দিনগুলি মোর ৮: আরো খানিক ওড়াউড়ি

মূলত পাঠক এর ছবি
লিখেছেন মূলত পাঠক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৮/০৪/২০১০ - ৮:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্লেনটা একেবারে থিকথিক করছে মানুষে। সব আসন ভর্তি, হাঁকডাকে সরগরম চারিদিক, প্রায় মাছের বাজার, স্রেফ আঁশটে গন্ধটুকু বাদ দিলে। অ্যাটলান্টা থেকে পোর্টল্যান্ডগামী সরাসরি ফ্লাইট বেশি নেই, তাই বিশেষতঃ সোমবার সকালের ফ্লাইটটা সবসময়ই প্রায় ভর্তি থাকে। আর আমার যেহেতু দু মাস আগে থাকতে টিকিট কাটার উপায় নেই যেহেতু গন্তব্যের খোঁজই পাই দু দিন আগাম, কাজেই অবধারিতভাবে মাঝের সীটটা জোটে, স্ট্যাটাস ফলিয়েও কিছু হয় না। মাঝে মাঝে পাশে বিশাল বপু কেউ পড়লে চ্যাপ্টা হয়ে যাই, কিন্তু মোটা মানুষ তো আর বেলুন নয় যে চেপেচুপে রাখা যাবে, কাজেই তাঁদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। তখন শ্যামাসঙ্গীত গাইতে গাইতে পাড়ি দিই, দোষ কারো নয় গো মা!

তো সেদিন পাশে এসে বসলেন এক বয়স্ক মানুষ, মোটা নন মোটেও, দেখে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। যুধিষ্ঠির কোথায় গেলেন, আমাদের পৃথিবী যে সর্বদা নারীখচিত নয় সেটা দেখে যান! আমার এক মালয়েশীয় সহকর্মী আগের সীটে ছিলো, তাকে ঐ মাইল কি স্ট্যাটাস নিয়ে কিছু বলছিলাম, শুনে তিনিও যোগ দিলেন। মিশুকে লোক, গল্প করতে ভালোবাসেন। সেলসের চাকুরি বলে পথেই আদ্ধেক সময় কাটে তাঁর। তবে আমার মতো ঘরকুনো লোক নন তিনি, তাই উপভোগও করেন সে ব্যাপারটা। এক সময় কথায় কথায় বললেন ওঁর মাইলের কথা, শুনে তো চক্ষু চড়কগাছ! আড়াই মিলিয়ন মাইল ওড়া হয়ে গেছে ভদ্রলোকের! ভালো করে দেখলাম, কোনো দিক থেকে যদি জর্জ ক্লুনির মতো দেখতে লাগে। কিন্তু নাঃ, নেহাতই সাদাসিধে চেহারা, জোলিমাসির বাপের মতো দেখতে লাগতেও পারে কিন্তু নায়কটায়ক কিছু নন। কাজেই যে প্রশ্নটা আমার খালিখালি মনে আসে সেটা ওঁকে করতে অসুবিধা হবার কথা নয়। এই যে হরহফ্তা পোঁটলা বেঁধে ছুটতে হয়, আমি না হয় এই রুটিনে নতুন বলে এক রকম চলে যাচ্ছে। কিন্তু মানুষজন আন্ডাবাচ্চা ঘরসংসার সামলে বছরের পর বছর এই অদ্ভুত রুটিনে মানিয়ে চলে কীভাবে সেই কথাটা মাথায় ঢোকে না কিছুতেই। ওঁর উত্তরটা যে আমাকে খুব খুশি করলো তা বলতে পারি না, তবে দৃষ্টিভঙ্গীর পার্থক্যের কারণে সেটা অস্বাভাবিক নয়। ওঁর মতে, এই পেশায় শুধু কাজটুকুই নয়, এই লাইফস্টাইল বা জীবনযাত্রার ধরনটাও উপভোগ করতে হবে, না হলে টিকে থাকা মুশকিল। এবং উপভোগ করার জন্য যা যা করা দরকারি, সে সবে কোনো সমঝোতা চলবে না। যার বাংলা মানে হলো এই যে পাশে কোনো উপদ্রবকারী সহযাত্রী বসলে তাকে নির্দ্বিধায় জানাতে হবে, ওহে বাপু, আমারটা খেয়ে তো মোটা হও নি, কাজেই ভীমের মতো ঊরুখানি নিজের কোলে তুলেই বসো না কেন? আমি ভার্চুয়াল জগতে লড়াকু একটা ইমেজ বানানোর চেষ্টা করি কারণ আসল জীবনে লড়াইয়ের গন্ধ পেলেই উল্টোবাগে ভাগি। কাজেই ওঁর উপভোগ্য ভ্রমণ যে আমার কপালে নেই সেইটা বুঝলাম।

বোঝাটা আরো ভালো ভাবে হলো ফেরার পথে, বেস্পতিবার রক্তচক্ষু উড়ানে। আবার মাঝের আসন, এবং পৌঁছে দেখি জানালার পাশে একটি ছোটোখাটো পাহাড়। হাতদানীটা পুরো নামানো যাচ্ছে না তাঁর ঊরুর উপর দিয়ে। কোনো ক্রমে দম এঁটে বসে পড়লাম যদি তাতে করে আরেকটু আয়তন কমে। কিন্তু হা হতোস্মি, একটু বাদেই অন্যপাশের পৃথুলা সহযাত্রীর আবির্ভাব, এবং তাঁর পাশে ঐ আগের পাহাড়টি ফেল মেরে যায়। অতঃপর আমাকে আর দেখা গেলো না, দুজনের ডান ও বাম বাহু প্রায় ছুঁই ছুঁই, মাঝে ঐ যে একটা চ্যাপ্টামতোন জিনিস দেখতে পাচ্ছেন, সেইটে আমার নাক। ব্যাস, ঐটুকুই দেখতে পাবেন, তার বেশি দর্শন হবে না। কলেজ জীবনের কথা মনে পড়ে গেলো, কলকাতার ভীড় বাসে কোনো ভাবে ঢুকতে পারলে হাতলটাতল ধরতে হতো না, নিরালম্ব হয়েই গন্তব্যে পৌছে যাওয়া যেতো। কিছু দিন পর থেকে তো ঐভাবে ঘুমিয়েও নিতাম খানিকটা, পড়ে যাবার তো আর ভয় নেই, বসে বসে ঢুললে মাথা ঠুকে যাবার ঝুঁকি থাকে, এই অচ্ছেদ প্যাডিংয়ের মাঝে সে ভয়ও নেই। কোনো শিক্ষাই অপচয়ে যায় না, সেই পুরোনো বিদ্যে কাজে লাগিয়ে সুন্দর ঘুমিয়েও নিলাম রাত্তিরটা।

পৃথুলাদের কথায় মনে পড়লো, সম্প্রতি অস্কারবাবদ খ্যাত প্রেসাস ছবির অভিনেত্রী গাবোরে সিদিবে-র মোটা থাকা উচিত না অনুচিত, সে নিয়ে টিভিতে বিতর্ক হচ্ছিলো (আলোচ্য বিষয়ের বড়োই অভাব, সন্দেহ নেই)। পুরুষ অভিনেতারা মোটা হলে সেইটা মজার বিষয় (ওঃ জন গুডম্যান? হি ইজ সো ফানি!), আর মেয়েরা হলেই খারাপ ব্যাপার! কথা সত্যি, কিন্তু একজনের নিন্দে হয় না বলে বাকিদেরকেও ছাড় দাও, এইটা তো কাজের কথা নয়। বরং সক্কলকে নিন্দে করাই ভালো নয় কি? বিশেষত ওবিসরা অনেকেই যখন জীবনযাত্রার দোষে ঐ রকম। এবং এদের জন্য সাধারণ করদাতাদের বেশি করে করের বোঝা বইতে হয় যখন

যাক, এইসব মোটামুটি কথা ছেড়ে এবার পোর্টল্যান্ডের কথায় আসি। বিমানবালিকারা পদ্মলোচনী কায়দায় একে কেবলই সানি পোর্টল্যান্ড বলে অবতরণের আগে, কেন কে জানে! সিয়াটলের কাছাকাছি, কাজেই বিনিদ্র হলেও বিবৃষ্টি কখনোই নয়। আকাশ থেকে মাউন্ট হুড সমেত আরো অনেক পর্বতটর্বত দেখা যায় যদি মেঘবৃষ্টি না থাকে। আকাশ সাফ থাকলে নেমে এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে ব্রিজ পার হবার সময় নদীর শেষমাথায় নীল আকাশের মাঝে ফুজিসানের মতোই দেখতে খানিকটা হুডের হুডটুকু দেখা যেতে পারে। গাড়ি থেকে আইফোনে নেওয়া ছবিতে সে সব মহিমার কিছুই আসে নি। শহরটা মন্দ নয়, ডাউনটাউন একেবারে নবীনকিশোরটি নয় বলেই একটা চরিত্র চোখে পড়ে। খাওয়াদাওয়া ছাড়া অবশ্য সে চরিত্র নিয়ে বেশি নাড়াঘাঁটা করার সুযোগ হয় নি। ম্যাকর্মিক ও শ্মিকদের এখানে ভালো রমরমা, তাদের জেক'স গ্রীলটি যাঁরা ওল্ড স্টাইল রেস্তোঁরার ভক্ত তাঁদের পছন্দ হবে। নিভুনিভু রোমান্টিক আলো বা দিবালোকের মতো ডাইনারসুলভ জায়গা কোনোটাই নয়, বরং পুরোনো হলদে আলোমাখা উঁচু ছাদের ঘরে সাদা ঢাকা দেওয়া টেবিলে বসে পড়ুন। দেয়াল সজ্জাটজ্জাও পুরোনো ধাঁচের। একজন বর্ষীয়সী ভদ্রমহিলা আমাদের আপ্যায়ন করলেন, বেশ স্নেহশীল মাসীমা গোছের, যত্ন করে বুঝিয়ে দিলেন নানা রকম খানার স্বাদের ইতিহাস ভূগোল। অনেক রকম মাছ ছিলো, কিন্তু আমি নিলাম হাঙর। ভেবেছিলাম দাঁতের লড়াই গোছের কিছু হবে, কিন্তু রান্নার গুণেই হোক বা অন্য কোনো কারণে, ভয়ালভয়ঙ্কর প্রাণীটির দেখলাম বেশ নরমসরম মাংস। সুরাসহযোগে সুস্বাদু, নিঃসন্দেহে।

আমার কর্মক্ষেত্রটি অবশ্য ঠিক পোর্টল্যান্ডে নয়, আধঘন্টাটাক দূরে, ভ্যাংকুভার, ওয়াশিংটনে। কোনো শহরের চরিত্র শুনেছি ট্যাক্সিড্রাইভারদের দিয়ে বোঝা যায়, সেক্ষেত্রে এই জায়গাটি বড়োই ঢিলেঢালা। দশটায় আসতে বললে ট্যাক্সি সওয়া দশটার আগে কিছুতেই আসবে না। ক্যাবিরা আবার বিশেষ রকমের বন্ধুভাবাপন্ন, একজন তো ই-সিগারেট কেন খাওয়া উচিত তা নিয়ে সন্দর্ভ লিখে ফেললো একখানা। এয়ারপোর্টের পথে যেতে যেতে গাড়ি চালাতে চালাতেই সে তার ই-সিগারেটের প্যাঁচট্যাচ খুলে যান্ত্রিক কারিগরি বুঝিয়ে যাচ্ছে, এদিকে আমি আতঙ্কে তো সবুজ! তবে জিনিসটা মনে হলো মন্দ না, প্রাথমিক খরচটা বাদ দিলে সস্তা, মোটামুটি ধোঁয়া ও ধূমপানোত্তর যে বাজে গন্ধটা হয় তার থেকে মুক্ত। তবে খেয়ে ধূমপানের আসল মজা হয় কি না খোদায় মালুম। অনেক সাধাসাধি করলেও তার মুখেরটা খেয়ে দেখার সাহস বা ইচ্ছে কোনোটাই জোটাতে পারি নি।

এতোক্ষণের আনাড়ি প্যাচাল শুনে নতুন পাঠকেরা এইটা বুঝে গিয়ে থাকবেন যে আমার এই গোত্রের লেখা মোটামুটি বায়বীয় স্তরেই থাকে। আর পুরোনোরা আগে পড়ে থাকলে অবশ্যই জানেন সেই গোপন ফাঁকিবাজির কিস্সা। কাজেই আর কথা না বাড়িয়ে আজ কাটি, অনেক দিন পরে লিখতে বসে আঙ্গুলে যে মরচে পড়েছে সে সব ঝেড়েঝুড়ে সাফ হওয়া যাক। পোর্টল্যান্ডের পাট শেষ হয়েছে, এখন শিকাগো, সামনে স্প্রিংফিল্ড, ক্ষমতায় কুলোলে সে সব কথা লেখা যাবে। সব্বাই ভালো থাকুন।

সঙ্গের ছবিটা ভ্যাঙ্কুভারে, আইফোনের দুর্বল ক্যামেরায় তোলা, নববসন্তের প্রথম আগন্তুক ড্যাফোডিলের উচ্ছ্বাস।


মন্তব্য

ফারুক হাসান এর ছবি

অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম! একদম মচমচে!

মূলত পাঠক এর ছবি

হা হা, অনেক ধন্যবাদ! পোর্টল্যান্ডের ঐ ভেজা ভেজা বাতাসেও মিইয়ে যায় নি বলছেন?

naina এর ছবি

লেখা ভালোই হয়েছে। আশা করছি দ্রুত আরো লেখা পাবো ।

মূলত পাঠক এর ছবি

ধন্যবাদ। দ্রুত'র ব্যাপারে কথা দিচ্ছি না, এইটে পাক্কা তিন মাস বাদে লিখলাম। হাসি

উজানগাঁ এর ছবি

আপনার দেখা শেষপর্যন্ত পাওয়া গেল ! কেন যে ডুব দেন বুঝি না ;)।
লেখা ভালোলেগেছে। আশা করছি নিয়মিত দেখা যাবে আপনাকে।

মূলত পাঠক এর ছবি

থাংকু ফোটোস্যার। ডুব দেই কি আর সাধে, লিখতে তো ভালোই লাগে। মরচে ঝেড়ে শুরু তো করলাম, কিন্তু আবার যেন শুনতে পাই "অতল জলের আহ্বান" হাসি (কেউ দেখেছেন নাকি এই সিনেমাটা?)

আপনার তোলা ছবি দেখি না অনেক দিন, পোস্টান পোস্টান। স্টকে এক গাদা না থাকলেও চলবে, দু-একটা দিয়েই পোস্ট ছাড়েন না!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

মোটেতো বিমান থেকে নেমে হাঙর দিয়ে ছোটহাজরি সারলেন। এখনো তো গোটা দিন, আরো তিন/চার বেলা খাওয়া পড়ে আছে। সেগুলো কই? সিরিজ নাহয় অনিয়মিতই হল (কে বলে কাকে!), কিন্তু তাতে একটা গোটা দিন-রাত থাকবেনা তাও কি হয়? আমাদের কোঞ্চিপার লুল্‌বালকদের জন্যও তো কিছুই দিলেন না!



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মূলত পাঠক এর ছবি

আরে ছোটো বড়ো সব হাজরিই খতম, ঐ যে ই-ধূমপান, সে তো ফেরার পথের গল্প।

লুল্বালকদের জন্য কিছু তো নাই, এই নাটক তো প্রায় স্ত্রীভূমিকাবর্জিত মন খারাপ

তানভীর এর ছবি

পাণ্ডবদার মতো পোর্টল্যান্ড ভ্রমণ নিয়ে আরো বিস্তারিত বিবরণ আশা করেছিলাম। আমেরিকার উত্তর-পশ্চিমের রাজ্যগুলো বিশেষ করে ওরিগন পরিবেশ নিয়ে খুব সচেতন। এর মধ্যে পোর্টল্যান্ডকে আমেরিকার সবচেয়ে পরিবেশ-বান্ধব শহর বলা হয়। আমেরিকার বেস্ট প্ল্যানড শহরের উদাহরণ হিসেবেও পোর্টল্যান্ডের নাম আসে (ভারতে যেমন চন্ডিগড়)। পোর্টল্যান্ডে তাই এখনো পা রাখার সুযোগ না পেলেও ব্যক্তিগত ভ্রমণ তালিকায় এটা বেশ ওপর দিকেই আছে।

মূলত পাঠক এর ছবি

সমস্যা হলো আমার কোথাও গিয়েই তেমন ঘোরাঘুরির সুযোগ হয় না, তাই ওপর-ওপর লেখা ছাড়া গতি নেই। উইকি থেকে তথ্য জুড়ে দিতে পারি কিন্তু সে তো পাঠক নিজেই পড়ে নিতে পারেন। তাই এই হাল্কা ফুল্কা ব্লগরব্লগরই লিখি।

সুজন চৌধুরী এর ছবি

আরে! আর একটু আগাইলেইতো আমার বাসা! ভ্যাংকুভার, কানাডা।
একেবারে সিয়াটলের গায়ে লাগানো।
ভ্যাংকুভারেই গেলেন তো গেলেন ওয়াশিংটনে! ধুর মনটাই খারাপ করে দিলেন! এতো কাছে আসলেন তাও দেখা হলোনা!
লেখাটা বরাবরের মতোই ঝরঝরা...
তবে আমিও বিপদে পড়লে শ্যামাসঙ্গীত গাই। ১বার আমারে মা কালী বাঁচাইছিলো তারপর থেকে আমি শ্যামাসক্ত। সেই গল্প পড়ে পোস্টাকারে দিবোনে।
এরপরে আর একটু আগায়া আমার গরিবখানায় পায়ের ধুলা দিয়েন।
কাচ্চি-বিরানি খাওয়ামু।


লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ

মূলত পাঠক এর ছবি

আরে মিয়া, ঐটা তো অন্য দেশ। তারপর শ্যামাকাকার পুলিশে এসে ধরলে আপনে বাঁচাইবেন? তবে কাচ্চিবিরানির কথা মনে রাখলাম। কপালে থাকলে ........

শ্যামামায়ের গল্প শুন্তে মঞ্চায়।

নাশতারান এর ছবি

কঃ
এত্তদিন পর!

খঃ

দুজনের ডান ও বাম বাহু প্রায় ছুঁই ছুঁই, মাঝে ঐ যে একটা চ্যাপ্টামতোন জিনিস দেখতে পাচ্ছেন, সেইটে আমার নাক। ব্যাস, ঐটুকুই দেখতে পাবেন, তার বেশি দর্শন হবে না।

পুরো প্যারা আর কোট করলাম না। পড়ে আমার অবস্থা ঠিক এরকমঃSmiley

গঃ
ই-সিগারেটের বৃত্তান্ত পড়ে তব্দা খেলাম। কালে কালে কতকিছু দেখবো! এখন ই-পানও বের করা দরকার।

ঘঃ
টিঁকে আর পৌছে'র মাথার চন্দ্রবিন্দু অলদবদল করা দরকার।

ঙঃ
হফ্তা, কিস্সা-য় যুক্তাক্ষরগুলো কীভাবে লিখছেন? আমার হয় না কেন? কিছুদিন আগে ল আর ফ যুক্ত করার দরকার পড়েছিলো। সেটাও পারলাম না কিছুতেই। মন খারাপ

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

আসিফ আসগর এর ছবি

ঙঃ

লেখকের পদ্ধতি নিশ্চয়ই এমন নয়, তবে আমি একটা শর্টকাট বলতে পারি -

আগে যা দিয়ে যুক্ত করা যায়, তা লিখে নিন, পরে ডিলিট করুন। ধরুন ফ-যুক্ত ত লিখতে চান, তো আগে লিখুনঃ হ+ফ+ল+ত+আ... এরপর কার্সর একবার বামে সরিয়ে 'ল' মুছে দিন। 'হফ্লতা' থেকে 'হফ্তা' পেয়ে যাবেন।

নাশতারান এর ছবি

দারুণ তো! ফ্ত, স্স লিখতে পারলাম। কিন্তু ল আর ফ যুক্ত করা গেলো না এই পদ্ধতিতে। রহস্য! রহস্য!

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মূলত পাঠক এর ছবি

এই সব ইমো আপনে পান কই!

ই-জিনিসে আমার খুব আগ্রহ আছে তা না। তবে লোকজন যেমন নাসাকুঞ্চন সহ ভ্রুভঙ্গি করে তাতে মনে হয় গন্ধবিহীন ধূমপান হলে মন্দ হতো না।

চন্দ্রবিন্দুবদল ডান! থাংকু। হাসি

ঙ নিয়ে তো বলা হয়েই গেছে। আমি স্রেফ এ প্লাস বি এই ভাবে লিখি। তাতে যা হওয়ার হয়।

নাশতারান এর ছবি

ইমোগুলো এখান থেকে নেয়া।

আপনি কি অভ্র দিয়ে লেখেন?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মূলত পাঠক এর ছবি

থাংকু।

আমি ফোনেটিক দিয়ে লিখি।

নাশতারান এর ছবি

এইতো রহস্য উন্মোচিত হলো! "ল্ফ", "স্স", "ফ্ত" Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তিথীডোর এর ছবি

ইয়ে, বুনোপা
>অলদবদল নাকি অদলবদল?

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তিথীডোর এর ছবি

মূলত পাঠকের লেখায় মন্তব্য করছি? বাপরে! ইয়ে, মানে...

লেখার ঢং খানি খাসা!
চলুক

ফের তিনমাস পর নয়, কলেজ নিয়ে ই'বুকে এ মাসের মধ্যেই লিখবেন আশা করি...

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

রেনেট এর ছবি

অনেকদিন পর চমৎকার একটা লেখা পড়লাম! খাসা!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মূলত পাঠক এর ছবি

থাংকু থাংকু রেনেটভাই!

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আরে, মূলত পাঠক আবার লেখক হয়ে গেলেন কবে ?? উনিতো শুধুই পাঠক, দায়ে পর্লে মন্তব্যকারক দেঁতো হাসি

লেখাটা পড়ে মন্তব্য কর্তে গিয়ে দেখি খালি জটায়ূর 'ভ্যঙ্কুভারে ভ্যাম্পায়ার'
আর জোলিমাসি শব্দদুইটা মাথায় ঘুর্তেসে...

_________________________________________

সেরিওজা

মূলত পাঠক এর ছবি

এই যে অর্বাচীন বালক, এতো ডায়লগ অন্য খানে দিও। ছোটো গল্প লেখো না কতো দিন হলো, হিসাব আছে তার?

তবে জোলিমাসিকে দেখলে কিন্তু আমার সত্যি সত্যি জোলিমাসিই মনে হয়। সেই ওয়ান্টেড-এ কচি জেমস ম্যাকাভয়কে যেমন পক্ষপুটে আশ্রয় দিলেন তাতে মাসি না বলে বলি কী?

হাসিব এর ছবি

কোনো শহরের চরিত্র শুনেছি ট্যাক্সিড্রাইভারদের দিয়ে বোঝা যায়

ঢাকার ট্যাক্সড্রাইভারদের কথা চিন্তা করে একটু চিন্তাযুক্ত হয়ে পড়লাম ।

মূলত পাঠক এর ছবি

ট্যাক্সিওয়ালারা সব শহরেই বোধহয় একটু আধটু চিন্তাউদ্রেককারী গোছের হন। বিল ব্রাইসনের "নিদার হিয়ার নর দেয়ার" মনে পড়ছে, ট্যাক্সি নিয়ে হলেও এটা অবশ্য চালকদের নিন্দে নয়। আঠারো বছর পর প্যারিসে এসে সব বদলে গেছে দেখে লেখক চিন্তাকুল, ফিরবেন এবার, এয়ারপোর্টের জন্য ট্যাক্সি ধরতে গেছেন। দেখলেন লাইন একটা আছে, কিন্তু লোকজন লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে লাইন ভেঙে ট্যাক্সি ধরছে, ঠিক আঠারো বছর আগের মতোই। আশ্বস্ত হলেন তিনি, যাক, কিছু জিনিস কখনোই বদলায় না তাহলে!

হাসিব এর ছবি

এইটা ঠিক যে অনেক কিছু বদলায় না । যেমন ঢাকার নবাবদের নবাবী না থাকলেও সেইসব পুরনো নবাবী চাল আপনি ঢাকার ট্যাক্সি ড্রাইভারদের মধ্যে পাবেন ।

মুস্তাফিজ এর ছবি

অনেক দিন পর লেখা পেলাম। ভালো লেগেছে।

সুজন চৌধুরী লিখেছেন:
আরে! আর একটু আগাইলেইতো আমার বাসা! ভ্যাংকুভার, কানাডা।
কাচ্চি-বিরানি খাওয়ামু।


লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ

কাচ্চি-বিরানি মনে থাকে যেন।

...........................
Every Picture Tells a Story

মূলত পাঠক এর ছবি

থাংকু মুস্তাফিজ ভাই।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কাচ্চি খাইতে ভ্যাঙ্কুভার যাইতে হবে? আরে ইউরোপের ঘরে ঘরে এখন উন্নতমানের কাচ্চি উৎপন্ন হয়। খালি আইসাই দেখেন। চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মূলত পাঠক এর ছবি

ইউরোপ যাওয়া তো ভীষণ সোজা হাসি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

অনেক দিন পর লিখলেন।

মূলত পাঠক এর ছবি

হুম, তিন মাস। মাত্র। হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

বিশেষ বিজ্ঞপ্তি

ঝুলি ঝেড়ে দেখলাম একটা গল্প শুরু করেছিলাম, কিন্তু তারপর শুধু যে লেখা শেষ হয় নি তাই নয়, কীভাবে শেষ করতাম সেটাও ভুলে গেছি। তাই একটা নতুন বুদ্ধি এলো: ঐটা থেকে বারোয়ারি লেখা বানানো যায় কি না ভাবছি। কে কে আগ্রহী হাত তুলুন, আগে এলে আগে সুযোগ, এই হিসেবে হবে। শর্তাবলী সমেত মূল পোস্টে গল্পটা দিচ্ছি পরে, এখনো এই পোস্টটাই সদর দরজায় ঝুলে রয়েছে তাই একটু দেরি না করলে চলবে না। তবে জনতা এখানেই মন্তব্যে আগ্রহ জানাতে পারেন। মোট পাঁচ জন মতো লাগবে, অধিকন্তু ন দোষায়। আর ফাজিল জনতা মাঝখানে গল্পকে গুবলেট করে দেয়ার পরিকল্পনা করলে সাড়ে বারো খানা করে কানমলা জনতার তরফে মডুরা দেবেন। ফাজিল লেখকের অধিকার থাকবে সেই মডুর রঙ বেছে নেওয়ার।

নাশতারান এর ছবি

ব্যাপারটা ঠিকমতো বুঝি নাই যদিও, তবু আমি আগ্রহী। দেঁতো হাসি

"বারোয়ারি লেখা" মানে কী?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মূলত পাঠক এর ছবি

এটা আমার আবিষ্কার কিছু না। আগে শরৎচন্দ্র সৌরীন্দ্রমোহনেদের যুগে এ বস্তু বের হতো। গোটা উপন্যাস এক জন লিখতেন না, এক এক অধ্যায় একেক জন। তো এটা তো খুব জোর বড়ো গল্প হতে পারে, তাই জনা পাঁচেক হলেই হয়। গোড়াটা আমি পোস্ট করছি শিগগির, কলম শানিয়ে বসে পড়ুন আপনি ২য় ভাগটুকু লেখার জন্য।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

আগে শরৎচন্দ্র সৌরীন্দ্রমোহনেদের যুগে এ বস্তু বের হতো।

এ যুগেও হচ্ছে। এই বইটা ২২ জন মিলে লিখছেন, বোধহয় এ বছরের শেষ নাগাদ বের হবে।

তাসনীম এর ছবি

শুনেছি সেবা প্রকাশনীর বইও নাকি এভাবে লেখা হত।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

যুধিষ্ঠির এর ছবি

সেবা প্রকাশনীর ব্যাপারটা একটু আলাদা। ওখানে লেখকদের একটা বোর্ড বা গ্রুপ থাকে, সবাই মিলে তারা কাহিনীর গতিপ্রকৃতি ঠিক করেন। আজকাল মুভি বা টিভি সিরিজের কাহিনী রচনার ক্ষেত্রে অনেক সময়েই এই মডেলটা ব্যবহার হয়।

কিন্তু এখানে যেটার কথা বলা হচ্ছে, সেটাতে একজন একটা চ্যাপ্টার লিখবেন। আরেকজন পরেরটা। কাজেই আগের চ্যাপ্টারে যদি প্রথম লেখক সুন্দরী নায়িকাকে দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত করে মেরে ফেলে পরের লেখককে বিপদে ফেলে দেন, তখন পরের চ্যাপ্টারে অন্য লেখক পুরো ব্যাপারটাকে নায়িকার পাশের বাড়ির ছেলের স্বপ্ন হিসেবে দেখিয়ে উদ্ধার পাওয়ার চেষ্টা করতেই পারেন। ব্যাপারটা মোটা দাগে এইরকম আর কী। ঠিক বললাম, মূলত-চুপচাপ?

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

ঘ্যাচাং

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

আমরা ছোটবেলায় এরকম একটা খেলা খেলতাম মুখে মুখে। একজন শুরু করত, বাকিরা শেষ করত। তবে শেষপর্যন্ত গল্পের গরু ঠিকই গাছে উঠে বসে থাকত হাসি

আপনি শুরু করেন, আমরা আছি সাথে, বেশ একটা আন্তঃমহাদেশীয় গল্প হবে হাসি

আরেকটু যদি নিয়মিত লিখতেন মন খারাপ

মূলত পাঠক এর ছবি

তাহলে পোস্ট করে দেবো শুরুটা আজ, বুনোহাঁস প্রথম কিস্তি লিখুন, তারপর আপনি।

কে বলতে পারে, এই ভাবে গোটা উপন্যাসও হয়তো লেখা হবে আগামীতে সচলের পাতায়।

তাসনীম এর ছবি

আবার মাঝের আসন, এবং পৌঁছে দেখি জানালার পাশে একটি ছোটোখাটো পাহাড়। হাতদানীটা পুরো নামানো যাচ্ছে না তাঁর ঊরুর উপর দিয়ে। কোনো ক্রমে দম এঁটে বসে পড়লাম যদি তাতে করে আরেকটু আয়তন কমে। কিন্তু হা হতোস্মি, একটু বাদেই অন্যপাশের পৃথুলা সহযাত্রীর আবির্ভাব, এবং তাঁর পাশে ঐ আগের পাহাড়টি ফেল মেরে যায়। অতঃপর আমাকে আর দেখা গেলো না, দুজনের ডান ও বাম বাহু প্রায় ছুঁই ছুঁই, মাঝে ঐ যে একটা চ্যাপ্টামতোন জিনিস দেখতে পাচ্ছেন, সেইটে আমার নাক।

আপনার বিমানভাগ্য প্রায় আমারই মত দেখছি।

এতোক্ষণের আনাড়ি প্যাচাল শুনে নতুন পাঠকেরা এইটা বুঝে গিয়ে থাকবেন যে আমার এই গোত্রের লেখা মোটামুটি বায়বীয় স্তরেই থাকে।

তাও ভালো লাগে হাসি কাজের ভ্রমণ আর ব্যক্তিগত ভ্রমণের ফারাক প্রচুর। তা আপনার অস্টিনে আসা পড়েনা? একটু আওয়াজ দিয়েন এই দিকে আসলে।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনার গোটা রাজ্যেই এখনো অব্দি ডাক পড়ে নি, তবে ভবিষ্যতে হতেই পারে।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। হাসি

মর্ম এর ছবি

আপনার লেখাটা কেনো জানিনা বইতে পড়লে রসিয়ে রসিয়ে পড়া যেতো বলে মনে হলো!

কম্পুতে বলেন বা আমার মতো মোবাইলে, বইয়ে পড়ার মজা কোথ্থাও মেলেনা! মন খারাপ

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

মূলত পাঠক এর ছবি

শুদ্ধস্বরকে বলেন ছাপাতে, আমি আপত্তি করবো না। হাসি

যুধিষ্ঠির এর ছবি

আরে, অনেক দিন পর মূলত-চুপচাপ যে! আর আপনি এখন শিকাগোতে! আরে মিয়া, আগে বলবেন না? দাঁড়ান, মেসেজে ফোন নাম্বার দিচ্ছি, আপনার সময় থাকলে দেখা করা যায়।

লেখাটা পড়তে তো যথেষ্টই মচমচে মনে হচ্ছিলো, কিন্তু শেষমেষ তো ভালোই ফাঁকি দিয়ে দিলেন।

পোর্টল্যাণ্ডে প্লেন নামার সময়, মাউণ্ট সেণ্ট হেলেনস-এর একটা ব্রেথটেকিং দৃশ্য দেখা যায় - অবশ্য যদি প্লেনটা ওইদিকের রানওয়ে দিয়ে নামে। পোর্টল্যাণ্ডসহ পুরো অরিগনটাকেই আমার একটা ন্যাশনাল পার্কের মত মনে হয়েছে। আফসোস, আপনি ঘুরোঘুরি বেশি করতে পারলেন না।

আপনার মত প্লেনে দুই মৈনাক পর্বতের মাঝে বসার সৌভাগ্য আমারও হয়েছে অনেকবার, কিন্তু নিজেও মোটামুটি ওইরকম আকারের বলে নাকটা বের করে দিয়ে আরামে ঘুমিয়ে আর নিতে পারিনি।

এই পোস্টে বালিকাদের অনুপস্থিতি বিশেষভাবে নোট করা হৈলো।

মূলত পাঠক এর ছবি

দেরি করে ফেললাম যে! শিকাগো পর্ব শেষ, এখন স্প্রিংফিল্ড সোমবার থেকে। মন খারাপ

আরে একটু আধটু ফাঁকি দেবো না এমন পিতিগ্গে কবে কর্লাম বলেন তো? ফাঁকি দিয়ে যেমন মজা কাজ করে তেমনটা মেলে? তবে আপনার দেয়া নতুন নামটা খুব পছন্দ হলো। আর মগ্নমৈনাকের অংশটা পড়ে একা ঘরে হাসলাম খুব।

ছবিটা তো ভয়ঙ্কর সুন্দর! খানিকটা এ জাতীয় দৃশ্য দেখেছি, কিন্তু ঐ যে বললাম, জানলার ধারে বসার সুযোগ পাই নি বলে ভালো মতো দেখা হয় নি।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি আরো ভাবতেছিলাম আপনাকে আবার ফর্মে আনতে বিশেষ কাউকে লিখতে বলবো। চোখ টিপি
অন্তত তার বানান ভুল ধরতে যদি আপনার আগমন হয়... চোখ টিপি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মূলত পাঠক এর ছবি

হা হা, বানান ধরার জন্য এখন বুনোহাঁসই তো আছেন, আমাকে আর ঐ কাজে দরকার হবে না।

তবে লেখাটা অভ্যেসের মতো, থামলে আর শুরু হয় না। তেমনি শুরু হলে ভালোই চলে। কাজেই এবার থেকে আবার লেখার অভ্যেস ফেরাতে হবে। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

নাশতারান এর ছবি

আমি আরো ভাবতেছিলাম আপনাকে আবার ফর্মে আনতে বিশেষ কাউকে লিখতে বলবো।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

বানান ধরার জন্য এখন বুনোহাঁসই তো আছেন, আমাকে আর ঐ কাজে দরকার হবে না।

ডরাইলাম Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

মজার একটা লেখা,খুব ভালো লাগল।

মিতু
রিফাত জাহান মিতু

মূলত পাঠক এর ছবি

ধন্যবাদ, মিতু।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আররে! এতোদিন পর কোত্থেকে উদয় হলেন জনাব! যাই হোক, লেখা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। "আপ ইন দ্য এয়ার"-এর কথা মনে পড়ে গেলো। নিয়মিত হয়ে যান আবার লেখালেখিতে। পরের লেখার জন্য তিন মাস অপেক্ষা করিয়ে রাখবেন না আশা করি!

একটা ব্যাপার, "ধরণ"? নাকি "ধরন"? আমি তো জানতাম দ্বিতীয়টা।

যুধিষ্ঠির ভাইকে ধন্যবাদ ছবিটার জন্য। ওয়ালপেপার বানিয়ে ফেললাম মাত্র। হাসি

বি:দ্র: হোটেলে ফিরে আপনার কিন্তু একটা মেইল করার কথা ছিলো। মনে করিয়ে দিলাম এখানেই খাইছে

মূলত পাঠক এর ছবি

আসুন আসুন অপ্র সাহেব। না এবার আর তিন মাস বসিয়ে রাখবো না আশা করছি।

ধরণের ধরনটা ঠিক করে দিলাম, থাংকু।

মেইলের কথা ভুলি নি, শিগগিরই পাঠাবো। পদিপিসিও অপেক্ষায় আছেন।

শেখ নজরুল এর ছবি

তরতাজা লেখা। ভালো লাগলো।

শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

মূলত পাঠক এর ছবি

ধন্যবাদ, শেখ নজরুল।

তুলিরেখা এর ছবি

আরে মশাই আপনের তো আপ ইন দ্য এয়ারের কেস! তা কোনো মেলায় টেলায় নাচাগানা করলেন নাকি উড়ানে পাওয়া বন্ধুবান্ধবীসহযোগে? হাসি
কালকে ফিরলাম নিউপোর্ট নিউজ থেকে, এত ছোটোখাটো দুই দুই সীটের প্লেন, একটু লম্বাচওড়া লোকেরা যে কেমন করে বসেন খোদায় মালুম! কোনোরকমে কুচকে মুচকে সড়াত করে সীটে সেধিয়ে গেলাম, বস আর নড়াচড়া নাই। তার উপরে কিছু খেতেও দেয় না প্লেনে!!!
দেশে জেট এর জেঠুরা কিন্তু বেশ ভালো খেতে দেয়, মাত্র দুই ঘন্টা উড়লেও খেতে দেয়। স্যামকাকুদের পলিসি হয়তো আলাদা।কিন্তু মোটেও ভালো পলিসি না।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

নাঃ আমাদের জীবনে ঐ সব মেলাফেলা নাই মন খারাপ

কাকুল কায়েশ এর ছবি

বারোয়ারি গল্পের আইডিয়াটা চমৎকার লাগল! অপেক্ষায় থাকছি সেই গল্পের!

আচ্ছা, ই-সিগারেটের ব্যাপারটা একদমই ধরতে পারলাম না! চিন্তিত একটু বুঝিয়ে দিবেন কি?

========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

মূলত পাঠক এর ছবি

বারোয়ারি গল্পের শুরুটা পোস্ট করে দিয়েছি।

ই-সিগারেট একটা স্টিলের ফাইন্টেন পেনের মতো দেখতে জিনিস, যার একপ্রান্ত মুখে দিয়ে টানবেন যেমন টানেন গড়গড়া বা সিগারেট হোল্ডার। প্যাঁচ খুললে ভেতরে একটা ফেল্টের টিউব মতো থাকে যেমনটা স্কেচ পেন খুললে দেখতে পাওয়া যায়। ঐ ফেল্টের মধ্যে নিকোটিনের দ্রবণ কয়েক ফোঁটা ঢেলে দিতে হয়। ব্যাটারি দিয়ে চলে যাতে তাপ উৎপন্ন হয় এবং তা থেকে প্রয়োজনীয় ধোঁয়া তৈরি হয়। তবে সিগারেটে কাগজ পোড়ে যেটা এখানে হয় না বলে কিছু ক্ষতিকারক জিনিসপত্তর কম থাকে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।