জেব্রা মাসেল (Zebra Mussel) হচ্ছে একধরনের শামুক সদৃশ ছোট প্রাণী। এর স্থানীয় আবাস কাস্পিয়ান সাগরে। ১৯৮৮ সালে দুর্ঘটনাক্রমে ইউরোপিয়ান জাহাজে করে উত্তর আমেরিকার গ্রেট লেকস (Great Lakes) এ চলে আসে। এই প্রাণীটি এখানে এসে সংখ্যায় এত দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে যে মাত্র দুই বছেরের মাথায় লেক এরির (Lake Erie) কিছু কিছু জায়গায় প্রতি বর্গমিটার পানিতে এর ঘনত্ব দাঁড়ায় ৭ লক্ষতে। স্থানীয় মাসেল ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রজাতিকে ঝেঁটিয়ে জায়গা করে নেয় এই বিদেশি আগ্রাসী প্রাণী। ছবিতে যেমনটি দেখছেন, এই মাসেলের হাত থেকে কোনো শক্ত জিনিসও রেহাই পায়নি। লেক মিশিগানের স্রোতের গতি মাপার ছবির এই যন্ত্রটি অকার্যকর হয়ে যায় এর আগ্রাসনে। ১৯৮৮ সালে অল্প একটু জায়গায় (হলুদ ভরাট) যার অবস্থান ছিলো, ২০০৫ সালে এর বিস্তৃতি দেখুন মানচিত্রে।
একটি প্রাণী বা উদ্ভিদ কোনো এক জায়গায় (যেখানে সে স্থানীয় বা নেটিভ) অনাগ্রাসী অথচ অন্য এক জায়গায় কেন আগ্রাসী হবে? এর একটি প্রধান কারণ হচ্ছে যেখানে তার আসল বসতি, সেখানকার খাদ্য শৃংখল। সেখানে হয়তো তার প্রাকৃতিক খাদক আছে- যা একে সংখ্যায় কমিয়ে রাখে। অন্যদিকে নতুন বসতিতে সেই খাদক প্রজাতির অনুপস্থিতি এর দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। একটি উদাহরন দেই। আমাদের সুন্দরবনের একটি ফুড চেইন এরকম: বাঘ খায় হরিণ, হরিন খায় ঘাস। এখন কোনো কারণে বাঘের সংখ্যা বেড়ে গেলে হরিণ যাবে কমে, তাতে ঘাস যাবে বেড়ে। উল্টোদিকে বাঘ কমে গেলে হরিণের সংখ্যা বাড়বে আর সুন্দরবন হয়ে পড়বে ঘাসহীন। নিঝুমদ্বীপের বাঘবিহীন বনে হরিণের উৎপাতের বাস্তব উদাহরনও আমাদের চোখের সামনেই আছে, এটি পড়ুন।
কোনো প্রজাতির আগ্রাসনের সাধারণ বৈশিষ্ট হচ্ছে এটি ধীরে ধীরে নতুন জায়গায় ঢুকে অনুকূল পরিবেশ পেয়ে দ্রুত ছরিয়ে পড়ে এবং একসময় নিয়ন্রনের বাইরে চলে যায়। এই আগ্রাসী প্রজাতি স্থানীয় প্রজাতিকে ধীরে ধীরে বিদায় করে নিজেই পুরো জায়গা দখল করে নেয়। প্রাকৃতিক খাদকের ব্যাপারটি ছাড়াও কোনো উদ্ভিদ বা প্রাণীর ৪ টি বৈশিষ্টের কথা বলি যে বৈশিষ্টগুলো ঐ প্রজাতিকে আগ্রাসী হতে সহায়তা করে:
১) দ্রুত বংশবৃদ্ধির ক্ষমতা
২) দ্রুত বেড়ে ওঠার ক্ষমতা
৩) দ্রুত বিস্তারের ক্ষমতা
৪) দ্রুত খাপ-খাইয়ে নেয়ার ক্ষমতা
এবং সর্বোপরি- অনুকূল পরিবেশ।
----------------------------------------
হিন্দি কথা, ভারতীয় সিনেমা, নাটক, সিরিয়াল- মোট কথা হিন্দি সংস্কৃতি আমাদের জন্য কেন আগ্রাসী একথা মনে হয় আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবু বলি, একটি উদ্ভিদ বা প্রাণী যে উপায়ে (mechanism) বা যে কয়েকটি বৈশিষ্টের কারণে আগ্রাসী হতে পারে, এবং এর যে ক্ষতিকর প্রভাব, তার সবগুলোই সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য- তা ভারতীয়ই হোক আর ভুটানীয়। কেউ যদি ধারণা করে বসে থাকেন যে বাংলার পাশাপাশি একটু-আধটু হিন্দি দেখতে-শুনতে কোনো অসুবিধা নেই, তাহলে তাঁর প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলছি, 'এটি একটি ভ্রান্ত ধারমা'।
মন্তব্য
খাসা পোস্ট।
তবে "হিন্দি সিনেমা" বললে আমার মনে হয় কচুরীপানার কথা। ঐ ব্যাটাও পানির সারফেস লেভেল দখল করে রাখে। শহুরে বাবুরা তার ফুল দেখে আহা উহু করেন। এদিকে সূর্যের আলো পৌঁছে না তলদেশে। তাই অন্যান্য গাছপালা পায় না পুষ্টি, এদিকে বাড়ে শুধু মশার গুষ্টি!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ভালো বলেছেন, ধন্যবাদ।
আপনার লেখা বেশ ভাল লাগল। ছোট প্রবন্ধ হলেও বিজ্ঞানের ব্যাপারটা বেশ তুলে এনেছেন, ছবি দিয়ে খুব সুন্দরভাবে জিনিসটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। আগ্রাসী প্রজাতি সম্বন্ধে প্রচুর কিছু লেখা যায়, আমাদের পুকুর-খাল বুজিয়ে দেওয়া কচুরিপানাও তো বিলেত থেকে সৌন্দর্যার্থে আমদানী; কিন্তু বিজ্ঞানোলোচনাই তো আপনার একমাত্র টপিক ছিল না।
ধন্যবাদ।
আসলে বিজ্ঞানোলোচনাই আমার টপিক ছিলো, অন্যটা কিভাবে যেন ঢুকে গেছে
বিজ্ঞানকে যেভাবে ব্যাখ্যা করে আপনার বক্তব্যের পেছনে যুক্তি হিসেবে দেখিয়েছেন সেটা গ্রহনযোগ্য মনে হয়নি। আপনি যেভাবে বলতে চেয়েছেন সেরকম সাদামাটা ভাবে ব্যাপারটাকে ব্যাখ্যা করলে সেটা নানা সন্দেহ আর ভ্রান্তির জন্ম দেয়।
এটি কি আপনার ব্যক্তিগত হাইপোথিসিস? দয়া করে ব্যাখ্যা করুন। আমি মেলাতে পারিনি।
পোস্ট ভালো লাগেনি।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
একটা ইন্টারেস্টিং সিম্যুলেশনের আইডিয়া এলো মাথায়। সময় পেলে করে দেখবো।
অপেক্ষায় থাকলাম
হিন্দির প্রচলন আগ্রাসনের পর্যায়ে আছে এটা আমি স্বীকার করি। কিন্তু হিন্দি কনটেন্ট বর্জন আসলে কতোটা কার্যকরী সেটা নিয়ে আমার ব্যক্তিগত সন্দেহ আছে।
সাম্প্রতিক হিন্দি গানের শ্রোতা না হলেও, এক সময় বেশ কিছু পছন্দের গান ছিলো। এছাড়া পুরানো দিনের হিন্দি গান, বিশেষত কিশোর কুমারের গান আমার বেশ পছন্দের। এখন হিন্দি বর্জনের প্রশ্নে কি আমাকে এগুলি শোনা থেকে বিরত থাকতে হবে ?
আগ্রাসন রোধে নিজের পছন্দকে চাপা দেওয়া আসলে কতোটুকু যৌক্তিক আর কতোটুকুই বা সম্ভব ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
এই ব্যাপারটা নিয়ে আমিও ভেবেছি। হিন্দি ছবি যদিও কখনও দেখা হয়না, পুরোনো কিছু হিন্দি গান আমার নিজেরো পছন্দের তালিকায় ছিলো। তবে আগ্রাসনের ব্যাপারটা ঠিক বলে ধরে নিলে হিন্দি আইটেম বাদ দিয়ে তালিকাটা হালনাগাদ করা যেতে পারে। নিজের পছন্দকে চাপা দেয়াটা একটু কষ্টকর মনে হলে আপাতত সেটা না করে নতুন কোনো হিন্দি আইটেম যেন তালিকায় ঢুকে না পড়ে সে ব্যাপারটা নিশ্চিত করতে পারলেও মন্দ কি?
ব্যক্তিগতভাবে আমি "আগ্রাসনের বিপক্ষে নিজস্ব পছন্দকে বিসর্জন দেওয়া" তত্বে বিশ্বাসী নই। আমার মনে হয় শেষ পর্যন্ত মানুষের শিক্ষা, পারিপার্শ্বিকতাই মানুষের রুচি তৈরি করে- কী গ্রহণ করবো, কী গ্রহণ করবো না- সেই সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
একটা সাধারণ ঘটনা চিন্তা করা যাক। আমি, আপনি কিংবা সচলায়তনের সবাই মিলে হিন্দি বর্জন করলাম। একটা সাধারণ মিল লক্ষ্য করুন- সবারই মানসিকতা মোটামুটিভাবে একই ধাঁচের, যে কারণে সবাই একই প্ল্যাটফর্মে লিখতে পারছি। কিন্তু যে এই প্ল্যাটফর্মের না, যে হিন্দির আগ্রাসনে বিশ্বাস করে না, হিন্দি অনুষ্ঠান কিংবা গানের একনিষ্ঠ দর্শক শ্রোতা- সে কেন হিন্দি বর্জন করবে? আমার হিন্দি বর্জন কেন তাঁকে প্রভাবিত করবে কিংবা করলেও ঠিক কতো শতাংশ মানুষ এতে প্রভাবিত হবে?
আমার বিবেচনায় সেই সংখ্যা স্বস্তিদায়ক না।
ইতিহাস বিষয়ে জ্ঞান সীমিত, তাই ব্রিটিশ ভারত যুগের বিদেশি পণ্য বর্জন আন্দোলনের কথা বইয়ে পড়লেও, তার সাফল্য কিংবা দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সম্পর্কে বিশেষ জানি না। এ ব্যাপারে আলোকিত করতে পারেন।
যাই হোক, শেষ পর্যন্ত বক্তব্য এটাই, যে বুঝবে হিন্দি আগ্রাসনের দিকে যাচ্ছে, তাঁর হিন্দি বর্জনে বিশেষ পার্থক্য হওয়ার কথা না। ব্যক্তিগত রুচির নির্মাণই এইখানে মুখ্য। তাই আমার মনে হয়, হয় আমাদের ব্যক্তিগত মর্যাদা এবং রুচিকে উন্নত করতে হবে অথবা হয়তো কিছুই না করে বসে থাকা যায়, কারণ শেষ বিচারে ভাষা নিজের স্রোতে প্রবাহিত, সে নিজের রাস্তা নিজেই খুঁজে নিবে।
পুনশ্চ: ভারতে বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে আমাদের কোন চ্যানেল যায় না বললেই চলে। এটার জন্য আমি অবশ্য কোন আপেক্ষিক নীতিবোধের দরকার দেখি না। আমাদের সরকার একটু শক্ত মেরুদণ্ড দেখিয়ে সব ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ করে দিলেই সুরসুর করে ওরাও খুলে দিবে। এইটাও কিন্তু একটা ভালো সমাধান হতে পারে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমিও সবজান্তা ভায়ের সাথে সহমত।
ব্যক্তিগত ভাবে কিছু হিন্দী ছবি-গান বেশ পছন্দের। হিন্দীর আগ্রাসন বর্তমানে প্রচন্ড হারে হচ্ছে, এটা মাথায় রেখেও আমি আমার পছন্দের কিছু নির্দিষ্ট পরিচালকের ছবি দেখবো- কিছু শিল্পীর গান শুনবো।
তবে অবশ্যই, সেগুলোর অনুকরণ-অনুসরণ আমি কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করছি।
_________________________________________
সেরিওজা
সুহান,
আমাদের যাদের হাতের কাছে ইন্টারনেট আছে তাদের বিনোদনের (বা অন্য কিছুর) জন্য কোনো নির্দিষ্ট দেশ, ভাষা, সংস্কৃতির দিকে তাকিয়ে থাকার কিন্তু দরকার নেই। এই আমরাই যদি হিন্দিকে ত্যাগ করতে না পারি তাহলে যাদের বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম টিভির কয়েকটি চ্যানেল, তাদেরকে হিন্দি সিরিয়াল থেকে বিরত থাকতে বলা (বা বিরত থাকবে এরকম চিন্তা করা) কতটুকু ঠিক?
ভাইয়া, ধরা যাক আমার কাছে 'শোলে' ছবিটি ভালো লেগেছে এবং আমার বাসায় ইন্টারনেট সংযোগ নেই। এটা কিন্তু কখনোই আমার ভাষা বা সংস্কৃতির জন্যে হুমকি হয়ে দাঁড়াবে না। আগ্রাসনটা হবে তখন- যখন আমি নিজের দেশের সাহিত্য-ভাষা-সিনেমা সকল কিছু পরিত্যাগ করে উন্নাসিক হয়ে শাহরুখ খানের কনসার্টে গিয়ে হিন্দী তে বাতচিৎ কারেংগা।
আমি নিজে ব্যক্তিগত ভাবে হয়তো হিন্দী সিরিয়াল দেখছি না- কিন্তু পরিচিত অনেকেই দেখছে। সেই সিরিয়ালের অনুকরণ যতক্ষণ কেউ না করছে; সেটাকে আমি তো ততক্ষণ সেটিকে নিরুৎসাহিত করতে পারি, বর্জন করাতে পারি না।
দুই দেশের পারষ্পরিক সমঝোতায় ক্যাবল অপারেটরদের কেবল নির্দিষ্ট সংখ্যাক 'ভিনদেশী চ্যানেল' প্রচার করতে দেয়াটা এর একটা সমাধান হতে পারে।
_________________________________________
সেরিওজা
শেষ পর্যন্ত রাস্ট্রের হস্তক্ষেপ ছাড়া হিন্দির আগ্রাসন থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এরকম আমিও বিশ্বাস করি না। তবে ভাবনার জটিলতায় না গিয়েও ব্যক্তি হিসেবে আমি ভাবতেই পারি যে এইটা ভালো না, তাই এইটা করব না।
মন্তব্যে আপনার ভাবনা শেয়ার করায় অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার লেখার ধরন ভালো লেগেছে। কী বলতে চেয়েছেন সেটাও বুঝতে পেরেছি। তবে এনালজিটা ঠিক যুৎসই মনে হয় নি। জেব্রা মাসল তো ইনভেইসিভ স্পিশিজ। ইনভেইসিভ হতে হলে যে বিদেশ থেকে আসতে হবে এমন কোনো কথা নেই। দেশের মধ্যেই এক অঞ্চলের উদ্ভিদ অন্য অঞ্চলে ইনভেইসিভ হতে পারে। তার মানে ঢাকার মানুষ চট্টগ্রাম যেতে মানা করছেন? মজা করলাম একটু
আসলে মানুষ তো আর উদ্ভিদ নয়। ওই যে কী একটা কথা আছে- দুইজনে দুটো আপেল শেয়ার করলেন, প্রত্যেকে একটি করে পেলেন; দুটো আইডিয়া শেয়ার করলেন দুজনেই দুটি পেলেন। আদান-প্রদানে সংস্কৃতি ঋদ্ধ হয়। কিন্তু কথা হচ্ছে এ আদান-প্রদান উভয়ের স্বার্থের অনুকূল হতে হবে। হিন্দিকে আমরা যে পথে আসতে দিচ্ছি স্যাটেলাইট চ্যানেলে বা তারকা অনুষ্ঠানে তা একচেটিয়া এবং যে কোয়ালিটির জিনিস আসছে তাকে সংস্কৃতির চাইতে অপসংস্কৃতি বলাই ঠিক হবে। তবে এই ভালো খারাপ বেছে নেয়ার ব্যাপারটাও কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে শিক্ষা। যতদিন আমরা তেমন শিক্ষিত না হবো ততদিন আসলে এমন চলতেই থাকবে।
আপনার মন্তব্য ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
হালকা আর হুজুগে ঠেকলো আপনার যুক্তি। উপরে যিনি আপন পছন্দের কথা বলেছেন, তার সাথে কিছুটা সহমত। আর আগ্রাসী প্রজাতির কথা যদি আনেনই, তাইলে বরং পাহাড়ে বাঙালির ঢালাও আগ্রাসন আর উপনিবেশবাদের সাথে তুলনা করে দেখতে পারেন। সেই আগ্রাসন শারীরিক, সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক। জানিনা ইদানীং রাঙামাটি বা বান্দরবন গেছেন কিনা। বিজয়ী সেনাদের ক্যাম্পে। হয়তো সাযুজ্য খুঁজে পাবেন জেব্রা মাসেলের সাথে। বা আরো হিংস্র কিছু। বীর বাঙালি পার্বত্য চট্টগ্রামে যেই জুলুম চালাচ্ছে গত ৩০ বছর ধরে, সেই জুলুম আরো কত বেশী ডাইরেক্ট, জবরদস্তিমূলক ও ঘৃণ্য।
(এই মন্তব্যটা অনার্য সঙ্গীত এর জন্য)
প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর ইউনিতে ওভারহলিংয়ের কাজের কারনে ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ-গ্যাস বন্ধ থাকে। ব্যাটারিতে চার্জ না থাকায় আপনার মন্তব্য চোখে পড়লেও উত্তর দিতে একটু সময় লেগে গেলো।
সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ব্যাপারটা বোঝানোর জন্য বিজ্ঞান নিয়ে আসার কোনো ইচ্ছা ছিলো না। দুটোই পাশাপাশি মাথায় ছিলো, তাই পাশাপাশিই বসিয়ে দিলাম। এটা আরো জটিল করে বোঝানো যেত, কিন্তু আমি সহজ করেই বলতে চেয়েছি। আর এ ব্যাপারে কোনো তত্ত্ব যেহেতু নেই, তাই ধরে নিতে পারেন এইটা আমার হাইপোথিসিসই।
পড়া ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, পোষ্ট ভালো লাগাতে না পেরে দুঃখিত।
প্রিয় পাহাড়িয়া ভাই/বোন,
'হালকা আর হুজুগে' লাগলেও আমি যা বলতে চেয়েছি তা বোঝাতে পেরেছি কি?
ভারতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন তুলনা করলে তাতে পাহাড়ে বাঙালির আগ্রাসন অস্বীকার করা হয়ে যায় নাকি? এই দুইটা কি মিউচুয়ালি এক্সক্লুসিভ?
পাহাড়ীদের উপর নির্যাতন এবং পাহাড়ে বাঙালিদের অভিবাসন প্রকৃয়াকে সবসময়ই ঘৃনা জানিয়ে আসছি। মন্তব্যে এ ব্যাপারটি নিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন