"সামিয়া"
আম্মুর ডাকশুনে বিছানায় নড়েচড়ে ওঠে সামিয়া। বিছানার পাশে রাখা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে রাত ঠিক বারোটা বাজে। খাটের পাশে রাখা টেবিল ল্যাম্পটা জ্বালিয়ে, পানির গ্লাসটা হাতে নিয়ে একটা চুমুক দিতেই আবার আম্মুর ডাক শুনতে পায়-
"সামিয়া"
তবে এবার একটু চাপা গলায়। নীচতলা থেকে ডাকছে আম্মু। এত রাতে কী মনে করে ডাকাডাকি করছে, ভেবে পায়না। নিজের মনে গজগজ করতে করতে বিছানা থেকে নামতে যেয়ে, হোঁচট খায় সামিয়া। নতুন বাসায় এখনও পুরোপুরি অভ্যস্ত হয়ে উঠেনি। মাত্র তিনদিন হয় ওরা এই বাসায় উঠলো।
ওদের নতুন বাসাটা একটু অদ্ভূত। শহরের একেবারের শেষ প্রান্তে দোতলা বাসা। বাসার ঠিক মাঝখানে সিঁড়ি। সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠলেই সামনে বাথরুম, আর দুই পাশে দুই রুম। আর নীচতলাটা জুড়ে বসার ঘর আর রান্না ঘর। রান্না ঘরের পেছনে একটা ছোট্ট উঠান, আর তার ওপাশে গভীর বন। তবে গভীর হলেও এখন পর্যন্ত কোন বন্য প্রাণী বা পাখির দেখা তো দূরের কথা, কারোর ডাক ও শুনেনি। শুধু শুনশান নীরবতা। রাত্রে বেলায় তো আরোই কোন আওয়াজ আসেনা, শহরের গাড়ি ব্যস্ততার আওয়াজ ও থাকেনা। ভয় লাগার মত পরিবেশ। তবে সামিয়ার ভালই লাগে, সে নিজেও চুপ্চাপ আর এরকম শান্ত পরিবেশ ই ওর পছন্দ।
উপরের এক রুমে সামিয়া শোয়, আরেক রুমে আব্বু আম্মু। আজকে অবশ্য আব্বু বাসায় নেই। অফিসের কাজে অন্য পাশের শহরে গেছে। এত রাতে আম্মুর হঠাৎ রান্নাঘরে কী দরকার হলো আর তার জন্য সামিয়াকে ঘুম থেকেই বা কেন উঠিয়ে নিচে ডাকছে ভাবতে ভাবতে নিজের ঘরের দরজা খুলে সামিয়া। সিঁড়ির দিকে আগাতেই, আস্তে করে আম্মুর ঘরের দরজা খুলে যায়। আম্মু বের হয়ে আসে, রক্তশূণ্য ফ্যাকাসে চেহারা। মনে হচ্ছে কোন কারণে তীব্র ভয় পেয়েছে। আম্মু এক আঙুল ঠোঁটে চেপে সামিয়াকে চুপ করতে বলে আস্তে করে সামিয়ার কাছে এসে ওর হাত ধরে, ওকে নিজের ঘরে নিয়ে এসেই দরজা লাগিয়ে দেয়। আর ঠিক তখনই তৃতীয় বারের মতন নীচতলা থেকে চাপা গলায় আম্মুর ডাক ভেসে আসে-
"সামিয়া"
মন্তব্য
ভূতুড়ে ডাক
আরেকটু লিখতে পারতেন, এখন পরের পর্ব না হলেই নয়!
হবে তো?
------------------------------------------
'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)
হ্যা পরের পর্ব লিখছি। এখানে থামালাম, একটু জমে যেন সেকারণে।
ভয়ে গলা থেকে আওয়াজ বের হচ্ছিল না। আর, ভয় পেয়ে দৌড়ে পালানোর ভাষা একটাই।
পরের পর্ব তাড়াতাড়ি ছাড়
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
হ, লেখা শেষ করি আগে।
মজা পাইছি, সাথে এক চিমটি ভয়!!
সুবোধ অবোধ
ভয় পাইলেই ভয়।
লিখছেন দেখে ভাল লাগল , যদিও হড়ড়ড় পড়ি না, লেখা জারি থাকুক
facebook
হাদুম্পাদুম যাই হোক, আমি লেখি তয় শম্বুক গতিতে - এই আর কি।
অসম্পূর্ণ সুন্দর ।
মাসুদ সজীব
ধন্যবাদ মাসুদ সজীব।
ভাল শুরু। লেখাটা নিয়ে শুরুতেই আগ্রহ তৈরি করাতে পেরেছেন।
লেখা চালিয়ে যান। পরের পর্ব চাই!
---শেহজাদ আমান
হ্যা আসবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
জটিল হইছে।
হূমমম --- দুই কথার গল্পটাকে এট সুন্দর করে সাজালেন!! পরের পর্বের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
____________________________
হরর ভালু পাই! জটিল হইছে ......
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
থ্যাঙ্ক্স
এত ছোট্ট দিলেন!! পেটের কোনাকানাও ভরলো না।
জলদি পরের পর্ব দেন। আর এটা যে সিরিজ ট্যাগে বা কোথাও লাগিয়ে দেন।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সিরিজ করার কথা ছিলনা, তবে পোস্ট করার পরেই ধারাবাহিক করার একটা আইডিয়া মাথায় আসছে। আপাতত ঐটা নিয়েই আগাচ্ছি।
ভাব সম্প্রসারণ-টা অতি চমৎকার হয়েছে!
পরের পর্বের প্রতীক্ষায় রইলাম
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আসিবে শীঘ্রই।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ডরাইলেই ডর!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
হড়ড়ড় ভাল্লাগে। শুরুটা দারুণ হল।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ধনেপাতা।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আসিতেছে....
দিনের বেলায় পড়লাম জন্য ভয় লাগেনি, কিন্তু ভালো লেগেছে গল্পটা।
অনেক ধন্যবাদ অপ্র।
গতকাল যখন আপনার এই গপটা পড়ি তখন ঘড়িতে রাত সাড়ে বারোটা।
পড়া শেষে মনে হলু, ঘোড়ার ডিম! ভয়ের তো কিস্সু নেই এতে
ঘুমাতে ঘুমাতে প্রায় দুটো হলো যখন, তখন মনে হলু নাম ধরে কেউ ডাকে
জ্বী না! এট্টুও ভয় পাইনি, একদমই না দেখি পরের পর্বে ভয় দেখাতে পারেন কিনা
সাফি, যে ভয় দিলেন ভাই তবে কি আমি প্রেতাত্মা-১ এবং প্রেতাত্মা।(২) লেখা ছেড়ে দেবো? এই সুযোগে একটু বিজ্ঞাপণ দিয়ে দিলাম ভাই
অনেক সুন্দর এবং স্বকীয় হয়েছে। পরের পর্বের আশায় থাকলাম।
Shah Waez (শাহ্ ওয়ায়েজ।)
Facebook
..............................................................................................
ভাবনা আমার শিমুল ডালে লালচে আগুন জ্বালে, মহুয়ার বনে মাতাল হাওয়া খেলে।
এক মুঠো রোদ আকাশ ভরা তারা, ভিজে মাটিতে জলের নকশা করা,
মনকে শুধু পাগল করে ফেলে।
শুরু করলাম
তারপর কী হলো বোকা তুষার
নতুন মন্তব্য করুন