তবে দেরি করে একটা লাভ হয়েছে বলেই মনে হয়: বিষয়টা নিয়ে অনেক ভাবার সুযোগ পেয়েছি। আমার তরফে হঠকারী অন্তঃসারশূন্য কথা কিছু থাকলে তারা এতো দিনে বাষ্প হয়ে গিয়ে থাকবে আশা রাখি। পাঠকদের দিকে আবেগের জোয়ারও খানিক কমে এসেছে। এই অবস্থায় আলাপ হলে যুক্তির কথা বলা যেতে পারে। যাঁরা পড়বেন তাঁদের কাছে একটা অনুরোধ আছে। পড়ার সময় খোলা মনে পড়বেন, যুক্তির ফাঁক বের করুন অবশ্যই, কিন্তু আবেগাপ্লুত হয়ে "তা সে যাই কন না কেন" এই পথে পা না রাখার অনুরোধ রইলো। তো এই হলো গিয়ে মুখবন্ধ। এবার আসল কথা।
কয়েক সপ্তাহ আগে হিমু একটি লেখা লিখেছিলেন, যেখান থেকে এই আলোচনার সূত্রপাত। লেখার বিষয় নিয়ে লেখকের সাথে সহমত না হওয়ার অবকাশ নেই, রাষ্ট্রদূতদের অনধিকার চর্চার ভয়ানক উদাহরণ এই ঘটনাটি। কিন্তু সমস্যা হলো ভাষার প্রয়োগ, তার সীমা ও সাধারণ সংবেদনশীলতা নিয়ে। লেখার মধ্যে কিছু, এবং তারপর মন্তব্যে প্রচুর এমন শব্দ প্রয়োগ দেখা গেলো যা অনেক পাঠকেরই দুঃসহ লেগেছে, যা তাঁরা জানিয়েওছেন। আবার অনেকের তা সঙ্গত বলেই মনে হয়েছে। শেষে মডুর বক্তব্যে জানা গেছে যে তাঁরাও একে অশালীন মনে করেন না। জনমতের সাপেক্ষেই এই মতামত, এ-ও উল্লেখ করা হলো।
লেখা মডারেশন নিয়ে অনেকের অনেক মত। আমি নিজে আদর্শ পৃথিবীতে মডারেশন চাই না, কিন্তু বাংলা ব্লগের জগতে এর প্রয়োজন অনুভব করেছি। অন্য পাড়ায় দেখেছি কী রকম খেউড় চলে, আমার সহ্যশক্তি ঠিক সেই মাপের নয় বলে সে পথে আর যাই না। সচলায়তন একটি পরিচ্ছন্ন 'পত্রিকা'/ব্লগসাইট যেখানে লেখক ও পাঠকের কথোপকথন হয় রুচিশীল পরিমণ্ডলে, এবং ধর্মান্ধতা জাতীয় বদগুণের লালন হয় না। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী মতের প্রতি সহানুভূতি দেখানো হবে না এটাও পরিষ্কারভাবে বলা আছে, তবে শেষ অবধি এই সাইটটি অনলাইন রাইটার্স কমিউনিটির ব্লগ। এই হলো আমার সচল সম্পর্কে ধারণা।
এবার সরাসরি বক্তব্যে আসি। আমার মতে, বিষয় যাই হোক, আবেগ ও ক্রোধ যতোই হয়ে উঠুক পর্বতপ্রমাণ, লিখতে বসে ভাষায় শালীনতার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় না। কিন্তু আমার লেখার লক্ষ্য ঐ ব্লগের লেখক বা মন্তব্যকারীরা নন। মডু যখন বলেন লেখার শেষ বাক্যটি অশ্লীল নয়, তখনই সমস্যা হয়। সচলায়তনে "অশ্লীল লেখা পোস্ট করা" যাবে না এমনটাই নীতি। পড়ে যতদূর বুঝি এই অশ্লীলতা বিষয়ভিত্তিক নয়। অর্থাৎ অশ্লীল শব্দবন্ধ অশ্লীলই থাকে যে প্রসঙ্গেই তার প্রয়োগ হোক না কেন। এ বিষয়ে যে কথা মনে হয় ভিন্নমতের পক্ষে তা হলো এই যে আমরা গুরুজনদের সাথে যে সব কথা অশ্লীল শোনাবে বলে বলি না, সেগুলোই বন্ধুদের সাথে বলি অনেক সময়ই। তাহলে অশ্লীলতাও আপেক্ষিক হয়ে যাচ্ছে। কথাটা ভুল নয়। কিন্তু এই উদাহরণটি কথোপকথন নিয়ে, লেখার ক্ষেত্রে নিয়মটা আলাদা হওয়াই যুক্তিযুক্ত, এমনকি সে লেখা বয়োঃপ্রাপ্তদের জন্য নির্দিষ্ট হলেও। নাবালকেরা পড়বে না এবং শিখবে না, এই সন্দেহটা বাদ দিলেও, বয়স্কেরা পড়ে অস্বস্তিতে পড়বেন না এই কথাটা বাদ দিই কী ভাবে? হিমু 'শালা'র যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা অজানা নয়। কিন্তু গল্প লিখতে না বসলে, কোনো রাজনৈতিক বিষয়ে নিবন্ধে লেখক সরাসরি গালির প্রয়োগ করেছেন এমন উদাহরণ আমি দেখি নি। কাজেই এখানে ভিন্ন পথ দেখতে পেলে প্রশ্ন অবশ্যই ওঠে, সুশীলতার দুর্নামের আশঙ্কায় সে প্রশ্ন থেমে যাবে এমন মনে করি না। অবশ্য যদি এই উপধারার কথা আসে "অশ্লীলতার সংজ্ঞা নিরূপণে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত" তাহলে অবশ্য সব আলোচনাই থেমে যায়। তবে অতীত অভিজ্ঞতায় দেখেছি আলোচনার মাধ্যমেই পথ বেরিয়ে এসেছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে। সেই আশাতেই এতো কথা।
এছাড়া আরেকটি ভীতিপ্রদ বিষয় চোখে পড়ে। হলোকাস্ট নিয়ে লিখতে বসলে কাউকে আগে সাফাই গাইতে হয় না এই বলে, যে আমি নাৎসি-সমর্থক নই। কিন্তু আজকাল দেখছি সে প্রয়োজনও হচ্ছে, ট্যাগিং নামক একটি আতঙ্কে পড়ে। বিভাজনটা শুধু স্বাধীনতার পক্ষে ও বিপক্ষে হলে সকলেই এক পক্ষ বেছে নিতে পারেন। এবং পক্ষ নির্বাচনের পরে মতপ্রকাশের পদ্ধতিটা কী হবে সে নির্বাচনের ভার ব্যক্তিগত। কিন্তু বক্তব্যে যথেষ্ট ঝাঁজ না থাকলেই যদি অন্য পক্ষের লোক বলে মনে হয় তাহলে আতঙ্কের কারণ ঘটে বৈকি। দাঙ্গার সময় তলোয়ার হাতে কাফের মারতে না বেরোলেই যদি কাফের-প্রেমিক হয়ে যেতে হয় তো সাড়ে সর্বনাশ! (এইখানে কাফের শব্দের অর্থ বিধর্মী, এইটুকু বলে রাখি, যদি কারো দরকার হয়)।
সচলায়তন যদি মুখ্যতঃ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রকাশের ডায়াস হতো, এবং গৌণতঃ লেখালেখির ও সাহিত্যপাঠের আস্তানা, তাহলে এর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ কমে যেতো। কিন্তু আমার জ্ঞানতঃ এটি যেহেতু তা নয়, সে কারণেই এই প্রশ্ন। ক্রোধের প্রাবল্য বোঝাতে ঐ ধরণের শব্দ কার্যকরী, সে হিসেবে গালি দিলে লাভ হতে পারে। কিন্তু লোকসান হয় এই যে এতে করে আমাদের এই পরিমণ্ডলটুকু সেই রকম থাকে না যেমনটা অনেকেই চাই। ঠিক যেমন রাজাকারদের বিচার ও দেশের পরিকাঠামোর উন্নতি এ দুটো আলাদা চয়েস নয় যে একটাকেই বেছে নিতে হবে এবং একসাথে দুটো জিনিস করা যাবে না, সেই রকমই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রকাশ ও স্বাধীনতার শ্বাসরোধকারী শক্তিদের জন্য লেখায় অশ্লীল বাক্যবন্ধের অনিবার্য প্রয়োগও সমার্থক নয়, এই সহজ কথাটা বুঝে নিতে হবে। এই প্রসঙ্গে আজকেই প্রকাশিত তাসনীমের লেখাটি একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। নিজেদের মধ্যে সৌজন্যের সীমারেখা অতিক্রম না করেও শত্রুকে চিনে নেওয়া যায় এবং আক্রোশ ও ক্রোধের প্রকাশ ঘটানো যায়, এই লেখাটি তার অসাধারণ নিদর্শন। হিউস্টনের বাঙালিরা একাগ্রচিত্তে অভিষ্ঠের জন্য যে ভাবে লড়ছেন, তার ফল শতসহস্র গালিবর্ষনের চেয়ে অনেক বেশি।
আমরা কি পারি না এই পথে এগোতে?
মন্তব্য
মূলত পাঠক,
কী আর বলবো, মনেপ্রাণে আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে যাই। এই কথাগুলোই টুকরো টুকরো আগোছালো আকারে মনের মধ্যে ভেসে উঠেছে নানা সময়ে, আপনার মতন গুছিয়ে সুন্দর করে বলতে তো পারতাম না। আরো যেটা ভয়ের কথা, কিছু কিছু জিনিস দেখে মাঝে মাঝে ভয় হয়, অন্যায় সন্দেহ দানা বাঁধে, মনে হয় এত ভালোবাসার জায়গাটুকু কি আসলে তেমন নয়? ভিতরে ভিতরে অন্য কিছু আছে? কেউ কেউ কি এখানে "মোর ইকোয়াল"? যাদের ভালোমান্দ ভুলঠিক সব কিছু নিয়েই ঘাড় কাত করে বাকীরা বলবে ইয়েস, ইয়েস? এদিকে একই ধরনের ভুলের জন্য অন্য আরেকজনকে তুলোধোনা করা হবে? এসব ভেবে ভয় পাই, এদিকে বলতেও পারি না, তেমন করে কাকেই বা চিনি ?
তখনই আবার আপনাদের মতন কারুর কারুর লেখায় খোলা হাওয়া পেয়ে বিশ্বাসটুকু ফিরে আসে।
ভালো থাকবেন মূলত পাঠক, আমাদের বিবেকের দরজায় জাগ্রত প্রহরী।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
মূলত পাঠক - আমার কিন্তু মডারেশনের পক্ষের মন্তব্য পড়ে ধারণা হয়েছিলো 'লেখা'টি অশালীন নয়, কিন্তু শেষের লাইনটা অশালীন। এবং, যেহেতু এর আগেও পুরো লেখার মধ্যে কোন একটা লাইন বা শিরোনামের কোন একটি শব্দ নিয়ে কোন কোন লেখা/লেখক তীব্র পাঠক-প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়েছেন, হিমুকেও সেই ব্যাপারটা মাথায় রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে। অর্থাৎ, অন্যদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে অনুরোধ করা হয়েছে।
আপনার বক্তব্যের সাথে ভীষণভাবে সহমত।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
সম্পুর্ণ সহমত। খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লেখেছেন আপনি, এজন্যই আপনার লেখার আমি এত ভক্ত। আর, মন্তব্য ঘরের ক্ষেত্রেও একই বক্তব্য আমার। মাত্রাজ্ঞান থাকার দরকার আছে। আজকে আমি আমার বাবাকে বললাম 'সচলায়তন' পড়তে। এইসব অহেতুক গালিগালাজ (যেটা গল্প-কবিতার ভেতরে থাকে না), আর কটু, রূঢ় মন্তব্য দেখে আমি তো বিরক্ত আর বিব্রত হবোই, তাই না, যখন আমার আমন্ত্রণে ছোটরা আর অগ্রজরা পড়তে আসবেন। আমাকে অলরেডি কয়েকজন বলেছেনও।
মাঝে মাঝে রিমাইন্ডার দেওয়াটার দরকার আছে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
মূলোদা ধন্যবাদ এই লেখাটার জন্য। আমার দু'আনা যোগ করি।
আমি বন্ধুদের আড্ডায় প্রোফেনিটি ব্যবহার করি, কিন্তু লেখায় নয়। আমরা যে কাপড় পড়ে শুই, সেটা পড়ে সাধারণত বাইরে যাই না। ভাষাটাও সেই রকম মনে করি, ধারণাটা আধুনিক নয় সেটাও মানি।
লেখার সাথে সংগতিপূর্ণ অশ্লীল বাক্য বা বর্ণনাতে আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু রাগ ঝাড়ার জন্য গালিটা সম্ভবত সবচেয়ে দুর্বল অস্ত্র। পুরো বক্তব্য দুর্বল করে দেয় একটা গালি। স্কুলে একবার দুই বন্ধুর ঝগড়া লেগেছিল। স্যারের কাছে নালিশের সময় এক বন্ধু (যার দোষ ছিল না) আবেগ তাড়িত হয়ে অপরজনকে "শুয়োরের বাচ্চা" সম্বধোন করে বসে। ফলস্বরূপ পুরো ঘটনা তার বিপরীতেই যায়। ঘটনাটা আমি "লাইফ লেসন" হিসাবে নিয়েছি।
শহীদ মিনারের ঘটনাটা শোনার পরে একটা গালি মুখ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। লেখটা লেখার সময় মনে হয়েছে, কষে দুটো গালি দিলে একটু আরাম পেতাম। কিন্তু ওই যে...লাইফ লেসন।
সব বাক্যেই লেখাতেই কিছু কি-ওয়ার্ড থাকে। সবকিছু ছাপিয়ে শেষ পর্যন্ত সেই কি-ওয়ার্ডটাই আমাদের আমজনতার মাথায় প্রবেশ করে। হিমুর সেই ন্যায্য লেখাতে অনেক পাঠকই শেষের লাইনটা নিয়ে টানাটানি করেছেন। যাঁরা করেছেন, তাঁরা কেউ মুক্তিযুদ্ধের মূলচেতনার বিরোধী নন। কিন্তু ওই যে কি-ওয়ার্ড।
রেড হ্যাট লিনাক্সের বিজ্ঞাপনে দেখা যায় যে অনেক কালো টুপির মধ্যে একটা লাল টুপি...নিজেকে প্রকাশিত করছে। লেখক নিজের অজান্তেই এরকম একটা টুপি খুলে ধরেন তাঁর লেখায়। এটা যদি চোখে পড়ার মত হয়, সেখানেই লেখকের সাফল্য। উপরন্তু এটা যত উজ্জ্বল হয় ততই উপাদেয় হয় লেখা। লেখার সময় রাগের মাথায় গালি দিলে উজ্জ্বলতা বাড়ে না, বরং সেটা কেমন জানি একটু নিষ্প্রভ হয়ে যায়। এটা অবশ্য আমার অভিমত।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সেই!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
মূলোদা,
মনেপ্রাণে আপনার কথাগুলো বিশ্বাস করি।
ব্যাপারটা এক করা ঠিক হচ্ছে কিনা জানিনা, তবে বাসে ধোপদুরস্ত পোশাক শোভিত 'শিক্ষিত' মানুষটি যখন বাসের ড্রাইভারকে গালি দেয় তখন যেমন অবাক হওয়ার পাশাপাশি খানিকটা করুণা ঐ মানুষটার জন্য আসে তেমনি কাছাকাছি কিছু টের পাই সচলে ঐরকম গালি বা অশ্লীল শব্দ শুনলে বা পড়লে।
ঘৃনা থাকবে, তার তীব্র প্রকাশ থাকবে, বোধ করি সংযত ভাষা থাকাটাও জরুরি।
জ্বালাময়ী কোন লেখা পড়ে অন্যায় করেছে এমন কারো উদ্দেশ্যে গালি যদি পাঠকের মনে আসে তাহলেই লেখা সার্থক, আমার মনে হয়না পাঠকের জন্য গালিটা উল্লেখ করে দেয়াও অপরিহার্য।
সচলে লেখাগুলো আমার খুবই পছন্দের, নীড়পাতাটা ছিমছাম, সুন্দর, সবকিছুই আপন লাগে খুব। মন্তব্য হয়ত করা হয়না সবসময়, কিন্তু কোন লেখা পড়া হয়নি এমন কদাচিত্ হয়। শুধুমাত্র এই একটা ব্যাপার এখনো হজম করা শিখতে পারিনি, এমন যখন দেখি চুপচাপ বসে পড়তে থাকা ছাড়া আর কিছু করার কথা মাথায় আসেনা।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
যদিও "পাকিস্তানী খানকির পোলাদের মায়রে চুদি" বলে আমি কোনোভাবে লজ্জিত বা দুঃখিত নই, কিন্তু আপনার এই প্রাঞ্জল ব্যাখ্যাটি পড়ে আমি আপনার আশঙ্কা, এবং সেই আশঙ্কা বাস্তবায়নে আমার ভূমিকাটি পরিষ্কার বুঝতে পারছি। যে পরিবেশ আমরা সকলে মিলে গড়ে তুলেছি আর তুলছি, সেটি একজনের হঠকারিতা বা গোঁয়ার্তুমির কারণে নষ্ট হোক, এমনটা কখনোই হতে পারে না। ভবিষ্যতে সচলায়তনে বিতৃষ্ণা প্রকাশের জন্যে শব্দপ্রয়োগের ব্যাপারে আমি আরো সতর্ক হবো।
-----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
পাঠু'দা,
এমন চমৎকার একটা লেখার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি বেশ কিছুদিন আগে প্রায় এই জাতীয় বিষয় নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম। আপনার মত এত গুছিয়ে এবং আবেগ সংযত ভাবে আমি লিখতে পারিনা। সেদিনও পারিনি।
কিন্তু একটা অদ্ভূত ব্যাপার ঘটেছিল তখন। সেইটা বলার জন্যেই এখানে মন্তব্য করা। আমি নিজে ব্যক্তিগত ভাবে অনেক মেইল পেয়েছিলাম বিভিন্নজনের কাছ থেকে। তারা নিজেরা সামনে আসতে চান নি। কিন্তু তারা আমার (মূল)বক্তব্যের সাথে সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেছেন। কেউ কেউ অকুন্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন। কিন্তু সেই সহমর্মিতা সমর্থনটুকু আমার জন্যে স্বস্তিকর ছিল না। তার কারণ, আমার এই ভেবে খুব খারাপ লাগছিল যে, আমার প্রিয় সচলায়তনের পরিবেশ এমন হয়েছে যেখানে কিছু লোক মুক্তকন্ঠে তাদের মনের কথাটুকু বলতে পারছেন না।
কিসের ভয়ে?
ভয়-- যদি তাদের ট্যাগ করে দেয়া হয়, ভয়-- যদি তাঁদের রুষ্ট কথা শুনতে হয়, ভয়-- যদি তাঁদের প্রিয় এই জায়গা থেকে তাঁদের সরে যেতে হয়।
একটা লেখক সংঘের মাঝে পরিবেশ এমন কেন হবে যেখানে আমাদের পা টিপে টিপে চলতে হবে, বিশেষ করে সেই জায়গার মূল মন্ত্র যদি হয় "চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ যেথা শির' ??
আপনি ভাষা ব্যবহারের প্রসঙ্গে যা বলেছেন, আমি তার সাথে একমত তো বটেই। শুধু তার সাথে আরো একটা কথা জুড়ে দিতে চাই আমাদের কেবল ভাষ্যিক আচরণে সংযত হলে চলবে না। সংযম আনা উচিত সকল কিছুইতেই। মুখ খারাপ করে, গা জোয়ারি দেখিয়ে কিছুদূর হয়ত যাওয়া যায়।
কিন্তু সে যাত্রা 'অনেক দূর' হবার আগেই থেমে যেতে বাধ্য।
সবার মঙ্গল হোক।
এই "যারা" ভয়ে ভয়ে আপনাকে ইমেইল করেছে তারা আসলে সারা জীবনই ভয়েই ছিল এবং ভয়েই থাকবে। আপনি যেমন আপনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন, মূলত পাঠক তেমনি জানিয়েছেন। ট্যাগিংয়ের ভয় কি আপনাদের দমাতে পেরেছে?
একই ভাবে তাসনীম এবং হিমুও তার প্রতিবাদ জানিয়েছে (ভিন্ন লক্ষ্যে)। হিমু চরম ট্যাগিংয়ের শিকার হয়েও কিন্তু প্রতিবাদ জানিয়েছে ঠিকই।
আসলে যারা প্রতিবাদ করার তারা সারাজীবন প্রতিবাদ করে যাবে। আর যারা প্রতিবাদ না করার দলে তারা সারাজীবন ইমেইল চালাচালি করেই যাবে। এক্ষেত্রে সচলায়তনের দায় কতটুকু তা প্রশ্নের সম্মুখীন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
কমপ্লিটলি রাইট!
ব্যাপারটা সেটাই, ট্যাগিং কেউ করলে হাতেনাতে ট্যাগিংকারীকে ধরে তুলোধুনো করার সুযোগের অভাব যেখানে নেই, সেখানে ট্যাগিংয়ের ভয়ে লুকিয়ে থাকার মানে হয় না। ট্যাগিং একটা ফ্যাক্ট, এবং এটা মেনে নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে, সেটার সুযোগ যেহেতু আছে। সেটাই রাইট কাজ। সেটা না করতে পারলে কলমসংবরণ করে লেখার অধিকার টিকিয়ে রেখে আর অন্যের উপর দোষ দেয়া যায় না।
আমি চেষ্টা করি সবার মন্তব্যের আলাদা করে উত্তর দিতে, কিন্তু এক্ষুণি দেয়া যাচ্ছে না, দুঃখপ্রকাশ করছি সেজন্য।
হিমু,
আমার বক্তব্যটুকু সবার জন্যই, একটা ভালো পরিবেশ কোনো ভাবে খারাপ হয়ে যাক সেটা কেউ-ই চাই না। যাঁদের লেখা অন্যেরা পছন্দ করে, তাঁদের উপর এই দায়িত্বটা আরো বেশি আসে। ভালো লাগে যদি আপনাকে সামান্য হলেও এইটুকুও বোঝাতে পারি। একটা অনুরোধ, এই লেখার মন্তব্যে ঐ বাক্যাংশটি তো প্রয়োজনীয় নয়, যাঁরা জানতে চাইবেন তাঁরা মূল লেখাতে গিয়েও পড়তে পারবেন। কাজেই আপনার মন্তব্যটি এডিট করার অনুরোধ রইলো।
আপনি প্রয়োজনবোধে পুরো মন্তব্যটিই সরিয়ে দিতে পারেন।
অথবা আপত্তি জানিয়ে মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন।
আমাদের এই আলোচনার কি সত্যি প্রয়োজন আছে? দু দিকে যখন গন্তব্য এক-ই, তখন আলাদা পথ বেছে নিয়ে কী হবে। একটা পরিচ্ছন্ন পরিবেশের জন্য এই সামান্য ব্যাপারটা মেনে নেওয়া যায় বোধ হয়।
যাক, বিবাদের কথা থাক, আপনার মন্তব্য আপনি বদলাতে না চাইলে থাক যেমন আছে।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
নুরূমানিকের বাম হাত!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনার দৃষ্টি ভঙ্গী পরিষ্কার এবং পজিটিভলী গ্রহণযোগ্য। আমি পাঁচ তারা দিয়েছি।
এখানে একটি বিষয় তুলে ধরতে চাই। সচলায়তন শুরুরও আগে এর নীতিমালা কেমন হবে এ নিয়ে দিনের পর দিন, ঘন্টার পর ঘন্টা আমাদের মডারেটরদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। একটা প্রস্তাব উঠেছিল যে, আমরা কি অসংযত শব্দের ব্যবহার নিষিদ্ধ করব বা ফিল্টার বসিয়ে কিছু শব্দকে নিদোর্ষ করে দেবো (যেমন: ুতমারানী হয়ে যাবে ভুততাড়ানী, ইত্যাদি)?
তখন সর্বসম্মতি ক্রমে এটাই স্থির করা হয় যে শব্দের ব্যবহার মুখ্য নয় বরং কোন পরিস্থিতিতে বা কিসের পরিপ্রেক্ষিতে শব্দটা ব্যবহার করা হচ্ছে সেটাই মুখ্য। সুতরাং এই জায়গাটায় "অশ্লীলতার সংজ্ঞা নিরূপণে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত" এই ক্লজটি ব্যবহার করা হয়।
হিমু যে কনটেক্সটে শব্দটা ব্যবহার করেছে সেই কনটেক্সটে আমি হলে হয়ত আরও খারাপ কথা বলতাম। অন্য কেউ হয়ে হয়ত তারচেয়েও খারাপ কিছু করে বসত। আবার কেউ কেউ হয়ত তাতে প্রতিক্রিয়া দেখাবে না। অর্থাৎ প্রতিক্রিয়াটির স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন হবে অনেক বেশী।
এখন কার প্রতিক্রিয়াকে আপনি অশালীন বলবেন? যে নিজের মায়ের ধর্ষনের প্রতিবাদে শত্রুর মাকে অশালীন গালি দিয়েছে তাকে? নাকি যে নিজের মা/বোনের বেইজ্জতি দেখার পরেও শত্রুর পদ লেহন করেছে থাকে? আমার চোখে দ্বিতীয় জনের প্রতিক্রিয়া অশালীন, কারো চোখে হয়ত প্রথম জনের প্রতিক্রিয়া অশালীন। অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে ব্যাপারটি আপেক্ষিক - কী বলা হচ্ছে তার চেয়ে, কাকে বলা হচ্ছে, কেন বলা হচ্ছে সেটা মুখ্য।
কিন্তু আমি আমার বোনের কিংবা মায়ের রক্তাক্ত শাড়ীর পাশে দাঁড়িয়ে কিছুতেই শালীন কথা বলতে পারিনা। কেউ ভদ্রতা দেখাতে চাইলে সেটা হয়তো তার যোগ্যতা কিংবা বিরল ধৈর্য্য। কিন্তু আমার সামনে পাক হায়েনার দোসর আসলে আসলে আমি একই গালি দিয়ে যাব। বার বার, বার বার।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
সেন্সিটিভিটি এক অদ্ভুত জিনিস, একই মানুষ তার একই বৈশিষ্ট্য ভিন্নভিন্ন ক্ষেত্রে বজায় রাখতে পারেনা। দুইটা উদাহারণ দেই:
১। ইসলামের নবী মুহাম্মদ (স.) কে নিয়ে কার্টুন আঁকলে সচলায়তনের একটা লেখক/পাঠক গোষ্ঠি হৈ চৈ করবে। অন্য একটা গোষ্ঠি সেটাকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলবে।
২। বঙ্গবন্ধু/জিয়া/হাসিনা/খালেদা-কে নিয়ে "আপত্তিকর" কার্টুন আঁকলে সেটা একটা পক্ষে কাছে আপত্তিকর মনে হবে, অপর পক্ষের কাছে আপত্তিকর মনে হবে না। এরশাদকে নিয়ে একই মাত্রার "আপত্তিকর" কিছু আঁকলে সেই দুই পক্ষই (খুব)সম্ভবত বাহবা দেবে।
আরো কিছু উদাহরণ দেয়া যাবে কিন্তু আমি আসলে একজন দুর্বল মানুষ, তাই অনেক সময় অনেক কথা বলতে পারিনা। বিশেষ করে আমি বাংলাদেশের যেকোন সরকারকেই ভয় পাই।
আপনার লেখা ভালো হয়েছে। তবে কোন কিছুর পক্ষে যুক্তির যেমন অভাব হয়না, তেমনি সেই যুক্তি খণ্ডানোর যুক্তিরও মনে হয় অভাব হয়না। বিজ্ঞান বা যুক্তির ভাষায় এটাকে কি বলে তা মুর্শেদ মনে হয় ব্যাখ্যা দিতে পারবেন
'অ্যাসথেটিক' কারণে কেউ অনেক ধরণের শব্দ প্রয়োগ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারে। বা কেউ একটা কমিউনিটির বিভিন্ন রকমের মানুষের রুচির কথা ভেবেও শব্দ প্রয়োগে সংযত হতে পারে। এটা লেখকের চয়েস।
কিন্তু একটা/কিছু শব্দ দেখলেই যেখানে কন্টেক্সট চিন্তা না করেই 'রে রে জাত গেল, জাত গেল...!' শুরু হয়ে যায়, সেখানে আমার মনে হয় রীতিমত 'শব্দ প্রয়োগ দিবস' পালন করে এই প্রতিক্রিয়াশীলতার প্রতিবাদ হওয়া উচিত।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
সহমত। আসলে প্রচন্ডভাবেই সহমত। মুলোদা, লেখাটা খুবই ভালো লাগলো কিন্তু ঐ যে, কিছু জিনিস মনে হয় লেখকের বিবেচনাবোধের উপরই ছেড়ে দেয়া যায়। যদি সেখানে আপত্তি থাকে তাহলে বোধহয় খুব সাধারণভাবেই সেই লেখা বর্জন করার সুযোগ থাকে আমাদের, তাইনা?
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হিমু ভাইয়ের লেখাটা যখন পড়ছিলাম, তখন শেষ লাইন নিয়ে আলাদা কোন চিন্তা মাথায় আসে নাই, বরং শেষ লাইনটা পড়ার আগে আমার নিজেই মনে মনে ঐ লাইন আওড়াইছিলাম, পরে দেখি আমার মনে ক্ষোভটা যেভাবে প্রকাশিত হইছিল লেখক সেটা শেষ লাইনে লিখে দিছেন। ঐখানে অশালীনতার কিছু নাই।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আপনার বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ সহমত।
হিমুর ওই লেখায় মডুর বক্তব্য আবার পড়ে দেখলাম। ওখানে মডু লেখাটাকে অশালীন নয় বলেছেন, কিন্তু শেষ বাক্যটিকে নিয়ে সরাসরি শালীন-অশালীন কিছু বলেননি। শুধু সেই লাইনটার প্রেক্ষিতে অনাকাঙ্খিত পাঠক প্রতিক্রিয়া নিয়ে লেখককে সতর্ক হতে বলেছেন। আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে মডুদের কাছ থেকে আরেকটু স্পষ্ট অবস্থান আশা করেছিলাম। এই অস্পষ্টতার কারণে আমিও শেষ লাইনের ব্যাপারটাতে মডুদের আপত্তি নেই বলেই ধরে নিয়েছি, এবং ব্যাপারটাতে যথেষ্ট অস্বস্তি বোধ করেছি।
আমার সচলে আসা-যাওয়ার একেবারে শুরুর দিকে পাকিস্তানীদেরকে ঢালাওভাবে গালি ও অভিশাপ দেওয়া হবে কী না এমন বিষয় নিয়ে একবার বেশ কিছু পোস্ট-পাল্টা পোস্ট এসেছিলো। আমি নাদান সচল, তখনও ভাব-গতিক পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারিনি। সেসময় বেশ লম্বা একটা বক্তব্য রেখেছিলাম একটা জাতিকে ঢালাওভাবে গালাগালি বা ঘৃনা না করার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে। সেই পোস্ট-পাল্টা পোস্টের এক পর্যায়ে একজন সচল সে সময় "পাকিস্তানী মাত্রই মাদার*দ আর তাদের ঘৃনা না করার জন্য যারা যুক্তি খোঁজেন, তারাও মাদার*দ।" ধরনের একটা মন্তব্য রাখেন। সে মন্তব্যের কোন প্রতিবাদ আসেনি, না কোন সচল, না কোন মডুর পক্ষ থেকে। মন্তব্যটিকে যথেষ্ট ব্যক্তিগতভাবে নিয়েই এ বিষয়ে তার পরবর্তী সময়ে আর কখনোই কোন আলোচনায় অংশ নেয়ার প্রয়োজন মনে করিনি।
প্রয়োজন মনে করিনি তার কারণ হচ্ছে, এ বিষয়ে যতবারই এখানে আলোচনা হতে দেখেছি গত দু'বছরে, সবগুলোর শেষেই যে যে যার যার তালগাছ নিয়ে ঘরে ফিরেছেন। ফলাফল বদলায়নি। বুশ যখন বলে, "if you are not with us, you are with them", তখন আমরা সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে তার প্রতিবাদ করি। কিন্তু আমাদের নিজের বেলায় সে যুক্তি খাটাতে রাজী নই আমরা।
আমাদের বাবা, চাচা, মামারা দা-কুড়াল-বল্লম-বন্দুক হাতে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনেছেন। আজ পর্যন্ত যতজন মুক্তিযোদ্ধার সাথে সামনাসামনি কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছে, তাঁদের চকচকে চোখে স্বাধীনতার চেতনা দেখেছি, মুখে কথায় দেহভঙ্গীতে তীব্র ঘৃনার অনুভব দেখেছি, আশাভঙ্গের তীব্র বেদনাও দেখেছি। তাঁদের কাউকেই অশালীন গালি উচ্চারণ করতে শুনিনি। হয়তো একাত্তরে পাকিস্তানী ধর্ষকের পেটে বেওনেট ঢোকানোর সময় গালিই দিয়েছিলেন, হয়তো সেটা অশালীনই ছিলো, কিন্তু আমাদের সে কাহিনী শোনানোর সময় এই বীর বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধারা সেটা পুনরুচ্চারণের প্রয়োজন বোধ করেননি।
আপনার সুলেখনীর সৎসাহসী এই পোস্টটা যথেষ্টই প্রয়োজনীয়। অনেক ধন্যবাদ।
আপনার শেষের কথাগুলো বেশ ভালো লাগলো।
আমি নিজে বড় হয়েছি আমার দেশের সংগ্রাম আর স্বাধীনতার চেতনাকে লালন করে। সেই সংগ্রামীদের উপর যারা অত্যাচার নিপীড়ন করেছিল, এমনকি গণহত্যা গণধর্ষণ পর্যন্ত করেছিল, কিন্তু আজ পর্যন্ত এর জন্য ক্ষমাটিও চায় নি, বরং এখনো পদে পদে পায়ে বেঁধে শত্রুতা করে আসছে, তাদের সুযোগ পেলে এক হাত দেখিয়ে দেবার ইচ্ছা পোষণ করে।
আর সেই এক হাত দেখিয়ে দেবার মধ্যে প্রথম কাতারে ছিল তাদের মত না হওয়া। তাদের সাথে আচার-আচরণ ভাষায়, মেধায়, মননে, সংস্কৃতিতে, ক্ষমতায় পার্থক্যগুলো দেখিয়ে দেয়া। এই পার্থক্যগুলো আমার দেশের মানুষ যেদিন স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিতে পারবে তাদের সামনে, সেদিনই সেই বাকী রয়ে যাওয়া প্রতিশোধটি নেয়া হবে বলে বিশ্বাস করে এসেছি।
তাছাড়া, ভেবে এসেছি মুক্তিযুদ্ধ কেবলই একটি যুদ্ধ ছিল না। একজন পাকিস্তানী সৈন্য বা অফিসারের চিন্তা-চেতনা, অভিরুচি, আচরণের থেকে আমার দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তত একটি বড় পার্থক্য অবশ্যই ছিল। ফলে, বিশ্বাস করে এসেছি, একটা এলাকা দখল করে কর্তৃত্বের সুযোগে পাকিস্তানী মিলিটারীরা বাঙালী নারীদের ধর্ষণ করলেও ফিরতি সুযোগে যখন কোনো আটকে পড়া পাকিস্তানী অধ্যুষিত এলাকা বাঙালিরা দখল করেছে, তখন তাদের নারীদের অপমান করবার সুযোগটি নেয় নি। অর্থাৎ কেবলই একটি যুদ্ধ জয় নয়, একটি শিক্ষা ছিল, একটি পার্থক্য সূচনের ইচ্ছা ছিল।
আপনার দেখা মুক্তিযোদ্ধাদের যে বর্ণনা পাচ্ছি, তাতে আমার এই লালিত ধারণাগুলো আরো বদ্ধমূল হয়।
কিন্তু কে জানি, এসবই হয়ত আমার নিজের আরোপিত। কথা আসবে মুক্তিযোদ্ধাদের সবকিছু অনুসরণ করতে গেলে তো জয়নাল হাজারী বা জিয়াউর রহমানের কর্মকেও অনুসরণ করতে হবে।
মুর্শেদ ভাই যেমন বললেন, এটা সাবজেক্টিভ। আমি একাত্তরকে একটি নৈতিক পার্থক্যের শিক্ষা হিসেবে দেখবো এবং সেটাকে চর্চার একটা চেষ্টা সবসময় করব, আবার আরেকজন আমার এই নৈতিক যুদ্ধের পিছনে পাকিস্তানীদের প্রতি সফট কর্নার রাখার খোঁজ পাবেন।
কোনো অবজেক্টিভ কাঠামো পাচ্ছি না এটার সর্বসম্মত বিচারের। পুরোপুরি অভিরুচির ব্যাপার।
দারুণ মন্তব্য যুধিষ্ঠির'দা!
১.
সবাই নিজের মাপের আকাশ দেখে। আমি ও ....
একদিন হয়ত পাকিস্তান তাদের কৃতকর্মের জন্য নতজানু হয়ে ক্ষমা চাইবে। তাদের সেই ক্ষমা চাওয়ার পরও আমি বলবো,"পাকিস্তানী খানকির পোলাদের মায়েরে চুদি"। ৩০ লাখ মানুষ হত্যার ক্ষমা হয় না। হয় বিচার। প্রাণের বদলে প্রাণ।
আমি নিজে যেহেতু কোনদিন গিয়ে পাকিস্তানের ৩০ লাখ মানুষ মেরে আসতে পারবো না। তাই গালি দিয়েই না হয় ক্ষোভ প্রকাশ করবো। আমার গালিতে হয়তোবা মানবতা, শালীনতা লঙ্ঘিত হবে।
না হয় একটু মানবতা ও শালীনতা লঙ্ঘন হলোই বা। পৃথিবীর কত জায়গাতেই তো মানবতা, শালীনতা লঙ্ঘন হচ্ছে। সেসব জায়গায় তো খুব বেশি মানুষকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় না।
জগতের ব্যালেন্সের জন্যই গালি দেয়া ও গালি না দেয়া দু'দলের লোকেরই প্রয়োজন আছে। সবাই ভালো মানুষ হলে তো নবী, রাসূলের প্রয়োজন পড়ত না।
২.
মূলোদা, আপনার পোস্টে অপ্রাসঙ্গিক গালাগালি টেনে আনার জন্য মাফ করে দেবেন। মডুরা আমার মন্তব্যটিকে বা মন্তব্যের অংশ বিশেষকে অশালীন মনে করলে দয়া করে মন্তব্য কাটা-ছেঁড়া না করে পুরো মন্তব্যটি মুছে দিলে বাধিত থাকব।
দু-আনা যোগ করি। ঐ বাক্য ব্যবহার না করে, লেখক তাঁর যে নির্দিষ্ট আবেগটুকু প্রকাশ করতে চেয়েছেন, তা কি অন্য কোন বাক্যে প্রকাশ করা সম্ভব? আমার তো মনে হয় না। লেখককে তাঁর মনের আবেগ হুবহু প্রকাশ করতে না দেওয়াটা কি খুব কাজের কথা? এই জিনিস সত্যিই চালু করতে চান এই ফেসবুক ব্যানিং এর সাম্রাজ্যে? কোনটা স্রেফ খিস্তিবাজী আর কোনটা লেখার প্রয়োজনে আসবে, এটার তফাত করতে না পারলে তো বিপদ।
এত ঝামেলার চেয়ে অনেক সহজ নয় যেই লেখাটা যার আপত্তিকর লাগে সেটা এড়িয়ে যাওয়া?
আর ট্যাগিং এর ভয়ে কাবু হওয়ার প্রশ্নে মুর্শেদ ভাইয়ের সাথে প্রচন্ড সহমত। আমি রাজাকার না দেশপ্রেমিক, এইটা ট্যাগিং দিয়ে অন্য কেউ নির্ধারন করে দেবে.....এত সহজ না।
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
আপনার মন্তব্যের সাথে দারুণভাবে একমত।
শুধু একটা ব্যাপার আমার কাছে বেশ খারাপ লাগে কখন কখন। কাউকে কোন একটা তকমা দিয়ে ট্যাগ করার দরকারটা কি? মতপ্রকাশে ভিন্নতা থাকতেই পারে, সেটাই তো স্বাভাবিক। এখানে যেমন কেউ জাত গালিবাজ না, আবার কেউ দেশ-দশের শত্রুও না। ভাবপ্রকাশের জন্য কেউ যদি অশালীন শব্দ প্রয়োগ করে এবং তা যদি ব্যক্তি আক্রমনের পর্যায়ে না যায়(সাকা চৌ, ভুট্টো, নিজামীদের বুঝাচ্ছি না)তাহলে তা তাঁর মত প্রকাশের স্বাধীনতা, আবার কেউ যদি নিজস্ব পছন্দ অপছন্দের কথা ব্যক্ত করে সেটাও তার অধিকার। কেউ কাউকে মুখের কথা দিয়েই শুধু কোন নামে ট্যাগ করতে পারে এইটা যেমন সত্য। তেমনি এটাও সত্য যে শুধুমাত্র মত প্রকাশের ভিন্নতার কারণে সহব্লগারদের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে কটু কথা শুনতে বা ট্যাগড হতে কারোই ভাল লাগে না। কারণটা কি? কারণ সচলায়তনের একটা স্ট্যান্ডার্ড আছে সেই বিশ্বাস থেকেই সবাই এখানে লেখালেখি করে, এই জায়গাটাকে পছন্দ করে, অন্য জায়গা থেকে এ জায়গার মধ্যে পার্থক্য খুঁজে পায়। কিন্তু প্রিয় জায়গা থেকেই যদি আঘাত পেতে হয় নিজস্ব মত প্রকাশের কারণে তাহলে সে বিষয়টা কষ্টটর তো অবশ্যই।
দৃশা
১.
মূলোদা, আপনার লেখাটি যে স্পিরিট থেকে লেখা হয়েছে, সেটিকে আমি সার্বজনীন মনে করছি না। হয়ত আপনিও করছেন না। এইটুকু মনে রেখে আমি আমার মত জানাতে চাই।
২.
"ভাষার প্রয়োগ, তার সীমা"
"সাধারণ সংবেদনশীলতা"
"পরিচ্ছন্ন"
"রুচিশীল পরিমণ্ডল"
"লেখার ক্ষেত্রে নিয়মটা আলাদা"
"বয়স্কেরা পড়ে অস্বস্তিতে পড়বেন"
"সৌজন্যের সীমারেখা"
আপনার লেখার এই শব্দগুলো আমাকে পীড়িত করছে।
৩.
যুদ্ধে জেতার জন্য কেউ গালি দেয় না।
গালি দিয়ে যুদ্ধ জেতাও যায় না।
তবু মানুষ গালি দেয়।
স্বাভাবিক লেখায় মানুষের এই স্বাভাবিক 'দোষ'টি আমার কাছে অগ্রহণীয় নয়।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
সহমত।
সচলের পরিবেশ অবশ্যই সতন্ত্র, এবং সেটা ধরে রাখা এখানকার পাঠক, লেখক, মডারেটরদের দায়িত্বও। কিন্তু এই ক্ষেত্রে, অনুভূতির তীব্রতা বোঝানোর উদ্দেশ্যটা উপেক্ষা করা যায় না।
কে কোন্ লেখা পড়ে কেমন ভাবে বিব্রত হবে, সেটা ভেবে যদি লেখার গ্রহণযোগ্যতা বিচার করা হতো, তবে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের 'চিলেকোঠার সেপাই' নিঃসন্দেহে এত জনপ্রিয়তা অর্জন করতো না। কোনো লেখাই সার্বজনীন হতে পারে না, আশা করাও অন্যায়। যারা লেখকের ক্ষোভ প্রকাশের যুক্তি যুক্ত কারণ খুঁজে পাবেন না, তাদের নিজের দায়িত্বেই তেমন লেখা বর্জন করা উচিত।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা যেনো 'যা খুশি তাই' বলে বেড়ানোর প্ল্যাটফর্ম না তৈরী করে দেয়, এটা নিয়ে সজাগ থাকা যেমন কর্তব্য, তেমনি অশালীনতার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে যুক্তি সঙ্গত মত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাঁধা তৈরী না করাও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
..............................................................................................
জগতে সকলই মিথ্যা, সব মায়াময়,
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয় ।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
অন্য সব ক্ষেত্রে আমাকে সুশীল, সংযত হতে বললে মানবো। পাকিস্তান বিষয়ে নয়। গালি আমার মুখে আসবেই। সেটা চেপে যাবার ভদ্রতা পাকিস্তানের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে করার বিরুদ্ধে আমি।
কিভাবে যেন ৩ বার একই মন্তব্য প্রকাশিত হল, ২ টা কিছুতেই মুছে দিতে পারছি না।
দৃশা
সাম্প্রতিককালে সচলে এসে স্লাং করা কিংবা অশ্লীল কথাবার্তা দেখতে পাই।
কেউ কেউ এগুলো "বাণী" হিসেবে গ্রহণ করলেও আমার কাছে পরিষ্কার অর্থে এগুলো "অপরিপক্কতা"।
কোনো জাতির প্রতি ঘৃণা প্রকাশের মাধ্যম কখনও এইরূপ হতে পারে না।
মূলদা'র সাথে সহমত!!
আমার মতে (একান্তই আমার মতে), অনুভূতির তীব্রতা প্রকাশে লেখক কোন কোন ক্ষেত্রে এমন অসংস্কৃত ভাষা ব্যবহারের স্বাধীনতা রাখেন- যেটা সাধারণ ক্ষেত্রে বিশেষ গ্রহণীয় নয়।
তবে, মূলোদার সাথেও বেশ ভালোভাবেই একমত। আমাদের পাঞ্চ ওয়ার্ড যেন কী-ওয়ার্ড না হয়ে যায়...[এখানে কোনটা পাঞ্চ আর কোনটে কী, সেইটে বিচারের ভার অবশ্য সেই পাঠকের ব্যক্তিগত রুচি আর বিচারের উপরেই বর্তায়, লেখকের আর কিছু করবার থাকে না। ]
_________________________________________
সেরিওজা
খুব সুন্দর করে গুছিয়ে এবং বুঝিয়ে লিখেছেন। এর আগেও একবার তর্ক বিতর্কের জের ধরে চমৎকার একটা লেখা দিয়েছিলেন। আসলে আমাদের সবার মনের গঠণ ভিন্ন। একই বিষয়ে একইরকম অনুভূতি থাকলেও এর প্রকাশভঙ্গিও ভিন্ন হবে। আবার ওই প্রকাশভঙ্গি কারো কাছে হবে গ্রহণীয়, কারো কাছে অগ্রহণীয়। কোনো নির্দিষ্ট কাঠামোয় ফেলা সম্ভব না এই ব্যাপারটাকে।
লেখার সাথে সহমত।
শব্দ শালীনতা/অশালীনতার দায় নেয় না, প্রকাশভঙ্গীটাই মূল। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে কিছু শব্দর ঘাড়েই অশালীনতার জোয়াল চাপিয়ে দেওয়া হয় কেন আমি তা বুঝি না।
ধরুন আমি একটা পোস্ট লিখলাম, সেখানে কোনো 'চ'বর্গীয় শব্দ নাই, কোনো অশালীন কথা নাই। কিন্তু পুরোটা জুড়ে আমি রাজাকার আর পাকিস্তান বন্দনা করে গেলাম। সেটা কি শালীন লেখা হবে নাকি অশালীন হবে বলে আপনি মনে করেন?
হাউমাউ করে কান্নাকে সুশীল সমাজ মেলোড্রামা মনে করলেও যার স্বজন মারা যায়, তার হাউমাউ করে কান্না ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না
"কান্নাকাটি করে কী লাভ? মৃত তো ফেরত আসবে না", এই যুক্তি দিয়ে কি আপনি তার কান্না ঠেকাতে যাবেন?
যুক্তি আর আবেগ আলাদা জিনিস। সব আবেগরে যুক্তি দিয়ে বিচার করা যাবে না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মূলোদা, আপনার লেখাটা গোছানো। এজন্য প্রথমেই ধন্যবাদ। কিন্তু এই লেখাটি আমি নিজে কখনো লিখতে পারতাম না। কারণ, লেখার একেবারে গোঁড়াতেই আমার সাথে গলদ বেধে যেত। পুরো লেখাটির মূলভিত্তি যে অনুমিতি (লেখা পড়ে যা বুঝলাম), তা থেকেই চিন্তার অবস্থানের ভিন্নতা শুরু হয়।
এই বিষয়টা আমার কাছে শুধু চিন্তার ভিন্নতাই নয়; বরং এটা একটা ভুল। মূলোদা বন্ধুদের আড্ডার সাথে গুরুজনের সাথে ব্যবহৃত বাক্যের উদাহরণ দিয়ে যেটা বোঝাতে চেয়েছেন, তার মধ্যেও অসম্পূর্ণতা আছে। কারণ, গালির মূল বিষয় হলো অন্যকে পাটকেল ছোঁড়া, সেটা ঢিলের প্রতিক্রিয়ায় হোক আর সরাসরি পাটকেল থেকেই ঘটনাপ্রবাহ শুরু হোক। এখানে শব্দের ব্যবহার আসে পাটকেলটাকে মজবুত করতে। শব্দ নিজে এখানে নিতান্তই অসহায় এবং পাটকেল প্রস্তুতকারীর হাতের পুতুলমাত্র। এজন্যই শব্দের নিজস্ব কোনো শালীনতা-অশালীনতা নাই। কাউকে বাঘাসিদ্দিকী না বলে কুত্তাসিদ্দিকী বললে খেপবে; আবার পরীক্ষার সময় কুত্তাফাইট দিলে সেখানে খেপার কিছু নাই; বরং কঠোর পরিশ্রমকে বুঝায়। আমার নিজের ভাষার ওপর দখল শক্তিশালী নয়; তারপরেও কাউকে চ-বর্গীয় শব্দ ব্যবহার না করে তথাকথিত মোলায়েম এবং আরামপ্রদ শব্দ ব্যবহার করে ছেড়াবেড়া করে ফেলতে পারবো, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। শব্দের ওপরে দায় চাপানোরা তখন সেগুলোর মধ্যে গালি খুঁজে না পেলেও যার যাবে, তার ঠিকই যাবে।
এখন সমস্যা হলো এই অ্যাজাম্পশনের 'ভুল'টা প্রায়ই ঘটনার বিষয় থেকে ফোকাসকে দূরে সরিয়ে দেয়, যেটা ঘটনার বিষয়ের প্রতি অন্যায়। সচলের একটা উদাহরণ টানা যায়। যতোদূর মনে পড়ে সবুজ বাঘের একটা কবিতা কেউ কেউ অশলীল 'শব্দ' ব্যবহারের অজুহাতে রিপোর্ট করায় মডুরা সেটা সরিয়ে দেয়। আবার হিমুর পোস্টের চ-বর্গীয় বাক্যের জন্য পোস্টটিকে সরানো হয় না। দুইক্ষেত্রেই মডুরা হয়তো মবের সাথেই হেঁটেছেন; কিন্তু শব্দের অজুহাতে অশলীলতার শর্টকাট সংজ্ঞা নির্ধারণ সবুজ বাঘ এবং হিমু দুইজনের জন্যই অন্যায়। একজন এই অন্যায়ের শিকার হয়ে এখন সচলে আসেন না বললেই চলে, আরেকজন তার এক্সপ্রেশনের জন্য মোটেই দুঃখিত না (এবং এটাই সঠিক অবস্থান) হলেও ভুল সংজ্ঞাদানকারীদের সাথে আপোষে আসতে বাধ্য হয়েছে।
এটা গেলো লেখকের প্রতি ব্যক্তিগত অন্যায়; কিন্তু এই ভুল সংজ্ঞার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আরো ভয়ঙ্কর। হিমুর পাকিস্তানীদের প্রতি বিদ্বেষের লেখায় শুরুতে কেউ বলছেন না যে, পাকিদের গালিটা প্রাপ্য না; কিন্তু তারা ভাষার ওপরে ক্ষেপেছেন! পাকিদের যদি গালিটা প্রাপ্যই হয়, তাহলে ভাষার ব্যবহারটা লেখকের ওপরে ছেড়ে দেন না কেন! এখানে তো চ-বর্গীয় শব্দটা অন্যায়ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না, ঘৃণাটা প্রাপ্য এবং সেই পাওনা বুঝিয়ে দিতেই শব্দটা এসেছে। আপনি এখনো কনভিন্সড না যে, শব্দের শালীনতা-অশালীনতা নাই, নো প্রবলেম, আপনি আরো 'মোলায়েম' ভাষায় আদর করে ঘৃণাটা প্রকাশ করুন; কিন্তু আপনি শব্দের ঘাড়ে অশলীলতা চাপিয়ে লেখকের ভাষার ওপরে আক্রমণ করাটা তো বিরাট অশোভন এবং অন্যায় কাজ।
এই অন্যায়টা আপনি করলে দেখা যাবে মূল বিষয়েই লেখকের অবস্থান থেকে আপনার অবস্থানটা ধীরে ধীরে সরে যেতে থাকবে। মতবিরোধে পুরো পালটা 'যুক্তি' খুঁজতে ব্যস্ত হওয়াই মানবচরিত্র। যেমন, হিমুর পোস্টের কনটেক্সটে তখন আপনার পাকিহেইট অবস্থান নড়বড়ে হয়ে খোঁজা শুরু হবে কোথায় কোন পাকি কোন মহান কর্ম করেছিলো, আজ পাকিমাত্রেই ঘৃণা প্রকাশক এই 'অবস্থান' কতোটা মানবতাবিরোধী ইত্যাদি ইত্যাদি। তখন যদি আপনার পাকিপ্রেমী ট্যাগিং হয়, তার দায় আপনার নিজের; কারণ, আপনি নিজেকে যে অবস্থানে বলে দাবি করছেন, সে অবস্থান থেকে আপনি নিজের অজান্তেই সরে গেছেন, আপনার কথা আপনার দাবিকৃত অবস্থানের বিরুদ্ধেই প্রকাশিত হচ্ছে।
আর তখনই মনে হবে, দুনিয়াজোড়া পচুর গিয়ানজাম!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সবুজ বাঘের ঐ পোস্ট আমি পড়ার আগেই মুছে গেছিলো, কিন্তু সে প্রসঙ্গে মন্তব্য টন্তব্য থেকে ধারণা হয়েছিলো মডু নয়, সবুজ বাঘ নিজেই ঐ পোস্ট এবং ওনার অন্যান্য অনেক পোস্ট মুছে দিয়েছিলেন। সেটা ঠিক না?
[পরে সংযোজিত অংশ: এ পোস্টে আমি যে দুটো মন্তব্য করেছি, দুটোতেই মডুদের প্রতিক্রিয়া/পদক্ষেপ নিয়ে যে কথা বলছি তার কারণ - আমি নিজেও নিশ্চিত হতে চাই সচলায়তন মডারেশন সবার ক্ষেত্রেই একইরকম, কনসিসটেন্ট ব্যবহার করছে।
অছ্যুৎ বলাই - এ পর্যন্ত কয়েকটা পোস্টে আপনার মন্তব্যের সাথে দ্বিমত প্রকাশ করে অথবা ভিন্নমত প্রকাশ করে প্রতিমন্তব্য করেছি। এটা কিন্তু একদমই ব্যক্তিগত কিছু নয়। এমন কিন্তু নয় যে আমি তক্কে তক্কে থাকি - বলাই এসে কিছু বললেই তেড়ে গিয়ে ধরবো ]
স্নিগ্ধাপু, অবশ্যই দ্বিমত প্রকাশ করবেন। কেউই সব বিষয়ে সবসময়ে পারফেক্ট না। আর আমি তো ভুলের ডিপো, নিজের অনেক ভুল নিজের কাছেই একসময় ধরা পড়ে। সুতরাং ভুলটা যতো তাড়াতাড়ি কেউ দেখিয়ে দেয়, ততোই ভালো।
সবুজ বাঘের ঘটনাটা স্মৃতির ওপর বেইজ করে বলা, ওই পোস্টের আগেও তার পোস্টে শব্দের শ্লীলতা নিয়ে মন্তব্য/আপত্তি এসেছে। প্রকৃত ঘটনা বাঘমামা আর মডুরা জানেন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আরেকটা জিনিস বলতে ভুলে গেছি, স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রসঙ্গে পাকিহেইট বিষয়টা এলে অনেকেই এটাকে শুধু আবেগের বলে ট্যাগিং করেন কেন বুঝি না। প্রচন্ড যৌক্তিকভাবেই তাদের এই ঘৃণাটা প্রাপ্য। ফরগিভ অ্যান্ড ফরগেট জিনিসটা সবসময় সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা নয়। পাকিহেইট করে পাকিদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় না করতে পারি, তাদেরকে ক্ষমা প্রকাশে বাধ্য করতেও যদি না পারি, তাতেও এটা পুরোপুরি যৌক্তিক অবস্থান থাকে। কারণ, এটা অন্যায়ের প্রতি ঘৃণা এবং একই ধরনের অন্যায়ের পুনরাবৃত্তি রোধ করতেই এই ঘৃণাটা চর্চা করতে হবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বাস্তবতার বিচারেও এই ঘৃণাটা জরুরী, বিশেষ করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যখন মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ গঠন করে এইং বিবৃতি দেয় দেশে কোনো যুদ্ধাপরাধী নাই, স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া দলটির নেতারা যখন যুদ্ধাপরাধীদেরকে শেলটার দেয়া শুরু করে, তখন এই ঘৃণার চর্চাটাই হয় ইতিহাসের প্রথম পাঠ। সেখান থেকেই প্রশ্ন আসে, কেন ঘৃণাটা করা হয়, সেখান থেকেই শুরু হয় ইতিহাসের চর্চাটা। ইতিহাসের চর্চাটা কেন প্রয়োজন? কারণ, আপনি আমি মানবতার গান গেয়ে গলা ফাটিয়ে ফেললেও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বসে নেই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
মূলত পাঠকই মূলত লেখক। সম্পাদকীয় নীতির গোড়ার কথাটা আপনি তুলেছেন। সেটার জন্য সাধুবাদ। কিন্তু সচলায়তন সনাতন মিডিয়া নয়। এই মিডিয়ার বিনির্মাণের কাজ চলছে। ভবিষ্যতের মিডিয়ার চরিত্র পাঠকেরাই নির্ধারণ করবে। জনসম্পাদকীয় নীতিতে চলবে সেটা। অচলায়তনের রক্ষণশীলতার দেয়াল ভেঙ্গেই সচলায়তন। ব্লগ ম্ডারেশনের ব্যাপারটা পাঠক আর লেখকদের দায় হবে। সচলায়তন লেখার যোগাযোগ ক্ষমতার উতকর্ষের খোঁজে সচল হবার ধাপগুলো সচল রাখছে। কারো মন্তব্যের কোন শব্দটি অশ্লীল তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে কিন্তু এব্যাপারে রায় ঘোষণার সুযোগ নেই। এটা কখনোই ছিলনা, ক্ষমা ভিক্ষাকর হারামজাদা নইলে ধর্ম আগুণে পুড়বি। কোন সম্পাদকের সাহস আছে "হারামজাদা' শব্দটাকে কেটে দেবার। মতিউর রহমান বা মাহফুজ আনামের আছে। তাই ঐসব পত্রিকায় না লিখে সচলায়তনে লিখি। আশা করছি মূলত পাঠকের এই লেখাটিকে ভার্চুয়াল নিউজ রুমের একাডেমিক আড্ডার বিষয় বলে সমাদর করা হবে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
আরেহ! একদম আমার মনের কথাটা এত সুন্দর করে আপনি কেমনে বললেন!!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মূলতপাঠক আপনার লেখাটির বিষয় বস্তুর সাথে অনেক অংশেই একমত| তবে হিমুর লেখাটি পরার পর
শেষ লাইন এর গালিটুকু ততটা অশ্লীল না লাগ্লেও প্রয়োজন চ্চিলনা বলা যায় | টেকনিক্যালি বিশ্লেষণ করলে
পাকিস্তানি খান*** পোলাদের মায়েরে**ই " না হয়ে "পাকিস্তানি যুদ্ধ অপরাধীদের মায়েরে***" হলে আমার মতে যুক্তিযুক্ত হতো| এখানে উল্লেখ করা নিষ্প্রয়োজন যে পাকিস্তানি যুদ্ধ অপরাধীদের অধিক ঘৃনা বাঙালি বিশ্বাস ঘাতক দের প্রাপ্য| একই সাথে " যুদ্ধ অপরাধী ও সমর্থনকরি" নির্দিষ্ট করে দিয়ে, জাতিগত ঢালাও ব্যাপারটি এড়ানো যায়|আমার কাছে অশ্লীলতার চেয়ে টেকনিক্যালি সামান্য ভুল মনে হচ্ছে|
এখানে একটি উদাহরণ .. . কেন আমি জাতিগত ভাবে ঢালাও চু*এ দেয়ার বিরুদ্ধে. .
"পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কর্নেল বেলায়েত' ৭১ সালে চট্টগ্রাম সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় যুদ্ধ শুরু হয়| তিনি প্রথম থেকেই বাঙালিদের দাবি ও সংগ্রামের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন | গোপন এ মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করতেন |তিনি বেশ কয়েক বার চট্টগ্রাম অভিবাসীদের গনহত্যা র হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করেন | অগাষ্টে মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ড দের চট্টগ্রাম বন্দর আক্রমন এর পূর্বে তার দেয়া গোপন তথ্য যথেষ্ট সহায়ক ছিল | সেনা বাহিনীতে থাকা অবস্থায় তিনি যাদের মাধ্যমে মুক্তি যোদ্ধাদের কাছে গুরুত্ব পূর্ণ তথ্য সরবারহ করতেন তারা হচ্ছে , পি .এন .এস বখতিয়ার এ কর্মরত ভান্ডার রক্ষক আব্দুর মাজেদ | তার সতর্কীকরণ এর ফলে কাকলী'তে অবস্থানকরি নৌ- কমান্ডো দল নিশ্চিত ধরা পড়ার হাত থেকে রক্ষা পান এবং আসকর দিঘিরপাড়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসাইন ও তার সাথীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন | এই অবাঙালি কর্মকর্তা ১২ই সেপ্টেম্বর ধরাপড়া ৩ নৌ কমান্ডো কে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে শেষ মুহুর্তে কৌশলে বাঁচিয়ে দিতে সমর্থ হলেও পাকিস্তানি গোয়েন্দা দের হাতে নিজে ধরাপড়েন| কর্নেল বেলায়েত কে যশোর সেনানিবাস এ গোয়েন্দা বৃত্তির অভিযোগ এ মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয় |
বাঙালি নৌ কমান্ডো দের সাহায্য করা আরো কিছু অবাঙালি পাকিস্তানি নৌ অফিসার কে এস হোসাইন ও মমতাজ মজিদ.
বীরউত্তম মেজর রফিকুল ইসলাম এর বর্ণনা তে ওপর এক জন অবাঙালি কর্মকর্তার নাম ও উল্লেখ পাওয়া যায় যিনি এখনো পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে কর্মরত| নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশ করা হয়েনি|
সুত্র : বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধে ডা মাহফুজুর রহমান ; মেজর রফিক বীরউত্তমের লক্ষ প্রানের বিনিময়ে; মুক্তিযুদ্ধের নৌ কমান্ডও লেখক কমান্ডো খলিলুর রহমান |
এই অবাঙালি পাকিস্তানির মত অল্প কিছু কর্মকর্তা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কে সমৃদ্ধ করেছে| তাই যদিও পাকিস্তানিদের জাতি গত ভাবে আমার কিছুটা অসভ্য মনে হলেও, আমার শিক্ষা ও বিশ্লেষণ ঢালাও ভাবে গালি দেয়ার বিপরীতে|
এখানে ঘৃণাটা করা হয় 'পাকিস্তান' নামক সমষ্টিকে, একজন ইনডিভিজুয়াল কতো বড়ো পীর তা অবান্তর।
আরেকটু সফট বিষয় নিয়ে বলি, বাংলাদেশ যখন দুর্র্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়, তার দায় আমার ওপর এসেও পড়ে, যদিও আমি নিজে দুর্নীতি করি না। একজন হাসিনা-খালেদা যখন দেশকে বাঁশ দেয়, তার দায়িত্ব বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অধিবাসী হিসেবে আমার কাধেও বর্তায়। কারণ, তারা আমার ভোটেই নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। এখানে ইনডিভিজুয়াল ভোটটা কাকে দিলাম, সে হিসাবটাও সমষ্টির মধ্যে বিলীন হয়ে যায়। যেমন, যে টার্মে বিএনপি ক্ষমতায় যায়, সে টার্মে লীগকে আর যখন লীগ ক্ষমতায়, তখন বিএনপিকে ভোট দিয়ে আমি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানের আকাম থেকে নিজের দায়িত্বমুক্তি পেতে পারি না। কারণ, ভোট শেষে যে নির্বাচিত হয়, সে সবারই রাষ্ট্রপ্রধান হয়।
প্রকৃতপক্ষে কর্নেল বেলায়েতের পরিণতি থেকেই পাকিসমষ্টির কাজের এন্ডরেজাল্ট সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝা যায়। এখানে দুইএকজনের মহানুভবতার জন্য সমষ্টিকে ঘৃণা না করার বিলাসিতা অনেক বড়ো আকামের বীজ বুনতে পারে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
একটা কথা আছে, শুনেছেন বোধ করি, 'The exception proves the rule'. শহীদ বেলায়েত ও তাই।
"তাই যদিও পাকিস্তানিদের জাতি গত ভাবে আমার কিছুটা অসভ্য মনে হলেও, আমার শিক্ষা ও বিশ্লেষণ ঢালাও ভাবে গালি দেয়ার বিপরীতে" - এই কথাটা পড়ে হাসি আসছে। ঢালাও ভাবে পাকিদের গালি না দিলেও ঢালাও ভাবে তারা 'কিছুটা অসভ্য' মেনে নিতে আপনার কোন সমস্যা নেই। এই double standard এর মানে টা কি?
আপনার কাছে পাকিরা যেমন জাতিগত ভাবে 'কিছুটা অসভ্য', আমার কাছেও তারা তেমনি জাতিগত ভাবেই ইতর বিশেষ প্রাণীর সন্তান। দুই-একটা exception এ কিছু যায় আসে না।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
প্রশ্ন হলো,আপনি কি এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমকে উদাহরণ হিসেবে বিবেচনা করবেন?? এ রকম আরো ঘটনা হয়তো আছে।কোন এক জায়গায় পড়েছিলাম,'৭১ এর মাঝামাঝি পর্যায়ে আসমা জাহাঙ্গীর যখন করাচির রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশে পাকি সেনাদের কুকীর্তির বিবরণ লেখা লিফলেট গাড়িতে করে যাওয়া "সাধারণ" পাকিস্তানিদের দিতেন,তখন এই "সাধারণ" পাকিস্তানিরা তাকে থুতু মারত।এখানে আসমা জাহাঙ্গীরকে উদাহরণ হিসেবে দেখা উচিত কিনা,সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই।কারণ ওই "সাধারণ" পাকিস্তানি। আমিও একটা সময় পর্যন্ত ভাবতাম,সবাই নিশ্চয় এরকম নয়।
কিন্তু এখন তা মনে করি না।
এত দিন পরেও যাদের পাঠ্যবইয়ে লেখা আছে যে আমাদের দেশের জন্ম আসলে অন্য একটা দেশের ষড়যন্ত্রের ফসল,তাদের থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না।
একজন এর উদাহরনটা আমার দেয়া না , আমি শুধু সুত্র তুলে ধরেছি মাত্র পাকিস্তানি মাত্রই জাতিগত ভাবে ধর্ষন শ্লোগান এর আমার বিপরীত অবস্থান| আমার মনে হয়না এধরনের সমষ্টি গত গালি কোন ধরনের সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরন সরঊপ আপাদমস্তক আফগানি মানেই তালেবান অথবা নাজি মানেই সমগ্র জার্মান জাতি বলতে হয়! লেখার উদ্দেশ্য যদি হয় সচেতনতা বৃদ্ধি কিংবা যুদ্ধ পাপী দের বিচার তবে আপনি সমষ্টিকে আক্রমন করে কোন সুফল পারবেন না,এটা হয়তো ক্ষনিকের ভাবাবেগের খায়েশ পুরন হতে পারে এর বেশি কিছু নয়| সমষ্টিকে চু*এ দেয়ার ঋতি মেনে নিলেতো নাজি জার্মানিতে শিক্ষা নিতে যাওয়া অথবা ব্যাবসায়িক সম্পর্ক রাখাটা ও আপনার দৃষ্টিতে ভুলের বীজ রোপন! সেক্ষেত্রে তো সমস্ত ইজ্রাইলি শিশুদের বিররুদ্ধেও এই ৫০ বছরে চু* দেয়ার রচনা-র বন্যা বয়ে যাবার কথা। আর এত দূর ও যাবার প্রয়োজন নেই বাঙ্গালী মিরজাফরদের গালি না দিয়ে আপনি যদি বলেন বাঙ্গালি মানেই চু*র-ভাই তবে মনে হয়েনা নতুন প্রজন্ম তা হোক বাঙ্গালি বা পাকিস্তানী সেটা সচেতনতা বৃদ্ধিতে কোন ভুমিকা রাখতে পারে । হিমু ভাল লেখক উনি এই সামান্ন্য পরিবর্তনটুকু ( পাকিস্তানী যুদ্ধ পাপী ও সমর্থনকারী)যুক্ত করলে আমি কোন লাভ ছাড়া ক্ষতি দেখছিনা! যাই হোক মন্তব্যটি নিতান্ত ই আমার পর্যবেক্ষন ।
জার্মানির কথা তুলে ভালোই করলেন। এরকম অপরাধের পরবর্তী প্রক্রিয়া কি হওয়া উচিত, জার্মানি তার জন্য খুব ভালো একটা উদাহরণ। হিটলারের আকামের জন্য জার্মানি এখনও ক্ষতিপূরণ দিয়ে যাচ্ছে, 'যা করার নাৎসীরা করেছে, আমরা জার্মানরা করি নাই' বলে পার পাওয়া যাচ্ছে না এবং একইসাথে নাৎসীদের সমর্থনে কিছু বললেই তাকে আইন করে শাস্তি দেয়া হচ্ছে।
মীরজাফরের উদাহরণটা মিসপ্লেসড। মীরজাফর সংখ্যাগুরুর প্রতিনিধিত্ব করে না, একইভাবে সংখ্যাগুরুর প্রতিনিধিত্ব করে না একাত্তরে পাকিস্তানীদের আকামের বিরোধিতা করা হাতেগোণা কয়েকজন পাকি।
সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যই ঘৃণাটা দরকার, গালিটা দরকার। ঘৃণা না থাকলে পাকিদেরকে ভাই বলে বুকে জড়িয়ে ধরতে বাধে না এবং অতীতের অন্যায়ের সুবিচার তো হয়ই না, ভবিষ্যতেও অন্যায়ের আশঙ্কা থাকে।
যাক, মূলোদার এই পোস্টে এ নিয়ে আর ডিটেলসে না যাই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আপনার উদাহরন মানলে বলতে হবে বাঙ্গালির মারে চু*দি যারা প্রথম পরাধিনতার বীজবপন অথবা স্বাধীনতার প্রতক্ষ্য বিরুদ্ধচারনকারীদের এখোনো সঙসদ এ বসাই আর পতাকা শোভিত গাড়ি তে চড়তে দেই। এ বিষয়ে আর কিছু বলার নেই
ঠিক বলেছেন জার্মানির ক্ষতি পুরন দিয়ে যাওয়া একি সাথে মিত্র বাহিনীর যুদ্ধ পরবর্তি স্নায়ু যুদ্ধের সময় উভয় জার্মানির পুনর্গঠন এর চেষ্টা নাই টানি, অথবা হিটলার এবং নাৎসি পার্টিকে সমর্থন এর জন্য তাবৎ জার্মান দের গালি দেয়ার পথ নাই বেছে নেই বরং আসুন পাপী দের শাস্তির কথা বলি। অসভ্য জারা সভ্য নয় আর সভ্য নয় মানেই যুদ্ধ অপরাধী তাও নয়।
শুরু তে আমি মুলতপাঠক এর সাথে আংশিক একমত হলেও এখন পুরপুরি একমত| প্রসংগ অপ্রাসংগিক হয়ে থাকলে দুঃখিত।
মানুষ কখন গালি দেয় ?
মাত্র দু'দিন এসেছি, এরমধ্যে ভালো লাগতে শুরু করেছে। যা হোক, এই বিদেশ বিভুঁইয়ে নানা কারনে মন ত্যক্ত-বিরক্ত হয়। বিশেষতঃ আমি যখন আইন না মানা দেশের মানুষ। আইন মানার ইচ্ছা আমার মজ্জায় নেই। অথচ এখানে পদে-পদে আইন মানতে হয়। বেশির ভাগ লিখিত আইন, আর অলিখিত আইনের কথা নাই বা বল্লাম। এখানে কোন মুণী-ঋ্ষীও নেই প্রকৃতির নির্মমতার কারণে। অগত্যা মানুষকে আইনের কাছেই নিজেকে সোপর্দ করতে হয়, ফিরে আসতে হয় মানুষের আদালতে।
আমি কখনো কাউকে গালি দেই না, নীরবে সহ্য করি মানুষের সীমাবদ্ধতাকে। কিন্তু ইদানিং আমিও মাইকের (আমার বন্ধু) মতো 'এফ' শব্দ ব্যবহার শুরু করেছি যখন কর্পোরেট মিডিয়ায় ঘটনার বিকৃত উপস্থাপন দেখি। তুরষ্কের একটি রিলিফ জাহাজকে ইসরালী কমান্ডোরা যেভাবে আক্রমণ করে ঘটনার সাফাই গাইছে, সিএনএন তাই প্রচার করছে ? এমনকি অপরপক্ষ অর্থাৎ তুরষ্ক কিংবা ফিলিস্তিনীদেরও যে কোন মন্তব্য থাকতে পারে সেদিকে তোয়াক্কা না করেই ! তখন আমি আর স্থীর থাকতে পারি না, বলে উঠি- 'ফা.. ইউ'।
ইদানিং বেশ কিছু আমেরিকানের গাড়ির বাম্পারে স্টীকার সাঁটানো থাকে- 'ডোন্ট ট্রাস্ট কর্পোরেট মিডিয়া'। কারন এরা সব বিজ্ঞাপনের কাঙাল ! বিজ্ঞাপন নির্ভরতা ছাড়া মানুষের চাদায় চলে এমন টিভি চ্যানেলও আজকাল জনপ্রিয় হয়ে উঠছে- যেমন 'ডেমোক্রেসি নাও'। আমেরিকায় ১৪ হাজারের বেশি রেডিও স্টেশন আছে, এদের মধ্যে অন্তত কয়েক'শ স্টেশন চলে কেবল মানুষের চাদায়। এই চাদার কালচার গড়ে তুলতে পারলে আমাদের মনোজগত থেকে সেন্সরশীপের চিন্তা উঠে যাবে।
লিখতে বসে প্রায়শঃ চিন্তা করি- সচলায়তন চলে কার টাকায় ? যদি কখনো কোন ভূমিকা রাখার প্রয়োজন পড়ে, নির্দ্বিধায় জানাবেন। কারন ভালো কাজগুলোও অনেক সময় আড়ষ্ঠ হয়ে যায় টাকার অভাবে, সার্ভারে জায়গা থাকে না বলে। অশেষ ধন্যবাদ ভালো লেখাগুলো পড়তে পারার কারনে।
zic2010@yahoo.com
মুলো'দা লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
ভীষন রকম একমত, স্বাধীন!
মূলোদার লেখাটি ভাল লাগল। তবে আপনার কিছু প্রসঙ্গে স্ববিরোধিতা আছে। শ্লীলতা অশ্লীলতা ব্যাপারটি চিরকালই আপেক্ষিক (যে কোনও বিশেষণই তাই), তাই এ ব্যাপারে চরম সিদ্ধান্তে আসা কখনওই সম্ভব নয়। আর লেখায় শব্দের ওপর আরোপিত অশ্লীলতার মাত্রা নির্ভর করে তার অন্তর্বস্তুর ওপর। হিমুর যে-লেখার প্রসঙ্গে আপনার এই ব্যক্তিনিরপেক্ষ আলোচনা, তাতে আর কোনও শব্দবন্ধ ব্যবহার করলে লেখাটির গতিশীলতা নষ্ট হত। হিমু যে গতিতে একটি আবেগকে শেষাবধি টেনে নিয়ে এসেছেন, তাতে আপনার রুচিসম্মত শ্লীল শব্দবন্ধ বসালে তা হোঁচট খেত। ক্লাসিক যুদ্ধের ছবিতে দেখবেন, সৈনিকেরা কথায় কথায় চ-বর্গীয় শব্দ উচ্চারণ করে যাচ্ছে, যদি না করত, তবে আমাদের পাঠরুচি হয়ত নিয়মসিদ্ধ হত, কিন্তু পাঠকরুচি বা দর্শকরুচি দারুণভাবে আহত হত। কেননা তা বিশ্বাসযোগ্য হত না। চরিত্রগুলোকে তার মাপ অনুযায়ী চালাতে দিতে চাইলে ঐসব শব্দ তাকে ব্যবহার করতে দিতেই হবে। এখানে শ্লীলতার প্রসঙ্গ টেনে আনাটাই অপ্রাসঙ্গিক। যারা অন্তর্বস্তুকে ছাপিয়ে বা এড়িয়ে একটি বিশেষ বাক্যের ওপর হোঁচট খান, তাঁদের পাঠপদ্ধতি অপূর্ণ আছে, সে দায়িত্ব লেখকের ওপর না চাপানোই ভাল। আমি স্বীকার করি, লেখকের দায় আছে পাঠকদের পাঠরুচিকে বিবেচনায় রাখা, কিন্তু সেটাই যদি মুখ্য উদ্দেশ্য হয়, তাহলে আমরা সাহিত্যে শুধু ইমদাদুল হক মিলনদেরই পাব, আখতারুজ্জামান ইলিয়াসদের আর পাব না। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসকে হজম করার শক্তি পাঠকদের অর্জন করতে হবে, যাঁরা পারবেন না, তাঁদের কাছে ইলিয়াসের ছোটগল্পগুলোকে অশ্লীল ভাষার আখড়া ছাড়া কিছু্ই মনে হবে না।
সচলায়তন পাঠকের রুচি নির্মাণের দায়িত্ব নেবে না, পাঠককে প্রস্তুত হয়ে এখানে আসতে হবে। যে শব্দবন্ধ আমার ঈপ্সিত আবেগকে কাঙ্ক্ষিত অবয়বে প্রকাশ করতে পারবে, আমি তাকেই ব্যবহার করতে চাই, পাঠকের ধমকের ভয় না করেই। ঐটুকু স্বাধীনতা না থাকলে আমার লেখক হওয়ার দরকার কী, বসে বসে অন্যের লেখা পড়লেই পারি।
অশ্লীলতা আর অশ্লীল শব্দবন্ধ দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার। প্রথমটি সচলায়তনে কাম্য নয়, আর দ্বিতীয়টি অর্ন্তবস্তুনির্ভর, তাই তার সুষ্ঠু প্রয়োগ আমাদের মেনে নেওয়ার মত প্রস্তুত হয়েই সচলায়তনে ঢুকতে হবে। সুষ্ঠু না হলে প্রথমটির সংজ্ঞাভুক্ত হয়ে পড়বে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত হবে।
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
মুলোদা আর যুধিষ্ঠির এর সাথে সহমত।
লেখার মূল বক্তব্যের সাথে সহমত। আবার লেখকের স্বাধীনতার প্রতিও শ্রদ্ধাশীল। দিনশেষে শব্দচয়ন বা ভাষাভঙ্গির ক্ষেত্রে যদিও লেখকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত তবুও পাঠকদের মতামতকেও গুরুত্ব দেবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি।
এই লেখার কিছু মন্তব্য পড়ে শ্লীল উপায়ে একটা অশলীল উপন্যাস লেখার চিন্তা মাথায় আসলো। সেই উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে বাংলা শ্লীল কীবোর্ড লে-আউট ডিজাইন করলে '*' কী টি নিশ্চিতভাবেই কীবোর্ডের দুর্গম অঞ্চল থেকে সরিয়ে এনে হয়তো শিফট কী'র স্থানে বসাতে হবে। এতে অবশ্য আরো কিছু সাইড বিজনেসে লাভে লাভ হবে। কাগু কপিরাইট নিয়া হাউকাউ করতে পারবে না, সায়েন্টিফিক জার্নালে 'আধুনিক গালিমুক্ত ১০০% শ্লীল বাংলা কীবোর্ড' আবিষ্কারের ওপর পেপার পাবলিশ করা যাবে, লাকের কপাল ভালো থাকলে একখান পিয়েজডি ডিগ্রিও ম্যানেজ হয়ে যেতে পারে। এটা মানবতাবাদী অবস্থানের জন্যও নানানভাবে কাজে লাগবে। কাউকে অশলীল শব্দ ব্যবহার করে গালি এড়িয়ে পো**র কারণে মানবতা রক্ষা পাবে - এই লাভের পাশাপাশি শব্দের অস্ত্রোপচার করে শব্দকেও অশলীলতা রোগ থেকে মুক্তি দেয়া যাবে।
এই লেখার মন্তব্য পড়ে আরো বুঝলাম, বায়তুল মোকাররমে আরিফের ফাঁসি চেয়ে মিছিল করা হুজুরদের 'মোহাম্মদ' শব্দ নিয়া ওজু নষ্ট করা ১০০% হালাল, আরিফের ফাঁসি কার্যকরের আগে শব্দকে অচ্ছুৎ ঘোষণা দিয়া কিছু হাত-পা অস্ত্রোপচার করে * এর ব্যান্ডেজ বেঁধে দিলে অবশ্য খতিব ও মোল্লা (এই শব্দটার বাংলাদেশে ব্যবহারিক অর্থে)গণ তাকে একটা চান্স দিতে পারেন।
কিছু বৃত্ত থেকে আমাদের আসলে কখনো বেরোনো হয় না। হয়তো বৃত্তটা বড়ো হয়, মোল্লার দৌঁড় বায়তুল মোকাররম পর্যন্ত হলেও আমাদের দৌঁড় যেহেতু অন্তত ব্লগ পর্যন্ত বিস্তৃত, সেহেতু কেন্দ্রবিমুখী বল একটু বেশি। কিন্তু বৃত্তের কেন্দ্র থেকে খুব বেশি দূরে যাওয়ার উপায় নেই, গ্রাভিটি ঠিক সময়মতোই এসে কান ধরে খালি ঘুরায় আর ঘুরায়।
বাংলা বর্ণমালা থেকে ব ও চ অক্ষরদুটোকে ব্যান করা হোক।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
'ব' ব্যান হইলে বাংলাদেশ লেখবেন কেমনে?
সবচেয়ে সমস্যা চইবো জব্বার কাগুর... ডবল 'ব'
'চ' এর মতো একটা চমৎকার অক্ষর বাদ্দিবেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হলে থাকতে জাকিরের দোকানে চা খেতে গিয়ে আমরা বলতাম,
"ঐ জাকির, চা-চু-দে!"
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
*াংলাদেশ = শ্লীল
বাংলাদেশ = অশলীল।
জব্বার কে জ**ার লিখলে শ্লীলের পাশাপাশি কপিরাইট লঙ্ঘন থেকেও বাঁচা যাবে। যাউকগা, সচলে ওপেনলি আলোচনা না করে ব্যাকগ্রাউন্ডে চলেন ইমেইল চালাচালি করে কি কি বর্ণ বাদ দিলে শালীনতা রক্ষা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে একটা পোস্টের ড্রাফট করি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
amiডটnazrulএটজিমেইলডটকম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মেইল চালাচালি হইতাছে নাকি? আমাট্টা কো?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
দাঁড়াও, গুগোলে 'গালিমুক্ত বাংলা বর্ণমালা' শীর্ষক গ্রুপ খুলে ইনভাইটেশন পাঠাচ্ছি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
পোস্টের মাধ্যমে দারুণ এক আলোচনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য পাঠক'দাকে ধন্যবাদ।
@অনিকেত
যারা আপনাকে ব্যক্তিগত ইমেলে অকুন্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন, আপনি কী নিশ্চিন্ত যে তারা অপরপক্ষকেও ব্যক্তিগত ইমেলে আপনার বিপক্ষে সমর্থন জানায়নি। আমি আমার জীবনে সবচেয়ে ভয় পেয়েছি এবং পাই এই আড়ালে প্রতিক্রিড়াশীল গোষ্ঠীকে।
আপনার ‘গা জোয়ারি’ শব্দটাতে আপত্তি জানালাম। আপনি যাকে গা জোয়ারি বলছেন, আপনি কী ঠিক জানেন যে সেটা আসলেই গা জোয়ারি?(গায়ের জোরে)
বিতর্ক প্রতিযোগীতায় জয়ী হয় সেই দল, যে দল সবচেয়ে বেশী পয়েন্ট পেয়ে তর্কে জেতে তাইনা?
সচলে কিছু কিছু ব্লগার আছেন যারা তর্কে অসাধারণ পারদর্শী ও প্রতিভাবান, এবং তারা সম্ভবত একই মতদর্শনের অনুসারীও। তাদেরকে তর্কে হারানো সম্ভব হয়নি বলেই আপাত দৃষ্টিতে তাদের মতবাদটাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটা তাদের যোগ্যতা। তাদের দোষ নয়।
ওপর পক্ষে, তাদের বিরুদ্ধ মতদর্শনের অনুসারীরা প্রতিভাবান লেখক হওয়া সত্তেও এখন পর্যন্ত তর্কে অতটা বূৎপত্তি অর্জন করে উঠতে পারেননি। তাই এঁরা এক পর্যায়ে এসে নীরবতা অবলম্বন করেছেন। এটা তাদের “ভয়-- যদি তাদের ট্যাগ করে দেয়া হয়, ভয়-- যদি তাঁদের রুষ্ট কথা শুনতে হয়, ভয়-- যদি তাঁদের প্রিয় এই জায়গা থেকে তাঁদের সরে যেতে হয়। ” এরকম নয়। এ রকম ভাবাও উচিত নয়। একজন ব্লগার যখন ব্লগ লিখবেন তখন তিনি শুধুই একজন ব্লগার। আড়ালে তিনি মডু কী মডু না তাতে আমসচলের কী বা এসে গেলো? এখন পর্যন্ত ব্লগারদের মডু পরিচয়ের ফায়দা লুটতে দেখিনি। বরং উল্টোটাই দেখেছি। ( আমি এখানে খুবই অনিয়মিত, আপনার কী দেখেছেন?)
@মুলত পাঠক
গালি মানুষের বিতৃষ্ণা প্রকাশের সর্বচ্য বর্হিপ্রকাশ। বিতৃষ্ণা যত বেশি হবে গালিও তত মারাত্নক হবে। এটাই সহজ সত্য। হিমু তার লেখায় যে গালিটা ব্যবহার করেছে, বাংলাভাষায় এর চাইতে খারাপ গালি আর নাই। সবচেয়ে খারাপ জাতের জন্য সবচেয়ে খারাপ গালিটাই প্রযোজ্য হওয়া উচিত। আমার ধারণা হিমু এই যুক্তিতেই গালিটি লিখেছে।
আমি আমার ছেলেকে ফকিরের বাচ্চা বলে গাল দেই। গালটা কিন্তু ওকেই দেই আমাকে নয়। ব্যক্তিগত জীবনে গালি সবাই দেয়। ছোটরা আর অগ্রজরাও। ব্লগের পাতায় লিখলে সেটা কেন দোষের হবে? ব্লগ কী জীবনের প্রতিচ্ছবি নয়? আর সচলায়তনের চরিত্র কী এতদিনেও তৈরী হয়ে উঠেনি যে একটা গালি লিখলেই সেটা 'অনেক দূর' যাবার আগেই থেমে যেতে বাধ্য হবে।
তাসনীম খুব অল্প সময়ে খুব জনপ্রিয় ব্লগার হয়ে উঠেছে সেটা ওর লেখার স্টাইলের জন্য। হিমু জনপ্রিয় ওর স্টাইলের জন্য। ওর লেখা পছন্দ না হলে আপনি অবশ্যই আপত্তি জানাবেন। কিন্তু হিমু তাসনীমের স্টাইল ফলো করবে, একজন লেখক হয়ে আর একজন লেখকের কাছে এই দাবী বা আশা করা কী আপনার উচিত?
--------------------------------------------------------------------------------
ভাবি, মূলত পাঠক মনে হয় স্টাইল ফলো করার কথা বলেন নি। আমার ব্লগের উদহারণ উনি প্রসঙ্গক্রমে দিয়েছেল। অনেকের মত আমি নিজেও হিমুর লেখার ভক্ত পাঠক।
উল্লেখ্য, হিউস্টনে শহীদ মিনার নিয়ে পাকিস্তানি সক্রিয়তা বিষয়ক পূর্ণাঙ্গ ব্লগ লেখার লেখার আইডিয়াটাও হিমুরই।
ধন্যবাদ।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মাঝে মাঝে এরকম লেখা আসলে সচল-উঠোনটা গরম হয়ে ওঠে, এটা মন্দ নয়। আর তখন লগিনও করতে হয়।
প্রথম যখন 'চিলেকোঠার সেপাই' পড়ি, আশেপাশে শোনা অতি পরিচিত অশ্লীল শব্দগুলোর সরাসরি ব্যবহার দেখে কিঞ্চিৎ জড়তায় আক্রান্ত হলেও কিছুদূর এগিয়ে আড়ষ্টতা আর থাকেনি। পড়া শেষে মনে হয়েছিলো ওগুলোই বাক্যগুলোকে অতিরিক্ত শক্তি যুগিয়েছিল। তারচেও বড় কথা এগুলোর ব্যবহার ছাড়া সংশ্লিষ্ট চরিত্রগুলো আসলে কোন বাস্তবতাই পেতো না। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস লেখক হিসেবে কিন্তু পাঠকরুচির বিষয়কে না ভেবে শিল্পের অনিবার্যতাকেই বেছে নিয়েছিলেন। আর পাঠকরুচি একটা হাইপোথিটিক্যাল ব্যাপার। শিল্পই পাঠকরুচি নিয়ন্ত্রণ করে, পাঠকরুচি শিল্প নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে ওটা প্রচলিত বাংলা সিনেমা হয়ে যাবে। এখানেই লেখক তার স্বাধীনতা কীভাবে ভোগ করবেন তা ঠিক করবেন। যে পাঠকের ভালো লাগবে না সে তা বর্জন করবে। লেখকের পাঠকরুচির তোয়াক্কা করা মানে নিজেই আত্মহত্যার ফরমান জারী করা। হিমুর আলোচিত বাক্যটি পড়ে ব্যক্তি আমি শব্দটি উচ্চারণে কিঞ্চিৎ ইতস্তত করলেও আমি লেখকের স্বাধীনতায় পুরোপুরি বিশ্বাসী। আর তাই মন্তব্যস্রোতের প্রথম দিকে লেখক হিমুর আবারো বলছি লেখক হিমুর সতর্ক হওয়ার মন্তব্যটির সাথে আমি একমত নই।
এখানে সাহিত্যে শব্দ ব্যবহারের বিষয়ে আরেকজন আলোচকের হয়তো লেখক হিমুর শব্দ ব্যবহারে সহমত ভিন্নমত পোষণ করার অধিকার রয়েছে। এরকম আলোচনা দ্বারা আমরা লেখাটি কতোটা উত্তীর্ণ অনুত্তীর্ণ হলো তা বিশ্লেষণ করতে পারি। তা বলে এখানে লেখক জবাবদিহি করতে বাধ্য নন। তিনি অনুভূতি প্রকাশের জন্য যা ভালো মনে করেছেন তা-ই করেছেন।
ভাষায় শব্দের আলাদা কোন শক্তি নেই, যতক্ষণ না তা ভাষা হিসেবে ব্যবহার্য হবে। আর শব্দ হচ্ছে কেবলই একটা প্রতীক। অনুভবে জারিত হয়ে মাহাত্ম্য প্রকাশ করে। আমরা পাঠকরা প্রচলিত অভ্যস্ততায় যা করি, শব্দের একটা নির্ধারিত রূপকল্প তৈরি করে নিজের মধ্যে ধারণ করে রাখি। কোথাও শব্দটা ব্যবহার হলেই আমাদের নিজস্ব প্রতিকল্পটাই সেখানে প্রতিস্থাপন করে বাক্যকে শ্লীল অশ্লীল বানিয়ে ফেলি। লেখকরা শব্দের এই আর্কিটাইপ ভাঙতে চান, পাঠকরা তা শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ করেন, এটাই হলো চিরায়ত দ্বন্দ্ব। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস নতি স্বীকার করেননি বলে শেষপর্যন্ত পাঠকের নিজস্ব আর্কিটাইপ ভেঙে দিতে পেরেছেন এবং শিল্প তার জয়দ্রথ উড়াতে পেরেছে।
ঢাকার কুট্টিরা যখন প্রতিটা বাক্যেই মা এবং চ-বর্গীয় শব্দের বাক্যালঙ্কার ব্যবহার করে, তাদের মনে কিন্তু ঐ শব্দের আলাদা কোন অশ্লীল আর্কিটাইপ কাজ করে না বলেই তারা তা নির্দ্বিধায় ব্যবহার করে। নইলে তাদের গর্ভধারিণী ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের সংলাপগুলো আদৌ চালানো সম্ভব হতো না বা ভাষা মেরামতের প্রয়োজন পড়তো। অথচ আমরা তৃতীয় পক্ষ তা শুনে কানে আঙুল দিয়ে জিহ্বা কামড়ে টুকরো করে ফেলি প্রায়। এটা তাদের অশ্লীলতা নয়, আমাদের ভেতরে শব্দের অশ্লীল আর্কিটাইপ তৈরি করে রাখার ফসল।
কেউ আবার আমার এসব বক্তব্যকে জ্ঞানদান হিসেবে নেবেন না। কেননা নিজের অনুভবটাকে প্রকাশের সুবিধার্থেই কথাগুলো বলা। এখন কেউ যদি নিতান্তই ঝগড়া করার জন্য অনৈতিকভাবে গালি হিসেবে ব্যবহার করে সাহিত্য বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে তাও গ্রহণযোগ্য হয় না। কারণ তা সাহিত্য হিসেবে কতোটা জারিত হতে পেরেছে তা আগে বিবেচনা করে দেখতে হবে।
নীতিচর্চা হিসেবে পাঠকদার লেখাটা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। কিন্তু সাহিত্য বা শিল্প বিশ্লেষণ হিসেবে আমাদেরকে হয়তো ভিন্ন আঙ্গিকে বিষয়টাকে বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, হিমুর লেখাটাকে আমরা কিভাবে দেখবো। সাহিত্যশিল্প ? নাকি আচরণবিধি ?
আর মন্তব্যগুলো থেকে আরেকটা বিষয় উঠে এসেছে, সরাসরি বললে বিষয়টা হচ্ছে মন্তব্যভীতি। নিজের বক্তব্যটা প্রকাশে এতোটা কুণ্ঠা থাকলে লেখালেখি করার দরকারটা কী ? নিজে যা বিশ্বাস করি তা প্রকাশে এতো দ্বিধা থাকবে কেন ! মনের মধ্যে সচল-ভীতি তৈরি করে নেয়াটাও আরেকটা নিজে নিজে আর্কিটাইপ তৈরি নয় কি ? আমার তো মনে হয় তাতে সচলের প্রতিও অন্যায় করা হয়। এখানে প্রতিটা ব্যক্তিই আলাদা ব্যক্তিত্ব-সংগঠনে তৈরি। একজন অতি বিনয়ের সাথে বলেন, আরেকজন হয়তো রুক্ষভাবে বলেন। তাতে কিছুই আসে যায় না যদি না তা অযৌক্তিক হয়। সেই প্রিয় উক্তিটা কি অযৌক্তিক মনে হয় ?-
আমাদের চিন্তার ফরমেটটাকে একটু পাল্টে কি আবারো ভাবা যায় ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমার দেখা সচলের সেরা মন্তব্যগুলোর একটা। পুরা মিলিটারী স্যালুট!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বছর দশেক আগের কথা। চলচ্চিত্রকার আবু সায়ীদ কীর্ত্তনখোলা সিনেমা বানাচ্ছেন। যমুনা নদীর পাড়ে বিশাল সেট ফেলে শুটিং করছেন। আমরা গেলাম শুটিং দেখতে। সকালে তখনো শুটিং শুরু হয়নি, আমরা যমুনার পাড়ে ঘুরতে গেছি। দেখি বড় একটা নৌকা পানি থেকে টেনে ডাঙ্গায় তোলা হচ্ছে। একটি পরিবারের তিন প্রজন্মের পুরুষ মিলে এই টানাটানির কাজটা করছে। এ ধরনের কাজে একধরনের ছন্দোবদ্ধ গীতের মতো গাওয়ার প্রচলন আছে গ্রামে। 'মারো ঠেলা' 'হেইও' টাইপ।
পরিবারের সবচেয়ে বয়ষ্ক পুরুষটি গীতটি গাইছেন আর বাকীরা দুয়ো দিচ্ছেন। তো আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম গীতটি একেবারেই অশ্লীল। একটি রমণ বর্ণনা। কিন্তু নির্দ্বিধায় বাপ চাচা ছেলে নাতি মিলে সঙ্গত দিচ্ছে।
গ্রাম বাংলায় এটা খুবই প্রচলিত।
পুরান ঢাকায় যান, মায়ের সামনে বড় ভাই ছোটভাইকে মাকে ফাকানোর গালি দিচ্ছে। বিষয়টা এতোটাই স্বাভাবিক সেখানে।
এই বিষয়ে ইলিয়াসের খুব ভালো একটা কথা আছে সাক্ষাতকারে। কিন্তু বইটা এই মুহূর্তে একজন ধার নিছে পড়তে, তাই সেটা কোট করতে পারলাম না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এইটা?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হ্যাঁ স্পর্ষ.... এটাই খুঁজছিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মূলত পাঠক, আপনার মেল আইডিটা একটু দেওয়া যায় কি?
এটা আমারটা: bornil1912[এট] ইয়াহু.কম।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
১। মাসকাওয়াথ আহসানের মন্তব্যটা আমার কাছে চমৎকার মনে হয়েছে। উনার মন্তব্যে হয়ত এই বিতর্কের একটা কারণ উঠে এসেছে। ‘......সচলায়তন সনাতন মিডিয়া নয়। এই মিডিয়ার বিনির্মাণের কাজ চলছে। ভবিষ্যতের মিডিয়ার চরিত্র পাঠকেরাই নির্ধারণ করবে। জনসম্পাদকীয় নীতিতে চলবে সেটা। অচলায়তনের রক্ষণশীলতার দেয়াল ভেঙ্গেই সচলায়তন। ব্লগ মডারেশনের ব্যাপারটা পাঠক আর লেখকদের দায় হবে। সচলায়তন লেখার যোগাযোগ ক্ষমতার উতকর্ষের খোঁজে সচল হবার ধাপগুলো সচল রাখছে। কারো মন্তব্যের কোন শব্দটি অশ্লীল তা নিয়ে “প্রতিক্রিয়া” থাকতে পারে কিন্তু এব্যাপারে “রায় ঘোষণার” সুযোগ নেই...।
সেই প্রেক্ষিতে মুলত পাঠক তার লেখাটার জন্য অনেক ধন্যবাদ পাওয়া উচিত। বিতর্ক থাকলে তা নিয়ে আলোচনা করা উচিত।
স্বীকার করতেই হয়, ১৮/২০ মাস আগে আমি যখন বাংলা ব্লগ পড়া শুরু করি, সনাতন প্রিন্ট মিডিয়াতে অভ্যস্থ আমি যদি হঠাৎ এই লেখাটা দেখতাম, বেশ বড় ধরণের একটা ধ্বাক্কা খেতাম। এই নতুন মিডিয়াতে অভ্যস্থ আমার কিন্তু হিমুর লেখাটা সাবলীলই মনে হয়েছে। মনে হয়েছে যে ক্ষোভ হিমু মনের মধ্যে ধারণ করেছিল তার প্রকাশ করেছে মাত্র। আমার অন্য ধরণের কোন “প্রতিক্রিয়া” হয়নি, এবং এই শব্দবন্ধের কোন প্রতিবাদ করার কথা মনে হয়নি।
২। যারা এই শব্দবন্ধের সাপোর্টে পুরানো ঢাকার কথ্য ভাষার রেফারেন্স দিয়েছেন, তাদের সাথেও আমি একমত নই। ‘পুরানো ঢাকার ভাষারীতিকে’ আদর্শ হিসাবে ধরার কোন কারণ তো দেখিনা অথবা পুরানো ঢাকার ভাষারীতি আমাদের বৃহত্তর সমাজের জীবনে তেমন কোন প্রভাবও ফেলে না। আমার মনে হয়েছে হিমু আটপৌরে জীবনের ভাষাকে রক্ষণশীলতার দৃষ্টিতে অভ্যস্থ মিডিয়াতে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে। হিমুর মত শক্তিশালী লেখকরাই হয়ত এই নতুন মিডিয়ার বিনির্মাণের কাজে রক্ষণশীলতাকে চ্যালেঞ্জ করে।
৩। তারপরেও বলতে হয় এধরণের শব্দবন্ধের ব্যবহারকে বিতর্কের মধ্যে দিয়েই যেতে হবে এবং সময়ই ঠিক করে দিবে এধরণের শব্দবন্ধের ব্যবহারের সীমানা।
নতুন মন্তব্য করুন