এমন অনেক ছবি আছে যা একবার দেখলে মনের মধ্যে তীব্র প্রভাব ফেলে। হতে পারে সেই ছবি আনন্দের, কষ্টের, ঘৃণার, আবেগের অথবা সহিংসতার। ছবি তোলার মুন্সীয়ানার চেয়ে ছবির বক্তব্যই এ ক্ষেত্রে মূখ্য। এমন ই কিছু ছবির তালিকা চাওয়া হয়েছিলো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রেডিটের ব্যবাহারকারীদের কাছে। আজকে সন্ধ্যায় সেই ছবিগুলোই দেখছিলাম (এই লেখার পরের পর্বে চেষ্টা করব সেখান থেকে কিছু ছবি সচলের পাঠকদের সাথে পরিচিত করতে)। ছবিগুলো দেখার পরে যেটা মনে হলো মানুষের মনে দাগ কেটেছে এমন ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধের নৃশংসতা, প্রাকৃতিক দূর্যোগের ভয়াবহতা, এসবকিছুর বিপরীতে সাধারন মানুষের অসহায়ত্ব, মৃত্যুর বিভীষিকা এবং সেই সাথে মহাকাশের বিশালতা। মহাকাশের কিছু ছবিসহ অল্প কিছু ছবি বাদ দিয়ে, প্রায় প্রতিটা ছবিই প্রচন্ড মন খারাপ করে দেয়। হয়ত এমন অনুভূতিই আমাদের মনে দাগ কাটে বেশী। ছবি দেখতে দেখতে ভাবছিলাম বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমার দেখা এমন কিছু ছবির কথা। এরকম কিছু ছবি নিয়ে এই লেখা। ছবির কপিরাইট নিয়ে আপত্তি মন্তব্যের ঘরে জানালে সেই ছবি সরিয়ে দেওয়া হবে। পাঠকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, মন্তব্যের ঘরে এমন কিছু ছবি শেয়ার করার জন্য। সেই সাথে কেন ছবিটা আপনার মনে দাগ কেটেছে বা ছবির প্রেক্ষাপট উল্লেখ করলে আরো ভালো হয়।
অবধারিত ভাবেই এই ছবিগুলোর বেশীটা জুড়েই রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ছবি। মুক্তিযুদ্ধের অগণিত ছবির মাঝে, দুটি ছবির প্রতি আমি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হই। সর্বকনিষ্ঠ বীরপ্রতীক ১২ বছর বয়সী (লালুর কথা ) আমরা সবাই জানলেও আমি তার চেয়েও বেশী তাড়িত হই নাম না জানা এই ছোট্ট শিশুটার ছবি দেখে, বল নিয়ে খেলার বদলে মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছে-
ছবিতে স্বতঃস্ফূর্ত এই শিশুর মাঝে যে দৃঢ় প্রত্যয় আমি দেখি, তা ভাষায় প্রকাশের যোগ্যতা আমার নেই। এর পরই মনে হয় সেই বীর মুক্তিযোদ্ধার কথা, আহত সহযোদ্ধাকে কাঁধে করে বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ক্যাম্পে -
মুক্তিযুদ্ধের বাইরে চিন্তা করতে গেলে প্রথমেই মনে পড়ে বিডিআর(বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহের কথা। খুব কাছ থেকে দেখেছি আর সাম্প্রতিক বলেই হয়ত বিডিআর বিদ্রোহের সময়কালের অনেক কয়টা ছবির কথা মনে পড়ছে। এর মধ্যে সবার আগে পুলিশ চীফের এই ছবির কথা বলতে হয় -
পিলখানার ভেতরে আট্কা পড়েছেন তার মেয়ে, জামাই। আমি জানিনা তখন তিনি তার মেয়ে এবং জামাইয়ের ভাগ্যে কী ঘটেছে সে সম্পর্কে জানতেন কি না। কিন্তু এই ছবিতে একদিকে তার কর্তব্যের ইউনিফর্ম তাকে পুলিশ হিসেবে পরিচয় করায় আর আরেকদিকে চোখের দিগন্ত প্রসারিত অজানা হতবিহ্বল দৃষ্টি ভেতরের বাবাটিকে খুঁজে নিয়ে আসে। বিডিআর বিদ্রোহের দ্বিতীয় যে ছবিটির কথা বলব, সেটি জনৈক বিডিআর জওয়ানের। আত্মসমপর্নের পর যখন সব জওয়ানদের নিজ নিজ হেডকোয়ার্টারে রিপোর্ট করতে বলা হয়, সেই অনিশ্চয়তার মাঝে এই জওয়ানকে দেখা যায় শেষ মুহূর্তে তার ছোট্ট শিশুটিকে আদর করে দিতে (সূত্র) -
দুই বাবার এই দুই রকম ছবি আমাকে ভীষনরকমের আলোড়িত করে।
এর বাইরে ক্রিকেটে মাশরাফির এই ছবির কথা বলতে পারি -
কপালে পরিশ্রমের বিন্দু বিন্দু ঘামের সাথে মাশরাফির দৃঢ় প্রতিজ্ঞ দৃষ্টিতে লড়াইয়ের যে চিহ্ন দেখা যায় তা অতুলনীয়।
লেখাটি শেষ করব যেই ছবি দিয়ে তার বর্ণনা আমি দিবনা। ছবিতে থাকা মানুষটির অনেক কিছুই আমার অপছন্দের। কিন্তু এই ছবিটা দেখলে আমার মনে পড়ে এই মানুষটার জীবনটাও সম্পূর্ণ অন্য রকম হতে পারত। অনেকগুলো ঘটনার প্রেক্ষিতে বর্তমানে তিনি যেই অবস্থায় আছেন, আমার মনে হয় এই ছবিতে ফিরে যেতে বললে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে তাঁর এক মুহূর্তও দেরী হতনা। এই ছবিটা দেখার পর থেকে তাই মনে হয় আজ থেকে কয়েক যুগ পর, আমরা কে কি অবস্থায় থাকব সেটা আসলে আমরা কেউই জানিনা এবং বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা এর নিয়ন্তাও নই। এ কারণেই এই ছবিটার কথা আমি ভুলতে পারিনা -
তথ্য সংযুক্তি- রবিবার রাত ১০ঃ৪০ পাহাড়ি সময়।
১। প্রথম ছবিটি '৬৯ এর গণঅভ্যূথ্বানের। পোস্টে ভুল করে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বলা হয়েছে। ছবিটি তুলেছেন, প্রখ্যাত আলোকচিত্রশিল্পী প্রয়াত রশীদ তালুকদার। তাঁর আরো কিছু ছবি দেখা যাবে এই এলবামে।
২। দ্বিতীয় ছবিটি তুলেছেন শিল্পী নাঈব উদ্দিন আহমেদ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ডিসেম্বর ৬, ১৯৭১ সালে।
৩। তৃতীয় ছবিটি সংগ্রহ করা হয়েছে নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরীর ফ্লিকার এলবাম থেকে। ছবিটি খুব সম্ভবত তাঁর নিজের তোলা।
৪। মাশরাফির ছবিটির আলোকচিত্রী পাভেল রহমান। ছবিটি সংগ্রহ করা হয়েছে এপি ফটোজ থেকে।
৫। শেষ ছবিটি আমি প্রথম দেখি ফেসবুকে, অনেক খুঁজেও এর আলোকচিত্রী সম্পর্কে আমি কোন তথ্য যোগাড় করতে পারিনি।
ভুল সংশোধন এবং তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য সচল রাগিব হাসান এবং সচল তানভীরের প্রতি এবং বানান সংশোধনীর জন্য সচল বুনোহাঁসের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
মন্তব্য
দুর্দান্ত পোস্ট। ছবি নিয়ে অনুভূতির কথা শেয়ার করতে গেলে একটা কথাই বলব - ছবি যদি শুধুমাত্র একটা ইমেজ না থেকে স্পষ্টভাবে নিয়ত স্বপ্নজালের মতো ধরা দেয় তাহলেই তা হয়ে উঠে অদম্য।
ব্যাক্তিগতভাবে আমি খোলা আকাশের নীচে অফুরন্ত প্রকৃতির নানা রকম উচ্ছলতাকে ভালোবাসি। এর বাইরে কোন ছবি আমাকে বিশেষ টানেনা।
ডাকঘর | ছবিঘর
সেরকম কিছু ছবি পোস্টান না দাদা।
একটু অবসর হয়ে নেই। বড্ড ঝামেলায় আছি গো দাদা। কথা দিলাম নিশ্চয়ই পোস্টাব। আর আপনার এই গুরুত্বপূর্ণ সিরিজটি তো চলবেই।
ডাকঘর | ছবিঘর
আপনার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। অনেক অদেখা, অজানা কিছু জানতে পারব এই সিরিজ থেকে।
ধন্যবাদ আপনাকে এমন উদ্যোগের জন্য।
একটা সুন্দর ছবি মানেই একটা কবিতা, একটা সুন্দর গল্প; কিছু বলা কথা, কিছু না বলা হাসি-কান্না-বেদনার সুর।
খুব সুন্দর আর জীবন্ত ছবিগুলো।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
চোখে পানি জমিয়ে দিয়ে গেলেন। ঠেকাতে পারলাম না শেষ পর্যন্ত। মন খারাপ হয়ে গেলো। অনেক ভালো একটি পোস্ট।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, আর মন খারাপ করে দেওয়ার জন্যে দুঃখিত।
শুধু একটা ছবি দিয়ে বলে ফেলা যায় কতো কতো কথা!
খুবই চমৎকার একটা উদ্যোগ।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সেটাই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ছবির ভাষা বুঝতে পারাটাও জরুরী। আজকাল ফেসবুকে অনেক প্রতিযোগীতার ছবি দেখি, কিন্তু নিচে মন্তব্যগুলো দেখলে হতাশ লাগে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
পুরনো ছবি দেখা আমার খুব প্রিয় একটা কাজ। মন খারাপ হলেই আমি এ্যালবাম খুলে বসি। প্রতিটা ছবিই এক একটা গল্প।আর কে না জানে হারিয়ে যাওয়া গল্পগুলো সব সময়ই সুন্দর, মন খারাপ করা হলেও সুন্দর।
আপনার এই সিরিজটার অপেক্ষায় থাকব। আগের ছবিগুলো দেখা ছিল,বিডিআর বিদ্রোহের ছবিগুলো দেখলেই খুব বেশী অসহায় লাগে,তাই পারতপক্ষে দেখিনা এগুলো। একদম শেষের ছবিটা আগে দেখিনি, অদ্ভুত মিশ্র একটা অনুভূতি হল দেখে।
পুরোনো ছবি দেখার অভ্যেসটা আমাদের পরিবারে বেশ ভাল মতন আছে। প্রায়ই দেখা যেত রাতে খাবার পরে আব্বা একটা এলবাম বের করে সবাই মিলে সেটা দেখতাম। এরকম হতে হতে, ছবির সাথে রিলেট করে এক্দম গ্যাদাকালের অনেক গল্প এমন ভাবে স্মৃতিতে গেঁথে গেছে যে, মনে হয় আমি নিজের স্মৃতি থেকেই ঘটনাটা দেখতে পাচ্ছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দারুণ পোস্ট।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
দোস্ত
প্রতিটা ছবিই যেন একটা পরিপূর্ণ গল্প। দারুণ লাগল আপনার পোস্টটা।
ধন্যবাদ প্রহরী ভাই।
সিরিজের সঙ্গে থাকব।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চমৎকার একটা সিরিজ হবে বলে আশা রাখছি। শেষ ছবিটা আগে কোথাও দেখিনি। দেখে মনে পড়লো সেই কবিতাটা- শিশুর পিতা ঘুমিয়ে আছে সব শিশুদের অন্তরে। কি হতে পারতো, কি হয়েছে!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
কী হতে পারতো আমরা আসলে জানিনা, আসলে অনেক কিছুই হতে পারত। শেষের ছবিটা আমিও মাত্র কিছুদিন আগেই দেখেছি, দেখে আমার ও মোটামুটি একই অনুভূতি। ধন্যবাদ নীড়দা।
দারুণ একটা পোস্ট ।
প্রথম ছবিটার কথা বলার যোগ্যতাও আমার নেই । শিশুটি পুলিশের গুলিতে মারা যায় এমন পড়েছিলাম পত্রিকায়-
রাগিব ভাই যেমন বলেছেন ।
কড়িকাঠুরে
ঠিক করে দিবো তথ্যটা। আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ছবিগুলো যাঁরা তুলেছেন নাম দিলে (বা দিতে পারলে) আরো ভালো হতো।
ভাল বলেছেন। তান্ভীর ভাই দুইজন আলোকচিত্রীর নাম বলেছেন, পোস্ট হালনাগাদ করে দিচ্ছি।
প্রথম ছবিটা শ্রেষ্ঠতম। এ ছবি দেখলে দুর্বার সাহস সঞ্চারিত হয়, যা কম ছবিই দিতে পারে।
সিরিজ চলবে অবশ্যই।
প্রথমটা রশীদ তালুকদারের তোলা বিখ্যাত ছবি '৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের।
দ্বিতীয়টা তুলেছেন নাঈব উদ্দিন আহমেদ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ডিসেম্বর ৬, ১৯৭১ সালে।
ছবির সাথে ফটোগ্রাফারের নাম দিলে ভালো হতো।
ধন্যবাদ তানভীর ভাই। পোস্ট হালনাগাদ করে দিচ্ছি এখনই।
দারুণ, কি আশ্চর্য আমিও এইরকম একটা সিরিজ করব চিন্তা করছিলাম, সারা বিশ্বের ঘটনা নিয়ে ! খুব ভাল হল, আপনি চালিয়ে যান, ফাঁকে ফাঁকে আমিও লিখলাম।
facebook
অণুভাই, আপনার দেখা ও জানার পরিধি আমার চেয়ে অনেক বিস্তৃত। আমার পাশাপাশি আপনিও পোস্ট দিলে খুবই ভাল হবে। এই সিরিজের নাম, ধারাবাহিকতা ব্যবহার করেই লিখতে পারেন।
ঘাতক তুমি সরে দাঁড়াও;
এবার আমি লাশ নেবনা।
জীবন থেকে সোনার মেডেল-
শিউলি ফোঁটা সকাল নেব;
সরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা
এবার আমি গোলাপ নেব।।
Zoom_Russel
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
দ্বিতীয় ছবিটা খুব প্রিয়!
আমাদের ফটোগ্রাফি ক্লাবের স্লোগান ছিল, "আ সিঙ্গেল ফটোগ্রাফ টকস মোর দেন আ মিলিওয়ন পেইজেস"
ছবি গুলো সেই কথাটাই মনে করিয়ে দেয়।
অসাধারন পোস্ট।
সাফি ভাই, চমৎকার এই সিরিজ শুরু করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপিন হলো! বিডিয়ার বিদ্রোহের ঐ ছবিটি আজ পর্যন্ত যতোবার দেখেছি প্রত্যেকবারেই বুকে এসে বিধেঁছে!
দারুণ!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
প্রথম ছবিটা সবসময়ই ভেতরটা কাঁপিয়ে দেয়।
_________________
[খোমাখাতা]
খুব সুন্দর আর জীবন্ত ছবিগুলো, ভাল লাগল।
পরের পোরবের অপেক্ষায়
খুবই ভালো লাগলো ছবিগুলি দেখে। চমৎকার একটা লেখা
মজার ব্যাপার হচ্ছে, ২০০৮ সালে আমি একই বিষয়ের উপর ব্যক্তিগত ব্লগে একটা লেখা দিয়েছিলাম... অনেকদিন পর সেই লেখাটার কথা মনে পড়ে গেলো আপনার এই ব্লগটা দেখে।
অলমিতি বিস্তারেণ
শেখ হাসিনার এই ছবিটা দেখলে মাঝে মাঝে মেলাতে পারি না। আবার মনে হয় জীবনের উত্থান পতন একটা মেয়েকে কিভাবে বদলে দেয়।
---------------------
আমার ফ্লিকার
ফেভারিট এ নিয়ে নিলাম, সাথে থাকবো। প্রথম ছবি’টা সংগ্রহে রাখা আছে, যখন দেশ নিয়ে খুব বেশি আশাহত হয়ে যাই তখন যে কয়টি ছবি দেখি তার মধ্যে এটি একটা। এরকম আরেকটা ছবি এখানে দিলাম, জানিনা আসবে কিনা।
মারাত্মক।
হাজার পৃষ্ঠা লেখর পরেও যা অব্যক্ত থেকে যায়, মাত্র একমুহূর্তে ক্যামেরার একটা এক ক্লিকে তা প্রকাশ হয়ে যায়। ধন্যবাদ সাফি ভাই, চমৎকার একটা পোস্টের জন্য।
আরেকটা, কথা- আমি না এখনো লেখসহ ছবি অর্থাৎ ফটোফিচার কীভাবে পোস্ট করতে শিখিনি অনুগ্রহ করে একটু শেখালে কৃতজ্ঞ হই।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
প্রথম ছবিটা আগে দেখেনি কখন ও, কেমন যেন লাগছে ঠিক বলতে পারবোনা, সেই অনুভূতির কথা।ছবির সাথে সাথে ছবির ইতিহাসের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া এই পোস্ট অসাধারন হয়েছে সাফি।
এই সিরিজ চলবে তো সাফি!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এত ভাল লাগল আপনার এই পোষ্ট যে বুকমার্ক করে রাখলাম।
আপনার কাছে অনুরোধ এই সিরিজটি যেন অনেক অনেক পর্ব পেরোয়।
পরের পর্ব তাড়াতাড়ি পোস্টান, প্লিজ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
নতুন মন্তব্য করুন