ্ছদকাহিনী কিম্বা লতার সেই অসামান্য গানটা। শতরঙ্গী গানটার কথা নিয়ে অনেক গবেষণা আছে, কিন্তু বাকিগুলোর তুলনায় এইটা কম প্রিয়। আর কোনো গান ছিলো না কি? মনে তো পড়ছে না।
দেখলাম আবার। ভাল লাগল।
হিন্দী সিনেমা দেখা হয়ে উঠে না। তবে আমার এক বন্ধু কিছু হিন্দী সিনেমার স্লো-বিটের এধরনের গান (মিউজিক ভিডিও) কোম্পাইল করে আমাকে দিয়েছিল (যেমন, রোজা, স্বপ্নেয়, ১৯৪২ অথবা ৪৭ – অ্যা লাভ স্টোরি, বোম্বে...)। সেখানে এই গানটাও ছিল (তখন জানতাম না কোন সিনেমার)। মাঝে মাঝে শোনা কিংবা দেখা হত। কখনোই অর্থ বুঝতে চেষ্টা করতাম না, কিন্তু চমৎকার লাগত। খুব প্রিয় একটা সিডি ছিল। হায়, অনেক প্রিয় জিনিসের মত এটাও কেউ নিয়ে গেছে...।
সে বন্ধু কি বিশেষ বন্ধু?
মার্কিন মুলুকের কম্পাইলেশন সিডি দেওয়া প্রেমে পড়ার লক্ষণ, "আমার যা কিছু প্রিয় মালা করি' গাঁথি দিনু প্রিয়", এই রকম একখান ব্যাপার আর কী। তো সে প্রেম অ্যাকনলেজ না হয় না-ই করলেন, কিন্তু এমন একটা জিনিস হারিয়ে ফেললেন? আপনি তো মানুষ খুন করতে পারেন মশাই!
আপনার মুখে ফুল-চন্দন পড়ুকরে ভাই। অ্যাকনলেজ মনে মনে করলেও তো অনেক টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য জীবনে কত কিছুই করা হয়ে উঠে না...।
হারিয়ে ফেলেনি। আমার প্রিয় বই অথবা সিডি কখনও কখনও বন্ধুরা নিয়ে যায়, ফেরত দিবে বলে... তারপর কত চন্দ্রভূক অমাবশ্যা পেরিয়ে যায়...।
২০০৫ এ যখন মিলিশা লাম্বা'র( যদিও মাইয়া বাইট্টা) য়াঁহা বের হয়, এই 'নাম আদা লিখনা' গান শুনে আমাদের বাড়ির ছেলেমহলে রীতিমত দিবাস্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছিল এরকম একটা আদুরে ছুটুমুটু মিষ্টি মেয়েই চাই কারো বউ হিসাবে, কিংবা কারো বান্ধবী হিসাবে। এখন সেই স্বপ্নও হাপিস, মিলিশাও হাপিস।
আমার ২ বছরের ভাইগ্না সিরহান তখন 'উরজু উরজু দুরকুট' জ্বরে আক্রান্ত। আমার মনে আছে তারে এই গান শুনায়ে ভাত খাওয়ানো লাগতো পর্যন্ত।
সিনেমা জিনিসটা যদি ট্রেইলার দেখে স্বাভাবিক মনে হয় তবে দেখা মিস যায় না। গতহপ্তায় দেখলাম 'পা'। কিন্তু য়াঁহা দেখে খুব একটা মুগ্ধ হই নাই কেন জানি, মনে হচ্ছিল সন্নিবেশনে ঘাপলা আছে। তবে গান গুলা আমার জোস পছন্দের ছিল। 'নাম আদা লিখনা' আর এই 'উরজু উরজু দুরকুট' তো আরো অনেক অনেক বছর মনে থাকবে। শান্তনু মৈত্রা ছেলেটা কমবেশী একটা জিনিস।
এখানে গেলে এই মুভির গান গুলা পাওয়া যাবে, আর চুরামি জানলে ডাউনলোডও করা যাইবো।
(আপনে কি বাংলায় সুন্দর কইরা ছন্দ মিলানোর লাইগা লিরিক কিছু এদিক ওদিক করছেন মূপা'দা? )
দৃশা
হা হা, আপনার মন্তব্য পড়ে খুব মজা পেলাম। আমাদের বালকবেলায় ভাগ্যশ্রী ঐ জাতীয় একটা চহলপহল সৃষ্টি করেছিলো, প্রভূত ন্যাকামি সত্ত্বেও। তারপর তো "হিমালয়"-এর কোলে হারিয়ে গেলো খুকিটি।
শান্তনু মৈত্র সত্যি সুন্দর সুর দেন, বাঙালীর ছেলে, হলেই বা লক্ষ্নৌয়ের, মৈত্র ছেড়ে আমরা হিন্দি-স্টাইলে মৈত্রা নাই বা বললাম।
গানের কথা নিয়ে একটা ব্যাপার আপনি ঠিকই ধরেছেন। যেহেতু জানতাম না চরিত্রটার নাম "অদা", তাই শব্দটার অর্থের পেছনে গেছিলাম। তাছাড়া ছন্দের কথাটা তো ঠিকই ধরেছেন। আসল পংক্তিগুলো এই রকম, গদ্যে লিখলে:
জানতে যদি চায় কেউ আমার পরিচয় (নিশানী), লিখো হেনার রঙ
ফর্সা শরীরে তোমার আঙ্গুল দিয়ে নাম লিখো অদা
কখনো কখনো আশেপাশে চাঁদ রয়, কখনো রয় সন্ধ্যা
এসো ঝিলমে প্রবাহিত হই,
এ উপত্যকার মৌসমও বদলাবে এক দিন।
জিমি শেরগিলকে সাধারণত যেমন লালটু মার্কা লাগে, আশ্চর্য হলো এই যে এখানে গোঁফ লাগিয়ে সে সমস্যাটা দিব্বি চলে গেছে। ছোকরা পার্মানেন্ট গোঁফ রাখলেই পারে।
হামার দাদা কারো নাম উরচ্ছারণ নিয়া কুনু এলার্জি নাই, যে যার নাম যিরকম ইস্টাইলে শুনতে চায় সিরকম ভাবেই কই। একবার খাইস্টা এক মাস্টারনী (পুরা কাইজ্জাখোর তাই খাইস্টা) আমার নাম জিগাইলে উত্তর শোনার পর কয় 'এই এইটা কি উরচ্ছারণ করলা, অর্ধেক কথা তো পেটে রইছে অর্ধেক মুখে, ঠিক কইরা কও, ইস্টাইল কইরো না'। আমিও চেইত্তা গিয়া কইলাম 'আমার নাম ইরকমই, ইরকমই ডাকতে হইব, নইলে ডাইক্কেন না'।
সিমি থুক্কু জিমি আফু তো নিজেকে লাল্টুই দেখাইতে চায়। লাল্টু উপাধিটাও যদি হাপিস হইয়া যায় তাইলে ওরে তো এখন তাও লুকে চিনে লাল্টু হওয়ার কারণে, নইলে তো হেইটাও চিনবার পারবো না। ওরে কি আপনে এতু বুকা পাইছেন নি?
দৃশা
আপনার লেখা পড়ে গানটা নতুন করে ভাল লাগলো, আগে শুধু সুরটাই বুঝতাম। আর আপনার অনুবাদটা অসাধারণ... গুলজার-এর কিছু সিনেমার গান আমার ভীষণ প্রিয় ( andhi, machis, hutu tu..)। আপনার হাতে ঐ গানগুলোর অনুবাদ মনে হচ্ছে দারুন হবে। আর চিত্রায়নের বর্ণনাটাও খুব দরদ দিয়ে লেখা... শিরোনামটাও সুন্দর লাগল...
আপনার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম। গুলজারের কথায় একটা ফর্মুলা / প্যাটার্ন আছে যেটা নিয়ে মজার একটা আলোচনা হতে পারে। তবে তা বলে ভাববেন না যে আমি ওঁর লেখার ভক্ত নই। কবিতাও ভালো লেখেন তিনি।
আপনার উদাহরণগুলোর সব কটারই পরিচালকও তিনি স্বয়ং। আরো কয়েকটা যোগ করি, এগুলোতে তিনি শুধু কথা লিখেছেন। মায়া মেমসাব (ইংরিজিতে স্রেফ মায়া), লিবাস, এবং বিশাল ভরদ্বাজের সুর হলে তিনি প্রায়ই কথা লেখেন।
হিন্দি গান আমি তেমন একটা বুঝি না, তবে মূলত পাঠকদা, আপনার লেখা পড়ে ভালো লাগল। আমি এমনিতেই আপনার লেখা মিস করতে চাইনা। সময় পেলে যখনি সচলে ঢু মারি, প্রথমে যে কয়জনের লেখা খুঁজি সেই তালিকায় আপনিও অন্যতম। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
ডি,এম,কামরুজ্জামান(দলছুট)।
আপনি যে পরিমাণ ক্ষেপে গেসলেন আমার কমেন্টে, তাতে এখানে কমেন্ট করেছেন দেখে আশ্বস্ত হলাম। একটু আধটু মজা করি, তাতে রাইগেন না। জীবনে আর কী আছে বলেন?
পাঠকের ভালো লাগলে লেখা সার্থক।
শ্রেয়া ঘোষালের ধীর লয়ের যে কোন গান শুনলেই মাথা খারাপ হয়ে যায়... "নাম আদা লিখনা"র ক্ষেত্রেও তাই...
"ও সাথিরে" শুনেছেন কি? ওমাকারা'র। ভালো লাগতে পারে। ছবিটাও বেশ ভালো লেগেছিল।
http://www.youtube.com/watch?v=xthAVytCTPI
শুনেছি, সুন্দর গান। শ্রেয়া ঘোষাল বড়োই সুরেলা, ভালো না লেগে উপায় নেই। আমার নিজের অবশ্য সুনিধি চৌহানকেও দারুণ লাগে, গলায় যারে কয় একটা ক্যারেকটার আছে।
এইটা বেশ পুরানো৷
দিল্লী-৬ এর "সাস গারি দেবে' টা দারুণ লাগে৷ শুনেছেন?
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
পুরোনো তো বটেই, তবে ভালো লাগার আর নতুন পুরোনো কী।
শুনেছি, দিল্লি-৬'এর সব গানই প্রায় ভালো লাগে।
মূলোদা গা ঢাকা দিলেন দেখি!!!!
আরে আর কইয়েন না, এতো ঠান্ডা যে ঢাকা না দিলে শীত লাগে বড়োই, তাই ঢেকেঢুকে রাখি।
গান। প্রিয় বিষয়। আরো ভালো লাগালেন হে!
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
আপনার ভাল্লেগেছে জেনে আহ্লাদ পেলাম। আপনার কবিতা পড়ি, মন্তব্য করা হয় না অধিকাংশ সময়েই, ভালো লাগাটা এইখানে জানালাম।
দেখেছি ছবিটা, গানটা আমার ভীষণ প্রিয়।
চমৎকার অনুবাদ করলেনতো দাদা। বর্ণনাটাও বেশ লাগলো।
সন্ধেও কাছেপিঠে ঘাসের উপরে শুয়ে আছে - বাহ্ !
শিরোনামখানাও খাসা
------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম।
খুব খুব প্রিয় গান আমার । মোবাইলে ফোনে ডাউনলোড করে এই গান শুনছি বছর ২ হলো প্রায় !!! প্রায় প্রত্যেকদিনই !!! সে অবশ্য অন্য এক কাহিনী !!
ভালো লাগলো পাঠক দা' ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
অন্য কাহিনীটা শুনতে চাই।
গানটা ভালো লাগলেও এর ছবির অংশটাই বেশি আবেদন রেখেছে আমার কাছে, তবে এমন সুন্দর রেশমের মতো সুর ও কথা না হলে ছবি বেচারা মারা পড়তো।
দারুণ গান... (মিনিষা লাম্বাকে আমি... )
মূলো'দা "স্রোতস্বিনী" বানান কি?
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এইটা শুনে শোলে'র ডায়লগ মনে পড়লো, বসন্তি তেরা নাম ক্যায়া হ্যায়?
ঐটাই বানান, জাস্ট ইন কেস।
অনেকদিন পরে আপনাকে দেখে ভালো লাগছে। খুব একটা নিয়মিত না আপনি ইদানিং। আমিও না
গানটা কালকেই শুনেছি পোস্টটাও সেমতো পড়া হয়েছে গতকালই। মন্তব্য আজকে জানালাম।
ভালো লেগেছে। তবে এমন ফাকিবাজি পোস্ট আপনার কাছ থেকে চাই না। উপন্যাসের পরের পর্বটা তাড়াতাড়ি ছাড়েন।
আরে সময় পেলে কি আর ফাঁকি দেই, সময়ের টানাটানি বলেই না গায়েব থাকি। আবার তো ভোর হলেই দোর খুলে দৌড় দেবো বরফের দেশের দিকে। ঐখান থেকে বরং একপিস 'দিনগুলি মোর' ছাড়বো'নে। আপনে যে সময় করে পড়েছেন এইটা জেনে আহ্লাদ পেলাম। আর আপনার পোস্টাতে সমস্যা কী, একপিস করে ছবি দিলেই তো হয়। স্টকের থেকেই ছাড়েন না হয়, টাটকা মাল না হলে আমরা কিচ্ছু বলবো না, প্রমিস।
গানটা ভালো লাগলো।
আপনার বর্ণনা আরো ভালো, এক কাজ করেন আমাদের নজু'র সাথে মেগা সিরিয়ালে হাত দেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
নজ্রুলিস্লাম একবার কইছিলো স্ক্রিপ্ট লিখতে, ফাঁকিবাজি করে তাও করা হয় নাই।
গানটা আমার খুবই পছন্দের। তবে পাঠুদা যে বড় ফাঁকিবাজ হয়ে গেছেন ইদানিং, অন্যের পোস্টের কমেন্ট ও এখানে মেরে দিচ্ছেন দেখা যায়
হাতেনাতে ধরে ফেলেছেন দেখছি
সময় পেলেই লিখবো, লিখতে খুবই ভালো লাগে। তবে আজকাল একটু সময়ের অভাব, সেই জন্য এই দশা।
নতুন মন্তব্য করুন