খেতে বসলে টিভি দেখা বা দৈনিক পত্রিকা/গল্পের বই পড়ার অভ্যেস আমার ছোট থেকেই। আমেরিকায় আসার পর থেকে টিভি দেখার স্থলে বই পড়ার হার বেড়েছে, কিন্তু অভ্যেস বদলানো হয়নি। কদিন আগেই বাসায় সেট টপ বক্সের সুবাদে বাংলা টিভি চ্যানেল দেখা যাচ্ছে, তাই একটু আগে, খাবার প্লেটে নিয়ে একুশে টিভি খুলে বসলাম। প্রথমেই সুবেশী সুন্দরী উপস্থাপিকা মিষ্টি হেসে আমায় সুপ্রভাত জানালো। আরো জানতে পারলাম অনুষ্ঠানটিতে জনৈক জ্যোতিষি মহাশয় জ্যোতিষ শাস্ত্র নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি টেলিফোনেও পরামর্শ দেবেন। আমার খাওয়া তো ততক্ষনে চান্দে। ভবিষ্যত জানার এই সুবর্ণ সুযোগ। বলতে না বলতেই দুজন দর্শক ফোন দিলেন। প্রথম জন মীন রাশির জাতক, জন্মদিন মনে নেই আমার। আর দ্বিতীয় জনের জন্মদিন ২২শে ডিসেম্বর, অর্থাৎ আমার মতই মকর রাশির জাতক। তারা উভয়েই জানতে চান তাদের ভবিষ্যত কী। জ্যোতিষ মহাশয় মুচকি হেসে বলা শুরু করলেন -
আপনার জন্মদিন **** তারীখ, সুতরাং আপনি মীন রাশির জাতক। আপনার ইগো প্রবলেম আছে, তাই আপনার উঁচুতে কেউ থাকলে আপনি ডিপ্রেশনে ভুগতে পারেন, সুতরাং আপনার নীচুতে রাখতে হবে।
আমার মুখে খাবার ছিলনা, তাই বিষম খাইনি। নইলে আজকে আর খাওয়া লাগতনা। এমনিতেও আমার মনে হয় চিন্তা ভাবনা খারাপ, কে উপরে থাকবে আর কে নীচে থাকবে শুনলেই চিন্তা ডাইভার্ট হয়ে যায়। তারপরেও টেলিফোনে প্রশ্ন শুনেই ইগোর সমস্যা ধরে ফেলায় মনে মনে জ্যোতিষ মহাশয়ের প্রতি শ্রদ্ধায় অবনত হলাম। এবার মকরের পালা, সুতরাং শ্বাস চেপে অপেক্ষায় আছি উপরে, নিচে, ডাইনে বামে কোন পজিশনে থাকা উচিত জানার জন্য। ঠিক তখনই-
আপনার জন্মদিন ২২শে ডিসেম্বর, আপনি কথা দিয়ে কথা রাখতে পছন্দ করেন। কখনও কথা রাখতে না পারলে ডিপ্রেশনে ভুগতে পারেন।
আমি তো কস্কি মমিন ততক্ষনে। সবের মধ্যেই দেখি ডিপ্রেশন! যাই হোক, এই দুই দর্শক নিজেদের ভবিষ্যত সম্পর্কে কী সিদ্ধান্ত নিলেন এই পূর্বাভাস থেকে তা জানিনা, কিন্তু এরকম অনুষ্ঠান আমাদের টেলিভিশনে কেন প্রচারিত হবে সেটা আমার প্রশ্ন। রাশিচক্র বা ভাগ্য গণনা নিয়ে আমাদের অনেকেরই অনেক আগ্রহ দেখেছি। ছোট থাকতে আমি নিজেও প্রতিদিন সকালে দেখে নিতাম রাশিতে কী আছে। প্রেম শুভ থাকলে কোচিং এ বসে পাশের বান্ধবীদের দিকে আড়ে আড়ে চাইতাম শুভক্ষণ কখন আসবে। প্রায়ই অর্থযোগ থাকত, আর থাকলেই আম্মার কাছে টিফিনে চটপটি খাওয়ার টাকার আবদার করতাম। সাতদিনে একদিন টাকা পেলেই ব্যাস জ্যোতিষ বাবার প্রতি ভক্তিতে গদগদ হয়ে যেতাম। আমি নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি, আমার এই অভ্যেস গড়ার পেছনে ১০০ভাগ ভূমিকা ছিল পত্রিকার পাতার। ভাবতে অবাক লাগে, আমাদের জাতীয় দৈনিকগুলোতে প্রতিদিন বিজ্ঞান বিষয়ক পাতা বা আলোচনা থাকুক না থাকুক, আপনার রাশি সম্বলিত অংশ থাকবেই থাকবে। বিজ্ঞান বিষয়ক পাতা বলতে কেউ আবার ভেবেন না - স্যামসাং কোন মোবাইল বানালো বা কিভাবে ভাইরাস থেকে সুস্থ রাখবে কম্পিউটার এসব আলোচনার কথা বলছি। অথচ এই দৈনিকরাই গণিত অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান মেলা আয়োজন করে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলে। আমি অবাক হয়ে ভাবি, যেই সম্পাদক পত্রিকার পাতায় রাশিচক্র ছাপান, তিনি যখন গণিত অলিম্পিয়াডে ছোট ছোট শিশুদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন সেই বক্তব্যের কতটুকু তিনি নিজে বিশ্বাস করেন?
যারা জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিশ্বাস করেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ছোট্ট একটা অনুরোধ জানাই। আপনার প্রিয় জ্যোতিষির সাথে সাক্ষাৎ করুন। তাকে জিজ্ঞেস করুন আগামী পাঁচ মিনিটের মধ্যে জ্যোতিষ বাবার তার নিজের পাছায় লাথি খাওয়ার কোন আশংকা করছেন কিনা। এবার জ্যোতিষ বাবা যেই ভবিষ্যতবাণী করবেন, তার উল্টোটা করুন। দুনিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাশালী সুপার কম্পিউটারও পরেরদিন কখন কতক্ষণ বৃষ্টি হবে এই সমাধান এখনও দিতে পারেনা। অনুগ্রহ করে তাই এইসব বাল্ছালে সময় নষ্ট না করে নিজের কাজে মন দিন, নিজের ভাগ্য নিজে তৈরী করুন। মতিকন্ঠের ভাষায় - লাইনে আসুন।
মন্তব্য
কাকতালীয়! গতকাল ভাত খেতে খেতে আমিও একটা প্রোগ্রাম দেখতেছিলাম, বিষয়বস্তু সে একই জ্যোতিষ শাস্ত্র।
তবে এটা অনেক মডার্ন প্রোগ্রাম। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাত দেখাচ্ছেন জ্যোতিষী মহাশয়ককে। ভদ্রলোক দেখলাম সেইরকম এক্সপার্ট। হাতের রেখা দেখে বলে দিচ্ছেন, কোথায় রাহু কোথায় কেতু কোথায় শনি অথবা বৃহস্পতি। তারপর তাদের কাটানোর জন্য কী করা দরকার। খুব মজা পেলাম অনুষ্ঠানটি দেখে।
শনি বৃহস্পতি কি কক্ষপতচূ্যত হয়ে হাতে নেমে পড়েছে নাকি এখন? অ্যা?
আপনে এত খুশী কেন? বিবাহযোগ আছে নাকি?
উদাস মাস্টর এর আসন্ন বিয়া
হায় হায় কন কি সাফি মিয়া।
উদাস বর সাজব টুপুর মাথায় দিয়া
কি আজব কথা আমাগো উদাসের বিয়া।
ডাকঘর | ছবিঘর
না, একবার এক নব্য জ্যোতিষি আমার হাত দেখে বলছিলো, আমি নাকি বেশ সিরিয়াস লোক। জীবনে সব কিছু নাকি সিরিয়াসভাবে নেই। হাসি মস্করা নাকি পছন্দ না। ঐটা মনে পড়ায় হাসতেছি
ভুলটা কইল কি? আপ্নে তো সিরিয়াস লোকই, এসো নিজে করি সিরিজ তো ব্যাপক গবেষনার ফসল। ফাত্রা লোকে ওই সিরিজ পয়দা করতে পারবে?
..................................................................
#Banshibir.
এই যে ভুলটা করলেন চউদা ভাই। ঐটা তো জ্যোতিষ আছিলোনা, হেইডা ছিল আমরার জোকার ভাই। আপনারে কইছে Why so serious? আর আপনে যা তা ভাইবা বসে থাকলে হবে? এই জন্যই জ্যোতিষীদের দোষ হয়।
চরম উদাস ভাইয়ের নামডা অপভ্রংশের (এরকম কিছু একটা) মাধ্যমে কই যে যাইতেছে
জোকারের Why so serious? আহারে!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
একবার এক কর্পোরেট অনুষ্ঠানে খ্যাতনামা এক জ্যোতিষী সবার হাত দেখছে বিনে পয়সায়( আয়োজকদের পয়সায়)। আমার এক কলিগ আর আমিও পড়লাম তাতে। আমার হাত দেখেটেকে গম্ভীর হয়ে বললো, "স্ত্রীর সাথে আপনার খুব মনোমালিন্য আর ভুলবোঝাবুঝির সম্ভাবনা আছে আগামী মাসে, তা কেটে যাবে যদি একটা বিশেষ পাথর ব্যবহার করেন, আমার কার্ডটা রাখেন, সময় করে আসবেন-"
ব্যাটা গাড়ল জানে না বিয়ে করতে আরো তিন বছর বাকী আমার!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
জ্যোতিষবাবা কি আর না জেনে বলেছে? লিচ্চিতভাবেই ছোটবেলায় ঐ বাংলা সিনেমার মত কারো মৃত্যু সয্যায় কেউ আপনের শুভ কাজ সমাধা করে দিয়েছিল। এখন ভাবীর ভয়ে উল্টোপাল্টা বললে ছৈল্তন নীড়দা।
ছোট বেলায় এক ফুল মুন (টাকলু) জোতিষী আমার হাত দেখে বেশ গম্ভীর হয়ে বলেছিলেন, 'ছেলের ভাগ্যে টাকা পয়সা আছে। কিন্তু শত্রুর অভাব নাই!'
শত্রু-মিত্রের ব্যাপারে শিউর না হলেও টাকা পয়সার ব্যাপারে যে জোতিষী মশাই পুরাই গুল মারছিলেন সেইটা আমার ব্যাংক একাউন্টের দিকে এক নজর তাকালেই বুঝা যায়। হালায় ফাউল পুরা।
তবে, বছর কয়েক আগে আরেকজন বিখ্যাত জোতিষী, আমাদের বলাই'দা (তৎকালীন 'চোর') আমার হাতের ছাপ্পা দেখে সেরকম অতীত-ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন।
আপনে মিয়া পেপার পত্রিকা হাতে নিয়া রাশিফল পড়তেন? আমি প্রথমেই চোখ দিতাম 'পাত্র চাই' বিজ্ঞাপনে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ইরে আমাগো বলাইদা পারে নাকি? একটা মজার ঘটনা বলি। আমার এক খালার অনেকদিন বিয়ে হচ্ছিলনা। এদিকে আমার নানীর দাদী (জ্বি সত্যি পড়তেছেন) উনি খুব ধার্মিক ছিলেন এবং ওনার বেশ কয়েকটা প্রফেসি ফলে গেছিল। যাই হোক, উনি একদিন নামাজ থেকে উঠে বললেন যে উনি আমার খালার কথা যখনই চিন্তা করতেন তখনই সামনে একটা গিঁট মারা দড়ি দেখতেন, কিন্তু সেদিন দেখেছে দঁড়িটার কোন গিঁট বাঁধা নেই। এই খবরে আমরা সবাই যারপরনাই আনন্দিত এবং প্রভাবিত হই। নেক্স্ট যে সম্বন্ধ আসে সেই ঘরেই খালার বিয়ে হয়।
এগুলি সত্যিই মারাত্মক। সিরিয়াসলি বলতে গেলে মানুষকে স্বাভাবিক চিন্তা থেকে বিচ্যুত করে দেয়। যেমন এক সপ্তাহের রাশিফলে দেখা গেলো সব ভালো, আচ্ছা, ভালো। তো পরের সপ্তাহে দেখা গেলো ইয়ে খারাপ, গ্রহের ফের, অফিসে খারাপ দিন, দাম্পত্য ক্লহ---ইত্যাদি নানা ফিরিস্তি। হলফ করে বলছি যারা এই ভাগ্য গণনায় বিশ্বাস করেন তারা তাদের এই রাশিফল দেখে চরম বিষণ্ণ হয়ে যান। দশ কথার এক কথা হল - সেই রাশিফল দেখে বেচারা ভিক্টীম আগে থেকেই ভেবে বসেন এটা কিংবা সেটা তো হবেই, হবে। তো হয়টা কি যা না হওয়ার তাও তার আংফাং চালচলনের ফলে হয়তো ঘটেই যায়। জ্যোতিষ মানে এমন লোককে প্রচন্ড মানসিক ডিপ্রেশনে ভোগতে দেখেছি। দুই হাতের এমন কোন আঙ্গুল বাদ নেই যেখানে বাবা জীবন জ্যোতিষ তার ব্যাবসা চালান নি। দশটা আঙ্গুলেই বাবা পাথর নামক ইয়োগা মেরে দেয় ভিক্টীমকে। ফিরিস্তি দিতে গেলে শেষ হবেনা। আপনার শেষ কথাটাই ঠিক। যারা জ্যোতিষ মানেন তারা শুধু একবার আপনার সেই বাবা জীবনকে গিয়ে বলেন - একটু পরে আপনার সাথে কি হবে বাবা?? তারপর দ্যাখেন কি বলে।
ডাকঘর | ছবিঘর
রবি ঘোষ না কার যানি একটা সিনেমা দেখেছিলাম ছোটবেলায় রাশিফল নিয়ে এক মধ্যবিত্তের কাহিনী। খুবই মজার ছিল সেটা। বাবারা নিজের ভবিষ্যত নিজেরা দেখতে পারলে তো হতই।
---------------------
আমার ফ্লিকার
"নিজের ভাগ্য নিজে তৈরী করুন।"
এটাই হল আসল কথা।
রাশি-ফাসি বিষয়ে কথা বলা বা সংবাদ পড়া বা এ জাতীয় অনুষ্ঠান দেখার মত ফাকটার্ড কাজকামের টাইম পায় মানুষ?!
লেখা চখাম হইছে
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
রাশিচক্রের সাথে একটা সংবিধীবদ্ধ সতর্কীকরন দেয়া যেতে পারে-রাশিচক্রে বিশ্বাস দৈনন্দিন জীবনের জন্য ক্ষতিকর!
=)-ধানমন্ডি লেকের কাছে একবার কুড়ি টাকা দিয়ে হাত দেখিয়েছিলাম! বিয়ের পর পরকীয়া, ৪ সন্তানের জন্মদান, পেটের গোলযোগ আরো কত কি যে আছে আমার কপালে!
ভাই এর পর ওই টাকা দিয়ে আমারে চানাচুর খাওয়াইয়েন তাও কাজে দিবে। চাই কে আপনার সাথে "ভবিষ্যতে" আঞ্জুমান আরা জলিরও পরকীয়া এবং চার বাচ্চা ঘ্টায় দিবো।
আঞ্জুমান আরা জলি
সেভেন এইটে পড়ার সময় হাওলাদারের বই কিনসিলাম। পড়ে ব্যাপক মুগ্ধ হইসিলাম মনে আসে। আবার পড়তে মঞ্চায়, এইবার রম্যরচনা হিসেবে পড়তাম। বাসায় ছিল ইত্তেফাক, খুব কঠিন ভাষায় রাশিফল লিখা থাকত। যোগাযোগ শুভ টাইপ কথাবার্তা, পড়ে মাথামুন্ডু কিছুই বুঝতাম না। যোগাযোগ শুভ অশুভ আবার কি?!
..................................................................
#Banshibir.
এনার নাম ই কি গাউসিয়ার ওভারব্রিজের নীচে লেখা ছিল?
ধরসেন সঠিক। লাল রঙের সাইনবোর্ডঃ প্রফেসর হাওলাদার
..................................................................
#Banshibir.
জ্যোতিষ ‘শাস্ত্রের’ ইন্টারেস্টিং দিক হল, এটা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ‘সমস্যায়’ পরিবর্তন এনেছে, যেটা কোডাকের মত কোম্পানিও পারেনি!! ‘ইগো’ কিংবা ‘ডিপ্রেশন’। বহুযুগ টিকবে!
‘আমাদের সময়ে’ মাঝে মাঝেই দেখেছি ইংরেজি বলা মেয়েদের ফ্যাশন স্ট্যাটমেন্ট ছিল ‘স্টার সাইন’ নিয়ে আলোচনা করা। এমনই এক আলোচনায় এক মেয়ের প্রশ্নের উত্তরে জ্যোতিষ শাস্ত্রের কঠোর সমালোচক এক ছেলে বলেছিল তার স্টার সাইন নাকি ‘কটন’ (cotton)।
আহারে কোডাক, ব্যবসাই গুটিয়ে ফেলতে হলো।
বাচ্চু রাজাকারের কথা মনে পড়ে গেল।
ওরে আমারে ধর !
সেট টপ বক্সের সারভিস কেমন? কোন মাসিক ফি দিতে হয়?
সুপার কম্পিউটার পারে কি না জানি না, তবে পরেরদিন কখন কতক্ষণ বৃষ্টি হবে এই সমাধান দেয়া আজকাল তেমন জটিল বিষয় না।
তথ্যসূত্র? তাহলে ওয়েদ্যার সার্ভিসগুলো একুরেট প্রেডিকশন দিতে পারেনা কেন? ভবিষ্যতের সুপার কম্পিউটারের অন্যতম লক্ষ্যই হচ্ছে, আবহাওয়ার মডেলিং করা।
সেট টপ বক্স এর সার্ভিস ভালো। আমার ইন্টারনেট সার্ভিস ভালো মোটামুটি, কমক্যাস্টের ১২এমবিপিএস। আমি ভালই পাই। সেট টপ বক্সের এককালীন দাম জানিনা, অন্যজনের থেকে নিয়েছি। বাংলাদেশী প্যাকেজ যেটা ব্যবহার করি, মাসে ২০টাকা লাগে।
প্রেডিকশন কখনও এবসোলিউট হয় না- probability থাকে। probability ৯০% থাকলে বুঝবেন প্রেডিকশন একুরেট হবার সম্ভাবনা বেশি, ১০% থাকলে কম। আপনার এলাকায় আগামিকাল দেখতে পাচ্ছি বিকালের দিকে বৃষ্টি হবার ১০% সম্ভাবনা আছে। ১০% যেহেতু এটা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। রেফারেন্সের যে লিঙ্ক দিলেন- একটু উঁকি দিলাম। ওটা আবহাওয়ার নয়, ক্লাইমেট মানে জলবায়ুর মডেলিং করবে। সেটা কালকের বৃষ্টি কেন, আজকের বৃষ্টির সমাধানও দিতে পারবে না, কিন্তু ২০-৩০ বছর পরে জলবায়ু কেমন হবে তার ধারণা দেবে। আবহাওয়ার প্রেডিকশন দেয়া সোজা, কিন্তু জলবায়ুরটা কঠিন- কারণ তাতে আবহাওয়া ছাড়াও আরো অনেক প্রসেস যুক্ত থাকে, তাই সুপার কম্পিউটারের সহায়্তা নেয়া হচ্ছে।
সেট-টপ বক্সের ইনফোর জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক এই কারণেই কখন কতক্ষণ বৃষ্টি হবে এইটা বলতে পারা যায়না এখনও।
ক্লাইমেট মডেলিং এর আওতায় বৃষ্টিপাত নেই? আমার কাজ, সিস্টেম নিয়ে, সিস্টেম ব্যবহার করে কে কি করছে তা নিয়ে ততটা না। তাই আমি ভুল হতে পারি। কিন্তু ভবিষ্যতের ক্লায়েন্টদের চাহিদা যতটুকু শুনেছি তাতে মনে হয়েছিলো ক্লাইমেট মডেলিং এর আওতায় ঝড়,বৃষ্টই, বন্যা, খরা, এল নিনো, লা নিনো সবই পরে।
সেরকম পরিস্থিতি হলে ১০০% গারান্টি দিয়েও অনেক সময় কখন, কতক্ষণ বৃষ্টি হবে বলা হয়। ওয়েদার ফোরকাস্টার য্খন প্রেডিকশন দেয় তখন সে সময় বায়ুমন্ডলে কী কী উপাদান উপস্থিত আছে তার ভিত্তিতেই দেয়। উপাদানের পরিমাণ যদি কম থাকে তবে সম্ভাবনার হারও কম থাকে। কারণ উপাদানগুলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্রিয়া-বিক্রিয়া করে বৃষ্টি হবে কিনা সেটা তখন মনে হ্য় স্বয়ং খোদাও বলতে পারবে না। আবার উপাদানের পরিমাণ যদি বেশি থাকে তবে পরদিন কখন কতক্ষণ বৃষ্টি হবে এইটা বলতে পারা তেমন কোনো জটিল কাজ না।
বৃষ্টিপাত আছে। তবে সেটা লং টার্ম রেইনফল। বন্যা, খরা, এল নিনো, লা নিনো- এগুলোও লং টার্ম। ক্লাইমেট মডেলিং বছরের কোন কোন মাসে কোথায় বেশি বৃষ্টি হবে- এটা বলবে, কিন্তু পরদিনের বা আজকের বৃষ্টির সমাধান দেয়া ক্লাইমেট মডেলিং-এর কাজ না। সেটার জন্য আবহাওয়ার বিভিন্ন মডেলের ওপরই নির্ভর করতে হবে।
১০০% নিশ্চয়তা দিয়ে বলা হয়েছে এবং মিলেছে, অথবা এরকম বলার কোন পদ্ধতির কী কোন একাডেমিক রেফারেন্স আছে?
http://en.wikipedia.org/wiki/Probability_of_precipitation
PoP= C * A
Terms typically in weather forecasts based on POP:
0% – No mention of precipitation
10% – No mention of precipitation, or isolated/slight chance
20% – Isolated/slight chance
30% – (Widely) scattered/chance
40% or 50% – Scattered/chance
60% or 70% – Numerous/likely
80%, 90% or 100% – No additional modifiers (i.e. "showers and thunderstorms")
আমাদের ক্লাসের সবচেয়ে ভালো ছাত্র আর সবচেয়ে খারাপ ছাত্রী দুইজনের রাশি ছিলো একই। প্রথম আলোর সাপ্তাহিক রাশিফলে গ্রহ নক্ষত্রের প্রভাব ভালো/মন্দ যা'ই বলতো একজনের ক্ষেত্রে মিলতো , আরেকজনের ক্ষেত্রে পুরো উলটা হতো।
একটা গল্প শুনেছিলাম, সত্য-মিথ্যা জানিনা। নেপোলিয়ন বোনাপার্ট একদিন নাকি রাজ জ্যোতিষীর কাছে নিজের ভাগ্য জানতে চেয়েছিলেন। হাত দেখে রাজ জ্যোতিষী, নেপোলিয়নকে বলেছিলেন, আপনার হাতে তো কোন ভাগ্য রেখা নাই। কথা শুনে তিনি জ্যোতিষীর কাছ থেকে ভাগ্য রেখার অবস্থান জেনে নিয়ে নিজের কাছে থাকা পকেট ছুরি দিয়ে হাতের তালু কেটে নিজেই ভাগ্য রেখা বানিয়ে নিয়েছিলেন। আর জ্যোতিষীর কাছে জ্যোতিষীর আয়ু জানতে চাইলে জ্যোতিষী জানিয়েছিলেন, আরও বিশ বছর, সেই ক্ষণেই নেপোলিয়ন তাঁর হাতের ছুরিটি জ্যোতিষীর বুকে আমূল বসিয়ে দিলেন।
এই গল্প তো মিললনা, মানে জ্যোতিষে আস্থা না থাকলে তাহলে কেন নিজের হাতের তালু কাটে? আবার আস্থা থাকলে কেন জ্যোতিষের গলা কাটে?? ইত্যাদিতে মনে হয় একবার দেখিয়েছিল এক চামচার, নেতার পিছে হাত ঘষ্তে ঘষতে হাতের রেখাই মুছে গেছে...
ব্যাটাদের ধরে ধরে নির্বাসনে পাঠাতে পারলে একটা কাজ হত- কিন্তু আবুল জনগণ তাদের বিশ্বাস করেই যাবে--
facebook
আপনার হাতের রেখায় বলে পায়ের ছবি আঁকা? গঠনা সত্যি নাকি?
এইরকম করেন ক্যান! দুনিয়ায় আপ্নেরা বিনোদনও থাকতে দিতে চান্না! আন্নেরা খুবই ফছা!
প্রসঙ্গত, ভাতিঝি কেমুন আছে? পাত্র কি দেখা শুরু কর্মু?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আছে ভালা, তয় সে পাত্র না পাত্রী চাইবে সে ব্যাপারে এখনও তো নিশ্চিত হইতে পারতেছিনা
এই অনুষ্ঠানগুলোতে যদি সত্যতা থাকত তবে তো সমাজে এত পেশার দরকারই পড়ত না।
পেটব্যাথা হোক বা পরীক্ষার প্রস্তুতি বা ব্যবসার কোন সমস্যা এরাই তো ওয়ান-স্টপ শপ।
বলিউডে এদের অনেক প্রভাব আছে। সেটা আবার বিনোদন পাতার মাধ্যমে আমাদের পাঠকের হাতে পৌছায়। অভিষেক, অমিতাভ এরাও বলে নামের বানান পাল্টে হিরু হয়েছে জাতীয় খবর - তাই দেখে মানুষের উৎসাহে আরো আগুন লাগে।
হক কথা ।
জ্যোতিষির সাথে আমার এক্সপিরিয়েন্স নিয়া একটা লেখা দিমু কি না ভাবতেছি :চ
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
লেখা জবের হইছে
রহস্য পত্রিকায় আগে 'এই মাসটি কেমন যাবে' বলে একটা বিভাগ ছিল। পরে সেটা বন্ধ হয়ে গেলেও পাঠকের প্রবল প্রতিরোধের মুখে আবার শুরু করতে বাধ্য হয়।
এক উচ্চশিক্ষিত ডাক্তারকে জানি যে ছুরি দিয়ে নিজের হাতের তালু কেটে ভাগ্যরেখা পালটাবার চেষ্টা করেছিল। তাকে বলেছিলাম, ডাক্তারি পড়েও এত কুসংস্কারাচ্ছন্ন হও কি করে ? উত্তরে সে ভীষণ অবাক হয়ে বলল, ডাক্তারি পড়ার সাথে সংস্কারের কি সম্পর্ক ? এর পরে আর কথা যোগায়নি মুখে। শিক্ষিতদেরই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে এদেশে বাকিদের থেকে খুব বেশি কিছু আশা করা যায়না বোধ হয়।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এই ডাগ্দার সাহেবের নাম ঠিকানা দেওয়া যায়না? তাহলে ও পথা মাড়াতাম না
মুজাই স্যারের আমেরিকা বইটাতে মনে হয় ছিলো ঘটনাটা। মার্কিনীদের রাশিফলের একটি বাক্য- নতুন অটোমোবাইল কেনার সম্ভাবনা আছে।
কোন দেশের মানুষ, তার উপরেও রাশি নির্ভর করে কিন্তু - খুব খিয়াল কৈরা !!
চিন্তা করতেছি আমাদের তাড়েকানুর বিদেশ যাত্রার ব্যাপারে কোন জ্যোতিষরে জিগাইতে হবে
নিজের ভাগ্য নিজেকেই গড়ে নিতে হয় । শিক্ষিত লোকদের মধ্যে যখন এইসব সংস্কার দেখি তখন আসলেই বিরক্ত লাগে ।
আপনার লেখালেখি বন্ধ হয়ে গেল যে বড়?
নতুন মন্তব্য করুন