বায়োস্কোপের বাক্স ১৫: বলির পাঁঠা

মূলত পাঠক এর ছবি
লিখেছেন মূলত পাঠক (তারিখ: শনি, ০৯/০১/২০১০ - ২:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই সিনেমাটা দেখেছিলাম বেশ কিছু দিন হলো। তখন এটা নিয়ে লেখা হয় নি মূলত সময়াভাবে, যদিও গৌণ ও গুরুত্বহীন হয়েও ছবিটি প্রভূত আনন্দ দিয়েছিলো দেখার সময়। সে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া যথাসময়ে না হলেও এখন করা যেতেই পারে। স্পয়লার অ্যালার্টের দরকারও কমে গিয়েছে অনেকটা এর মধ্যে, কারণ যাঁরা এখনো দেখেন নি, আশা করা যাচ্ছে তাঁদের আর বিপদে পড়তে হবে না।

১) বলিপ্রদত্ত
ছবিটি হিন্দিতে, নাম "কুরবান"। বিষয় খুবই গম্ভীর, উগ্রপন্থা, ও সে নিয়ে বৃহৎ বিশ্বে মুসলমানদের সমস্যা। এতো বড়ো একটা ব্যাপার নিয়ে সিনেমা যখন, তখন দৈর্ঘ্যে বড়ো না হলে চলবে কেন? আমার সাথে আমার আরো দুই হতভাগ্য ভারতীয় বন্ধুও বলিপ্রদত্ত হয়েছিলো ছবিটি দেখতে গিয়ে, তাদের একজন যখন 'যাক মোটামুটি শেষ হয়ে এসেছে' ভেবে হাঁফ ছাড়তে যাচ্ছিলো তখনই পর্দায় ঝাঁ করে 'ইন্টারমিশন' ফুটে উঠলো। বেচারা হাড়গোড়ভাঙা দ হয়ে সেঁধিয়ে গেলো সীটের গহ্বরে। আমরা শেষ পর্যন্ত যাতে দেখতে পারি সে কথা ভেবে বন্ধুত্বের জন্য তার এই ত্যাগস্বীকারের কথা ইতিহাসে লেখা থাকুক।

২) ধাপেধাপে
হিন্দি সিনেমার পাঁড় ভক্তেরা হয়তো হজম করে নেবেন, কিন্তু ভক্তিতে সামান্য খামতি নিয়ে এই ছবি দেখতে বসলে আপনার খবর আছে। একা দেখতে গেলে আমিও মারা পড়তাম, সৌভাগ্যবশতঃ এই তীর্থে আমার দুই রসিক সহযাত্রীর দৌলতে রক্ষা পেয়েছি। ছবি চলাকালীন অল্পস্বল্প, এবং শেষ হবার পর বাড়ি ফেরার পথে বিশদে ছবিটি দেখে আমরা কী শিক্ষা পেলাম সেই নিয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা হয়েছিলো। আজকের রিভিউতে যা লিখছি তার অনেকটাই এই ব্রেইনস্টর্মিং-এর ফসল। দু লাইনে গপ্পোটা বলে দেওয়া যেতো, কিন্তু দেখতে যাওয়ার আগে দু একটা রিভিউতে দেখলাম ছবির গল্পের একমাত্র টুইস্টের কথা খোলাখুলি বলে দিয়েছে, কাজেই এ ছবিতে আগ্রহীদের অনেকেই জেনে গেছেন ধরে নেওয়া যায়। আমি গল্প শোনাবো না, কিন্তু কিছু ফাঁস হয়ে যাবে তা সত্ত্বেও, তাই ভণ্ডুলবার্তা দিয়ে রাখলাম এই বেলা। এবার ধাপে ধাপে শুরু করা যাক।

৩) ৯১১
যাঁরা মার্কিন দেশে থাকেন না তাঁরাও হলিউডের দৌলতেই হোক বা অন্য কোনো ভাবে জেনে গেছেন বিপদে পড়লে নাইনওয়ানওয়ান নম্বরে ফোন করতে হয়। করিনা গল্প শুরুর আগে আমেরিকায় থাকতো এবং বিয়েথা করে ফের সেখানেই যায়, কিন্তু তারপরেও সে জানে না এর কথা। ফলে যখন তার 911 কল করার কথা তখন সে সেটা বাদ দিয়ে আর যা যা অসম্ভব কাজ করা সম্ভব তার সব কিছু করলেও ঐটা কিছুতেই করে না। হলসুদ্ধ লোক চেঁচাচ্ছে, ওরে 911 কল কর! কিন্তু কে শোনে কার কথা। বান্ধবী যে প্লেনে চড়েছে তাতে বোমা আছে জেনে সে বান্ধবীর সুইচড অফ সেলফোনে কল করে (সুইচড অফ কারণ প্লেন ওড়ার সময় হয়ে গিয়েছে), এমনকি ভরসন্ধেবেলা তার অফিসের ফোনেও মেসেজ রাখে (বোমা ফাটার পর ভূত হয়ে এসে মেসেজ চেক করবে এই আশাতেই বোধ হয়), এবং বারবার সে একই কাণ্ড করে যায় সারাক্ষণ। দেখে মনে হচ্ছিলো কারুর যেমনি পটি পাচ্ছে অমনি সে উল্টো হয়ে শীর্ষাসন করছে। আপনার ইচ্ছে হবে না তার পেন্টুল টান দিয়ে খুলে পশ্চাতদেশে লাথি দিয়ে পটিঘরে পাঠিয়ে দিই? এর চেয়েও বেশি অবিশ্বাস্য ব্যাপার যদি কিছু থাকে তো সেটা হলো এই যে করিনা এখানে প্রফেসর! আমাদের দিদিমণিরা কেউ সাইজ জিরো হতো না (দুঃখের ইমো এইখানে)। দিনকাল পাল্টায় নি কে বলে!

৪) সাতটা বাঘে...
...খেয়ে শেষ করতে পারে না, এই কথাটা সইফের চেহারা দেখে মনে হয়। সমার্থক আরেকটা প্রকাশ হলো ইসকো কাটোগে তো পুরা হস্টেল খায়েগা! দুটো কথাই প্রযোজ্য এর ক্ষেত্রে। নবযৌবনে যে নবজলধরপটল চেহারার লালিমা পাল পুং ছিলো, কালে কালে যে তার এমন ভীতিপ্রদ চেহারা হবে কে জানতো! ছবিতে একটি দুষ্টুদুষ্টু গান রয়েছে। যারা করিনাশোভা দেখতে পাবেন ঐ গানে এমন আশা রাখেন তাদের জানাই, রোগাপটকা বালিকাটি চাপা পড়ে গেছে নবাবনন্দনের ঐ ধীরোদাত্ত মহীরুহপ্রতীম চেহারার তলায়। ফাঁকফোক দিয়ে যা দেখা যায় তার জন্য দূরবীন আর অণুবীক্ষণ দুটো যন্ত্রই নিয়ে যাবেন সঙ্গে করে।

৫) করিনার উপলব্ধি
আগে সোনি টিভিতে একটা সোপ হতো ক্কুসুম বলে। আজ্ঞে, বানানটা ঐ রকমই হবে। তাতে নায়িকার পতিদেব যিনি সাজতেন তিনি সব দৃশ্যেই একটা অভিব্যক্তি দিতেন। ধরুন তাঁর বৌ পালিয়ে গেছে, মা সে খবর দিলো। অথবা কেউ বললো যে তাঁর বন্ধুর অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে। বা হুড়মুড় করে বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বা বাড়ির পোষা কুকুর একটা ঘোড়া প্রসব করেছে। বা এই জাতীয় কিছু। তো ভদ্রলোককে অন্যেরা যাই বলুক, কমবেশি সবখানেই তিনি ঐ এক্সপ্রেশন দিতেন, এবং পেছনে ঝ্যাঝ্যাঝ্যাং করে একটা চমকে-গেলুম বাজনা বাজতো। করিনা এ ছবিতে আমাকে সেই স্মৃতি ফিরিয়ে দিলো। পূর্বোল্লেখিত টুইস্টে (বলেই দিই এবারে? আপনি তো এমনিতেও দেখবেন না জানি।) করিনা জানতে পারে তার প্রেমিকপ্রবর বর আসলে বর্বর, উগ্রপন্থী, এবং সে তাকে টুপিটাপা দিয়ে প্রেমজালে ফেলে বিয়ে করেছে যাতে সে মার্কিন দেশে আসার সুযোগ পায়। তখন তো যা বিহ্বল ভ্যাবাচ্যাকা হবার হয়ে নিয়েছে সে পর্যাপ্ত পরিমাণে। তার অনেক পরে কিরণ খের যে ঐ দলেরই এক জন (এর কথা পরে বলছি), সে করিনাকে সইফ কেন এমন হয়েছে সে গল্প শোনায়। পাকিস্তানে তার সুখের সংসার কী ভাবে ছারেখারে গেছে ইত্যাদি। তো শুনে করিনার আবার সেই ঝ্যাঝ্যাঝ্যাং এক্সপ্রেশন! আমি ভাবলাম এক খবরে দু বার তো চমকানো যায় না, তাহলে কি সইফের পাকিস্তানি হওয়া নিয়ে তার এই চমক? নাঃ, আদতে তা নয়। আমারই ভুল, আসলে এক খবরে দু বার চমকানো যায়, চাইলেই যায়। বাজনান্তে বালিকা ফের আকাশ থেকে পড়লো, উসনে মুঝে ধোঁকা দিয়া!! আপনারা নিন্দুকেরা এর ভালো দিকটা দেখবেন না জানি, তাই খুলে বলে দিই, ভেবে দেখুন তো, এমন হলে কী ভালোটাই হতো, কোনো রিভিউতেই আর স্পয়লার অ্যালার্ট দিতে হতো না, তা ছাড়া এক সাসপেন্সের সিনেমা বার বার দেখা যেতো অতএব হিচকককে একটা সিনেমার বেশি বানাতে হতো না, ওটা দিয়েই সবার সারা জীবনের কাজ দিব্বি চলে যেতো!

৬) খাদ্য ও মানবজীবনে তার প্রভাব
এ নিয়ে অনেক গুরুগম্ভীর গবেষণা হয়েছে, মানুষ যা খায় তার প্রভাব মানুষের কাজে কর্মে পড়ে কদ্দুর। আয়ুর্বেদে তো রাজসিক, তামসিক ও সাত্ত্বিক খাবারের ফলাফলও বলা আছে। কুরবান-এও এ নিয়ে একটা সূক্ষ্ন মেসেজ রয়েছে, তবে গোলা দর্শকেরা ধরতে পারে নি বলেই ছবিটা পুরস্কার পেলো না। ওম পুরি ও তার উগ্রপন্থী চেলারা খেতে বসেছে টেবিলে, একটি নতুন সদস্য এসেছে, তাকে আপ্যায়ন ও তার অজান্তে একটু যাচাইবাছাইও চলছে। তো এমন মারকাটারি পেশার লোকজন খাচ্ছেটা কী? চিকেন বিরিয়ানি! ছ্যা ছ্যা, এর চেয়ে বরং পনিরের ঝোল কি দোসা খেতিস! তো এমন যাদের ডায়েট, যুদ্ধে তাদের পরাজয় হবে না তো হবেটা কী? সামান্য একটা ভুলের জন্য এমন হলো, ভেবে খারাপই লাগছিলো বেচারাদের জন্য।

৭) আরো আছে
এরা ছাড়াও আর ছিলো দিয়া মির্জা, এই বালিকাটিকে আমি বড়োই ভালু পাই। সুন্দরী মেয়ে, গুণটুন বিশেষ নেই হয়তো, কিন্তু তা নিয়ে ঝঞ্ঝাটও বেশি নেই। কাজেই সাইড রোলটোল দিলেও মাইন্ড করে না, সোনামুখ করে খেয়ে নেয়। এখানেও তাই। কিন্তু তার হবু বর বিবেক ওবেরয়কে নিয়ে সমস্যা নেই তা বলা যায় না। কবে এক কোম্পানি নামক ছবিতে সে ভালো অভিনয় করেছিলো, তার পর যেখানেই দেখি কোথাও সুবিধা পাই না। এখানে সে মার্কিন দেশে জন্মেছে কি না বোধ হয় বলা নেই, তবে পড়াশুনা করেছে এ কথা সত্যি। অতএব তাকে মার্কিন উচ্চারণে কথা বলতে হবে। সে চেষ্টাও করেছে ছোকরা। তবে কি না মাঝে মাঝে ভুলে গেছে কথাটা, তখন আবার সেই সোজাসরল দিশি ইংরিজি! তা ছাড়া সে খেপে গিয়ে উগ্রবাদীদের টাইট দেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে, কিন্তু ঠিক কী যে সে করতে চায় সে পরিকল্পনাটা শেষ অবধি বুঝলাম না। ভেবেছিলাম শেষমেশ টুইস্ট থাকবে এই নিয়ে, কিন্তু ততোক্ষণে পরিচালকই ভুলে গেছে সেটা। সাধে ব্রেনোলিয়ার এমন রমরমা বাজার!

৮) ফুটানি কা বটুয়া
নারীর মন নাকি এক রহস্যের জগত, কিন্তু তার চেয়েও অজানা অচেনা কিছু যদি থাকে তো সে হলো তাদের হাতব্যাগ। কী যে থাকে তাতে খোদায় মালুম, ঘেঁটে দেখলে ভদ্রতার রীতি ভাঙা হয়, কাজেই পুরুষজাতির কাছে উহা চিররহস্য হয়েই থেকে যাবে। এ ছবির শেষ দিকে তিনজন উগ্রপন্থীর বৌকেও তাদের অজান্তে মানব বোমা বানিয়ে সাবওয়ে স্টেশনে পাঠানো হয়। অজান্তে কী করে হলো ভাবছেন তো? ঐ যে, পার্স! গামা সাইজের বোমা তাদের ব্যাগে গুঁজে দিয়েছে পতিদেবগণ, এবং কী আশ্চর্য, তারা কেউ টেরটি পেলো না! সমুদ্রে শিশিরের মতোই সামান্য ওজন বৃদ্ধি, টের পেলেই বোধ হয় অবাক হওয়ার কথা ছিলো।

৯) ভেজা ফ্রাই
কিরণ খেরের চেহারা পছন্দসই লাগলেও অভিনয় নিয়ে দর্শক হিসেবে আমার সমস্যা আছে প্রচুর। দেবদাস যতো খারাপই হোক, হয়তো দেখে নিতাম, কিন্তু যে ক'বারই দেখতে বসেছি, ঐ মহিলা একখানে এসে এমন অসভ্যের মতো চেঁচামিচি জুড়ে দেন যে রেগেমেগে উঠে গিয়েছি। বাড়িওয়ালি-তে হাফ অ্যাক্টিংটা (কন্ঠ বাদ দিয়ে, ডাবিং ছিলো) মন্দ না, তবে তার জন্য ফুল ক্রেডিট দেওয়া মুশকিল। সর্বত্রই প্রায় অতিঅভিনয়ের স্তরেই তিনি বিচরণ করেন, এখানেও ব্যতিক্রম নন। পুস্তু গোছের উচ্চারণ আমরা আগেও শুনেছি ছবিতে, সেই কাবুলিওয়ালার হাঁথি, এখানে ব্যাপারটা অত্যাচারের পর্যায়ে চলে গেছে। এমন কি সন্দেহ হয়, পরিচালক যাই বলুক, এমন সব কান্ড করেন তিনি, মাথায় কি ছিটেফোঁটা ঘিলুও নেই? সন্দেহের নিরসনও হয় ছবির শেষে, গুলি খেয়ে সাবওয়ে স্টেশনের দেয়ালে থ্যাপ করে মগজটা লেপ্টে যায়। ছবির গল্প কিম্বা নান্দনিকতা দেখে পরিচালকদের বুদ্ধিহীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে যে সব অর্বাচীন দর্শক, তাদের জন্য এইখানে হনুমানের বুক চিরে রামচন্দ্রের ছবি দেখানোর মতো মেসেজ, হুঁ হুঁ বাবা, আমাদেরও ঘিলু আছে একপিস করে!


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

ছবিটা দেখেছি সস্ত্রীক গত সপ্তাহে...আমি আপনার এই পয়েণ্ট গুলো নিয়ে আপত্তি করেছিলাম...কিন্তু better half জানালেন হিন্দি ছবি দেখতে হলে বুদ্ধি বাসায় রেখে আসতে হয়। তবে এই ছবিটা enjoy করতে হলে সম্ভবত পুরো ঘিলুহীন হতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা অসহ্য ছবিগুলোর একটা।

ধন্যবাদ আপনাকে...যথার্থ review.

###তাসনীম###

মূলত পাঠক এর ছবি

স্টাটিসটিক্যালি কথাটা ঠিক, অনেক হিন্দি সিনেমাই বুদ্ধির কাছে আবেদন রাখে না। গোবিন্দার ছবিগুলো এ বিষয়ে উদাহরণস্বরূপ। তবে এগুলো নিয়ে আমার সমস্যা নেই, এদের কোনো সুউচ্চ দাবিদাওয়াও নেই, বিনোদন / ভাঁড়ামি হলো সুস্বাদু খাবার, পুষ্টির আশা সেখানে না করাই ভালো। কিন্তু কুরবান নিয়ে লোকজনের বক্তব্য অন্যরকম, এটা নাকি গভীর কথাটথা বলেছে। শুনে হেসে বাঁচি না। সেজন্যই এইটা লিখলাম।

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

সুজন চৌধুরী এর ছবি

উফ! বাচাইছেন! আমি বলির পাঠা হৈতে চাইনা।
এগুলা সামনে দিয়াই ঘোরাঘুরি করতেছিলো টোপের মতো।
অনেকদিন পর লেখা দিলেন!


লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ

মূলত পাঠক এর ছবি

হা হা, নাঃ সবাই মিলে বলির পাঁঠা হওয়া ভালো কথা না, সেই জন্যই আপনাদের বাঁচানোর জন্য এই আত্মত্যাগ করলাম।

আর আমার আগের লেখাটা ২২শে ডিসেম্বর দিয়েছিলাম, আপনারটা যেন কবে বেরিয়েছিলো? হাসি মাঝে মাঝে এক পিস করে ছবি পোস্টালেই তো আমরা খুশি থাকি, তাও যে কেন করেন না!

সুজন চৌধুরী এর ছবি

আরে কী বলেন মশাই! আমিতো ২তারিখেই এইটা দিলাম।
তার আগে ছিলো হাকারবিন!
[/url]


লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ

মূলত পাঠক এর ছবি

ওহ, সেই জন্যই হিসাব তলব করলেন? হাসি

তবে কথা সত্যি, আজকাল লেখার সময় পাই না, আসল কারণ সেইটাই। তবে ফাঁকফোঁকর খুঁজে লিখি, সংখ্যায় কম যে হয় তার ঐ কারণ।

স্বপ্নহারা এর ছবি

বুঝলাম! হিন্দি মুভি দেখতে হলে মগজটা কোথায় যে রেখে যেতে হবে তাই ভেবে কূল পাইনা...
রিভিউটা জোস হইসে...দেঁতো হাসি
কালকেই একবন্ধুরে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম কি করিস? বন্ধু বল্ল...বউয়ের ইচ্ছায় নিজেরে কুরবানি দিচ্ছি, 'কুরবান' দেখি!

-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

মূলত পাঠক এর ছবি

ডিপ ফ্রিজে রেখে যান, ঐ সব দেখে ঘিলুবিহীন করোটিও গরম হয়ে যাবে, তখন ঠান্ডা ঘিলু লাগবে গরম কমাতে।

বিবাহ মানেই তো কুরবানি, এক বার হয়ে গেলে তার পরে আর ভয় কী? হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

"কর্তার ইচ্ছায় কর্ম" এটা বদলাতে হবে, এই যুগে হবে..."কর্ত্রীর ইচ্ছায় কুরবান"।

###তাসনীম###

ফকির লালন এর ছবি

খাসা বলেছেন। কুরবান দেখে আমার মনে হলো একদম খবর না নিয়ে আজকাল কারিনারা যে প্রেমে পড়ে তখন তারা আমার মতো অভাগাদের খুঁজে পায়না কেন?

হিন্দী ছবি আমার পছন্দ - ভালো বিনোদন - চিন্তা ভাবনা করতে হয়না। তবু মনে হয় প্রায়ই এরা লজিকের ধার একদমই ধারেনা। অবশ্য গিন্নী এর প্রত্তুতরে হলিউডের সিনেমার একটা টিপিক্যাল দৃশ্য সর্ম্পকে একটা প্রশ্ন করেন, যার ঠিক জবাব দিতে পারিনি। সেটা হলোঃ যখন হলিউডের নায়ক নায়িকাকে ভিলেনের ডেন থেকে উদ্ধার করে পালা্য সেই মূল্যবান সময়েই কেন তাকে নায়িকাকে চুমু খেয়ে সময় নষ্ট করতে হয়?

মূলত পাঠক এর ছবি

চুমুর বেগ চেপে গেলে করে ফেলাই ভালো। শেষে কাপড়েচোপড়ে হয়ে যাবে নাইলে!

আর হাতের কাজ ফেলে রাখে না বলেই ওরা এতো উন্নতি করেছে, বাড়ি ফিরে গিয়ে চুমু খাবো এই রকম দীর্ঘসূত্রিতা করে করেই বাঙালি জাতটা গেলো।

মূলত পাঠক এর ছবি

যাকে বলে ইন অল ফেয়ারনেস, এই সিনেমার গান গুলো কিন্তু ভালো ছিলো। সুরেলা, কাওয়ালি বা সুফু ধাঁচের, এবং কথা সুর চমৎকার। এই গানটা ইউটিউবে খুঁজলাম, কিন্তু পেলাম না। খুঁজে পেলে আপনাকে মেল করে জানাবো।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

দিয়া মির্জারে খুবি খুবি খুবি ভালু পাই। দেঁতো হাসি

রিভিয়্যু ভালু পাইলাম। তয় ছবিটা দেখা অয় নাইকা।

মূলত পাঠক এর ছবি

সেইটা ভালোই করেছেন, সব কিছু দেখা উচিতও না।

কাল রাতে আপনার লেখার উত্তরে লম্বা কমেন্ট লিখলাম, মূলত সমালোচনার সুরেই, তারপর সেটা গেলো উড়ে। তখন রাগে দুঃখে ঘুমিয়ে পড়লাম।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

কোন লেখার উত্তরে বস্‌? এই মন্তব্যের ?

উড়ে গেলে আবার ধরে পোস্টান।

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনার ছফাগিরির সর্বশেষ অধ্যায়ের উত্তরে। আসলে নিন্দেমন্দ উড়ে যাওয়া ভালো কথাই, সেই ভেবেই আর চেষ্টা করি নি। মধুভাষণ হলে না হয় ফের ঢেলে দিতাম পাতে।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ছফাগিরি আপনি পড়েন !!!! আমি মনে করছিলাম প্রথম কিস্তির পর পড়া বাদ্দিছেন। নিন্দেমন্দ করুন যাই করুন - কথা গিলে নেয়া ভাল না।

আমি কিস্তিতে কিস্তিতে লেখা নামাচ্ছি। আমার নিজের কথাও কিছু এসে যাচ্ছে। অনেক কথা এখনো আসে নি। আর ছফাকে ব্যাখ্যা করার সাথে সাথে নিজের কিছু ব্যাখ্যা দাঁড় হচ্ছে। আপনি ছফাগিরির আলোচনায় এলে আমি খুবই খুশি হব। করুন নিন্দা। কোন অসুবিধা নেই।

তালগাছ নিয়ে বাড়ি ফেরার ইচ্ছে নেই। আলোচনার ইচ্ছা জারি আছে।

লিখুন না প্লিজ। আবার। একটু কষ্ট করে।

দ্রোহী এর ছবি

সেই "রাবনে বানা দি জোড়ি" দেখার পর থেকে আর কিছু দেখার সাহস পাইনি। তবে বলিউডি বালিকাদের আমি বড় ভালু পাই।

অসাধারণ রিভিউ হয়েছে মূলোদা।

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনি তো অসমসাহসী! ঐ সিনেমা আমার শারুখ্খানপ্রিয় বোন জোর করে বসিয়ে ডিভিডিতে দেখাতে গেছিলো, প্রচুর লড়াই করে ক্লান্ত হয়ে আমি ঘুমিয়ে পড়লে সে হতাশাসাগরে নিমজ্জিত হয়। কিন্তু কী আর করা!

থাংকু হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ছবিটা এমনিতেও জীবনে দেখা হতো না। তবু ছবির পরিচালক কলাকুশলীদের ধন্যবাদ, তাদের কল্যাণেই একটা দারুণ লেখা পড়া গেলো।
খুব রসিয়ে লিখতে পারেন আপনি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মূলত পাঠক এর ছবি

হা হা, মজা যেভাবে পাওয়া যায় যাক, সিনেমা না দেখেই পাওয়া গেলে তো আরো ভালো। হাসি

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

হিন্দি চলচিত্র দেখি না। চলচিত্রই দেখা হয় না। দেখা হলে কাহিনী মনে থাকে না! হাসি
লেখা সুন্দর হয়েছে।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

মূলত পাঠক এর ছবি

থাংকু হাসি

তিথীডোর এর ছবি

রিভিউতে জাঝা... যদিও মুভি দেখিনি, দেখবো না!
করিনার ওপর আমি বেজায় ফেড আপ!!

মূলোদা:
আপনাকে ভীষণ ডরাই তবু সাহস করে বলি, "আজব প্রেম কি গজব কাহানি" (যদি দেখে থাকেন এবং হাতে সময় থাকে) নিয়ে আরেকটা লেখা দিন না...

-------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিক্ষা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃক্ষমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মূলত পাঠক এর ছবি

আজব গজব দেখি নাই তো!

নাশতারান এর ছবি

সিনেমা না দেখে আমি রিভিউ পড়িনা।
এই প্রথম একটা রিভিউ পড়ে এতো আরাম পেলাম।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মূলত পাঠক এর ছবি

তাইলে এই রিভিউটা পড়েন, আরো মজা পাবেন।

রাজিব মোস্তাফিজ [অতিথি] এর ছবি

রিভিউ অনেক ভালো লাগল। থিম একই বলে জানতে ইচ্ছে করছে--"মিশন কাশ্মীর" আপনার কেমন লেগেছিল(যদি দেখে থাকেন)?আমার দুর্দান্ত লেগেছিল।

মূলত পাঠক এর ছবি

দেখা হয় নি ঐটা, তবে সাধারণত টেররিজম নিয়ে বানানো সিনেমা আমার ব্যর্থ / পয়েন্টলেস মনে হয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই (উদাহরণ মাচিস)। আরো খোলসা করা দরকারি হলেও আপাতত ক্ষান্ত দিচ্ছি। একটা ছবি খুব ভালো লেগেছিলো, দ্রোহকাল।

রাজিব মোস্তাফিজ [অতিথি] এর ছবি

মাচিসের কথা মনে নেই বস। আর দ্রোহকালও বোধ করি দেখা হয়নি এখনও। যাক, একটা ভালো ছবির নাম জানা হল। সুযোগ পেলে দেখে নিব।
আর আপনিও পারলে 'মিশন কাশ্মীর' দেখে নিয়েন। ভিদু ভিনোদ চোপড়া নামটি ওই ছবিটার সাথে জড়িয়ে আছে বলে আপনাকে দেখতে বলার দু:সাহস করছি। এইটা আসলে '3 idiots' দেখার একটা আফটার-এফেক্ট বলতে পারেন। একই প্রযোজক-পরিচালক(রাজু হিরানি) জুটির কাছাকাছি থিমের 'মুন্না ভাই এমবিবিএস' আর 'লাগে রাহো মুন্না ভাই' দেখার পরও ইডিয়টত্রয় একেবারে মুগ্ধ করে দিল।

ভালো থাকবেন।

আরিফ [অতিথি] এর ছবি

হা হা ।। মেলা বিনোদন পাইলাম ঃ)
আমার এক বন্ধু ক্কুসুম রে বলত কেকুসুম!!!

মূলত পাঠক এর ছবি

থাংকু।

মেলা নামের সিনেমাটা দেখলে আরো ঢের মেলা বিনোদন পাইতেন।

সুরঞ্জনা [অতিথি] এর ছবি

কুরবানের তো ভাগ্য ভালো বলতে হবে।
এত চমৎকার রিভিউটা পেল। হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

হা হা, থাংকু সুরঞ্জনা।

স্পার্টাকাস [অতিথি] এর ছবি

ফালতু একটা মুভি হবে আগেই বুজছিলাম। এইজন্য বন্ধুরা দেখার উপদেশ দিলেও দেখিনাই। রিভিউ দিয়া ভালই করলেন।

মূলত পাঠক এর ছবি

হাসি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সব বুঝলাম
কিন্তু দেখব কি দেখব না সেটাতো বললেন না

মূলত পাঠক এর ছবি

আমার বলাবলিতে আর কী হবে বলেন, যা একখানা কাণ্ড ঘটালেন সম্প্রতি, তাতে আপনার দশা কী হবে সেইটা উপরে স্বপ্নহারার মন্তব্যেই আছে, পড়ে নেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

বাসায় সমস্ত গবেট এক সাথে হলে হিন্দি মুভি দেখা হয় ...
আমার আগ্রহ কম হলেও দেখা যায় তাদের থেকে হিন্দি আমি ভাল বুঝি...

(জয়িতা)

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনি কি নিজেকে বুদ্ধিমান গবেট বললেন এইমাত্র?

সুরঞ্জনা [অতিথি] এর ছবি

আপনি কি নিজেকে বুদ্ধিমান গবেট বললেন এইমাত্র?

হা হা!!
আপনি তো ভয়ংকর লোক মশাই!! দেঁতো হাসি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

উড়ে খাইসে- এক ছবিতে দেখার মতো এতো কিছু আছে ?? দৈর্ঘ্য কত ?? বেনহুরের কাছাকাছি নাকি ?? ...

সাইফ আর কারিনার ছবি দেখবো, পাগল না পেট খ্রাপ আমার ?? পরিচিত যারা দেক্সে- কেবল মেয়েরাই প্রশংসা করলো (তাও কেবল সাইফের ভক্তীরা...), ওমুখো আর হলাম না...

আর ইয়ে, পা দেখেছেন নাকি ?? ওটার অনেক সমালোচক প্রশংসা শুনি ??

_________________________________________

সেরিওজা

মূলত পাঠক এর ছবি

না ততো লম্বা সিনেমা না, কিন্তু টর্চারের ক্ষেত্রে অল্পেই অধিক হয়ে যায় যে।

পা দেখি নাই, দেখবোও না। কুরবান দেখতে গিয়েই প্রিভিউ দেখেছিলাম, সে আরেক টর্চার!

অতিথি লেখক এর ছবি

গবেট তো বাংলাদেশের সবাই....
আমরা হয় কিছুই বুঝিনা...নয়তো বুঝে না বোঝার ভান করি...
তবে গৃহে মনে হয় আমি উন্নত গবেট...(!)
বিপদে না পড়লে হিন্দি মুভি দেখিনা....দেখলে খুজে বের করি কাহিনী কোন ইংরেজী মুভির নকল....(হাহাহহাহা)

(জয়িতা)

দময়ন্তী এর ছবি

ওফ!
না: আপনি একজন বীরপুরুষ, মানতেই হচ্ছে৷ এই সিনেমা সাহস করে পুরোটা দেখা --- না: ক্যাপা আছে মশাই আপনার৷
তবে লেখা একেবারে মূলোছাপ৷

আমি তিন বুদ্ধু দেখলাম৷ কিন্তু দুটো তো বুদ্ধু আর আমির তো ফাটাফাটি জিনিয়াস৷ তাহলে তৃতীয় বুদ্ধুটা কে, সেটাই ভেবে যাচ্ছি৷ তবে চেতন ভগত্ আর তিন বুদ্ধু টিমের ঝগড়াঝাঁটি টিভিতে দেখতে বেশ লাগছে৷ কি খোরাক--- কি খোরাক!
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

মূলত পাঠক এর ছবি

এ তো কিছুই না, আমি আরো অনেক ভয়ানক সিনেমা গোটা গোটা দেখেছি, স্রেফ গালি দেবো বলেই, যেমন গজগামিনী। হাসি

দময়ন্তী এর ছবি

আপনি গজগামিনীও দেখেছেন?
বাপরে!!!!
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

ফারুক হাসান এর ছবি

আপনি গজগামিনীও দেখেছেন?
বাপরে!!!!
হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দারুণ মজা প্লাম রিভিউ পড়ে। দেঁতো হাসি
অনেকদিন লেখেন নাই মাঝে। এরকম এক আধটা রিভিউ দিয়েন নিয়মিত। হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

লিচ্চয় লিচ্চয়, এমন সিনেমা দেখতে পারলে রিভিউ লেখা আর কী এমন ব্যাপার! হাসি

সবজান্তা এর ছবি

হা হা হা... এই মাঝ রাতে গড়াগড়ি দিয়ে হাসতে হচ্ছে। মারাত্মক কিছু লাইন আছে এ লেখাতে... হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ।

হিন্দি সিনেমা দেখি না বলে নাক সিঁটকানো হয়তো খারাপ হবে, তবে দুঃখজনক সত্যিটা হলো, যতোই জগৎ সংসারের ভালো ভালো সিনেমাগুলি দেখছি, ততোই হিন্দি সিনেমা দেখা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। তবে ভালো সিনেমাও যে হচ্ছে না- তা না। আমি মোটামুটি আশাবাদী যে হিন্দি সিনেমা ট্র্যাকে রয়েছে। কিছু বছরের মধ্যেই হয়তো ঝাঁকি টাকি দিয়ে আল্টিমেট ইকুয়লিব্রিয়ামে পৌছে যাবে। থ্রী ইডিয়টস নিয়ে কিছু একটা লিখুন। সর্বত্র এর প্রশংসায় কান পাতা দায়। আমার অবশ্য এখনো দেখা হয় নি...


অলমিতি বিস্তারেণ

মূলত পাঠক এর ছবি

আমার পর্যবেক্ষণও খুব ভিন্ন নয়। আসলে ভালোমন্দের চেয়েও যেটা বেশি মনে হয় আমার, তা হলো, সাধারণ হিন্দি সিনেমার সেনসিবিলিটি ও মেজাজটা কিছুদিন না দেখে তারপর দেখতে বসলে বড়োই অস্বস্তি জাগায়। সব কিছুই যে মোটা দাগের হয় তা বলবো না, কিন্তু অনেক সময়ই তাঁরা সিনেমার কোনো দৃশ্যে একটা কিছু করে যখন তারিফ কুড়োতে যান, আমার বেয়াক্কেলে সব প্রশ্ন জাগে আর মনে হয় জিগাই, 'হ্যাঁ, তো তাতে হলোটা কী?'

আমার মতের সাথে মোটামুটি মেলে এমন রিভিউয়ারের লেখা পড়ে যাই ছবি দেখতে, এতে শুধু সময় ও অর্থই যে বাঁচে তা নয়, টর্চারের হাত থেকেও প্রাণটা বাঁচে। রিডিফের রাজা সেন এই রকম একজন। তিনি তো তেমন গদগদ হন নি দেখলাম তিন বলদ নিয়ে। আর হাবেভাবে শুনছি ওটা নাকি রং দে বসন্তি গোছের, তা হলে তো দেখার চেষ্টাও করছি না। যাঁদের রংদে ভালো লেগেছে তাঁরা মাফ করবেন, এবং ঐ পরিচালকের আগের ভয়ানক সিনেমাটার (অক্স) তুলনায় রং মন্দের ভালো সে কথাও মানি, কিন্তু তারপরেও প্রচুর সমস্যা হয়েছে দেখতে। কাজেই তিন বোকা যদিও অন্য পরিচালক, তবু দেখতে গিয়ে বোকা বনতে চাই না। তার চেয়ে বাজারে এতো সিনেমা চলছে, তাই দেখে আসবো যদি পারি। সময় পেলে 'আপ ইন দ্য এয়ার'টা দেখা যেতো, তাই হচ্ছে না! (দুঃখের ইমো)

ওডিন এর ছবি

ভাইরে- এই অধম হিন্দিছবিসিরিয়াল রসে বঞ্চিত। কিন্তু মাঝরাতে এই লেখা পড়ে এমন হাসি হাস্তেছি যে মনে হয় ঘুমটুম সব গেলো। চব্বিশঘন্টাটানাডিউটিরপরেলগানোক্ষমতারহিত হয়ে ছিলো- কিন্তু মন্তব্য লিখতে লগ অন করতেই হইলো।

তো এমন মারকাটারি পেশার লোকজন খাচ্ছেটা কী? চিকেন বিরিয়ানি! ছ্যা ছ্যা, এর চেয়ে বরং পনিরের ঝোল কি দোসা খেতিস! তো এমন যাদের ডায়েট, যুদ্ধে তাদের পরাজয় হবে না তো হবেটা কী?

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

মূলত পাঠক এর ছবি

হা হা, মজা পেয়েছেন জেনে আনন্দ পেলাম। হাসি

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

হা হা হা খুবঈঈ মজা পেলাম রিভিউ পড়ে। যারা এই সিনেমাগুলোতে অভিনয় করে তারা কেন কমনসেন্স বস্তুটা ব্যবহার করেনা কে জানে!!

মূলত পাঠক এর ছবি

সে তো আছেই, কিন্তু এই সব সিনেমা যখন প্রশংসিতও হয় তখন বুঝি কমনসেন্স জিনিসটা ততোটা কমনপ্লেস জিনিস নয়।

মজা পেলেন জেনে আম্মো মজা পেলাম।

রেনেট এর ছবি

দারুন রসিয়ে লিখেছেন মূলোদা! এমন রিভিউ দেয়ার জন্য হলেও আপনার নিয়মিত হিন্দি মুভি দেখা উচিত!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মূলত পাঠক এর ছবি

ক্ষুদিরাম হইতে কন?

তুলিরেখা এর ছবি

কী ভয়ানক! এ সিনেমা দেখলেন পুরোটা! কারুর কাছে বাজি টাজি ধরেছিলেন নাকি শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদের মতো? হাসি
রিভিউ দারুণ মজার হয়েছে! এই ধরনের বলদীয় সিনেমার ক্ষেত্রে আপনার এই সুপার মজার রিভিউ পাওয়া যায়, সেও আমাদের একটা বড় পাওয়া!
ভালো থাকবেন। আরেকটু ঘন ঘন লিখবেন।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

আহা পয়সা দিয়ে দেখতে গেছি, অমনি উঠে চলে এলেই হলো? হাসি

ঘনঘন লিখতে তো চাই, কিন্তু বড়োই সময়াভাব। আগে যখন অঢেল সময় ছিলো তখন যেমন পাইকারি হারে লিখতাম তা আর হবে না মনে হয়।

নিবিড় এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।