দিনগুলি মোর ৭: এবার কান্ড মেরিল্যান্ডে

মূলত পাঠক এর ছবি
লিখেছেন মূলত পাঠক (তারিখ: মঙ্গল, ২২/১২/২০০৯ - ১০:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মেরিল্যান্ডের রকভিল ওয়াশিংটন ডি সির কাছে, শীতকালে ঠান্ডা পড়লেও মারাত্মক কিছু হওয়ার কথা নয়। মানে স্বাভাবিক হিসেবে ধরলে। কিন্তু তা হলে কী করে হয়, আমি যখন যাচ্ছি তখন হাড় জ্বালানো ব্যাপারস্যাপার না হলে চলবে কেন? নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গের কথা জানতাম, কিন্তু স্রেফ আমাকে উত্যক্ত করার জন্য এক স্নিগ্ধস্বভাবের ভদ্রমহিলা যে নিজের শহরে বরফের বান ডাকবেন তা জানা ছিলো না। যাক সে কথা।

অফিসের কাছে ম্যারিয়টের কোর্টইয়ার্ড। কাজ সেরে সন্ধেবেলা যখন হোটেলে ফিরলাম তখন মেজাজ তিরিক্ষি। সকালে দেরিতে পৌছে এয়ারপোর্ট থেকে ট্যাক্সি নিয়ে চলে এসেছিলাম, অফিসফেরতা ভাড়াগাড়ি আনতে গেলাম আরেক ট্যাক্সি চড়ে। তো সে ক্যাবের ক্যাবি ছিলো এক পাকিস্তানি। তাতে সমস্যা নেই (এ জন্য আবার কেউ গালি দিয়েন না, তাইলে আরেকটা পোস্টে বিশদে লিখতে হবে কেন সমস্যা নেই, সংক্ষেপে বলি যে এই ক্যাবিটি তার দেশের নীতিনির্ধারক নয়)। আমি ভারতীয় জেনে সে প্রচুর ভাইচারার গপ্পো শোনালো, দুই মুল্কের পলিটিশিয়ানদের ধরে পিটলেই যে সব সমস্যা মিটে যাবে সে কথাও জানা গেলো। কিন্তু এহ বাহ্য, তার উপর ব্যাটা এমন বকলো যে মাথা পুরো পাগলে গেলো আমার। এবং এতো বছর এ দেশে থেকেও ইংরিজির যা দুর্দশা তাতে তাকে হিন্দি বলতে শুনে কিছুটা মন্দের ভালো হলো। তো সে ব্যাটাকে দূর করে দিয়ে তারপর ভাড়াগাড়ি নিয়ে হোটেলে ফেরার পথে ফাঁসলাম এক লম্বা ট্রাফিকে। গাড়ির সারি আর এগোয়ই না। বরফ দেখে সবাই ঘাবড়ে গিয়েছে, নাকি অন্য কোনো কারণ কে জানে, মোদ্দা কথা দশ মিনিটের পথ এক ঘন্টা লাগলো। সেই রকম মেজাজ নিয়ে হোটেলে গিয়ে পৌছতে একটি কালো ও একটি সাদা বালক যখন আমাকে প্রায় আমার বাড়িতেই স্বাগত জানালো একটি মিনিসাইজ কমপ্লিমেন্টারি জলের বোতল ধরিয়ে, তখন বাছাবাছা কিছু গালাগাল মনে এসেছিলো, কিন্তু ভদ্রতাবশত বলা গেলো না। বললেই ভালো হতো সেটা বুঝলাম পরে। আমার যেহেতু কোনো ফ্লোর নিয়ে আলাদা পছন্দ নেই সেজন্যই নাকি আমাকে যে ঘরটা দিলো পৌছতে গিয়ে দেখলাম সেটা দূরতম ঘর লবি থেকে। ফিরে গিয়ে ঘর বদলানোর উৎহাসও শেষ, ঢুকে মালপত্তর ছুঁড়ে ফেলে এক চোট দাঁত কিড়মিড় করে নিলাম। তারপর আবার কাজ নিয়ে বসা, ফোনাফোনি ইত্যাদি সেরে খেতে যাবার সময় দেখি সাদা বালকটি রিসেপশনে। তাকে সৌজন্য বাক্য বিনিময় সেরে তারপর জিজ্ঞেস না করে পারলাম না, আমার উপর তোমার রাগটা কীসের বাবা যে আমাকে এক্কেবারে শেষের ঘরটা দিলে? মেলা বসেছে নাকি শহরে যে তোমার সব ঘর দখল হয়ে গেছে? নাকি মনে হয়েছিলো যে আই নিড সাম এক্সার্সাইস?এক্কেবারেই অরিজিনাল নয় রাসভটি, হেঁ হেঁ হেসে বললো তাই তো ভাবলুম। মনে হচ্ছিলো দিই লম্বা কান ছিঁড়ে। তারপর খতিয়ান শোনালো, মানে তোমার তো ফ্লোর প্রেফারেন্স নেই, আর ঐটাই প্রথম খালি ঘর পেলাম। শুনে আলজিভের দেড় ইঞ্চি নিচ থেকে তাই-নাকি, হাসালে বাপু মার্কা একটা হুম বের করে হাঁটা দিলাম। ঘর বদলাবো কি না জিজ্ঞেস করলো, কিন্তু আবার পোঁটলাপুঁটলি নিয়ে কে যায় অন্যত্র!

হোটেলের মোটামুটি উল্টোদিকেই একটা রেস্তোরাঁ, বেশি ঝামেলা না করে সেখানেই গেলাম। চমৎকার বার, একটি হাস্যমুখী বালিকা আপ্যায়নে রয়েছে। খাবার ভাঁজ করে নিয়ে যাবার জন্য অর্ডার দিয়ে একটা কালোছাপ জনিহাঁটুরে নিয়ে বসলাম। পাশে দেখি মাঝবয়সী এক ভদ্রলোক খুব আহ্লাদী গপ্পো জুড়েছে বালিকাটির সঙ্গে, তা তোমার ভাইবোন ক'টি, বাপমায়ে কী করে ইত্যাদি প্রভৃতি। বালিকাটির তাতে আপত্তি নেই, সে ভাইবোনের সাথে ফিয়ান্সের ব্যাখ্যানও শুনিয়ে দিলো। নজর করে দেখলাম খেজুরে আলাপির বাম অনামিকাও শূন্য নয়, তা বলে আলগা পিরীত কবেই বা বারণ ছিলো। বালিকা তার জীবনেতিহাস শোনাচ্ছে, তার বাবামা পড়ার খরচ দিতে রাজি ছিলো কিন্তু শর্ত যে তাদের কাছে থাকতে হবে। কোথায় সেটা? না, আইডাহো রাজ্যের বয়েসি-তে। যাঁরা এ দেশে থাকেন না তাঁদের অবগতির জন্য জানাই, ঐ রাজ্যটির নাম একটিমাত্র কারণেই শোনা যায়, ওখানে উৎকৃষ্ট আলু ফলে। সেটা খারাপ কথা নয়, কিন্তু সমস্যা হলো যে ওখানে আর বিশেষ কিছুই হয় না। বয়েসি ওখানকার প্রধান ও একমাত্র জায়গা যার নাম পাঁচজনে শুনেছে, নাঃ জনা দুয়েক শুনেছে। বলাই বাহুল্য বালিকা বাবামার শর্তে রাজি হয় নি।

পানান্তে বাইরে দাঁড়িয়ে ধূমপান করছি একাএকাই, দেখি দরজা ঠেলে এক ভদ্রলোক বেরিয়ে এলেন ধোঁয়া টানতে। ভদ্রলোকের একটি পা হাঁটুর কাছাকাছি কাটা, পাতলুন ঝুলে রয়েছে। দু বগলে ক্রাচ নিয়ে ভারি দরজা ঠেলে বেরোনো একটু অসুবিধাজনক। কিন্তু দরজা ঠেলে ধরলে তাঁর আত্মসম্মানে লাগতে পারে, আবার না ধরলেও বেজায় অসভ্যতা হয়, তো দুটোর মাঝামাঝি কিছু একটা করলাম। নাম তার জনি পরে জানলাম, বেজায় মিশুকে, পায়ের অভাবে মনের আনন্দ কিছু কমে নি। হাতে উল্কি, নাকে কানে ফুটো করা, গায়ে ফুটবল কোচেদের মতো ডোরাডোরা জামা, এই ঠান্ডাতেও কোটকম্বলের বালাই নেই। জানলাম এটি তাঁর একপায়ে প্রথম শীত, এবং একপায়েই আজ সকালে ক্রাচবগলে কয়েক ঘন্টা ধরে ট্রাকের বরফ সাফ করেছেন তিনি। ব্যক্তিগত এলাকায় প্রবেশ উচিত হবে কিনা সন্দেহ থাকায় জেনেরিক অঞ্চলে ঘোরাফেরাই শ্রেয় মনে হলো, তাই সে কাজটা কতোটা কঠিন, বা বর্ডারলাইন অসম্ভব কিনা সে কথা পাড়লাম। বিপর্যয় (বা ওঁর ভাষায় অ্যাডভার্সিটি) মানুষকে যে আরো শক্ত করে তোলে, এটাই উপলব্ধি তাঁর। কথাটা ভুল নয়, তবে মানুষের কেন যেন এই সব উপলব্ধি বিপদে পড়লেই হয়। জনি অবশ্য নিজের বিপদটাকে ভয়ানক মানতে রাজি নয়, তার মতে আমাদের সকলেরই নানা রকমের বিপর্যয়ের অভিজ্ঞতা আছে, রকম আলাদা হলেও বিপদ তো শেষাবধি বিপদই। আমার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আছেন যিনি শরীর খারাপ হলেই (যা ওঁর মতে বছরে তিনশো ষাট দিনই হয়) তার পরিসংখ্যান ও খতিয়ান নিতে বসেন (এবং বাকিদের শোনানোটা তো অনিবার্য, বলাই বাহুল্য)। তাঁকে জনির সাথে আলাপ করালে কী হতো ভাবছিলাম। এই সময় নির্জন অন্ধকার ফুঁড়ে একটি সুন্দরী বালিকার আবির্ভাব। তাকে দেখে জনি যখন 'হাই সুইটি' বলে সম্ভাষণ করলো, তার দেখি কোনো হেলদোল নেই। হাতে উল্কি নাকে ফুটোর হিসেব মিললো এইবার, ব্যাটা আসলে বদচরিত্র লুল্পুরুষ সেইটে এইবারে বুঝলাম। আমি না বুঝলেও মেয়েরা বোঝে, তাই বালিকাটি উত্তর দেওয়ার প্রয়োজনও বোধ করে নি। হিসেব মেলানোর আনন্দে বেশ খুশি খুশি লাগছিলো, ঠিক তখনই বালিকাটি হেঁটে এসে সোজ্জা জনির ঠোঁটে এক চকাস করে চুমু। বুঝলাম গাঢ় প্রেমে সৌজন্যের উত্তর দেওয়ার দরকার হয় না। মৃদু হেসে খাবার নিয়ে চম্পট না দিয়ে আর উপায় কী এর পর!

যাক, ফিরে এসে স্যামন গ্রিগ্লিয়া খাওয়া হলো, টকমিষ্টি হলেও মন্দ না, তারপর আপনাদের সাথে চাট্টি আড্ডাও দেওয়া হলো, এইবার খানিক টিভি সেবনান্তে নিদ্রা যাওয়া যাক। ভাঙা হপ্তা এটা, বুধবারেই ফেরত, তারপর ফ্লোরিডায় বন্ধুজনসমভিব্যাহারে তিনদিনব্যাপী যীশুজন্মপালন করার ইচ্ছে, ফিরে এসে সে গল্পও শোনানো যাবে'খন।

সবাই ভালো থাকুন।


মন্তব্য

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপনার লেখা পাঠে ভালু লাগে।

মূলত পাঠক এর ছবি

আমারো লাগে। মানে আমারটা না, আপনেরটা। পড়তে ভালু লাগে।

ভালো কথা, আমার লেখা একটা রিভিউ আপনাকে পড়ানোর ইচ্ছে ছিলো, পড়ে দেখেন তো। এইটা।

দুর্দান্ত এর ছবি

চলেছি আপনার সাথে, আমেরিকার পথে পথে।
বেশ হচ্ছে কিন্তু এই পথের কথা।
---
বলতে যাচ্চিলুম যে মিডওয়েস্টের মেয়েরা বেশ মনখোলা হয়। তারপর কি ভেবে আর বললুম না।
---
স্যামন গ্রিগ্লিয়া খাওয়া হলো, টকমিষ্টি হলেও মন্দ না,

আমেরিকান ডাইনারগুলোর এই এক পিরোবলেম। বেকড স্যামন বললেও হয়, না সেটা বলতে হবে ইতালিয়ান ভাষায়। আর যদি ইতালিয়ান কায়দায়ই স্যামন বেক করা গেল, তো তাকে আবার মিষ্টি করে ফেলা কেন?

তবে দক্ষিনে যখন যাচ্ছেন, সেদিকের খাবারদাবারের ওপর একটা পোস্ট দিতে ভুলবেন না। ক্রিওল আর কেজুন আমার বেশ ভালু লাগে।

মূলত পাঠক এর ছবি

হতেও পারে, তবে মিডওয়েস্টের মেয়ের মন, খোদায় মালুম। আপনে জানলেন কেম্নে? হাসি

রেস্তোরাঁর ব্যাপারটায় একটা গভীর সাইকোলজি আছে। ইউরোপীয় মূল এরা ভুলতে পারে না, কাজেই একটু গন্ধ মাখানো গেলে ভালোই হয়। কিন্তু খদ্দেরের রুচি/স্বাদ রাখতে গিয়ে মৌলিক চরিত্রও রাখা মুশকিল। অতএব এই হাঁসজারু।

দক্ষিণে তো খাবো প্রচুর তাতে সন্দেহ নেই, উদ্দেশ্য যখন বেড়ানো। ঐ দুটি স্বাদ দেশি রসনায় ভালো লাগারই কথা। আম্মো ভালু পাই।

মুস্তাফিজ এর ছবি

আপনিও ভালো থাকুন।

...........................
Every Picture Tells a Story

মূলত পাঠক এর ছবি

ধন্যবাদ ফোটুকমশাই। হাসি

স্নিগ্ধা এর ছবি

তা তো বটেই, মূলত কু-চিন্তক, আমার তো আর খেয়ে দেয়ে কাজ নাই যে আপনার হেনস্থার জন্য এহেন বরফ ঝড়ের আয়োজন করবো!!! আমি বলে তিনবারে বরফ পরিষ্কার করে গাড়ি বের করতে পারসি, আর উনি আসছেন আমাকে দুঃখের কাহিনী শুনাইতে!

শুক্রবারদিন আবার একটা ফ্রিযিং রেইন আর বরফের ফোরকাস্ট আছে মন খারাপ

মূলত পাঠক এর ছবি

আছে নাকি খেয়েদেয়ে কাজ কিছু? লেখালেখি বন্ধেরও তো ভর্ষাপূর্তি হয়ে গেলো বোধ'য়। কলমে জং পড়লে কী হবে?

শুক্রবার নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই, আমি কালকেই কেটে পড়বো। তবে শুনলাম আগামী বুধবার নাকি ভয়ানক অবস্থা, সেটা শুনে ঘাবড়ে গেলাম, যে পরিকল্পনা এঁটেছি তার কী হবে! মন খারাপ

দময়ন্তী এর ছবি

আহা পদিপিসি হাঁইহাঁই করে বরফ পরিস্কার করছেন, এই দৃশ্যটা ভাবতেই কিরকম খিলখিলিয়ে হাসি পাচ্ছে৷ হাসি দেঁতো হাসি
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

রানা মেহের এর ছবি

এখানেও বরফ পড়েছে কাল।
রাস্তাটাস্তা কেমন পিচ্ছিল হয়ে আছে।
অসহ্য
আচ্ছা মূলত পাঠক
আপনার কী মনে হয়?
এটাও কি স্নিগ্ধা আপুর করা? চোখ টিপি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

মূলত পাঠক এর ছবি

হতেও পারে, অসম্ভব না। ওনার পহুঁচ বহু দূর অবধি!

তুলিরেখা এর ছবি

আহা, কী চমৎকার! বেশ একটা অ্যাডভেঞ্চার হচ্ছে বলুন! হাসি
বেশ সাদা গোলাপী নীল লাল কালো বাদামী মিষ্টি টক ঝাল মুখ দেখছেন আর মিঠা মিঠা কথাও শুনছেন! এদিকে আমার এক বন্ধু তো "কেউ নাই ভবসাগরে ভবতারিণী ছাড়া" এই সুরে গান ধরেছে! তবু যে ভবতাড়িনী বলে নি এই অনেক! হাসি
আপনার ভ্রমণরস দানা বাঁধুক আরো, একেবারে ক্ষীর হোক। ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনার বন্ধুর সমস্যা কী! জীবন তো এমনিতেই নিরসবিরস, তার উপর দুখী হবার ইচ্ছে থাকলে তো সোনায় সোহাগা। চিড়িয়াখানায় ঘুরিয়ে আনেন তারে, অনেক রকম মুখ তো দেখতে পাওয়াই যাবে, সাথে লেজশিঙখুর সে সবও পাবেন।

আহা ক্ষীর! শুনেই জিভে জল চলে এলো‍!

তুলিরেখা এর ছবি

সে বন্ধু দুঃখবিলাসী! কাজ হলো রুগী মারা( সে সার্জেন), কাজ না থাকলে তখন বসে বসে শক্তি চাটুজ্জের "দুঃখ দাও, আমি দুঃখ পেতে ভালোবাসি" লাইনওয়ালা কবিতাটা ঘুরেফিরে পড়ে।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনার লেখা ভ্রমণকাহিনীগুলো বরাবরই সুস্বাদু। তাতে আবার নানা রকম খাবারের জম্পেশ বর্ণনা থাকে। ঘোর অখাদ্যগুলোর কথাও এমনভাবে বলেন যে মনে হয় সেগুলো খেতে না জানি কী মজা।

আপনি না বললে আমি বুঝতেই পারতামনা গত দু'দিন ধরে ঢাকায় এত শীত পড়ল কী করে! তাইলে কাহিনী এই!!!



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মূলত পাঠক এর ছবি

আমি মানুষটা আসলে বড়োই পেটুক, তাই বিজনেস কি প্লেজার যাই হোক কারণ, খাবারদাবার চাখতে কসুর করি না। মধ্যপ্রদেশকে নিয়েই চিন্তা, সমৃদ্ধি ওখানেই প্রথম প্রতিভাত হয় কি না। তা নিজে খাবো আর আনন্দটা ভাগ করবো না তা তো হয় না, কাজেই....।

বুঝলেন তো তাহলে শীতসমস্যার মূল কোথায়? গ্রীষ্মে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বাবদ অনুযোগ যাবে কোন অ্যাকাউন্টে তাও জানা গেলো। হাসি

দময়ন্তী এর ছবি

ইশ মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া এইসব জায়গায় জনপদগুলো বড্ড কেমন যেন৷ আমি একবার ভার্জিনিয়ার রিচমন্ডে ছিলাম মাস তিনেক৷ উফ্ অত বোরিং জায়গা সারা পৃথিবীতে আর একটাও নেই মনে হয়৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

মূলত পাঠক এর ছবি

ওর চেয়ে আর বোরিং হয় না বলছেন? থাকবেন নাকি ক'দিন ডাকোটা প্রদেশে? উত্তর দক্ষিণ যেটা খুশি যান। ওয়াইওমিং? আইওয়া? ওহায়ো? হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পড়া হলো। দিনলিপি জানা হলো।

বিপর্যয় (বা ওঁর ভাষায় অ্যাডভার্সিটি) মানুষকে যে আরো শক্ত করে তোলে, এটাই উপলব্ধি তাঁর। কথাটা ভুল নয়, তবে মানুষের কেন যেন এই সব উপলব্ধি বিপদে পড়লেই হয়।
ভালো পর্যবেক্ষণ হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

এটা নেহাতই ব্লগরব্লগর, গভীর কিছু নয়। পড়ে খানিক আমোদ পেলেই ঢের হয়। হাসি

সিরাত এর ছবি

দারুণ লাগলো!

মূলত পাঠক এর ছবি

অনেক দিন পর দেখা মিললো!

থাংকু!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।