তারপর গঙ্গা পদ্মা দিয়ে অনেক জলটল বয়ে গেলো, কাজেকম্মে অনেক দৌড়োদৌড়ি হলো। ছোটোগল্প তোরঙ্গের নিচে শুয়ে নিলো খানিক ন্যাপথলিন-নিঃশ্বাস। তারপর ধুলো ঝেড়ে বের করলাম যখন, তখন দেখি ফক্কা! গল্পের শুরুটা কাগজে (বা কম্পুতে) আছে, কিন্তু শেষটা আর মগজে নেই! এটা কি ভূতের গল্প হচ্ছিলো? নাকি মানুষের সুখের হিসেব, চিরন্তন চাওয়া পাওয়ার কাহিনী (ব্লিস ঐ সব নিয়েই লেখা)। কে জানে!
ফেলে দেওয়াই যায়, অনেক লেখাই ফেলে দিই। কিন্তু ভেবে দেখলাম এটা রিসাইক্লিং করার যুগ। একটু সবুজ হওয়ার লোভ সামলানো গেলো না। সেই বুদ্ধিতেই এটা পোস্ট করছি। এখনো অবধি বুনোহাঁস ও আনন্দী কল্যাণ যথাক্রমে পরের দুটি অংশ লিখতে আগ্রহ জানিয়েছেন। যেহেতু এটা একটা গল্প, জনা চার-পাঁচ হলেই হবে বলে মনে হয়। কাজেই আরো দু জন আগ্রহী লেখকের প্রয়োজন। হাত তুলুন চটপট।
এবার শুরু করা যাক।
_________________________________
সকালে ঘুম থেকে উঠে অবধি দেখছি বৃষ্টি হয়ে চলেছে। একঘেয়ে অনর্গল জল ঝরছে, এমন বিরক্তিকর যে কাব্যটাব্য কিছুমাত্র জাগার কোনো সম্ভাবনা নেই। পাহাড়ে বৃষ্টি নিয়ে যাঁরা গপ্পো লিখেছেন বোঝাই যাচ্ছে তাঁরা দেদার গাঁজা মেরে থাকবেন। তার উপর কাজ থাকলে তো সোনায় সোহাগা, এই ঘোর বর্ষায় ড্রাইভার রাজি থাকলেও আমি প্রাণ হাতে করে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে পা বাড়াচ্ছি না। অগত্যা নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে হোটেলের সামনের ঢাকা উঠোনে একটা চেয়ারে গিয়ে বসলাম। কেতার হোটেল হলে এটাকে রঙচঙ করে বিস্ত্রো বলে চালাতো, তবে গোটা ভূটানেই এই জাতীয় ভড়ংবাজির প্রকোপটা একটু কম। উঠোনকে তাই উঠোন বললে এদের মানহানি হয় না। রিসেপশন (যাকে চাবিঘর বললেও অত্যুক্তি হয়) থেকে প্রেম নামক করিৎকর্মা যুবকটি ছুটে এলো, "কফি লায়েগা শাব?" কফি মানে ইনস্টান্ট কফি, প্রচুর দুধ চিনি সহযোগে গাঢ় করে বানানো শরবত। এই শীতশীত আবহাওয়ায় অবশ্য সে-ও মন্দ লাগে না। সামান্য শিরশ্চালনেই তড়িৎবেগে কিচেনপানে দৌড় দিলো সে।
বছরের এই সময়টা পর্যটনের পক্ষে প্রশস্ত নয়, ফলে হোটেলে অতিথি গুটিকতক। তারা হয় সকালে উঠে ভেগেছে, নয় বিছানায় লেপকম্বল মুড়ি দিয়ে এক্সটেন্ডেড রাতঘুম দিচ্ছে। আমারও দিতে বাধা ছিলো না যদি কাজের চিন্তাটা না থাকতো। আমার এই ঘোরাটা বিশুদ্ধ ভেকেশন নয়, কাজের একটা শর্তে এসেছি বলেই খরচাপাতির দায়িত্ব কোম্পানি নিয়েছে। আমি আমেরিকায় একটা ট্রাভেল কোম্পানি চালাই। নিজের না হলেও দায়দায়িত্ব প্রচুর, খদ্দেরদের দিকটা ততোটা নয় যতোটা পশ্চাদপটের কাজকম্মো। তো কোম্পানি এখন ব্যবসা বাড়াচ্ছে, ইউরোপ আর আফ্রিকা বেচে যথেষ্ট হচ্ছে না, অতএব এক্সোটিক এশিয়া। পেটমোটা (এবং ওয়ালেটমোটাও বটে) মাঝবয়েসি আমেরিকান যারা সাংগ্রিলার খোঁজে থিম্পু অবধি আসতে আগ্রহী তাদের জন্য কী বন্দোবস্ত করা যায় সে সব দেখতেই এতোদূর আসা আমার। ভূটান তো দূরস্থান, হিমালয়ই দেখা ছিলো না আগে, কাজেই আনুষঙ্গিক ঝামেলা হবে জানলেও তাতে উৎসাহে ভাটা পড়ে নি। পথের কষ্ট, খাওয়াদাওয়ার ঝামেলা এই সব নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না আদৌ। কিন্তু এসে যে এমন ঘোর বর্ষায় আটকে পড়বো তা ঘুণাক্ষরেও ভাবি নি। এদিকে গাদাখানেক অ্যাপয়েন্টমেন্ট ঠিক করা আছে। সে সবের যে কী হবে কে জানে। ফেরার তারিখ তো আর পেছোনো যাবে না, গিয়েও একগাদা কাজ রয়েছে।
দুশ্চিন্তার ছাপ বিরক্তি হয়ে মুখে ফুটে উঠেছিলো বোধ হয়, প্রেম কফি নিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলো, শব ঠিক হ্যায় না শাব? আদ্যন্ত ভূটানি একটা ছেলে কেন নেপালি টানে কথা বলে কে জানে। বললাম, না, ঠিক আর কোথায়, এই তোমাদের বৃষ্টি তো থামার নামই নেই। এই রকম হলে ব্যবসাপাতি তো লাটে উঠবে!
সহমত হয়েও সে দেখলাম আমার মতো চিন্তিত নয়, হয়তো ওর চাকরিটা বাঁধা বলেই, তা সে টুরিস্ট কম বেশি যাই আসুক। আমার তো আর সে কপাল নয়, পারফরমেন্সের উপর শুধু বোনাস নয়, চাকরি থাকা না থাকাও নির্ভর করে। তাছাড়া ইঁদুর দৌড়ের ব্যাপারটা তো আছেই। মাসে মাসে বাড়ি আর গাড়ির লোন শোধ করা আছে। ছেলে বড়ো হচ্ছে, তার কলেজের জন্য টাকা জমানো আছে, বাঙালির ছেলে তো আর ছোটোখাটো কিছু হবে না, ডাক্তারফাক্তার হলে আমার কপালে দুর্ভোগ আছে, আর না হলে বৌয়ের নাক কাটা যাবে দেশে আর বিদেশে দুজায়গাতেই, কাজেই কীভাবে কী হবে সে ভাবনা ভেবে যেতেই হবে। তবে দুনিয়ায় কেউ কেউ নির্ভাবনায় আছে দেখলে ভালোই লাগে। হয়তো এর জন্য অন্য ধরনের সারল্য চাই যে জিনিসটা আমাদের শৈশবেই নষ্ট হয়ে গেছে। তবে এ কথাও ঠিক, প্রেম বা ওর চারপাশের আপাত নিশ্চিন্ত লোকেদের জীবনেও সমস্যা আছে নিশ্চয়ই। এবং যার যার সমস্যা তার কাছে গুরুতরই হবে। তবু যে এদের হাসি অমলিন তার রহস্য কী? বুদ্ধিজমের শিক্ষা হয়তো এদের খুব স্বাভাবিকভাবেই বাসনার অমোঘ খাদের থেকে দূরে রেখেছে। না জানলে সন্দেহ হতো যে দেশশুদ্ধ এরা সবাই মিলে সুখী মানুষের মুখোশ পরে আছে। কিম্বা কে জানে, এ হয়তো পাহাড়ের গোপন কোনো রহস্য, চমরী গাইয়ের দুধ আর ইয়েতির লোম ফুটিয়ে বানানো আরক, সবাই পান করে খুশি খুশি মুডে দিনাতিপাত করে।
সে আরক খেতে কেমন হবে জানি না, তবে প্রেমকুমারের কফিটা অতিশয় কুচ্ছিত খেতে, তাতে সন্দেহ নেই। একে বেজায় মিষ্টি, তার মধ্যে জ্বালটাল দিয়ে আঠালো বানিয়ে তুলেছে প্রায়। খেলে অম্বল একেবারে নিশ্চিত।
মন্তব্য
এক্সট্রা হিসাবে নাম লিখিয়ে গেলাম। পর্যাপ্ত লেখক পাওয়া না গেলে আমিই গাঁজা মেরে দিবো খন।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
এক্সট্টাবাজি চলবে না। আপনি তিন নম্বরে।
১। বুনোহাঁস
২। আনন্দী কল্যাণ
৩। রেনেট
সত্যি?
ভূটান নিয়ে?
ক্যাম্নে?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আপনি আমার আগের লেখাটায় বিশেষ বিজ্ঞপ্তির জবাবে বললেন না, "ব্যাপারটা ঠিকমতো বুঝি নাই যদিও, তবু আমি আগ্রহী"? তাই ভেবেছিলাম আপনি লিখতে চান বোধ হয়। যাক, না চাইলে সমস্যা নাই, পরের বার লিখবেন না হয়। তাহলে আনন্দী কল্যাণ, আপনিই লিখতে শুরু করুন বরং।
হায়!!!! বুনোহাঁস কেটে পড়ল? আমি তো দিব্যি হাওয়া লাগিয়ে ঘুরছিলাম
ঠিক আছে, বৃষ্টি হচ্ছে তো? এই পরিস্থিতিতে রা্স্তাঘাটে না বের হওয়াই উচিত, আছাড় খাবে শুধু শুধু.....ভূতের গল্প শুরু করব? বৌদ্ধ ভিক্ষু ভূত?
গামছা, কার্পেট কিছুই তো হবে না মনে হচ্ছে আমাকে দিয়ে, পাপোশ হতে পারে
ভূত ভবিষ্যত যা খুশি হোক, লেখা চলুক এইটুকুই আমার বক্তব্য। গল্পের জায়গায় উপন্যাস হলেও চলবে, ইন ফ্যাক্ট আরো ভালো হয় তা'লে।
পাপোশ বালিশ রুমাল ছাতা সব চলবে। শুরু করে ফেলুন।
কেটে পড়িনি, আপু। ভড়কে গিয়েছি। স্বপ্নেও কোনদিন ভূটান দেখিনি। আর গল্প লেখায় আমার বয়স কত তা তো জানোই। লাইনের শুরুতে দাঁড়ানোর সাহস পাচ্ছি না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমি যখন রাজি হয়েছিলাম, তখন ভূটান-ফূটান কিচ্ছু মাথায় ছিলো না...এখন আমার কি হবে গো মূলোদা
--------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
হবে হবে লিচ্চয় হবে (ঐ যে, "আমার কি হবে গো" লিখেছেন, "কী হবে" লেখেন নি )
তবে আপনার তো এখুনি লিখতে হচ্ছে না। এই মুহূর্তে গল্পের মোড় কোন দিকে যাবে ভাবা মুশকিল, কিন্তু একবার ঘুরে গেলে তারপর ঠেলা দিয়ে দেবেন, পাহাড়ি পথ, ও আপনিই গড়গড়িয়ে যাবে খাদের পানে।
আমি তো তোমাকে সামনে দেখেই সাহস করে হাত তুলছিলাম।
কি/কী যে হবে এখন!!! :(
কই আ.ক., পরের পর্ব তো আর আসে না দেখি! আপনি কি আমার কলেজ স্ট্রিটের রেকর্ড ভাঙতে চান? ওদিকে রেনেট দেশে চলে যাচ্ছেন, এবং সেখানে গিয়ে নেটাভাবে উধাও হবেন এই জাতীয় একটা সম্ভাবনা / হুমকি দিয়ে দিয়েছেন। আর দেরি করলে কিন্তু আপনাকে দুখানা পর্ব লিখতে হবে।
পাঠক দা, খুব চাপ যাচ্ছে এই কয়দিন।
এই শনি-রবিবার লিখে ফেলব।
স্যরি
পাঠকদা, আমি কিন্তু সত্যিই ভয় পেয়েছি। আমার গল্প লেখার হাত এক্কেবারেই কাঁচা। আমাকে দিয়ে শুরু করাটা নিঃসন্দেহে ঝুঁকিপূর্ণ্। অন্যরা শুরু করুন। আমার দেখে শেখা দরকার।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
গল্পের নায়ককে ঘুম থেকে উঠিয়ে দেন, তারপরে নিজের পোস্টটা লিখে ফেলেন
আরে তাতে কী, আনন্দী কল্যাণের ভিক্ষু ভূত তো এলো বলে, আমরা আপাতত বাদলার দিনে কাঁথা জড়িয়ে মুড়ি তেলেভাজা নিয়ে তার প্রতীক্ষা করি। বারোয়ারি আরো হবে, তখন লিখবেন না হয়।
ওহ বলতে ভুলে গেছিলাম। সূচনা পর্ব জাম্পেশ হয়েছে।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
সূচনা পর্ব ভাল লাগল - অপেক্ষায় থাকলাম।
থাংকু নৈষাদ, এই বার স্রেফ দর্শক হবেন তো হোন। এইটা ভালো দাঁড়ালে আগামীতে বারোয়ারি উপন্যাস নামানোর ইচ্ছে আছে, তখন ছেড়ে দেবো না।
দারুন শুরু। দেখা যাক লেখকত্রয় এটাকে ভূত, ব্লিস নাকি প্রেম কোন দিকে ধাবিত করেন। ব্যোমকেশের একটা পাহাড়ি ভূতের গল্প আছে, পাহাড়ে খুন টুন করে লাশ গুম করার সুযোগ প্রচুর, আবার পুরানো প্রেমিকার সাথেও দেখা হয়ে যেতে পারে, সূর্যোদয় দেখতে দেখতে জীবনের অসারতার অনুভূতিও টের পাওয়া যায়...অনেক রাস্তা খোলা, দেখা যাক গল্প কোন দিকে যায়।
উদ্যোগটা দারুন, সবুজ এবং কিছুটা অভিনব বটে। মূলোদা কি এডভাইসারি রোলে থাকবেন?
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি স্রেফ সূত্রধর, সুতোটুকু ধরিয়েই খালাস। সেই সুতোয় ইরানি কার্পেট বুনবেন না কি বান্দিপোতার গামছা, লেখকেরাই স্থির করুন।
আমার পরের লেখকের অবস্থা চিন্তা করেই আমার দুঃখ হচ্ছে..."দুঃস্বপ্ন দেখে জেগে উঠলাম আমি (গল্পকথক)"---এই লাইন ছাড়া কাহিনী আগে বাড়ানোর কোন উপায়ই থাকবে না
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আমি একজন ভূটানঅন্তপ্রান মানুষ। ভূটানের পটভূমির যে কোন গল্প আমার প্রিয় হবে নিঃসন্দেহে। প্রথম পর্ব পড়েই চেয়ার নিয়ে বসে গেলাম। পরের দুপর্বের অপেক্ষায়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
তবে তো আপনাকে লিখতেই হবে! নাম জুড়ে দিই?
নীড় সন্ধানী ভাইকে তাহলে আমার আগে জুড়ে দিন। আমি লিখলে গল্প ভূটান থেকে কোথায় যায় তার ঠিকনাই!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
মাফ করবেন! আমি পাঠক হিসেবেই থাকতে চাই এটাতে।তবে স্বচক্ষে ভূটান ঘুরে আসলে নিশ্চয়ই লিখতাম।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আপনার কি ধারনা আমি ভূটান দেখেছি?
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ভাল উদ্যোগ।
ধন্যবাদ। খেলবেন নি?
আরে না। আমি দুব্বোল লেখক।
-----------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
দুর্বলেরে রক্ষা কর, দুর্জনেরে হানো
নিজেরে দীন নিঃসহায়, যেন কভু না জানো
কমেন্ট করতে গেলেই মনে হচ্ছে লেখকদলে যোগ দিতে হবে! শুরুটা তোফা, বাকিগুলো পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। লেখকরা কি পৃথক পোস্ট করবেন, নাকি এই পোস্টেই মন্তব্যাকারে জুড়ে দেবেন?
একটা ছোট্ট বানাঞ্চাকু চালাই। উৎসাহে ভাটা পড়ে বোধহয়, ভাঁটা তো মনে হয় ইঁটের ভাঁটা।
তা লেখকদলে না হয় যোগই দিলেন, মন্দ কী? জানাবেন ইচ্ছা থাকলে।
তোফা লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আমার মনে হয় আলাদা পোস্ট দেওয়াই ভালো, মন্তব্য দিলে ততো দিনে এই পোস্ট ভেতরের পাতায় সেঁধিয়ে যাবে। স্টিকি করে রাখারও বিশেষ তাৎপর্য নেই।
ভাটা/ভাঁটা শুধরে দিলাম।
ভূটান( নখ দিয়ে দাঁত কামড়ানোর ইমো হবে) !!! দুই ভেতো বাঙালিকে
ভূটান-দেশ দেখানোর তীব্র পতিবাদ জানাইলাম
কই বুনোপা আপনি? শুরু করেন, চেয়ার নিয়ে বসলাম
আমরা মন্তব্য আকারে পোস্ট দিতে পারি, পরে পাঠকদা মূল পোস্টে জুড়ে নিতে পারেন।
মন্তব্যে না দিয়ে বরং নতুন পোস্টই দিন না, কারণটা হিমুর উত্তরে লিখলাম উপরে। আজ শুতে যাই, কাল ভোর পাঁচটায় ফ্লাইট। কাল বিকেলে আবার চেক করা যাবে কদ্দূর এগোলাম আমরা ভূটানের পথে।
নিন শুরু করে দিন, পার্ট টু।
পড়তে চাই
...........................
Every Picture Tells a Story
আইডিয়াটা চমৎকার।
তবে তুমি লেখার মানের বারটা এতটা উঁচুতে তুলে দিয়েছ যে হাত তুলতে ভয় হচ্ছে। তবুও সভয়ে হাত তুললাম, পর্যাপ্ত লেখক না পেলে খানিকটা গোঁজামিল আমিও দিয়ে দিতে পারব
এইখানে আমি মূলত পাঠক ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এখানে আমি মূলত পাঠক
আমিও লেখক না পাওয়া গেলে প্রক্সি দিতে রাজি আছি।
শুরুটা সত্যিই চমৎকার। একটানে যেন ভূটানের পাহাড়ী হোটেলটাতে, বৃষ্টিমুখর এক সকালে নিয়ে গেলেন। আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করছি পরবর্তী লেখকরা কোনদিকে নিয়ে যান কাহিনীকে, সেটা দেখার
আমার দেখা ভূটানী দৃশ্য যা বারো্যারি লেখকদের কাজে লাগতে পারে:
১। ভূটানে রাস্তা-ঘাটে সর্বত্র ভয়ানক রঙচঙে ফুল ফোটে, মূলত: রঙিন জবা (বেগুনি, কমলা, গোলাপী) এবং কাউকে ফুল ছিঁড়তে দেখিনি।
২। রাস্তাঘাট খুব পরিস্কার
৩। রাস্তার খাবার নিশ্চিন্তে খাওয়া যায়, ভূটানী মোমোর মতো উৎকৃষ্ট মোমো নেপালে বা ভারতে পাওয়া যায় বলে মনে হয়না।
৪। ভূটানের ডাকটিকিট খুবই উতকৃষ্ট মানের।
৫। ভূটানীরা জাতীয় নীতি মেনে সবাই সর্বদা দেশী পোষাক পরেন, শিশু ভিন্ন এর অন্যথা হতে দেখিনি।
৬।আমি যে বয়সে ভূটানে গেছিলাম তখন ইস্কুল বা শিশু কেউই আমার " প্রিয়" তালিকাভুক্ত ছিল না, কিন্তু তাও সেদেশে দেখা আমার সেরা দৃশ্য হল কলহাস্যরত স্কুলের শিশুরা।
ভুটান যাবার ইচ্ছে বহুদিনের । যে বর্ণনা শুনে এ ইচ্ছার জন্ম ,রণিতাদি'র সাথে তা মিলে গেছে । গল্প চমতকার । পাহাড়ে ঝমঝমে বৃষ্টি সত্যিই দারুণ যদি না কোনো কাজ থাকে । খুব শিগগিরই যাচ্ছি এই রঙ্গিন ফুলের দেশে ঃ)
বাবুই,
- আমি ভূটানের পথে পথে, টিভিতেই দেখতে লাইক্স দিস করবো। সুতরাং আমি এইখানে মূলত দর্শক!
তবে, ভয় পাইয়েন না কেউ। আপনেরা আগাইতে থাকেন। টিভির সামনে থেকে হেইয়ো... হেইয়ো... আরো জোরে... আরো জোরে শ্লোগান দিতে কার্পণ্য করবো না মোটেও!
তো নেন, বিসমিল্লাহ করেন। কইরে মুতাব্বির, আমার থ্রি-ডি চশমাটা দিয়া যাইস...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আনন্দিত পাঠক হিসেবে থাকছি!
শুরু হোক তবে...
হেঁইয়ো,
আরো জোরে হেঁইয়ো!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এহহে, দিলেন মেরে... প্রথম তিন প্যারা পড়ে নিদারুণ একটা রহস্যকাহিনীতে মোড়ানোর চেষ্টা করছিলাম এটিকে- কিন্তু ... হা ঈশ্বর !! পরের দিকে , মানে শেষ দু' প্যারাতে আবহটা কেমন যেনো বদলে দিলেন...
আমার পোষাবে না, আমি মূলত পাঠক হয়ে রইলাম...
_________________________________________
সেরিওজা
যোগ দিয়ে এইটাকে রহস্য কাহিনী বানাতে চাইলে ওয়েলকাম! জানায়ো।
আমি বান্দিপোতার গামছা বুনবো, ঠিক্কর্সি .........
মুস্তাফিজ ভাই, মামুন হক, হাসিব, আরিফ জেবতিক, সাফি, অপ্র, রণিতা, ধূগো, তিথীডোর, সুহান, স্নিগ্ধা, সবাইকে ধন্যবাদ মন্তব্য ও উৎসাহের জন্য।
তাহলে নতুন লিস্টি হলো:
২) আনন্দী কল্যাণ
৩) রেনেট
৪) মামুন হক
৫) সাফি
যদি শেষ অবধি ইরানি কার্পেট হয়ে ওঠে, তাহলে বিকল্প সমাপ্তি হিসেবে বান্দিপোতার গামছা বুনবেন আমাদের পদিপিসি।
রেফারেন্সটা ধরতে পারলাম না
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
তাসনীম: মূলোদা কি এডভাইসারি রোলে থাকবেন?
মূপা: আমি স্রেফ সূত্রধর, সুতোটুকু ধরিয়েই খালাস। সেই সুতোয় ইরানি কার্পেট বুনবেন না কি বান্দিপোতার গামছা, লেখকেরাই স্থির করুন।
স্নিগ্ধা*: আমি বান্দিপোতার গামছা বুনবো, ঠিক্কর্সি ।
[* স্নিগ্ধাকে দময়ন্তী পদিপিসি নামে ডাকেন; ইঙ্গিত বয়স না গয়নার দিকে তিনিই জানেন।]
ক্রিস্টাল?
হা হা হা... আপনার ক্রিস্টাল শুনে এ ফিউ গুড ম্যান ছবিটার কথা মনে পড়ে গেল...
ঐ মুভির কথা ভেবেই তো লিখেছিলাম 'ক্রিস্টাল'!
মজাতো!
গ্রেট ম্যান থিংক অ্যালাইক!
মিস্কর্সিলাম... আমারেও যোগান লাইনে, তবে পেছনের থেকে প্রথম দিকে!
গপ্পো পড়তে গিয়ে বারে বারে ফেলুদা আর ব্যোমকেশের কথা মনে পড়ছিলো!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নতুন মন্তব্য করুন