জবা ফুলের বিজ্ঞানসম্মত নাম Hibiscus rosa-sinensis, একে চায়না রোস বা চৈনিক গোলাপও বলা হয়। ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলের চিরহরিৎ পুষ্পল গুল্ম, পূর্ব এশিয়ায় সুপরিচিত এর ফুল। ফুল নানা রঙের হয়, যেমন লাল, হলুদ, গোলাপি, সাদা ও মিশ্রিত, তবে লাল রঙের ফুলই সবচেয়ে সুলভ। বড়ো মাপের পাঁচ পাপড়ির ফুল ছাড়াও দ্বিস্তরে পাপড়ি থাকতে পারে। কলি ঘন্টাকার বা পাইপ আকৃতি, কোনো কোনো প্রজাতিতে প্রস্ফূটিত ফুলও কলির আকারেই থাকে, যেমন লংকাজবা। লম্বা বৃন্তের আগায় খাঁজকাটা প্রান্তবিশিষ্ট সবুজ পেয়ালাকার বৃতি পাপড়িগুলিকে ধারণ করে থাকে, উপবৃতিও বর্তমান। ফুলের কেন্দ্র থেকে দীর্ঘ পুংদন্ড বেরিয়ে আসে শীর্ষে পুংকেশরসহ। গর্ভকেশর বৃতির ভিতরে সুরক্ষিত থাকে। ফুলে সুগন্ধ থাকে না।
বড়ো বড়ো ডিম্বাকার বা আয়তাকার পাতা, পাতার প্রান্ত খাঁজকাটা, মধ্যশিরা ও উপশিরা দৃশ্যমান, মসৃণ উপরিতল। পাতা দৈর্ঘ্যে দুই তিন ইঞ্চি অবধি হয়, বিপরীত জোড়ে গজায়। গাছটি ঝাড়ের আকৃতি বিশিষ্ট, চার পাঁচ ফিট লম্বা হয়।
জবা মালয়েশিয়ার ও দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় পুষ্প। হিন্দু দেবী কালীর পূজায় এই ফুলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, প্রচলিত শ্যামাসঙ্গীতেও ফুলটির উল্লেখ পাওয়া যায় ('বল রে জবা বল, কেমন করে পেলি রে তুই মায়ের চরণতল')। ফুলের পাপড়ি খাদ্য হিসেবে স্যালাডে ব্যবহৃত হয়।
সঙ্গের ছবিটি লেখকের তোলা।
মন্তব্য
বাহ, আপনি তো এন্ট্রির পর এন্ট্রি দিয়ে যাচ্ছেন দেখা যায়! চালিয়ে যান!
ধন্যবাদ সিরাত ভাই। ছবি আরো থাকলে আরো দেওয়া যেতো।
http://www.flickr.com/photos/rahmanmm/sets/72157623524283078/ দাদা এখানে দেখেন, আমার তোলা বেশ কিছু ছবি পাবেন, লেখার সাথে চালিয়ে দিন।
...........................
Every Picture Tells a Story
ফুলের পাপড়ি স্যালাডে ব্যবহৃত হয় (!) জানা ছিল না। বাংলা আরেকটা প্রতিশব্দ- চৈনিক গোলাপ, বেশ।
লেখাটা খুব রসাল হয়েছে। পড়ে আনন্দ পেলাম।
নতুন মন্তব্য করুন