২০০৮ সাল। প্রথম বারের মত অভ্র ইনস্টল করে সহজেই বাংলা লিখতে পারি সেই বছর। ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া যায়। ই-মেইল করা যায়। কোন কী-বোর্ড লে-আউট মুখস্ত করতে হয় না। তবে বানানের নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। অবশ্য ভুলে গেলেও দুই একবার চেষ্টা করলেই ধরে ফেলা যায়। তবে ইংলিশ টাইপিং স্পিডের মত অত স্পিড তুলতে পারিনি তখনো। সে যাই হোক না কেন। অনলাইনে বাংলায় লিখে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারার নির্মল আনন্দটা তখনই পেলাম। তবে এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মত লেখক আমি এখনো হইনি। আমি নিশ্চিত কম্পিউটারে বাংলায় লিখতে পারে এমন সকলেরই একই অনুভুতি হয়েছে। এই সফটওয়্যারটি তৈরী করার জন্য অমিক্রন ল্যাবকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
২০১০ সাল। এ বছর সচলায়তনের খোঁজ পেলাম। সচলায়তনে প্রথমবারের মত একটি লেখা প্রকাশ করলাম। এবং মন্তব্যের ঘরে আবিস্কার করলাম আমার লেখায় অজস্র বানান ভুল। বানান নিয়ে সংশয়ে থাকলে ডিকশনারিতে খুজে সেটা ঠিক করা যায়। কিন্তু যেগুলো টাইপো এবং রিভিশনের সময়ও চোখে পড়ছে না সেগুলো ধরার একমাত্র উপায় একটি স্বয়ংক্রিয় স্পেল-চেকার। এটির অভাবে বানান ভুল করে লজ্জা পাবার হাত থেকে বাঁচার জন্য লেখালেখিই বন্ধ করে দিয়েছিলাম। (আবারো অভ্র আমাকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচালো। তারা কয়েক মাস পর অভ্র স্পেল-চেকার রিলিজ করলো)
২০১১ সাল। স্টকহোমের একটি খাবার দোকান থেকে আমার ব্যাকপ্যাক চুরি হয়ে গেল। ব্যাকপ্যাকে অন্য অনেক দরকারি জিনিসের সাথে আমার উইন্ডোস ল্যাপটপটাও হারিয়ে যায়। কিশোর পাশার মত গোয়েন্দাগিরি করে বা ভাগ্যগুণে ব্যাগের অন্যান্ন দরকারি কাগজ পত্র গুলো ফিরে পেয়েছি এক সপ্তাহের মধ্যেই। কিন্তু ল্যাপটপটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনার কিছুদিন পর পাততাড়ি গুটিয়ে বাংলাদেশে এসে পরি। নিজের ল্যাপটপ নেই। তাই আমার ছাইপাঁশ লেখালেখি দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশে ফিরে এসে একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে যোগ দিয়েছিলাম। তখন কিছু বিশেষ কাজ করতে গিয়ে আবার বাংলায় লেখালেখি শুরু হল। বাংলায় লেখার জন্য অফিসের কম্পিউটারে অভ্র নামিয়ে, সেটা দিয়ে নিজেই টাইপ করে ক্রিয়েটিভ ডিজাইন সেকশনে পাঠিয়ে দিলাম। উদ্যেশ্যে সেই লেখাটি দিয়ে সুন্দর করে একটি লিফলেট ছাপিয়ে সারা দেশের ডাক্তারদের একটি বিশেষ খবর জানানো। আমি তখন প্রথম বারের মত অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম ইউনিকোডের লেখা ফটোশপে নিলে লেখা উলটপালট হয়ে যায়। পুরো লেখাটি ঐ সেকশনের এক্সিকিউটিভকে নতুন করে বিজয় ব্যবহার করে টাইপ করতে হল। কিছুদিন আগে দেখেছি অভ্র এর এএনএসআই অপশন একটিভেট করে ফটোশপে বাংলা লেখা যায়। কিন্তু ম্যাকিন্টসে এখনো করতে পারিনি। কারো জানা থাকলে মন্তব্যের ঘরে লিখে জানালে উপকৃত হব।
২০১২ সাল। নরওয়ের অসলোতে এসেছি। নতুন কর্মক্ষেত্র থেকে আমাকে একটি ম্যাকবুক দেয়া হল। আমি মহা-উৎসাহে আমার প্রিয় বাংলায় লেখালেখির সফট্ওয়্যার অভ্র ইনস্টল করতে গিয়ে বুঝতে পারলাম। অভ্র ম্যাকবুকে ব্যাবহার কর যায় না। তখন বাংলায় লেখার জন্য আমি পাগলের মত একটি সফট্ওয়্যার খুজছি। কিছুদিন গুগোল ট্রান্সলিটারেশনে বহু কষ্ট করে কাজ চালিয়েছি। এক সময় অঙ্কুর সফটওয়্যারটি পেলাম এবং যদিও এটিও ফনেটিক কিন্তু অভ্রের লেখার নিয়ম থেকে অঙ্কুরে লেখার নিয়মের মাঝে বেশ ফারাক আছে। আমাকে নতুন করে আবার বাংলা টাইপিং শিখতে হল। যদিও কিছুদিন আগে অমিক্রন ল্যাব আই-অভ্র নামে ম্যাক এর জন্য নতুন একটি সফট্ওয়্যার রিলিজ করেছে কিন্তু ততদিনের অনভ্যাসে আমার অভ্র দিয়ে বাংলা লেখার গতি খুবই কমে গেছে। এবং মাঝে মাঝে কিছু কিছু শব্দ বার বার চেষ্টা করেও লিখতে পারিনা। অঙ্কুর দিয়ে লেখাটাই আমার এখন বেশি সহজ লাগে। কিন্তু বানান ঠিক করবো কোথায়। খোঁজ খবর করে পাওয়া গেলো। ফায়ারফক্স ব্রাউজারে জন্য বাংলা ডিকশনারির প্লাগইন পাওয়া যায়। অনলাইনে কানেকশন থাকলে ফায়ারফক্সে সাধারণ বানান গুলো চেক করা যায়।
২০১৩ সাল। অনলাইনে চোরাই বই এর প্রাদুর্ভাব দেখে আমার এক প্রকাশক বন্ধুর সাথে আলাপ করলাম বিষয়টি নিয়ে। এবং ঠিক করলাম ওর প্রকাশনীর কিছু বই ই-পাব ফরমেট করে পরীক্ষামূলক ভাবে বাজার যাচাই করে দেখবো। প্রথমে একটি আই-বুক তৈরী করার জন্য একটি বইয়ের পাণ্ডুলিপি আমাকে পাঠালো। আমি আবিস্কার করলাম, সেই ফাইলটিতে কোন বাংলা লেখা নেই। সব ইংরেজি অক্ষরের হাবিজাবি লেখা ফাইল। অনেকেই এই সমস্যায় পরেছেন নিশ্চয়ই। সেই পুরানো ইউনিকোড প্রবলেম। যেহেতু প্রেসে ইউনিকোড ব্যাবহার হয় না। তাই পাণ্ডুলিপি গুলো ইউনিকোডে লেখা হয়নি। আবার খুজে পেতে অনলাইনে কয়েকটি সাইট পাওয়া গেলো যেখানে এই লেখা গুলো ইউনিকোডে কনভার্ট কর যায়। কিন্তু সেটা দিয়ে করে ৭০% এর মত টেক্সট ঠিক ভাবে কনভার্ট করা গেলেও অনেক অংশই থেকে যায় ভুলে ভরা। আনুমানিক ৩০ ভাগের মত নতুন করে টাইপ করতে হয় এবং সম্পূর্ণ লেখাটা আবার নতুন করে প্রুফ রিড করতে হয়।
২০১৪ সাল। গত বছর শখ করে একটি আইপ্যাড কিনেছিলাম। বেশির ভাগ সময় আইপ্যাডেই সচলের লেখা গুলো পরি। লেখা পড়ে মন্তব্য করতে গেলে সেই উইন্ডো থেকে বের হয়ে গুগোল ট্রান্সলিটারেশনের মত কোন আ্যপ থেকে লিখে কপি-পেস্ট করে মন্তব্য করতে হয়। আই ফোনেও একই সমস্যা। আমি নিশ্চিত এই ঝামেলাটি এক সময় আর থাকবে না।
এই যে নিজের ভাষায় লিখতে গিয়ে যখনই প্রতিকূলতায় পরেছি। তার কিছুদিনের মাঝেই সেটির সমাধানও পেয়ে গেছি। এই সমাধান গুলোতো আপনি আপনি হয়নি। কেউ একজন তার মেধা, অধ্যাবসায় এবং অতি মূল্যবান সময় ব্যায় করে কাজ গুলো করেছে। আমাকে এবং আমার মত অনেককে লেখার সুযোগ তৈরী করে দেয়ার জন্য আজ একুশে ফেব্রুয়ারী, মহান ভাষা দিবসের দিন তাদের প্রতি আমার সীমাহীন কৃতজ্ঞতা জানাই। অনেক শ্রদ্ধা, অনেক ভালোবাসা জানবেন যারা নিরলস ভাবে কাজ করেছেন, বিশেষ করে অঙ্কুরের ডেভলপার রাইয়ান এবং অভ্রের ডেভলপার মেহদী।
গত ৭/৮ বছরে বাংলায় লেখালিখির বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মাঝে, বাংলা একাডেমির নিষ্ক্রিয়তা দেখে দুঃখ হয়। বাংলা একাডেমি কি পারে না তাদের গবেষনা ফান্ডের কিছু অংশ বাংলায় লেখালেখির অভিজ্ঞতাটাকে আরো মসৃন করতে কাজে লাগাতে?
মন্তব্য
বিজয় কিবোর্ড লেয়াউটের সাথে পরিচিত হই ২০০৩ সালে। কিন্তু ঠিক সুবিধা করতে পারি নি । এখনো মনে আছে, তখন একজন ১০-১২ লাইনের একটা ডকুমেন্ট লিখতে দিয়েছিলো । সেকি অবস্থা । পুরোটা লিখতে আমার জান খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। ওই ঘটনার পরে ভুলেও আর বিজয় দিয়ে বাংলা লিখতে যাই নি । এরপরে ২০০৮ সালের দিকে অভ্র ইন্সটল করি । প্রথম দিকে ফোনটিকে লিখতে পারতাম না । কিন্তু বাংলায় লেখার ইচ্ছা ছিলো ষোল আনা। কি আর করা, তখন মাউস দিয়েই বাংলা লিখি। এরপরে ধীরে ধীরে ফোনটিকে বাংলা লেখা অভ্যাস করে নিলাম।
২০১০ সালে যখন উবুন্টু চালানো শুরু করি। সেখানেও দেখি অভ্র আছে । আহা, আমাকে আর পায় কে !!
এরপর থেকে নিজের পিসি, অফিসের পিসিতে অভ্র তো থাকেই পাশাপাশি পেনড্রাইভেও সবসময় অভ্র এর পোর্টেবল ভার্শন রেখে দেই । যাতে, কোথাও গিয়ে ঝামেলায় পড়তে না হয় ।
- অনুপম শুভ
আমাদের বাংলা লেখার অভিজ্ঞতাটা প্রায় সবারই একই রকম বোধহয়! ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
যে কোন ভাষার একটা অভিধান নিলে দেখবেন সেখানে একটা শব্দের পর তার ব্যাকরণগত ব্যাখ্যা, উৎপত্তি, উচ্চারণ, অর্থ, প্রতিশব্দ, বিপরীত শব্দ, ব্যবহার সবকিছু দেয়া আছে। বাংলা একাডেমি এই প্রতিটি জিনিসের জন্য আলাদা আলাদা অভিধান বানায়। তার মানে কোন বাংলা শব্দ সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে বাংলা একাডেমির চারটা অভিধান একসাথে নিয়ে বসতে হবে। শুধু অভিধান নয়, বাংলা বানান নিয়ে তারা যা করছেন সেটা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন। আজ পর্যন্ত বাংলা ভাষার ব্যাকরণটাও তারা লিখে উঠতে পারেননি। এহেন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আপনি যা আশা করছেন তা বৃথা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হয়ত বৃথা। তবুও আশা জাগে হয়ত সব কিছু অন্য রকম ভাবে শুরু হবে অনাগত দিন গুলোতে। অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
মেহেদীর অভ্র আর মুর্শেদের বাংলা ওয়েব টুলস বাদ গেলে খেয়াল করে দেখলাম আমার অন্তর্জালিক জগৎ একেবারেই ফাঁকা ! এ যে কী বিশাল কাজ তা বলে বোঝানোর উপায় নেই উপলব্ধি ছাড়া !
আর হাঁ, রাইয়ান কামাল কিন্তু অভ্র টীমেরও সদস্য, যতটুকু জানি। সে আবার একজন সচলও, এনকিদু নামে সচলে লিখতেন। কানাডার ব্যস্ত জীবন হয়তো সচল থেকে সাময়িক দূরে রেখেছে তাঁকে। আশা করি নিজ অঙ্গনে আবারও দেখবো তাঁকে। একইভাবে মেহেদীও আমাদের আরেকজন মেধাবী সচল।
আর ষষ্ঠ পাণ্ডব দা'র নৈরাশ্যের মাঝেও আমি কিন্তু আশাবাদী, স্বপ্ন দেখি। যেভাবে স্বপ্ন দেখি তিনিও তাঁর অসাধারণ লেখালেখিগুলোকে একদিন মলাটবন্দি করে আমাদের সামনে তুলে ধরবেন !
আর আপনার সাবলীল লেখাকে অভিনন্দন জানিয়ে নিয়মিত সচল থাকার আহ্বানও জানিয়ে রাখলাম। বর্ণাভ ফাগুন শুভেচ্ছা।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অংকুরের রাইয়ান আমার প্রিয় বন্ধু, রাইয়্যান কবীর। সে মোটামুটি অনেক কষ্ট করে অংকুর বানিয়েছিল।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
স্বপ্নহারা ভাই, আপনি তো বেশ ভাগ্যবান, এমন একজন গুনি মানুষ আপনার বন্ধু! সম্ভব হলে আমার কৃতজ্ঞতা পৌছে দিবেন রাইয়ান কবীর ভাই কে।
আমরা কলেজ ফ্রেন্ড। আর বুয়েটে পাশাপাশি রোল, তাই পাঁচ বছর একসাথে কাজ করেছি। দুইজন দুই দেশে চলে আসার পর আমি ম্যাক ব্যবহার করিনা বলে জানতামই না যে সে অংকুর বানিয়ে ফেলেছে, সবসময় দেখতাম এগুলো নিয়ে কাজ করছে। মহা মহা ব্রিলিয়ান্ট জিনিয়াস ছেলে, প্রথাগত জিপিএ বেজড পড়াশুনাকে পাত্তা কম দিতো-
অন্যদিকে, এন্ড্রয়েডে রিদমিক কিবোর্ড ব্যবহার শুরু করলাম কিছু দিন হলো, খুব ভাল লাগছে।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ও আচ্ছা ! আমি রাইয়্যান বলতে রাইয়ান কামালকেই ভেবেছিলাম। আর রাইয়্যান কবীরকে সামনে পেলে বুঝতাম যে আগে তাঁকে দেখেছি কিনা। কারণ মাহে আলম খান ম্যাক সহ আরো অনেকের সাথে পরিচিত হবার সুযোগ হয়েছে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
মেহদি, রাইয়ান বা মুর্শেদ ভাই, কারো সাথেই আমার ব্যাক্তি গত পরিচয় নেই। রাইয়ান ভাই যে এখানে এনকিদু নামে লিখে তা জানা ছিল না।
লেখায় উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনার প্রতিও কৃতজ্ঞতা।
না, এনকিদু নন। রাইয়্যান ব্লগে লেখে না।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
এখানে একটু ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। রাইয়্যান কবীর (ইইই) = অঙ্কুর আর রাইয়্যান কামাল (সিএসই-০৩) = এনকিদু, অভ্র।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মুর্শেদ ভাই হলেন আমাদের জন্মসচল এস এম মাহবুক মুর্শেদ ! সচলায়তনের অন্যতম ঠাকুরদা ! হা হা হা !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
চমৎকার লাগল আপনার লেখা। মেহদী, রাইয়ান, মুর্শেদ, কি অসাধারণ মানুষ এরা, কি কাণ্ডটাই যে করেছে, ভাবলে কুল পাওয়া যায় না!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ এক লহমা´দা। ঠিকই বলেছেন। তারা যে কী কাণ্ডটা করেছে, তা ভেবে অবাক না হয়ে পারা যায় না।
প্রসঙ্গতঃ বর্ণসফটের কথাও মনে পড়লো। ২০০১-০২ সালের দিকে বর্ণসফটে ফোনেটিকে লিখতাম। যদিও এমএসওয়ার্ডে সরাসরি লেখা যেতো না, কিংবা ইউনিকোডেড ছিল না, তবু ফোনেটিকে বাংলা লেখার প্রথম আনন্দ পেয়েছিলাম বর্ণসফটে।
বর্ণসফটের কথা আগে কখনো শুনিনি অবশ্য। যে সফটওয়্যারই হোক, বাংলা লিখতে পারার অনুভূতিটা নিশ্চয় একই রকম।
সবার অভিজ্ঞতা শুনে মনে হল আমি বেশ ভাগ্যবান, বাংলা লিখতে চেষ্টা করার শুরুতেই অভ্র পেয়ে গেছি।
লেখা ভাল লেগেছে কমল ভাই।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আমিও নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। যেটা যখন দরকার ছিল পেয়েছি। পেয়ে যাচ্ছি। ধন্যবাদ।
নিরলস পরিশ্রম করে সাধারণ বাংলাভাষাভাষী মানুষকে সহজে এবং বিনামূল্যে বাংলায় লেখার ব্যবস্থা করে দেয়া এই অসাধারণ মানুষগুলোর প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম।
খারাপ লাগে যখন দেখি এঁদের পাশাপাশি মূল্যায়িত হন কিছু ভন্ড - নিজের কোম্পানীর সফটওয়্যার বাজারজাত করে দেশ ও জাতীর মহা উপকার করে ফেলেছেন বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলা কিছু নির্লজ্জ দুপয়ে। এরাই নাকি আবার সরকারের আইটি উপদেষ্টা!!
তবে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি থাক বা না থাক, অঙ্কুর অভ্র ইত্যাদির স্রষ্টাদের সেরা পাওয়া হলো আত্মতৃপ্তি আর অসংখ্য বাংলাভাষাভাষীর শুভ কামনা।
____________________________
সুন্দর বলেছেন। আমিও আপনার সাথে একমত।
আমি বিজয় দিয়ে লেখি, অভ্র শিখতে হবে ভাবছি। বানান ভুল করে লজ্জা পাওয়ার ভয়ে আমারও এখন লেখা খুব কম হয়। আপনার লেখা তাই বেশ সহযোগী আমার জন্যে। শুভেচ্ছা ও
মাসুদ সজীব
আপনাকেও ধন্যবাদ। ফায়ারফক্সের বাংলা ডিকশনারি প্লাগইন এবং/অথবা অভ্রের স্পেল চেকের থাকলে বাংলা বানানের অনাকাঙ্ক্ষিত টাইপো গুলো ধরা খুব সহজ হয়। ব্যাবহার করে দেখুন।
নতুন মন্তব্য করুন