মিনহাজ ভাইয়ের ঘরে ফেরা

সাফি এর ছবি
লিখেছেন সাফি (তারিখ: বুধ, ২৩/০৬/২০১০ - ২:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১) মিনহাজ ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় গত বছরের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন আসা ছাত্রছাত্রীদের সহায়তা করে ISI নামক সংগঠনে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে যেয়ে জানতে পারলাম বাংলাদেশ থেকে একজন ছাত্র আসার কথা - তার জন্য বাসা খুঁজে দিতে হবে। একটু অবাক হলাম। – সচরাচর নতুন বাংলাদেশী ছাত্র ছাত্রীরা আসার আগে কারও না কারও সাথে যোগাযোগ করে আসে - কিন্তু মিনহাজ ভাই এর কথা কেউই জানেনা। ভাবলাম হয়ত ISI ভুল করেছে, যার কথা বলছে সে হয়ত বাংলাদেশী না। বাসা খুঁজতে লাগলাম তাও।

মিনহাজ ভাইয়ের আমেরিকা আসার নির্ধারিত দিনে আবার গেলাম ISI এ, ওনার সাথে পরিচিত হতে, কিন্তু দেখা হলনা। শুনলাম উনি ফ্লাইট মিস করে এখন নিউ ইয়র্কে আটকা পড়ে গেছেন। আসতে আরো দুই-এক দিন লাগবে। যাই হোক দুদিন পরে অবশেষে শুনলাম মিনহাজ ভাই এসে পৌছেছেন। ততদিনে ওনার জন্য আমরা বাসাও ঠিক করে ফেলেছি, কদিন আগেই চলে আসা আরেক জন বাংলাদেশী ছাত্রের রুমমেট হিসেবে - আমাদের ফ্ল্যাটের ঠিক ঊল্টোদিকের ফ্ল্যাটে।

পরের দিন দেখা হলো। পরিচিত হলাম। বেশ চুপচাপ কিন্তু হাসিখুশী মানুষ। একটু পর পর কাশছেন এবং সেই কাশি নিয়ে খুবই বিব্রত হচ্ছেন। ওনাকে বাসায় নিয়ে গেলাম। তারপর একসাথে খাওয়াদাওয়া, গল্পগুজব। জানলাম উনি আমার বেশ সিনিয়র। বুয়েটের '৯৬ ব্যাচ। পানিসম্পদ বিভাগে ঢুকেছিলেন। এর পর এক বছর বসে থেকে '৯৭এ ক্লাশ শুরু করেন সিভিলের সাথে। কথা প্রসঙ্গে জানতে পারলাম কোনও শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করেও আসেননি - বাংলালিংকে কয়েক বছর চাকরি করে, প্রায় দুই সেমিস্টারের খরচ নিয়ে চলে এসেছেন। অনেক টাকা। ওনাকে নিয়ে যাই ব্যাঙ্ক অব আমেরিকায়। একাউন্ট খুলেন। ক্লাশ খুলে যায়। মিনহাজ ভাই ব্যস্ত হয়ে যান ক্লাশে - আমিও।

২) মুখোমুখি বাসা - দেখা হয়, কথা হয়। মিনহাজ ভাই মৃদু স্বরে গল্প করেন, আড্ডা দেন, আর শুধুই কাশেন। আমরা বারবার বলি - মিনহাজ ভাই, চলেন, ডাক্টারের কাছে নিয়ে যাই। কিন্তু উনি যান না, বলেন সাফি - বড্ড খরচ যে, হেলথ ইন্স্যুরেন্সটা করে নেই। ধীরে ধীরে ওনার কাশি বাড়তে থাকে... মাঝে মাঝে জ্বর আসে বলেন। এর মাঝেই হেলথ ইন্স্যুরেন্স কিনে ফেলেন মিনহাজ ভাই, তারপর একদিন নিজেই আমাকে বলেন - শরীর খুবই দূর্বল, চল ডাক্তারের কাছে যাওয়া যা্‌ক। ওনাকে ছাত্রদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাই।
আমেরিকায় ব্যক্তিগত তথ্য সবারই গোপন তাই একজন রুগীর সাথে অন্য কাউকে সচরাচর ডাক্তারের কক্ষে যেতে দেয়না।– মিনহাজ ভাই আমাকে নিয়ে যান সাথে করে। ডাক্তার এসে কনফিডেনশিয়ালিটির বুলি শোনান, মিনহাজ ভাই আমায় থাকতে বলেন –- আমি পাশে থাকি। ডাক্তার ওনার রোগের বিস্তারিত জানতে চান – আমি পাশে বসে শুনি। মিনহাজ ভাইয়ের কাশি প্রায় তিন মাস ধরে। ঢাকায় ডাক্তার দেখিয়েছেন বিস্তর কিন্তু কেউ বের করতে পারেননি কি সমস্যা। এন্টি-বায়োটিক খেলে কিছুদিন ভাল থাকেন কিন্তু তারপরে যেই কার সেই। ডাক্তার এক গাদা পরীক্ষা করতে চান। মিনহাজ ভাই আমাকে ক্লাশে পাঠিয়ে দেন।

মিনহাজ ভাই একের পর এক প্যাথলজিকাল পরীক্ষা দিয়ে যান, কিছুই পাওয়া যায়না। এদিকে ঢাকায় যে ওষুধ খেয়ে কিছুদিন ভাল ছিলেন, বাড়িতে ফোন করে বলেন কুরিয়ারে পাঠিয়ে দিতে। এখান থেকে সেই ওষুধ কিনতে পারেন না - প্রেস্ক্রিপ্সন ছাড়া এরা ওষুধ কিনতে দিবেনা। এর মাঝে ডি.এইচ.এল ফোন করে জানায় ওষুধ তারা আনতে পারবেনা, ওনার ওষুধের প্যাকেজ দুবাইয়ে বসে থাকে। মিনহাজ ভাই দিন দিন আরো অসুস্থ হতে থাকেন। বলি - মিনহাজ ভাই, বাজার লাগলে বলেন, কিনে আনি। মিনহাজ ভাই নিষেধ করেন, ওনার জন্য কাউকে কষ্ট করতে দিবেন না। মিনহাজ ভাই নিজেকে গুটিয়ে নিতে থাকেন, জানতে পারি ওনার যক্ষা ধরা পড়েছে। সরকার থেকে ট্রান্সফার এমবার্গো দেয় – আগামী নয় মাস মিনহাজ ভাই কোথাও যেতে পারবেন না। উনি আরো ভেঙ্গে পড়েন। চিকিৎসা চলতে থাকে।

অসুখ ধরা পড়ার কিছুদিন আগের কথা। আড্ডা হচ্ছিলো। মিনহাজ ভাই চুপচাপ। মন খারাপ মিনহাজ ভাই? - জিজ্ঞেস করি। “”””'আর বইলোনা, ছোট বোনটা খুবই কান্নাকাটি করছে। ভাবছি ফল ব্রেকে দেশে যাব।' মিনহাজ ভাই দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে থাকেন, কিন্তু এর মাঝেই এই খবর। মিনহাজ ভাই আটকে যান, দেশে যাওয়া আর হয়ে ওঠেনা। নিয়মিত ওষুধ খান আর দিন গুনতে থাকেন।

মিনহাজ ভাইয়ের সাথে আমার তেমন ঘনিষ্ঠতা ছিলনা। বিদেশ বিভূঁইয়ে একগুচ্ছ বাংলাদেশী একত্রিত হয়েছি, একজনের বিপদে আরেকজন সাধ্যমত সাহায্য করি - এই যা। সংক্রমনের ভয়ে হেলথ সেন্টার থেকে আমাদের উপদেশ দেয় বেশী ঘনিষ্ঠ না হতে। মিনহাজ ভাই নিজেকে আরো গুটিয়ে নেন। যেটুকু ঘনিষ্ঠতা ছিল- তাও কমতে থাকে।

অসুখ ধরা পড়ার পর থেকেই মিনহাজ ভাই বাসা/ডিপার্টমেন্ট ছাড়া তেমন কোথাও যেতেন না। গত মে মাসে আমরা বাংলাদেশীরা মিলে বনভোজনের আয়োজন করি- শহর থেকে প্রায় দুশো মাইল দূরে এক ঝড়নার ধারে। মিনহাজ ভাই যান না - পাছে আরো দূর্বল হয়ে পড়েন। মিনহাজ ভাই শক্তি জমিয়ে রাখেন –- বাংলাদেশে যাবেন, ছোট বোনের কাছে যাবেন, বাবা মায়ের কাছে যাবেন।

৩) নতুন বাসায় উঠেছি এই মাসে। এক গাদা কাজ। সারতে সারতে এক সপ্তাহ লেগে যায়। ৬ই জুন বিকেলে লন্ড্রি থেকে কাপড় ধুয়ে এনে বসেছি এমন সময় কামাল ভাই এর ফোন –- 'খারাপ খবর সাফি, কয়েকজন মিলে হাইকিং এ গেছিলো, ফেরার পথে এক্সিডেন্ট- মিনহাজ ডেড, আরেকজনের অবস্থা আশংকাজনক। তুমি সবার খোঁজ নাও, আর কে কে গেছিলো আর এই মুহূর্তে হাসপাতালে যাও।”' মিলাতে পারিনা। মিনহাজ ভাই হাইকিং এ? সাথে সাথে হাসপাতালে রওনা হই। যাকেই ফোন করি কাউকেই পাইনা, রাজ্যের দুশ্চিন্তা। কানের কাছে খালি মিনহাজ ভাইয়ের কথা ভাসছে - 'সাফি, শরীরটা একটু ভাল হলেই দেশে যাব””' চোখের সামনে দেখি মিনহাজ ভাইয়ের হাসি। কিন্তু কিছু মেলেনা। হাসপাতালে পৌছাই।

৪) হাইকিং থেকে ফেরার পথে গাড়ি উলটে যায়, সমতলেই। পিছের সিটে বসে থাকা তিন জনার কেউই সিট বেল্ট বাঁধেননি। তিনজনাই গাড়ি থেকে ছিটকে পড়েন বাইরে। মিনহাজ ভাইকে পাওয়া যায় প্রায় ৪০ ফুট দূরে। ঘাড় আর মেরুদন্ড ভেঙ্গে ওখানেই মারা যান তিনি। আরেক যাত্রী চাইনিজ মেয়ে, ই, ওই রাতেই হাসপাতালে মারা যায়। তৃতীয় জন, পিছের সিটে মাঝে থাকায় অবশ্য প্রাণে বেঁচে যান তবে তার পা ভেঙ্গে যায়। সামনের সিটে বসে থাকা যাত্রী ও চালক সিট বেল্ট বাঁধা ছিল বলে বেঁচে যায়, শুধু মাত্র কাঁচের গুড়োয় আর সিট বেল্টের টানে আহত হয় তারা। প্রাণ দিয়ে সিট বেল্ট বাঁধার শিক্ষা দিয়ে যান মিনহাজ ভাই।

৫) ১০ই জুন মর্চুয়ারিতে মিনহাজ ভাইকে দেখি শেষবারের মতন। শান্ত ভঙ্গিতে শুয়ে আছেন, মুখে আবছা হাসির রেখা মনে হয় - বাড়ি ফিরছেন যে। ১৪ই জুন সকালে এমিরেটসের ফ্লাইটে আমরা মিনহাজ ভাইকে তুলে দেই। অবশেষে ১৬ই জুন তিনি ঘরে ফেরেন। মিনহাজ ভাইয়ের অপেক্ষার শেষ হয়।
খোমাখাতায় শেষ এই ছবিটাই প্রোফাইলে দিয়েছিলেন।

দূরে অজানার দিকে তাকিয়ে কী দেখছিলেন, মিনহাজ ভাই?

ভাল থেকেন মিনহাজ ভাই, যেখানেই থাকেন না কেন।


মন্তব্য

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

কষ্টের ধারাপাত...বলার কি আর?
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

তানভীর আহম্মেদ এর ছবি

বুয়েটিয়ান গ্রুপে একটি মেইলের মাধ্যমে জেনেছিলাম ঘটনাটা। খুবই মর্মান্তিক।

প্রাণ দিয়ে সিট বেল্ট বাঁধার শিক্ষা দিয়ে যান মিনহাজ ভাই।

ভাল থেকেন মিনহাজ ভাই, যেখানেই থাকেন না কেন।

হাসিব জামান এর ছবি

মন খারাপ হয়ে গেল। যেখানেই থাকেন ভাল থাকেন মিনহাজ ভাই।
-----------------------------------------
ব্যস্ততা আমাকে দেয় না অবসর ...

নৈষাদ এর ছবি

‌…………………………………..

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বেচারা মিনহাজ ভাইয়ের আত্মা শান্তি পাক, এই দোয়া করলাম।

আর একটা জিনিস বুঝলাম না, এখানে উনি ইন্সুরেন্স কেনার পর উনাকে ওষুধ নিয়ে সমস্যা হবার কথা না, আর যক্ষার ডায়াগনসিস ঠিক হয়ে থাকলে ওষুধ শুরু করার ১ মাসের মধ্যে পরিস্থিতি ভালোর দিকে যাবার কথা। যাক, যা হবার হয়ে গেছে, ২ দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি ধিক্কার জানায় গেলাম।

সিট-বেল্ট বাঁধা সংক্রান্ত ব্যাপারে একমত! আশাকরব এরপরে আর কাউকে যেন জীবন দিয়ে একই শিক্ষা না নিতে হয়

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সাফি এর ছবি

সাইফ ভাই, আমাদের ৩০% ডিডাক্টিবল। সেই হিসেবে হয়ত ওষুধে একটু বেশী পড়ে যাচ্ছিল। আর তাছাড়া ওনাকে তখনো ডাক্তার কোন সুনির্দিষ্ট প্রেস্ক্রিপশন ড্রাগ দেয় নাই।

ফাহিম এর ছবি

খুবই দুঃখজনক।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

মুস্তাফিজ এর ছবি

দুঃখজনক, মিনহাজ এবং অন্যান্যদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা।

...........................
Every Picture Tells a Story

তাসনীম এর ছবি

খুবই দুঃখজনক।

বছর দশেক আগে এরকম একটি দুর্ঘটনায় চিরতরে শারিরীকভাবে প্রতিবন্ধ হয়ে গিয়েছিল এক বুয়েটের জুনিয়র বন্ধু।

মিনহাজের পরিবার ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি সমবেদনা রইল।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সাফি এর ছবি

এরকম ঘটনা আমি আমেরিকায় আসার পরে আরও কয়েকটা শুনেছি এবং প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই সিট বেল্ট বাঁধা ছিলনা। এই শিক্ষা আসলে নতুনদের মাঝে আমাদেরকে ছড়িয়ে দিতে হবে। আপনার বন্ধুর জন্য সমবেদনা রইলো

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

খুবই দুঃখজনক। সমবেদনা জানাচ্ছি।

গাড়িতে সিট-বেল্ট বাঁধার কোন বিকল্প নেই। অভ্যাসটা গড়ে তুলুন।

---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

সাফি এর ছবি

আমি নিজেও আগে সিট বেল্ট বাঁধতাম না পিছের সিটে বসলে। এই ঘটনার পর থেকে কেউ সিট বেল্ট না বাঁধলে গাড়িই চালাইনা

সিরাত এর ছবি

টাফ লাক বললে কাঠখোট্টা শোনায়, কিন্তু আসলে তো তা-ই। মন খারাপ

সাফি এর ছবি

সেটাই মন খারাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি ঘটনাটা আজকে শুনলাম, খুবই খারাপ লাগছে।
মিনহাজ ভাইয়ের আত্মা শান্তি লাভ করুক।

পলাশ রঞ্জন সান্যাল

সাইফ শহীদ এর ছবি

সাফি,

অনেক কিছু জানলাম তোমার লেখা পড়ে। আশ্চার্য যে এত কাছে থাকা সত্ত্বেও মিনহাজের সাথে কোন দিন পরিচয় হবার সূযোগ হলোনা।

তার আত্মা শান্তি লাভ করুক এই কামনা করি।

সাইফ শহিদ

http://www.saifshahid.com

সাইফ শহীদ

সাফি এর ছবি

দুঃখ করে লাভ নেই শহীদ ভাই। আসলে সেই সুযোগ আমরা কেউই তেমন একটা পাইনাই।

সাফি এর ছবি

ধন্যবাদ সবাইকে। মিনহাজ ভাইয়ের আত্মা শান্তি পাক

অতিথি লেখক এর ছবি

ইংরজে কবি কীটসের চরণ মনে পডে গেল:

The weariness, the fever, and the fret
Here, where men sit and hear each other groan;
Where palsy shakes a few, sad, last grey hairs,
Where youth grows pale, and spectre-thin, and dies;
Where but to think is to be full of sorrow...

ওলি
oli

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মিনহাজ ভাই এর পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা

আমাদের দেশে কেউই সিটবেল্ট বাধিঁ না, আমরা বীর জাতি... হুহ্...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

mujahid_98_civil_buet এর ছবি

I have worked with Minhaj vai from the very beginnig of Banglalink. Infact we both entered BL at the same day. He was very nice,gentle and less talkative guy.
His dedication toward Banglalink was tremendous. For his own effort he built the backbone sites of Banglalink.
Although tremondous pressure he always stick to his ambition to go to US to get a fine degree to expose his tallent.Therefore he refuse to join BCS even though he got chance.
I do recall his name with honour.
May allah rest his soul in peace.
One sword of love to him.

Regards
Mujahid
Ex-colleuge , Banglalink

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।