অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে স্টিভ জবসের আপেল কোম্পানি তাদের ট্যাবলেট কম্পিউটার - 'আই প্যাড' এর ঘোষনা দিয়েছে । কোম্পানি হিসেবে আপেল সবসময়েই চমক দেখায় - তাই কিছুদিন ধরেই সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এই আপেল ট্যাবলেট। কিন্তু আই প্যাড মোটামুটিভাবে সবার আগ্রহে পানি ঢেলে দিয়েছে। মোটামুটিভাবে ফিচার পড়ে বা নেট ঘেটে যা বুঝলাম বড়সড় আকারের আইপড টাচ ছাড়া জিনিসটা আসলে কিছুইনা। আকারে বড় হওয়ায়, আইফোন বা আইটাচের যে মোবিলিটি, আইপ্যাডের তাও নেই, নেই মাল্টিটাস্কিং এর ক্ষমতা। যার ফলে গান শুনতে শুনতে যে সচল পড়বেন বা মেসেঞ্জার এ চ্যাট করবেন সে আশায় গুড়েবালি। যদিও নিজে আইফোনের দিকে লোভাতুরভাবে চেয়ে থাকি, তারপরেও এটা বেশ ভাল রকমেরই একটা সীমাব্ধতা।
আই প্যাড বা ট্যাবলেট কম্পিউটার এই ধারনাটার শুরু হয়েছিল খুব সম্ভবত মোবাইল এবং কম্পিউটারের মাঝামাঝি কিছু থাকার প্রয়োজনীয়তা থেকে। খেয়াল করলে দেখবেন কম্পিউটার যেখানে ধীরে ধীরে আকারে ছোট হয়েছে, মোবাইল ফোন সেখানে ধীরে ধীরে বড় হয়েছে। বর্তমান স্মার্টফোনগুলোর স্ক্রিন এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৩.৭ ইঞ্চি (গুগুলের নেক্সাস ওয়ান বা আইফোন)। তাই এর মাঝামাঝি একটা কম্পিউটিং ডিভাইসের প্রয়োজনীয়তা দিনকে দিনকে বাড়ছিলো। এ ধারনা থেকেই এল প্রথমে নেটবুক বা এখন আইপ্যাড। ইবুক পড়া বা অনলাইনে সংবাদপত্র পড়ার জন্য আইপ্যাড হয়ত খুবই উপকারে আসবে কিন্তু ছবি তুলে ফ্লিকার বা খোমাখাতায় আপ করা, ভিডিও চ্যাট করা এসব কাজের কথা চিন্তা করলে আইপ্যাড পুরোপুরি ব্যর্থ। আশ্চর্য্য ব্যাপার এটাই যে আইপ্যাডের টার্গেট কাস্টোমারদের সিংহভাগেরই ইন্টারনেটে প্রধান কাজ এগুলো হলেও আইপ্যাডে নাই কোন ক্যামেরা, ওয়েবক্যাম, ইউ এস বি পোর্ট, মেমরি কার্ড রিডার ! সুতরাং আইপ্যাড কিনলে এসব সুবিধা পেতে আপনাকে আরও একগাদা এডাপ্টার বহন করতে হবে। এর চেয়ে ল্যাপটপ বা নেটবুক নেওয়াই ভাল।
এবার কিছু সুনাম করি। আপেল কোম্পানির অন্যসব প্রোডাক্টের মতনই আইপ্যাড দেখতে বড়ই সৌন্দর্য্য। বড় স্ক্রিন আর এক্সিলারোমিটার টেকনোলোজির কারণে গেম খেলা এতে ভিন্ন মাত্রা দিবে সন্দেহ নাই। এক্সিলারোমিটার নিয়ে যারা এখনও জানেননা তারা এই ভিডিও খান দেখতে পারেন। সহজ কথায় এটা এমনই এক মজার জিনিস যে, যন্ত্র যেদিকে কাত করবেন সে সেদিকে দৌড় দিবে - যারা নটরডেমের প্র্যাক্টিকালে ইয়াং যন্ত্রের বাবল এডযাস্ট করেছেন তারা ভাল বুঝবেন। এ ছাড়াও আপেলের আছে বিশাল এপ্লিকেশন স্টোর, আইটিউন্স স্টোর, বইয়ের জন্য এখন আইবুক স্টোর। সুতরাং আপেলের সিভিতে আইপ্যাড ও খুব সম্ভবত আরেকটা সফল প্রোডাক্ট হিসেবে নাম লেখাতে যাচ্ছে।
এবার আসি কিছু আইপ্যাড নিয়ে কিছু প্রতিক্রিয়া বলতে। সবার আগে এর নাম। আইপ্যাড (iPad) নাম দেখে আমার মনে আই পাদ আসলেও এরা যেহেতু বাংলা জানেনা তাই প্যাডকে ব্যবহার করেই বিভিন্ন মজার মজার কৌতুক বের করছে। যেমন ম্যাডটিভির ভিডিও বেশ হাস্যকর -
তারপরে এই সাইটে পাওয়া যাবে মেয়েরা কেন আইপ্যাড পছন্দ করবে তার কিছু ইঙ্গিতপূর্ণ বিবরণ অথবা আইপ্যাডের বিজ্ঞাপন কেমন হতে পারে তার নমুনা। এছাড়াও আইপ্যাডের টেকনিকাল সীমাবদ্ধতা নিয়েও মজার মজার তুলনা হচ্ছে, যেমন -
তেমনি আরেকটা মজার ভিডিও হলো হিটলারের প্রতিক্রিয়া আইপ্যাড নিয়ে -
সবশেষে একজন আপেল ভক্তের চিঠি -
মন্তব্য
I-pad মনে হয় না অতটা বাজ়ার ধরতে পারবে। শুধু ডিজাইন টাই মনোহর,না আছে ক্যামেরা,ইউ এস বি পোর্ট !!!!!
হুদাই মানুষ এর কি ঠ্যাকা পড়ছে প্রমাণ সাইজের আই-ফোন নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর ???
প্রাচ্চ্যের ভিনদেশি
আসলে আপেল এর আপেল ফ্যাক্টর আছে একটা। এই ডেডিকেটেড ফ্যান বেজ, আপেলওয়ালারা নষ্ট মনিটর বেচলেও কিনবে।
আমার একখান iPad এর সখ আছে।
আপনার লেখা পড়ে তো কেমন কেমন যেন লাগছে!
ঠকে যাব না তো আবার... কে জানে?
ছবি মুভি দেখা / পেপার / পিডিএফ পড়ার জন্য পারফেক্ট তবে লেখালেখি করতে চাইলে স্ক্রিনের উপরে হাত রেখে লেখা কতখানি আরামদায়ক হবে সন্দিহান।
আমি এইচ টি সি এর ভক্ত। দেখি ওরা কি বের করে।
হ্যা, আমিও আশায় আছি এন্ড্রয়েডে চলে এমন কিছু একটা আসবে।মাইকেল ডেল (ডেল এর মালিক) ইতিমধ্যেই একটা হাতে নিয়ে ঘুরতেসে।
খোমাখাতা থেকে পাওয়া আরেকটি লিঙ্ক
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ধন্যবাদ তানিম
হাহাহাহা! আপনার লিংক আর সাফি ভাইয়ার প্রথম ভিডিও দেখে হাসতে হাসতে শেষ হয়ে গেলাম!
অদ্বিতীয়
অদ্বিতীয়
ভালো লিখছেন। এই কীনোট স্পিচ দেখতে গিয়ে আমার দেড় ঘন্টা নষ্ট হয়েছে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমি দেখিনাই, টেকক্রাঞ্চ এ পরে রিভিউ পড়সি
মজা লাগলো এটা দেখে যে বাংগালীর মনে-মনে অনেক মিল আছে। আই প্যাডের সেই ভিডিও দেখে আপনি যে শিরোনাম দিয়েছেন আমারো তেমনটাই মনে হয়েছিল
সময়োপযোগী লেখার জন্য ধন্যবাদ।
পাদ একখানা প্রাকৃতিক আওয়াজ।
আওয়াজ না বাকওয়াজ!
গ্রেট মেন থিংক এলাইক
মাল্টিটাস্কিং মনে হয় খালি অ্যাপেলের অ্যাপগুলাতে করা যাবে। তবে সেকেন্ড জেনারেশনে এই ফিচারটা যোগ হবে নিঃসন্দেহে। আর ফরওয়ার্ড ক্যামেরা দরকার ছিল ভিডিও চ্যাটের জন্য, কম্পিউটার দিয়ে তো ছবি তোলার দরকার নাই।
আমি এতদিন নুক/কিন্ডল কিনি নি , অপেক্ষায় ছিলাম অ্যাপেলের ট্যাবলেট কেমন হয় দেখার জন্য।এখন বেশ বিভ্রান্ত
উত্তেজনায় ক্যামেরার কথা লিখে ফেলসি। একজন হাতে মনিটর সাইজের একটা জিনিস দিয়ে ছবি তুলছে, দৃশ্যটা কল্পনা করতেই এখন হাসি পাচ্ছে। নুক/কিন্ডল না কিনে এতদিন অপেক্ষা করলেনই যখন, এখন দেখেন এন্ড্রয়েড পাওয়ার্ড কিছু আসে কিনা। আমি ভাবছি একটা টাচ কিনব
এইচপি স্লেট জিনিসটা খারাপ না কিন্তু
হ্যা দেখলাম, চারিদিকে এত অপশন সব কিনতে মন চায় ঃ(
হিটলারের ভিডিওটা জট্টিল!
হিটলারের ব্রিফিং ইউটিউবে বেশ জনপ্রিয়: যেমন, টেইলর - ওয়েস্ট কাহিনী
কাহিনীর পর হিটলারের মিটিং
হ্যা এরকম আরও কিছু মিমি আছে, সবগুলোই বেশ মজার।
ধন্যবাদ ইশতি ভাই এবং ওয়াইল্ড স্কোপ।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
অনেকদিন পর লেখা দিলা মিয়া, তারমানে কাজের চাপ আরো বাড়ছে, কাজের চাপ না বাড়লে তো তোমার লেখার কথা না ;)। ব্যাপক মজার লেখা, ভিডিওগুলা দেখলাম, প্যাডের ভিডিওটা দেখছিলাম। পাঁচাইলাম, আর পরের লেখা হিসাবে মোটকুদের দেশের সিকুয়্যেল চাই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভাল বলসেন, ফাঁকি মারার মজাই আলাদা
ipad-এ একটা টাচ স্ক্রিন কী-বোর্ড আছে বলেও জানানো হইছে বৃটিশ দৈনিক দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের এই বিষয়ক একটা প্রতিবেদনে। প্রতিবেদন পড়ে আমার মনে হয় এটা নেটবুকের চেয়ে স্মার্ট একটা যন্ত্র যেটাতে ফোনের কাজও সারা যাবে। সেই হিসেবে জিনিসটাকে মন্দ মনে হয় না। কারণ এটাতে ওয়ার্ড প্রোসেসিংয়ের কাজ করার সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে নোটবুক বা নেটবুকে সামনে উল্লম্ব স্ক্রিনে দেখতে দেখতে আমাদের লেখার যে-অভ্যাস সেটা এক্ষেত্রে পাওয়া যাবে না। এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা গেলে ipad কাজে লাগবে।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
হ্যা উলম্ব স্ক্রিনে লেখার ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। তবে মোবাইলের ছোট্ট কি-বোর্ডে লেখা যখন মানুষ রপ্ত করতে পেরেছে, এটাও হয়ত পারবে
ASUS এর নেটবুক আর HTC-র Android ফোন নিয়ে আমি এখন মহা সন্তুষ্ট। আমার প্রয়োজনের তালিকায় সৌন্দর্য্য থাকলেও 'মাকাল ফল' রাখিনি ... ... সুতরাং আই-গোত্রীয় কোনওকিছুই কেনার বাসনা হয় নাই কখনও।
ইইই পিসি দিয়ে আসলেই আসুস বাজিমাত করেছে। এইচ টি সি সামনে আরও এগিয়ে যাবে, কারণ এন্ড্রয়েডের ক্রমবর্ধমান এপ্লিকেশন মার্কেট
নাহ ল্যাপ্টপ আরও ছোট করবে, দেখা যাবে হলগ্রাফিক ল্যাপ্টপ বানায়ে ফেলসে
মাল্টি টাস্কিং এর ব্যাপারে এত হতাশা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কেটে যাবে বলে আমার ধারণা । আইফোনের ওএস ৪ বেরুলেই সব ঠিক হয়ে যাবে । কোথায় যেন পড়লাম ওএস ৪ এই বছরেই বেরুচ্ছে।
আর বাকি অংশ গুলার সাথে একমত ।
পুরাই ধরা!
হাইপ অনুযায়ী এবং দাবী অনুযায়ী প্রোডাক্ট অত ভাল না ।
আমি টাচ ফ্রিক!টাকা এবং সুযোগ হলে অবশ্যই একটা কিনতাম!
পিডিএফ পড়তে কষ্ট হয় ল্যাপ্টপে!
ভিডিও আর ছবি সেই রকম!
বোহেমিয়ান
ভিডিওগুলো দেখে মজা পেলাম। এটা কেনার ইচ্ছে ছিল, তবে দেখা যাচ্ছে মোটামুটি আইফোনই; তা-ও কল ফ্যাংশন, ক্যামেরা কিছু নেই। স্টোরেজ বাড়লে, উপরের ফিচারগুলো ভবিষ্যতে আসলে কিনে ফেলব।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
স্টোরেজ বাড়তে হয়ত সময় লাগবে, কারণ এখনতো এগুলোতে সলিড স্টেট ড্রাইভ ব্যবহার করে
এইটা ট্রাই মারেন -
অথবা এইটা
নতুন মন্তব্য করুন