আমেরিকায় যাব, নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যে। একথা কাউকে বলতে গেলেই মুশকিলে পড়ে যাই। সবার প্রশ্ন একটাই - মানুষ পড়তে যায় লন্ডন আমেরিকায় তা বাবা তুমি কেন মেক্সিকো যাচ্ছ? এই প্রশ্নের জবাব দেওয়া মুশকিল। দ্বারস্থ হতে হয় প্রথমে টেক্সাসের। টেক্সাসের পাশেই যে নিউ মেক্সিকো আর সেটা যে আমেরিকাতেই এটা কষ্ট করে বোঝাতে পারলেও চোখ সরু করে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকানোটা অগ্রাহ্য করতে পারিনা। কেউ কেউ টেক্সাসটা কোন দিকে জানতে চান, তাকে তখন নিউইয়র্ক থেকে টেনে নিচে আনা লাগে। সৌভাগ্যের বিষয়
নিউইয়র্ক সবারই চেনা। কিন্তু বাঙালিকে আর কি দোষ দিব, এখানে এসে দেখি এরা নিজেরাই লাইসেন্স প্লেট থেকে ঠিকানা সবখানেই লিখে রাখে - 'নিউ মেক্সিকো, ইউ এস এ'। বুঝি যে নিউ মেক্সিকো কোথায় এই বিষয়ে সবার মাঝেই অল্প বিস্তর বিভ্রান্তি কাজ করে। সুতরাং ইউ এস এ সনদ লাগিয়ে ঘুরতে হয়।
এইতো গেল আমাদের নিউ মেক্সিকো দর্শন। প্রশ্ন জাগে বাংলাদেশ সম্পর্কে নিউ মেক্সিকোর মানুষজনের জ্ঞান কতটুকু। এই প্রশ্নের উত্তর জানার সুযোগ এসে যায় সহসাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, হাই স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে আয়োজন করে মেলা জাতীয় এক মজার অনুষ্ঠানের। নির্দিষ্ট দিনে তারা আমন্ত্রণ জানায় রাজ্যের সব হাইস্কুলের ছাত্র ছাত্রীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা নির্দিষ্ট ভবনে। সেখানে সারি সারি শ্রেণীকক্ষ। প্রতি কক্ষের দরজায় স্কেজিউল/শিডিউল টানানো। ৩০ মিনিট করে প্রতি ক্লাসের ব্যপ্তি। কোন বাঁধাধরা নিয়ম নেই, পুরোটাই ঐচ্ছিক। যে কেউ যেকোন ক্লাশে ঢুকে যেতে পারে। ক্লাশের বিষয়গুলোও মজার। কেউ হয়ত ব্রাজিলিয়ান সাম্বা নিয়ে ক্লাশ নিচ্ছে, কেউ নিচ্ছে ভিয়েতনামিজ বিয়ে আবার হয়ত আরেকদিকে জাপানিজ ইকেবানা। আপনি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ছাত্র/ছাত্রীদের একজন হন, আপনিও চাইলে এমন ক্লাশ নিতে পারবেন। সুতরাং আমি যখন এ অনুষ্ঠানের ব্যপারে জানতে পারলাম, ভাবলাম এই সুযোগে বাংলাদেশ নিয়ে সামান্য ধারণা দেওয়া যাক।
আগ্রহ জানিয়ে আবেদন করে জানতে পারলাম আমার ক্লাশের সময় পড়েছে সকাল ১১,৩০ মিনিটে। যখন দেখলাম একই সময় অন্যান্য রুমে দেওয়া হবে - ইতালির গ্ল্যাডিয়েটরদের কথা, ব্রাজিলিয়ান কার্নিভ্যাল, চায়নার ঐতিহ্য এরকম সব চটকদার সব বিষয় নিয়ে প্রেজেন্টেশন তখন সত্যি একটু দমেই গেছিলাম। তার উপরে ব্যপারটা ঐচ্ছিক সুতরাং ছাত্র পাবো কিনা চিন্তার কথা। আবার এদিকে প্রস্তুতি নেবার মতন হাতে তেমন সময়ও নেই। শুক্রবার সারা রাত জেগে ১টা প্রজেক্ট জমা দিয়ে এর পর হাতে ২-৩ ঘন্টা সময় প্রেজেন্টেশন বানানোর। ইন্টারনেট ঘেটে চোথা মারার ইচ্ছে থাকলেও তেমন কোন প্রেজেন্টেশন পেলাম ও না। তাই খুব তাড়াহুড়ো করে উইকি ঘেটে ঘুটে নিজেই একটা প্রেজেন্টেশন দাঁড় করিয়ে ফেললাম।
অবশেষে আল্লাহর নাম নিয়ে ক্লাশে ঢুকে দেখি কেমন কেমন করে ৩১জন ছাত্র-ছাত্রী হাজির। খুশীই হলাম। প্রেজেন্টেশন শুরুর আগে জিজ্ঞাসা করলাম কয়জন বাংলাদেশের নাম জানে। উত্তর হতাশাব্যঞ্জক - ৫জন। এবার এই ৫ জনকে জিজ্ঞেস করলাম বাংলাদেশ সম্পর্কে তারা কি জানে। প্রথম দুইজনই বলল বন্যার কথা। বাকিরা দারিদ্র্য, জনসংখ্যার কথা বলল। একজন বলল গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কথা। আরও অবাক হলাম ৫ জনের মধ্যে ২জনের আত্মীয়তার সুবাদে বাংলাদেশকে চেনে দেখে। একজনের খালা চাকরী করে বাংলাদেশের আই এস ডি স্কুলে আর আরেকজনের ভাই এর বৌ বাংলাদেশী। অপ্রাসঙ্গিক হলেও বলে নেই, প্রতি ক্লাশে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পক্ষ থেকে একজন মনিটর থাকে সে বাংলাদেশকে চেনে, গ্রামীন/ইউনুসকেও পজিটিভলি চেনে কিন্তু সে আলাপ আরেকদিন হবে।
প্রেজেন্টেশন দিলাম। ছাত্র-ছাত্রীদের কথা জানিনা তবে আমি খুবই উপভোগ করেছি। প্রেজেন্টেশন বানাতে যেয়ে নিজেও অনেক কিছু শিখেছি। বিশেষ করে পাহাড়পুরের মডেলিং এর ছবি দেখে যেমন বিস্মিত হয়েছি, তেমনি গর্বিতও হয়েছি। আরও মজা লেগেছে তুলনামূলক চিত্র দিয়ে এদেরকে অবাক করতে পেরে। প্রেজেন্টেশনের ফাঁকে ফাঁকে আমি প্রশ্ন করছিলাম বা ওদের থেকেও প্রশ্ন চাইছিলাম। এরকম কয়েকটা মজার মজার প্রশ্ন -
১। এত লোককে তোমরা খাওয়াও কিভাবে?
২। এত বড় বড় ঝড় সামাল দাও কিভাবে?
৩। এত মানুষ এত অল্প জায়গায় থাকে কিভাবে?
৪। এত পুরানো স্থাপনা (পাহাড়পুর) এখনও টিকে আছে কিভাবে?
৫। সুন্দরবনে সাফারি করলে বাঘ কত কাছে আসতে পারে?
প্রেজেন্টেশনটা এখানে লটকে দিলাম, পাঠকদের কাছে পরামর্শ আশা করি কিভাবে প্রেজেন্টেশনটা আরও উন্নত করা যায়। কৃতজ্ঞ উইকিপিডিয়া আর সচল মুস্তাফিজ ভাই এর কাছে সুন্দরবনের সুন্দর ছবি পাচ্ছিলাম না। মুস্তাফিজ ভাইকে বলতেই উনি এক কথায় রাজি ওনার ছবি ব্যবহারের অনুমতিসহ। আর উইকিপিডিয়া বার বার মনিয়ে করিয়ে দেয় কি অসাধারণ কাজটাই না করছে এর স্বেচ্ছাসেবকেরা এমন মানুষ আছে বলেইতো বাংলাদেশটা এত সুন্দর।
Bangladesh at a glanceView more presentations from Shafi Ibtesham.
মন্তব্য
২ ঘন্টায় এর থেকে ভালো আর কি করা যাবে? যতদূর জানি জাতীয় সঙ্গীত ২য় হয়েছিলো...প্রথম ছিলো উরুগুয়ে।
২ ঘন্টা না আসলে পরে রাত জেগে বেশ কয়েক ঘন্টাই লাগিয়েছিলাম এখান থেকে নিশ্চিত হলাম আসলেই আমাদের জাতীয় সঙ্গীত ২য় হয়েছিল। আপনাকে ধন্যবাদ ভুলটা ধরিয়ে দেবার জন্য। ঘুমের ঘোরে তাড়াহুড়ো করে মনে হয় ভুল করে ফেলেছিলাম। সংশোধন করে ফেলব
বাংলাদেশকে বিদেশের মাটিতে কেউ প্রেজেন্ট করছেন, শুনতেই খুব ভালো লাগে। ক্লাস শেষে ছাত্রছাত্রীদের ফিডব্যাক কেমন ছিল? জানার ইচ্ছে রইলো।
টুইটার
ম্যাট্রিক ইন্টার পরীক্ষার পরে পত্রিকায় অনেক সময় আসে দারিদ্র্য কে জয় করে জিপিএ ৫ পেলো অমুক, অনেকটা সেরকম মনে হয়েছে ফিডব্যাক। আসলে আমাদের নেগেটিভ চিত্রটা অনেক বেশী পপুলার এখানে, তাই তুলনামূলক চিত্র দেখার পরে তারা বেশ অবাকই হয়েছে
ধন্যবাদ মেম্বর। ভূমিকম্প কিন্তু আইসা পড়ল প্রায়, লেখা নামায় ফেলেন বস
প্রেজেন্টশনটা দেখলাম।
দুর্ধর্ষ!
আপনেরে দেওয়া উত্তর কেমনে জানি ধাক্কা খাইয়া উপরে উইঠা গেছে
ভূমিকম্প
হ, হিমালয় কেমনে হইসে আইজকা বুঝলাম
দারুণ!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ
খুবই ভালো লাগলো। বাচ্চাদের সাথে আমিও কিছু জিনিষ শিখলাম। আমার দুই একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। আমি লক্ষ্য করেছি বাংলা শব্দ এবং বর্ণমালা অন্যদেশীয়রা খুব পছন্দ করে। বাংলা কথা বলতে শুনে কয়েকজন আমাকে বলেছে যে খুব শ্রুতিমধুর। বাংলা লেখা দেখে দুইজন একেবারে অভিভূত, ওদের কাছে ডিজাইন মনে হচ্ছিল।
আবারো জানাচ্ছি, খুব ভালো কাজ করেছেন। -রু
হ্যা এটা ভাল বলেছেন। তখন এটা মাথায় আসেনি। এরাও অনেকে মা কে মা বা মামা-ই বলে সুতরাং দুই একটা শব্দ শেখানোর বুদ্ধিটা আগামীবার কাজে লাগান যাবে।
কোন একটা লিঙ্কে পড়সিলাম, বাংলাকে ফ্রেঞ্চের মতই সেক্সি/শ্রুতিমধুর ভাষার র্যাংকিং দেওয়া হইসিল। বেশ হাই র্যাংকিং ছিল সেটা। আমাদের এইখানে ফেস্টিভ্যালে আমরা বাংলাদেশের স্টল খুললেই সামনে মেন্দি দিয়ে হাতে নিজের নাম বাংলায় লেখানোর জন্য লাইন লেগে যায় শিশিরকণা আপু মেন্দি দেয় আর আমরা বাকিরা সেই লাইনে বাংলাদেশী খাবার বেচি। বেশ ভাল বেচাকেনা হয়ে যায়।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
দেখি আমাদের আন্তর্জাতিক উৎসব আছে সামনে, কিছু একটা করতে হবে
জনসংখ্যার তুলনায় ৮০% এর জায়গায় ৮০ গুন (80 times) হলে ঠিক হত। তবে আসল সংখ্যাগুলো একই স্লাইডে থাকায় দর্শকদের সেটা ঠিকভাবে বুঝতে সমস্যা হয় নাই আশা করছি।
চমৎকার এবং অসাধারণ প্রেজেন্টেশন।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ঠিক বলেছেন শামীম ভাই। বিরাট ভুল। তবে প্রেজেন্টেশন দেবার সময় মনে হয় ৮০ গুণই বলেছিলাম, আসলে ওটাই বোঝাতে চেয়েছিলাম। ধন্যবাদ, আমি সংশোধন করে নেব। এর সাথে সাথে তখন বলেছিলাম যে ওই ছোট রুমটাতে বাংলাদেশ হলে ২৪০০লোককে জায়গা দিতে হত, শুনে ওদের হাসব না কাঁদব দশা
ছিমছাম হয়েছে।
আরও কিছু আইডিয়া দিয়েন। এমনিতে স্লাইডে বেশী জিনিস না রেখে বলার সময় অনেক কিছু বলেছিলাম। যেমন ধরেন আমেরিকার সপ্তম নৌবহর আর কিভাবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রায় লেগেই যাচ্ছিল এইটাও পোলাপান ভালই 'লাইক' দিয়েছিল
প্রেজেন্টশনটা চমৎকার লাগলো।
love the life you live. live the life you love.
ধন্যবাদ তারাপ কোয়াস।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দারুণ লাগলো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই।
মেয়েরা মেহেদী দেয়াও খুব পছন্দ করে, এইরকম মেলা তে মেহদী দিতে বসে যখন কোন নকশা মাথায় আসে না, সোজা বাংলায় নাম লিখে কিছু লতা পাতা দিয়ে পেঁচায়ে দিই। ব্যস, খেল খতম।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
হাহা, ভাল বুদ্ধি। মেহেদীর ইংরেজী কি, হেনা ট্যাটু?
হ্যাঁ হেনা ট্যাটু। শিশিরকণা আপু আমাদের এখানে BSA-র মানি মেশিন, এই মেহেদি দিয়ে।
আপনার প্রেজেন্টেশনটা চমৎকার।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
মেহেদি পান কই?
আগে ইন্ডিয়ান দোকান থেকে কিনতাম। কিন্তু রঙ হয় না দেখে এবার দেশ থেকে ১ ডজন টিউব নিয়ে আসছি। বাংলায় নাম লিখে (+লতাপাতা ) দেয়ার জন্য ১ ডলার করে নেই। ২ ডলার বিনিয়োগে ৩০-৩৫ ডলার আয় হয়ে যায়। কঠিন ব্যবসা। এমন কি ব্যাটা ছেলেরা পর্যন্ত এসে লাইন দেয়। গতবার এক হার্লে ডেভিড চালানো মামুকে মেহেদী লাগায় দিসি।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
কঠিন অবস্থা!!!
ঘ্যাচাং
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ধন্যবাদ নিবিড়
সাবাশ!
ধন্যবাদ আনাম
এটার জন্যই ভিডিও এডিটিং টাইপ কিছু জানতে চাইছিলেন? কইলে বানায়াই দিতাম একটা
এটা দারুণ হইছে... অল্প সময়ে দারুণ কাজ
অনেক আগে ফেসবুকে একটা লিঙ্ক শেয়ার করছিলাম। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে তুলে ধরার জন্য আমার মতে এটা সবচেয়ে ভালো একটা ভিডিও ফুটেজ। কিন্তু সেটা এতো আগে শেয়ার দিছিলাম, এখন খুঁজে বের করতে পারবো না... ভুল হয়ে গেছে তখন সেটা ডাউনলোড করে রাখা উচিত ছিলো...
স্যালুট আপনাকে আর আপনার ৩১ জন ছাত্র ছাত্রীকে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
না বস এইটা না, ২১শে ফেব্রুয়ারিতে ভার্সিটিতে একটা অনুষ্ঠান করসি। ওইটার শুরুতে ১০মিনিটের একটা ডকু দেখাইসিলাম। পরে এখানে একজন কইরা দিছে। আমাদের এসোসিয়েশনের ওয়েবসাইট বানাইতেছি আপাতত, সেইখানে ইউটিউব থেকে কিছু ভিড্যু টাঙ্গায় রাখসি। এইখানে দেখতে পারেন। শেয়ার দেওয়া ভিড্যুটা পাইলে আবার শেয়ারাইয়েন
সময় থাকলে কন্টেন্ট আরো বাড়তো বুঝাই যাইতেছে, যেমন স্মৃতিসৌধ'র ছবি দিতে পারতি। তবে সব মিলায়ে জুশ ।
যুদ্ধের স্লাইডের পরে ফিডব্যাক/ রিঅ্যাকশন কি ছিলো?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আসলে শহীদ মিনার দিয়েছিলাম এটা পৃথিবীর অন্যতম (অথবা সর্বোচ্চ্য) বার রেপ্লিকেটেড মিনার এই গল্পটা করতে। তবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের স্লাইডে স্মৃতিসৌধ ঢুকায় দেওয়া যাইত। মুক্তিযুদ্ধের স্লাইডে তারা খুবই অবাক হইসিলো যখন বলসিলাম একরাতে এই শহরের সব মানুষ মেরে ফেল্লেও ২৫শে মার্চের সমান মানুষ মারা যাবেনা। মুক্তিযুদ্ধের গল্প করতে যেয়ে আমি আগেও দেখছি যে ব্যপারটা এতই নৃশংস, যে মানুষভাবে আমরা বাড়ায় বলতেছি। এই জন্যই ইতিহাসটা সংরক্ষণ করা আরও জরুরী। তাও এখন উইকিপিডিয়া আছে, কেউ সন্দেহ করলেই গুগুলনাথ করে উইকিতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পড়তে পাঠায় দেই।
অট - দোস্ত অনেকেই মুক্তিযুদ্ধরে ইচ্ছা কইরা যুদ্ধ কয়, এইটা খেয়াল রাখিস।
আমার মনে হয় আপনি এদেশের economy নিয়ে কিছু যোগ করে দিতে পারেন। একথা ঠিক আমরা কিন্তু এখন বিদেশের অনেক চেইন Fashion shop (Jessy, HnM, Dressman) গূলোতে আমাদের দেশের পোষাক থাকে। [url=http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_countries_by_GDP_(nominal)]বাংলাদেশের GDP[/url] এর অবস্থান দিয়ে দিতে পারেন।
তীর্যক চোখ
ধন্যবাদ তীর্যক চোখ। এটা মাথায় রাখব।
দারুণ
ধন্যবাদ লীলেনদা
আরে আগে বলবেন না!
বাংলাদেশ, মাই গোল্ডেন বেঙ্গল
দুঃখিত, উপরে দেয়া লিংকটা কাজ করছে না দেখে। এখানে দেখুন-
বাংলাদেশ, মাই গোল্ডেন বেঙ্গল
এই প্রেজেন্টেশনটা আমরা বানিয়েছিলাম। বিস্তারিত ঐ পোস্টে বলেছি
মিস হয়ে গেছে, আগে দেখলে অনেক কিছু খোঁজাখুজি করার সময় বাঁচতো
জাতীয় কবিকাজী নজরুল ইসলাম এর নাম দেয়া যেত। ভোজনরসিক বাঙ্গালির কিছু খাবার দাবারের ফটুক দেখিয়ে
সবার জ্বীভে পানি এনে দিতেন যদি অল্প সময়ে করা প্রেজেন্টেশনটি সত্যিই সুন্দর হয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
-আয়নামতি
খাবার দাবার এর ছবি এর আইডিয়াটা দারুন। আমি নিজেও হয়ত খাবার দাবারের ছবি খুঁজতে যেয়ে বেসামাল হয়ে যেতাম। প্রেজেন্টেশনটা আপডেট করব দেখি কিছু খাবার এর ছবি দিয়ে। ধন্যবাদ আয়নামতি।
বেশ ছিমছাম, গোছানো প্রেজেন্টেশন।
ফিডব্যাক কেমন পেলেন?
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ধন্যবাদ পাগল মন। ফিডব্যাকের ব্যপারে উপরে মন্তব্যে বলেছি। ওভারঅল যেটা মনে হয়েছে ওদেরকে খুবই অবাক করতে পেরেছি। তাতেই আমি খুশী
প্রেজেন্টেশন ভাল হয়েছে সাফি।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ জাহিদ ভাই
ভালো করলে অনেক দিক দিয়েই করা যেতো প্রেজেন্টেশন। কিন্তু মোটের উপর এটা যা হয়েছে তাতে আমার কুর্ণিশ।
বেশি ভালো লাগছে ইলিশের গামলাটা। ইলিশ গুলোর অবস্থা অবশ্য বেশি সুবিধার না, আমার মতোই কাঠবডি।
আর কালারফুল বিবাহ'তে এসে তো শব্দ করেই বলে ফেললাম, "কারবারটা দেখছোনি হালায়! নিজের খোমাই ঝুলায়া দিছে।" ময়না কো? অই ময়না, তুই তাত্তারি নিকাহ কর। তোর খোমা দিয়াও এইরম প্রেজেন্টেশন বানায়া সাফিরে ডিফিট দিমু! মুহাহাহা
ভালো কথা, এই প্রেজেন্টেশনের সাথে পেছনে একটা প্রচ্ছন্ন সুরের বাঁশি হলে ব্যাপারটা স্বর্গীয় পর্যায়ের কাছাকাছি চলে যেতে পারতো!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ইলিশের বডি আমার লাহান হইলে কি আর ছবি তোলার জন্য অপেক্ষা করত বস? আর নিকাহ নিয়া চিন্তা করলাম কার না কার খোমা ঝুলায়ে পড়ে কাগু আইসা আমারে কপিরাইটের হাইকোর্টে টানে আর কি, তাই নিজেরটাই ঝুলায় দিলাম ছাত্রীগুলান এট্টু দুঃখু পাইছে মনে হইছিল, কিন্তু কি আর করা! প্রেজেন্টেশনের সাথে বাঁশির বুদ্ধিটা ভাল দিছেন। এটা মাথায় আসেনাই, তবে ঐ রুমে সাউন্ড সিস্টেমের সুবিধাও ছিল কিনা খোঁজ নিতে হত আগে। যাউকগা আগামী বার। তয় আগামীবার কিন্তু কালারফুল বিবাহে আপনের ফটুক দিতাছি। সুতরাং বল এখন আপনের কোর্টে
একটা বিরাট ইম্পর্ট্যান্ট জিনিস বাদ পড়েছে। খালি গায়ে, লুঙ্গি কাছা দিয়ে কাবাডি খেলার একটা দৃশ্য থাকতেই হতো। -রু
ঠিক। ফারুক ভাইয়ের ভিড্যু দেখতে দেখতে ঠিক এই কথাটাই ভাবছিলাম। ধন্যবাদ রু।
আপনেও বুনোপার মতন স্মাইলি মারলেন? এই ধরেন তাহলে
খাইসে!
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
খাইসে! ইরাম কারাতে ইস্টাইলে কাগজ কাটাকুটি শিখার কিতাব কই পাওয়া যাবে?
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
প্রেজেন্টেশন খুবই ভালো হইসে। আমাদের প্রেজেন্টেশনটা আপনারে দিব নে। কিছু পছন্দ হইলে লাগায়ে নিয়েন। আমাদের পুরা কালচার নাইট ছিল। ছোট প্রেজেন্টেশন, ওয়ার্ল্ডকাপের বিউটিফুল বাংলাদেশ ভিডিও, শাড়ি-লুঙ্গি পড়া শিখানো এইসব করসি। আর একটা বাংলাদেশে ঘুরতে যাওয়া একজন আম্রিকান মেয়েরে দিয়ে কিছু কথা বলাইসি।
বিউটিফুল বাংলাদেশ ভিডিওর সময় এক পিচ্চি বিশাল করে ওয়াআআআও বলে চিল্লান দিসে
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
শুনেতো ফাটাফাটি মজা হইসে মনে হচ্ছে। বস একটা পূর্ণাঙ্গ পোস্ট লিখে ফেলেন।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
জটিল হয়েছে বস্। তবে উপরের কমেন্টগুলোর সাথে আমি একমত। আরও অনেক কিছু হয়ত ছিলো দেয়ার মত। আসলে অল্প কথায় বাংলাদেশ কে মনে হয় উপস্থাপন করা সম্ভব না। আমাদের এ জন্মভূমি আসলে অনেক সাধারণ রূপে অনেক ভুরিভুরি অসাধারণ অলংকারে সজ্জিত। তাদেরকে বলা যেতে পারত, তোমাদের দেশের জায়গা আর মানুষের ঘনত্বের মতোই; জায়গা বেশি, মানুষ কম। তেমনি কথা বেশি, জিনিস কম। কিন্তু আমাদের দেশের যা দেখাইলাম তার কথা যদি বালুকণা হয় তবে দেশটা মরুভূমি।
অতীত
ভাল বলেছেন অতীত।
দারুণ!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
প্রেজেন্টেশনটা ভালো হইসে, অল্পের মাঝে গোছালো।
নেন সুহান
ভাল হইছে ভাই।
অলস সময়
ধন্যবাদ পলাশ ভাই
Slide 8, spelling of Bangladesh is wrong.
80 times not 80%.
হায় হায় মারাত্মক ভুল। ধন্যবাদ বস। ৮০ গুনের ভুলের কথা উপরের মন্তব্যে আছে।
যা বাদ গেছে, গেছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত যা দাঁড় করাইসেন সেইটা অনেক ভালো লাগসে। তুলনাগুলাও ভালো হইসে।
ধন্যবাদ নিভৃত সহচর
ধন্যবাদ আপনাকে
ফাটানো পেজেন্টেশান। আপনার স্লাইডগুলো বেশ গোছানো ও পরিচ্ছন্ন। তথ্যের, অ্যানিমেশানের বাড়াবাড়ি নেই।
চমৎকার।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ ফাহিম ভাই। প্রেজেন্টেশনে এনিমেশন ভালু পাইনা। আপনি আপনার one picture a day প্রজেক্টটা নিয়ে একটা লেখা দেন না
আমার one picture a day প্রজেক্ট? এক বছর হয়ে গেল ক্যামেরাই ধরি না। ক্যাম্নে কী?
ভুল লোককে ভাই ডেকেছেন, এখন??
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
শুনেন কাহিনী। সচল কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর নামও ফাহিম, আর সেও আপনের মতন কোপানি দিয়া ছবি তুলে। এর আগে আমি তাঁরে আপনি ভাইবা ফেসবুকে কথা কইসিলাম, এর পর আজকে আপনারে উনি ভাইবা কথা বলে শোধবোধ করে দিলাম। উনি একটা 'প্রতিদিন একটা ছবি' এরকম প্রজেক্ট শুরু করেছেন। আপ্নেও করেন একটা
ছিমছাম প্রেজেন্টেশন। ভালো লেগেছে। আপনার উদ্যোগটাও চমৎকার।
ধন্যবাদ বইখাতা
খুবই চমৎকার প্রেজেন্টেশন, অনেককিছু দেখিয়েছেন কম সময়ে।
ধন্যবাদ আনন্দীদি
নতুন মন্তব্য করুন