ইউনুস খান হাতটা এমনভাবে মুশফিকুর রহিমের কাঁধে রাখলেন যেন বড় ভাই সাহস দিল ছোট ভাইকে। একটু পর ট্রফি উন্মোচন পর্বে মিসবাহ-উল-হকের পাশেও আকৃতি-শরীরী ভাষায় ছোট ভাইয়ের মতো লাগল মুশফিককে।
ড্যারেন স্যামি চেষ্টার ত্রুটি করলেন না। প্রথমে চেয়ার এগিয়ে দিলেন, সেটার ওপর দাঁড়িয়ে যদি তাঁর সমান হতে পারেন মুশফিকুর রহিম! এরপর পা দুটো একটু ভেঙে নিজেই মুশফিকের সমান হওয়ার চেষ্টা করলেন।
উপরের পর্যবেক্ষণ দুটি প্রথম আলোর ক্রীড়া সাংবাদিক তারেক মাহমুদের। প্রথম রিপোর্টটি বাংলাদেশ পাকিস্তান ওডিআই সিরিজ শুরুর প্রাক্কালে আর দ্বিতীয় রিপোর্টটি লেখা হয়েছিল, সাম্প্রতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশ সিরিজ এর শুরুতে। তারেক মাহমুদের উচ্চতা ফেটিশ নতুন কিছুনা। সে কারণেই হয়ত উভয় রিপোর্টই তিনি শুরু করেছেন মুশফিকের ক্ষর্বাকৃতি নিয়ে। সেই সাথে যুক্ত হয়েছে পাকিস্তান প্রীতি। তাই কাঁধে হাত রাখার মত ব্যাপারেও পাকিস্তানি অধিনায়কের মধ্যে বড় ভাইয়ের ছায়া দেখতে পান। প্রথম আলোর ক্রীড়া সম্পাদকীয় নীতির সাথে সাংঘর্ষিক হয়না বলেই হয়ত এই রিপোর্ট চলে আসে পত্রিকার পাতায়।
পাকিস্তানের সাথে বন্ধুত্বের ব্যপারে প্রথম আলোর বেশ উৎসাহ দেখা যায়। পাকিস্তান দল বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে আসার পরেই রিপোর্ট করে প্রথম আলো - "ক্রিকেটের সঙ্গে বন্ধুত্বও চায় পাকিস্তান" অথচ প্রথম আলোর সেই রিপোর্টে আঁতিপাতি করে খুঁজেও এমন কোন অফিশিয়াল বক্তব্য পাওয়া যায়না যা তাদের শিরোনামকে যথার্থতা দেয়। তাহলে কোথা থেকে এমন শিরোনাম করে প্রথম আলো?
পাকিস্তানিরা বাংলাদেশীদের ভাই, প্রথম আলোতে এই থিম নতুন কিছুনা। বেশ অনেকদিন ধরেই তারা আগ্রহের সাথে এ সংক্রান্ত খবর ছেপে যাচ্ছে। যখনই কোন পাকিস্তানি এ বিষয়ে কিছু বলে, তাই নিয়ে প্রথম আলোতে রিপোর্ট আসে। উদাহরণ স্বরুপ বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে ইমরান খানের জিও টিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারের কথা বলতে পারি। ইমরান খান জিওটিভিতে হামিদ মীরকে দেওয়া এক টক শোতে বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে দাবী করেন। অথচ একজন পাকিস্তানি হিসেবে তিনি ক্ষমা চান না, বা খোদ জেনারেল নিয়াজীর ভাস্তে হিসেবে চাচার কর্মকান্ড নিয়ে তাকে অনুতপ্ত বা লজ্জ্বিত হতে দেখা যায়না। আর এই খবরকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ছাপে প্রথম আলো, তাও আবার শেষের পাতায়। মজার ব্যাপার হলো প্রথম আলোর কাছে যেই খবর এত গুরুত্বপূর্ন গুগুল সার্চ করে সেই একই খবর আমি সমসাময়িক অন্য কোন বাংলাদেশী দৈনিকে খুঁজে পাইনা।
এর পর বলা যায় হামিদ মীরের কথা। হামিদ মীর প্রথম আলোতে নিয়মিত কলাম লেখেন। সচলায়তনে এর আগে ফারুক হাসান ভাই এই নিয়ে আলোচনা করেছেন আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন। প্রথম আলোতে ছাপানো হামিদ মীরের লেখাগুলোর মূলসুর থাকে কেন পাকিস্তানের উচিত বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া বা পাকিস্তানের ইতিহাস বিস্মৃত তরুণ প্রজন্মের কথা। অথচ এই লেখাগুলোর টার্গেট অডিয়েন্স হওয়া উচিত যেই পাকিস্তানীরা তাদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব লেখা লেখেন কিনা জানতে পারিনা। জিও টিভির শীর্ষস্থানীয় এই হামিদ মীর জিওটিভিতে একাত্তরের সত্য ইতিহাস তুলে ধরার সুযোগ থাকলেও সেসব ছেড়ে প্রথম আলোর জমিন অলংকরণ কেন করেন তা আমার বোধগম্য নয়। অবশ্য মানি টকস, প্রথম আলো চাইলে তাকে নিয়ে লিখিয়ে নিতেই পারে। এক্ষেত্রে হয়তবা তাই-ই হয়। প্রথম আলো কি তাহলে পাকিস্তানের সাথে বন্ধুত্ব চায়? প্রথম আলোর সহযোগি প্রতিষ্ঠান প্রথমা প্রকাশনী কী এজেন্ডা নিয়ে ভুলে ভরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ছাপায়?
পত্রিকার পাতা খুব শক্তিশালী একটা মাধ্যম। প্রচার সংখ্যার শীর্ষে থাকা প্রথম আলোর, মানুষের কাছে পৌছানোর শক্তি আরো বেশী। এ কারণেই দেখা যায় রাজনীতিবিদ বা পয়সাওয়ালা ব্যাবসায়ীরাই বাংলাদেশে পত্রিকা আর টিভি চ্যানেলের মালিকানায় থাকে। পত্রিকায় যখন আপনি দিনের পর দিন একটা কথা প্রচার করে যাবেন, মানুষের মনে সেটা ছাপ ফেলতে বাধ্য। গোয়েবল্স বলেছিল একটা মিথ্যা দিনের পর দিন শুনতে থাকলে সেটা সত্যি হয়ে যায়। প্রথম আলো কী কারণে পাকিস্তানকে আমাদের ভাই বানাতে চায়?
পাকিস্তানিরা আমাদের ভাই - আমার কাছে এটা অত্যন্ত অশ্লীল একটা কথা। তারেক মাহমুদ বা প্রথম আলোর কাছে যে না সেটা স্পষ্ট। পাকিস্তানের কাছে আমাদের এখনও অনেক দেনা পাওনা বাকি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার থেকে শুরু করে, তাদের সেনা অফিসারের বিচার, যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ, আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা - অনেক কিছু। এর মাঝে প্রথম আলোর ভাই-ভাই থিওরী দৃষ্টিকটু রকমের অশ্লীল। অথচ দিনের পর দিন, এই অশ্লীলতা প্রচার করে যাচ্ছে তারা। রুবাইয়াতের মেহেরজান, তার সপক্ষে প্রথ্ম আলোর কলামিস্টদের কলম যুদ্ধ, ইমরান খান হামিদ মীর এর ক্ষমার প্রসংগের অবতারণা আর বাঙ্গালি পাকিস্তানির ভাতৃত্বের গীত গাওয়া - প্রথম আলোর মত শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার এহেন প্রচার কী উদ্দেশ্যে সেটা বুঝাটা খুব প্রয়োজন।
সংযুক্তি - প্রথম আলোতে পাকিস্তান দলের খবর বেশী ছাপা হয়, নিয়মিত প্রথম আলো পড়েন এরকম অনেকের-ই এটা একটা সাধারণ অভিযোগ। বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে, আমরা কয়েকজন (টিউলিপ এবং অম্লানের প্রতি কৃতজ্ঞতা) মিলে ঠিক করি ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম আলোতে টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর খবর কি হারে ছাপা হয় তার একটা জরিপ চালানোর। সময়াভাবে তা আর শেষ করা হয়নি। ফেব্রুয়ারির ১, ৪, ৫, ১১-১৫ তারীখের প্রথম আলোর খেলার পাতার খবর খুঁজে অবশ্য অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। খবর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের পরেই পাকিস্তান, আর তার পরে ভারতকে দেখা যায়। বিশ্বকাপের ভেনু হিসেবে আর ইডেনে খেলার জটিলতা নিয়ে কয়েকটি রিপোর্ট ভারতের পক্ষে রিপোর্টের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করেছে, যা হয়তা ভারত ভেনু না হলে হত না। পাঠকদের জন্য এই ৮ দিনের চার্ট নিচে দেওয়া হল -
মন্তব্য
পাখাপোমাচু।
পাখাপোচু।
প্রথম আলোর ক্রীড়া পাতায় পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের দৃষ্টিকটু রকমের কাভারেজের কোন কারন খুঁজে পাই না। লেখায়
লোক মারফত শুনেছি, প্রথম আলো সম্পাদক পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের ব্যাজায় ফ্যান সত্যি মিথ্যা জানিনা।
আরে, তুইও শুঞ্ছিস? আমিও শুঞ্ছি!
হুম এরকম কথা শুনেছি কিন্তু যাচাই করার উপায় নাই, রবি ভাইয়া সচল পড়তে আসলে জিজ্ঞেস করতাম
সানডে'র জন্য গুড়ের ঠিল্লা লৈয়া বইসা আছি, অপার হয়ে...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সাফি ভাই, এখানে রবির প্রসঙ্গটা আসলো কেন বুঝতে পারলাম না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আগেই বলেছি যে শোনা কথা অনুসারে মতিউর রহমান পাকি ক্রিকেটের ফ্যান। যেহেতু প্রথম আলোর কাছে পৌছানোর আমার কোন উপায় নেই, তাই সত্য মিথ্যা যাচাই এর উপায়ও নেই। এদিকে রবি ভাই প্রথম আলোতে কাজ করেন, আবার মাঝে মাঝে সচলেও আসেন।
তাই কথাটা সত্যি না মিথ্যা এটা ওনার থেকে জানতে পারতাম - সেই আশা ব্যক্ত করেছি শুধু। বুঝাতে পারলাম?
রবি প্রথম আলোতে কাজ করে না, কাজ করে যুগান্তরে। আর প্রথম আলোর দু-একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া সার্বিকভাবে প্রথম আলোর সাথে তার সম্পর্ক ভালো না-ই বলা যায়।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এ বিষয়ে আমি তাহলে ভুল জানতাম। রসালোতে তিনি কাজ করেন এমনটা কোথাও শুনেছিলাম। যাই হোক, প্রথম আলোর কাছে পৌছানোর প্রয়োজন ছিল, আপনার মাধ্যমে পৌছেছে তাতেই যথেষ্ঠ।
ভাল থাকবেন।
রসালোর সিমুর সাথে ওর সম্পর্ক ভালো, তাই তার লেখা ওখানে ছাপা হয়! যা হোক, আপনার লেখা অলরেডি পৌঁছে দিয়েছি, জানি না তিনি প্রাপ্তি স্বীকার করে কিছু জানাবেন কিনা।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
মেহেরজানের সমালোচনা সম্পাদকীয় পাতার বাম পাশে ছাপিয়েছিলো প্রথমালো, ডান পাশে ছিলো পরিচালকের সমালোচনাখন্ডন; সেই একই সমালোচনার উত্তর, সেই একই সংখ্যায়।
পাকিস্তান নামটাকে ঘেন্না করি, পাকিস্তানের পতাকাটাকে ঘেন্না করি। তারচে' বেশি ঘেন্না করি এই দেশে বসে থাকা নব্য রাজাকারদের।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
সমালোচনা আর তার জবাব যে একি সাথে পত্রিকায় ছাপা হতে পারে, না দেখলে বিশ্বাস করতাম না।
ইমরান খানের নাম শুধু ইমরান খান বললে চলবে? পুরো নাম "ইমরান খান নিয়াজী" বলতে হবে ।
বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ড নিজেই যেখানে পাকিস্তান প্রেমে অন্ধ সেখানে তারেক মাহমুদকে একা দুষে আর কী লাভ?
সেদিন আফ্রিদি ব্যাটিং করতে নামার সময় স্টেডিয়ামে দর্শকদের উল্লাস শুনে হতভম্ব হয়ে গেছিলাম কোন দেশে খেলা হচ্ছে ভেবে!
লিঙ্কটার ছবি এম্বেড করে দিলাম। আফ্রিদি উইকেট পাওয়ার পর দুই পা ফাঁক করে চ্যাগায় দাঁড়ায়নি - সেইটা নিয়েও এরা রিপোর্ট করেছে -
আর তারেক মাহমুদের হয়ে গেলো।
এইটা শুভ্রর লেখাও হৈতে পারে
উটপাখি বালিতে মুখ গুঁজে, উল্টাদিকে একটা জিনিস উঁচা হয়া থাকে, সবাইরে কয় বদলে যাউ। আমি বইসা অবাক হয়া রঙ্গ দেখি।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
হা হা হা...বদলে যাও বদলে দাও !! প্রথম আলো নিজেই একটা উটপাখি ! আমাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভি সি ডঃ আবু ইউসুফ এর সময়ে যখন সাধারন ছাত্র-ছাত্রীরা বেতন বাড়ানোর প্রতিবাদে আন্দোলন করছিল আর পুলিশ যখন তাদের রীতিমতো গরুপেটা করেছিল তখন প্রথম আলো ঠিকই উটপাখির মতন বালিতে মুখগুজে ছিল ! প্রথম আলু খুলে আমি হতাশ হয়ে দেখতাম আমাদের কোন আন্দোলনই তারা পাত্তা দেয় নাই। শহরে আমরা যখন শান্তিপুর্ণ অবস্থান-ধর্মঘট করেছি তখনও তাদের কোন খবর নাই ! শান্তিপুর্ন কিছুর কোন দাম নাই তাদের কাছে !
()
_________________
[খোমাখাতা]
ভাই তো বটেই, _দির ভাই।
হ!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হ
_________________
[খোমাখাতা]
সেদিন ফেসবুকে এক বন্ধু বলছিলেন, খোদ মতিউর রহমান ভাইয়াই নাকি পাকি ক্রিকেটের সিরাম ফ্যান। আলু পড়লে তো মনে হয়, কথাটা ভুল না।
মতি ভাইকে নিয়ে আমিও শুঞ্চি, আর তারেক শুভ্রের লেখা পড়লে বুঝি
ছাগুস্তানের প্রতি আজন্ম ঘৃণা..............
আমাদের ভাই না। যারা বলে তাদের হয়তো ভাই।
আমাদের ভাই, তবে _দির ভাই
লেখায় পাঁচতারা।
প্রথম আলোর খেলার পাতায় এখন তো ঈদ লেগেছে, পাকিস্তানের খবর দিয়ে সয়লাব। খেয়াল করে দেখবেন যে যখন পাকিস্তানের কোনো খেলা থাকে না, তখনো কোনো না কোনো সংবাদ তাদের নিয়ে থাকবেই। আর এখন তো কথাই নেই।
আরেকটা মজার জিনিস থাকে, সেইটা নিয়ে সামনে পোস্ট দিচ্ছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
স্বজাতীয় সম্পদ যাঁরা, বাঙ্গালী তাদের হত্যা করে নির্দ্বিধায়; পকেটমার-ডাকাত সন্দেহে নিরীহ মানুষকে পিটিয়ে মারে প্রকাশ্যে।
কিন্তু গনশত্রুদের সাথে গলা ধরে পিরীত করে যুগের পর যুগ। বাঙ্গালীর অন্তর দয়ার মহাসাগর। বাঙ্গালী অত্যন্ত ভাতৃত্বপরায়ন জাতী। বাঙ্গালী খুবই ক্ষমাশীল এবং বন্ধুবাৎসল।
হায়রে পিরীত। বাপ-ভাইয়ের জীবন গেল, মা-বোনের ইজ্জত গেল; তবুও পিরীতের আঠা যায় না।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
এইসব পাকমনপেয়ারুর দায় বাঙ্গালীর উপরে চাপাইতে চাইনা, পাকমনপেয়ারু যেমন আছে, আমার আপনার মতন মানুষ ও আছে। ছোটবেলায় এগুলারে খান বাড়ির ছোট বৌয়ের কাছে পাঠাইলে কাজ দিত।
প্রথম আলোকে বদলাতে কে সহায়তা করবে?
বায়তুল মোকাররমের খতিব।
লেকিন উও বুড়হা আদমি তো মর গিয়া। মতি ভাই হাত ধরে যে ক্ষমা চাইল তার পরপরই খতিব সাহেবের হার্ট টসকায়া গ্যাছে। এত বড় ধকল নিতে পারে নাই হার্ট। আপসুস, মতি ভাই এখন এতিম।
/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।
এক খতিব লোকান্তরে, লক্ষ খতিব ঘরে ঘরে।
নতুন খতিব মাওলানা মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন কী দোষ করলেন? তার কি বাবা হতে শখ হয় না?
ব্যা. মইনুল হোসেনের কথা কন না ক্যান ভাই?
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ভাই কি ব্যনারের ছবি দিলেন!!!!! লিখা পাকিস্তান বাংলাদেশ-এর টি-২০ কিন্তু বাংলাদেশের কোন খেলোয়ারের ছবিতো দেখিনা...!!! এটা কি হলো??????!!!!!!!!!!!!
ঘাবড়ায়েন না। টিভিতে দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য অমুক ভার্সেস তমুক সিরিজে দেশের নাম খেয়াল করলে দেখবেন আয়োজক দেশের নাম সবসময় আগে বসে।
কিন্তু পাকিস্তান যখন বাংলাদেশে খেলতে আসে তখন তার ব্যতিক্রম হয়। আর পোস্টারে আফ্রিদির লম্বা, ফর্সা বডির পাশে শফিউলের কালা, চিকন বডি কি মানায়?
আর বাট্টু মুশফিকুর, টেনেটুনে হয়ত শাহাদাৎ রে দেওয়া যাইতে পারে "দাঁড়ি রাখলে যাকে সবাই পাকিস্তানি ভাবে"
তোফা, তোফা, তোফা!!
পাঁচটি তারা গুনিয়া দিলুম
খালি পত্রিকার দোষ দিলেন, সেদিন মাঠে গিয়ে তো আমি নিজেই অবাক, অনেকের মুখে পকিস্তানের পতাকা আকা, হাতে পাকিস্তানের পতাকা! বিশেষ করে যখন বাংলাদেশ বাজে ব্যাটিং করে আউট হওয়া শুরু করল, তখন তো অনেকের ভাব দেখে মনে হল না যে, বাংলাদেশের মাঠে বসে এই খেলা দেখছি!
আমি কিছুই জানি না ,শুধু জানি এখন এই জারজ গুলোকে ফাকিস্তানে পাঠানোর কাম
গেলে তো হৈতই
পত্রিকার আরো দায়িত্বশীল হওয়া উচিত
পাকিস্তানিদের ভাই, মানে পাকিবীর্যে যাদের জন্ম, পাকিবীর্য ছাড়া তাদের ভাল লাগবে না। পাকি ভাইদের যৌবঞ্জ্বালা মেটাতে তাদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া হোক। শুয়োরের বাচ্চারা বাংলার মাটিতে থাকতে পারবে, কিন্তু আমরা পাকিবাচ্চা মুক্ত বাংলা চাই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অট ঃ ইভানা তুমি কুতায়?
পাকিস্তানিদের সামনে বাংলাদেশি খেলোয়াড়রা ছোট ভাই সুলভ আচরণ করেনি বরং আমার কাছে মনে হয়েছে ওরা নারী সুলভ আচরণ করেছে, যথাযোগ্য পুরুষদের সামনে নারীরা যেমন মিনমিনে আচরণ করে অনেকটা ওই রকম
আমাদের অনেক খেলোয়াড়ের প্রিয় খেলোয়াড় কিন্তু পাকিবাবারা, খুউপ খেয়াল কইরা
পাকিবীর্যে যাদের জন্ম, তারাতো পাকি সাপোটার হবেই
graph টার y-axis এ কি?
মনে হয় প্রকাশিত খবরের সংখ্যা।
ঠিক
আমি বুঝি না বাংলাদেশের ডিজুস পোলাপাইন পাকিস্তানের এত ভক্ত কেন। জামায়াতীদের মত দেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করার পায়তারা করার জন্যও একটা নুন্যতম বুদ্ধি লাগে যা এদের নাই, আমার পর্যবেক্ষণে এরা মূলত পাকি প্লেয়ারদের চেহারা আর ভাল খেলার জন্যই সমর্থন করে। আমি বুঝি না আফ্রিদির কি এমন সৌন্দর্য্য আছে যার জন্য বাংলার পোলারা সমকামী হয়ে যায়, বাংলার মমিন, পর্দানসীন, লজ্জাবতী নারীরা চোখের জিনা করে। আমি বুঝি না আফ্রিদি কি এমন ভাল খেলে যার জন্য পোলাপাইন টেন্ডুলকারের মত একজন শিল্পী থাকতে গালে পাকিস্তানের পতাকা এঁকে খেলা দেখতে যায়।
সবই বোধহয় রক্তের টান......
এইটা শুধু ডিজুস না, আমার জেনারেশনের পোলাপাইনের মাঝেও দেখেছি।
পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বাংলাদেশী সমর্থকদের ইয়েতে অগ্নিসংযোগ করার একটা ভালো উপায়, আমার মনে হয়, ইসরায়েলী ক্রিকেটদলের সমর্থক বনে যাওয়া। উইকিতে দেখতে পাচ্ছি ইসরায়েলের ক্রিকেট দল রয়েছে। ঢাকায় বাংলাদেশ আর ইসরায়েলের খেলা দেখতে চাই। গালে ইসরায়েলের পতাকা এঁকে গ্যালারীতে বসতে চাই।
কেন ভাই, গালি কি বাংলাদেশের পতাকা আঁকাটা বেশী কঠিন?
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ ভাইয়া
পাকিস্তানের জাতীয় পশু হল মার্খর নামক ছাগল। কোন এক সময়ে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) নাকি কিছু মার্খর ছাগল আনা হয়েছিল। আমি দুষ্টলোক, আমার তো সন্দেহ হয় তারেক মাহমুদ, শুভ্র এরা এই মার্খর বংশলতিকার কিনা? সপ্তাহে স্বপক্ষে প্রমাণ ও পাই প্রতি সপ্তাহে আলু পত্রিকার পাতায়।
আমি যেই এলাকায় বড় হয়েছে, "মারা খাওয়া" বলতে একটা বিশেষ জিনিস বোঝায়। তাহলে যে মারা খায় সে তো মারখোর হবেই।
প্রথম আলু তো সুঁই হইয়া ঢুকলো আর এখন মনে হয় ফাল হইয়া বের হয়তাছে।
বের হতে না দিতে কি করা যায় সেইটা চিন্তা করতে হবে
একসময় আমি পাকি মিলিটারিদের একটা ইন্টারনেট ফোরামে নজর রাখতাম। ওখানে বাংলাদেশের পাকিবান্ধব মিলিটারীরাও গপ করতে যেতো (নাকি ইসটেরেটেজি শিখতে যায় কে জানে)। সেখানে বড় ভাইরা ছোট ভাইদের সাথে যে পেয়ার মহব্বত দেখাতো তার সাথে উপরের বর্ননার হুবহু মিল পেলাম। এবং আমাদের দেশে এই মানসিক অবস্থানের লোকসংখ্যা আশংকাজনকভাবে বেশী।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনেক দিন ধরেই খেয়াল করে আসছি , তারেক মাহমুদের কোনো লেখাই মানসম্পন্ন হয় না । প্রতি লেখা প্রায় একই রকম , বিরক্তিকর । প্রথম আলোর খেলার পাতায় ভুলের সংখ্যা সবচেয়ে কম থাকে , অন্যান্য রিপোর্টার গুলাও মান সম্পন্ন , কিন্তু তারেক মাহমুদের রিপোর্ট পড়লে গা জ্বলে
প্রথম আলোর খেলার পাতায় একবার দেখেছিলাম "পেনের গোলে জয়লাভ অমুক দলের" । এই পেন আর কিছু না, ফুটবলের স্কোরে পেনাল্টিকে সংক্ষেপে পেন লিখে রাখে। অন্য পত্রিকার ভুল ভাল জানিনা - তবে প্রথম আলো ভুলের উর্ধ্বে নয়।
প্রথম আলোর পাকিস্তানপ্রীতি নতুন কোনো ঘটনা নয়; পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং জঙ্গীদের প্রতি প্রথম আলোর ভালবাসা অশেষ। কালের কণ্ঠ এই বিষয়ে কিছু লেখা ছেপেছিলো, কিন্তু লেখাগুলোতে বিদ্বেষ এবং অপরকে হেয় করার উদ্দেশ্যের উৎকট প্রকাশ থাকায় তথ্যপ্রমাণ থাকা সত্ত্বেও লেখাগুলো ততটা গ্রহণীয় হয়নি।
আরো বড়ো সমস্যা হলো- প্রথম আলোর পাকিস্তানপ্রেম, হলুদ সাংবাদিকতা জানা সত্ত্বেও নিলর্জ্জ জ্ঞানপাপীর মতো অনেকেই টাকা দিয়ে কিনে প্রথম আলো পড়ে।
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
কমেন্টে
পত্রিকা পড়াটা মনে হয় অনেকটা অভ্যেস এর ব্যাপার। আমি নিজেও প্রথম আলো ছাড়া অন্য দৈনিক নিয়মিত পড়িনা।
চূড়ান্ত অশ্লিল লাগে বাক্যটা/ প্রশ্নটা। আমার ভাইএরই দরকার নাই।
কি আর বলবো !!! আমার এক মেয়ে বন্ধুর মন অনেক অ-নে-ক খারাপ। কারন ওর কাল্পনিক মেয়ের (!!) বাবা "আফ্রিদি" দেশে আসছে, কিন্তু সে দেখা করতে পারছে না। আমি আফ্রিদিকে "বাল এর আফ্রিদি" বলায় সে আমার ১৪ গুষ্টি উদ্ধার করে । কেন আমি তার জামাই কে নিয়ে বাজে কথা বললাম তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আর খেলার সাথে ১৯৭১ কে না মেলানোর উপদেশ ও পাই তার কাছ থেকে।
এতো দেখি স্বেচ্ছায় ইজ্জ্বত দিয়ে বসে আছে!
যে প্রথম আলোতে রাজাকার-আলবদর নিয়ে বিরাট বিরাট ভাষণ শুনেছি একসময়,সেই প্রথম আলোই যখন এমন খবর ছাপে তখন আসলে খুবই হতাশ লাগে।
কিন্তু হঠাৎ করে তাদের পাকিপ্রেম বেড়ে গেল কেন? শুরুর দিকে তো এমন ছিল না। কয়েক বছর ধরে এ ব্যাপারটা হয়েছে। আসলে ঘটনাটা কী??
_________________
[খোমাখাতা]
হঠাৎ করে আসলে হয়নি ব্যাপারটা। আমি আজকের কাগজ থেকে ভোরের কাগজ হয়ে প্রথম আলোর পাঠক, জন্মলগ্ন থেকেই। প্রতিদিন সকালে পত্রিকা পড়ার অভ্যেসটাও ছোট থেকেই। সুতরাং আমার কাছে এটা নতুন লাগেনি। যদি সম্ভব হয়, ২০০৮ এর মার্চ এপ্রিলে বাংলাদেশ পাকিস্তান সিরিজে খেয়াল করলেও এই মিল দেখবেন। আরেকটা জিনিস খেয়াল করবেন, যখনই ক্রিকেট রোমান্টিকতা বা রোমাঞ্চের কথা আসে - তখনই কিন্তু প্রথম আলো সার্জাহ এ জাভেদ মিয়াদাদ এর শেষ বলে ছক্কার কথা মনে করিয়ে দেয়। অথচ শেষ বলে ছক্কার খেলা কিন্তু একটা নেই।
অনেক _দির ভাই কয় ক্রিকেট খেলায় ৭১ এর কথা টাইনা না আনতে ! ফেসবুকেই কোন _দির ভাই লিখলঃ পাকিস্তান ক্রিকেট টিম বেলুচ রেজিমেন্ট না যে তাদের ঘেন্না করুম !! ঠিক আছে ঠিক আছে চলেন উনাদের _ছায় চুমা খাই !
"পাকিস্তান" নামটা শুনলেই তো ৭১ মনে পড়ে যায় ! কিভাবে কিছু পাকিস্তনীকে আলাদা চোখে দেখব ? নাকি ক্রিকেট খেলে বলে তারা পাকিস্তানী নাহ !?!?
হাতের কাছে পাইলে একটা চটকানা দিবেন টেনে, এর পর বলবেন আসো সোনা, খেলা দেখি। আর ক্রিকেট খেলার সাথে চটকানা মিশাইওনা।
ভাই চট করে চটকানা দিয়ে কানের উপ্রে থাপ্পড় মারতে ইচ্ছে হলেউ হাউজ মেট (সেহিসেবে ছোট ভাই) বলে কিছু করা যায় না। আগে পাকিদের 'পাকিস্তানি'ই বল্তাম, কিন্তু এখন ওদের শোনায়ে পাকিদের পাকি ডাকি, তবু রাগ মেটে না, মুখে শুধু থুতু আসে। লজ্জা লজ্জা, এরা বাংলা ভাষায় কথা বলে ঠিক কিন্তু বাঙাল না, বা বাঙালিত্ব ওদের কাছে শুধু পান্তা ভাত। ওরা আস-পাসের লোকেদের দেখে পাকি প্রেম পায় ছোট বেলায়, পরে বাপ-দাদার দেয়া ধর্মের মত পাকি গন্ডির বাইরে বেরুতে পারে না। জেলে যদি কক্ষনো যেতে হয়, হয় রাজনীতি করে যাব, নায় খুন করে যাব, নায়লে পাকিদের এগেন্স্টে রেসিস্ট কমেন্ট করে যাব (আর তার আগের পাকি মার ফ্রি , আগে মাইর তারপরেই তো পুলিস, ব্যাপার না মার খাওয়া অভ্যাস আছে, তারপরও)। বিবর্তনে অন্য আর কোন পশু মানুষ হয় না, শুধু মানুষ বারবার পশু হয়।
শাফি।
আমার ক্ষমতা হওয়ার পর সবগুলার নামে স্রেফ দেশদ্রোহীতার মামলা করব! এরা নিজের মা'কেও বিক্রী করতে পারে হাসতে হাসতে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
পূর্ণ সহমত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
একটা মানবতাবাদী চিন্তাধারা এরকম: ক) শেখ মুজিবকে কিছু সৈন্য হত্যা করেছিলো, সুতরাং এ দায় সেনাবাহিনীর ওপরে পড়ে না, খ) কিছু সেনাশাসক বাংলাদেশকে শাসন করেছেন বটে, তবে সেজন্য সমগ্র সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দখলের কলঙ্ক দেয়া যায় না, গ) পাকিস্তানের কিছু সৈন্য ৭১ এ কিছু খুনখারাবি করেছিলো বটে, তবে সেজন্য পাকিস্তানীদেরকে ঢালাওভাবে দোষী ভাবা ঠিক না। এছাড়া সেনাবাহিনীর জন্য সিভিল নিয়ম খাটে না। বুঝতে হবে মানুষ মারাই তাদের কাজ। তবে ত্রাণ বিতরণ, ক্ষমতা দখল, ব্যবসায় দখল, টেন্ডারবাজি এসব করতে তাদেরকে আমরা ডেকে আনি বলেই তারা আসে। পাকিস্তান প্রসঙ্গে, এমনিতে পাকিস্তানের লোকজন খুব ভালো। ৭১ এ বাঙালি মুসলমান ভাইদের জন্য তারা কেঁদেকেটে কবিতা-টবিতা লিখে মিডিয়াজট বানিয়ে ফেলেছিলো। উদাহরণ,
তবে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার এই মহান উদ্যোগে আলু একাই না, অন্য অনেক মিডিয়াই কমবেশি ইঁদুর দৌঁড়ে আছে। যেমন, ডেইলি স্টারের মোহাম্মদ ইসাম (লিংক ১, লিংক ২)ও ক্রিকেটসূত্রে পাকিপ্রেমের সাক্ষর রেখে চলেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট ফ্যানদের এক সময়কার সবচেয়ে চালু সাইট বাংলাক্রিকেটও এখন পাকিপ্রেমে চলে।
ইনফ্যাক্ট, পাকিপ্রেমের এই জিনিসটা নোতুন না। বুয়েটের হলে পাকি সমর্থকরা খেলা দেখার সময় যেভাবে চেয়ার পিটিয়ে আনন্দোল্লাস করতো, তাতে কনফিউজড হওয়ার সম্ভাবনা অনেক ছিলো। এই সমর্থকগ্রুপে শুধু ছাগু ছিলো তা না, অনেক অসচেতন ননছাগুও ছিলো। আমি নিজেই ক্লাস এইট-নাইন পর্যন্ত পাকিস্তান সমর্থন করতাম। ৭১ আর পাকিস্তান যে সম্পর্কযুক্ত এই চিন্তাই মাথায় ঢোকে নাই। ইদানিংকার একটা পজিটিভ দিক হলো, এখন বিভাজনটা স্পষ্ট হচ্ছে। যারা পাকিস্তানকে ঘৃণা করছে, তারাও সচেতনভাবেই করছে, যারা পাকিপ্রেমে জান কুরবান করছে, তাদের মধ্যেও সচেতনতা বাড়ছে, সচেতনভাবেই গালে পাকি পতাকা আঁকছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বাংলাক্রিকেটে এক কালে পরে থাকতাম, সেই বাংলাক্রিকেটের এহেন দশা শুনে দুঃখ পেলাম। ডেইলি স্টার তো আর নতুন কিছুনা, আলু গং এর ই ভাই বেরাদার - তাই তেমন অবাক হইনি।
ভিডিওটা আগে দেখেছি, পাকমনপেয়ারুরা শুয়োরের বাচ্চা হয়ে হলেও পাকলেহনই করতে চায়। আমি আপনি বলে আসলে বোঝানোটা কঠিন।
দেশে ছাগলের সংখ্যা বেশী না। তবে ছাগল না কিন্তু গোস্ত মাটন এরকম মানুষ অনেক এবং দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছে।
এই জন্য আরো ঘন ঘন কাচ্চি দিবস পালন করতে হবে
অফটপিকঃ একটা জিনিস বুঝিনাই। দেখাচ্ছে লেখাটা "১৩৩ বার পঠিত", কিন্তু ভালো লেগেছে ১৬০!
সচল আপগ্রেডের সময় একটা অপটিমাইজেশন রুটিনের কারণে ইউনিক হিট কাউন্টার অকেজো হয়ে আছে। আমরা এটার সলিউশন খুঁজছি। সমাধান দিতে না পারলে এটা অফ করে অ্যানালাইটিক্স রিডিং ইমপোর্ট করা হবে।
এই জিনিষটা খেয়াল করি নাই। তাতে কিছু যায় আসে না, শুধু জানি পাকিস্তানিরা কোনোক্ষেত্রেই আমাদের ভাই হতে পারে না
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
সপন দা বলে এক চায়ের দোকানী ছিলেন সিলেটে। ছিলেন আমাদের খুব কাছের মানুষ।
তার চায়ের দোকানে একবার বাংলাদেশ - পাকিস্তান খেলা দেখছিল সবাই, হঠাত এক নতুন ক্রেতা প্রশ্ন করলেন,
কারা কারা খেলছে?
সপন দা উত্তর দিলেন, এক নাম্বার পাকিস্তান আর দুই নাম্বার পাকিস্তান।
কথাটা যে কতবড় সত্যি তা মাঝে মাঝে প্রথম আলো মানে করিয়ে দেয় শুধু
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
স্বপনদাকে স্যালুট। এইসব আর ভাল লাগেনা ঃ(
দেশে থাকতে বাংপাকি দেখতাম, আর এখন বিদেশে আইসা অরিজিনাল পাকি দেখি।এবং আশ্চর্যজনক হইলেও সত্য যে, এদের আচার-আচরণে ব্যাপক মিল দেখতে পাই। এই মিলের ব্যাপারে আমি আরো শিউর হইছি যখন আমার ফ্ল্যাটে একটা না, দুই-দুইটা পাকি আইসা উঠল। এতে আমার কোন হাত নাই (ইউনিভার্সিটির হাউসিং, তারাই ভাড়া দেয়, প্রতিরুম হিসেবে)। দুইটারে দেখতাছি, স্যাম্পল সাইজ খারাপ না। আর ভার্সিটিতেও এখন পর্যন্ত পাকি যতগুলি দেখসি, মাশাল্লাহ। এদের দেইখা একটা সিদ্ধান্তে আসছি, পাকিগুলির এখনও ঠিকমত ইভোলিউশন হয় নাই। Still long way to go.......... বাংপাকিগুলিরও মনে হয় একই দশা। কোন যুক্তিতর্ক, মনা-সোনা, থাপ্পড়-উস্টা কিছুতেই কিছু হয় না। এগুলিরে জুতা দিয়া বারি দিলেও মনে করে যে তাগোরে পাউরুটি দিয়া বাইরাইতেছে।
অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন, সচলেই লেখা দিতে পারেন
দিনে দিনে পাকমনপেয়ারুদের সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে চলেছে। আর আলুপেপারও মতিভায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় পাকিতোষণে হাত মকশো করে চলেছে। সামনে এ হার বাড়বে বৈ কমবে বলে মনে হয়না...
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
একটাই পত্রিকা পড়া হয়, সেই প্রথম আলো প্রতিদিন খুলে এই নকশা দেখতে ইচ্ছে করেনা আর
ভাই আমি বেশ কিছুদিন আগে সচলায়তনে লিখেছিলাম প্রথম আলো একটি ছাগুদের পত্রিকা। আর ছাগু না হলে ব্লগে আপনি চাঞ্চ পাবেন না।
জাতিকে মতিকন্ঠ পড়তে উদ্বুদ্ধ করতে হবে
ভাই তো অবশ্যই, ুদির ভাই
অলমিতি বিস্তারেণ
প্রথম আলোর উর্দ্ধতন একজনের সাথে এই বিষয়টা নিয়া আমার বেশ কয়েকদিন বাহাস হয়েছে। তিনি কোনোভাবেই মানতে নারাজ প্রথম আলোর ক্রীড়া বিভাগ পাকভক্ত। একদিন তো বলেই বসলেন, বেশ, আমাকে তাহলে প্রমাণ দাও!
আমি এখন এই লেখার লিংক ধরিয়ে দিচ্ছি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
তাহলে আপনার জন্য আমি আরেকটা লেখা লিখছি, সেটার লিঙ্ক পাঠিয়ে দেওয়ার অগ্রিম দাবী জানিয়ে গেলুম
গুড! দিয়েন। আর বস, উপরে একটা প্রশ্ন করেছি, দেখবেন?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
রবি ভাইকে নিয়ে প্রশ্নটার কথা বলছেন? ওটার উত্তর দিয়েছি তো
ধন্যবাদ
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
বিচারপতি হাবিবুর রহমানের লেখা মাঝে মাঝে আলুতে পড়ি। উনি জিন্নাহর সিরাম ভক্ত। ভুল হয়ে না থাকলে, তিনি আলু গোষ্ঠীর একজন চিন্তাকোষও বটেন। গতকাল মিজানুর রহমান খানের একটা আর্টিকেলে দেখলাম সে বিচারপতি হেবোকে লোকবুদ্ধিজীবী লোকবুদ্ধিজীবী ডাকতে ডাকতে কলমে ফেনা তুলে ফেললো। এরকম একজন জিন্নাহভক্ত চিন্তাকোষের কারণে পাকিস্তানের প্রতি বাংলাদেশীদের বৈরিতা, যেটা স্বাভাবিক বলেই ধরে নেয়া যায়, প্রশমনের উদ্যোগ কি নিচ্ছে আলু? নাহলে কেন হামিদ মিরের ওয়াজ বাংলাদেশীদের অনুবাদ করে পরিবেশন করা হয়, কেনই বা ফয়েজ আহমেদ ফয়েজকে একাত্তরের বিবেক বানানো হয়, কেনই বা মেহেরজানকে নির্লজ্জভাবে প্রোমোট করা হয়, আর কেনই বা ক্রীড়াপাতায় ক্রমাগত এই বিষ্ঠাগোলা বর্ষণ করা হয়? কেন প্রথমা প্রকাশনী থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস প্রকাশিত হয়? এগুলো তো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সমন্বিত উদ্যোগের অংশ। এবং এর পেছনে আলুর একটা রোড ম্যাপ কাজ করছে। স্টেডিয়ামে যেসব গর্ভস্রাব পাকি পতাকা গালেমুখে এঁকে চিৎকার করেছে, তারা এই সমন্বিত পরিকল্পনার ফসল।
বিরক্তিকর "বদলে যাও বদলে দাও" ক্যাম্পেনটা আলু ঘর থেকে শুরু করলেই পারে। সেটা করতে না পারলে, নামটাকে পেহলে রৌশনি বানিয়ে ফেলুক। নাচতে নেমে ঘোমটা দেয়ার দরকার কী?
"পাকি আলু " অথবা মতি আলুর সাথে পাকিদের কোথাও একটা হট লিঙ্ক আছে যেটা আবিষ্কার করে মানুষকে জানানো জরুরি তানাহলে এই সর্বাধিক পঠিত পাকি আলু দেশের অনেক মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলবে। কারণ ব্লগ যতটা না মানুষ পড়ে তার থেকে অনেক বেশি পরে পাক আলু। মানুষকে (নুতন/পুরোনো প্রজন্ম) বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এমন অনেক ছেলে মেয়ে আছে যারা সচেতন না পাকিদের নিয়ে এদেরকে ধরে ঝাকুনি মারতে হবে
হিমু ভাই, গ্যাঙটারে চিনে রাখা দরকার : হাসান ফেরদৌস, বিচারপতি হাবিবুর রহমান, মক্সুদ...
সহমত। তারেক মাহমুদের লেখাটির প্রথম কয়েক লাইন পড়েই মুখে একদলা থুতু চলে আসে। এগুলোর চামড়া এতোই মোটা যে এতো সমালোচনার পড়েও তাদের মধ্যে কোন বিকার নেই। একই রকমের রিপোর্ট এই পুরো সিরিজ জুড়েই দেখতে হবে বলে মনে হচ্ছে।
তবে শুধু খেলার রিপোর্টই নয়, আমি দেখেছি সম্পাদকীয় পাতাতেও কিছুদিন পর পর হামিদ মিরের লেখা অথবা পাকিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আলী রিয়াজের লেখা সহ অনেকের লেখা থাকে। আমার প্রশ্ন দুনিয়াতে আরো দেশ আছে, কিন্তু সব ফেলে পাকিস্তানের রাজনীতি নিয়ে আমাদের দেশের মানুষদেরকে কেন এতো ব্যস্ত থাকতে হবে? WTF। পাকিস্তান এমনিতেই আমার কাছে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র। আর পাকিস্তানের অবস্থা ভালো হলেই বা কি আর খারাপ হলেই বা কি? কিছু মানুষ যেন আশা করে আছে যে পাকিস্তানের অবস্থা ভালো হলে তারা তাদের ভাইদের কাছে ফিরে যাবে। তো বাবা গেলে এখনই যা না, কে আটকাচ্ছে?
আজ্কে ইমরান ভাইয়াকে নিয়া বিরাট রিপোর্ট আসছে। পাকিস্তানের ওবামা ইমরান খান, বদলে দাও বদলে যাও।
শুধু ভাই না, আরো কিছু- এই যে আজকের ছবিঃ
মনে প্রাণে চাই এরা বিহারী হোক
ভাই তো বটেই, এক দেশ না হোক, এক সমাজ না হোক, এক সংস্কৃতি না হোক, এক ভাষা না হোক, কুসংস্কারে ভরা রাষ্ট্রধর্ম যে এক! তাই না ! না হলে ছোট থেকেই শুনে আসছি, পাকিস্তান সাপোর্ট করতেই হবে, ওরা যে মসুলমান! আর সেই ভারত বিরোধিতা তো আছেই, মনে হচ্ছে বিশ্বের আর কোন দেশ ক্রিকেট খেলে না ।
আজব ব্যাপার, যে ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেনসহ ১০ জন খেলোয়াড় সামান্য টাকার জন্য সব বিকিয়ে পাতানো খেলা খেলে, তাদের কোন যুক্তিতে, কোন আবেগে সমর্থন করা যায় ???
facebook
গতকালের ম্যাচ থেকে:
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এরা কি পাকিস্তানী হতে পারে?
পাকি হওয়াও সম্ভব। তবে চেহারায় বাংপাকি বলে মনে হয়। এদের উল্লাসের ধরনেও বাংপাকি ছাপ আছে। দুইটা ছবির মধ্যে ১ ওভার ২ বলের পার্থক্য। এর মধ্যেই ২ উইকেট গেছে। জেনুইন পাকির চোখমুখ আরো উল্লসিত হওয়ার কথা। বাংপাকিদের কয়েকটা ধরন আছে।
১) পাকিস্তানের সমর্থক, বাংলাদেশের সাথে খেললেও
২) বাংলাদেশ বাদে অন্য কারো সাথে খেললে পাকিস্তানের সমর্থক
৩) পাকিস্তানের সমর্থক (ধরন ১) হলেও বাংলাদেশের কিছু খেলোয়াড়ের সমর্থক, যেমন, তামিম, সাকিব।
ধরন ২ এর পাবলিকই বেশি, ধরন ১ এক্সট্রিম, ধরন ৩ ও আছে অনেক। ছবির গুলা ধরন ৩ এর দর্শক বলে মনে হয়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ভাল পর্যবেক্ষণ। তবে ধরন ২ মুখে বাংলাদেশ সমর্থন দিলেও পাকিস্তান জিতলে - পাকিস্তান জিতবে এইটা স্বাভাবিক ভেবে তৃপ্তি বোধ করে।
হালাগো আইডেন্টিটি ক্রাইসিস আছে মনে হয়
পাকি খাপোমাচু
love the life you live. live the life you love.
পাখাপোচু
পাকিস্তানকে ঘৃণা করি।
পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে সমর্থন দেওয়ারও কোন যুক্তি খুজে পাই না।
তবে এই লেখাটা আর কমেন্টগুলোর ব্যাপারে আমার কিছু বলবার আছে।
আপনি প্রথমেই যে অভিযোগটা করলেন সেটা হল মুশফিকের কাঁধে হাত দেবাকে ভাইয়ের সাথে তুলনা করে তারেক মাহমুদ পাকিপ্রীতির পরিচয় দিয়েছেন। এককথায় বলা যায় পাকিস্তানের কাউকে ভাই হিসেবে তুলনা করার দুঃসাহস তারেক কোথায় পেল এটা নিয়েই আপনার প্রশ্ন। আমাকে কি বলতে পারেন তাহলে পাকিস্তান ক্রিকেট টিমকে কি একদল পশু হিসেবে এই প্রতিবেদকের বর্ণনা করা উচিত ছিল?? প্রতিপক্ষ যদি যোগ্য প্রতিপক্ষ হয় তাহলে তার দক্ষ বয়োজ্যেষ্ঠকে বড়ভাইয়ের চোখে দেখা কি ভুল? প্রতিপক্ষকে যদি এতই ঘৃণা করেন যে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবেও দেখতে পারছেন না তাহলে তো আমাদের আইসিসির কাছে আবেদন করা উচিত আমরা এই পশুদের সাথে খেলতে চাই না। প্রসঙ্গত এসে যায় এই সু্যোগে অনেকে পাকিস্তানকে বাংলাদেশের বড়ভাইয়ের মর্যাদায় বসাতে উঠেপড়ে লেগেছে, যেমনটা অয়াসিম আকরাম বাংলাদেশের কাছে হারার পর বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ছোটভাই বলেছিলেন। এখন তো তার একই মতের, একই পথের এদেশীয় দোসররাও কম নেই, সেটা খেলার সময় স্টেডিয়ামে গেলে বুঝা যায়। ঘৃণার থুতু যদি দিতে চান এদেরকে দিন, একজন সিনিয়র খেলোয়াড়কে বড়ভাই হিসেবে দেখানোর অপরাধে(!) দেওয়া মোটেও সুবিবেচনার কাজ নয়।
'ক্রিকেটের সাথে বন্ধুত্ব চায় পাকিস্তান' লেখাটা আপনি পুরোটা পড়েন নাই। পড়লে এটা মিস হবার কথা না-
হৃদয় জয় করার চেষ্টাকে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা বলাটা কোন দৃষ্টিকোণ থেকে ভুল জানাবেন কি??
এরপর আপনি প্রশ্ন করলেন ইমরান খানের সাক্ষাৎকার ছাপানো নিয়ে, যে সাক্ষাতকারে ইমরান নিজে লজ্জিত কিনা তা বলেন নাই। এই কারনে আপনার কাছে এটা ছাপানো প্রশ্নবিদ্ধ মনে হয়েছে। কিন্তু আপনি বোধহয় ভুলে গেছেন পত্রিকা যখন কোন সংবাদ ছাপে তখন সংবাদের উৎসের নৈতিকতা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় না, খবরটা পাঠককে দেবার পর সে ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানায়। পাকিস্তানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলের নেতা মনে করেন তাদের বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত- এটা অবশ্যই একটা গুরুত্বপূর্ণ খবর। এবং আমার যতদূর মনে পড়ে ইমরানের এই হঠাত হিরো হবার প্রবনতা নিয়েও প্রথম আলোতে উপসম্পাদকীয় ছাপানো হয়েছিলো।
এরপর আপনি হামিদ মীরের সততা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন, এবং পরের লাইনেই বললেন 'তবে কি প্রথম আলো পাকিস্তানের সাথে বন্ধুত্ব চায়??' হামিদ মীরের সততার সাথে প্রথম আলোর সম্পর্ক কি?? প্রথম আলো কেন তার লেখা ছাপায় সেটা নিয়ে কি আক্রোশ? আমার জানামতে ভারত, জাপান, যুক্তরাজ্য এসব দেশের সাংবাদিকরাও প্রথম আলোতে লিখে থাকে।
সবশেষে আপনি মাত্র ৭ দিনের পরিসংখ্যান দিয়ে বুঝালেন পাকিস্তানের খবর বেশী। তবে আমার ধারনা এর অধিকাংশই পাকিস্তান প্লেয়ারদের চুরিচামারি, কোচের সাথে মারামারি এসব সংক্রান্ত খবর। এগুলোকে হিসেব করে যদি বলেন তাহলে বলতে হবে ক্রিকিনফোতে সবচেয়ে বেশী প্রচার পাওয়া দেশটাও পাকিস্তান।
পাকিস্তানকে আমিও মনেপ্রানে ঘৃণা করি। কিন্তু যখন দেখি গোটা স্টেডিয়ামে অসংখ্য মানুষ পাকিপ্রেমে মাতোয়ারা, খোমাখাতা, ইউটিউব সবজায়গাতেই বাঙ্গালির পাকিপ্রেমের উপচে পড়া নমুনা তখন আপনার ভুল জায়গায় পাকি প্রেম খোঁজা রীতিমত দৃষ্টিকটু লাগলো।
মন্তব্য দেখে মনে হতে পারে আমার সাথে প্রথম আলোর বিশেষ সম্পর্ক আছে, ব্যাপারটা তা না। প্রথম আলোর অনেক কিছুই আমার পছন্দ না। সত্য কথা বলতে অনেক ইস্যুতেই তাদের আপাত নিরপেক্ষ ভঙ্গি, ব্যাবসায়িক নানা ফন্দিফিকির আমারো পছন্দ না। তবে একটা ব্যাপার, প্রথম আলোকে ভারতের দালাল হিসেবে চিন্তা করারও প্রচুর মানুষ আছে। এই সচলায়তনেই অনেকেই প্রথম আলোকে ভারতের এজেন্ট বলতেও দ্বিধা করে না। একটা পত্রিকা একই সাথে ভারত আর পাকিস্তানের দালাল কিভাবে হয় সেটা বোঝা অবশ্য কষ্টকর।
আমারো ধারনা তারেক মাহমুদ প্রথম আলোর সবচেয়ে বাজে ক্রীড়া প্রতিবেদক। কিন্তু তাই বলে তার মধ্যে পাকিপ্রেম খুজে বেড়ানো, আমার কাছে পয়েন্টলেস মনে হয়েছে।
উদাহরণ, প্লিজ।
এখানে সচলায়তনের কোন লেখকের লেখাতে এরকম পেয়েছি বলতে চাই নাই।
এধরনের প্রচুর পাঠকের কমেন্ট আমি সচলায়তনে পড়েছি বলে এধরনের কথা বলেছিলাম।
দুঃখিত, সেটা বোধহয় আরও পরিষ্কারভাবে বলা উচিত ছিলো।
সচলায়তনের কাউকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলি নাই।
আপনার যুক্তিটা এমন: কিছু মানুষ ভাবছে প্রথম আলো পাকিস্তানের "দালাল", কিছু মানুষ ভাবছে প্রথম আলো ভারতের "দালাল"। যেহেতু একই পত্রিকা ভারত আর পাকিস্তানের মতো দুই বৈরী দেশের "দালাল" হতে পারে না, তাই প্রথম আলো কারো "দালাল" নয়।
আপনি মানুষের চিন্তা দিয়ে প্রথম আলোকে বিচার না করে, প্রথম আলোর নিউজ ট্রিটমেন্ট পলিসি দিয়ে পত্রিকাটিকে বিচার করছেন না কেন?
প্রথম আলো তো একটা ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর মিডিয়ামুখ। ব্যবসার স্বার্থে তারা বিভিন্ন ইস্যুর পক্ষাবলম্বন করে, যেটা কখনো ভারত কখনো পাকিস্তানের স্বার্থের পক্ষে যায়। টাটার বিনিয়োগের পক্ষে তারা যেমন গলা ফাটিয়েছে, তেমনি মেহেরজানের নির্লজ্জ প্রমোশনও তারা করেছে।
আর আপনি পাকি ক্রিকেট নিয়ে পরিবেশিত খবরগুলোর ফ্রিকোয়েন্সির পাশাপাশি সেগুলোর ভাষাও অনুসরণ করে দেখুন। এই যে আজকে স্টেডিয়ামে এতো গর্ভস্রাব মুখে-হাতে পাকি ফ্ল্যাগ নিয়ে লাফায়, এর পেছনে মিডিয়াতে পাকি ক্রিকেটের এই গদগদ প্রশংসার কোনোই ভূমিকা নেই বলছেন?
আমি তো এরকম কিছু বলি নাই। আপনার কথামতই বরং আমি মানুষের ভারতদালাল, পাকুদালাল এইসব কথায় কান না দিয়ে শুধু নিউজটাতেই ফোকাস থাকার চেষ্টা করতেছি।
তাহলে আপনিই বলুন এদেরকে পাকপ্রেমী হিসেবে উপস্থাপন কতটা যুক্তিযুক্ত? বরং ব্যবসাপ্রেমী হিসেবে উপস্থাপন করা যেতে পারে।
ভাষার কথা বললেন, আমি তো প্রথম আলোতে শচীনকে, ভারতের একালের প্লেয়ারদেরকে, অয়েস্ট ইন্ডিজের সেকালের প্লেয়ারদেরকে ভুরি ভুরি তেল মর্দন করতে দেখি। বরং পাকুদের মধ্যে শহীদ আফ্রিদি ছাড়া আর কাউকেই তো তেলাইতে দেখি না। আর এই তেল কিন্তু শহীদ আফ্রিদির প্রাপ্য, কেন সেটা জানতে হলে তার পারফরম্যান্স দেখুন।
হিমু ভাই, আপনি সম্প্রতি স্টেডিয়ামে গেছেন কিনা খেলা দেখতে আমি জানি না, তবে আমি গিয়ে যে পরিমান অন্ধ পাকু আবেগ, ভাই(!)কে কাছে পাবার যে তীব্র আনন্দ দেখেছি তা প্রথম আলোর ক্রীড়াপাতায় খেলোয়াড়দের বিবরন পড়ে হয়েছে বলে আমাদের মনে হয় না। আমাদের নিজেদের গাফিলতিতে আমরা আমাদের নতুন প্রজন্মকে বুঝাতে পারিনাই কি বিশাল ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি, কি অবিশ্বাস্য সংগ্রামে মুক্ত হতে পেরেছি। স্বাধীনতা কিভাবে পেয়েছি সেটাই আর মনে রাখার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছে না কেউ।
পাকপ্রেমী বললে সমস্যাটাই বা কোথায়? আপনি পোস্টের উদাহরণগুলো দেখুন, আমিও এক মন্তব্যে কিছু বলেছি। হুট করে বিচ্ছিন্ন একটা দুটা রিপোর্টের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তো বলা হচ্ছে না, বলা হচ্ছে তাদের ক্লাইমেট অব রিপোর্টস দেখে। তবে আপনি দ্বিমত করতেই পারেন।
আপনি যে বিরাট পাকিভক্তদের দেখেছেন, এরা সবাই প্রথম আলোর ক্রীড়াপাতা পড়ে পাকিমুগ্ধ হয়েছে, সেটাও আমি বলছি না। কিন্তু এই ভক্তিকে জিইয়ে রাখার কাজটা মিডিয়া করছে, পাকিভক্ত আর্টিকেল লিখে এই গর্ভস্রাবদের নিশটুকুকে এন্টারটেইন করছে। যেভাবে ভারতীয় সিনেমার টাইমটেবল পাতা ভরে ছাপিয়ে ভারতীয় সিনেমাখোরদের নিশকে এন্টারটেইন করে।
আপনি বলতে পারেন, পাবলিক খায় দেখেই এরা ছাপায়। পাবলিক তো কতকিছুই খায় ভাই, সবই আপনি পত্রিকায় খাওয়াবেন? আপনি ক্রিকেটে দুর্বল আয়ারল্যাণ্ডের কোনো পত্রিকায় দেখেন তো তারা অন্য কোনো দেশের ক্রিকেটার নিয়ে এতো লাফায় কি না।
জনগোষ্ঠীর ওপর মিডিয়ার প্রভাব অনেক সাটল, এ কারণেই মিডিয়া পার পেয়ে যায়।
"আর এই তেল কিন্তু শহীদ আফ্রিদির প্রাপ্য, কেন সেটা জানতে হলে তার পারফরম্যান্স দেখুন।"
আপনার কথাবার্তায় পাকিপ্রেম প্রবল। খালি গালে পতাকা এঁকে মাঠে যেতে পারছেন না বলে ঐ গোষ্ঠিকে দেখে জ্বলতেসে?
"আমাদের নিজেদের গাফিলতিতে আমরা আমাদের নতুন প্রজন্মকে বুঝাতে পারিনাই কি বিশাল ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি, কি অবিশ্বাস্য সংগ্রামে মুক্ত হতে পেরেছি। স্বাধীনতা কিভাবে পেয়েছি সেটাই আর মনে রাখার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছে না কেউ।"
আপনার এই কথাগুলি ভেংচি কাটার মত লাগতেসে আমার কাছে।
এটাকে ভেংচি কাটার মত লাগলে সমস্যা আপনার। ডাক্তার দেখান, ভাল থাকবেন।
অই কথাকে যদি পাকিপ্রেম মনে হয় তাহলে বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনি পাকিপ্রেম বা এই সংক্রান্ত বিষয়ে তেমন কিছুই জানেন না। খামাখা অন্ধের মত ঘোরাঘূরি না করে লাইনে আসুন। এই সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে, জাতিকে মুক্তি সংগ্রামের চেতনায় ফিরিয়ে আনতে আলোকিত মানুষ দরকার, অন্ধ হওয়া কোন কাজের কথা নয় এখন।
ধন্যবাদ সজলায়ন বিশদ মন্তব্যের জন্য। এবার দেখি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি কিনা -
--- পাকিস্তান ক্রিকেটের আগেও অন্যান্য দল বাংলাদেশে খেলতে এসেছে। মুশফিক, আশরাফুল, পাইলটরা যখন বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিল। আপনি যদি তুলনা করে অস্ট্রেলিয়/দক্ষিণ আফ্রিকান/ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান সব দলের অধিনায়কের তুলনায়ই কিন্তু আমরা আকৃতিতে ছোট এবং সংবাদ সম্মেলনে এই সংক্রান্ত হাসি ঠাট্টা হয়েছে। কিন্তু অন্য কোন দেশের প্রতি কি এই ভাই সুলভ রিপোর্টিং আপনার চোখে পড়েছে? কিন্তু পাকিস্তানের ক্ষেত্রেই বড় ভাই এসে যায়। ড্যারেন স্যামি যখন খুনসুটি করে, তখন সেই খুনসুটির তুলনায়ও কিন্তু বন্ধুসুলভ বা ভাইসুলভ এমন কোন বিশেষন আমরা রিপোর্টে দেখিনা। আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের সাথে আমি একমত। আমার যদি ক্ষমতা থাকত তো অবশ্যই আমি পাকিস্তানের সাথে খেলা কেন, কুট্নৈতিক সম্পর্ক রহিত করতাম, যতদিন না দেনা পাওনার সব হিসেব মিটত।
বাংপাকিদের কথা বলেছেন। তাদের ঘৃণা করছিনা এমন পূর্বানুমানের ভিত্তি কী? স্টেডিয়ামে বাংপাকি আছে বলে প্রথম আলো পত্রিকায় পাক লেহন করা জায়েয হয়ে গেলো?
ক্রিকেটের সাথে বন্ধুত্ব চায় পাকিস্তান লেখাটা আমি মনোযোগের সাথেই পড়েছি। খেলা দিয়ে হৃদয় জয় করার যে কথা পাকিস্তানের ম্যানেজার বলেছেন বলে উদ্ধৃত করা হয়েছে সেটা যারাই খেলতে আসে তারাই এমন কথা বলে। কিন্তু শিরোনামে কিন্তু হাইলাইট করা হয়েছে "ক্রিকেটের সাথে বন্ধুত্ব চায় পাকিস্তান" যেন কথাটা পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্য প্রযোজ্য - যে পাকিস্তান দল খেলতে এসেছে সেই সাথে বন্ধুত্বের মিশন নিয়ে এসেছে। আপনার কাছে পাকি ম্যানেজারের কথা শুনে এমন মনে হচ্ছে এখনও? এক্ষেত্রে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পত্রিকার শিরোনাম। শিরোনাম অনেকটা সারাংশের মত। শিরোনাম এমন হবে যেন আপনি শিরোনাম দেখে বাকী লেখা পড়তে আগ্রহী হন। এখন শিরোনামে যখন এমন বায়াস থাকবে, তখন রিপোর্ট পড়ার সময়ে কি পাঠকের মনে তার কিঞ্চিত প্রভাব পড়বেনা বলতে চান? মেঘের মাঝে অনেকেই বিভিন্ন আকৃতি খুঁজেন। মনে কোন কিছু রেখে চেষ্টা করে দেখুন মেঘের মাঝে আপনিও সেটা খুঁজে পাবেন।
ইমরান খানকে আপনি পাকিস্তানের রাজনীতির গুরুত্ব্পূর্ণ নেতা মনে করেন দেখে হাসলাম। তার দল এখন পর্যন্ত ইমরানের সিট বাদে আর সিট পেয়েছে বলে তো মনে হয়না। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বা তার এই বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ হলে অন্যান্য মিডিয়া খবরটা পিক করত বলে মনে হয়না?
হামিদ মীরের সততা নিয়ে আমি আমার লেখায় কোথাও আলোচনা করিনি, আপনি কোথায় পেলেন তা বুঝতে পারছিনা। হামিদ মীরের লেখা প্রথম আলোয় ছাপাক সেটা নিয়ে আক্রোশ নেই। কিন্তু হামিদ মীরকে দিয়ে একটা স্পেসিফিক থিমের লেখা প্রথম আলোতে লেখানো হলে সেটার কারণ নিয়ে মনে প্রশ্ন জাগে। রবার্ট ফিস্কের লেখা প্রায়ই প্রথম আলোতে অনুদিত হয়, কিন্তু হামিদ মীরের যেসব লেখা প্রথম আলোতে ছাপানো হয় সেটা কিন্তু বাংলাদেশের পাঠকদের উদ্দেশ্য করে স্পেসিফিকালে প্রথম আলোর পাঠকদের উদ্দেশ্য করে লেখা - পার্থক্যটা কি ধরতে পারছেন?
পাকিস্তান বিষয়ক পরিসংখ্যানটা পোস্টের মূল বক্তব্য না, তাই পোস্টে না এসে পরে সংযুক্তি হিসেবে এসেছে। লেখাতে একবার বলেছি, আরেকবার বলি ৩০ দিনের পরিসংখ্যান সংগ্রহ করাটা প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল কিন্তু সময়াভাবে সেই কাজটা শেষ করা যায়নি। তাই অসমাপ্ত গ্রাফটাই দেওয়া হয়েছে এবং লক্ষ করে দেখবেন এর উপরে ভিত্তি করে আমি কোন সিদ্ধান্ত দেইনি, সিদ্ধান্ত দেবার ভার পাঠকের উপরেই ছেড়ে দিয়েছি। তবে আপনি যেটা ধরে নিয়েছেন যে পাকিস্তান বিষয়ক রিপোর্টগুলো রিপোর্ট হওয়ার যোগ্য ব্যপারটা তা না। যেমন জুলকারনাইন এর স্ত্রীকে এয়ারপোর্টে হয়রানি করা হয়েছে এই নিয়ে রিপোর্ট করেছে প্রথম আলো ১লা ফেব্রুয়ারির পত্রিকায়। এখন বলেন এইটা কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ বা প্রাসঙ্গিক হয় আমাদের জন্য?
বাংপাকিদের পাকিপ্রেম নিয়ে তো নতুন কিছু বলার নেই। বাংপাকি আছে বলেই যে প্রথম আলোর পাকি প্রেম খোঁজা যাবেনা আপনার এই অনুসিদ্ধান্ত আরো দৃষ্টিকটু লাগলো। বাংপাকি ইন্ডিভিজু্যয়ালদের চেয়ে প্রথম আলো মিডিয়ার দায়িত্ব কি বেশী না?
আপনার কি মনে হয় তারেক মাহমুদের পাকি প্রেম নেই?
ধন্যবাদ বিস্তারিত উত্তর দেবার জন্য।
আমি বোধহয় আমার পয়েন্টটা এখনো বুঝাতে পারিনি অথবা আপনি ধরতে পারেননি। এখানে একজন প্রায় ১০ বছরের সিনিয়র খেলোয়াড়, সাবেক একজন অধিনায়কের কাছে একজন জুনিয়র অধিনায়ককে ছোটভাই হিসেবে দেখা বা একটা আপেক্ষিক তুলনা চেষ্টা করা হয়েছে। আর আমার যতদূর মনে পড়ে একই চেষ্টা শ্রীলংকার জয়াবরধনে, সাংগাকারা, নিউজিল্যান্ডের ভেট্টোরী এদের সবার সাথে করা হয়েছে, ইনফ্যাক্ট এটা প্রথম আলোর একটা হাস্যকর রিপোরটিং স্টাইল। আর ২য় লাইনে শারীরিক যে তুলনায় বলা হয়েছে এটা তো আগের লাইনের সাথে শুধুমাত্র তাল মেলানোর উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, এই সামান্য জিনিস কি আদৌ এতটা আলোচনার দাবি রাখে?
অবশ্য আপনার ২য় প্রশ্নের উত্তরেই পরিষ্কার যে আপনি পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়ের অন্য কারো তুলনা তো দুরের কথা, তাদের সাথে কোন সম্পর্কতেই আগ্রহী নন। এই ব্যাপারে আমি আপনার সাথে একমত না।
পুরো লেখায় এ ধরনের কথা বেশ কয়েকবার বলেছেন। ঠিক কেন বলেছেন তা বুঝলাম না। আমি কি কোথাও বলেছি প্রথম আলোর পাক লেহন জায়েজ?? বলার চেষ্টা করেছি যে যেটাকে আপনি লেহন বলছেন সেটা আদৌ তা না, এরচেয়ে আমাদের বরং সত্যিকারের লেহনকারীদের নিয়ে চিন্তা করা দরকার।
বেশ কিছুক্ষন গুগলে গুতাগুতি করেও আর কোন দল এভাবে হৃদয় জয় করার কথা বলেছে বলে পেলাম না। পাকিস্তানিদের ইমেজের যে বেহাল দশা, তাতে একমাত্র তাদের পক্ষেই এটা বলা সম্ভব। মনের মধ্যে কোন আকৃতি রেখে মেঘের মাঝে খোজা তো ভাই কোন লজিকের কথা হল না। এটা তো করবে মূর্খরা, মনটাকে খালি রেখে মেঘের দিকে তাকাই না কেনো?
আপনি বোধহয় পাকিস্তানের ব্যাপারে তেমন খোজ রাখেন না, ইমারান এ মুহূর্তে পাকিস্তানে গুরুত্বপূর্ণ নেতা। শেষ নিরবাচনে তার দল অংশগ্রহন করে নাই, কাজেই সিট পাওয়ার প্রশ্ন আসে না।
ভারতের কুলদীপ নায়ার প্রথম আলোর জন্য লেখে। আর হামিদ মীর লিখলেই আপনার সমস্যাটা কি ধরতে পারলাম না। পাকিস্তানের মত হাস্যকর রাষ্ট্র নিয়ে সে দেশের হতভাগা সাংবাদিক আক্ষেপ করছে- এটা দেখে আমার বরং আনন্দ লাগে। সে কি কোন স্পেসিফিক থিমের উপর স্পেসিফিক প্রচারণা চালাচ্ছে? চালালে সেই থিমটা কি? বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া নিয়ে তো তার একটা মাত্র লেখা দেখলাম।
জুল্কারনাইনের বউয়ের খবর কেন জানতে হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু আমরা তো ভাই শেন ওয়ারনের বউ কি প্রতিশোধ নেবার কথা ভাবতেছে, বেকহামের পাছায় কার উল্কি আছে এগুলাও পত্রিকাওলাদের কল্যানে জেনে যাচ্ছি। এসমস্ত ব্যাবসায়িক খবরের মধ্যে কতটুকু পাকপ্রেম আর কতটুকু নিলজ্জ ব্যবসা??
না, আমার মনে হয় না তারেকের পাকি প্রেম আছে, বরং ওর মাথায় একদলা স্টুপিডিটি পেতে পারেন।
জ্বী। অবশ্যই ভুল। এখানে পারিবারিক কোনো কুতকুত খেলা হচ্ছে না। খেলা হচ্ছে সম্পূর্ণ প্রফেশনাল লেভেলের ক্রিকেট। এখানে ভাই, চাচা, মামা, খালু, ফুফা'র বয়সী কেউ থাকলেই তাকে গুরুজন বলে পায়ে হাত দিয়ে কদমবুসি করার কথা কোথাও বলা নেই। এখানে দুজনের পদবীই সমান। দুজনেই দুটি দলের অধিনায়ক। বড়ভাই-ছোটভাই আখ্যা দিয়ে সেটাকে একটা পারিবারিক আবহ দেয়ার চেষ্টা করাটা স্পষ্ট ফাত্রামী এবং অবশ্যই এর পেছনে কোনো কারণ বিদ্যমান। যেটার প্রমাণ আপনি নিজেই দেখেছেন বলে উল্লেখ করলেন স্টেডিয়ামে।
না, ভুল না। তবে, 'বন্ধুত্ব' করার চেষ্টা তখনই আসে যখন 'শত্রুতা' বিদ্যমান থাকে। আপনি কি বলতে চাচ্ছেন যে পাকি কোচ ধরেই নিয়েছিলো যে পাকিস্তানের সাথের বাংলাদেশের শত্রুতা বিদ্যমান, যার জন্য তাদেরকে বাংলাদেশীদের হৃদয় জয় তথা বন্ধুত্ব করাটা বিরাট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে! তাই যদি হয়, তাহলে পাকিস্তান দল বা তার কোচ কি এই শত্রুতা'র পেছনের কারণের জন্য 'দুঃখ' প্রকাশ করেছে, 'ক্ষমা' চেয়েছে? সেটা না করে আৎকা বন্ধুত্বের সাদা নিশান উড়ায়ে ফেললে ব্যাপারটা কেমন হয়ে যায় না? আগের কাজ আগে না করে, দুই তিন ধাপ পরের কাজ করাটাকে কি আপনি সঠিক মনে করেন?
প্রথম আলো আর ক্রিকইনফো কি এক? ক্রিকইনফো'তে কেবল পাকিদের খবরই না, তাবৎ দুনিয়ার ক্রিকেটের সব খবরই থাকে। কিন্তু আলু পেপারে কোনো পাকি খেলোয়াড় পাদ দিলেও সেটা খবর হয়ে যায়! এতোই যখন ক্রিকেট আর ক্রিকেটার মগ্ন আলু পেপারের স্পর্টস ডেস্ক, কই, ক্লাব ক্রিকেটের কোনো খবর তো প্রথম আলোর পাতায় সেরকম দেখি না!
শুধু তারেক মাহমুদ না, প্রথম আলোর পুরো ক্রীড়া বিভাগটাই পাকিপ্রেমী। উপরে যেমনটা বললাম, পাকি খেলোয়াড়েরা বাথরুমে বসে পাদ দিলেও সেটা প্রচণ্ড অর্গাজমের তৃপ্তি নিয়ে তারা ছাপায়। যদি তাদের পাকিপ্রেম ছাড়া নিরালা ক্রিকেটপ্রেম থাকতো তাহলে তাদের কাছ থেকে আপনি গোটা ক্রিকেট বিশ্বের আপ-টু-ডেট খবরই পেতেন। তাদের ক্রিকেট শুধু পাকিস্তানভিত্তিক আর কদাচিৎ শচীন ভিত্তিক হয়ে থাকতো না!
আপনার ধারণায় গলদ আছে। স্টিভ ওয়াহ্, বা মার্ক টেলর যখন অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব দিত তখন তারা যেমন দল হিসেবে ছিলো অনেকটাই অজেয় তেমনি বয়সের দিক থেকেও জোষ্ঠ্য। কিন্তু ইংল্যান্ড বা সাউথ আফ্রিকা বা ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলতে গিয়ে তারা কখনো অইসব দেশের প্রথম সারির কোনো পত্রিকায় সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে 'বড় ভাই'এর মর্যাদা পেয়েছে বলে কোনোদিন কোনো খবর শুনি নাই, দেখিও নাই। তারা অজেয় ছিলো বটে, কিন্তু 'আপেক্ষিক তুলনা'য় তাদেরকে কখনোই ইংল্যান্ডের, সাউথ আফ্রিকা বা বারবাডোজের কোনো পত্রিকা 'বড় ভাই এসে ছোট ভাইয়ের কাধে হাত রেখে অধিনায়কত্ব শেখালেন' টাইপের হেডিং আসে নাই। আসার কথাও না। তাদের দেশে বাজে প্রতিবেদক নাই?
আপনি ভুল চেষ্টা করছেন। প্রথম আলোর এই পাকিপ্রেমিক রিপোর্টিং লেহন না হলে 'সত্যিকারের লেহন' বলে কিছু নেই। এইটা মিডিয়ার সৃষ্টি!
শোনেন ভাই, পাকিস্তানের সাথে আমাদের একটা রক্তাক্ত অতীত আছে। এটা আলু পেপার কালু পেপার সবাই জানে। রিপোর্টিং এর সময়ে যদি তারা শুধু ঐ কথাটা মনে রাখে তাইলেই দেখবেন আপনি যাদেরকে সত্যিকারের লেহনকারী বলছেন তারা আর মাথা উঁচায়ে, গলা ফুলায়ে খোলা আকাশের নিচে, মুক্ত বাতাসে পাকিস্তানের নাম নিয়ে জয়ধ্বনী দিতে সাহস পাবে না। কিন্তু যখন একটা সর্বাধিক প্রচারিত, প্রথম সারির জাতীয় দৈনিকে বেহায়ার মতো পাকিস্তানের নির্লজ্জ পদলেহন চলে তখন আপনি যতোই সত্যিকারের লেহনকারী খুঁজতে স্টেডিয়ামে যান, কোনো লাভ হবে বলে মনে হয় না! একটা বাগধারা পড়েছিলেন না? 'বিসমিল্লায় গলদ'! প্রথম আলোর স্পোর্টস ডেস্ক হলো সেই বিসমিল্লায় গলদ। এদেরকে বেনিফিট অফ ডাউট দিয়ে 'সত্যিকারের লেহনকারী' আপনি খুঁজতে পারেন, আমি সাফি'র সাথেই থাকবো, যেকোনো ধরণের লেহনকারীকেই ধরে ধরে নাঙ্গা করার পক্ষে।
আর আপনি হামিদ মীর লিখলে সমস্যাটা ধরতে পারছেন না? হামিদ মীর পাকিস্তানে মিডিয়ার হর্তাকর্তা ব্যক্তিত্ব। তো সে প্রথম আলোতে যেরকম ঢাকঢোল পিটিয়ে বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছে সেই একই কথা (তার চেয়ে জোরে বলার দরকার নেই) কি সে তার দেশের মিডিয়াতেও প্রচার করছে? পাকিস্তানের জনসাধারণের কাছে কি বাংলাদেশের প্রতি পাকিস্তান যে অন্যায় করেছে, তা তুলে ধরছে? পাকিস্তান সরকারকে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার জন্য পাকিসাধারণের মনোভাবের পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে ন্যাটজিওকে সম্বল করে? যদি না করে থাকে তাইলে প্রথম আলোতে তার এইসব বালছাল কাহিনি ছাপিয়ে কী লাভ? বাংলাদেশের মানুষকে একটা ধুনফুন বুঝ দেওয়া? এইসব ধুনফুনের মায়রে বাপ। এইবার আপনি বলেন, হামিদ মীরের এইসব বালছাল আষাঢ়ে গল্প সম্বল করে প্রথম আলো কী মেসেজ দিতে চায় বাংলাদেশীদের?
এতোক্ষণ তো বলছিলাম শুধু প্রথম আলো স্পোর্টস ডেস্কের কথা। এখন তো মনেহচ্ছে পুরা প্রথম আলোর মধ্যেই পাকিপ্রেম আছে।
একটা অনুরোধ করি, আপনার নামটা বদলায়ে অন্যকিছু নেন। আপনার নিক দেখে মনেহয় আপনি সচলায়তনকে ব্যাঙ্গ করছেন। ব্যাপারটা ভালো লাগছে না দেখতে। ধন্যবাদ।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গোধুলী ভাই, আপনার প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, আপনার পুরো কমেন্টে পাকিদের প্রতি অন্ধ ঘৃণা স্পষ্ট। হয়তো আপনার দৃষ্টিকোণ থেকে আপনার এই অবস্থান ঠিকই আছে। কিন্তু আমি আমার ঘৃণাকে যুক্তির পথে দেখতে চাই। যেখানে ঘৃণা করা উচিত সেখানে করতে চাই। হয়তো পাকুরা এটা ডিজারভ করে না, কিন্তু আমি তাদের অন্ধ পাশবিকতার সাথে অন্ধ ঘৃণা নিয়ে লড়াই করতে চাই না।
অবশ্যই খেলাধুলায় গুরুজনকে সম্মানের ব্যাপার আছে। যে কোন দেশের সিনিয়র খেলোয়াড়রা তাদের প্রতিপক্ষের কাছ থেকে সিনিয়রিটির সম্মান পান। রিকি পন্টিং, শচীন, ক্যালিস, ভেট্টরী কতজনের কথা বলবো? অবশ্যই ক্রিকেট চরম প্রফেশনাল একটা খেলা, তবে দিনশেষে এটা কিন্তু শুধুই একটা খেলা। ব্যক্তি পর্যায়ের আচরনে এই খেলার সম্পর্ক মোটেও প্রাধান্য পায় না।
সত্যি কি তাই? আমার যারা বন্ধু নয় তারাই আমার শত্রু??
পাকি ম্যানেজার হৃদয় জয় বা বন্ধুত্বর কথা তুলেছে তাদের নিজেদের চোরবাটপারে ভরা ক্রিকেট টিমের ভাবমূর্তি বাড়াতে, আমার মনে হয় না সে জাতিগত বন্ধুত্বর বাতাবরণ করতে চেয়েছে।
আমার কাছে সেরকম মনে হয় নাই। হয়তো উপরে যা বললাম, অন্ধ ঘৃণা নিয়ে তাকানোর ফলে তাদের চুরিচামারি, মারামারি এসবের খবরকে বুঝাতে চাচ্ছেন। কিন্তু এগুলো তো ভাই আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও গুরুত্বপূর্ণ খবর।
আর ক্লাব ক্রিকেটের প্রতিটা খবরই প্রথম আলোতে আসে। একটু খেয়াল করে পত্রিকাটা কেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন। আমার তো মনে হয় ক্লাব ক্রিকেট সবচেয়ে বেশী কাভারেজ যে কয়টা পত্রিকাতে পায় তাতে প্রথম আলো সামনের সারিতেই।
এখানেও কোন হেডিং আসে নাই। আর অইসব দেশের পত্রিকায় যে অরকম হয় নাই তাই বা আপনি কিভাবে জানলেন? ওরা তো এসব সামান্য বিষয় নিয়ে লাফালাফি নাও করতে পারে।
সামান্য খেলা নিয়ে রিপোরটিং এর সময় পাকিদের সাথে আমাদের রক্তাক্ত অতীত নিয়ে চিন্তা করার কোন কারন আমি দেখি না, বরং যখন দেখি তরুণদের একটা বিরাট অংশ মুক্তিযুদ্ধ তো অতীত বলে ছুরে ফেলে দিতে চায় সেটা নিয়ে আমি চিন্তা করতে আগ্রহী। বেহায়ার মত পাকিস্তানের নির্লজ্জ পদলেহনের কথা বললেন, ঠিক কোন কারনে কোন যুক্তিতে কোন হিসাবে স্পোর্টস ডেস্ককে আপনার এমন লাগলো আমার কাছে পরিষ্কার না।
যতদূর জানি, হামিদ মীর পাকিস্তান প্রেসক্লাবে দাড়িয়ে পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন। পাকিস্তানে তিনি বেশ কয়েকবারই এই দাবি তুলেছেন। বিস্তারিত জানতে চাইলে গুগল সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন। ন্যাটজিও না, উনি জিও টিভির একজন সাংবাদিক মাত্র। এই অবস্থান উনার আদৌ কতটুকু কি করা সম্ভব তা কি ভেবেছেন? তার আগে বলতে হয় আমরা নিজেরা আমাদের বিচার পাওয়ার জন্য পাকিস্তানের বিপক্ষে কি করতে পেরেছি?? আর হামিদ মীরের কোনটকে আষাঢ়ে গল্প বলতে চাচ্ছেন তা ঠিক বুঝতে পারছি না।
সবশেষে, সচলায়তন যখন থেকে পড়া শুরু করি তখন থেকে এত ভালবেসে ফেলেছিলাম যে খুব ইচ্ছে হয়েছিল সচলায়তনে একাউন্ট খোলার। কিন্তু আমার যে আসল নাম সজল, সেই নামে সচলায়তনে আগেই একজন লেখক আছেন। তাই তাৎক্ষনিক যেই নাম মাথায় এসেছিল সেটাই দিয়েছিলাম। এতে যে সচলায়তনকে কোন ভাবে ব্যঙ্গ করা হতে পারে এটা মাথায় আসে নাই। তাই এরকম মনে করে থাকলে আমি সত্যি দুঃখিত। একাউণ্টটা সচল হলেই আমি অবশ্যই চেষ্টা করবো নাম বদলানোর।
ভালো বলেছেন। পাকিস্তান ক্রিকেট টিমকে সাপোর্ট করার সময় বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম ঠিক এই ভাষায়ই কথা বলে। আর তরুণদের পাকিপ্রেম প্রধানত প্রকাশ পায় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করেই। তাহলে তো আর কাউকে দোষারোপের কিছু নেই। খেলার সাথে রাজনীতিকে মিশাতে আপনারও অনীহা দেখতে পাচ্ছি।
আমি ভুল বুঝলে ঠিক করে দিবেন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সজল ভাই, মুক্তিযুদ্ধ কোন রাজনীতি না যে আমি খেলার সাথে রাজনীতি মিশাবো।
এই তরুন প্রজন্ম যা বলতে চাচ্ছে আর আমি যা বলতে চাচ্ছি আশা করি দুইটাকে একসাথে গুলায়ে ফেলেন নাই। এখনও যদি আমার কথাবার্তা থেকে ধরতে না পারেন তাহলে পরিষ্কার করে বলি, যতগুলো দেশ ক্রিকেট খেলে তার মধ্যে আমার সবচেয়ে অপছন্দের দেশ পাকিস্তান, আমি মনে করি তাদের ক্রিকেট খেলাও ক্রিকেটের জন্য একটা ডিসগ্রেস। ঐ কথাটা আমি লিখেছি ব্যাপারটাকে আপনারা যতটা বড় করে দেখতে চাচ্ছেন ব্যাপারটা মোটেও তা না সেটা বুঝানোর জন্য, আর ঐ তরুন প্রজন্ম এই কথা ব্যবহার করে মাতৃভূমির সাথে খেলায় পাকিদের সাপোর্টের জন্য। আশা করি পার্থক্যটা ধরতে পেরেছেন।
মুক্তিযুদ্ধ পুরোপুরিই একটা রাজনৈতিক ব্যাপার। মুক্তিযুদ্ধ এবং রাজনীতি দুই বিষয়েই আপনার ধারণা পরিস্কার করার সুযোগ রয়ে গেছে।
পাকি সমর্থকেরা বলে খেলার সাথে মুক্তিযুদ্ধ মিশাবো না, কিংবা খেলার সাথে রাজনীতি মিশাবো না। আপনিই খুঁজে দেখুন এই কথার সাথে আগে কোট করা আপনার কথার কতটুকু পার্থক্য আছে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
"পাকিস্তানকে ঘৃণা করি।
পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে সমর্থন দেওয়ারও কোন যুক্তি খুজে পাই না।”"
এরপরই
“"প্রতিপক্ষ যদি যোগ্য প্রতিপক্ষ হয় তাহলে তার দক্ষ বয়োজ্যেষ্ঠকে বড়ভাইয়ের চোখে দেখা কি ভুল?”"
আপনি কাকে বড়ভাই মনে করে আনন্দ পান তাতে অন্য কেউ ভুল বলবে কেন? আমাদের কাছে পাকিস্তানীদের বড়ভাই মনেকরাটা অশালীন লাগে।
“"পাকিস্তানকে আমিও মনেপ্রানে ঘৃণা করি।"”
আবার কেন ভাই? বড়ভাই না?
“"আর এই তেল কিন্তু শহীদ আফ্রিদির প্রাপ্য, কেন সেটা জানতে হলে তার পারফরম্যান্স দেখুন।”"
জ্বী, তার পারফর্মেন্সএর পরিসংখ্যান দেখলাম। তেল তো প্রাপ্যই, পাকিপ্রেমে দিওয়ানাদের কাছ থেকে।
“"অই কথাকে যদি পাকিপ্রেম মনে হয় তাহলে বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনি পাকিপ্রেম বা এই সংক্রান্ত বিষয়ে তেমন কিছুই জানেন না”"
অবশ্যই। পাকিপ্রেমের স্বরূপ সেই প্রেমে দিওয়ানারাই ভাল বলতে পারবে। আমার জানার কথা না, মেনে নিলাম।
"পাকিস্তানের মত হাস্যকর রাষ্ট্র নিয়ে সে দেশের হতভাগা সাংবাদিক আক্ষেপ করছে-.....”"
আহা প্রেম !
“"সামান্য খেলা নিয়ে রিপোরটিং এর সময় পাকিদের সাথে আমাদের রক্তাক্ত অতীত নিয়ে চিন্তা করার কোন কারন আমি দেখি না,”"
খুব স্বাভাবিক। আমাদের রক্তাক্ত অতীত নিয়ে চিন্তা করার কারণ আপ্নারা কখনোই দেখেন না।
“"যতগুলো দেশ ক্রিকেট খেলে তার মধ্যে আমার সবচেয়ে অপছন্দের দেশ পাকিস্তান, আমি মনে করি তাদের ক্রিকেট খেলাও ক্রিকেটের জন্য একটা ডিসগ্রেস।”"
হায় হায় ! উপ্রে যে যোগ্য প্রতিপক্ষ, আফ্রিদির তেলপ্রাপ্তির যোগ্যতা এইসব নিয়ে বয়ান দিলেন ?
লেঞ্জা ইজ অ্যা টাফ থিং টু হাইড। সুতরাং এত কষ্ট না করে গালে পাকি পতাকা এঁকে গ্যালারীতে বসেন গিয়া, পাছার কাপর তুলে আফ্রিদিকে তেল মারেন গিয়া, কাজে দিবো।
একাউন্টটা সচল হওয়ার আগেই অন্য নিক নিলে সমস্যা কোথায়, সেটা বুঝতে একটু সমস্যা হচ্ছে আমার। যাইহোক, এটা মডুরা বুঝবেন। একজন সচলচারী হিসেবে সচলায়তনের নামের সাথে ব্লেন্ডিং করে কোনো নতুন/পুরাতন অতিথি/সচলের নাম দেখতে অস্বস্তির ব্যাপারটা খুলেই বললাম আমি।
জিও টিভি'কে ন্যাটজিও বলে ফেলছি, মাই ব্যাড! কিন্তু ঘটনা হলো, হামিদ মীর মোটেও 'একজন সাংবাদিক মাত্র' নন। পাকিস্তানের মিডিয়াতে হামিদ মীর যথেষ্ট সমীহ জাগানো এক ব্যক্তিত্ব। এটা আপনার অজানা থাকলে জেনে নিন।
তিনি জিও টিভির উত্তরাঞ্চলীয় সম্পাদক এবং জিও টিভির বেশ পরিচিত রাজনৈতিক টক-শো 'ক্যাপিটাল টক' এর উপস্থাপক। নিজে 'দৈনিক আউসাফ' নামে একটি পত্রিকা শুরু করেছেন (১৯৯৭ সালে) প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসেবে। এই দৈনিকটি এখন পাকিস্তান তো বটেই, এমনকি ইয়োরোপের লন্ডন, ফ্রাংকফুর্ট (ইয়োরোপের আরও পাঁচটা দেশ থেকে বের হয় এই পত্রিকা) শহর থেকেও প্রকাশিত হয় স্থানীয় পাকিস্তানীদের মুখপত্র হিসেবে। তো 'উনার' অবস্থান থেকে কী করতে পারেন সেটা অতি সহজেই অনুমেয়। 'উনি' কি 'উনার' এইসব মিডিয়া ব্যবহার করেছেন পাকিস্তানীদেরকে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানানো মাধ্যম হিসেবে? নাকি কেবল প্রথম আলোকেই 'উনার' একমাত্র মাধ্যম মনে হয়েছে? এই প্রথমালো মাধ্যম ঠিক কাদের জন্য ব্যবহার করেছেন জনাব মীর? আপনার মতো চামচাদের জন্যই নয়তো!
এই মুহূর্তে তিনটা পত্রিকার নাম মনে আসছে, সিডনি মর্নিং হেরাল্ড, দ্য টেলিগ্রাফ আর দ্য অস্ট্রেলিয়ান। আরও দুয়েকটা আছে, যেগুলোর নাম মনে নাই এখন। অস্ট্রেলিয়ার মারদাঙা ফর্মের সময়ে এই পেপারগুলোর খেলার পাতা প্রতিদিনই পড়েছি। সেখানে হোম এবং অ্যাওয়ে- কোনো সিরিজেই 'বড় ভাই'- 'ছোট ভাই' সুলভ কোনো হেডিং, খবর, কাটিং, বালছাল— কিছুই চোখে পড়ে নাই। আপনার যেমন ঐসব পেপার কেউ পড়ে থাকতে পারে বলে কোনো আইডিয়াই নাই, তারা 'এসব সামান্য বিষয়'এর চেয়ে সামান্যতম বিষয় নিয়েও যে মাতামাতি করতে পারে, সে ব্যাপারেও কোনো ধারণা নাই। কারণ, খেলার মধ্যে বড়ভাই-ছোটভাই'এ আপনি আর প্রথম আলো গং কোনো সমস্যা না দেখলেও তাবৎ দুনিয়া সেইটা একটা পিউর ছাগলামী হিসেবেই দেখে, এর চেয়ে অনেক সামান্যতম বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েও।
ক্লাব ক্রিকেট বলতে আন্তর্জাতিক ক্লাবের কথা বলছি। আপনি ঘরোয়া বুঝলেন কেনো? পাকিস্তানী খেলোয়াড়রা কি ঘরোয়া? আর পাকিস্তানীদের চুরিচামারি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ খবর? আপনি কি ক্রিকেটের সাপেক্ষে ক্রিকইনফোকে বাইবেল ধরে বললেন? আগে একবার বলেছি, ক্রিকইনফো আর প্রথম আলো'র মধ্যে আটলান্টিক পরিমান পার্থক্য আছে। এইটা কি আপনে বুঝেন?
সারছে!! পাকি ম্যানেজারের মনের কথা দেখি আপনি বুঝে ফেলতেছেন। ঘটনা কি ব্রো? রক্তের টান?
আচ্ছা ভুদাই তো আপনি। বাংলা বুঝেন না নাকি বুঝেও আলু পেপারের মতো গোয়া উঁচা করে মাথা বালুতে গুঁজে বদলে দাউ, বদলে দাউ রব তুলে যাচ্ছেন! সিনিয়রিটির সম্মান পাওয়া আর 'বড়ভাই' 'বড়ভাই' বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলা এক কথা হলো?
অবশেষে অরিন্দম কহিলা... ন্যাঞ্জা ইজ আ টাফ থিং টু হাইড!
ব্লা ব্লা ব্লা... আপনার এই মন্তব্যের পর আপনার প্রতি কোনো সম্মান দেখাতে পারছি না। পাকিস্তানীদের বড়ভাই বানানো, তাদেরকে সমর্থন দান এবং এই দুই গ্রুপের অ্যাপোলজিস্টদের ব্যাপারে যুক্তির মায়রে বাপ। ফুলস্টপ।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মানুষকে যদি সম্মান করতে না পারেন তাহলে মানুষের সাথে তো আপনার কথাই বলা উচিত না, তাই না? একজন সিনিয়র হিসেবে, একজন অচেনা হিসেবে, একজন ভালো লেখক হিসেবে আপনাকে যথেষ্ট সম্মান করেই আমি কথা বলেছি। এর যে প্রতিদান আপনি দিলেন সেটা দেখে আমি অভিভূত।
হামিদ মীর কি করছেন পাকিস্তানে বসে এই ব্যাপারে সেটা কষ্ট করে একটু গুগলে খুজে নিন। মিনিট পাঁচেক ঘাটলেই পেয়ে যাবেন। আর এইসব পত্রিকা আর নিউজ চ্যানেলের তিনি সম্পাদক হতে পারেন, মালিক নন। বাংলাদেশের মত গনতান্ত্রিক দেশেই সম্পাদকদের যে হাল, আর ঐ বিদ্ধস্ত, ব্যর্থ, হাস্যকর গনতন্ত্রের দেশে তারা কতটা স্বাধীন চিন্তা করে দেখবেন।
তিনটা পেপার পড়েই নিজেকে সবজান্তা ভাবছেন দেখা যায়।
কি বলতে চাচ্ছেন সেটা কি নিজে বুঝতে পেরেছেন? কোন দেশের ঘরোয়া খেলার খবর প্রথম আলোর জন্য ছাপানো গুরুত্বপূর্ণ? আপনি বোধহয় ফুটবল আর ক্রিকেট গুলিয়ে ফেলেছেন। আর পকিস্তানি খেলোয়াড় কি ঘরোয়া বলেই বা কি বুঝাতে চাইলেন? আমার কোন কথায় এরকম অর্থ পেলেন?
আপনি কি বোঝেন? বুঝিয়ে বলেন? আমি যতদূর বুঝি প্রথম আলোর খেলার পাতার কাজ দেশের সব খেলার খবর জানানো, এর সাথে বিদেশের যেসব উল্লেহযোগ্য খবর আছে সেগুলো জানানো। আর আন্তর্জাতিক খবর জানার জন্য ক্রিক ইনফো, বিবিসি স্পোর্ট, ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড, ঈএস্পিএন যেখানেই যান পাকুদের চুরিচামারি, ঝগড়াঝাটি সবজায়গাতেই গুরুত্বপূর্ণ খবর। যেটা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ খবত সেটা কেন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়?
ফেনাটা কোথায় তুল্লো সেটা কি একটু দেখবেন?
হ্যা, লেজ অবশ্যই লুকানো কঠিন, তবে যারা কাল্পনিক লেজ দেখতে পায় চারপাশে তাদের অবশ্যই হ্যালুসিনেশনের চিকিতসা নেওয়া, এটার ভাল চিকিৎসা আছে।
আমি আপনার সাথে আর কোন তর্ক বা আলোচনা এগিয়ে নেবার রুচি পাচ্ছি না। আমাকে সম্মান দেখানো যদি আপনার অপ্রয়োজনীয় মনে হয় আমার মনে হয় না আপনাকে পাত্তা দেওয়ারও আমার কোন দরকার আছে।
মানুষকে সম্মান করতে কোনো সমস্যা আমার নেই কিন্তু রামছাগলদের সম্মান করতে আমার যথেষ্ট আপত্তি আছে। আর সেই রামছাগলগুলো যদি হয় পাকি সাপোর্টার তাইলে সম্মান তো দূরের কথা গোয়া বরাবর গদাম, কোনো বাৎচিত ছাড়াই।
হামিদ মীরের কার্যকলাপ আপনি গুগলে খুঁজতে থাকেন, সমস্যা নাই। পারলে তার পত্রিকা 'আউসাফ' নিয়াও একটু খোঁজখবর কইরেন তার ব্যাপারে না জেনেই তাকে 'একজন সাধারণ সাংবাদিক' আখ্যা দেওয়ার আগে। আমি দেখতে চাই, হামিদ মীর পাকিস্তানের কোনো প্রেসক্লাবের সামনে একটা ব্যানার নিয়ে দাঁড়ানোর পাশাপাশি তার নিয়ন্ত্রনাধীন খবরের কাগজে সে বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবী নিয়ে লিখেছে কিনা, বাংলাদেশের প্রথম আলো'তে লেখার আগে, পরে বা পাশাপাশি। আপনি গুগল করে যদি সেরকম কিছু পান, তাইলে সেটা জানান। আর নাইলে হামিদ মীরের হয়ে ঘ্যানঘ্যান করা বাদ দিয়ে দূরে গিয়া বিশেষ কর্মের পরে মুড়কি চিবাইতে থাকেন।
আপনে একবার কইলেন, ক্রিকইনফো'তে পাকিস্তান বেশি গুরুত্ব পায় বলে প্রথম আলোতেও গুরুত্ব পাওয়া ঠিকাছে! কিন্তু ক্রিকইনফোতে যে গুরুত্ব নিয়ে রেগুলার নানা দেশের ক্লাব ক্রিকেট, ফার্স্টক্লাস ম্যাচের খবর প্রকাশিত হয় সেগুলো প্রথম আলোর পাতায় পাওয়া যায় না কেনো! ক্রিকইনফো'তে পাকিদের পাদের খবর 'আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ' খবর বলে প্রথম আলো ছাপাতে পারবে আর ঐসব ঘরোয়া ক্রিকেটের খবর ছাপাতে গেলে ভাসুরের নাম মুখে নেওয়া হয়?
একটা দৈনিক পত্রিকার খেলার পাতায় খেলার খবরের গুরুত্বের চেয়ে পাকিলেহন সম্বলিত 'আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ' খবর তো পাকিপ্রেমে ইশকে দিওয়ানা না হলে ছাপানোর কোনো কারণ দেখি না। এইটা সোজা হিসাব। আপনি যদি এইটা না বুঝতে পারেন তাইলে হয় আপনিও পাকিপ্রেমে দিওয়ানা কিন্তু প্রকাশ করতে পারেন না আর নাইলে আপনে চূড়ান্ত পর্যায়ের ভুদাই।
হে হে হে, আগের মন্তব্যে মহা টেটনের মতো "ঐসব দেশের পেপারেও যে বয়োজোষ্ঠ্য খেলোয়াড়দের 'বড়ভাই' সম্মান দিয়ে খবর ছাপা হয় নাই!" সেইটা কেমনে জানি, জিগাইলেন! তার একটা ছোটখাটো উদাহরণ দিলাম। সেইটাও আপনার পছন্দ হলো না দেখি। তো এখন আপনিই বলেন মহামতি, কয়টা পেপার পড়লে আপনের মতো টেটন আর অন্তর্যামী হতে পারবো আর জানতে পারবো ক্রিকেটে গুরুজনকে সম্মান দিয়ে বড়ভাই বলার রেওয়াজ সারা দুনিয়াতেই পেপার পত্রিকায় চালু আছে! এখানে আলু পেপার নিষ্পাপ, নির্দোষ, হক্কমওলা- এক্কেবারে আপনের মতোন!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সাংগাকারা জয়াবর্ধনে বা ভেট্টরীকে বড় ভাই বানানো হয়েছে এমনটা মনে পড়েনা। যেহেতু দু'জনাই স্মৃতি হাতড়াচ্ছি, এই নিয়ে তর্ক করবনা।
আপনি লেখার পয়েন্টটা ধরতে পারছেন না। পাক লেহনকারীর সত্য মিথ্যা বলে কিছু নেই। প্রথম আলো খুবই ইন্ফ্লুয়েনশিয়াল মিডিয়া। সেই প্রথম আলোর পাক লেহনের সাথে বাংপাকিদের মিশিয়ে কি প্রথম আলোর কাজটাকে হালাল করা হচ্ছেনা?
এখানে প্রথম আলো কেন ভুল জায়গা হবে এই ব্যাপারটা আমার বোধগম্য হচ্ছেনা। প্রথম আলো কি সমালোচনার উর্ধ্বে নাকি ভুলত্রুটির বাইরে যে প্রথম আলো ভুল জায়গা হবে? আপনি কোথাও প্রথম আলোর পাক লেহন কে জায়েয করেননি, কিন্তু বার বার ই বলছেন প্রথম আলোনা, সত্যিকারের লেহনকারীর প্রথ মনোযোগ দিতে হবে। প্রথম আলোকে এই বেনিফিট অব ডাউট আপনি দিলেও আমি দিবনা।
আপনি একটা ব্যাপারে ঠিক ধরেছেন। আমি পাকিস্তানের রাজনীতির ব্যাপারে তেমন খোঁজ রাখিনা। আপনার মন্তব্যের পড়ে নিউজ ঘেটেও ইমরানকে গুরুত্বপূর্ণ নেতা মনে হয়নি। বিশ্বকাপ জেতার পরে ৯২ এর সময়কার প্রজন্মের মন জয় করলেও। সে কতদূর উঠতে পারে আর ক্ষমা চাইবার ব্যাপারে কি ভূমিকা রাখে সেটা সময়ই বলে দেবে। মাত্র ৯ বছর আগে হওয়া ২০০২ এর নির্বাচনে ২৭২ আসনের মধ্যে একটা সিট জেতা ইমরান রাজনীতিতে কি হাতি ঘোড়া করে ফেলল এই অল্প সময়ে তা জানার বেশ আগ্রহ বোধ করছি।
ভাই এই জন্য পত্রিকা আরো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। প্রথম আলোর আর্কাইভিং সুবিধা খুব একটা কাজের না তাই লিঙ্ক পেতে খবর হয়ে যায়, তাও কষ্ট করে আপনার জন্য আরেক খান হামিদ মীর দিলাম।
হামিদ মীর বা কুলদীপ নায়ার বা আমি আপনি প্রথম আলোতে লিখে ফাটিয়ে ফেলি তাতে আমার সমস্যা নেই। কিন্তু হামিদ মীর যখন একটা স্পেসিফিক টোন নিয়ে প্রথম আলোতে লিখে তখন সেটা নিয়ে চিন্তা হয়। আপনি হয়ত চারদিকে রিকন্সিলিয়েশন/ বদলে যাও বদলে দাও এর আহ্বান দেখেন নি। তাই ভয় হয় এসব দেখে। আর তারেককে বোকা ছেলে বা স্টুপিড বলে মাথায় হাত বুলিয়ে আসলে লাভ নেই, বোকা ছেলের ও পাকি প্রেম থাকতে পারে।
আসল কথা এইটাই, আমার আর আপনার পাকিস্তান প্রশ্নে অবস্থান ভিন্ন। তাই আমার কাছে যে কথা শুনলে রাগে গায়ে আগুন ধরে, আপনি হয়ত বোকা ছেলে লিখেছে বলে ছাড় দিতে চান। পার্থক্যটা এইখানেই - এই যা।
আমারো মনে হচ্ছে অবস্থানে ভিন্নতার কারনেই এই মতভেদটা হচ্ছে। প্রথম আলো সমালোচনার ঊরধে নয়, কিন্তু যেটাকে আপনি ভুলত্রুটি ভাবছেন সেটাকে আমি তা ভাবতে পারছি না, বেনিফিট অফ ডাউটের প্রশ্নই আসে না। এটা নিয়ে তাই আর আগাতে চাচ্ছি না।
দেখুন আমার কাছে মুক্তিযুদ্ধ অনেক বড় ব্যাপার। আমার নিজের প্রজন্মের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ যখন দেখি মুক্তিযুদ্ধ অতীত বলে ছুড়ে ফেলে দিতে চায় তখন তা আমি মানতে পারি না। কিন্তু তার মানে এই না একটা সামান্য খেলায় একজন সিনিয়র পাকিকে কেন একজন জুনিয়র পাকির ভাই হিসেবে তুলনার চেষ্টা করা হয়েছে সেটা নিয়ে আমি পাকুপ্রেম খুজে নেবো।
ইনফ্লুয়েন্সিয়াল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সটা আকাশ থেকে আসে না, আসে মানুষের বিশ্বাস অর্জনের ক্ষমতা থেকে। প্রথম আলোর অন্যতম এজেন্ডা যদি হতো পাকুপ্রেম, আমার মনে হয় না তারা আদৌ এতটা ইনফ্লুয়েন্সিয়াল হতে পারতো।
এইটারেই বলে 'বেনিফিট অব ডাউট'। অন্য অনেকের যেটা মনেহচ্ছে (প্রমাণ সহ), আপনার সেটা মনে না হওয়া!
শুধুমাত্র আপনার মন্তব্য দেখলে এখানে পাকুপ্রেম খোঁজার কিছু নেই। কিন্তু প্রথম আলো'র স্পোর্টস ডেস্কের নিউজ কাভারেজ অনবরত অনুসরণ করতে থাকলে আর 'পাকুপ্রেম খোঁজা'র দরকার নেই। এই প্রেম স্বর্গের দার-দোর ভেঙে আপনার ঘরে এসে পৌঁছাবে। প্রথম আলোর পাকিলেহন, পাকুপ্রেম বা ভুলত্রুটি দেখতে হলে রেগুলার তাদের খেলার পাতায় চোখ রাখতে হবে। বেশিকিছু করার দরকার নেই।
আর ভাই, আপনারে আবারও অনুরোধ করি, নিকটা বদলান। অস্বস্তি লাগে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বেনিফিট আব ডাউট কথাটার বাংলা জেনে বুঝে তারপর কথা বললে খুব ভাল হত। তাহলে এ ধরনের হাস্যকর মন্তব্য পড়তে হত না।
রেগুলার খেলার পাতায় চোখ রেখেই আমি কথা বলেছি। চাইলে আপনি রেগুলার চোখ রেখে পাকুপ্রেম চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা নিয়ে জাতিকে আলোকিত করতে পারেন।
নিকের ব্যাপারে উপরে উত্তর দেবার চেষ্টা করেছি। তারপর যদি আপত্তি থাকে তাহলে সচল হবার স্বপ্ন আপাতত বাদ দিতে হবে। তবে আমার মনে হয় না আমি সেটা করবো। ধন্যবাদ।
বেনিফিট অব ডাউটের বাংলা তাহলে কি বুঝায়া দেন।
রেগুলার চোখ রেখে পাকুপ্রেমের দৃষ্টান্ততো দেখাইলাম, এবার আপনি তাহলে পাকুপ্রেম নাই সেইটা দেখান।
আফ্রিদি, প্রথম আলো নিয়ে আমার সাম্প্রতিক লেখাটায় আপনার মূল্যবান মতামত আশা করছি
বেনিফিট আব ডাউটের বাংলা জেনে আর কী করবো বলেন! একবারে ঊর্দূটাই পারলে শিখায়ে দেন। ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যেখানে ডাউট থাকে সেখানে বেনিফিট পাওয়া যায় মশাই, যেখানে আমার ডাউট নাই সেখানে কি বেনিফিট দেবো?
আপনি যে দৃষ্টান্ত দিয়েছেন সেগুলো মোটেও সুবিধার বলে আমার মনে হয় নাই।
যে ঘুমিয়ে থাকে তাকে জাগানো যায়, যে জেগে থেকেও ঘুমিয়ে থাকে তাকে জাগানো যায় না। জেগে উঠে চারপাশটাকে দেখুন, নিজেই দৃষ্টান্ত পেয়ে যাবেন।
ভাই আপনার কাছে তো বেনিফিট অব ডাউটের বাংলা জানতে চাইলাম। না পিছলাইয়ে শিখায়ে দেন না ভাইটু। জেগে জেগে বা ঘুমায় ঘুমায় যেভাবে হোক, বাংলাটা ইট্টু বলে দেন
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
পাকিদের মুখে মু.. ( সেন্সর)
পাখাপোচু
অনেকদিন পরে নিজের ফেসবুকে সচলায়তনের একটা লেখা শেয়ার করলাম। এইটার দরকার ছিলো। ধন্যবাদ সাফি।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ধন্যবাদ ওডিনদা।
ধন্যবাদ। স্কুল জীবনে যখন চিন্তা দানা বাঁধেনি, অনেকটা অন্যদের দেখাদেখি সংক্রামক ভাবেই পাকিস্তান ক্রিকেটের সমরথক ছিলাম। ওয়াসিম-ওয়াকারের যুগ ছিল তখন।ইদানিং ব্যাপারটা নিয়ে চরম বিব্রত হই তবুও, লজ্জিতও। এরপর আমরা যেদিন আই সি সি জিতলাম এরপর তো আর পাকিস্তান সাপোর্টের প্রশ্নই আসেনা। আর ইংল্যান্ডে এসে পাকিস্তানিদের কুকীর্তির বহর দেখে ওদের একাত্তরের কীর্তি কল্পনা করতে বেশি কষ্ট হয়না আমার। দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে এর পরও এখানেও অনেক পাক-প্রেমিক দেখি যারা ভাই-ভাই নীতিতে বিশ্বাসী।
কিন্তু প্রথম আলোর মত পত্রিকার ভেতরে যদি ভেজাল থাকে সাধারণ মানুষ কথায় গিয়ে দাঁড়াবে? আর এত কিছুর পর ও, নিজের দেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার পর ও এত পাক-প্রেম, আফ্রিদিকে প্লিজ মেরি মি লেখা মেয়ে, গালে পাক পতাকা এঁকে মনে মনে মেহেরজান হয়ে যাওয়া তরুণীদের দেখে হুমায়ূন আজাদের মত খারাপ লকের কথা সত্যি মনে হয়---সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
আপনার সাথে আমার মিল পেলাম। ৯২ এর বিশ্বকাপ দিয়ে ক্রিকেট দেখার শুরু। সেখান থেকেই পাকিস্তান সমর্থন করতাম। আইসিসি কাপ এ বাংলাদেশের খেলা থেকেই বাংলাদেশে ফেরা। মজার ব্যাপার হচ্ছে, যখন আমি ছোট ছিলাম আর ইমরান ওয়াসিমদের হিরো জ্ঞান করতাম, তখন কিন্তু পরদিন পত্রিকার পাতা খুলে হিরোদের হিরোক্স নিয়ে রচনাগুলো পড়ে প্রেম আরো বাড়ত। প্রথম আলোর দায়িত্বশীলতা এই কারণেই আরো বেশী আশা করি।
আমার কাছে খালি একটা জিনিসই তাজ্জব লাগে, এই পাকি চু*মা*নি গুলি বাংলাদেশী পাইলে প্রথমে উর্দু *দায় কেন? আজকেও আলুতে লেখছে উইকেট নিয়া ওরা নাকি সবাইরে জিজ্ঞেস করছে, তাও উর্দুতে। আলুও সেইটা উর্দুতেই ছাপাইছে। এম্নেই তো নাপাক গুলি আশকারা পাইয়া পাইয়া আরো মাথায় উঠতেছে।
এইখানে আমাদের দোষ আছে। ওরা উর্দু *দালে আমাদের অনেকেই গদগদ হয়ে হিন্দি সিনেমা/চ্যানেল থেকে শেখা উর্দু বলে গর্ব বোধ করে। তাহলে ওদের ঠ্যাকা পরেছে কোথায় ইংরেজী বলার?
সজলায়তন ফরমাইয়াছেন,
ভাই কি পাকিস্তান ছাড়া আর কোন দলের খেলা দেখেন না নাকি? পাকিস্তানের খেলা দেখার সময়ও মনে হয় চোখ আফ্রিদির ওপরে ফোকাসড হয়ে থাকে! এই মহামান্য আফ্রিদির রেটিং সম্পর্কে কোন ধারণা আছে?
টেস্টে কোনো খবর নাই। ওয়ানডে তে ব্যাটিং ৪৪, বোলিং ৭, অল রাউন্ডার ৪। ২০তে ব্যাটিং ২৫, বোলিং ৬, অলরাউন্ডার ২।
২টা স্ক্রিনশট নেন, তাইলে বুঝতে আরো সুবিধা হবে।
এখানে আরেকটু চোখ বুলালে দেখবেন পাকিস্তান দলেই তার চেয়ে ভালো খেলোয়াড় আছে। বোলিং, ব্যাটিং, অলরাউন্ডার সব ডিপার্টমেন্টেই পাকিদলেই তারচেয়ে বেটার পারফর্মার পাবেন। অলরাউন্ডারের লিস্টে আরেকটা জিনিসে চোখ দিবেন, খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রেটিং। বর্তমান লিস্টের ক্যালিস, সাকিব, ওয়াটসন, ওরাম - এদের প্রত্যেকের ক্যারিয়ার বেস্ট রেটিংই মহামান্য আফ্রিদির চেয়ে বেশি। আফ্রিদি পলিটিক্সের কারণে দলে রেগুলার না - এই মহাযুক্তি দেয়ার আগে এই জিনিসটায়ও চোখ বুলাইয়েন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাই দা, এভাবে না বলাই মনে হয় ভালো। এতে করে চমৎকার একটা উপস্থাপনার সূচনায় গলদের মত মনে হয়। আশা করি কিছু মনে নিবেন না
সমস্যা কোথায়? সজলায়তনের নামের আগে মিঃ/জনাব এগুলা যোগ না করায়?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমরা কি কারো মন্তব্যের জবাবে তার নামের আগে মি: বসাই?
আমি আসলেই বুঝতে পারছি না, সমস্যা কি। ক্লিয়ার করে বলেন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
পিপিদা, আমি রেস্ট্রিক্টেড টেক্সট দেখি না, পূর্ণসচলের সুবিধা নাই।
আমার মন্তব্যে বলার ধরনে আমি নিজে কোনো সমস্যা দেখি নাই। কাউকে হেয় করার জন্যও নির্দিষ্ট ধরন জোর করে প্রয়োগ করি নাই। সজলায়তন (আল্লাহ জানে, এই নিকের শানে নুযূল কি)ও আপত্তি করেন নাই। উনি একটা স্টেরিওটাইপড ভুল কথা বলেছেন (পাকিস্তান ভালো খেলে বলে পাকিস্তান সমর্থন করি - স্টেরিওটাইপ), আমি সে কথাটা যে ভুল সেটাই দেখালাম, সাথে এরকম ভুল কিভাবে হতে পারে সেই কনটেক্সসহ। এ অবস্থায় বলার ধরনে সমস্যা কোথায় এটা স্পষ্ট করে না বললে তো আমি অথৈ জলে। এখানেও বলতে পারেন, ইমেইলেও বলতে পারেন।
----------
সংযুক্তি: পিপিদা ক্লিয়ার করেছেন, ফরমাইয়াছেন শব্দটা ব্যঙ্গের মতো শোনাচ্ছে (শব্দটা আমি অবশ্য একটা রম্য এক্সপ্রেশন হিসেবে ব্যবহার করেছিলাম)। সজলায়তন আপত্তি করলে মডারেটররা আমার কমেন্ট থেকে 'ফরমাইয়াছেন' পালটিয়ে 'বলেছেন' করে দিতে পারেন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
রম্য করতে চেয়েছেন কাউকে নিয়ে, করুন, তার মতামত খোজার মত দরকার আছে নাকি আদৌ?
আমি কোথাও এরকম কথা বলি নাই, পাকিস্তান আমার সবচেয়ে অপছন্দের টিম। ঠিকমত বুঝে শুনে কথা বললে ভাল হত।
খামাখা এতগুলা স্ক্রিনশট নিয়েছেন। আফ্রিদি এই বছরে 2nd leading highest wickettaker। অবসর ভেঙ্গে ফিরে এসে সাত ম্যাচে তিনটা ম্যান অব দ্য ম্যাচ, একটা ম্যান অব দ্য সিরিজ। আর যেই স্ক্রিনশট সেখানেও দেখা যায় আফ্রিদি চার নং অলরাউন্ডার আর সাত নং বোলার। এটা কি কম মনে হচ্ছে আপনার কাছে? আমার জানামতে হাফিজকে নিয়েও যথেষ্টই মাতামাতি হচ্ছে। কিন্তু যে্টা ঘটনা সেটা হল সে হয়তো ধারাবাহিক পারফরম করছে, সে সাম্প্রতিককালে একক প্রচেষ্টায় দলকে জেতায়নি। এগুলা জানার জন্য পাকুদের খেলা দেখা লাগে না। সামান্য নেটে ঘাটাঘাটি যথেষ্ট।
ধন্যবাদ।
ত্যানা। ইগনোরড।
খামাখা শব্দটা আপনার ক্ষেত্রে সত্য। তবে অনেকের কাছেই স্ক্রিনশটের বক্তব্যটা গুরুত্বপূর্ণ।
এটা তো আমার মন্তব্যেই প্রেডিক্ট করেছিলাম। কী-ওয়ার্ড: 'ক্যারিয়ার বেস্ট'।
কম বলি নাই তো। তবে পাকি দলেই তার চেয়ে বেশি পারফর্ম করা খেলোয়াড় আছে। হাফিজ, আজমাল।
হে হে, আফ্রিদি ভক্তরা কি সম্প্রতি এই পারফর্ম্যান্স দেখেই আফ্রিদি ভক্ত হয়েছে নাকি?
আপনি ভাই আসলেই খেলা দেখেন না, নেটেও ক্রিকেট নিয়া ঘাটাঘাটি করেন না। করলে চোখে পড়তো, দুই ম্যাচ আগেই হাফিজ বাংলাদেশের সাথে খেলায় ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হলো।
শ্রীলংকার সাথে সিরিজেও ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছে।
আপনার ক্রিকেট জ্ঞান শূন্য। আফ্রিদিপ্রীতি জায়েজ করার জন্য খামাখা ক্রিকেট সম্পর্কে উলটা পালটা না বলাই ভালো। তার চেয়ে আফ্রিদির সেক্সি দাড়ি আছে-জাতীয় যুক্তি দেখান, কাজে লাগবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
তার আগে জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজে টেস্ট/ওডিআই/টি২০ তিনটাতেই হাফিজ ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছে
২০১১ তে হাফিজ ম্যান অফ দ্য ম্যাচ মোট ১০ বার (টেস্ট ১, ওডিআই ৬, টি২০ ৩), আফ্রিদি মোট ৫ বার, সবই ওডিআইয়ে।
হাফিজ
আফ্রিদি
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
তারেক মাহমুদের সমস্যাটা কোথায়!? আজকে নাসিরকে নিয়ে যে রিপোর্ট এসেছে সেখানেও "ভাই" বানাবার চেষ্টা চোখে পড়বার মতো! সমস্যাটা ঠিক কোন জায়গায়!?
নতুন মন্তব্য করুন