শুরুতে একটা কৌতুক –
ক আর খ দুইজন সৈনিকের হঠাৎ পরকালে দেখা। প্রাথমিক কুশলাদি বিনিময়ের পরে খ জিজ্ঞেস করে
-তা তুই মরলি কি করে?
--আর বলিসনা মাথায় গুলি লেগেছিলো।
- যাক বাবা, চোখটাতো বেঁচে গেছে।
বেশ অনেকটা সময় ধরেই
বাংলাদেশ যখন বিশ্বের বড় বড় দলগুলোর সাথে ক্রিকেট খেলতে যেত, আমাদের মাথায় থাকত মারা গেলেও যেন চোখটা বেঁচে যায়। 'হারানোর কিছু নেই' জাতীয় কথা বার্তা দিয়ে ভরা থাকতো আমাদের খেলার পাতাগুলো। এরকম কিছু না হারাতে হারাতেই হঠাৎ করে দু তিন বছরে একদিন আমরা হারিয়ে দিতাম বড়দের। কিন্তু তার পরেও নিজের ওপরে বিশ্বাসের অভাবে আমরা সেই না হারানোর রাস্তাতেই হেঁটে চলেছি অনেকটা দিন। তখনকার বাস্তবতাও ছিল অনেকটা তাই। ক্রিকেট ১১জনের খেলা, কিন্তু ১১জনের মধ্যে আমরা পাইনি ভরসা করার মতন কাউকেই। হাবিবুল বাশার একাকি একটা দীর্ঘ্য সময় ধরে নিয়মিত হাফ সেঞ্চুরি করে গেছেন। আশরাফুল তার দিনে ব্যক্তিগত নৈপূণ্যে হারিয়েছেন অস্ট্রেলিয়াকে সাথে যোগ্য পার্শ্ব চরিত্র হিসেবে মিতব্যয়ী বোলিং আর পরিশ্রমী ফিল্ডিং ভূমিকা রেখেছে এসব জয়ে। কিন্তু ধারাবাহিকতার অভাবে কখনওই আমরা দলের উপরে আস্থা রাখতে পারিনি, পাইনি কোন নায়ককে। তাই ২০০৩ বিশ্বকাপে কানাডা, কেনিয়ার মতন দলের বিপক্ষেও দুরু দুরু বুকে খেলা দেখা লাগত একটা জয়ের আশায়। বোলিং এ মোহাম্মদ রফিক এলে যেমন নিশ্চিন্তে থাকা যেত বেশ অনেকটা সময়, ব্যাটিং এ সেরকম কারোর অভাব খুব চোখে লাগত। এমন একটা ব্যাটসম্যান যে কিনা ক্রিজে এলে কিছুটা নিশ্চিন্ত হওয়া যেত।
সুখের বিষয় এই যে, আমরা দেখতে থাকি খুব দ্রুতই এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটা শুরু হয়। আমরা অবাক হয়ে দেখতে থাকি বয়সভিত্তিক দলগুলো থেকে ধীরে ধীরে একদু'জন খেলোয়াড় উঠে আসতে শুরু করে যারা কিনা আগের যুগের খেলোয়াড়দের থেকে কিছুটা এগিয়ে। এই খেলোয়াড়েরা অনুর্ধ্ব ১৭/১৯ জাতীয় দলগুলোতে নিয়মিত বড় দলের ছোটদের নাকানি চুবানি খাইয়ে, বেয়াদপ হয়ে গেছে। বড়দলের প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা পাশে সরিয়ে রেখে, ক্রিকেট খেলা যে শুধু তারকা খেলোয়াড়দের অটোগ্রাফ নেওয়া আর পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার উপলক্ষ না - সেই সত্যটা এরা আবিষ্কার করে ফেলেছে। এই ছেলেগুলোই ২০০৭ এর বিশ্বকাপের শুরু থেকেই তাই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠার স্বপ্ন দেখতে থাকে। ভারত, শ্রীলংকার গ্রুপে থেকে যেকোন একদলকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠার চিন্তা করা আমাদের জন্য কল্পনাবিলাসিতা ছাড়া অন্য কিছু সেটা এই ছেলেগুলো ছাড়া আর কে ভেবেছিলো? 'ধরে দিবানি' এর হুংকার ছেড়ে, বলে কয়ে কোন বড় দলকে হারানো আমাদের জন্য সেই প্রথম। ফলশ্রুতিতে ভারতকে বিদায় করে আমরা পেয়ে গেলাম 'আমরাও পারি' এর আত্মবিশ্বাস।
এর পর থেকেই ধীরে ধীরে অনেকটা নিয়মিত বিরতিতেই আমরা বড় দলগুলোকে হারাতে থাকি। ঘরের মাটিতে ত্রি-দেশীয় সিরিজের ফাইনালে শ্রীলংকাকে হারাতে হারাতে শেষ মুহূর্তে হেরে যাই চাপের কাছে নতি স্বীকার করে। একটা দল হিসেবে গড়ে উঠতে উঠতে মাঝে মাঝে আমরা পা ফস্কাই – কিন্তু তার পরেই ঘুরে দাঁড়ালে, আবার সব ভুলে যাই। হাবিবুল বাশারের বিদায়ের পরে একজন যোগ্য অধিনায়কের জন্য যখন আমরা হা-পিত্যেশ করছি, দূর্ভাগ্য আর ইনজুরির সাথে লড়াই করে মাশরাফি যখন দলের বাইরে তখন এই দলের ভার দেই আমরা সাকিব-আল-হাসানকে আর অবাক হয়ে দেখি এই চ্যাংড়া ছেলেটা কি হেসে খেলেই না সবকিছু সামলে নিচ্ছে। একদিকে ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশার চাপ, তার সাথে সাংবাদিক আর পূর্বসুড়িদের চাপে চিড়ে চ্যাপ্টা না হয়ে উল্টা সেই চাপকে ঠেলে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। তার উপরে এমনও না তার হাতে রয়েছে বিশ্বসেরা দল, অনেক সময়ই তাকে লড়াই করতে হয়েছে স্রোতের বিরুদ্ধে একা একা। দলে খেলোয়াড় আছেন, যারা হয়ত নিজের দিনে বিশ্বসেরার মতন পারফর্ম করতে পারেন, কিন্তু ওইযে ধারাবাহিকতা আর আস্থার অভাব।
বিশ্বকাপের মত যুদ্ধে যাকে আমরা আমাদের সমরাধিনায়ক করে পাঠিয়েছি কিন্তু মিশন শেষের আগেই বিতর্ক উস্কে তার কাজটাকে আরও কঠিন করে দিচ্ছি। সাংবাদিকদের কথা বলার রুচি দিনকে দিন হারিয়ে ফেলছি। তাদের সম্পর্কে একটা উদাহরণ আমার আগের লেখাতেই দিয়েছি। সবচেয়ে অবাক হলাম যখন দেখলাম প্রাক্তন খেলোয়াড়দের সাকিব এর বিরুদ্ধে সরব হতে। একজন সাধারন আবেগী সমর্থকের সাথে একজন প্রাক্তন খেলোয়াড়ের ক্রিকেটীয় বুদ্ধি বিবেচনার অনেক পার্থক্য থাকবে বলেই ধারণা ছিলো, আর কয়েক বছর আগেই তিনি নিজেই যখন সাকিবের জায়গায় ছিলেন, সেই সত্য ভুলে কিভাবে তারা বেফাঁস বক্তব্য দিতে পারে এটা এখনও আমার বিশ্বাসের বাইরে। অবাক হয়ে যাই যখন দেখি রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খালেদ মাহমুদ বলেন -
Bangladesh need not concentrate on winning but rather should focus on restoring lost pride when they play England in their next World CupGroup B match in Chittagong on Friday, according to former skipper Khaled Mahmud.অনুবাদ - বাংলাদেশের জেতা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে ইংল্যান্ডের সাথে খেলায় নিজেদের সম্মান পুনরুদ্ধারে মন দেওয়া উচিৎ
আবার সেই মরে যাওয়া কিন্তু চোখ বেঁচে যাওয়ার গল্প। এখন যে সম্মান, সম্মানজনক পরাজয়ে না বরং জয়ে, এই বাস্তবতা কি বিশ্বাস করতে পারেন না খালেদ মাহমুদ? তিনি দলের সহকারী কোচ ছিলেন মাত্র কয়েক মাস আগে। এরকম বিশেষজ্ঞ মন্তব্য দেখে বুঝতে পারি বলয় থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেননি তিনি - এখনও তিনি রয়ে গেছেন ১৯৯৯ এর নর্দাম্পটনে। স্বপ্ন দেখারই যদি সাহস না থাকে তাহলে সেই স্বপ্ন সত্যি হবে কি করে?
এবার আরেকতা কৌতুক -
রাস্তার ধারে বসে থাকা সিংহকে দেখে এক ইঁদুর জিজ্ঞেস করলো- ব্যাপারটা কি সিংহ মামা, রাস্তায় কেন? ব্যথায় নাক মুখ কুঁচকে সিংহ বলে যে তার পা ভেঙ্গে গেছে আপাতত নড়াচড়ার উপায় নাই। ইঁদুর শুনে এক চিৎকার
- হারামজাদা বসবি যদি রাস্তার মাঝে কেন, ধারে বসতে পারিস না?
ওয়েস্টইন্ডিজের সাথে ৫৮ রানের দুর্ঘটনার পরে যেভাবে আমাদের সাবেক খেলোয়াড় আর তথাকথিত বিশেষজ্ঞরা নগ্নভাবে পত্রিকান্তরে সাকিব আর সিডন্সকে আক্রমন করেছেন তাতে সত্যি মনে হয়েছে তারা আসলে গল্পের সেই ইঁদুর বইকি আর কিছুনা। দরকার যখন দলের পাশে থাকার সবচেয়ে বেশী, তখন বিশেষ করে যেভাবে তারা নিজেদের তুলে ধরেছে তা হতাশাব্যঞ্জক। আমি ভেবে পাইনা সাকিব বা কোচ সিডন্সের উপরে এদের রাগের মূল কারণটা কি হতে পারে। খালেদ মাহমুদ হয়ত আশা করেন সহকারী কোচ এর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে একদিন তিনি কোচের দায়িত্বটা পাবেন। তাই কি তিনি চান কোচের বিদায় ত্বরান্বিত হোক?
“
বড় প্রশ্নটা আমাদের কোচ সিডন্সকে নিয়েই। চার বছর ধরে কোচিং করিয়েছেন তিনি বিশ্বকাপে এই লজ্জা উপহার দেওয়ার জন্য! কোচিংয়ের জন্য এত আয়োজনের পর এই ফল! এর জন্য তো কোনো প্রোফাইলধারী কোচের প্রয়োজন নেই, রিকশাওয়ালাকে দায়িত্ব দিলেও এর চেয়ে খারাপ করতে পারবে না।
"
একজন প্রাক্তন খেলোয়াড় এবং সিডন্সের সহকারী হিসেবে কাজ করার পরে যখন খালেদ মাহমুদ, সিডন্সকে তুলনা করেন রিকশাওয়ালার ক্রিকেট প্রজ্ঞার সাথে তখন আমি তার ক্রিকেটীয় বিচারবুদ্ধি নিয়েই ধন্দে পড়ে যাই। সিডন্সের ভুল দেখাতে যেয়ে তিনি উলঙ্গ করে ফেলেন নিজেকেই। এক ম্যাচের বাজে ফলাফল যখন তাকে এই উপসংহারে পৌছাতে সাহায্য করে, তখন তিনি ভুলে যান টেস্ট ক্রিকেটে ৪০০ বোলিং এভারেজ নিয়ে নিজেই একসময় তিনি রেকর্ড বুকে রাজত্ব করেছেন। তিনি ভুলে যান এই সিডন্স সাকিবরাই গত কয়েক দিন আগে নিউজিল্যান্ডকে ওয়াইট ওয়াশ করেছে, ইংল্যান্ডের মাটিতে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে আর জিম্বাবুয়ের সাথে জেতাতো এখন আর আমরা গোণায়ই ধরিনা।
সবশেষে আশরাফুল প্রসঙ্গ, কারণ তাকে ছাড়া বাংলাদেশে যেকোন ক্রিকেটীয় লেখাই সম্পূর্ণ হয়না। আশরাফুল বিষয়ে সাংবাদিকদের অতি উৎসাহী রোমান্টিসিজমের কারণে আমাদের অনেকের কাছেই আশরাফুলও চক্ষুশূল। কিন্তু আশরাফুলের এই অবস্থার জন্য আশরাফুলের পড়তি ফর্ম যেমন দায়ী সাংবাদিকরাও ঠিক তেমনই দায়ী। আশরাফুল যদি আবার নিজের সামর্থ প্রমাণ করে দলে আসতে পারে(যদিও সে সম্ভাবনা ক্ষীণ), তাহলে আমরা যেন তখন তার পাশে থাকি যেমনটা আমরা এখন সাকিবের পাশে আছি। বিশ্বমঞ্চে বারবার এই ছেলেরাই তো আমাদের হাসায় এই ছেলেরাই কাঁদায় – আমরা কি তাদের জন্য এইটুকু করতে পারিনা?
পুনশ্চঃ ইংল্যান্ডের সাথে জিততে জিততে, হারতে হারতে শেষমেষ জিতে যাওয়া খেলা নিয়ে আনন্দে আত্মহারা হওয়ার পাশাপাশি কিছু আত্ম অনুসন্ধান করা উচিত। এই লেখার উদ্দেশ্য তার কোনটাই না।
ভিডিও কৃতজ্ঞতা - সানি হাসান, ছবি কৃতজ্ঞতা - এসোসিয়েটেড প্রেস
মন্তব্য
সমালোচকদের জবাব কিভাবে দিতে হয় সাকিব এণ্ড কোং সেদিন দেখিয়েছে। আমি দোয়া করি ভবিষ্যতেও তাদের এই বিজয় ধারা অব্যাহত থাকবে। তেমনি এই পোস্টটিও একটা উদাহরণ হতে পারে যে সমালোচকদের কোন কিছু না দেখিয়েও সমালোচনা করা যায়।
গতকালের বাংলাদেশের খেলা দেখতে বসে আবারো বুঝতে পারলাম সেই আগের দিনের মতো বাংলাদেশ এখন আর নাই। ওয়েস্ট ইণ্ডিজের সাথে যা হয়েছে তা নিছক একটা বাজে দিনের ঘটনা (এমনটাই কোন এক পোস্টের প্রথম মন্তব্যে বলেছিলাম)।
গতকাল চুরি করে যখন খেলার শেষ দশ মিনিট দেখছিলাম তখন বুকের ভিতরের ঢিপঢিপ শব্দটা মনে হয় বাহির থেকেও শোনা যাচ্ছিল। খেলা শেষে শাকিবের চেহারা দেখা আবারো বুঝলাম এতটুকুন একটা বাচ্চার উপর কত চাপ আমরা তৈরী করেছিলাম। আশা করি এবং বিশ্বাস করি সাকিব আরো অনেক কিছু দিতে পারবে। তবে (পরামর্শ নয়) আশা করবো সকল সমালোচনার জবাব সে কাজের মাধ্যমেই দিবে।
এগিয়ে যাও বাংলাদেশ ক্রিকেট দল; জয়ে-পরাজয়ে সবসময়ই তোমাদের সাথে আছি।
ধন্যবাদ পিপিদা।
খেলা দেখার সময়ের শেষ দশ মিনিট আর কি বলব, বুকের মাঝে একদিকে ধুক ধুক করছে, গলার কাছে কি যেন দলা পাকিয়ে আসছে, চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে, না পারছি নড়াচড়া করতে, দুহাত মুখের কাছে জড়ো করে বসে আছি। এরপর খেলা শেষে সাকিবকে দেখে একদিকে যেমন মায়া লাগছিলো তার উপরে আরেকদিকে তীব্র রাগ হচ্ছিলো। এ রাগ আমার অক্ষমতার। তখন আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলামনা :(
আমরা করবো জয়
আমরা করবো জয়
আমরা করবো জয় একদিন।
একদিন সব শালাদের এক হাত দেখে নেব ঠিক ঠিক।
অবশ্যই দ্রোহীদা। আশা করি তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের পর ধারাবাহিক এবং অবিরামভাবে মিডিয়ার কচকচানি নিয়ে একটা লেখার ইচ্ছা ছিলো। পুরো ক্রিকেট বিশ্বই যেনো দুয়ো দেয়া শুরু করেছিলো বাংলাদেশকে ৫৮ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর। ক্রিকেটের মোড়ল, মাতব্বরেরা তো পারলে বাংলাদেশকে শূলে চড়িয়ে দেয়! বিশেষ করে ভারতের নভোজোত সিং সিধু'র কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তুড়ি মেরে বাংলাদেশকে ফেলে দিচ্ছে সে বিশ্বকাপের শুরু থেকেই। স্যার ইয়ান বোথামও কেনিয়া, কানাডা, নেদারল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ড'কে খেলায় নিতে নারাজ! বাংলাদেশকে নিয়ে বোথাম এখন কিছু না বললেও সাহেবদের নাক সিঁটকানো স্বভাব আজকের নয়। কিন্তু সবচেয়ে লজ্জার ব্যাপার হলো সাহেবদের নাক সিঁটকানো স্বভাবটা আজকাল ভারতীয়দের মধ্যে চলে এসেছে। সিধু'র নির্লজ্জ বকরবকরে সেটার প্রমাণ পাওয়া যায় প্রতিটা খেলার সময়েই।
৫৮ রানে গুটিয়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশকে জুতাপেটা করার আগে আসুন, একটু রেকর্ডের দিকে চোখ বুলাই।
উপরের ছবিগুলোতে লাল ঘরে ভারতের করা রানের দিকে খেয়াল করুন। এই সেদিনও (১০ আগস্ট, ২০১০) নিউজিল্যান্ডের সাথে মাত্র ৮৮ রানে অল আউট হয়েছে ভারত। শুধু তাই না, সৌরভ, তেন্ডুলকার, দ্রাবিড়, কাম্বলী, রবিং সিং, যুবরাজ সিং প্রমুখদের সোনালী সময়েও তাঁদের সাথে নিয়ে ভারত গুটিয়ে গেছে মোটে ৫৪ রানে।
এগুলো বোধ'য় সিধু'রা জানে না। সিধু খুব সম্ভবত এটাও জানে না যে সে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে 'প্লাটিনাম ডাক' মারা খেলোয়াড়। জীবনের শেষ ওডিআইতেও গোল্ডেন ডাক মেরেছে সে। ঐটাই তার জীবনের শেষ ওডিআই ছিলো কারণ সে তারপর আর জাতীয় দলে সুযোগ পায় নি। এখন ইএসপিএন-স্টারে বসে এমন সব কথা বলে যেনো সে লিভিং ব্র্যাডম্যান! তার দ্যুতির কাছে অন্যরা টিমটিমা মরিচ বাতি!
ক্রিকেটে হঠাৎ কোনো বাজে দিনে কম রানে গুটিয়ে যাওয়া কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। এটা ক্রিকেটেরই অংশ। বাংলাদেশের জন্মের আগে থেকেই ক্রিকেট খেলতে থাকা, ক্রিকেটকে দাপিয়ে বেড়াতে থাকা দলগুলোর এরকম দুই অংকের ঘরেই বারবার গুটিয়ে যাওয়া সেটাকেই প্রমাণ করে। সুতরাং সিধুদের উচিৎ একটু রয়েসয়ে কথা বলা। ন্যুনতম সম্মান দেখিয়ে কথা বলা।
আমাদের সাবেক খেলোয়াড়দের একটা জিনিস ভাবা উচিৎ, আজকে যে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে তার বয়স। হাড্ডি পাকনা হলে একটা কথা ছিলো, পেপারে টিভিতে হাজার কটু কথার সামনে বয়সের ভারে হলেও শক্ত করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতো পলিটিশিয়ানদের মতো হাসি হাসি মুখ করে! কিন্তু যার বয়সই তেইশ, তার কাছ থেকে এই ধরণের পলিটিক্স আশা করাটা একটু বেশি না? এই বয়সের একটা ছেলের পেছনে পেপার ওয়ালারা আদাজল খেয়ে লাগলে পরে, তার অগ্রজরা তাকে দলের ভেতরের গুটিবাজীর কারণে নানা কথা বলতে থাকলে কতো সহ্য করবে সে? আপনাদের কাছে অনুরোধ, সিধুর মতো সমালোচক হইয়েন না আপনারা। সম্ভব হলে এই ছেলেগুলার পাশে দাঁড়ান, নিজেদের অভিজ্ঞতাকে সম্বল করে! টিভি ক্যামেরা আর সো কলড ক্রীড়া সাংবাদিকদের হাতে টেপ রেকর্ডার দেখেই খ্যাতির আশায় ছুট দিয়েন না দয়াকরে।
আর পেপার ওয়ালা ভাইয়েরা। কী কমু আপনাদের? আপনাদের রিপোর্ট পড়ে মনে হয় মুদি দোকান চালাতে হলেও মানুষের মধ্যে একটা ন্যুনতম কোয়ালিটির দরকার, কিন্তু পেপারে খেলার পাতার রিপোর্টার হতে হলে সেইটারও দরকার হয় না! নিজেদের বোধ-বুদ্ধিহীন ব্যক্তিত্বের সাথে 'ক্রীড়া সাংবাদিক' পরিচয় দিয়ে আপনারা প্রকারান্তরে সাংবাদিকতার মহত্বকেই অপমান করছেন না?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দারুন মন্তব্য ধুগো। আলাদা একটা পোস্ট হবার দাবী রাখে। নভচ্যোদের কথা আর কি বলব, ওর অঙ্গভঙ্গি দেখলেই বোঝা যায় সে কত বড় ক্লাউন
প্রত্যেকটা হিন্দি সিনেমা বা সিরিয়ালে একটা করে কমেডিয়ান থাকে দর্শকদের স্থূল রসিকতার মাধ্যমে আনন্দ দেবার জন্য।
ইএসপিএনস্টারের পক্ষ থেকে আছে মন্দিরের বেদিতে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা সিধু।
মন্দিরের বেদীতে শুইতে মন চায়
দারুণ লিখেছেন। আমি ক্রিকেট বোদ্ধা নই, বাংলাদেশ জিতলে আনন্দ লাগে, হারলে কষ্ট পাই। কিন্তু এটা দেখছি যে বাংলাদেশের জেতা এখন আর ফ্লুক নয়, এটা নিয়মিত একটা ব্যাপার। নতুন করে আশার উজ্জীবিত হয়ে টাইগারদের খেলা দেখব, জিতুক অথবা হারুক ওটা আমার দল।
তবে বাংলাদেশের মিডিয়াগুলো জয়ের আনন্দকে আকাশে তুলে দেয় এবং একই সঙ্গে পরাজয়ের পরে মাটিতে পুঁতে ফেলে। সমর্থকদের অনেকেও ওটাই করে থাকেন। এর মাঝামাঝি কোথাও থাকতে পারলে সবার জন্যই মঙ্গল হতো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই। আমরা কেউই আসলে ক্রিকেট বোদ্ধা নেই। তবে এই তথ্যটা আমরা জানি, কিন্তু অনেকেরই জানা নেই।
দারুণ লেখা!
বিডিআর
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
জম্পেশ লিখেছেন!
একটা কথা। বিশ্বকাপ লেভেলে একটা খেলার ফ্যান হয়ে ওঠাটাও শিখতে হয়। ইংল্যাণ্ডের বার্মি আর্মির কথা ধরতে পারেন। অথবা, শিকাগোর বেসবল টীম কাবসের কথা - ১০০ বছরের বেশি হয়ে গেছে কাবস চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি, তাতে ভক্তের সংখ্যা কমে না। অথচ, ১৬৯ রানে ৮ উইকেট চলে যাওয়ার পরে আমাদের অর্ধেক স্টেডিয়াম খালি। ব্যাপারটা এত বিরক্তিকর! টিভির সামনে থেকে উঠে যাওয়া, আর স্টেডিয়াম খালি করে চলে যাওয়ায় পার্থক্য আছে। সেটা খেলোয়াড়গুলো দেখতে পায়। চোখের সামনে বিশ্বাস আর সমর্থন উঠে যাওয়া দেখার পর তাদের স্পিরিট ঠিক থাকার কথা না। এটা ফ্যানদের বুঝতে হবে। আর যদি টিকেটের পয়সা উশুল আর প্রতি ম্যাচে জয় দেখাই মূল লক্ষ্য হয়, তাহলে আগামী আরও ৫-১০ বছর অস্ট্রেলিয়া বা ইণ্ডিয়ার সাপোর্টার হয়ে থাকা ঐসব দর্শকদের জন্য ভালো।
ভালো পয়েন্ট
খুবই জরুরী বিষয়ে আলোকপাত করেছেন, ভাইয়া। মাঠে "গুড" হওয়া একটা দেশের সমর্থকরা এমন মর্জিমাফিক আসা-যাওয়া করা মানায়। কিন্তু একটা দল "গ্রেট" হতে হলে তার সমর্থকদেরও মানসম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন। "হারুক-জিতুক শেষ পর্যন্ত দলের সাথে আছি" মানসিকতাটা আমাদের সমর্থকদের নেই। তবে যারা চলে গেছে (বা টিভি বন্ধ করে উঠে গেছে) তাদের উচিত শিক্ষা দিয়ে দিয়েছে আমাদের ক্রিকেটাররাই। আমরা যারা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি নিয়ে শেষ পর্যন্ত খেলা দেখেছি তাদের আনন্দের তিল পরিমাণ তারা অনুভব করতে পারবে না। এই খেলার পর মাঠের সমর্থকরা বের হয়ে আসবেন না আর, আশা করি। টিভিতে দেখা দর্শকরাও আমার মতো ৮ উইকেট পড়ে গেলে হাল ছেড়ে দিবে না।
বেচারারা, তখন না পারে বাড়ি যেতে না পারে মাঠে ঢুকতে এদিকে নিশ্চয়ই ভিতর থেকে দর্শকদের চিৎকার বাইরে যাচ্ছিলো। আসলেই উচিৎ শিক্ষা হয়েছে
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধন্যবাদ যুধিষ্ঠির। আমরা শুধু নিজেদের টিকেটের পয়সা আর ২দিন সময় নষ্ট করে টিকেটের জন্য লাইনে দাঁড়ানোটাই দেখি। কিন্তু এই ছেলেগুলো যে বছরের পর বছর পরিশ্রম করে যাচ্ছে, তাদের হতাশাটা দেখিনা
খুব সুন্দর লাগলো লেখাটা। রাশ টেনে ধরা আবেগের সাথে যুক্তির ভালো মিশেল। এরকম একটা লেখাই আমাদের 'তৃতীয় চোখ'টাকে খুলে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। তথাকথিত ক্রিড়া সাংঘাতিকদের এই লেখাটা অবশ্যপাঠ্য। বেটাদের কাজ কারবার দেখলে মনে হয় কানসা বরাবর 'ঠাশ' করে একটা চটকনা দেই।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
ধন্যবাদ অনুপম। আপনে তাও লুক ভালু শুধু চটকনা দিতেই চাইসেন, আমার যে ইচ্ছা করে সেটা আর সবার সামনে নাই বলি
আমার মনে হয় এখানে আরেকটা কথা যোগ করা উচিত, অনেক পত্রিকায় আজকাল বলা হচ্ছে সাকিব একজন, আবেগহীন খেলোয়াড়, সে বড় রানের ব্যাবধানে হারবার পরও হাসতে হাসতে সংবাদ সম্মেলনে আসে। কিন্তু একজন প্রফেশনাল খেলোয়াড়ের কি এরকমই হওয়া উচিত না? আমার জানা মতে পুর্বে দঃআফ্রিকার স্কিপার হ্যান্সি ক্রনিয়ে কে খেলার মাঠে সবচেয়ে আবেগহীন বলা হত, তার সময়েই তো দঃআফ্রিকা সর্বোচ্চ শিখরে উঠেছিলো। তাহলে সাকিবের আবেগহীন হতে সমস্যা কোথায়? আর "১ রানে হারাও যা, ১০০ রানে হারাও তাই" একথা নিয়েও অনেক সাংবাদিক ছাহেবদের আপত্তি, কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে একথা সাকিবের ক্রিকেট প্রজ্ঞারই লক্ষণ। হার যত রানেই হোক, সবই হার, তাকে দূরে সরিয়ে পরবর্তি খেলায় জিততে হবে।
আসলে যেভাবে সাকিবকে জনগণের সামনে ভিলেইন প্রতিপন্ন করা যায় এরা সেভাবেই করবে। আর কত নীচে এই লোকগুলো নামবে আমি ভাবতেই অবাক হয়ে যাই। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ 'আমি_কেউ_না'।
খালেদ মাহমুদ চাচার সংযত হয়ে কথা বলা উচিত। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ যে তিনি অনেকদিন বাংলাদেশ দলকে সার্ভিস দিয়েছেন। তারপরও তিনি যাচ্ছেতাই মন্তব্য করতে পারেন না।
সিধুতো গত কয়েক বছর ধরে কমেডি শোগুলোতে ভালোই করছে। ও একটা বোনাফাইড হুলিগান, ব্যাক্তিজীবনে এবং ক্রিকেটার জীবনেও। আমি তার কথার কোন গুরুত্ব দেই না। সিধুকে ভালো সাইজ করতে পারতো জাভেদ মিয়াদাদ, "তেলা লুম নাম্বাল কেয়া লে?"
সাকিবদের উচিত নিরবে মুখবুজে নিজের কাজটা করে যাওয়া। অন্তত বিশ্বকাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত।
আপনার লেখায় সাফি ভাই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এই মিয়াদাঁদ সিধুর ঘটনাটা কি রাতঃস্মরণীয় ভাই? এই যে দেখেন একজন খাঁটি দেশপ্রেমিকের মতে সিধু -
চোদ্রী ছাহেবের নেকবদনখানা না দেখাইয়া রন জেরোমের মুখখানা দেখাইলেও ভালু পাইতাম। তবে কইছেন তিনি ভালোই।
জাভেদ মিয়াদাদ ব্যাটিং করছিলো আর সিধু ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে দাড়িয়ে স্লেজিং করছিলো। তখন মিয়াদাদ ক্ষেপে গিয়ে-
মিয়াদাদঃ সালে, তেলা লুম নাম্বাল কিতনা লে?
সিধুঃ কিউ রে সালে?
মিয়াদাদঃ আব্বে বাতা না সালে?
সিধুঃ নেহি, প্যাহলে তু বাতা।
মিয়াদাদঃ সালে, আগলে গেন কো তেলা লুম মে ভেজুঙ্গা ইসকে লিয়ে। বাল্লে বাল্লে।
অতঃপর কিঞ্চিত হাতাহাতির উপক্রম এবং পাঞ্জাবী ভাষায় গালির সমাহার।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ বা একেবারেই নগ্নভাবে তথাকথিত বিশ্লেষকদের বিদ্রুপবাণে ভারবার বিদ্ধ হতে হয়েছে। ডেভিড হুকসের এক দিনে ম্যাচ শেষ করে দেওয়ার সেইসব আস্ফালন ভুলি কিভাবে? এরপরেও ব্রাহ্মণসমাজের নানা কুলীন ভাষ্যকারেরা বাংলাদেশের নাম শুনলে মুখ কুচকেছেন, নাক সিঁটকেছেন। তবে গত তিন বছএ জেতার অভ্যাসটাকে খানিকটা নিয়মিত করায় এসব বোদ্ধাদের অনেকের মুখেই কুলুপ এঁটে গেছে, বড় গলায় বাংলাদেশের ক্রিকেটের সমালোচনা করার আগে তারাও এখন দুবার ভাবেন। তবে সিধুর মত অর্বাচীনদের আসলে কখনোই শিক্ষা হয়না। আজকের ভারতের হারের পরও দুদিন পরেই সিধুগং ম্যাৎঅকার শুরু করে দেবে বলে আমার ধারণা।
যাই হোক, এদের নিয়ে আমার গাত্রদাহ থাকতে পারে, কিন্তু খুব বেশি মাথাব্যথা কখনো ছিলনা। তবে খারাপ লাগে যখন সাবেক খেলোয়াড়রা স্থানকাল ভুলে গিয়ে সমালোচনায় সরব হয়ে উঠেন। কেউ কেউ কচকে রিকশাওয়ালার সাথে তুলনা করে হাস্যস্পদ হন, আবার কেউ সাকিবের মুন্ডুপাত করতে বসে যান। নিজেদের সময়ে তারা মিডিয়ার কতটা চক্ষুশূল হয়ে থাকার সময় কতটা চাপে ছিলেন, সেটা কি তাদের একবারও মনে হয়না? যে অন্তহীন চাপকে সঙ্গী করে সাকিবরা খেলতে নামেন, তার খানিকটা তারাও সয়েছেন বলে এ পরিস্থিতিতে আরও দিকনির্দেশনা তাদের কাছ থেকে কাম্য।
আর সাংবাদিকদের ব্যাপারে কিছু বলতে রুচি বাঁধে, মাঝে মাঝে আশরাফুলের জন্য মায়া হয়, বেচারাকে তারা গাছে তুলেছে ঠকই, মইটা কেড়ে নিতে কিন্তু দ্বিধাবোধ করবেনা একরত্তি।
আর লেখাটার জন্য আরও একবার থ্যাঙ্কস !
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
ঠিক বলেছ অম্লান। ইদানিং আমাদেরকে 'মিনোজ' তকমা দেওয়া অনেকখানিই কমে গেছে। আরও ভাল লেগেছে ইংল্যান্ডকে হারানোর পরে ক্রিকইনফোর কোথাও দেখলাম না এই ফলকে আপসেট বলেছে।
আসলে সাকিবকে সমালোচনা করলে এখন মিডিয়ায় বা আলোচনায় আশা যায়। টিমটিম করে জ্বলতে থাকা এইসব সাবেকরা তাই উজ্জ্বল সাকিবের দিকে ঢিল ছোঁড়ে
আমার মনে হয় এখানে আরেকটা কথা যোগ করা উচিত, অনেক পত্রিকায় আজকাল বলা হচ্ছে সাকিব একজন, আবেগহীন খেলোয়াড়, সে বড় রানের ব্যাবধানে হারবার পরও হাসতে হাসতে সংবাদ সম্মেলনে আসে। কিন্তু একজন প্রফেশনাল খেলোয়াড়ের কি এরকমই হওয়া উচিত না? আমার জানা মতে পুর্বে দঃআফ্রিকার স্কিপার হ্যান্সি ক্রনিয়ে কে খেলার মাঠে সবচেয়ে আবেগহীন বলা হত, তার সময়েই তো দঃআফ্রিকা সর্বোচ্চ শিখরে উঠেছিলো। তাহলে সাকিবের আবেগহীন হতে সমস্যা কোথায়? আর "১ রানে হারাও যা, ১০০ রানে হারাও তাই" একথা নিয়েও অনেক সাংবাদিক ছাহেবদের আপত্তি, কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে একথা সাকিবের ক্রিকেট প্রজ্ঞারই লক্ষণ। হার যত রানেই হোক, সবই হার, তাকে দূরে সরিয়ে পরবর্তি খেলায় জিততে হবে।
ভাই, এতবার মন্তব্য করছেন যে?
উনি মনেহয় আবেগ সংবরণ করতে পারছেন না ঠিকঠাক!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
না তামজীদ ভাই মনে হয় বোঝেননি যে অতিথিদের মন্তব্য মডারেশন হয়ে আসে
ঘ্যাচাং
আমার মনে হয় এখানে আরেকটা কথা যোগ করা উচিত, অনেক পত্রিকায় আজকাল বলা হচ্ছে সাকিব একজন, আবেগহীন খেলোয়াড়, সে বড় রানের ব্যাবধানে হারবার পরও হাসতে হাসতে সংবাদ সম্মেলনে আসে। কিন্তু একজন প্রফেশনাল খেলোয়াড়ের কি এরকমই হওয়া উচিত না? আমার জানা মতে পুর্বে দঃআফ্রিকার স্কিপার হ্যান্সি ক্রনিয়ে কে খেলার মাঠে সবচেয়ে আবেগহীন বলা হত, তার সময়েই তো দঃআফ্রিকা সর্বোচ্চ শিখরে উঠেছিলো। তাহলে সাকিবের আবেগহীন হতে সমস্যা কোথায়? আর "১ রানে হারাও যা, ১০০ রানে হারাও তাই" একথা নিয়েও অনেক সাংবাদিক ছাহেবদের আপত্তি, কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে একথা সাকিবের ক্রিকেট প্রজ্ঞারই লক্ষণ। হার যত রানেই হোক, সবই হার, তাকে দূরে সরিয়ে পরবর্তি খেলায় জিততে হবে।
লেখাটা চমৎকার লাগলো।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধন্যবাদ যাযাবর আপা
খুব সাধারন একজন দর্শক আমি, আজকাল এমন হয়েছে যে আমি খেলা দেখতে বসলেই মনে হয় বাংলাদেশ হেরে যায় , আর যেদিন দেখার সুযোগ পাই না, সেদিন বাংলাদেশ জিতে যায় । তারপর ও সেদিন খুব আশা নিয়ে খেলা দেখছিলাম । সাকিব আউট হয়ে যাবার পর মনে হল আমিই বোধয় কুফা । কত যে কষ্ট করে নিজেকে টেলিভিসন এর সামনে থেকে সরিয়ে এনেছি টা আমি জানি । চারপাশ থেকে বার বার হাত তালির শব্দ আসতেছিল যখন শাফিউল চার ছয় মারছিল । প্রান টা ফেটে যাচ্ছিল টিভির সামনে যাবার জন্য , কিন্তু যাইনি । গেলে যদি আমার দেশ হেরে যায় । আমাদের যে আর হারা চলবে না। বিশ্বকাপ এর দ্বিতীয় রাউনড এ যে আমাদের জেতেই হবে । মামার চিৎকার শুনে আর থাকতে পারলাম না, দেখলাম আমার দেশের সোনার ছেলেরা আবার জয় ছিনিয়ে এনেছে । চারদিকে চিৎকার , হাততালি আর ভুভুজেলা । নিজেকে কিছুখন পর খুজে পেলাম একটা মিছিলের মাঝখানে । দেখি আমরা সবাই বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে চিৎকার করে কাপিয়ে দিচ্ছি রাজপথ । সেদিন ও ছিলাম, আজ ও আছি । সাকিব সফিউল , তোমাদের আর কিছু দিতে পারি আর নাই পারি , আমাদের বিশ্বাস টা অবশ্যই দিব । আপনার লেখা টা ভাইয়া খুব সুন্দর হয়েছে । মনের মধ্যে রেখে দিলাম ।
এরকম দর্শক মোটেই সাধারন না। হিংসা লাগলো বরং আপনার মন্তব্য পড়ে। কি মজা মিছিল করতে পেরেছেন। এই পোড়ার দেশে সে উপায়ও নেই। ভাল থাকবেন
নতুন করে কিছুই আর বলার নেই, যা বলার আপনি লেখায় বলে দিয়েছেন।
লেখায়
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ধন্যবাদ পাগল মন
অসাধারণ লিখেছেন বস্। আমাদের সিধুরূপী যেসব সাংবাদিক আর সুখের কোকিল সমর্থক আছে তাদেরকে ঠিকমত শায়েস্তা করার জন্যে হাতটা নিশপিশ করতেছে।
-অতীত
ধন্যবাদ অতীত
বস, এই জিনিস মনে হলো ফেসবুকের পাতা ছাড়াও ছড়ানো দরকার। এই ভদ্রলোককে সবাই চেনে হাসির খোরাক হিসেবে, কিন্তু এই লোকই এই কথাগুলো স্পষ্ট করে সবার সামনে বলতে পারার সাহস দেখিয়েছে। স্যালুট তাঁকে।
এই ভিডিওটা যে শেয়ার করেছে, ভিডিও সম্পর্কে তার কমেন্টটা খেয়াল করুন, "বস ওয়াচ ইওর মাউথ পিলিজ! আপনের ডরে সিধু মাছি হো গায়া। খিয়াল কইরা বস খিয়াল কইরা। নইলে মাছি যাইব সান্দাইয়া!"
নো ওয়ান্ডার, সিধু কাদের জোরে এইসব বালছাল বলার সাহস পায়!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জাশাকে নিয়ে ঠাট্টা মস্করা কম করিনি, কিন্তু ঠিক সময়ে ঠিক কথা এমন অকপটে বলার সাহসই বা রাখে কয়জন। ওইসব কাঁঠালপাতা খাওয়া ধারাভাষ্যকারদের এটা দেখে কিছু শেখা উচিত। স্যালুট জাশা...
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
সেটাই এসব আত্মার বেজন্মারা পাছা উদোম করে বসে আছে আফ্রিদি আর সিধুদের জন্য
দারুণ
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই
আমি বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বর্তমান শত্রু মনে করি ক্রীড়া সাংবাদিকদের। মস্তফাউল মামুন আর উটপোঁদ শুভ্র গংদের। এরা সরাসরি এমন একটা ক্রাউডের আবেগ নিয়ে খেলতে থাকে, যারা ক্রিকেটের সমস্যা আর সম্ভাবনাকে ঠিকমতো মাপতে পারে না। আনিসুল হক তার গদ্য কার্টুনে ফস করে লিখে ফেলে, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারি। নানা চাপে থেকে আমাদের মানুষের মনে আশার ফানুসটা আরেকটু ফেঁপে ওঠে, গ্যালারির দর্শক বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে যায়। গিয়ে দেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট এখনও নানা সমস্যায় আছে। দর্শকের এক বুক আশা ভেঙে যায়। যে দর্শক দুই রাত লাইন ধরে টিকেট কেনে, যে দর্শক তিলতিল করে জমানো টিউশনির টাকা দিয়ে মুদ্রিত দামের আট দশগুণ দামে টিকেট কেনে, যাকে দীর্ঘ লাইন ধরে ঢুকে স্টেডিয়ামে কাঠফাটা রোদের নিচে দাঁড়িয়ে কয়েক ঘন্টা খেলা দেখতে হয়, একশো টাকা দিয়ে পানীয় আর দুইশো টাকা দিয়ে সামান্য খাবার কিনে যাকে খেতে হয়, যে দর্শক এই মিডিয়ার মুৎসুদ্দিদের লেখা পড়ে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়নের আসনে কল্পনা করতে করতে এসেছে গোটা পথ, তাকে কি সবসময় সন্তুষ্ট করার শক্তি আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের? আমার ধারণা, এখনও নাই। কিন্তু যত দিন যাবে, শক্তি আরো বাড়বে। আমাদের খেলোয়াড়রা আরো পরিণত হবেন, কথায়, আচরণে, যদি দিনে রাতে চব্বিশ ঘন্টা কতগুলি ক্রীড়া শুয়োরবাদিক তাদের পেছনে লেগে না থাকে। এরা একদিক দিয়ে দর্শকের প্রত্যাশার পারদ চড়ায়, অন্যদিকে খেলোয়াড়দের আলতুফালতু অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে করে মানসিক চাপের মুখে রাখে। এই মিডিয়ার বদমাশগুলোর কানে ধরে ওঠবস করানো উচিত। রোজ।
ইংল্যান্ডের সাথে খেলার দিন বদ্দা ছিলো না বাসায়, আমি আমার বাসায় বসে একা একা খেলা দেখছি। রাজ্জাকের উইকেট পড়ার পর রাগে দুঃখে হাউমাউ করে কানলাম কিছুক্ষণ। তারপর দেখি দর্শকরা উঠে চলে যাচ্ছে। শফিউল আর রিয়াদ একটু পর পর ফ্যালফ্যাল করে এদিক সেদিক তাকায়, রিয়াদ দেখি শফিউলের মাথায় হাত বুলিয়ে ভরসা দিচ্ছে। তখন মনে হলো, একমাত্র আমার এক মগ চা-ই পারে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে। বানায় আনলাম এক মগ চা। এক এক চুমুক দেই আর শফিউল চার ছয় মারে। এর মধ্যে হের চৌধুরী কাজ থেকে ফোন করে স্কোর জিজ্ঞেস করলো, বললাম ২০ বলে ১৬ রান। চৌধুরী বলে, বুচ্ছি আমারে এখন কফি আনতে যাইতে হইবো! আমার চা আর বদ্দার কফির জোরে ক্যামনে ক্যামনে জিতে গেলাম।
ভাগ্যিস চা খাইছিলেন... মজার ব্যপার হল পাব্লিক এত কিছুতে এত রিএক্ট করে, কিন্তু সাংবাদিকদেরকে কেন জানি পীর মনে করে
জিতবোই। আজ না হলে কাল, কাল না হলে তার পরেরদিন। ততদিন পর্যন্ত দলের উপর আস্থা রাখি। অন্ধ স্বপ্ন না দেখে ক্ষমতার সর্বোচ্চ বঝার চেষ্টা করি আর আশা করি, আসুন।
আমরা করবো জয়।
ঠিক আমরা করবো জয়
ইশ! এইরকম গুছিয়ে যদি লিখতে পারতাম!
গানটা আটকে দিলাম! \m/
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
যেরকম লেখতে পারেন ওইটাই আমারে শিখায় দিতেন যদি
খুবই ভাল লেখা। পত্রিকার সমালোচনা গঠনমূলক হলে পড়েও ভাল লাগে। কাল প্রথম আলোতে পড়লাম ক্রীড়া সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করছেন "কখনো কখনো কি মনে হয়, টস না জেতাই ভালো। তখন আর নিজের দায় থাকে না..." - কি বিরক্তিকর প্রশ্ন। তারপরে আবার "আমি তো ভেবেছিলাম, ৫৮-এর দুঃস্বপ্নটা এত টাটকা যে সে কারণেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাটিং করেননি..."। ক্রিকইনফোর কিছু কিছু ভাল আর্টিকল পারমিশন নিয়ে বাংলায় অনুবাদ করে ছাপালে কোয়ালিটি লেখাও হয় আর লোকেও ক্রিকেট নিয়ে বোঝে। এইসব সাক্ষাতকারের থেকে ওটাই পড়া ভাল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ধন্যবাদ দিগন্তদা। অনেক আর্টিকেলই ইন্টার্নেট থেকে নিয়ে 'ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত' বলে অনুবাদ করে চালিয়ে দেয়। বিশেষ করে ইউরোপিয়ান লীগের খেলার খবরগুলো। সুতরাং অনুমতির ব্যপারটা নিয়ে তারা খুব একটা মাথায় ঘামায় বলে মনে হয়না। আর পত্রিকায় যেভাবে বিজ্ঞাপন দেয় যে - রিপোর্ট করবেন উৎপল শুভ্র/ মোস্তফা কামাল, তাতে মনে হয় এইসব সাংবাদিকদের একটা নিজস্ব ব্র্যান্ড দাঁড়িয়ে গেছে
পাগলা সর্দারের কান্ড দ্যাখেন-
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
তারে পাগল কইলে প্রশ্রয় দেওয়া হয়। একটা বিশুদ্ধ ছাগু
অতি চমৎকার একটি লেখা, পড়ে খুব ভাল লাগল, আশা করি সিনিয়র খেলোয়ারদের বোধোদয় হবে
সাবাশ বাংলাদেশ.....
ধন্যবাদ সুদীপ।
সাবাশ বাংলাদেশ...
নতুন মন্তব্য করুন